সাঁচী ভীমবেটকা/ ২
সাঁচীস্তুপ কখন
বানানো হয়েছিল সেটা মনে রাখা যদি কষ্টকরও হয়, সাঁচীস্তুপ সাঁচীতে কেন বানানো
হয়েছিল সেটা মনে রাখা ভীষণ সোজা। অশোকের রানী দেবী ছিলেন এই সাঁচীর মেয়ে। দেবীর
বাবা ছিলেন বিদিশা নগরের একজন বিশিষ্ট বণিক, দেবী জন্মেছিলেন সাঁচীতে। অশোক আর দেবীর বিয়েও হয়েছিল এই সাঁচীতেই। তাছাড়াও স্তুপ
গড়ার জন্য সাঁচী আরও নানারকম গুণাবলী ছিল। স্তুপ সাধারণত বানানো হত উঁচু কোনও
নির্জন পাহাড়ের ওপর। বেতোয়া নদীর সমতল উপত্যকায় জঙ্গলের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিল
সাঁচী পাহাড়, নির্জনতায় তাকে টেক্কা দেওয়া শক্ত।
সাধারণত বুদ্ধ বা বৌদ্ধধর্মের কোনও গুরুর দেহাবশেষের ওপর গড়া হত স্তুপ। সব স্তুপের নিচেই যে
ভস্ম থাকবে তেমন কোনও কথা নেই, তবে সাঁচীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তুপে থাকাই
সম্ভব। গল্পে বলে বুদ্ধদেবের মহানির্বাণের পর তাঁর দেহভস্ম নিয়ে আট রাজার মধ্যে
মারামারি বেধেছিল। শেষে ভস্ম আট ভাগ হল, একেকজন একেকভাগ নিয়ে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে
গেলেন। তারই একভাগ হাত ঘুরে সম্রাট অশোকের হাতে এসে পড়েছিল আর সেই দেহাবশেষের ওপরই
তৈরি হয়েছিল সাঁচীস্তুপ।
অবশ্য অশোক যে স্তুপটি বানিয়েছিলেন তার সঙ্গে আজকের এই এত বড় জায়গাজোড়া, এত
মন্দির, মনাস্টেরি, স্তম্ভ, মূর্তিওয়ালা সাঁচীস্তুপের কোনও মিল নেই। এমনকি সাঁচীস্তুপ
বলতেই যে তিন থাকবিশিষ্ট দরজার কথা আমাদের মনে পড়ে সেও অশোক বানিয়ে যাননি। অশোক বানিয়ে গিয়েছিলেন
শুধু একটা ইঁটের অর্ধগোলক স্তুপ, স্তুপ ঘিরে সাপের মতো পেঁচিয়ে ওঠা দুটি সিঁড়ি,
স্তুপের মাথায় যষ্টি, যষ্টির মাথায় ছাতা। এ ছাড়া আর একটি মঠও বানিয়েছিলেন সম্রাট,
আর পুঁতেছিলেন একটি স্তম্ভ। অশোকস্তম্ভ।
আমি এতদিন বোকার মতো ভাবতাম যে অশোকস্তম্ভ মানেই একটা লম্বা খাম্বার ওপর চারচারটে সিংহ পিঠে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, তাদের পায়ের নিচের গোল পাথরের বেড় ঘিরে থাকবে একটি ঘোড়া, একটি হাতি, একটি ষাঁড় ও একটি সিংহ। আর তাদের মাঝখানে চব্বিশটি দণ্ডওয়ালা একটি চক্র। বেসিক্যালি আমাদের টাকার নোটে যে ছবিটা ছাপা থাকে।
সাঁচী গিয়ে আমার অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হল। আমি জানলাম যে সিংহ দেখে
