কবিতার কথা



অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?

কোন প্রসঙ্গ নেই, এমনিই ওপরের লাইনটা লিখতে ইচ্ছে করল। শঙ্খ ঘোষের ‘শব্দ নিয়ে খেলা’, যে বইটা পড়ে রাকা আমাদের সব্বার মৌনতার ‘তা’ ছেঁটে থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দিয়েছে, সেই বইটা পড়ছি। আপনারাও পেলে পড়ে ফেলুন। আমি তো বলি পাওয়ার জন্য হাত পা গুটিয়ে বসে অপেক্ষা করবেন না, বনবাদাড় ভেঙে পিছু ধাওয়া করে পড়ে নিন। ঠকবেন না।

সেই বইটার দুই না তিন নম্বর পাতাতেই ওপরের লাইনটা লেখা আছে। পড়ে থেকে মাথার ভেতর ঘুরঘুর করছে। কিছুতেই বার করতে পারছি না। মাত্র ছ’শব্দের একটা বাক্য, অথচ কী নিটোল আর গভীর। কবিরাই এমন বাক্য লিখতে পারেন বোধহয়।

কবিতার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীরকম? মানে কবিতা লেখার কথা বলছিনা। বাঙালি হয়ে জন্মেছেন যখন বিরহ কিংবা বর্ষা নিয়ে একটা দুটো পদ্য না নামিয়ে কি আর থেকেছেন? আমার চেনা মোটে দুজন বাঙালি হাত পা ছুঁড়ে দাবি করেছেন যে তাঁরা নাকি জন্মে এ-ক-টি-ই-ই-ও কবিতা লেখেননি। যদিও তাঁদের মধ্যে একজনকে আমি বিশ্বাস করিনা। লোকটা ডাইনে বাঁয়ে মিথ্যে বলে। অন্যজন হয়তো সত্যিই কবিতা লেখেনি কোনদিন কিন্তু সে কোনদিন পুরীও বেড়াতে যায়নি। কাজেই তাকে বাঙালি বলে গণ্য করারই দরকার নেই।

আমার কবিতার সাথে সম্পর্ক...প্রায় নেই বললেই চলে। পাঠ্যবইয়ের কবিতা আর রবীন্দ্র রচনাবলীর কবিতা, ব্যস। ও হ্যাঁ আর ওই দু’চারখানা কবিতা যেগুলো সবাই পড়েছে---বেণীমাধব, যেতে পারি কিন্তু কেন যাব, অবনী বাড়ি আছ, বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি---বাদ দিলে বাংলা কবিতায় আমার জ্ঞান ক-অক্ষর গোমাংস বললেও কিছু ভুল হয়না।

কি জানি, সেইজন্যই হয়তো বাইশে শ্রাবণ সিনেমাটা আমি কিচ্ছু বুঝতে পারিনি, পুরো ট্যান হয়ে গেছে।

কেন এরকম হল আমি সত্যি জানিনা। মেয়েদের সূক্ষ্ম সংবেদনশীলতার সামগ্রিক বিকাশ ঘটানোর জন্য আমাদের স্কুলে নিয়মিত কবিতার সেমিনার বসত। পড়াশোনা নাচগান দৌড়ঝাঁপের প্রাইজ হিসেবে ঢালাও কবিতার বই বিতরণ করা হত। দিদিভাইরা কবিতা পড়তে, বলতে, এমনকি লিখতে পর্যন্ত উৎসাহ দিতেন। স্কুলসুদ্ধু উঠতি কবির কবিতা পড়ে মতামত দেওয়ার প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও।

