মায়ের রিইউনিয়ন
মুখোমুখি কথা বলার
থেকে ফোনে কথা বলার একটা সুবিধে হচ্ছে অনৃতভাষণ ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশেষ
করে মোবাইলে। সেদিন নেহেরু প্লেস থেকে অটো চড়ে বাড়ির দিকে
আসছি, রাত ন’টার পরে ফাঁকা রাস্তায় অটো পক্ষীরাজের মতো ছুটছে। এমন সময় ভাইসাবের
ফোন বাজল। ভাইসাব গতি কমিয়ে পকেট থেকে ফোন বার করে নম্বরের দিকে তাকিয়ে যে মুখভঙ্গিটা
করলেন সেটা ফোনের স্ক্রিনে বসের নাম ফুটে উঠতে দেখলে আমিও করি। তার পর ফোন তুলে
গলায় পঞ্চাশ শতাংশ অনুতাপ, চল্লিশ শতাংশ হতাশা,
আট শতাংশ নিরুপায় ভাব আর প্রায় ধরাই যায় না এমন দু’শতাংশ “কেমন দিলুম” ভাব
মিশিয়ে বললেন, “আরে সারজী, অব তো আ নহি পাউঙ্গা, অব তো ম্যায় সফদরজং এনক্লেভ মে
জাম মে ফঁসা হু, কিতনা জ্যাম, বাপ রে বাপ রে বাপ, কাল মিলুঙ্গা জরুর, মা কসম।” এই
না বলে ফোন কেটে দিয়ে গোঁওওওও করে স্পিড বাড়িয়ে ফ্লাইওভারের নিচের লাল সিগন্যাল অম্লানবদনে
পেরিয়ে এলেন।
আবার অসুবিধেও আছে। সুবিধের
থেকে অন্তত একশো গুণ বেশি। প্রথম অসুবিধেটার ওপরের সুবিধেটার সঙ্গে সম্পর্কিত। মানুষ আর মানুষকে বিশ্বাস করছে না। আমি যখন বলছি জ্যামে
আটকে আছি, তখন ওপাশ থেকে হেঃ হেঃ করে হেসে বলছে “জ্যাম? ভালো ভালো। যাই হোক, যখন
মর্জি হয় চলে এস।” দ্বিতীয় অসুবিধেটা হচ্ছে লোকের মনোযোগের প্রতি লোকের দাবি
বাড়াবাড়ি রকম বেড়েছে। ল্যান্ডলাইন বেজে বেজে থেমে গেলে সবাই ধরে নেয়
যে ফোনের আশেপাশে লোক নেই। ধরে নিয়ে ক্ষমাঘেন্না করে দেয়। কিন্তু মোবাইল বেজে থেমে
গেলে আর রক্ষা নেই। সামনে ছিলে না মানেটা কী? যেখানে খুশি থাক না থাক, মোবাইলকে তো
তোমার সামনেই রাখার কথা। এটা কি মোবাইল পেয়েছ না পেপারওয়েট?