অশোকস্তম্ভ চিহ্নিত করতে যাওয়া রিস্কি, কারণ সব স্তম্ভের মাথায় যে সিংহমূর্তি
থাকবে এমন কোনও কথা নেই। থাকলেও সে সিংহমূর্তি আমার চেনা সিংহমূর্তির মতো নাও দেখতে হতে পারে। আমার চেনা সিংহমূর্তিটা বসানো ছিল সারনাথের অশোকস্তম্ভের
মাথায়। সাঁচীস্তুপের অশোকস্তম্ভের মাথায় চারটে সিংহ ছিল বটে কিন্তু চক্রটক্র ছিল না।
অশোকস্তম্ভ কথাটার অর্থ একেবারেই আক্ষরিক। সম্রাট অশোকের স্থাপিত স্তম্ভ (বা
সম্রাট অশোকের স্থাপিত স্তম্ভের আদলে বানানো স্তম্ভ। সাঁচী কম্পাউন্ডেই আরও দুটো
অশোকস্তম্ভ আছে যার একটা শুঙ্গ আর একটা গুপ্তযুগে বানানো।) এবার তার মাথায় কী
বসানো হবে বা আদৌ কিছু বসানো হবে কি না সেটা শিল্পী কিংবা
সম্রাটের/পৃষ্ঠপোষকের রুচির কিংবা সামর্থ্যের ব্যাপার।
তা বলে কি অশোকস্তম্ভ চেনার কোনও উপায় নেই? তেমনটাও নয়। অন্তত অশোকের আমলে
বসানো অশোকস্তম্ভ তো দেখলেই চেনার কথা। খুব সম্ভবত তাতে অশোকের লেখা
নির্দেশাবলী থাকবে কিন্তু সে সব ব্রাহ্মী হরফে পালি/প্রাকৃত ভাষার লেখা যদি আপনি
পড়তে নাও পারেন তবুও অসুবিধে নেই। চেহারাই যথেষ্ট। অশোকের আমলের অশোকস্তম্ভগুলো সব
চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ফুট লম্বা হত আর ওজনে প্রায় পঞ্চাশ টন ভারী। সেগুলো বানানো হত
মথুরা কিংবা চুনারের স্যান্ডস্টোন দিয়ে।
এই হচ্ছে সাঁচীস্তুপের অরিজিন্যাল অশোকস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ। স্বমহিমায়, সিংহমস্তক শুদ্ধু, এর দৈর্ঘ্য ছিল বেয়াল্লিশ ফুট। সিংহগুলো এখন স্তুপের পাশের সাঁচী মিউজিয়ামে রাখা আছে। কাল দেখতে যাব। চুনার থেকে আটশো কিলোমিটার বয়ে আনা প্রায় চল্লিশ টন ওজনের একটি মাত্র প্রস্তরখণ্ড খোদাই করে বানানো হয়েছিল এই স্তম্ভ। এই স্তম্ভের ভাঙা অংশটুকু দু’খণ্ড হয়ে পড়ে আছে পাশেই। শোনা যায় পরবর্তীকালের
কোনও এক স্থানীয় জমিদার আখমাড়াই করার জন্য আর কিছু না পেয়ে অশোকস্তম্ভের খানিকটা
ভেঙে নিয়ে সে দিয়ে কাজ চালিয়েছিলেন।
সারনাথের অশোকস্তম্ভ ভারতের জাতীয় চিহ্নের সাপ্লাই দিয়ে দিয়ে সাঁচীর ওপর এক
হাত নিয়েছে বটে কিন্তু সাঁচীর অশোকস্তম্ভের অবদানও ভারতের ইতিহাসে কম নয়। সাঁচীর অশোকস্তম্ভের