এত করেও আমাকে কবিতা ধরানো যায়নি। খুবই খারাপ হয়েছে ব্যাপারটা। অ্যান ল্যামটের “বার্ড বাই বার্ড” বইতে পড়েছি, ভালো গদ্য লিখতে হলে পদ্য পড়া আবশ্যিক। তাছাড়া চোখের সামনে তো দেখছিই। যত উঁচুদরের লেখক, সবাই প্রায় সাহিত্যিক জীবন শুরু করেছিলেন কবিতা লেখা দিয়ে। সুনীল, নবনীতা, তারাপদ রায়। ব্যতিক্রম দু’চারজন থাকবেন নিশ্চয়, কিন্তু সেই থাকাটা প্রতিপাদ্যটা বরং আরও বেশি করে প্রমাণই করবে।

আমার বাবা বলেন, ধুস আধুনিক কবিতা আবার কবিতা নাকি? প্রত্যেকবার চোখ বন্ধ করে ডিকশনারি খুলেই যে পাতাগুলো আসবে তাদের তিন নম্বর শব্দগুলো সাজিয়ে সাজিয়ে লেখা তো? ওরকম কবিতা আমি দিনে ৫০০টা করে লিখতে পারি। এইটা পড়ে আধুনিক কবিরা রেগে যাবেননা প্লিজ। আমার বাবা ব্যাকডেটেড মানুষ। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ছন্দমেলানো কবিতা ছাড়া তাঁর মন ওঠে না। কিন্তু আমি জানি দুর্বোধ্যতাটা সমস্যা নয়। আধুনিক কবিতা যদি দুর্বোধ্য হয় তাহলে

তটিনীর কলরব, লক্ষ নির্ঝরের ঝর ঝর,
সিন্ধুর গম্ভীর গীত, মেঘের গম্ভীর কণ্ঠস্বর,
ঝটিকা করিছে হা হা আশ্রয়-আলয় তার ছাড়ি
বাজায়ে অরণ্যবীণা ভীমবল শত বাহু নাড়ি,

কিছু কম দুর্বোধ্য নয়। আধুনিক কবিতা বুঝিনা তাই বিশ্রী, রবি ঠাকুরের কবিতা বুঝি তাই দুর্দান্ত, এই যুক্তি কাজেই ধোপে টেঁকে না। ভালো কবিতা দুর্বোধ্য হলেও ভালো, খারাপ কবিতা জলবৎ তরলং হলেও সে খারাপ।

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে সোজা খারাপ কবিতা শুনলেই ধরে ফেলা যায় সে খারাপ। যেমন ধরুন,

"পোতোমাদ্দে পোবোল বিস্টি, ধইযযো ধরে বোসুন
ইসবেঙ্গলের পোসান্ত, মোহনবাগানের পোসুন।"

এ কবিতার প্রাণঘাতিতা (সেরেছে, এরকম শব্দ হয় তো?) নিয়ে কারো কোন সন্দেহ থাকতেই পারে না। কিন্তু যদি এমন একটা কবিতার সাথে মোলাকাত হয় যার আগা মুড়ো শেষ কিসসু বুঝতেই পারলাম না, তাহলে তাকে ফস করে ভালো বলে দিতে আমার কিরকম বাধোবাধো ঠেকে। সন্দেহ হয়, টুপি পরাচ্ছে না তো? আমি ‘ভয়ানক কবিতা বুঝি’ হাবভাব দেখিয়ে খুব আহাবাহা করলাম, এদিকে কবি হয়তো “কেমন কেসটা খাওয়ালুম” বলে হাতে তালি দিয়ে গড়াগড়ি খেয়ে হাসলেন।

দোষটা কবির নয়, দোষটা আমার নির্বুদ্ধিতার। কিন্তু নির্বোধ বলেই তো বেশি সাবধানে থাকতে হয় বলুন? কাজেই আমি কবিতার থেকে দূরে দূরে থাকি।

আর মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি, এ জন্মে এরকম একটা বাক্যের ব-ও আমার আঙুল দিয়ে বেরোবেনা জেনে।

অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?

