ভালো ভাড়াটে
সেদিন একটা অদ্ভুত জায়গায় একটা অদ্ভুত মেসেজ পেলাম।
আমাকে কেউ মেসেজ করে না। সেই সত্যিটাকে আমি স্পিন করেছি এই বলে যে আমিই আসলে সব মেসেজের নাগালের বাইরে। করে, মেসেজ চালাচালির যাবতীয় রুট থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছি। শুধু একটি ছাড়া। যেটা আপাত প্রফেশনাল এবং আদ্যন্ত ইউজলেস। চাকরি আর পদমর্যাদা দিয়ে একে অপরের দাম মাপামাপি ছাড়া ওখানে কেউ কাউকে ঘাঁটায় না।
অন্তত সে রকমটাই আশ্বাস ছিল আগের সপ্তাহ পর্যন্ত।
অথচ আগের সপ্তাহে সেই নিরাপদ মাধ্যমে যখন একটি মেসেজ এসে আমাকে ঘাঁটালো, মেসেজ এবং প্রেরকের পরিচয়জনিত বিস্ময় ঘাঁটিত হওয়ার বিরক্তিকে কয়েকগুণে ছাপিয়ে গেল।
প্রেরক আমার এক পুরোনো বাড়িওয়ালা। সি আর পার্কেরই। অন্য ব্লকের। বাজারে মাঝেসাঝে দেখাও হয়। বা উপক্রম হয়। দুজনের মধ্যে একমাত্র আমার চশমা (তাও হাস্যকর রকমের হাই পাওয়ারের) থাকা সত্ত্বেও দশবারের মধ্যে ন’বারই আমি আগে ওঁকে দেখে ফেলে গলি বদলাতে সক্ষম হই। একবার দাদুর বিজনেস কনগ্লোমারেটের চাউমিন শাখার সামনে ধরা পড়ে গিয়েছিলাম।
চাউমিনের দোকানের সামনে অ্যালার্টনেস আগেও টাল খেয়েছে। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং কারণ দাদুর বিবিধ সম্ভারের সবকিছুরই আমি ভোক্তা, চপ থেকে রোল থেকে পাটিসাপটা থেকে সিঙাড়া। লাস্টে বললেও সিঙাড়া আমার অন্যতম প্রিয় কুখাদ্য। সি আর পার্কের সিঙাড়ার স্বাদের বাঙালিত্ব নিয়ে বাজি লড়ছি না, কিন্তু সাইজে এ সিঙাড়া সম্পূর্ণ উত্তর ভারতীয়। একটা খেয়ে জল খেয়ে নিলে নেক্সট ষোল ঘণ্টার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর সাফল্য গ্যারান্টিড। তবু আমি দাদুর দোকানের সিঙাড়া এড়িয়ে চলি কারণ অন্নপূর্ণা। অন্নপূর্ণা দাদুর লাগোয়া মিষ্টির দোকান। দুই প্রতিবেশীর একমাত্র কমন আইটেম সিঙাড়া এবং অন্নপূর্ণারটা ফার বেটার, আমার মতে। দাদুর দোকানের সিঙাড়া-ওপচানো ঝুড়ির সামনে দাঁড়িয়ে চপ প্যাক করতে বলে গলা বাড়িয়ে পাশের অন্নপূর্ণার ছেলেটাকে সিঙাড়া প্যাক করতে বলার থেকে ব্যাডঅ্যাসনেস আমি জীবনে কম দেখাতে পেরেছি।
সেই দাদুর দোকানের চাউমিন আমি একবারের পর খেতে পারিনি। নিজেরই ভুলে। প্যাক হবে কি না-র উত্তরে ওপর নিচে ঘাড় নেড়েছিলাম। বাজারের সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল, চাউমিন প্যাক করিয়ে বাড়ি গিয়ে, হাত ধুয়ে, জামা ছেড়ে, চা বানিয়ে, ন্যাতা টিশার্ট পাজামা পরে, চায়ের কাপ নিয়ে, হইচই খুলে টিভিতে একেনবাবু কাস্ট করে, চাউমিনের প্যাকেট খুলে থালায় ঢেলে খাটে হেলান দিয়ে বসতে খুব বাড়িয়ে ধরলে পনেরো মিনিট।
যেখানে ডেডলাইন সাড়ে তিন মিনিটের। কড়াই থেকে নামার সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যে খাওয়া শুরু করা নয়, সাড়ে তিন মিনিট জিনিসটাকে পেটের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলার। তিন মিনিট একত্রিশ সেকেন্ড থেকে ওটা আর চাউমিন থাকবে না। সয়াসস, কুমড়ো-কেচাপ এবং পোড়া তেল জবজবে একথালা গার্ডারে পরিণত হবে।
