দুটো ঐতিহাসিক উপন্যাস
একের পিঠে আরেকটা ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়ে ফেলেছি। প্রথম বই রাজর্ষি দাশ ভৌমিকের ‘পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর’। বইটির প্রশংসা বহুদিন ধরেই কানে আসছে, কিন্তু অর্চিষ্মান উদ্যোগ করে না কিনলে পড়া হয়ে উঠত না। দ্বিতীয় বই ২০২০র সাহিত্য আকাদেমি যুব পুরস্কার পাওয়া সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরাণপুরুষ। এটিও ইতিহাসভিত্তিক জেনে মাথা চুলকোনো ভাব হয়েছিল, মিথ্যে বলব না, কিন্তু ভাবলাম একধারসে পড়ে ফেলা যাক।
ইতিহাসআশ্রয়ের জায়গাটা ছাড়া দুটো বইয়ের মধ্যে অমিল প্রচুর। রাজর্ষি দাশ ভৌমিকের পা. ফি. ড. রীতিমত স্বাস্থ্যবান বই, তিনশো পাতা ছাড়িয়ে তার বিস্তার। অপরপক্ষে সায়মের পুরাণপুরুষ মোটে একশো পঁয়ত্রিশ পাতার, ক্ষীণতনু। রাজর্ষি ফোকাস করেছেন সপ্তদশ শতকের গোড়ায়, যখন ব্রিটিশ আসেনি কিন্তু মগ, ওলন্দাজ, পর্তুগিজেরা হই হই করে ঘনিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সীমানায়। সায়ম এগিয়ে এসেছেন অনেকটা, প্রায় দুশো বছর, উনিশ শতকের মাঝামাঝি। রাজর্ষির প্রেক্ষাপটের বিস্তার বাংলার গ্রামের নদী মাঠ থেকে আরাকান/ রাখাইনের দুর্গম পর্বত থেকে সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) নামের এক সুজল সুফল অঞ্চল, যার মালিকানা নিয়ে যুদ্ধ বেধেছে বহিরাগতদের মধ্যে। মাঝখানে উলুখাগড়ার মতো ফাঁদে পড়েছে কিছু বঙ্গসন্তান। কেউ কেউ এই ডামাডোলে ভেসে বেড়াচ্ছে শিকড় ফেলতে চেয়ে, বা না ফেলতে চাওয়ার আশায়। রাজা, বণিক, পর্তুগিজ, আরাকান, মগ, বাঙালি, রাঁধুনি, জ্যোতিষ, দস্যু, গেরস্ত, মায়াবাস্তবের নারী সব মিলিয়ে একেবারে জমজমাট মঞ্চ।
সায়মের পুরাণপুরুষ, অন্যদিকে, এক্সক্লুসিভলি একটি শহরের একজন মানুষের পিছু ফেরে। উনিশ শতকের মধ্যভাগের কলকাতার বাবুর ছেলে রাজারাম দেব। রাজর্ষির চরিত্ররা যেখানে চেয়ে অথবা বাধ্যতায় বিরাট বিরাট যাত্রায় পাড়ি দেয়, দেশের সীমানা পেরোয়, কালাপানি পার হয়, সায়মের রাজারাম প্রায় বেরোয়ইনা বাড়ি থেকে। রাজর্ষির চরিত্ররা নতুন দেশ, নতুন মানুষ, নতুন সংস্কৃতি আবিষ্কার করে নিজের শিকড় গাঁথে, উপড়োয়। এক নিরবচ্ছিন্ন চলাচল। গল্প যত এগোয় সায়মের রাজারামের অন্তর্মুখিনতা তত বাড়ে। তত সে ছায়ায় ছায়ায় মিলিয়ে যায়। অনেক সময় মনে হয় তার বেঁচে থাকায় ঘর্মাক্ত পাংখাপুলারের হাতের টানে দুলতে থাকা পাখা হয়তো একমাত্র চলাচল।
পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর এবং পুরাণপুরুষ, দুটি উপন্যাস চলনেবলনে সম্পূর্ণ ভিন্ন হলেও, দুজনেই পটপরিবর্তনের গল্প শোনায় যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। রাজর্ষির উপন্যাস দেখায় কীভাবে বাঙালির ভৌগোলিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। সায়মের রাজারামও আটকা পড়েছে এক আমূল বদলের মাঝখানে।নিজের ভেতরেও সেই বদলের টানাপোড়েন টের পাচ্ছে সে। হিন্দু কলেজের ছাত্রদের বৈপ্লবিক কাজকর্ম, চালচলন তাকে প্রবল আকর্ষণ করছে কিন্তু সে কলেজশিক্ষিত নয়, সেই সংকোচ তাকে কুরে খাচ্ছে। গোঁড়া এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে না বদলাতে চাওয়া বাবার তাকে কলেজে পড়তে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত তাকে ক্ষুব্ধ করছে অথচ বাবার প্রতি আনুগত্য কেড়ে নিচ্ছে তার বিদ্রোহঘোষণার ক্ষমতা। রাজারাম বুঝতে পারছে বদলে যাচ্ছে সবকিছু, অথচ সে বদলাতে পারছে না। এবং ক্ষয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্ষইছে কি একা? রাজারামের স্বপ্নে অদ্ভুত একদল মানুষ ধরা দেয়। হাতে চৌকো আলোকিত যন্ত্র, কান থেকে ঝুলছে সাদা সুতো, রক্তাক্ত পদচিহ্ন। এক অস্থির, অমঙ্গলপূর্ণ সময়ের আভাস ফিরে ফিরে আসে রাজারামের স্বপ্নে যেখানে ছেলের রক্ত মাখা ভাত কারা ঠুসে দিচ্ছে মায়ের মুখে। কারা তারা? রাজারাম দুশ্চিন্তা হচ্ছে। হয়তো সে সাক্ষী থাকছে একটা জাতির পতনের। প্রতিবেশী জমিদার এবং রাজারামের আইডল দ্বারকানাথ ঠাকুরের মতো উদ্যমী, শতধায় ছুটে চলা, নিজেকে ভেঙেচুরে বার বার খুঁড়ে তোলা মানুষদের সময় ঘনিয়ে আসছে, এর পর হয়তো পড়ে থাকবে রাজারামের মতো কিছু মানুষ যাদের স্বপ্ন অনেক কিন্তু সে স্বপ্ন সফল করার ক্ষমতা নেই, নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই। রাজারামের মতো তারা কেবল গুটিয়ে যাবে, পিছিয়ে যাবে, গতি হারিয়ে অবশেষে ঘুরে মরবে অন্দরমুখী এক ক্ষয়ে পড়া সংস্কৃতির ঘরে বারান্দায়।
রাজর্ষির ভাষা সোজাসাপটা, মোটের ওপর অলংকার এবং ঘোরপ্যাঁচ রহিত। একই সঙ্গে সামান্য যেন শুকনোও। রসবোধের অভাব বললে ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে কিন্তু শোক, তাপ, কারুণ্য এগুলোকেও আমি রসের মধ্যে ফেলছি। আপনি যখন শ্যামল-ওফেলিয়ার প্রেমের দৃশ্য পড়ছেন কিংবা জলপথে যুদ্ধের বর্ণনা, সবই যেন সামান্য দূর থেকে, আপনাকে তারা উদ্বেলিত করতে পারছে না। তবে এ আড়ষ্টতা অজানিত নাও হতে পারে। সামান্য দূরবর্তী উদাসীনতা ইচ্ছাকৃতও হতে পারে।
