সাঁচী ভীমবেটকা/ ১
ভোর ৪টে ৪৫: ফোন বাজছে। অন্ধ্রপ্রদেশের নম্বর। এখন ধরার প্রশ্নই ওঠে না। কেটে দিলাম।
আবার বাজছে। উফ, কে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ফোন করছে এখন? যত্ত সব। আবার কেটে
দিতে যাব, এমন সময় বাজ পড়ার মতো করে মনে পড়ল।
মেরুক্যাব! আজ আমরা সাঁচী যাচ্ছি! ছটায় নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন
ছাড়বে। ট্যাক্সি আসতে বলা হয়েছে প'নে পাঁচটার সময়!
অ্যাই, ওঠো ওঠো, প'নে পাঁচটা বাজে, নিচে ট্যাক্সি এসে গেছে। এই না বলে আমি
বাথরুমের দিকে ছুটলাম। অর্চিষ্মানও ধড়মড় করে উঠে বিছানা গুছোতে লাগল। ট্রেন মিস
হয়ে গেলে কিছু বলার থাকবে না। ছি ছি ছি।
৫টা ১০:
ট্যাক্সি চলতে শুরু করেছে। এই যে হুড়োতাড়াটা হল এর দোষ সম্পূর্ণ আমার। কমপ্লিটলি,
এনটায়ারলি আমার। রোজ যে সময় অ্যালার্ম দেওয়া থাকে, চারটেয়, সে রকম দেওয়া থাকলে
কোনও সমস্যাই হত না। কিন্তু সব ব্যাপারে একটু পাকামি না করলে আমার চলবে কেন।
অবান্তরের জন্য একটা পোস্ট আশি শতাংশ লেখা হয়ে আছে, বাকি কুড়ি শতাংশ লিখে পাবলিশ
করে বেরোব বলে তিনটেয় অ্যালার্ম দিয়েছি। এদিকে কাল অফিস থেকে ফিরতে বেজেছে আটটা।
খেয়ে দেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে টিভি দেখে (তখন টিভি না দেখে লেখাটা শেষ করলেই হত, কিন্তু
সে রকম করলে তো অনেক কিছুই হত) শুতে শুতে এগারোটা। আর এগারোটায় শুয়ে তিনটেয় উঠে সাহিত্যসৃষ্টির
তাড়না আমার এখনও জন্মায়নি। তিনটের
সময় অ্যালার্ম বেজেছিল দুটো ফোনেই। দুটোই ডিসমিস করে আবার ঘুমিয়ে পড়েছি। তার
পরিণতি এই।
যাই হোক, যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন ভেবে লাভ নেই। এবার জানালার বাইরে মন দেওয়া
যাক। এই সময় রাস্তায় বেশি কেউ নেই, যারা আছে তারা এ সময় রোজই থাকে, আমাদের মতো এক
আধদিন শখে বেড়াতে বেরোয় না। ট্যাক্সিতে ভাইসাব আস্তে করে রামলীলা চালিয়েছেন। দারুণ
লাগছে শুনতে। গাইয়ে রীতিমত দক্ষ। একা গলায় রাম, লক্ষ্মণ এবং সীতার গান সামলাচ্ছেন। রামের গান যখন হচ্ছে
তখন গলায় বেশ একটা ফোঁপরদালালির ভাব, লক্ষ্মণের বেলায় গলবস্ত্রতা, সীতার বেলায়
অসহায় কাঁদুনি – সব নির্ভুল ফুটেছে। গানের মাঝে মাঝে যে কথাবার্তা আছে সেটাও
নাটকের মতো করে বলছেন ভদ্রলোক। পতি কে লিয়ে মা-আ-লা বুন রহি হ্যায় সীতা। লা-য়ের
ওপর এমন একটা ঝোঁক দিচ্ছেন যে শুনলেই কেয়া বাত কেয়া বাত, তওবা তওবা বলে উঠতে ইচ্ছে
করে। এই সময় যদি ট্রেন মিস
করে যাওয়ার আতংকটা না থাকত আরও না জানি কত ভালো লাগত শুনতে।
৫টা ৪৫:
করিনি! করিনি! ট্রেন মিস করিনি! করানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থাই তৈরি ছিল। এটা আমি
আগেও দেখেছি, একই ভুল অন্যে করলে দিব্যি পার পেয়ে যায়, আমি করলে আর রক্ষে নেই,
শাস্তির খাঁড়া তিনগুণ হয়ে আমার গলায় নামবে। স্টেশনের বোর্ডে দেখি ট্রেন ছাড়বে অন
টাইম। আমরা আসছি ষোলো নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে, ভোপাল শতাব্দী দিয়েছে এক
নম্বরে। আমাদের কোচটাও প্ল্যাটফর্মের ওই মাথায়, সিঁড়ির মুখ থেকে একশো মাইল দূরে।
ট্রেনে পা রাখলাম যখন তখন বুকের ভেতর হৃদপিণ্ড আছাড়িপিছাড়ি খাচ্ছে, মাথার রগদুটো
ছিঁড়ে যাচ্ছে। খানিকটা টেনশনে, খানিকটা চায়ের অভাবে। এরা চা দেবে কখন?