আহা।

Comments

  1. একদম মনের কথাটা বলে দিয়েছেন- এই কারণেই কবিতা থেকে শত যোজন দূরে থাকাই শ্রেয় মনে করেছি এই সে দিন পর্যন্ত- যদ্দিন না শ্রীজাতর 'উড়ন্ত সব জোকার' হাতে আসে।
    তারপর থেকে ভদ্রলোকের সব বই পড়ে ফেলেছি- আর যেহেতু তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে শঙ্খ ঘোষকে গুরু মনে করেন, তাই সাহস করে তাঁর কবিতাও বেশ কিছু... নিরাশ হইনি- এগুলো সবই ভাল লেগেছে, বুঝতেও পেরেছি নিজের মতো করে... নিশ্চয়ই পড়েছেন,তবু না পড়ে থাকলে শ্রীজাতর প্রথম দু'টো বই-'উড়ন্ত...' আর 'ছোটদের চিড়িয়াখানা' পড়ে দেখতে পারেন...

    ReplyDelete
    Replies
    1. পড়িনি পড়িনি। এবার বাড়ি গিয়ে জোগাড় করে পড়ে ফেলব মনে করে। থ্যাঙ্ক ইউ সুনন্দ।

      Delete
    2. এইমাত্র এক নিঃশ্বাসে 'শব্দ নিয়ে খেলা' পড়ে উঠলাম; মাথার মধ্যে 'ধাঁই ধপাধপ তবলা' বেজে গেল এতক্ষণ...
      নিজেকে কেবলই পিছনের বেঞ্চের ছাত্র মনে হচ্ছিল- ওই যারা শিক্ষকের ক্ষমতা আর বোঝানোর দক্ষতাকে প্রাণপণ কুর্নিশ করেও শেষে ছক করে- কদ্দিনে তার উলটো গাওনা গাইবে(মানে ওই আপনার Discipline পোস্টের মতো আর কি...), সেই রকম।
      শেষ পাতায়

      "রইল বলে রাখলে কারে? / হুকুম তোমার ফলবে কবে? / টানাটানি টিকবে না ভাই / রবার যেটা সেটাই রবে"

      পড়ে বেজায় আনন্দ পেয়ে হাতের পেন্সিল ফেলে 'রবার' হাতে বসে রইলুম।
      ইঞ্জিরি না হয় সায়েবদের ভাষা, তাতে গোলালে নজ্জা- তাই tensed হয়ে tense ঠিক করি... বাপ-পিতেমোর ভাষায় 'প্রলয়' করলে আর ঠেকাচ্ছে কে?

      তবে, পিছনের বেঞ্চে বসলেও ক্লাসটা তো করেছি, তাই আশায় আশায় থাকলাম, এর পরের ভুলগুলো আর ভুল না হয়ে ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতা হবে। :)

      Delete
    3. 'শব্দ নিয়ে খেলা' অদ্ভুত, অনবদ্য। কত কিছু যে নতুন করে শিখলাম, আর আমার সন্দেহ হয় যতবার পড়ব, ততবার শিখব।