সায়ম যখন লেখেন, পাঁচটা ইন্দ্রিয়র একটাকেও অব্যাহতি দেন না। দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গে শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ সব দিয়ে বিহ্বল করে ফেলেন। দুজনের ভাষার স্টাইল আরও স্পষ্ট হয় ওই জায়গাগুলোয় যেখানে দুজনেই জাদুবাস্তবের দিকে পা বাড়ান। রাজর্ষির গল্পে কুয়াশার এবং পাঁকে আটকে পড়া এক শতাব্দীপ্রাচীন কর্পূরমঞ্জরী বার বার ফিরে ফিরে আসে তার পথ দিয়ে ভেসে যাওয়া চরিত্রদের জীবনে, অন্যদিকে রাজারামের স্বপ্নে ঢুকে পড়ে বনবিহারী নামের কথা বলা হাড়গিলে আর দীর্ঘদেহী মেফিস্টো, যারা রাজারামকে কার্নিভ্যাল দেখাতে নিয়ে যাবে বলে এসেছে। কর্পূরমঞ্জরী যেন রক্তমাংসের নারী। অন্যদিকে রাজারামের দালানের কার্নিভ্যালের উল্লাস, মুখে, শরীরে বিচিত্র রংমাখা নারীপুরুষ, তাদের উল্লাস, উলুধ্বনি, ঢাকের আওয়াজ, রাজারামের আঙিনা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া রক্তবর্ণ তরল, এ সব পাঠকের ভেতরে একরকমের কাঁপুনি জাগায়। সায়মের উপন্যাসের আরও একটি প্রবল শক্তি, অপূর্ব সম্পাদনা। প্রতিটি শব্দ,বাক্য, বাক্যের দৈর্ঘ্য, বিন্যাস, ভেবে লেখা। সম্পাদনার গুণ এই রকম একটি অঘটনাবহুল উপন্যাসকেও গতি দিয়েছে। একবার শুরু করলে থামা শক্ত।
দুটো বইই ভালো লেগেছে আমার। একটা পাঁচে সাড়ে তিন, একটা চার। আপনারা যদি কেউ যে কোনও একটা বা দুটো বইই পড়ে থাকেন, কেমন লেগেছে জানার আগ্রহ রইল।
aami ei duto boi er naam o shunini.. :( siggiri poRbaar icche thaklo.. khub e bhalo laglo review poRe..
ReplyDeletebhalo thakben
Indrani
পড়ে দেখতে পারেন, ইন্দ্রাণী। মনে হয় ভালো লাগবে।
DeleteAmi Rajarshi r boiti bodh hoy goto bochor porechi. Amar otyonto beshi bhalo legeche. Plus, Rajarshi ei somoyer shrestho bangla goyenda golpo lekhok (Kolkata Nuya poshyo). Ei boi er background, span ar ghotona sobi osadharon.. songe, ekta mystic haoa dhorar chesta kora ache.. seta amar khub bhalo legechilo. Onyo boi ta ami khub shiigir jogar kore pore felbo.
ReplyDeletePS: Amar computer e ekhon bangla y type kora jachhe na, tai bicchiri lekha likhte holo.
কোনও অসুবিধে নেই। আমি তো গোড়াতে গোটা অবান্তরটাই রোমানে লিখতাম। পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর বেশ ভালো। আপনি পুরাণপুরুষ পড়ে জানাবেন কেমন লাগল।
DeleteKolkata Nuya -r kono review nei?
Deleteপড়িনি।
Deleteerokom korle hobe na. Ei somoyer best moulik goenda golpo bole mone hoyeche amar. Tarpore Goenda golper real expert ra jodi na pore, tahole ki kore hobe?
DeleteJodi risk na nite icche kore, tahole duto golper link pathabo. Pore kenar siddhanto neoya jete pare.
