আজকাল



শুক্রবার রাতে নিকি ফ্রেঞ্চের পর পর দু'খানা রহস্যোপন্যাস শেষ করে ভোর চারটেয় ঘুমোতে গিয়ে সাড়ে ন'টায় উঠে দেখি ওপরতলার প্রসেনজিৎ অন্তত পনেরোবার ফোন করেছে। নাকি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে লোক এসেছিল সকাল সাড়ে আটটার সময়।

সাড়ে আটটা। আমি যখন কোনও অফিসে কাজে যাই সাড়ে এগারোটার আগে কাউকে সিটে পাই না, আর অফিস আমার বাড়িতে এসেছে সাড়ে আটটার সময়, এক্সপেক্ট করে যে আমি একপায়ে খাড়া থাকব। ট্রু ক্রাইম সাহিত্যে পড়েছি, পঁহুছা হুয়া ক্রিমিন্যালদের বাসায় রেড করতে পুলিস সর্বদা ভোর রাতের দিকে যায়, কারণ অতি বড় ক্রিমিন্যালের সতর্কতাতেও ওই সময়েই ঢিলে পড়ে। তেমনি আমাকেও সকাল সকাল এসে খপ করে ধরার চেষ্টাই করছিলেন বোধ হয়। আসল ঠিকানা থেকে চানটান করে খেয়ে দেয়ে পান মুখে দিয়ে ভুয়ো ঠিকানায় এসে বসতে অন্তত দশটা বাজবে। তার আগেই উনি এসে আমাকে খপ করে ধরবেন।

বলা বাহুল্য, এই বাজারে আমি শখ করে পাসপোর্ট অফিসে ধর্না দিইনি। পাসপোর্টের আয়ু ফুরোতে বসেছে। কাজেই নতুন পাসপোর্টের ব্যবস্থায় বেরোতে হয়েছে। রিষড়া কবে যেতে পারব ঠিক নেই, কিন্তু বিদেশযাত্রার রাস্তা খোলা রাখা চাই।

আজকাল পাসপোর্টের ব্যাপারস্যাপার খুব সহজ হয়ে এসেছে। অন্তত আগের থেকে তো বটেই। অবশ্য আগের কথা আমার বলা সাজে না। আমার জীবনের প্রথম পাসপোর্ট মা বানিয়ে এনেছিলেন। ফর্মের পাতা উল্টে বলেছিলেন, এখানে সই কর, করেছিলাম; ওখানে সই কর, করেছিলাম। ব্যস। সইয়ের আগেপরে মাকে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল খবর রাখিনি। তারপর একবার পাসপোর্ট বদলাতে হয়েছে, মাকে বগলদাবা করে নিয়ে গেছিলাম। গাদাগাদি ভিড়, ঠেলাঠেলি লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বলছিলেন, ওঁর ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং না পেয়ে ভূগোল অনার্সে ভর্তি হয়েছে। দুঃখে তিনি খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, ছেলেকে দু'বেলা "বংশের মুখ ডোবালি" বলে গঞ্জনা দিচ্ছেন। শুনে তো আমার ব্রহ্মতালু জ্বলে গেছে। ফেরার পথে একখানা এসি দোকানে ঢুকে মায়ের সঙ্গে চাউমিন খেয়ে তবে মাথা ঠাণ্ডা হয়েছিল।

অর্চিষ্মান আমার তুলনায় এক কোটি গুণ স্বনির্ভর। সে নিজেই ক্লাসমেটদের সঙ্গে মিলে গেছিল পাসপোর্ট বানাতে। এই দিল্লিতেই। পাসপোর্ট অফিসের ভেতরেই নাকি ওদের ফর্ম হারিয়ে গেছিল। মামাকাকা ধরে অবশেষে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়।

ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় সবই অনলাইন। অ্যাকাউন্ট খোলো, ফর্ম ফিলাপ কর, টাকা ফেলো, কনফার্মেশন পাও। ফর্ম হারিয়ে গেছে কিংবা ইঁদুরে খেয়ে ফেলেছে জাতীয় গপ্প আর ফাঁদার রাস্তা বন্ধ।