কিন্তু ফোনে কথা
বলার যে অসুবিধেটা আমাকে সবথেকে বেশি পীড়া দেয় সেটায় মোবাইল ল্যান্ডলাইন দুজনের
পারফরম্যান্সই সমান। ফোনে শুধু কথাই বলা সম্ভব, যে কথা বলছে তার মনের ভাব বোঝার
কোনও উপায় নেই। মোটা দাগের রাগ ভালোবাসা প্রেম বিরহ, যা ভাষায় প্রকাশ হয়, তার
বাইরের সূক্ষ্মতর আবেগ, অভিমান, মৌন সম্মতি বা অসম্মতি বোঝাতে ফোন একেবারেই অপারগ।
যদি না দু’পারের
বক্তার সম্পর্ক আমার আর আমার মায়ের মতো হয়। আমি আর আমার মা জীবনে নিজেদের
মধ্যে যত কথা বলেছি (বাড়াবাড়ি রকম বেশি) তার বেশিরভাগই ফোনে। একটা সময়ের পর কাজের সূত্রে মায়ের বাইরে যাওয়া শুরু হল, তারপর
আমি বাড়ি ছাড়লাম। প্রমাণ হয়ে গেল অদর্শনে সব সময় কথা কমে না, অনেক সময় বাড়েও। দুজনের দুটো আলাদা পৃথিবী হয়, দুই পৃথিবীর দু’রকম আলাদা
আলাদা অভিজ্ঞতা হয়, সে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য কথাকেও দ্বিগুণ হতে হয়। আর সে সব কথাই হয় ফোনের
মধ্যে দিয়ে।
আজকাল মাঝে মাঝে মনে
হয় হয়তো এখন আমার এমন অনেক কথা আছে যা আমি ফোনেই শুধু মাকে বলতে পারব। কিংবা ফোনে
যত ভালো করে মাকে বোঝাতে পারব সামনে বসে তত ভালো করে পারব না। মাও কি পারবেন? আমার
হ্যালো শুনেই মা বুঝতে পেরে যান কেচে তুলে ফেলা সোয়েটার নোংরা করার ভয়ে আমি
ঠাণ্ডায় গুটিসুটি হয়ে ঘুরছি, মায়ের হ্যালো শুনেই আমি কেমন ধরে ফেলি মা ব্যায়ামে
ফাঁকি দিচ্ছেন, মায়ের কোমরটা আবার ভোগাচ্ছে। চোখের সামনে থাকলে কি একে অপরের প্রতি
এত মনোযোগ থাকত আমাদের?
সেদিন যেমন মায়ের
হ্যালো শুনে আমি বুঝলাম মায়ের আমার সঙ্গে কথা বলার মন নেই। মায়ের মন অন্য কোথাও
পড়ে আছে। এ জিনিস রোজ ঘটে না। জিজ্ঞাসা করতেই হল ব্যাপার কী। শুনলাম ব্যাপার অতি
গুরুতর। মা কফি হাউস যাচ্ছেন, কলেজের পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে।
কফি হাউস মায়ের
পুরোনো পাড়া। মা অবশ্য কলেজে পড়ার সময় দারুণ কফি হাউসে যেতেন তেমন নয়, বরং অনেক
বেশি যেতেন মায়ের বন্ধু ক-মাসি। ক-মাসির সঙ্গে মায়ের অদ্ভুত যোগাযোগ। দুজনে এক পাড়ায়
থাকতেন, এক স্কুলের এক ক্লাসে পড়তেন। ক্লাস এইটে উঠে দু’জনেই পাড়ার স্কুল থেকে
হাওড়া গার্লস, কলেজ দুজনেই প্রেসিডেন্সি, দুজনেরই বোটানি। চাকরি নেওয়া থেকে
দুজনের চাকরি আলাদা হয়ে গেল, আর তারপর এতদিনের এত মিলকে কাঁচকলা দেখিয়ে দুজনের
জীবন বইল সম্পূর্ণ অন্যরকম খাতে।
যাই হোক, যেদিনের
ঘটনা বলছি সেদিন ছিল মায়দের কলেজে যাওয়ার প্রথম দিন। মা রেডি হয়ে ক-মাসিকে ডাকতে গিয়েছেন। ঘরে ঢুকে মায়ের
চক্ষুস্থির। ক-মাসির মায়ের একেবারে কাঁদোকাঁদো দশা। তিনি মেয়েকে বলছেন, “এই আমার