গায়ে ব্রাহ্মী লিপিতে পালি ভাষায় লেখা নির্দেশাবলী থেকেই এশিয়াটিক সোসাইটির জেমস
প্রিন্সেপ (ঠিক ধরেছেন, ইনিই আমাদের প্রিন্সেপ ঘাটের প্রিন্সেপ) ব্রাহ্মী লিপির
পাঠোদ্ধার করেন। যার ফলে দুর্বোধ্যতার ধোঁয়াশা কাটিয়ে ভারতের ইতিহাসের একটা বিরাট সময়
আমাদের চোখের সামনে আত্মপ্রকাশ করে।*
সাঁচীস্তুপের সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে ওই পুঁচকে পাহাড়ের মাথায় প্রায়
পনেরোশো বছরের ইতিহাস কীভাবে জড়ামড়ি করে আছে। অশোকের পর মৌর্য সাম্রাজ্যের সঙ্গে
সঙ্গে সাঁচীস্তুপেরও দশা বেশ কাহিল হয়ে পড়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে শুঙ্গ
রাজারা এসে সেই ভাঙাচোরা স্তুপকে শুশ্রূষা করে সারিয়ে তুললেন। শুধু সারিয়ে তুললেনই
না, তার সৌন্দর্যবৃদ্ধিও করলেন বেশ খানিকটা। ইঁটের স্তুপ পাথরে মুড়ে দিলেন, স্তপের
চারদিকে আর স্তুপের মাথার যষ্টির চারদিকে বাহারের পাঁচিল তুলে দিলেন।
সাঁচী স্তুপের সিগনেচার তিন থাক তোরণ যখন বানানো হল তখন অশোকের পর প্রায় দুশো
বছর কেটে গেছে। অমরাবতীর সিংহাসনে তখন সাতবাহন রাজারা। পাথরের তোরণ খুদে জাতক
বুদ্ধের গল্পের ছবি আঁকলেন বিদিশার শিল্পীরা।
উত্তরের তোরণ
যক্ষীর দল। ঠিক লাফিং বুদ্ধের মতো দেখতে না?
ইনি হচ্ছেন পূর্ব তোরণের শালভঞ্জিকা। অন্তে আ-কার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে শালভঞ্জিকা
হতে হলে সে মূর্তিকে নারী হতে হবে, আর আশেপাশে শালগাছও (অশোক হলেও চলবে) থাকতে হবে
একখানা। শালভঞ্জিকা ভয়ানক অ্যাক্রোব্যাটিক ভঙ্গিতে সে শালগাছের ডাল ধরে দাঁড়িয়ে
থাকবেন। এই আবশ্যিক দুটি শর্ত পূরণ করার পর শালভঞ্জিকার আরও কতগুলি বৈশিষ্ট্য
থাকে। তাঁরা সকলেই বাড়াবাড়ি রকম যৌবনবতী হন, তাঁদের চুলে নানারকম বাহারি কায়দায়
বাঁধা থাকে এবং অঙ্গে গয়নার গাদাগাদি লেগে থাকে। ভারতে শালভঞ্জিকার মূর্তি আরও
নানা জায়গায় পাওয়া গেছে, বেলুর হ্যালেবিদ এমনকি পাটনাতেও, কিন্তু সৌন্দর্যে আর
খ্যাতিতে আমাদের এই সাঁচীর শালভঞ্জিকাটি সবাইকে ফেল ফেলেছেন।
সাঁচীতে আবার বড় ধরণের কাজ হয়েছিল চতুর্থ শতাব্দীতে গুপ্তসম্রাটদের আমলে। বেশ কয়েকটি মন্দির, প্রার্থনাগৃহ বানানো হয়েছিল। এই
আমলের একটা অশোকস্তম্ভও আছে সাঁচীতে।
গুপ্ত আমলে বানানো পঁয়তাল্লিশ নম্বর মন্দির
