কাসুন্দি মাশরুম





এই পোস্টটা পড়তে শুরু করেছেন যখন তখন আপনার সম্পর্কে কয়েকটা কথা সাহস করে বলাই যায়। এক, আপনি বাংলা পড়তে পারেন। ইন ফ্যাক্ট, আমি ঝুঁকি নিয়ে এও বলতে রাজি আছি যে আপনি শুধু বাংলা পড়তে পারেন না, আপনি জন্মসূত্রে বাঙালি এবং বাংলা আপনার মাতৃভাষা। দুই, আপনি ইন্টারনেট-দড়। তিন, ব্লগ খায় না মাথায় দেয় সে সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারণা আছে।

ওপরের আন্দাজগুলো যদি মিলে যায় তাহলে চার নম্বর আন্দাজটা আর আন্দাজ থাকে না। আকাশ থেকে নেমে আসা দৈববাণীর মতো অমোঘ হয়ে যায়। আপনি বং মমের ব্লগের অস্তিত্ব জানেন। নিয়মিত পড়েন, ছবি দেখে জিভের জল সামলান, রেসিপি দেখে রান্না করে নিজে খান এবং লোকজনকে খাওয়ান। তিন্নি, যে আমার একমাত্র ননদিনী এবং যার হাবভাব একেবারেই রায়বাঘিনীর মতো নয়, সে এই শেষের ব্যাপারটা নিয়মিত করে থাকে। আপনি যদি তিন্নির মতো করিৎকর্মা না হয়ে তিন্নির ভাইবউয়ের মতো কুঁড়ের বাদশা হন তাহলে অত ঝামেলায় যান না। পছন্দসই রেসিপি বুকমার্ক করে কাজ সারেন আর ভাবেন আর ভাবেন ছুটির দিন ট্রাই করে দেখা যেতে পারে।

কিন্তু রান্নাবান্নার ব্লগ পড়া আর ব্লগ পড়ে রান্নাবান্নায় উদ্বুদ্ধ হওয়া সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। কেউ কেউ হয়তো হন। আমার মতো লোকেরা হয় না। আমার মতো লোকেরা মাটির প্রদীপে সাজানো জয়িত্রীজায়ফলমণ্ডিত কাঁচকলার কোপ্তা আর কচি ডাবের ভেতর থেকে শুঁড় বার করা বাগদা চিংড়ির ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস চাপে, খাওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে ফোন করে মায়ের কাছ থেকে জিরেলংকা ফোড়ন দেওয়া বাটা মাছের ঝোলের রেসিপি নেয়।

এই রকম করে বেশ চলে যাচ্ছিল, হঠাৎ একদিন আমার পাশের ভদ্রলোককে মাশরুম কিনতে দেখে আমার মাথার ভেতর কী যেন হয়ে গেল, আমিও ফস করে একবাক্স মাশরুম কিনে বসলাম। বাড়ির দিকে হাঁটতে হাঁটতেই বিপদটা মাথায় ঢুকল। মাশরুম রান্না শিখব কার থেকে? আমার মাকে আমি জ্ঞানত কখনও মাশরুম রাঁধতে দেখিনি। মা যখন নিজে হাতে রান্না করতেন তখন রিষড়া বাজারে মাশরুম পাওয়া যেত কি না সে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

ছোটবেলায় কোনও জিনিস না খেলে বড়বেলায় সে জিনিসের প্রতি দু’রকম অনুভূতি জন্মানো সম্ভব। এক, অতিরিক্ত প্রীতি, দুই, অতিরিক্ত বিরাগ। আমাদের বাড়িতে কোনওদিন পাউরুটি খাওয়ার চল ছিল না। আমি টিফিনে রুটি তরকারি চিবোতাম আর ক্লাসের বন্ধুদের জেলি স্যান্ডউইচ খেতে দেখে আমার বুক হু হু করত। মনে হত না জানি কী স্বর্গসুখ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বড় হয়ে অবশ্য বুঝেছি হাতে গড়া রুটির সঙ্গে পাউরুটি তুলনায় আসে না, কিন্তু তবু খাবারটার প্রতি একটা দুর্বলতা রয়েই গেছে। স্যান্ডউইচ এখনও আমার প্রিয়তম “ফুড গ্রুপ”।