পা ছুঁয়ে দিব্যি করে বল, সোজা কলেজে যাবি আর আসবি, কোনওদিন কফিহাউসে যাবি না, বাজে
ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিবি না।” মাকে ঠাণ্ডা করতে ক-মাসিকে পা ছুঁয়ে সে সব শপথ
করতেও হয়েছিল। তারপর যখন বছরের শেষে অ্যাটেনডেন্স গোনার দিন এল দেখা গেল ক-মাসি
প্রায় অর্ধেকদিনই অনুপস্থিত। বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কলেজ যাওয়ার জন্য, তারপর পথ
ভুলে ক্লাসের বদলে কফি হাউসে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। জরিমানা হল। সে জরিমানার টাকা
জোগাড়ে দুই বন্ধুকে নানারকম মাথা খাটাতে হয়েছিল।
সন্ধ্যেবেলা বাড়ি
ফিরে দেখি বাড়ির নম্বর থেকে মিসড্ কল, রাস্তার হট্টগোলে শুনতে পাইনি। বুঝতে
পারলাম মা বাড়ি ফিরে ফোন করেছেন। ফোন করলাম। রি-ইউনিয়ন ব্যাপারটা নিয়ে আমার সন্দেহ
চিরকালের। সেটা করতে মা এত দূর থেকে উজিয়ে যাবেন শুনে মুখে “বাঃ বাঃ” বললেও মনে
মনে বলেছিলাম “তার থেকে সামনের বারান্দায় বসে কাগজ পড়লে ভালো হত না?” “হ্যালো”
শুনেই বুঝতে পারলাম আমার চিন্তার কোনও কারণ নেই, মায়ের গলা উৎসাহে ঝকঝক করছে। শারীরিক
কিংবা মানসিক, কোনও রকম ক্লান্তির চিহ্নই তাতে নেই।
শুনলাম দারুণ মজা
হয়েছে। আধঘণ্টার মিটিং, ইটিং নিয়ে দেড়ঘণ্টায় পর্যবসিত হয়েছে। যাদের যাদের আসার কথা
ছিল তারা সকলেই এসেছিলেন। একজনের সঙ্গে নাকি মায়ের চুয়াল্লিশ বছর পর দেখা হল। সেই
একাত্তর সালে কলেজ ছাড়ার সময় হয়েছিল, আবার এই দু’হাজার পনেরোতে। চু-য়া-ল্লি-শ বছর!
সময়টার গুরুত্ব অনুধাবন করতে আমার মতো আধবুড়িরও আরও দশ বছর লাগবে।
দেখে চিনতে পারলে
মা?
হ্যাঁ-অ্যা-অ্যা। রাস্তায়
দেখলেও চিনতে পারতাম। ওই বয়সটার পর তো মুখের আদল বেশি পালটায় না।
তারপর যখন কথা বলতে শুরু করল তখন তো . . . কলেজেও ওরকম হাঁকপাঁক করে কথা বলত ও।
হাহা করে হাসত।
এখন কী করেন তোমার
সেই বন্ধু?
করে না, করত। খুব
ভালো করেই করত। অমুক কলেজে পড়াত, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রাষ্ট্রপতির
থেকে।
বাবা, তোমার তো সব
হাইফাই বন্ধু দেখছি। কী খেলে গো?
প্রচুর খেলাম। মাটন
আফগানি, চিকেন কাটলেট, কফি, কোল্ডকফি উইথ আইসক্রিম। একেক জন একেক রকম জিনিস
নিয়েছিল, সবাই মিলে খেয়েছে।
গল্প শুনে শুনে আমার
মায়ের ছোটবেলার ছবিটা আমি কল্পনা করতে পারি। আট ভাইবোনের সাত নম্বর বোন, জাঁদরেল
দাদাদিদিদের ভয়ে কাঁটা হয়ে ঘুরছেন। কইপুকুরের ভাড়াবাড়ির বাগানে বিকেলবেলা ফুটবল
খেলা জমেছে, আমার মা গোলকিপার হয়ে হাতে হাওয়াই চটি পরে দাঁড়িয়ে দেখছেন পাশের বাড়ির