সাঁচীতে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধস্থাপত্যের শেষ চিহ্ন পাওয়া গেছে বারোশো শতাব্দী
নাগাদ। তার পর তেরোশো চোদ্দোশো শতাব্দী নাগাদ হাওয়া যে ঘুরতে শুরু করেছিল তার
প্রমাণ পাওয়া যায় সে সময়ের কতগুলো ছোটখাটো মূর্তি থেকে। গজলক্ষ্মী, গজপতি,
ললিতাসনে আসীন মহাদেব। সেই পাল্টা হাওয়ার ঘূর্ণিতে পড়েই বৌদ্ধসন্ন্যাসীদের সাঁচী
ছাড়তে হল নাকি তাঁরা স্বেচ্ছায় স্তুপ ছেড়ে চলে গেলেন সে কথা প্রমাণ করার আর কোনও
উপায় নেই। তবে এ কথা নিশ্চিত চোদ্দোশো শতাব্দীর পর থেকে সাঁচীস্তুপ নিষ্প্রাণ পড়েছিল
যতদিন না আবার আঠেরোশো আঠেরো সালে জঙ্গল কেটে মাটি খুঁড়ে জেনারেল টেলর তাকে উদ্ধার
করলেন।
লখনৌতেও এই ব্যাপারটা হয়েছিল। এ ইমামবাড়া সে ইমামবাড়া ঘুরতে ঘুরতে অওয়ধি
নবাবদের বংশলতিকাটা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে এসেছিল মাথার ভেতর। কে কার নাতি, কে কার
খুড়ো, কে কাকে মেরে সিংহাসনে চড়েছিল সে সব তখন আমাকে পড়া ধরলেই গড়গড় করে বলতে
পারতাম (এখন ধরলে কিন্তু পারব না, আবার সব ধোঁয়াশা হয়ে গেছে)। সাঁচীতেও সে রকমই হল
খানিকটা। অশোকের
পর শুঙ্গ, শুঙ্গের পর সাতবাহন ইত্যাদি বেশ মনে রাখতে পারছি। ভাঙা মন্দিরের সামনের
নীল বোর্ডে ব্র্যাকেটে লেখা সালতারিখ দেখেই অর্চিষ্মানকে বলছি, “দেখেছ, এই
মন্দিরটা বানানো হয়েছিল অশোকের পরের বছর, ওই মন্দিরটা হর্ষবর্ধনের আগের বছর।”
বলতে বলতেই হঠাৎ মনে পড়ল, বছর বলছি কাকে? পরের বছর মানে পরের শতাব্দী!
মাঝখানের একশো বছরে কত কিছু ঘটে গেছে, খরা বন্যা দুর্যোগ দুর্বিপাক এসে ফিরে গেছে,
একটা গোটা প্রজন্ম জন্মে আবার মরে গেছে, কত
লোক, তাদের কত সুখদুঃখ আশানিরাশা আনন্দ মনখারাপকে আমি স্রেফ একটা সময়ের মণ্ডে
পরিণত করেছি!
আমারও কপালে এমনটাই নাচছে। আমার রোজকার অফিস যাওয়া, অফিস থেকে ফেরা, মাইনে
পাওয়ার আনন্দ, মাসের শেষের মনখারাপ, এই যে এই মুহূর্তে একান্ন নম্বর মনাস্টারির
ওপারে সূর্য ডুবতে দেখে আমার মনে মনে এত গভীর উপলব্ধির উদয়, সে সবেরও একই পরিণতি
হবে। সময়ের বুলডোজার এসে আমাকে, কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মহার্ঘ অস্তিত্বকে, তার দিনরাত মাসবছরকে শতাব্দী সহস্রাব্দের সঙ্গে মিশিয়ে দেবে। আমার চারপাশের এই