      রবার হাতেই তো বসেছ সুনন্দ, 'রবাট' হাতে তো বসনি, কাজেই তোমার হবে।

      Delete
  2. Ami tomar baba'r moto :-) Satyen Dutta amar boddo priyo kobi. Ar sotyi bolte ki, Rabi Thakur, Satyen Dutta ar Nazrul -er (Michael er kichu) kobita chhara ar kichui amar mathay dhoke na. Ar godyo kobita'r to ami matha mundu kichui bujhi na. Kobita ki kore godyo hoy? Either godyo hobe, na to podyo hobe, orokom "haasjaru" hoyar mane ki? Ar Michael chhara blank verse keu likhteo pare na.
    Kobita jodi na bujhi to dosh amar noy, kobi'r. Eto kichu bujhte pari, onyer lekha Java code pore bujhe jayi ar bangla bhashay duto line bujhbo na? Public ke poranor jonye lekha jodi public na bojhe to kobi ke bhabte hobe ki likhchi. Nijer diary te likhe na chhapte dile amar kichu bolar nei. Ar je jinish er 4000 ta explanation hoy shey jinish keu-i ba bojhe ki kore? Sob adhunik kobi der khachay pure 21 pata hisheb korate parle ami khub khushi hobo :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. আধুনিক সিনেমা সম্পর্কে চন্দ্রিলের লেখা একটা বাক্য একটু পাল্টে নিয়ে বলা যায়, "কবিতা পাঠকের ইন্টেলেক্টের ঠিক এমন জায়গায় গিয়ে আঘাত করবে, যে প্রত্যেকেই পড়ে ভাববে - 'আমি বলে তাই বুঝলাম, পাবলিক বুঝলে হয়!'" আসলে আধুনিক কবিতার ব্যাপারটা হলো কেউই স্বীকার করতে সাহস করেন না যে লেখাটা বোঝা যাচ্ছেনা | অনেকটা আধুনিক শিল্পকলার মতন | গদ্য কবিতার লজিকটা আমিও বুঝিনি কোনদিন |

      Delete
    2. রিয়া, বাবা তোমার সাথে আলাপ করে ভয়ানক খুশি হবেন।

      সুগত, আমার ব্যাপারটাও অনেকটা সেরকম। কবিতা বুঝতে পারিনা বলতে ভয় লাগে।

      Delete
    3. jaah, ami je ektao kobita likhini :-(. aboshyo puri berate gechilam chottobelay. :-)

      Delete
    4. আত্রেয়ী, তুমি বাঙালিদের মধ্যে আউটলায়ার বলে বোধ হচ্ছে।

      Delete
  3. আমার একই অবস্থা... :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. সমবেদনা সমবেদনা সংহিতা।

      Delete
  4. ও বাবা, কবিতা লেখা ভারী শক্ত | ও আমার দ্বারা হবার নয় | আর আধুনিক কবিতা আমিও বুঝিনা | আমি সেকেলে মানুষ, কখনো কখনো লিমেরিক লিখে থাকি, আর মাঝে মধ্যে বাংলা কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করি | এই ধরুন একটা লেখা যেতে পারে আজকের বিষয়ে:

    পরশু সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির বাড়াবাড়ি,
    দেখে মনে সাধ হয় দিই শুধু গড়াগড়ি,
    কলেজে দেব যে ডুব,
    গুলে খাব ইউটিউব,
    বিকেলে চা আর পেঁয়াজির ছড়াছড়ি |

    ReplyDelete
    Replies
    1. কেয়া বাত কেয়া বাত সুগত..পেঁয়াজির ছড়াছড়ির জায়গাটা আমার সবথেকে ভালো লেগেছে।

      Delete
  5. aami bapu bangal manush....antel adhunik kobita aar antel adhunik art ei dutoi amar mathar opor diye ure jay. tomar baba'r sange ekdom ekmot....kichu kobita pore mone hoy je "dictionary khule random word choosing" e kora hoyechey!

    tachara godhya'r kobita ta tow ekta "oxymoron". godhyo'y jodi hobe tahole kobita kisher.
    jemon eita kichudin agey ek bandhabi pathalen. eta ki kobita!
    http://www.youtube.com/watch?v=-TcpV9bxLKk

    ReplyDelete
    Replies
    1. শম্পা, ওহ তোমারও বাবার সাথে মিল? বাবা শুনলে খুব খুশি হবেন।

      Delete
  6. শ্রীজাতর 'বাব-মা' সিরিজের একটা কবিতা share করার লোভ সামলানো গেলনা...