গোয়ালঘরের চালের টালির ওপর উল্টোনো মাটির হাঁড়ির ওপর বসে বাড়ির চাকর গান ধরেছে।
দেশের ভাষায় গান, হয়তো দেশের আকাশের দিকে মুখ করে। মা হাঁ করে সেই গান শুনছেন। এদিকে গো – ও – ও –
ল। মেজমামা এসে মায়ের মাথায় গাঁট্টা লাগাচ্ছেন। বাড়িতে এই অত্যাচার, বাইরেও
পরিস্থিতি এমন কিছু আরামের নয়। ঘরের বাঙাল আর বাইরের কলকাতার পরিশীলিত বাংলা জাগলিং
করা কি অতটুকু মেয়ের পক্ষে সম্ভব? দিদিমা উনুনে ভাত বসিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে মা’কে নিয়ে
পাড়ার ডাক্তারখানায় ছুটতেন, মা ছোট ছোট পায়ে তাল রাখতে রাখতে বলতেন, “ওখানে গিয়ে
কিন্তু “প্যাট” বলবা না মা, বলবা ‘ডাক্তারবাবু ওর পেটব্যথা করছে কেন দেখুন না?’” পেট
আর প্যাটের মধ্যে যে ফারাক যে শুধু একটা এ কার আর য ফলার নয়, ফারাক যে আসলে একটা
গোটা দেশের, সেটা দিদিমা কোনও দিন মনে রাখতে পারেননি আর দিদিমার ছেলেমেয়েরা পারেননি
ভুলতে। রবিবার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে দাদু বাজারে চুল কাটাতে যেতেন। সাম্যবাদী
ইটালিয়ান সেলুনে সকলের এক ছাঁট। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবারই বয়কাট, তেলপাটপাট চুলের
সোজা সিঁথি যেখানে গিয়ে ফুরিয়েছে সেখান থেকে তিনচারটি রোগা চুলের গুচ্ছ ফোয়ারার
মতো উঁচু হয়ে থাকত। সেই দেখে (এবং বাকি বন্ধুদের ডেকে দেখিয়ে) সোমবার সকালে মায়ের
ক্লাসমেট অ বলত, “এই অর্চনা, তুই এ রকম ছেলেদের মতো চুল কাটিস কেন রে?”
তখন কিছু বলতে পারেননি
মা, মনের রাগ মনেই পুষে রাখতে হয়েছিল। টিনের সুটকেসে বই
গুছিয়ে নিয়ে, লাল হলুদ নীল সবুজ রামধনুরং ছাতা মাথায় দিয়ে গটগটিয়ে ইস্কুলে আসত অ। ছাতাসুটকেস কল্পনাতেই ছিল না, কোনও বছর বুকলিস্টের একখানা
বই নতুন পেলেই মায়েরা বর্তে যেতেন। আমার যখন নার্সারিতে ভর্তি হওয়ার বয়স হল তখন
স্কুল ইত্যাদি ঠিক হওয়ারও আগে একখানা টিনের সুটকেস আর রঙিন ছাতা এসেছিল মনে আছে।
তার পর মা যখন মা
হলেন তার পরের চেহারাটা তো মনে আছেই। তার নাকচোখমুখ যে খুব স্পষ্ট দেখতে পাই তেমন
নয়, যেটা পাই সেটা একটা ছুটন্ত হাওয়ায় ঝাপটা। খুঁটিয়ে দেখলে সে ঝাপটার মধ্যে আমার মায়ের রোগা অবয়ব, চেনা
শাড়ির চেনা আঁচলের নকশা চোখে পড়বে। ছুটে রান্নাঘর থেকে বাবাকে চা দিতে যাচ্ছেন,
ছুটে স্নানে ঢুকছেন, ছুটে রবিকাকুর রিকশায় উঠছেন, ভোঁ দিয়ে দেওয়া ট্রেনকে ছুটতে
ছুটতে হাত দেখিয়ে থামাচ্ছেন, ছোটাছুটি করে
অফিসের কাজ করছেন সারাদিন, আবার সাড়ে পাঁচটা বাজলেই ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছুট ছুট ছুট,
কাল আমার মান্থলি টেস্ট।