খণ্ডাংশ পড়েছিলাম, বিশেষ উৎসাহিত বোধ করিনি। আপনি এত প্রশংসা করছেন যখন সুযোগ হলে আরেকবার ট্রাই নেব। লিংক পাঠানোর দরকার নেই। আমি জোগাড় করে নেব। থ্যাংক ইউ।
DeleteRajarshir uponyasti porechhi. Apnar mulyan ekebare sothik Kuntala. Bhasar je nispriho dikta apnar chokhe porechhe taa amaro mone hoyechhilo. Uponyasti khubi bhalo. Apni Abhijit Sen er "Mousumi Somudrer Upkul" porechhen? Ei samaykal niyei lekha. Amaro porar ichchhe aachhe.
ReplyDeletePuranpurush porini ekhono. Boiti order kora aachhe. Elei porbo.
নিঃস্পৃহতা একেবারে লাগসই বিশেষণ এ ক্ষেত্রে, সায়ন। অভিজিৎ সেনের বইটা দেখলাম। পড়িনি, পড়ব অচিরেই। থ্যাংক ইউ। আমি অলমোস্ট শিওর পুরাণপুরুষ আপনার ভালো লাগবে। তবু জানাবেন।
DeleteRajorshi Das Bhowmik er ei boi ta porbo vebe rekhechhi, kintu onar arekta boi porte paris "Kolkata Nua"....goyenda kahini kintu bandha gote noy.........Ar Debarati Mukhopadhyay er "Narach" pore dekhte paris..........ei boidutor moto oitihashik........Lekhika Rudra Priyam series er goyenda goppo gulo jholaleo eta mondo lekhen ni.............
ReplyDeleteনরকসংকেত এর ঝটকাটা একটু সামলে নিই, তারপর দেখছি।
Deletesetai to bollam...........Rudra -Priyam series ta Lekhikar pochhonder holeo khub durbol/khorak lekha............kintu amar aviggota bolchhe Narach hoto hotash korbe na........
Deleteওকে, পড়ে দেখব তাহলে। সাজেশনের জন্য থ্যাংক ইউ।
DeleteEito Debaratir lekha porecho dekhchi... review pabo naki.. in fact lekhikar narak songket ar narach ei duto boi e sudhu porechi.. ektu miliye dekhtam ar ki..
Deleteদেবারতি দেবীশ্বরী, জানতিস? আমি জেনে যাকে বলে হুব্বা। রিভিউ সম্ভবত দেব না।
DeleteAcha.. :) hyan go boi porar age jantam, in fact setai hoyto porte interested hobar karon chilo.
Deleteকুন্তলা দিদি, একটা ছোট সাজেশন , পারলে "Mhabharata Secret" পড়ো। হয়তো তোমার ভালো লাগবে।
ReplyDeleteনিশ্চয় দেখব। থ্যাংক ইউ।
DeletePuranpurush ta porar khub agroho , Kuntala di.
ReplyDeleteAmi Rupamanjari porlam , tinti part ache. Besh bhalo laglo. pore dekhte paren
- Ritam
ওটা পড়েছি, ঋতম। পুরাণপুরুষ ভালো লাগবে মনে হয়।
Deleteপাফিড আমার ভালো লেগেছিল বেশ। একটা আলোচনাও লিখেছিলাম।
ReplyDeleteতাই বুঝি? পড়ে দেখব নিশ্চয়।
Deleteপড়েছেন তো😊 পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর। রাজর্ষিদাকে দেখালাম পোস্টটা, উনি রোহণদাকে ট্যাগ করে পোস্টও দিয়েছেন ফেসবুকে।