তাতেও কি আর ফ্যাকড়া নেই? করোনার বাজারে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খোলা আছে কি না, খোলা আছে খবর পেয়ে ওলা উবার বিহনে রেঙ্গুন ট্যাক্সি সার্ভিস থেকে গাড়ি ভাড়া করে পাঁচশো মিটার যেতে না যেতে সেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার এস এম এস পাওয়া ইত্যাদি লেগেই আছে। তার ওপর আমার আবার পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস বনাম টেম্পোরারি অ্যাড্রেসের বাড়তি ঝঞ্ঝাট। খুশওয়ান্ত সিং-এর একটা ইন্টারভিউ মায়ের পড়ে ভালো লেগেছিল বলে আমার জন্য খবরের কাগজ থেকে কেটে রেখেছিলেন, সেখানে লেখা ছিল জীবনে আনন্দে একটা প্রধান উপায় হচ্ছে নিজের মালিকানার একটি বাড়ি থাকা। আমরা অবশ্য কর্মজীবন ভাড়াবাড়িতেই কাটাব ঠিক করেছি। পাম্প খারাপ হলে আমাদের দায়িত্ব নেই, বৃষ্টিতে বাড়িতে জল ঢুকলে আমাদের মাথাব্যথা নেই, লোক্যাল গুণ্ডা তোলা তুলতে এলে আমরা সিনে নেই। কিন্তু এটাও সত্যি মাঝে মাঝে বাড়িওয়ালার বারান্দায় যখন যাই, আমগাছের ছায়ার নিচে ওই রকম একটা ছড়ানো বারান্দা, কখনওই মনে হয় না, পরের ভাড়াবাড়িটায় বারান্দাওয়ালা নেব। প্রত্যেকবার মনে হয়, যদি কোনওদিন নিজের বাড়ি/ফ্ল্যাট হয়, ঘরের জায়গা কমিয়ে খেলিয়ে বারান্দা বানাব।

পাসপোর্টের খাতিরে দু'নম্বর মার্কেটের লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে সেই আঠেরোই মার্চের পর আবার বেরোলাম। ভালো লাগছিল বেশ। মাথার ওপর পাসপোর্টের খাঁড়া না থাকলে আরও ভালো লাগত নির্ঘাত। যে মোড়টা থেকে অফিস যাওয়ার রাস্তাটা বেঁকে গেল, সেখান দিয়ে যেতে গিয়ে কেমন একটা লাগলও। দিল্লির চমৎকার রাস্তাঘাট, পায়রা, গাছ, দূরে স্টেডিয়ামের মাথা দেখতে দেখতে চললাম। ভলভো বাসের রাস্তা আটকে, ঘন ঘন অধৈর্য হর্ন অগ্রাহ্য করে চলেছে পঞ্চাশ সিসির মোপেড। সকলেই মাস্ক পরেছে, অনেকেরই নাকের ফুটো দৃশ্যমান, কারও কারও মুখ দেখা যাচ্ছে, খুব কষে গার্ড করা হচ্ছে থুতনি বা চিবুকখানা।

পাসপোর্ট অফিসের সামনে গার্ডমশাই দাঁড়িয়ে আছেন। এই ঝঞ্ঝার মধ্যে আমার আবার ফোন ভেঙে গেছে। বলেছিলাম, বিপদ যে কখন আসবে তার ঠিক নেই। অর্চিষ্মানের জীবনের প্রথম স্মার্টফোন এখনও আমাদের ড্রয়ারে রাখা আছে, সেটা আমাদের, ওয়েল আমার, মধুসূদনদাদা ফোন। হয় পিকপকেট নয় অটোয় ভুলে ফেলে নয় হাত থেকে আছাড় খেয়ে যখন বছর দেড়েক বাদে বাদে আমার ফোন পটল তোলে, তখন নতুন ফোন আসা অবধি ওই ফোনটা দিয়ে সভ্যতার সঙ্গে সংযোগ রাখি।

অ্যাপয়েন্টমেন্টের এস এম এস আমি খুলেই রেখেছিলাম, যাতে খুলতে গিয়ে "দাঁড়ান ভাইসাব" বলে বিরক্তি উৎপাদন না করতে হয়। কিন্তু এখন আবার আরেক ফ্যাচাং হয়েছে, আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে হবে, শুধু রাখলে হবে না, খুলে দেখাতে হবে। আমার পুরোন টু জি মধুসূদনদাদা ফোনে আরোগ্য সেতু ঘুরেই গেল ঘুরেই গেল, খুলল আর না। আমি ঘামতে ঘামতে, "সরি সরি" বলতে লাগলাম। গার্ড ভাইসাব ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