তবু চাউমিনের দোকানের সামনে ধরা পড়ে যাই বারবার। গনগনে আগুনের ওপর বিরাট কড়াই, বিরাট হাতার যুগলবন্দীতে গাজর ক্যাপসিকাম নাচে, চাউমিন লাফায়, রংবেরঙের শিশি থেকে রহস্যময় তরলেরা ধোঁয়ার সমুদ্রে ঝাঁপায়। চপ, রোল, সিঙাড়া খেতে খেতে হাঁ করে দেখি আর প্রাক্তন বাড়িওয়ালারা আমাকে খপ করে ধরে ফেলেন।
মেসেজে সম্বোধন ও কুশলবিনিময়ের পর বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন যে ওঁর বাড়ির যে অংশে আমি ভাড়া থাকতাম এবং প্রায় তিন বছর হল যে অংশে আমি আর ভাড়া থাকি না, খালি হয়েছে। আমি যেন পত্রপাঠ বর্তমান বাড়ির পাট চুকিয়ে ওঁর বাড়ির উক্ত অংশে শিফট করে যাই। পাছে ভাষাজনিত কোনওরকম কনফিউশন থেকে যায়, ইংরিজি মেসেজের শেষে জুড়ে দিয়েছেন, Chole eso!
আধমিনিট লাগল হাঁ বন্ধ করতে। অকারণেই। সমগ্র মানুষ প্রজাতির এই একটিমাত্র সাব-প্রজাতি, বাড়িওয়ালা, আমাকে জীবনে কখনও রিজেক্ট করেনি। শুধু বাঙালি নয়। অবাঙালি, অভারতীয়, লম্বা, বেঁটে, মোটা, কালো, ফর্সা - সমস্ত ভ্যারাইটির বাড়িওয়ালা আমার দিকে একবার দৃষ্টিপাত করেছেন এবং ভাড়াটে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অন্তে যাওয়ার সময় হলে কারও কারও মুখ ম্লান পর্যন্ত হয়েছে।
তা বলে অন্য বাড়িওয়ালার থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা?
এমন নয় যে বাকি ভাড়াটেদের সঙ্গেও সে সব বাড়িওয়ালারা সমান ভালোমানুষি প্র্যাকটিস করেছেন। মেসেজকারী বাড়িওয়ালাই উদাহরণ। এঁর বাড়িতে ছিলাম পাঁচ বছর। অন্য বাড়িওয়ালাদের নিরিখে হয়তো এই সময়কাল স্বাভাবিক, কিন্তু এঁর ভাড়াটে টার্নওভার রেট হাই। এক থেকে দেড় বছরের মাথায় মাথায় বাড়ির সামনে ভটচাজের টেম্পো হাজিরা দিত। ওপর এবং নিচের তলা থেকে নিয়মিত ভাড়াটে বাড়িওয়ালার উত্তেজিত কথোপকথন কানে আসত। ডেসিবেলের তারতম্যে বুঝতাম ভটচাজের টেম্পো আগমনের লগ্ন ঘনিয়েছে নাকি।
আমার সঙ্গে, বলাই বাহুল্য, কোনওরকম উত্তপ্ত কথোপকথন ঘটেনি পাঁচবছরে। আমি এঁর বাড়ি ছেড়েছিলাম অন্য কারণে। এগারো মাস পর পর দশ শতাংশ ভাড়া বাড়ার শর্তে পাঁচ বছর পর ভাড়া, বাড়ির তুলনায় অযৌক্তিক মাত্রায় উঠেছিল।
কফি খেতে খেতে মনে পড়ল বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর একটা খিঁচ আমার সঙ্গেও লেগেছিল বটে। ফিনানশিয়াল বছর শেষ হওয়ার সিজন ছিল। নতুন অ্যাকাউন্ট্যান্টের ইমেলে দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা ছিল, এ বছর থেকে রেন্টের রিইমবার্সমেন্ট পেতে গেলে এমপ্লয়ি হ্যান্ডবুকে যা যা ডকুমেন্টসের লিস্ট - যা ওঁর পূর্বতন অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সুদেশজী, সদাহাস্যময়, কান খাড়া না করলে কী বলছেন শোনা যেত না) খুঁটিয়ে মেলাতেন না, রিসিটে বাড়িওয়ালার সই দেখেই ছেড়ে দিতেন - সব লাগবে। মাৎস্যন্যায় শেষ। টাইম টু গেট অফিশিয়াল, বেবি। সে খবর নরমভাবে বাড়িওয়ালাকে দিতে তিনিও দ্ব্যর্থহীন জানিয়েছিলেন কোনওরকম ডকুমেন্ট তিনি দেবেন না। বারোমাসের বাড়িভাড়ার রিইমবার্সমেন্ট হাতছাড়া হয়েছিল। মরেই তো যাব, রিইমবার্সমেন্ট নিয়ে আকচাআকচি করে কী হবে ভেবে ভটচাজের টেম্পোতে উঠে বসেছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যে মাথা থেকে বেরিয়েও গিয়েছিল ব্যাপারটা।