Deleteওহ, সরি সরি। ভীমরতি ধরেছে।
Deleteধন্যবাদ কুন্তলা। সায়মের 'পুরাণপুরুষ' আমারও খুব ভালো লেগেছে। এই সময়ে অল্পবয়েসী যারা লিখছেন, তাদের মধ্যে অর্ণব রায়ের 'আট ইঞ্চি পা' গল্পসংকলণটিও উল্লেখযোগ্য। পড়বার অনুরোধ করলাম।~রা দা ভৌ
ReplyDeleteসর্বনাশ। লেখক নিজে এসে দেখা দিলে ভয় ভক্তি দুইই বাঁধনছাড়া হয়। অর্ণবের বইটি পড়ব। এই সুযোগে সরাসরি ভালোলাগাটাও জানিয়ে রাখি, পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর খুবই ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় উপন্যাসে এত বড় পরিসরে খেলতে নামার আত্মবিশ্বাস থাকাটা যতখানি প্রশংসার্হ, সে বিশ্বাসের প্রতি সুবিচারটাও ততখানিই।
Deleteপাইয়া ফিরিঙ্গ ডর আমার প্রথম উপন্যাস, প্রকাশকালের হিসেবে দ্বিতীয়। সম্পাদনা ইত্যাদিতে প্রায় বছর দেড়েক ব্যয় হয়।
Deleteসরি সরি, আমি গুলিয়ে ফেলেছি।
Deleteসামান্য দ্বিমত হচ্ছি পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর এর ভাষা নিয়ে। এই উপন্যাসের ভাষা বস্তুত উপমা আমাকে মুগ্ধ করেছে আর উপন্যাসের প্রথম দিককার ডিটেইলিং। কর্পূরমঞ্জরী পর্ব থেকে উদাহরণ দি- ৪৩ পৃষ্ঠায়-" ডুবতে বসা মানুষদের অসহায় দৃষ্টির সঙ্গে দৈত্যসম বোয়াল মাছেদের ফ্যাকাশে দৃষ্টির কোনো তফাত নেই, অন্ধকার আর শ্যাওলা -কেবলমাত্র দুটি রং সেখানে"। পরের পৃষ্ঠাতেই মিশুর বিবাহের বিবরণের ডিটেইলিং দেখুনঃ" বিয়েবাড়ির রোশনাই নিভল, চুলায় জল দিয়ে রসুইকররা যে যার ঘরের পথ ধরলে। ....." এর পর আরও আছে, যেটা মনে গেঁথে গেল তা হল ঐ চুলায় জল দিয়ে ফিরে যাওয়া। ডিটেইলিং বলুন, ডিটেইলিং, ব্যঞ্জনা বলুন, ব্যঞ্জনা। বা ধরুন, ২২৭ প্পৃষ্ঠায় প্রথমাংশের দৃশ্যপট বর্ণনা, আর সামুদ্রিক পাখিদের দৃষ্টিতে নৌকাগুলি -" সমুদ্রের উপরিতলে একটি বৃহৎ মাছ, ঘুরাব নৌকাগুলি তার শরীরের ভঙ্গিমা, বাছারি হল পাখনা, জালিয়া নাওটি মাঝখানে মাছটির চোখ আর ময়ূরপঙ্খিটি যেন লম্বাটে পুচ্ছ।" অজস্র উদাহরণ দেওয়া যায়। অমিয়ভূষণকে মনে করায় বহুবার।
ReplyDeleteব্যক্তিগতভাবে এই উপন্যাসটিতে দুটি জার্নি মনে থেকে যাবে-পেগুকে নিয়ে নগেনের রোসাঙ্গা থেকে চট্টগ্রামের দীর্ঘ ঘটনাবহুল যাত্রাপথ আর তুলনায় অতি সংক্ষিপ্ত শ্যামল ও ওফেলিয়ার বাতাবির ফল পড়ে থাকা মাঠে বিষাদময় ও মিস্টিক যাত্রা।
এবং দুটি উপন্যাসেই আশ্চর্যরকমভাব এই সময় ধরা দিয়েছে। পুরাণপুরুষে রাজারামের স্বপ্নে, পাইয়া ফিরিঙ্গ ডরে চট্টগ্রামের পথে পাদ্রী ও আব্দুলের কথোপকথনে।
ReplyDeleteদুই ঔপন্যাসিকই দুটি ভিন্ন কালপর্বের পারস্পরিক সংযুক্তি ঘটিয়েছেন আখ্যানের অংশ হিসেবে। আয়াসহীন।