কে যেন বলছিল এই আরোগ্য সেতুর সঙ্গে নাকি এন আর সি-র কী একটা চোরে চোরে মাসতুতো ভাই সম্পর্ক আছে। কোনও বিষয়ের গভীরে ঢোকা আমার ধাতে নেই, চেপে ধরলে কী সম্পর্ক, কেন সম্পর্ক বলতে পারব না, দয়া করে চেপে ধরবেন না। আমি এন আর সি-র ঘোরতর বিপক্ষে; এই বুড়ো বয়সে এসে দু'নম্বর মার্কেটে প্রথম গেছিলাম প্রতিবাদ জমায়েতে যোগ দিতে। অর্চিষ্মান অফিস থেকে ফিরে বলল ওর নাকি যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছে, কিন্তু একা একা যাওয়ার ভয়ানক অনিচ্ছে। আমি 'পড়েছি যবনের হাতে...' বিড়বিড় করতে করতে চটি গলিয়ে রওনা দিলাম। আমার ধারণা ছিল যে জমায়েতে সব বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ে যাবে, তার মধ্যে আমিই একা পাকাচুল নিয় বকযথা হয়ে থাকব। গিয়ে দেখলাম যদিও বক্তৃতা দিচ্ছে বাচ্চারা, স্লোগান দিচ্ছে বাচ্চারা কিন্তু আমার মতো পাকাচুলরাও ধুয়ো তুলছেন। সেই যে ওরছায় দুটো মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, একজনের সঙ্গে আবার বিশ্ববিদ্যালয়তুতো সম্পর্কও বেরিয়ে গেছিল, সেও দেখি এসেছে। ওই আবছা অন্ধকারেও একে অপরকে চিনতে পেরে হাত নাড়লাম। সেই জমায়েত থেকে জোগাড় হওয়া মোমবাতি এখনও আছে। যেদিন করোনানিবারণী দীপ-প্রজ্বলন প্রকল্প হল আর বাড়িওয়ালা এসে হুমকি দিয়ে গেলেন যে মোমবাতি জ্বালালে ক্ষতি নেই, না জ্বালালে দেশদ্রোহী, সেদিন মোমবাতি খুঁজতে বেরিয়ে ওই মোমবাতি হাতে এসেছিল। ভাবুন ভাগ্যের রসিকতা। এন সি এ - সি এ এ বিরোধী জমায়তের মোমবাতি দিয়ে নাকি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে করোনা তাড়াব। মোমবাতি যথাস্থানে রেখে এসে বললাম, মোমবাতি নেই। বাবা কাকা বললেন, আরে ধুর, মোমবাতি লাগবে কীসে। আমরা ন'মিনিট মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে শুয়ে থাকব'খন।

পাসপোর্ট অফিসের ভেতর বলার মতো কিছু হয়নি। সেখানে আবার ভয়ানক কড়াকড়ি। সবাই নাকমুখ ঢেকে মাস্ক এঁটে বসে আছে। একজন উঠতে না উঠতে উর্দিপরা কর্মচারীরা এসে ব্র্যান্ডেড ডিসইনফেকট্যান্ট বুলিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে একবার একজন, "ইসকা থোড়া জলদি কর দে না," বলে একটা নিরীহদর্শন মেয়েকে লাইন ভেঙে আমার আগে ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন। তারপর বেরোলো আমার অ্যাড্রেস প্রুফে অর্থাৎ ব্যাংকের পাসবুকে, যা আমি আগের গোটা সপ্তাহ ধরে মাস্ক এবং গ্লাভস পরে চুয়াল্লিশ ডিগ্রিতে দুপুর রোদে দৌড়ে জোগাড় করেছি, তাতে ছবি নেই। সে সব বন্ধুরতা কাটিয়ে কাউন্টারে উপস্থিত হলাম। তিনি আমার ফর্ম স্ক্রোল করে ওপর নিচে পরীক্ষানিরীক্ষা করে বললেন, "ইয়ে সব কেয়া হ্যায়? আপ অব হাজব্যান্ড কা নেম অ্যাড কর রহে হো?"