    বাবা-মা আর আমি (চ)

    বাবা-মা'র মধ্যে একটা বেশ বেড়াল-বেড়াল
    ব্যাপার আছে। দিনের বেশিরভাগটাই চোখ টিপে
    এককোনায় পড়ে আছে,ঘুম ভাঙলে মাছের ঝোল,
    দুধের প্যাকেট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, পরস্পরের
    দিকে ক্রমশঃ বেড়ে চলা চিৎকার ছুঁড়ছে,
    থপাথপ থাবাও বসিয়ে দিচ্ছে এক-আধবার...
    কতক্ষণ মেনে নেওয়া যায় ? ভাবি যাই, একদিন
    বাজার যাবার পথে দুটোর ঘাড় ধরে দূরে কোথাও
    রেখে দিয়ে আসি, বুঝবে মজা। তারপর মনে হয়
    সত্যি-সত্যি তো আর বেড়াল নয় দু'জনে,
    এই এত বয়েসে রাস্তা চিনে হয়তো আর
    বাড়ি ফিরে আসতে পারবে না

    ------------------------------- উড়ন্ত সব জোকার

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, টু গুড, টু গুড। ধন্যবাদ ধন্যবাদ সুনন্দ।

      Delete
  7. Ei ami ektu godyo kobitar ekta golpo bolbo...class 12 e tokhon banglay Jibonananda Das er "46-47" porache. (Jibananada ki kore tram e chapa porechilen eta ami onek bar bhebechi. TRAM!!! Of all things!!! Ete manush chapa pore???) Jayi hok, tokhon amader "science section" er chhele meye der modhye literature class e ghumonor ekta fashion chilo. Amio tai ghumochhilam, emon somoy "Mao Pushi", mane bangla aunty (South Pointer, bujhtei parcho, nahole teacher ke aunty bolbo keno?) amake daar koriye proshno korlen "Kobi ei jaygay ki bojhate cheyechen?" Sabbonash koreche re! Kobi ki bhebe ki likhechen se to Brahma'r byata Bishnu eleo bolte parbe na "kuto manushya"! Tar opor ami ghumochhilam! Generally ei sob case e ami kobitar line gulo plain bangla sentence e convert kore bolatam, kitu "46-47" being "godyo kobita" ami seta korte parini. Ha kore half boja chokhe dariye chilam. Sei theke ami godyo kobitar opor aro beshi chote uthechi!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা রিয়া। মজার গল্প। দিদিমণির নামটা আরও মজার।

      Delete
  8. achha tumi amader po(m)od poddar er kobita ke baje bolle keno hey? ki sundor likhechhe boloto? tomar "kobi ki bolte cheyechhen" bujhte ki kono oshubidhe hoyechhe? tobe ?

    ami konodin kobita likhni.. tobe likhle definitely oi lalmohon babur motoi likho
    "ogo pine,
    jyotsna raate dekhte tomay lagchhe boro fine".. :D

    ReplyDelete
  9. podobi ta bodhhay podhan chhilo na?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ। পো(মো)দ পোধান। পুরো পুরসভা যার পকেটে। কবিতাটার বোধগম্যতা নিয়ে অভিযোগ করি এমন সাহস আমার নেই সোহিনী। যা বলার কবি অতি স্পষ্ট করে বলেছেন। সেকি তুমিও কবিতা লেখনি! যাঃ তোমরা বাঙালির নামে কলঙ্ক।

      Delete
    2. কবিতায় লোককথার ব্যবহার, মিথ ও আন্তর্বয়ন ইত্যাদির কারণে বিগত নব্বই দশক থেকে কবিতার একটা নতুন চেহারা আমাদের সামনে উপস্থিত হতে থাকলো। নানা নামে নানা অভিধায় কবিতার সংজ্ঞায়নে অনেকেই অনেক সময় ব্যাপৃত থেকেছেন। আমার কেবলি আবেদন, সে আবুল হাসানের ভাষায়, “এই কবিতা এমনি থাকুক সহজ এবং সুশিক্ষিতা’। মনে অবশ্যই রাখতে হবে ‘অন্তর বাজে তো, যন্তর বাজে’। শুভেচ্ছা রইল কবি।

      Delete

Post a Comment