ঠিক উল্টো অনুভূতিটা হয়েছিল মাশরুমের ক্ষেত্রে। জিনিসটা যে আদতে ব্যাঙের ছাতা সে কথাটা আমি মাথা থেকে কোনওদিনও তাড়াতে পারিনি। পরে জিনিসটা খেয়ে তাচ্ছিল্য আরও গাঢ় হয়েছে। কেমন রবারের মতো কচকচে আর স্বাদহীন। কেউ যখন বলেছে, “মাশরুমের টেক্সচার তো পুরো মাংসের মতো” তখন মনে মনে ভেবেছি এ লোকটা কি পাগল না পায়জামা?

তবে মাশরুম একেবারে খাই না বললে ভুল বলা হবে। মাশরুমের প্রতি আমার মনোভাবটা হচ্ছে খেলে ভালো, না খেলে আরও ভালো। তবু আমি কেন মাশরুম কিনতে গেলাম তার উত্তর অর্চিষ্মান। অর্চিষ্মান মাশরুম বলতে অজ্ঞান। ফ্রায়েড রাইস, চাউমিন, তরকারি, আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় বিরিয়ানিতেও মাশরুম দেওয়া শুরু হলে অর্চিষ্মান ভয়ানক খুশি হয়ে খাবে।

মায়ের থেকে সাহায্যের আশা না থাকায় আমাকে মাশরুম রান্না শেখার অন্য রাস্তা দেখতে হল। আর তখনই মনে পড়ল বং মমের কথা।

বং মমের রেসিপি থেকে আমি মোটে দুটো জায়গায় বিচ্যুত হয়েছি। প্রথমটা জ্ঞাতে, দ্বিতীয়টা অজ্ঞাতে। জ্ঞাত বিচ্যুতিটা কাসুন্দিসংক্রান্ত। আমার বাড়িতে আম কাসুন্দি ছিল না, আমি সাধারণ কাসুন্দি ব্যবহার করেছি। অজ্ঞাত বিচ্যুতিটা মিষ্টিসংক্রান্ত। কিছুদিন ধরে আমার ধারণা হয়েছে যে পাকা রাঁধুনিরা সকলেই রান্নায় সামান্য মিষ্টি দেন। বং মম যে পাকা রাঁধুনি এ বিষয়ে কোনও সন্দেহের জায়গাই নেই, কাজেই আমার মনে হল বং মমের রেসিপিতেও নির্ঘাত চিনি আছে। (পরে অবশ্য দেখেছি, নেই।)

এইবার আমার ধর্মসংকট উপস্থিত হল। খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত সামান্য যে ক’টি বাতিক আছে আমার তার মধ্যে একটা হল থালার এক পদের ঝোল অন্য পদের ঝোলকে টাচ করতে পারবে না আর অন্যটা হল যে খাবার যেমন খেতে হওয়ার কথা তাকে তেমনই খেতে হতে হবে। সন্দেশে কামড় দিয়ে ল্যাংড়া আমার সুবাস পাওয়া চলবে না, কফিতে চুমুক দিয়ে পাকা রাসপবেরির গন্ধ নাকে আসা চলবে না। কফিকে কফির মতো খেতে হবে, সন্দেশকে সন্দেশের মতো। আমার নিয়মে তরকারির স্বাদ তেতো, ঝাল, নুনকটা, ট্যালটেলে সব রকমই হতে পারে, হতে পারে না কেবল মিষ্টি। মিষ্টি জিনিসটা আমি মিষ্টি হিসেবেই খেতে পছন্দ করি, পৃথিবীর সব খাবারে তার ছায়া পেলে আমার মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়।

তবু যে আমি মাশরুমের তরকারিতে এক চামচ চিনি দিলাম সে কেবল ভালো রাঁধুনি হওয়ার লোভে। খেতে খেতে সে কথা অর্চিষ্মানের কাছে স্বীকারও করলাম। বললাম, “একটু মিষ্টি হয়ে গেছে, না গো?”