আমি বললাম, আমি কিছু অ্যাডম্যাড করছি না। ফর্মে নাম জিজ্ঞাসা করেছিল তাই লিখেছি।

তিনি বললেন, আগের বারে পাসপোর্টে করাওনি কেন

আমি বললাম, কারণ আগের পাসপোর্ট যখন ইস্যু হয়েছিল আমার তখন হাজব্যান্ড ছিল না।

আপ টু থাউজ্যান্ড টেন মে ম্যারেড নেহি থে? বলে সে আমার দিকে মুখ অল্প হাঁ করে তাকিয়ে রইল।

অর্চিষ্মান পেট চেপে ধরে এপাশ ওপাশ দুলে দুলে হাসল।

আমি অবশ্য হাসিনি। মানে অর্চিষ্মানের সঙ্গে হেসেছি, তখন হাসিনি। ও সব জায়গায় গেলে একটাই অনুভূতি বা আবেগ আমার কাজ করে, তা হল আতংক। এই বুঝি বলে বসল, আপনার তো এই ডকুমেন্টটা নেই। আমি একবারও এমন কোনও অফিসে যাইনি যেখানে একবারে সব ডকুমেন্ট আমার কাছে ছিল। দোষ সর্বদা অফিসেরও নয়। এই যেমন পাসপোর্টের অফিসে গিয়ে যাবতীয় যা যা অরিজিন্যাল এবং জেরক্স দেওয়ার দিয়েছি, মায় মাধ্যমিকের সার্টিফিকেটের অরিজিন্যাল এবং জেরক্স পর্যন্ত। মাধ্যমিকের পরেও খেটেখুটে কত পাস দিলাম, সে সবের কোনও গুরুত্বই নেই। তারপর যেই না আধার কার্ডের জেরক্স চেয়েছে, পাওয়া গেল না। অথচ আমি তার আগের দিন সন্ধেবেলা প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে বিশ্বশুদ্ধুর জেরক্স করিয়ে এনেছি। তার মধ্যে আধার কার্ড ছিল না এ অসম্ভব। যাই হোক, এখন কাস্টমার-ফ্রেন্ডলি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে সবেরই ব্যবস্থা আছে, পাঁচটাকা ছাড়লেই হাসিমুখে জেরক্স বার হয়ে যাবে। হয়েও গেল<

আমার কাকুর একটা নীল ব্যাগ আছে, আড়ে দেড়, বহরে এক বিঘৎ। ব্যাগটার ভেতর ওঁর যাবতীয় নথিপত্রের জেরক্স কপি আছে। বার্থ সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে লাস্ট মাসের ফিক্সড ডিপোজিটের রসিদ পর্যন্ত। ব্যাগটা ছাড়া কাকু বাড়ির গেটের বাইরে পা রাখেন না। কাকু বলেন, ব্যাংকে, পোস্টঅফিসে, গ্যাসের কানেকশন আর ইলেক্ট্রিকের অফিসে, থানায় -- যেখানেই, যে উদ্দেশ্যেই কাকু যান না কেন, বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই টেবিলের উল্টোদিকে বসা কর্তৃপক্ষ একটা ফর্ম ফস করে ছিঁড়ে কাকুর দিয়ে ছুঁড়ে দিয়ে, "কাল আধার, প্যান ভোটার আই ডি রেশন কার্ডের জেরক্স নিয়ে আসবেন, ও সব ছাড়া কিছু হবে না," বলে আর দ্বিতীয়বার কাকুর দিকে দৃকপাত না করে চেয়ারে পিঠ এলিয়ে ফোনের স্ক্রিনে খুটখুট করতে শুরু করেন।

অমনি কাকু তাঁর ফাটোফাটো নীল ব্যাগখানা বার করেন। বিনয়ে গলে গিয়ে বলেন, "সব আজকেই সঙ্গে আছে স্যার। তবুও কি কাল আসতে হবে?"