মেসেজটা ভাবালো। নিজের সাড়ে সতেরশো আইডেন্টিটি এবং সে সব আইডেন্টিটি পালনে পারফরম্যান্স নিয়ে জর্জরিত থাকি, অথচ নিজের ভাড়াটেত্ব নিয়ে ভাবনা খরচ করি না কখনওই। কোনওদিন ভাড়াটে হতে চাইনি। ভাড়াটে হওয়া এড়াতে সক্রিয় চেষ্টাচরিত্র করেছি তাও নয়। আমি যে কখনও ভাড়াটে হতে পারি সেই সম্ভাবনাটাই মাথায় আসেনি। এ না আসা থেকে প্রিভিলেজের গন্ধ ছাড়ছে জানি। প্রিভিলেজের ধর্ম মেনে এ অনুভুতির সঙ্গেও কোনওরকম পারা না-পারা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা অপ্রতিষ্ঠা, সৌভাগ্য দুর্ভাগ্যের সংযোগ আমি ঘটাইনি কখনও। দু’ হাতে পাঁচ পাঁচ দশ আঙুল থাকার মতোই প্রত্যাশিত ধরে নিয়েছি। না-ই থাকতে পারত, পৃথিবীতে অনেকের থাকে না। কিন্তু দশটা আঙুল থেকে আমার যে বিস্তর সুবিধে হয়েছে, নিজেকে মনে করাইনি কখনও।
হতে পারে এ অসংশয়তা আমার উদবাস্তু পরিচয়ের প্রাজন্মিক উত্তরাধিকার। বাড়ির মালিকানার আকাঙ্ক্ষা ডি এন এ-তে ঢুকে গেছে। দুই, আমরা কী হব না হব, হতে পারি না পারি সেটার অনেকটাই নির্ভর করে চারপাশের লোকদের কী হতে দেখছি, দেখেছি তার ওপর। জন্মে থেকে দেখেছি লোকে নিজের বাড়িতে থাকে। আমরা থাকি, পাড়ার সবাই থাকে। ফ্ল্যাটও না। বাড়ি। নিজের বাড়ি। সে বাড়ি কেমন দেখতে, কী দিয়ে বানানো, কত ছড়ানো, কত উঁচু, ইমমেটেরিয়াল। ছাদ থাকে নিজস্ব, ছাদে ওঠার সিঁড়ি থাকুক না থাকুক। মাটি থাকে। মাটি থেকে গাছেরা উঠে আকাশের দিকে ধায়।
ঘুরলাম, ফিরলাম, চা খেলাম, জুম করলাম, ঘুমোলাম, উঠলাম, কফি খেলাম, কাঁদলাম, হাসলাম আর খেয়াল করলাম, ভালো ভাড়াটে হওয়ার এমন চোখে আঙুল দেওয়া প্রমাণও আমার ভেতরে ওয়ার্ম ফাজি ফিলিং জাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
প্রশংসায় খুশি হতে না পারার অভিজ্ঞতা আগেও ঘটেছে। অন্যের ভ্যালিডেশনকে গুরুত্ব না দেওয়ার মতো যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিজের ভেতর জড়ো করে ফেলেছি বলে নয়। কিছু কিছু প্রশংসা শুনতে প্রশংসার মতো হলেও আসলে খুশি হওয়ার নয় এটা জেনেছি বলে। অনেকদিন ধরে জানি। জানার মুহূর্তটা মনে আছে। স্কুল ছাড়ার বছর দশেক পর। কেন ভুলে গেছি, মায়ের সঙ্গে এক দিদিভাইয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। অনেকে স্কুল থেকে বেরিয়ে স্কুলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি করিনি। কারণ স্কুলে আমি "সফল" ছিলাম। "ব্যর্থ" হতে শুরু করার পর বারবার ওই "সাফল্যের" কাছে ফেরত যাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে। ইচ্ছে থেমেছে যেদিন থেকে ওই সাফল্যের চরিত্রটা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সেই চিহ্নিত করতে পারার অন্যতম গোড়ার মুহূর্ত এই ঘটনাটা।
খুব আদর করে নানারকম ভালো ভালো জিনিস খাইয়েদাইয়ে আমার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক আশীর্বাদ আর ভালোচাওয়া জানিয়ে দিদিভাই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন। মাকে বলেছিলেন, এত ভালো মেয়ে আপনার, এত বাধ্য, শান্ত, ভদ্র, কোনও বেচাল নেই, মুখে মুখে কথা বলে না, গুরুজনদের সব কথা মেনে চলে।