অর্চিষ্মান চোখ কপালে তুলল। বলল, হওয়াই তো ভালো! এই যে টকটক, ঝালঝাল, ঝাঁজঝাঁজ, মিষ্টিমিষ্টি – এই ব্যাপারটাই নাকি রান্নাটাকে একটা আলাদা মাত্রা দিয়েছে। রান্নাবান্না এ রকমই নাকি হওয়া উচিত। মানুষের চরিত্রের মতো। ওয়েল ব্যালেন্সড।

আমি আর কথা বাড়ালাম না। একে তো ব্যালেন্স শব্দটা আমার অভিধানে নেই, দুই, খাবারদাবারের স্বাদ নিয়ে আমার বাঙাল জিভ আর ওর বাগবাজারী জিভের মত এ জীবনে মিলবে না সে আমি বুঝে গেছি। রান্নাটা যতই হোক ওর জন্যই করা। কাজেই ওর ভালো লেগেছে যখন তখন আমার মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই ভেবে আমি ছাড়ান দিলাম।

এক, বংমমের রেসিপি, দুই, আমি সত্যি সত্যি রান্নাটা করে উঠতে পেরেছি এই দুটো তথ্য থেকেই বুঝতে পারছেন রান্নাটা জটিল নয়। হাস্যকর রকমের সরল। যদি না আপনি রেসিপির কাসুন্দি অংশটুকু নিজে হাতে বানাতে যান। অবান্তর পড়েন যখন তখন এটাও ধরে নেওয়া যায় সেটা আপনি করতে যাবেন না। সোজা পথে নাক দেখানোর ব্যবস্থা থাকলে ঘুরিয়ে নাক দেখাবেন না, বাজার থেকে রেডিমেড কাসুন্দি কিনে আনার রাস্তা থাকলে নিজে হাতে বাড়িতে বানাবেন না।

বাড়িতে কাসুন্দির বোতল থাকলে বাকিটুকু সত্যি সত্যি বাঁ হাতের খেল। সর্ষের তেলে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে মাশরুম ছাড়ুন। বেশ শুকনো ভাজা হলে নুন ঝাল মিষ্টি দিন। (নুন দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন কাসুন্দিতেও কিন্তু নুন থাকবে) শেষে দুই বড় চামচ কাসুন্দি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না সাঙ্গ করুন। ভাত বা রুটির সঙ্গে খান।


কাসুন্দি মাশরুম
(বং মমের রেসিপি দেখে বানানো)

কী কী লাগবে

সর্ষের তেলঃ এক বড় চামচ
কালোজিরেঃ এক ছোট চামচ
কাঁচালংকাঃ পাঁচটা মাঝারি সাইজ কুচোনো
এক বাক্স বোতাম মাশরুমঃ ফালি করে কাটা
কাসুন্দিঃ দুই বড় চামচ
নুন মিষ্টি আন্দাজমতো

কী করে রাঁধবেনঃ

তেল গরম করুন। কালোজিরে ফোড়ন দিন। মাশরুম ছাড়ুন। নেড়েচেড়ে ভাজুন। জল ছাড়বে। সে জল ভালো করে শুকোন। নুন, চিনি, কাঁচালংকা দিন। মাশরুম রান্না হয়ে এসে কাসুন্দি দিয়ে নাড়ুনচাড়ুন। চাখুন।

বুঝতেই পারছেন রান্নাটা করা ভীষণ সোজা, আরও সোজা খাওয়া, কিন্তু শক্ত হচ্ছে রান্নাটা কেমন হয়েছিল সেইটা নিজে মুখে বলা। তার থেকে বরং বলি, যেদিন প্রথম এই রান্নাটা হয়েছিল সেদিন লাঞ্চে পদ ছিল মোটে দুটিকাসুন্দি-মাশরুম আর গলদা চিংড়ির মালাইকারি। ওই সাইজের চিংড়ি চট করে কেনা হয় না বলে বেশি করে তেল দিয়ে, বেশি করে নারকেলের দুধ দিয়ে, বেশি যত্ন করে মালাইকারিটা রেঁধেছিলাম। তার গন্ধ আমাদের ঘরবারান্দা পেরিয়েও যে ছড়িয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া গেল যখন সিঁড়িকোঠায় অর্চিষ্মানের মুখোমুখি পড়ে গিয়ে বাড়িওয়ালার মেয়ে বললেন, “আমাদের ভাগ্যে কি শুধু গন্ধ শুঁকে অর্ধভোজন? আমরা কি একটু ভালোমন্দ খেতে পাই না?”