১০ টা ৫০: আমি
ঘণ্টা তিনেক চেয়ার হেলিয়ে মুখ হাঁ করে ঘুমিয়ে নিয়েছি। মাথাধরাটা এখনও ছাড়েনি। এদের
টিব্যাগ চোবানো গরম জলে ছাড়ার আশাও নেই। মধ্যপ্রদেশে পৌঁছে সত্যিকারের চা খেতে
লাগবে। রাজস্থানে উটের দুধের চা, মানস সরবোরে চমরি গাইয়ের দুধের চা পাওয়া যায়
শুনেছি। মধ্যপ্রদেশে কোন এক্সোটিক জন্তুর দুধের চা পাওয়া যাবে সেটা ভাবতে ভাবতেই
জানালা দিয়ে দেখলাম একদল নধর ছাগল রেললাইনের পাশের ক্ষেতে চরে বেড়াচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশ আসাটা অনেকটাই হুট করে। দিল্লিতে থাকলে বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রথমেই
মাথায় আসে কুমাউন গাড়োয়ালের নাম। কিন্তু আমি বেঁকে বসেছিলাম যে এবার পাহাড় যাওয়া
চলবে না। গত সপ্তাহে একদিন কী কারণে পুরোনো ফোল্ডার খুলে ছবি দেখতে গিয়ে কুয়াশার
মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একটা গাছের ছবি দেখে মিনিটখানেকের জন্য ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলাম।
এটা কসৌলির কুয়াশা, নাকি রামগড়ের, নাকি ম্যাকলয়েডগঞ্জ? নাকি শিলঙের? এমন নয় যে
কুয়াশা দেখতে আমার একঘেয়ে লাগে। কিন্তু এটাও সত্যি চট করে ঘুরে আসা যায় বলে আমরা
পাহাড়ে যত যাই, অন্য জায়গায় তত যাওয়া হয় না।
যাওয়ার জন্য এবার আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল আসাম। তিনসুকিয়া-শিবসাগর না
হাফলং-জাটিঙ্গা সেই নিয়ে ক’দিন খুব জলঘোলা হল। তারপর দূরত্বের দোহাই দিয়ে নর্থ ইস্ট
বাতিল হয়ে গেল, আমরা ভাবলাম বরং জয়সলমীর যাই। তাঁবুর বাইরে খাটিয়ায় শুয়ে শুয়ে মরুভূমির
আকাশের তারা দেখে আসি। রাতে আকাশভরা নক্ষত্রাবলোকন, সকালে উষ্ট্রপৃষ্ঠে স্যান্ডসাফারি।
হঠাৎ কখন মন দিক বদলে দক্ষিণ দিকে রওনা দিয়েছে আমরা টেরও পাইনি। আর দক্ষিণ
বলতে হাতের কাছে মধ্যপ্রদেশ। আর মধ্যপ্রদেশে যেতে হলে যাওয়া সবথেকে সুবিধে ভোপালে।
আর ভোপালের হাতের কাছেই সাঁচী-ভীমবেটকা। ব্যস। মনস্থির হয়ে গেল।
১০টা ৫০: এটা
কী স্টেশন? ঝাঁসি? এখানে ট্রেন থামবে মনে হচ্ছে। আমাদের কোচ থেকে দু’জন বিদেশী
ট্যুরিস্ট নামার তোড়জোড় করছে। লক্ষ্মীবাইয়ের
বাড়ি দেখতে যাচ্ছে বোধহয়। মাথার ওপর দৈববাণীর মতো মহিলার গলা ভেসে এল। ঝাঁসি মে
ট্রেন আট মিনিট রুকেগি।
আ-আ-ট মিনিট! আমি অর্চিষ্মানকে তাড়া লাগালাম। যাও যাও, মুখ চালানোর জন্য কিছু
কিনে আনো। অর্চিষ্মান,
“বা, বেশ মজা তো” বলে প্রতিরোধের খানিকটা অপচেষ্টা করে শেষে রওনা দিল। আমি বললাম,
“টেনশন কোরো না, ভেস্টিবিউল ট্রেন, ছেড়ে দিচ্ছে দেখলে যে হাতের সামনের কামরায় উঠে
পোড়ো।”
অর্চিষ্মান চোখ ঘুরিয়ে চলে গেল, আমি বসে বসে নিজের পরিবর্তন দেখে অবাক হতে
লাগলাম। আমার বাবা যখন আট মিনিট কিংবা আধ মিনিটের তোয়াক্কা না করে প্রতিটি স্টেশনে
নামতেন, তখন টেনশনে আমার মাথার প্রতিটি চুল খাড়া হয়ে থাকত, যতক্ষণ না বাবাকে আবার
দেখতে পেতাম ততক্ষণ নামত না। বাবাও কখনওই ট্রেন ছাড়ার আগে উঠতেন না। আমার মনে আছে প্রথম