অনুসন্ধিৎসা না, জ্ঞানপিপাসা না, সহমর্মিতা না, প্রতিকূলতাকে জয়ের সাহস না। জীবনযুদ্ধে আমার তূণের তীর বাধ্যতা, ভদ্রতা, যে কোনও মূল্যে সংঘাত এড়ানো এবং অথরিটির সামনে প্রতিরোধহীনতা। বেসিক্যালি ভালো ভাড়াটে হতে যা যা লাগে। এমন ভালো যে গোলমেলে বাড়িওয়ালারা সামাজিক মাধ্যমে খুঁজেপেতে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব পাঠায়।
স্ক্রিনের মধ্যে দিয়ে যতখানি পৌঁছে দেওয়া যায় গলবস্ত্রতায় উত্তর লিখলাম। ওঁর প্রস্তাব পেয়ে আমি খুবই খুশি, কিন্তু এ বাড়ির কন্ট্র্যাক্ট সবে রিনিউ হয়েছে। (সত্যিই হয়েছে। আর ট্র্যাক রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে আমার বর্তমান বাড়িওয়ালার সঙ্গেও আমার হৃদ্যতা অপরিসীম। বাড়িওয়ালার মা থাকাকালীন আমি এ বাড়িতে ভাড়া এসেছিলাম। ঝমঝম বৃষ্টি হচ্ছিল, এজেন্ট ছাতা গোটাতে গোটাতে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে সতর্ক করছিলেন। মাসিমা স্লাইট মেজাজি, বোঝেনই তো, বয়স্ক মানুষ। আপনার কিছু বলার দরকার নেই, আমার ওপর ছেড়ে দেন। দিয়েছিলাম। সি আর পার্কের বাড়িভাড়া ইউনিভার্সে আমার এবং মাসিমার কুষ্ঠির পারফেক্ট ফিট প্রমাণ করতে এজেন্ট স্রোতের মতো কথা বলছিলেন, পাঁচমিনিটের মাথায় সে স্রোত থামিয়ে এজেন্টকে বাইপাস করে সোজা আমার দিকে তাকিয়ে মাসিমা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কবে আসতে পারবে? পরে এদিকওদিক থেকে কানে এসেছিল মাসিমা বলেছেন, ওঁর ভাড়াটেভাগ্যের দীর্ঘ দুঃসময় অবশেষে কেটেছে।) কাজেই এক্ষুনি শিফট করা অসম্ভব। কী আর করব, আমারই কপাল খারাপ। কিন্তু মেল লেখা শেষ করেই আমি সবাইকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করছি কার কার বাড়ি দরকার এবং অ্যাসাপ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছি।
উত্তর এল। ভাড়াটে জোগাড় করে দেওয়ার প্রস্তাবে থ্যাংক ইউ, কিন্তু আমি শিফট করতে পারলেই বেস্ট হত। কারেন্ট কন্ট্র্যাক্টের আবর্তন ফুরোলে যেন অবশ্যই ওঁর বাড়ির কথা মাথায় রাখি। আর হ্যাঁ, ওই যে ডকুমেন্টটার কথা হয়েছিল আগের বার, ওটার স্ক্যানটা উনি রেডি করে রেখেছেন, ওঁর বাড়িতে নেক্সটবার পা রাখা মাত্র চাবির সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ডওভার করে দেবেন।
মুচকি হাসিটা আটকাতে পারিনি। এটাকেই কি সুইট রিভেঞ্জ বলে? উদযাপনের জন্য চা নিতে উঠেছিলাম। কাপ হাতে জানালার দিকে তাকিয়ে কী ভেবেছিলাম এখনও মনে আছে। রিভেঞ্জ সুইটই হোক, সাওয়ারই হোক কি বিটারের একশা, কী এসে যায়। মরেই তো যাব।
লেখার শেষটার দিকে বেশ কতক্ষন তাকিয়ে থেকে, আকাশ কুসুম একটু ভেবে, মনে মনে 100% এগ্রিমেন্ট জানিয়ে, ঘনিয়ে আশা philo মুডকে ফাইনালি বাই-বাই বলে, বাকিটা বলি।
ReplyDeleteএক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে, সেই দোকানে থাকা জিনিস পাশের দোকানে হাঁকিয়ে অর্ডার করাটা সত্যিই এলেমের বেপার। আমি নিজে তো অস্বস্তি এড়াতে পারবো না। ব্রাউনি পয়েন্টস আপনার জন্যে!