শুনে গর্বে আমার বুক ফুলে গিয়েছিল।

দুপুরবেলা যখন খেতে বসা হল তখন অর্চিষ্মান দুটো রান্নাই খুব আদর করে খেয়ে, চিংড়ি চিবিয়ে, থালায় পড়ে থাকা মালাইকারির ঝোল যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য আর একটু, আর একটু, আর একটু ভাত মেখে খেতে খেতে হাঁসফাঁস হয়ে গিয়েছিল। খাওয়া শেষ, থালাবাটি তুলতে যাব এমন সময় “দাঁড়াও দাঁড়াও, লাস্টে একটু মাশরুমটা শুধু শুধু খাই” বলে ওই হাঁসফাঁস পেটে আবার তিনটুকরো মাশরুম আর মাশরুমের গায়ে লেগে থাকা টকঝালমিষ্টি কাসুন্দি বসে বসে খেল।

এর পরেও যদি আপনারা রান্নাটা না করেন, আর খেয়ে আমাকে কেমন খেলেন না জানান, তাহলে আমার কিছু বলার নেই।







Comments

  1. বাহ এই তো! বাবা-মা ফেরার পরে যখন ফ্রিজে রাখা রান্না করা খাবার গুলো-ও শেষ হয়ে যাবে, তখন ঠিক কি বানালে রাতে বিরিয়ানি অর্ডার করতে ইচ্ছে করবেনা সেটাই ভাবছিলাম কদিন ধরে| উত্তর পেয়ে গেছি! অবশ্যই বানাবো|

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রে, বিরিয়ানির বিকল্প হবে কি না বলতে পারছি না, অপরাজিতা, তবে পরিশ্রম কমাতে হলে এ রান্নার জুড়ি মেলা শক্ত। আমাকে জানিও কিন্তু কেমন হল।

      Delete
  2. Kuntala duto rannai je bhison bhalo hoyechilo ta lekha porei bhujte parchhi! Amar bangal sourbarite kintu tarkarite mishti deoa hoy. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, রুণা, আমার জেঠিও ঘোর বাঙাল এবং দুর্দান্ত রাঁধিয়ে, তিনিও অল্পস্বল্প দেন। ওটা আমি একটু স্টিরিওটাইপ জোরদার করার জন্য লিখেছি আরকি।

      Delete
  3. Bah Ami kodin aage mushroom ene rekhe diye bhabchi ki ranna korbo ... Ki jogajog dekho .

    ReplyDelete
    Replies
    1. টেলিপ্যাথি, অনিন্দিতা।

      Delete
  4. Replies
    1. হাহা রুণা, আমি ভাবলাম তুমি রসিকতা করে শউরবাড়ি লিখেছ।

      Delete
  5. Replies
    1. করে জানাবেন, ইচ্ছাডানা।

      Delete
  6. Bapre amar khide peye gelo! raybaghini khusi hoyeche koritkarma upadhi peye..:-):-)..kintu idaning khawa o khawano bandho..akhon sudhu mackerel bhaja ar gheeLanka die chalachi..ei rannata to apurbo hobe mone hocche..archisman to maha sukhe ache..oke kasundi banate bolish porer bar!

