লেখা নিয়ে লেখা
যে কোনও গল্প কারও
একটা নামে চালাতে পারলে সে গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। আমি যদি বলি কাল রাতে ঘুম
আসছিল না, ছাদে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম, যেই না দাঁড়ানো অমনি দেখি একটা ভূত, তাহলে কেউই
বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আমি যদি বলি কাল রাতে আমার বন্ধুর ঘুম আসছিল না বলে ছাদে
গিয়ে দাঁড়িয়েছিল আর যেই না দাঁড়ানো অমনি একজন সাদা কাপড় পরা মহিলা মুণ্ডু হাতে
নিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে গেল তাহলে সবাই সেটা শুনে চেঁচিয়েমেচিয়ে একে অপরকে জাপটে ধরে
একাকার করবে। বলবে, লিখে ফেল, লিখে ফেল, এমন রোমহর্ষক ঘটনা ফেলে রেখ না। লিখে
সাপ্তাহিক বর্তমানে পাঠিয়ে দাও, ছাপাবেই, গ্যারান্টি।
এই কথাটা ছোটবেলায়
জানা থাকলে আমি ওই বোকামোটা করতাম না। আমাদের এক দিদিভাই কর্মজীবনের
শেষ দিন স্কুলশুদ্ধু মেয়েকে পানতুয়া খাইয়েছিলেন। আমি কৃতজ্ঞতাবশত বাড়িতে এসে যেই
না হাত গোল গোল করে দেখিয়ে বলেছি আজ সু-দিদিভাই আমাদের এই অ্যাত্ত বড় বড় পানতুয়া
খাইয়েছেন তখন আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বাড়িশুদ্ধু লোকের কী হাসি। পিসি বলেছিল,
গুগাবাবায় রবি ঘোষ আর তপেনও নাকি অত বড় রাজভোগ খায়নি, তাও তো শুনেছি শুটিং-এর জন্য
সে সব রাজভোগের ভেতর ময়দার লেচি পুরে সেগুলো বানানো হয়েছিল।
অথচ তার কিছুদিন
পরেই কে যেন একটা এসে সামনের ঘরে বসে বলছিল তার কোন এক বন্ধুর বন্ধু যেন শক্তিগড়ের
ল্যাংচা খেয়ে এসেছে, যার সাইজ ঠিক সদ্যোজাত শিশুর পাশবালিশের মতো। বাড়ির সকলে
গম্ভীর মুখে মাথা নাড়ল, পিসিশুদ্ধু। আবার বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ শক্তিগড়ের ল্যাংচা তো
নামকরা।
এখন যে কোটেশনটার কথা
বলতে যাচ্ছি সেটা কিন্তু মিছিমিছি কারও নামে চালাচ্ছি না, কথাটা সত্যিই কেউ
বলেছিলেন। কে বলেছিলেন সেটা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। খুব সম্ভবত, হেমিংওয়ে।
বিখ্যাত লেখকদের লোকে হয় অটোগ্রাফের জন্য বিরক্ত করে নয়ত লেখাসংক্রান্ত টিপস
অ্যান্ড ট্রিকসের জন্য। এই দ্বিতীয় ব্যাপারটায় হেমিংওয়ের অস্বস্তি ছিল। তাঁর কুসংস্কার
ছিল যে অন্যের লেখা নিয়ে উপদেশ দিতে গেলে তাঁর নিজের লেখার মান পড়ে যাবে। দুই, হেমিংওয়ে
মনে করতেন যাদের আর লেখার কিছু নেই, তারাই লেখা নিয়ে লেখে।
হেমিংওয়ের ধারণার
লেখার সঙ্গে আমার লেখার দূরদূরান্তের কোনও আত্মীয়তা নেই তবু আজকের পোস্ট লিখতে
বসার আগে কথাটা মনে পড়ল। আমারও যে লেখার কিছু নেই সেটা গত সপ্তাহের অবান্তর দেখেই
বোঝা গেছে, তাই আমি আজ লেখা নিয়ে লিখতে বসেছি।
লেখার কেন কিছু ছিল
না? কারণ লেখার মতো কিছু ঘটেনি। ঘটেনি মানে কী? খবরের চ্যানেল খুললে তো সে রকম
কিছু বিশ্বাস করা মুশকিল। ঘটনাদুর্ঘটনার ঘনঘটায় তো ছেয়ে রয়েছে ইন্টারনেট আকাশ। তার
থেকে যে কোনও একটা বিষয় বেছে নিয়ে লিখলেই হয়। যে বিষয়টা তোমার মনে ধরে। ধর্ষণ, মৌলবাদিতা
কিংবা জাতিবিদ্বেষ।
মুশকিল হচ্ছে আমি এসব
নিয়ে লিখতে চাই না। আমি মনে করি এগুলো অত্যন্ত গুরুতর বিষয় এবং এসব নিয়ে আলোচনা
করার মতো মানসিক পরিণতি আমার নেই। কারও কারও থাকে। আমি তাঁদের লেখা পড়েই সমৃদ্ধ
হতে চাই। আমার অপরিণত, অপরিশীলিত মত প্রকাশ করে বিষয়টাকে খেলো করতে চাই না। তাই
আমার লেখার বিষয় শুধু আমার দশটা পাঁচটা কেরানির জীবন। আর সেখানেই অসুবিধেটা। এই
দশটা পাঁচটা কেরানির জীবনে আর কত ঘটনাই বা ঘটতে পারে যেটা নিয়ে সপ্তাহে তিনবার
বারোশো শব্দের পোস্ট লেখা যায়?