ঘোর বাস্তব সময়টা, ব্রেকিং নিউজ আর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, যুদ্ধবিগ্রহ আর
শান্তিচুক্তিতে ছত্রাকার এই জলজ্যান্ত বর্তমানটাকেও। এর প্রতিনিধি হয়ে থেকে যাবে
কতগুলো ভাঙাচোরা ঘরবাড়ি জলের ট্যাংক বিজয়স্তম্ভ। অনেকদিন পর কেউ এসে সেগুলো উপড়ে
নিয়ে যাবে আখমাড়াই করতে।
সিকিউরিটির ভাইসাবরা এতক্ষণ ধ্বংসস্তপের এদিকওদিকে ছায়ায় বসে আমাদের ওপর নজর
রাখছিলেন। এখন দেখলাম তাঁরা প্যান্টের পকেট ঝাড়তে ঝাড়তে একে একে উঠে দাঁড়াচ্ছেন।
সূর্য ডুবে গেছে। এবার আমাদের বার করে দেবে বোধহয়, না গো? তার থেকে চল নিজেরাই
বেরিয়ে যাই।
পাহাড়ের গায়ে কাটা পাথরের সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে প্রথমবার ক্লান্তিটা টের
পেলাম। পা ভেঙে আসছে। স্বাভাবিক, সেই সকাল পাঁচটা থেকে ছুটোছুটি চলছে। এখন হোটেলে
ফিরে গিয়ে রুমসার্ভিস ডিনার, তারপর সোজা ঘুম। কাল সকাল সকাল বেরোতে হবে। গন্তব্য
ভীমবেটকা।
(চলবে)
সাঁচী ভীমবেটকা/ ১
*একজন পাঠক জানিয়েছেন এই তথ্যটি ঠিক নয়। ব্রাহ্মীলিপি জেমস প্রিন্সেপই উদ্ধার করেছিলেন বটে, তবে সেটা সাঁচীস্তুপের অশোকস্তম্ভ থেকে নয়, দিল্লির লৌরিয়-নন্দনগড় অশোকস্তম্ভ থেকে।
*একজন পাঠক জানিয়েছেন এই তথ্যটি ঠিক নয়। ব্রাহ্মীলিপি জেমস প্রিন্সেপই উদ্ধার করেছিলেন বটে, তবে সেটা সাঁচীস্তুপের অশোকস্তম্ভ থেকে নয়, দিল্লির লৌরিয়-নন্দনগড় অশোকস্তম্ভ থেকে।
Sakal theke gota 2-3 bar check kore felechi natun parbo elo kina?.darun hoyeche..amar gato dasake pora itihash hurmurie fire asche..Romila Thaparer boie esab nie darun alochona ache..chobigulo.khub bhalo hoyeche..mone hocche Sanchi nice aro ak parbo hole valo hoto..ato taratari pore fellam..tor aktao chabi nei keno?
ReplyDeleteআমার ছবি দেখতে চাস? বেশ, পরের পর্বে দেখাব।
Delete"শোনা যায় পরবর্তীকালের কোনও এক স্থানীয় জমিদার আখমাড়াই করার জন্য আর কিছু না পেয়ে অশোকস্তম্ভের খানিকটা ভেঙে নিয়ে সে দিয়ে কাজ চালিয়েছিলেন।"
ReplyDelete!!!!!!
Maaney, ki ar bolbo.
সিরিয়াসলি কিছু বলার নেই, বিম্ববতী।
Deleteওরে বাবা, শাল ভান্জিকার (বানানটা লিখতে পারলাম না) বিবরণ পড়ে যাকে বলে আক্ষরিক অর্থে LOL :) খাসা হয়েছে, জন্মে ভুলবনা এই definition ..