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা ভালো আইডিয়া দিয়েছিস বাড়িতে কাসুন্দি বানানোর, তিন্নি। কাজে লাগিয়ে দেখতে হবে।

      Delete
  7. এর পরের বার মাশরুম, মটরশুঁটি পেঁয়াজ কুচি লঙ্কাকুচি টোম্যাটো কুচি দিয়ে ভাজা করে রুটি দিয়ে খেও । অল্প তেল অল্প সময়
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা তো ভালো রেসিপি, মিঠু। নিশ্চয় করব।

      Delete
  8. ei ekta chena r priyo jinis.. amar barite hoy to.. tobe kasundi noy.. tar jaygay sorshe bata diye... darun hoy.. button mashroom chara ar ekta mashroom ache oita diyeo khub bhalo hoy.. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কাসুন্দি আর সর্ষেবাটা তো কাছাকাছি জিনিসই মনে হচ্ছে রে, ঊর্মি। অন্য রকম কোনও মাশরুম দেখতে পেলে কিনে করব।

      Delete
  9. Daaaaarun.... Ar kono ranna kori na kori , tor recipe deoa ranna gulo kintu obossoi kori ami... Ar ei rannai mistir kotha ta..... Khas chottogramer bangal ami , ghoti barite biye hoye ami ei 6 yrs a bujhiye uthte parlam na je payesh jemon jhal hole manai na , torkari ar dal temni misti hole manai na...

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা বলেছিস, ভট্টা। এত সহজ কথাটা না বোঝার কী আছে কে জানে। তুই অবান্তরের রান্না সব করিস জেনে ভয়ানক খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  10. Blog khaye na mathaye deye .... hahahaha .. .eta bhalo. Mathaye ditey holey benche jetam, ek ek shomoye mone hoye. :-)
    Oi kancha aam diye kasundi ami banai ... darun lage khete. Gorom e kochi aam pabe ... kore dekho. Ar fridge e rekhe shara bochor anondo kore kheo ... especially jokhon baire konkone thanda ar ghorer bhetore gorom gorom kichu bhaja hocche ... oi cha er shonge ta er jonne ar ki. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, শর্মিলা, আম কাসুন্দির রেসিপিটাও দেখছিলাম। দেখে তো সোজাই মনে হল। চা-এর সঙ্গে দেশী 'ডিপ' হিসেবে জমবে ভালো, ঠিকই বলেছ।

      Delete
  11. Bread baad diye khawa-dawa r byapare er theke highest five dewa r kokhono/karor sathe sombhob habe bole mone hoy na..... sob mil sob mil....mushroom ta dekhte lobhoniyo hoechhe r khete je kemon hoechhe ta to lekha porei bujhe gelam...bhishon ichhe korchhe ekhoni banie feli..kore janabo kemon holo :) Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. নিশ্চয়, ব্রততী। জানিও কেমন খেলে। ব্রেড আমারও বত ভালো লাগে। হাই ফাইভ।

      Delete
  12. কি কান্ড, assumption গুলো একেবারে সঠিক - বং মম কি জানেন যে তার ব্লগ এর পাঠক গোষ্ঠির একটা subset তোমার ব্লগ এ বসে আছেন? :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. বং মম জানেন কি না জানি না, কাকলি, তবে আমি জানি যে অবান্তরকে অনেকেই বং মমের ব্লগে করা আমার কমেন্ট কিংবা সাইডবারের ব্লগতালিকা থেকে খুঁজে পেয়েছেন। সে জন্য বংমমের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অশেষ।

      Delete
    2. আমি খুঁজে পেয়েছিলাম তোমার চায়ের ওপর লেখাটা থেকে ।
      মিঠু

      Delete
    3. দেখেছ মিঠু, বং মম আমার কত উপকার করেছেন। চায়ের লেখাটার কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, মনে করিয়ে দিলে। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  13. আগেও বলেছি খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে অর্চিষ্মানের সঙ্গে আমার ভয়ানক মিল। আমারও মাশরুম দারুন লাগে, আর তরকারিতে মিষ্টি থাকলেও মন্দ লাগেনা। বাড়িতে কাসুন্দিও আছে, তাই এই রান্নাটা শিগগিরই হবে। আর ছবি যা তুলেছেন, আমার খাওয়ার পরেও আবার খিদে পেয়ে গেল। তবে একটা কথা বলুন, আপনার শ্বশুরবাড়িও বাগবাজার নাকি? তাহলে তো টেলিপ্যাথির ঠাকুরদাদা হয়ে যাবে!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার শ্বশুরবাড়ি আপাতত নাকতলা, কিন্তু ওঁরা আসলে বাগবাজারের লোক। কাজেই আমাদের আরও একটা মিল বেরোল, সুগত। রান্নাটা করবেন, জানাবেন কেমন লাগল।