কিন্তু বিষয়ের
অভাবটাই কি কারণ? তাহলে তো সে কারণটা গত সপ্তাহেও যেমন সত্যি ছিল তার আগের
সপ্তাহেও ততটাই সত্যি ছিল। তার আগের সপ্তাহেও আমার জীবনটা এমন কিছু বর্ণময় ছিল না।
পরশু থেকে যে সপ্তাটা শুরু হতে চলেছে সেটাও এমন কিছু বর্ণময় হবে না। কাজেই বিষয়ের
অভাবকে দোষ দিতে আমার বাধছে।
অভাবটা আসলে
পরিশ্রমের। শুনতে অদ্ভুত লাগবে কিন্তু এই পাঁচশো শব্দের অবান্তর প্রলাপ টাইপ করতেও
আমার ভয়ানক পরিশ্রম হয়। রোজ রোজ তিলকে তাল করে লেখার গুরুদায়িত্ব পালনের দুশ্চিন্তায়
আমার ঘাড়ের কাছটা সর্বক্ষণ গিঁট পাকিয়ে থাকে। যেদিন তিলটুকুও পাওয়া যায় না সেদিনের
জন্য একটা ‘চেনেন নাকি’ কিংবা মনের মতো একখানা কবিতা খুঁজে বার করতে ইন্টারনেট
ছেনে ফিরতে হয়।
আর তারপর একদিন
সকালে উঠে হঠাৎ মগজের ভেতরের স্নায়ুরা বিদ্রোহ করে। ধুত্তোর, আজ নিজেই নিজেকে ছুটি
দেব। কালকের পোস্ট নিয়ে আজ আর ভাবব না। সকাল যায়, দুপুর যায়। পোস্ট নিয়ে না ভাবাটা
যে শুধুই আরামের হয় তা নয়। আরাম ছাপিয়ে ওঠে অপরাধবোধ। তার থেকেও বেশি আতংক। অবান্তরের
খালি পাতা দেখে দেখে ফিরে যাবে সবাই। তারপর আর খোঁজ নিতেও আসবে না।
দাঁতে দাঁত চেপে এই
আতংকের পর্বটুকু পেরিয়ে আসতে পারলেই অবশ্য কেল্লা ফতে। দুশ্চিন্তাও তো একটা
অভ্যেস। কিংবা দিনের পর দিন না পোস্ট করাটা। সেই অভ্যেসটা জাঁকিয়ে বসে। যে সময়টা
অবান্তরের পেছনে খরচ হত সে সময়টা ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে দিব্যি খরচ হয়ে যায়।
তারপর একদিন একটা সত্যি
মাথার ভেতর পরিষ্কার হয়ে যায়। এই যে আর অবান্তরের কথা ভাবছি না, তাতে ক্ষতি কী
হচ্ছে? যখন অবান্তরের কথা ভেবে ভেবে পাগল হই, তাতেই বা লাভ কী হয়? অনেকদিন আগে
মায়ের বলা একটা কথা মনে পড়ে যায়। ব্লগ লিখে সময় নষ্ট করার বাতিকটা ছাড়ানোর আশা যখন
মায়ের তখনও ছিল। ছাদে বসে মা বলছিলেন, “ছেড়ে দাও না সোনা মা, নিজের জীবনের অন্য
জরুরি কাজগুলো কর ওই সময়টায়। ব্লগ তো যখন খুশি লেখা যায়, কিন্তু ওই কাজগুলো করার
সময় তো আর ফিরে আসবে না। পরে যদি আফসোস হয়?” আমি বলেছিলাম, “অভ্যেস হয়ে গেছে মা,
এখন ছাড়া যাবে না।” মা আত্মবিশ্বাসী গলায় বলেছিলেন, “ছ’মাস না লিখলেই অভ্যেস চলে
যাবে।”
যথারীতি মা ঠিক। ছ’মাসও
লাগবে না, ছ’দিন না লিখলেই বাতিক প্রায় ছাড়ো ছাড়ো হয়। আর যদি কষ্টমষ্ট করে এই
ছয়টাকে টেনে ষোলো বানানো যায়, কিংবা ছাব্বিশ, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান। এমনকী
হঠাৎ একদিন ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে খেলতে হঠাৎ ব্লগের কথা মাথায় উঁকি মারলে মনে হতে
পারে, কেন মরতে অত সময় নষ্ট করতাম? কীসের আশায়? কোন সুখে? অপরাধবোধের বিন্দুমাত্র
আঁচও টের পাব না বুকের ভেতর। আপনাদের অবান্তরে টেনে রাখার জন্য আকুলিবিকুলি মিলিয়ে
যাবে। মনেই পড়বে না অবান্তরের পাতায় আপনাদের আনাগোনা আমার জীবনের কতখানি জুড়ে ছিল।