ভাড়াটে পোচিং বেপারটা আগে কখনো শুনিনি - ট্রেইলব্লেজিং করে ফেললেন তো এটায়! যদি ভাড়াটে পদ থেকে কখনো প্রত্যাখ্যাত হই, তাহলে এখন আমি জানি কোথা থেকে টিপস পাওয়া যাবে।
আর, ইয়ে, একটা কথা - আমার চেনা একজন বাঙ্গালোরে ভাড়াটে খুঁজছে .............
ব্যাংগালোর একটু দূর হয়ে যাবে এই মুহূর্তে আমার পক্ষে। ও শহরে চেনা লোকও নেই যে রেফার করব। কাজেই, কাজে লাগতে পারলাম না।
Deleteআমিও পারি না অস্বস্তি এড়াতে, রাজর্ষি। দশ বছর পার করার পর, পাড়ার পুরোনো পাপী হওয়ার পাস নিয়ে এটা করি (তাও এক দু'বারই করেছি)। আপনার অস্বস্তি হবে জেনে খুশি হলাম। না হলেই সন্দেহজনক।
ভাড়াটে হওয়ার টিপস আমার থেকে খবরদার নেবেন না। ভাড়াটে পদ থেকে প্রত্যাখ্যাত হলে সেটাই করবেন যেটা যে কোনও প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রেই করা উচিত। তুই আমাকে প্রত্যাখ্যান করার কে, এই নে আমি তোকে প্রত্যাখ্যান করলাম, বলে উল্টোদিকে ফিরে গটগটিয়ে চলে আসবেন।
Aager din message post hocchilo na.. dekhi, eta post hole tarpor aabaar comment korbo
ReplyDeleteDaarun laglo lekhata poRe.. aamaaro bohu obhigyota bhaRa thakar,, beshir bhag e modhur noy.. ebong aamaar sathe lokjon khubi protibadi howay bhalo somporko onek somoyei thakeni.. aapni je erokom model bhaRate, eta bhalo byapar.. jhamela kora ekta aaro jhamela. :)
Delete"nice", "bhalomanush", "paavam" howar compliment (very annoying to me) aamio peyechi kichu. School e noy, school e aami dushtu chilam. Pore confidence hariye shanto hoyechi..
bhalo thakben.. Aaro onek chop, singara khaan. Aami ektu lobh dicchi oboshyo.. :)
Indrani
ওই "নাইস" টাইপ প্রশংসাগুলো শুনলে ডিপ্রেসড লাগে আমার আজকাল, ইন্দ্রাণী, সিরিয়াসলি। কারণ আমি আসলে নাইস নই। আমি হচ্ছি কনফ্রন্টেশন অ্যাভয়েড করা পাবলিক। নাইসের সঙ্গে ও জিনিসের দিল্লিবম্বের সম্পর্ক নেই।
Deleteযাকগে মরুকগে, এখন আর পালটানো যাবে না নিজেকে। অনেক পরিশ্রম। চপ শিঙাড়া খেতে তো ইচ্ছে করে, কিন্তু আবার ইদানীং বেশিদিন বাঁচার ইচ্ছেও হচ্ছে। দুটো ইচ্ছে কন্ট্র্যাডিকটরি বলছে অনেকেই। মহা ঝামেলা।
এত ভালো ভাড়াটে যে বাড়িওয়ালা ডেকে ডেকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে? সত্যি অসাধারণ ভাড়াটে তুমি ! তুমিও বাড়িওয়ালাদের রেট করছো তো?