ReplyDeleteআরে, ওটাই তো সত্যি, কাকলি।
Deletejio K jio.....kaal theke dwitiyo porber ashay baar baar chek korchi. ekkere gograshe giley fellam.....daroon laglo porte!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, শম্পা।
Deleteক্রিকেট খেলায় ইন্টারেস্ট আছে? এই তো সবে বিশ্বকাপ শেষ হল। মহান খেলোয়াড়রা জেনারেলি সব কিছুই পারেন, কিন্তু সবার এক একটা সিগনেচার টিউন থাকে... যেমন সৌরভ গাঙ্গুলির স্ট্রেট ড্রাইভ।
ReplyDeleteঠিক সেরকম কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিগনেচার টিউন হল ইতিহাস।
আরে আরে লজ্জা দেবেন না, দেবাশিস। ক্রিকেট খেলায় একেবারেই উৎসাহ নেই, যতটুকু আছে সেটুকু ভারত জিতলে উৎসাহে আর হারলে বিষণ্ণতায় (যদি সে খেলার খবর কানে আসে তবেই)। আর সৌরভ গাঙ্গুলিকে কেউ প্রশংসা করলেও সেটাও ইন্টারেস্ট পাই। সেই যে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন অফসাইডে একনম্বর গড, দু'নম্বর দাদা - সেটা আমি মনে করে রেখেছি। অফসাইড কাকে বলে সেটাও গুগল করে জেনে নিয়েছিলাম। আমার প্রাদেশিকতার জবাব নেই।
DeleteJodi izajat dan tahole boli, Kuntala-debi jodi-o bhromon kahini khub i bhalo lekhen, tobe amar mote sobchaye bhalo lakhen je gulo tar mul dhara holo 'maya'.
Deletebah darun laglo pore..porertar jonya wait korchhi :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, চুপকথা।
Deletedarun darun chhobi... ar itihas o darun... khub bhalo berie nichhi tomar songe... :-)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা।
DeleteCharles Allen er Ashoka porecho Kuntala di? Okhane ei James Princep ar onar successor ra ki kore Ashoka ar tar importance in Indian hisotory ta ber korechilen khuje khuje tar puro golpo lekha ache. Shunte itihash kintu porte thriller er cheye kichu kom lagbe na.
ReplyDeleteAmi Bhimbetka chapter er jonno opekkha korchi. Shunechi cave painting ache okhane.
পড়িনি, কুহেলি। তবে এবার হাতে পেলে নিশ্চয় পড়ে দেখব।
DeleteVimbetka niye Kakababu er ekta Golpo chilo na???
ReplyDeleteআমার মনে নেই, অর্ণব।
DeleteAche, "bhupal rohosyo", seta te mingma o ache. Paharchura-i Atonko-r porer golpo.Sekhan-i ami prothom bhimbetka-r naam sunechilum.
DeleteWah !! Kuntala !! Wah !! asadharon lekha :) history ta erokom golper moton kore bolar jonyo bahoba janai tomar talent ke... emnitei amar historical place ghorar byapare utsaho prochur r ekhon tumi esob post korchho bole virtual bhromon tao besh jutsoi hochhe :) - Bratati.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ব্রততী।
DeleteSchool a thaka kalin history r tution ta tor theke nile ontoto itihas a patihas type obostha hoto na amar. Tokhon keno parali na amai kunti...
ReplyDeleteউল্টোটাও হতে পারত কিন্তু, ভট্টা।
Deletesotti school e jodi erokom golper moto itihas porar upay thakto onek besi number pete partam... :P khub bhalo laglo... last photota khub sundor...
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঊর্মি।
Deleteছবিগুলো ভীষণ সুন্দর, আর লেখাটার কথা নাহয় নাই বললাম। আমাদের এলাহাবাদের কেল্লার মধ্যে একটা অশোকস্তম্ভ দেখেছিলাম, আর আমার এক জেঠু তার গায়ের পালি ভাষার লেখাগুলো গড়গড় করে পড়ে দেওয়ায় আমি ভয়ানক আশ্চর্য্য হয়েছিলাম। আপনার ভ্রমণ কাহিনীর পরের অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteঅশোকস্তম্ভ নিয়ে ঘাঁটতে গিয়ে আপনাদের ওদিককার অশোকস্তম্ভটার কথা জানতে পারলাম, সুগত।
DeleteThe dangerous acrobatic pose of Shaalbhanjika has a very important structural purpose. Her pose is mathematically calculated to transmit the load of the cantilever portion of the beam. The people who built these had proper engineering knowledge with beautiful artistic sense. - Gautam Banerji
ReplyDeleteওহ, এটা জানা ছিল না। থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
DeleteDarun laglo
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
Delete