ভাবতেই শিউরে উঠলাম।
সে সময়টা এখনও আসেনি। সেটাকে এখনই আসতে দেওয়া যাবে না। তাই আজ ধরে বেঁধে ওয়ার্ড ফাইলের
সামনে নিজেকে বসিয়েছি। এই ন’শো উনিশ শব্দ লিখতে ন’শো উনিশ বার মনঃসংযোগের সুতো
ছিঁড়েছে, ন’হাজার বার মনে হয়েছে, ধুত্তেরি এর থেকে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলা ভালো। তবু
লিখলাম। আশা করি না-লেখার জ্বর ছাড়াতে এই কষ্ট যথেষ্ট হবে।
Ki sorbonash! Eisob olukkhune kotha bolte achhe? Tar cheye borong duto onubaad chhapo. Original lekhar theke chaap kom, abar besh ekta interesting jinish chhapao holo.
ReplyDeleteএইটা একেবারে মোক্ষম ধরেছ, বিম্ববতী। অনুবাদের মজাটা। যা ভাবার একজন অলরেডি ভেবে রেখেছে, আমার দায়িত্ব খালি বাটপাড়ি। একটা অনুবাদ আসছে, বাই দ্য ওয়ে।
DeleteSotyi bolchhi, last tindin dhore abantor e ese ghure gechhi.. aj "home task" er lekhata pore ektu bhorsa pelam je aro lekha aschhey.
ReplyDeleteআসছে আসছে, চুপকথা। ফিরে গিয়েও আবার যে এসেছেন সে দেখে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। থ্যাংক ইউ।
DeleteEkta katha. Pata bhoratei hobe satty erokom chap a porar mane nei..amar kom buddhi te tai mone hochchhe. Eki itihas poriksha naki. Ami bapu bhalo golpo holei beshi khusi, poriman a onek kom holeo. se kom boyese mone hoto beshi beshi chai....gamma paloyan er moto khete hobe, sab kota nam kora boi na porle jeeban britha etc. Ar serious gyangorbho lekha to ekdom porte pari na. Ekta poll kore dekhte paren....
ReplyDelete"সবক'টা নামকরা বই না পড়লে জীবন বৃথা" এই চাপটা সিরিয়াসলি সাংঘাতিক। হাই ফাইভ। আপনার কথা আমি সম্পূর্ণ সমর্থন করছি। সত্যি বলতে কি কোয়ানটিটি আর কোয়ালিটির ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের মিথটাকেও তো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু আমার মুশকিলটা হচ্ছে, আমি ভয়ানক ফাঁকিবাজ। "লিখতে হবে লিখতে হবে" এই চাপে নিজেকে না রাখতে পারলে আর লেখাই হবে না। সেই জন্য ওপরের কাঁদুনিটা গাইলাম আরকি।
DeleteApni lekha bondho korben na pls,Choto chotob ghotonai bodhoi amar moto oneke-r r bhalo lage
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, অভীক। আপনার যে অবান্তরকে ভালো লাগে সে কথা জেনে শান্তি পেলাম। লেখা বন্ধ করার প্রশ্নই নেই। সেই প্রশ্নটা যে নেই সেটা নিজেকে মনে করানোর জন্যই ওপরের পোস্ট।
DeleteOi Kunti..... Tor sathe tor ei lekha diyei toh notun kore jogajog hoi , kotha hoi... Prai roj... Esob bhul bhal chinta korisna tui.. Ki sundor lekha tor.. Kokkhono charis na.. Chere dile abar kothai hariye jabi , khuje pabo ki kore? Tui ja icche tai likhis , setai osadharon hobe..