বলা মাত্র উল্টোদিকের লোকটার যা ভাব পরিবর্তন হয়, এলানো শিরদাঁড়ার সোজা হওয়া থেকে, দীর্ঘসূত্রতার আরাম উবে যাওয়া থেকে এখনের কাজ এখন করতে হওয়ার আতংকের ধীর পায়ে নেমে আসা, কাকু বলেন, শুধু সেই দেখার জন্য কাকুর ব্যাগ বয়ে বেড়ানোর পরিশ্রম সার্থক।


Comments

  1. পাসপোর্টের ডেলিভারি আরেক ঝঞ্ঝাট। বাড়িতে বসে থাকতে হবে, আইডি হাতে করে। আমাদের যথারীতি না পেয়ে পোস্টম্যান ফিরে গেছে। তারপর পোস্ট অফিসে লাইন দিয়ে জানলাম, অন্য পোস্ট অফিসে যেতে হবে। আবার দৌড়ে দৌড়ে বন্ধ হবার ঠিক আগে সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট উদ্ধার হলো।

    এরকম একটা নীল ব্যাগের ব্যবস্থা না করতে পারলে জীবন বৃথা।
    সন্ধ্যেটা হবার অপেক্ষা। মাস্ক পরে বেরিয়ে সব জেরক্স করিয়ে এনে তবে শান্ত হবো ভাবছি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি, আমারও নীল ব্যাগের আশু প্রয়োজন। পাসপোর্টের জায়গায় ক্রেডিট কার্ডের পিছু ধাওয়া করে পোস্টঅফিস পোস্টঅফিস আমরাও দৌড়েছি। ওর থেকে সাত হাত মাটি কাটা সোজা।

      Delete
  2. "2010 aap married nehi the" Archisman er moto amio hese cholechhi.

    Amar meyer oci korate giye o eki atonko tara korechhilo. Indian Consulate jeno Bose thake applications batil korar jonyo. Amar husband line e dariye dekhlo ager dujon k ferot pathiye dilo, bhoy bhoy e counter e jete sob check kore bollo " aapki wife ne surname Kiu change nahin kiya"? Unko boliye change karne ke liye ".

    Tomar kaku r kothay mone holo tomader barir sobai khub gochhano, ja kichhu hok chokh buje khuje deben.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার কাকু একেবারেই গোছানো নন, পাপিয়া। ওঁর ওই ব্যাগের সিদ্ধান্তটা বিশুদ্ধ প্রতিহিংসা থেকে নেওয়া। বাড়িতে গোছানো লোক আরও আছেন, তাঁরা আবার এতই গোছানো যে কাজের সময় কিছুই খুঁজে পান না এবং অন্যে এসে তাঁদের গোছানো সাম্রাজ্য অগোছালো করে দিয়ে গেছে সেই অভিযোগ তোলেন। অন্যে খুঁজতে শুরু করার পর অবশ্য হারানো আইটেম, তাঁর গোছানো সাম্রাজ্য থেকেই উদ্ধার হয়।

      সিরিয়াসলি, আমার বিয়ের সময় নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের ছেলেটার কন্সার্ন আমাকে ছুঁয়ে গেছে।

      Delete
  3. "যেদিন করোনানিবারণী দীপ-প্রজ্বলন প্রকল্প হল আর বাড়িওয়ালা এসে হুমকি দিয়ে গেলেন যে মোমবাতি জ্বালালে ক্ষতি নেই, না জ্বালালে দেশদ্রোহী, সেদিন মোমবাতি খুঁজতে বেরিয়ে ওই মোমবাতি হাতে এসেছিল। ভাবুন ভাগ্যের রসিকতা। এন সি এ - সি এ এ বিরোধী জমায়তের মোমবাতি দিয়ে নাকি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে করোনা তাড়াব।" <3

    ReplyDelete
  4. Amar porei ki rokom peter modhye atonko hoche. Ektu o maathay asche na kothay rekhechi kon document, driver license ar passport chhara kichu mone asche na :-(

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা,সব দরকারেরে সময় বেরিয়ে পড়বে বং মম, বিন্দুমাত্র চিন্তা করবেন না।

      Delete
  5. বলা মাত্র উল্টোদিকের লোকটার যা ভাব পরিবর্তন হয়, — হা হা হা হা ... এটা অসাধারন উপায়..

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি, বৈশালী।

      Delete

Post a Comment