      Delete
    2. আজ এটা পৌলমী বানিয়েছিল। দুর্দান্ত হয়েছে। বং মম, আপনি এবং পৌলমী, তিনজনকেই আমার অশেষ ধন্যবাদ।

      Delete
    3. বাঃ, পৌলমী তো দারুণ করিৎকর্মা মেয়ে দেখছি, আমি হলে রেসিপি দেখে ছ'মাস বসে থাকতাম। রান্নাটা আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে যারপরনাই খুশি হলাম।

      Delete
  14. Ranna ta golpo sune bujhlam khete darun hoyechey.. r chhobitao bhison lobhaniyo... Amar bor o mushroom bolte ogyan.. Biriyani chharo sudhu nun diye mushroom seddho kore dileo bodhhoy kheye nebe....Fridge desh theke pathano baba r nijer hate tairi am kasundio achhey.... Erporeo ranna ta korle onyay hobe :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. মহা অন্যায় হবে, চুপকথা। করে জানাবেন কেমন হল। মাশরুমপ্রেমী বর বাবদে হাই ফাইভ।

      Delete
  15. Haha ami rannar bepare akdom akath holeo khali eta jani je kono rannaye ak chamoch chini deyata akta khati Ghoti legacy. No doubt tomar Archisman (spelling ta bhul holo mone hoy) er chini deya niye apotti thakbe na. Ma ke akdin eta radhte bolte hobe. Toktok mishti mishti jhal jhal mushroom ami er age konodin khaini.
    Ar jotodur mone porche, bhul o hote pare, tomar Abantor er hodish ami bodhoy Bong mom er rannaghor er thekei peyechilam. Konovabe comment theke tomar profile link dhore ekhane ese hajir hoyechilam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. dekho kando. ei just onno comment gulo porte porte dekhlam je aro onekei akivabe tomar blog khuje peyeche.

      Delete
    2. তুমিও বংমম থেকে, কুহেলি? গুড গুড।

      Delete
  16. ami ajke eta banalam.. thanks to ur easy recipe jibon e prothom mushroom banalam. tomar ranna dekhte o duranto hoyeche..amar ta temon impressive looks pai ni jodi o

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, প্রিয়াংকা। মাশরুম রান্না করে, খেয়ে, আমাকে জানানোর জন্য। দেখা দিয়ে কী হবে? আসল কথা তো হচ্ছে খাওয়া। সেটা খেতে ভালো হয়েছিল আশা করি। আর আমার রান্না দেখতে ভালো হওয়ার পেছন আমার সমান সমান (নাকি একটু বেশিই?) কৃতিত্ব পোস্ট ফোটো অ্যাডজাস্টমেন্ট সফটওয়্যারের।

      Delete
  17. Onek din por Tor blog aaj porar somoy peyei pochonder ekta recipe share korli....etar kotha jantam. Sahos kore kichutei banatam na....Tor aar aro jara banalo tader bhorsay Ebar banabo. Pune te mashroom khub valo pawa jaaye....ekmash o hoyni pune basee . Rituparna aar aami kachakachi I thaki. Pune berate ele obosyo amar kache thakis. Mumbai eleo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে বাঃ, নতুন শহর, নতুন জায়গা। পুনেতে চেনা লোকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, এটা ভালো ব্যাপার। ওদিকে গেলে নিশ্চয় তর বাড়ি যাব, সাহানা। রান্নাটা করে দেখিস তো কেমন লাগে।

      Delete
  18. Replies
    1. হ্যাঁ হ্যাঁ, অবশ্যই করবেন। জানাবেন কেমন লাগল।

      Delete

Post a Comment