ReplyDeleteহাহাহা, এই খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা ভালো বলেছিস, ভট্টা। আমারও তোর সঙ্গে এখানে কথা বলতে দারুণ লাগে। তোর ছোটবেলার ছবিটা তো মনের ভেতর ছিলই, এখন যেন বড়বেলার ছবিটাও আন্দাজ করতে পারি।
Deleteশেষ প্যারাগ্রাফটায় পৌঁছনোর আগে অবধি সাংঘাতিক ভয় পেয়ে গেছিলাম, এক একবার মনে হচ্ছিল এপ্রিল ফুলস ডে'র পোস্টটা হপ্তা দুয়েক আগে এসে গেল নাকি! শেষটায় ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। জীবনের সাথে 'অবান্তর' এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে মাঝে মধ্যে এ পাড়ায় আসতে না পারলে নিজেরই অপরাধবোধ হয়। তুমি 'অবান্তর' গুটিয়ে নিলে সত্যি মর্মান্তিক ব্যাপার হবে!
ReplyDeleteএই রে, অপরাধবোধ ভীষণ বাজে ব্যাপার, পিয়াস। আমার সর্বক্ষণ হয় অবশ্য। কিন্তু আমি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছি, তুমিও কর। অবান্তর গুটিয়ে নেওয়ার প্রশ্ন নেই। ভালো কথা, একটা কুইজের আইডিয়া মাথায় এসেছে, সামনের সপ্তাহে না হলেও পরের সপ্তাহে হবেই। রেডি থাকো।
Deleteঝেড়ে কি আর অত সহজে ফেলা যায়? আর কুইজ মিস করলে তো কথাই নেই! পরেরটার জন্য এখন থেকেই রেডি হয়ে থাকলুম!
Deleteঅবান্তর এ উঁকি দিয়ে দিন শুরু, আবার অবান্তরে উঁকি দিয়েই দিন শেষ, মাঝের লুকিয়ে চুরিয়ে উঁকি গুলো নাহয় বাদ ই দিলাম।
ReplyDeleteসপ্তাহে একটা পোস্ট ই কর, তাহলেই মন ভরে যাবে। কিন্তু যা এই লেখার প্রথম দিকে ভাবতে শুরু করেছিলে, তা আর ভেব না প্লিস :( গুরুগম্ভীর আলোচনা তো সর্বত্র পরছি, ফেইসবুক এ , অনলাইন নিউসপেপার এ - কিন্তু এই জায়গাটা বেশ শান্তির জায়গা, সেটুকু রেখো।
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, কাকলি। সপ্তাহে একটার বেশি পোস্ট করা আমার নিজের মানসিক শান্তির জন্যই প্রয়োজন। না হলে আপনাদের সঙ্গে কথা বলা হবে না। আমারও অবান্তর খুব শান্তির জায়গা।
Deleteamar apnar blog e prothom comment. postdoc kori. office r bondhu postdoc ekdin apnar blog r katha bolate 1 week lekha pora chere 2011 sal theke joto post chilo sob pora sesh korlam. bhujtei parchen je apnar lekha amar bhalo lage. ami feedly bole ekta chrome addon die blog gulo ke subscribe kore pori, ta seta te apanr blog r kono post koek din na asate ami bhablam je kichu golmal koreche bodhoy feedly, tai 2/3 bar apnar blog khuleo dekhlam. ta aj ker post ta pore byapar ta bhujlam...
ReplyDeletekatha holo ei je already apnar ekta khub bhalo, ebong dedicated, pathok gosthi ache. mone hoi na tara keui ei blog ta pora chere debe post r sankhya kichu komle. amar to mone hoi loke blog lekhe nijer jiboner kichu katha bole chap komanor jonnye, baranor jonye noi. tai kichu din rest nin. niyomito lekha khub sottyi i sohoj kaj noi. tai somo nie, anondo kore jomie likhun ar amrao bingo khete khete pori.