এই দুটো মায়ের মধ্যিখানের
আমার যে মা, কলেজে পড়া, কফিহাউসে বসে আড্ডা দেওয়া মা, তাকে আমি অনেক চেষ্টা করেও
কল্পনায় আনতে পারি না। সে সময়ের মায়ের একটা ছবি আছে আমাদের অ্যালবামে, সম্ভবত
সম্বন্ধ খোঁজার জন্য স্টুডিওতে গিয়ে তোলা হয়েছিল। একটা গাঢ় রঙের
সিন্থেটিক শাড়ি পরে অসম্ভব শান্ত মুখে আমার মা ক্যামেরার দিকে মুখের বাঁ পাশ
ফিরিয়ে বসে আছেন। দেখলে কে বলবে অত শান্ত একটা মেয়ের মাথায় তখন গিজগিজ করছে রাষ্ট্র,
সন্ত্রাস, স্বাধীনতার মতো বিটকেল শব্দগুলো, অত নিরীহ মুখের একটা লোক ক্লাস কামাই
করে কফিহাউসে পালাচ্ছে, হা হা করে টেবিল চাপড়ে হাসছে, বাড়ির সবার কথা অমান্য করে
অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মুখ চেয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে ছাই দিয়ে চাকরিতে ঢুকে পড়ছে। ভাগ্যিস পারছে। না পারলে আর ক’বছর পরে সেই অফিসেই চাকরি করতে আসা দাড়িওয়ালা চশমাপরা লম্বামতো একটা ছেলের সঙ্গে তার আলাপ হবে কী করে? ছেলেটা দারুণ
গান গায়। মেয়েটাও গান গাইতে পারে, তবে ছেলেটার মতো ভালো পারে না। তার ক’বছর পর
দৃশ্যে আমার প্রবেশ আর আমার মাবাবার জীবন থেকে গান হাওয়া। শুরু হবে দৌড়। অফিস সামলে, সংসার সামলে, লোকলৌকিকতা সামলে,
মেয়েকে স্কুল আর গানের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার দৌড়।
এই দৌড়ের ছবিটা আমি
স্পষ্ট দেখতে পাই। সে দেখতে পাওয়ায় আমার স্মৃতির কৃতিত্ব খুবই কম, দেখতে পাওয়ার মূল
কারণটা হচ্ছে সেই ছবিটার এক কোণে, উঁহু, মধ্যিখানে আমি আছি। আমাকে ঘিরে ঘুরছে দুটো
মানুষের জীবন, আশা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন। এই ছবিটা দেখতে দেখতে আমি এতটাই অভ্যস্ত
হয়ে গেছি যে নিজেকে বাদ দিয়ে সে দুটো মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করতে আমার কষ্ট হয়।
কিন্তু সেদিন হল না।
ষাটোর্ধ একদল মহিলা কোল্ড কফিতে চুমুক দিতে দিতে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন, এর ওর প্লেট
থেকে কাটলেটের টুকরো তুলে মুখে পুরছেন, অদৃ্শ্য একটা টাইম মেশিনে চড়ে সেই সময়টায়
ফিরে গিয়েছেন যখন আমি কেন, আমার সম্ভাবনাও কোথাও নেই – এই ছবিটা আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম।
ফোনের এপার থেকেই।
Khub bhalo laglo :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, চুপকথা।
DeleteOsadharon !
ReplyDeleteবলছেন? গুড, গুড।
Delete১. রিইউনিয়ন জিনিসটা আমার খুব একটা সুবিধের মনে হয় না| কিন্তু পড়তে অসাধারণ লাগলো|
ReplyDelete২. কইপুকুর কি শিবপুরে?