ReplyDeleteঅমিতা
কদিন আগে শ্রীরামপুর চন্দননগর যাবার পথে তোমার রিষড়া পড়লো পথে, তোমার কথা মনে হচ্ছিলো - অমিতা
ReplyDeleteআরে তাই নাকি, অমিতা? আমার অনেকদিন বাড়ি যাওয়া হয়নি। দেখি কবে হয়। বাড়িওয়ালাদের আমার রেটিং-এর দরকার নেই। এমনিই বাজার গরম।
Deleteতুমি বেশ জুতসই একখান জবাব দিয়ে না বললে হেব্বি আনন্দ পেতাম।
ReplyDeleteচপ শিঙারা চাউমিনে আজকাল খুব কন্ট্রোল চলছে, বেশীদিন বাঁচার ইচ্ছে আছে তা না, কিন্তু যদ্দিন বাঁচি সুস্থ ভাবে বাঁচি, এমনিই আমি একটু অসুস্থ হলেই যা ঘ্যানঘ্যান করি বেশী অসুস্থ হলে কী হবে ভেবে অন্যদের প্রতি মায়া হয়! তবে ওই আর কি কন্ট্রোল মানে সপ্তাহে সাতদিনের বদলে পাঁচদিন হচ্ছে!
-প্রদীপ্ত
হ্যাঁ হ্যাঁ, বেশিদিন বাঁচা খুবই ভালো ব্যাপার, প্রদীপ্ত। আমার বয়সে এসে আরও বেশি টের পাবে। এত আনন্দ আরাম ঝামেলা ঝঞ্ঝাট, মরে গেলে সব ফুস। মরা যাবে না।
DeleteBaah besh bhalo laglo. Mishti revenge niyechhen!!
ReplyDeleteChowmin bananor byaparta ebong khaoar byapartai ekmot.
চাউমিন বানাতে দেখতে কী ভালো লাগে না, সুস্মিতা? অবশ্য ভেবে দেখছি স্ট্রিট ফুড সবই বানাতে দেখতে ভালো লাগে। কেমন সুন্দর রোল পাকায়, কুলচা সেঁকে। দাদুর দোকানের কড়াইতে যখন মিনিমাম পঞ্চাশটা শিঙাড়া গরম তেলে দোল খায়, খেতে যেমনই হোক, দেখতে মেসমেরাইজিং।
DeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteC R park e ek ghonta r jonne dhnu mere elam Kuntala. Raju phuchka wala r phuchka ar ekta jhalmuri manage korte perechi.
ReplyDeleteKhub icche chilo tomake jiggesh korbo ar kothaye ki khawa jaye ... porer baar, haate shomoye niye. :-)
আরররেএএএএএ, আমাদের পাড়ায়? সরি আগে উত্তর দিতে পারিনি, শর্মিলা, ছিলাম না। রাজুর ফুচকা খেয়েছ যখন, সি আর পার্কের আত্মা দর্শন করে ফেলেছ। পরের বার সময় নিয়ে এলে নিশ্চয় বোলো। আরও কিছু সর্দারি ফলানোর চেষ্টা করব।
Deleteonekdin comment korte parchi na
ReplyDeleteAt last hoyeche, post gulo porechi kintu koyek mas keno ke jane comment post hocchilo na. jai hok eta khub e unique , priyo bharate ke onyo bari theke deke ana .. :-):-)
Deleteইউনিক কি না বল, ঊর্মি?
Deleteascharya kando
ReplyDelete🙂
Deleteআমি জাস্ট অবাক হয়ে যাই যে, আপনি অতি সাধারণ জিনিসগুলোকে এতো অসাধারণ ডিটেইলে, এতো সুখপাঠ্য করে লেখেন কী করে! ২০১৫ থেকে অবান্তর ফলো করছি। তখন থেকে এখন, এই একই প্রতিক্রিয়া!
ReplyDeleteআরে, থ্যাংক ইউ। অবান্তরের সঙ্গে এত পুরোনো পরিচয় মেন্টেন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সত্যি খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে।
Delete