আহা, মন ভালো হয়ে গেল। অবান্তরে স্বাগত। থ্যাংক ইউ। আমিও ফিডলি ব্যবহার করি। বেশ সুবিধেজনক, তাই না?
Deleteআপনি ঠিকই বলেছেন, চাপ কমানোর জিনিস যদি চাপ বাড়ানোর কলে পরিণত হয় তবে তার থেকে বিতিকিচ্ছিরি আর কিছু হয় না। সবই আসলে ব্যালেন্সের ব্যাপার, আর আমার অভিধানে ওই ব্যালেন্স শব্দটাই বাড়ন্ত। অবান্তরের পাঠককুলের ওপর আপনার আত্মবিশ্বাস দেখে আমি মুগ্ধ। সত্যি বলতে কি, ওটিই আমারও সবথেকে বড় ভরসার জায়গা। আমার নিজের কারিকুরির থেকেও।
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete:) শুধু স্মাইলি টা দিয়ে কিরকম খালি খালি লাগলো। কল্পনাশক্তি সের্গেই বুবকা সম দ্রুততায় নিচের দিকে নামছে, তাই কমেন্টও ব্রিফ এন্ড টু দ্য পয়েন্ট রাখতে হচ্ছে।
ReplyDeleteভালোই করেছ অনির্বাণ বাকিটুকু লিখে। আমার আবার শুধু স্মাইলি দেখলে কল্পনাশক্তি ঊর্বর হয়ে ওঠে। স্মাইলটা সোজা না বেঁকা সেই নিয়ে মাথা ঘামাতে থাকি।
DeleteLekha koi..lekha chai !!- Tinni
ReplyDeleteআসছে আসছে, তিন্নি।
Deletelekha bandho korbe tumi??? eirakomta bhebona please. Abantor e lekha bandho hole amader cholbe ki kore?
ReplyDeleteনা না, সে রকম কোনও বদমতলব নেই, ইচ্ছাডানা। সেটাই নিজেকে মনে করাতে চাইছি।
Deleteঅন্যান্য কাজের মধ্যে থেকে সময় বের করে লেখাটা যে কি শক্ত কাজ সেটা আমি জানি, আর যেহেতু এটা "অপ্রয়োজনীয় কাজ" তাই এটাই সবার আগে বন্ধ হয়। তবে আপনি লেখা থামাবেননা, অল্প করে হলেও লিখতে থাকুন। আমরা রোজ হাঁ করে বসে থাকি অবান্তরের দিকে চেয়ে।
ReplyDeleteঠিক বলেছেন, সুগত। বাকি সবের সময় পাওয়া যায়, এটার সময়েই শুধু টান পড়ে।
DeleteNaaaaa. Erokom kotha bole na! Ekta quiz diye dao na hoy! Amra matha ghamaiye! Tumi dudin bishram noa!
ReplyDeleteহাহা রুণা, বিশ্রাম কিছু কম পড়েনি, বিশ্বাস কর। আর একটু কম পড়লেই বরং ভালো হত।
Deleteore baba, erokom katha swapneo bhebo na....ja khushi lekho, tomar lekha r gune setai amader porte bhalo lagbe ebyapare ami nischit ...oti sadharon ghotona o tomar lekhar gune porte bhalo lage..
ReplyDeletetumi ekta Mrs. banerjee category r post lekho- anekdin serokom kichu porini...ektu request korlam r ki !! Bratati.
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, ব্রততী। মিসেস ব্যানার্জি ভালো লেগেছিল বুঝি? গুড গুড। ভালো লাগবে কি না জানি না, তবে মিসেস ব্যানার্জিকে নিয়ে লেখার মালমশলার আমার অন্ত নেই। দাঁড়াও, ভাবি।
DeleteTumi lekha bondho korle tomar fan club er lokjon khepe jabe, jar modhye amio akjon.
ReplyDeleteনা না, লোকজনকে খেপানোর আমি ভয়ানক বিরুদ্ধে, কুহেলি। সে তারা আমার ফ্যানই হোন কিংবা শত্রু। তুমি আমার লেখা পছন্দ কর যেনে খুব খুশি হলাম, কুহেলি। থ্যাংক ইউ।
Delete