৩. হাওড়া গার্লসে তো আমিও পড়েছি
৪. মাশরুম রান্না করলাম তোমার রেসিপি তে| কাল আমি খেয়ে দেখেছি, বেশ ভালো হয়েছে| আজ বর খেয়ে সার্টিফিকেট দেবে|
অপরাজিতা, তোমার এইরকম সিস্টেম্যাটিক কমেন্ট দেখে আমি মুগ্ধ। কইপুকুর শিবপুরেই বটে এবং হাওড়া গার্লসের জন্য আমার মায়ের তরফ থেকে তোমাকে হাই ফাইভ। মাশরুম রান্না, খাওয়া এবং আমাকে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। তোমার ভালো লেগেছে জেনে হাঁফ ছাড়লাম। থ্যাংক ইউ।
Delete" কইপুকুরের ভাড়াবাড়ির বাগানে বিকেলবেলা ফুটবল খেলা জমেছে, আমার মা গোলকিপার হয়ে হাতে হাওয়াই চটি পরে দাঁড়িয়ে দেখছেন"
ReplyDeleteShibpore-e amadero bari. Koipuruk khub kachei. Chena laglo jaygagulo khub-i.
Khub sundor likhechhen, Khub bhalo laglo emon reunion er kotha jene.
-Sayan
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, সায়ন।
DeleteAmi shibpur er student, bastukarigoribidya.. sutorang shibpur sunlei purono jaiga er kotha mone pore..kintu kotha holo prai 6 bochor kolkata o howrah te thakar poreu coffee house ar jawa holo na amar..
ReplyDeleteআমার এক (বাঙালি) বন্ধু শুনেছিলাম জীবনে কোনওদিন পুরী যায়নি। তোমার ব্যাপারটা প্রায় সেরকমই ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে, অর্ণব।
DeleteKuntala, amar bor o aaj porjonto Coffe House jaini, r Puri o jai ni... Kolkatay manush hoyeo :Papiya..
Deletep.s ou auto bhaisaab er moto amar ek professor bolchhilen, nijer room e bose, "Ha(N)ji abhi to main raste mu hun, o kya likha hain A.I.M.S ke samne se abhi nikal raha hun"
পাপিয়া, এটা কিন্তু সিরিয়াসলি অন্যরকম।পুরী + কফিহাউসকে কাঁচকলা দেখানোর সাহস বেশি কলকাতাবাসীর হবে না। তোমার প্রফেসর দারুণ স্মার্ট মানুষ মনে হচ্ছে, আমার এ রকম লোক পছন্দ।
DeleteEkta odbhut byapar. Amaar ma-o presidency. Botany. 44 bochhor por (1971batch ) last weeke 5-6 bondhur shonge reunion e coffee house jaye aar khub enjoy kore. Eta ki same group ?
ReplyDeleteসর্বনাশ, অর্পণ, এটা তো সেম গ্রুপই মনে হচ্ছে। আপনার মা'কে জিজ্ঞাসা করবেন তো অর্চনা নামে তাঁর কোনও ক্লাসমেট ছিল কি না?
DeleteJiggesh na korei jaani. Tomaar maakeo jiggesh koro Soma-r kotha.
DeleteJetuku sondeho chhilo shuruta pore , oidin khabaarer bornona shune aar nei.
আরে, সোমামাসির নাম তো আমিও জানি! তুমি সাহস দিলে যখন আমিও তুমির রাস্তা ধরলাম, অর্পণ। এইট দুর্দান্ত মজা হল কিন্তু। মা'কে আজ বাড়ি গিয়েই বলব।
DeleteMaa lekha ta pore khub obhibhuto....tomaake janate bolechhen
Deleteআরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। সোমামাসিকে তো বটেই, তুমি যে এই অদ্ভুত যোগাযোগটা ঘটিয়ে দিলে, সে জন্য তোমাকেও একখানা প্রকাণ্ড থ্যাংক ইউ, অর্পণ।
Deletekhub bhalo laglo...lekhata porei kakimar sange dekha korte icche korche : )koipukur er pray pasei sayak der bari !
ReplyDeleteতবেই বোঝ, পৃথিবীটা আসলে কতটুকু, তিন্নি।
DeleteEi lekhata osadharon laglo... Kakima k niye majhe majhei aro lekha chai... Amar darun lage Porte... :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, ঊর্মি। মাকে নিয়ে লিখতে আমারও খুব ভালো লাগে।
Deleteei to ei to amar priyo topic er lekha... ami to lekhata dekhe bhablam kimoja Kuntala amar request ta rekhechhe!! tomar sob lekhai bhalo ...tabe kakima r lekha (Mrs. Banerjee category) gulo amar bhishon bhalo lage r onake dekhte ichhe kore. erokom bhabe 44 yrs bochhorer purono bondhuder sathe reunion bhebe amari eto bhalo lagchhe, jnara asole experience korechhen tnader satisfaction kotota hote pare seta kolpona korar cheshta korchhilam..- Bratati.
ReplyDeleteএই পোস্টটা তোমার ওই কমেন্টটা পড়েই লিখতে শুরু করেছিলাম, ব্রততী। তোমার ভালো লেগেছে জেনে তাই এক্সট্রা আনন্দে হচ্ছে। মায়েরা সেদিন সত্যি খুব আনন্দ করেছিল।
Deletedaroon laglo.....fatafati. erokom shundor shob goppo porey aamra tomar ma aar baba-r fan club member hoye gechie :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, শম্পা। আমার মাবাবার ফ্যান আমি ছাড়াও আরও কেউ জেনে দারুণ লাগল।
Deletekijani amader 44 bochor por kono reunion somvob hobe kina.....jaihok kakima erom ekta sujog peye tar sodbyabohar korechen r anondo o peyechen jene khuub bhalo lagche. Sorbopori tumi jevabe bornona korecho tar jonyo beshi khushi. :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, রাখী। তোমাদেরও রিইউনিয়ন নিশ্চয় সম্ভব হবে, এই আমি আশীর্বাদ করলাম।
DeleteKyunki ki ma bhi kabhi student thi!
ReplyDeleteহাহা, ভালো বলেছ, রুণা।
DeleteKakimar smito hasi dheere dheere bolar bhongi. Aar chiro ursahee monobhab.. Khub mone pore. Sei kakimar emon anonder obhigyotar bornona pore khub valo laglo re.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সাহানা।
DeleteKunti , kakimar akhono friends der sathe jogajog ache? Darun byapar re. Ekta jinis lokkho korechi janis , ma kakima der projonme bondhutto ta khub khati chilo , jeta dhire dhire projonmo by projonmo mlan hocche. Khub bhalo lekhata re.
ReplyDeleteঠিকই বলেছিস, ভট্টা। তবে আমার মনে হয় মায়েদের সময় অন্যান্য ডিস্ট্র্যাকশনও তো কম ছিল, মানে ধর টিভি নেই ইন্টারনেট নেই, কাজেই বন্ধুদের দেওয়ার জন্য সময় আছে। আমাদেরও যখন কাজ/অকাজ ফুরোবে তখন আমাদেরও আবার বন্ধুদের কথা মনে পড়বে, দেখিস।
DeleteEi dhoroner lekha gulo apni khub bhalo lekhen.
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ঘনাদা।
Deleteআপনার মা কইপুকুর? আমি মন্দিরতলা।
ReplyDeleteচমৎকার ব্লগ। খাশা। অনেক গুলো পড়লাম অফিস ফাঁকি দিয়ে। আজ রাত্রে পুরোটা পড়ার ইচ্ছে রইলো।
ধন্যবাদ, সোমনাথ। অবান্তরে স্বাগত।
Deleteপুরোনো অবান্তর যে কতকিছু মনে করায়! আজ এতদিনে জানলাম আপনার মা আমার বিয়াল্লিশ বছরের সিনিয়র ছিলেন! আমিও প্রেসিডেন্সি, বটানি। 2013। এই ভীষণ সুন্দর লেখাটা পড়তে আমি চার বছর লেট যখন কতকিছু বদলে গেছে ।
ReplyDeleteময়ূরী
কী কাণ্ড। বিয়াল্লিশ বছরের জুনিয়রের কথা জেনে মা যে কী খুশি হতেন, ময়ূরী। সত্যি কত কিছু বদলে গেল। পুরোনো পোস্টে তোমার সাড়া পাওয়ার ভালোলাগাটা শুধু একই রকম। থ্যাংক ইউ।
Delete