যখন অর্চিষ্মানের সঙ্গে দূরপাল্লার ট্রেনে করে যাচ্ছিলাম, তখন ও যে ট্রেন
থামামাত্র নেমে প্ল্যাটফর্মে উধাও হয়ে যায় না এই ব্যাপারটা দেখে আমার মনে বেশ
নিশ্চিন্তিভাব জেগেছিল। যাক বাবা, ওয়ান টেনশন লেস। (এই তিনটে ইংরিজি শব্দ দেখে আমার
একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল, আপনাদের পড়ছে কি? একটা সূত্র দিই, টেনশনের জায়গায় একটা বিষধর সাপের নাম বসিয়ে দেখুন তো) আর এখন কি না আমিই ওকে নামার জন্য তাড়া দিচ্ছি।
আবার বলছি,ছেড়ে দিলে না ঘাবড়ে রানিং ট্রেনে উঠে পোড়ো।
মধ্যপ্রদেশ আসা আমার এই প্রথম। ট্রেনের জানালা থেকে এ পর্যন্ত তার যতটুকু দেখেছি
তাতে আমি ইমপ্রেসড। প্রচুর সবুজ, প্রচুর ক্ষেত, দূরে দিগন্তরেখা। আমার কেন যেন
ধারণা ছিল ট্রেনের জানালা থেকে বাংলাদেশ বাদে যে ভারতবর্ষটুকু দেখা যায় তার সবটুকুই
রুক্ষ, শুষ্ক, নীরস। দেখতে দেখতে চললাম। ট্রেন এখনও রাইট টাইম। এইভাবে চললে দুটোয়
ভোপাল পৌঁছবে।
উর্দি পরা লোকজন হাতে কাগজের কাপ নিয়ে দৌড়োদৌড়ি করছে। এখনই সুপ
দিচ্ছে নাকি? দিলে অবশ্য অসুবিধে নেই। ব্রেকফাস্টের দু’দুটো কাটলেট হজম হয়ে গেছে
অলরেডি। ট্রেনে উঠলে এত খিদে পায় কেন কে জানে।
দুপুর ২টো ৩০:
ট্রেন ঠিক সময়েই ঢুকেছিল ভোপালে। এই দুপুরে বোধহয় বিজনেস ডাউন থাকে, বেরোনো মাত্র
অটো ট্যাক্সির যে ছেঁকে ধরা ভাবটা হয় সেটা এখানে হল না দেখলাম। একজনই ছিলেন, তাঁর
সঙ্গে মিনিট দুয়েক দরাদরির পর রফা হয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলাম। অর্চিষ্মান বলল,
শোলে দেখেছিলে? আমি বললাম হ্যাঁ। সুর্মা ভোপালিকে মনে আছে? আছে। ওর হিন্দিটা? ওরে
বাবা, অত মনে নেই। এই লোকটার হিন্দির মতো অবিকল।
স্টেশন থেকে বেরিয়ে যতটুকু ভোপাল চোখে পড়ল তাতে মন ভালো হয়ে গেছে। স্টেশনের
পাশে ছোট ছোট খুপরি বাড়ি। বাড়ি ঘিরে আনাড়ি হাতে গাঁথা আঁকাবাঁকা দেওয়ালের গায়ে
উজ্জ্বল নীল রং। সে দেওয়ালের গায়ে সাঁটা ছোট্ট রকে বসে পা দোলাচ্ছে আরও ছোট মেয়ে।
গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি আর হাফপ্যান্ট, কপালে কাজলের টিপ, চোখে কাজলের কড়া পাহারা। মাথার পাট করে আঁচড়ানো চুল
দেখে বোঝা যাচ্ছে কিছুক্ষণ আগেই মা স্নান করিয়ে চুল আঁচড়িয়ে খাইয়ে দিয়েছেন। এখন
হয়তো নিজে খাচ্ছেন কিংবা খাওয়া সেরে ঘণ্টাখানেকের জন্য গড়িয়ে নিচ্ছেন। সেই ফাঁকে স্যান্ডো
গেঞ্জি পালোয়ান গেটের বাইরে বসে চারদিকে নজর রাখছে। দু’চোখে ভাতঘুমের চিহ্নমাত্র
নেই। কোনওদিন থাকবে বলে মনেও হচ্ছে না। যতদিন না ইস্কুল থেকে ফিরে সন্ধ্যেবেলা বই
খুলে বসার কথা উঠছে।
তার একটু পরেই শহর ফুরিয়ে গেল আর আমরা প্রকাণ্ড খাঁখাঁ মাঠের মধ্যে এসে পড়লাম।
মাঠ বলা অবশ্য উচিত নয়, যতদূর দু’চোখ যায় সোনালি ক্ষেত, ক্ষেতের ওপর ঝকঝকে রোদ। সে
রোদের হুমকি অগ্রাহ্য করে চোখ কুঁচকে যদি দিগন্তের দিকে চাইতে পারেন তাহলেই দেখবেন
দিগন্তে প্রকাণ্ড অজগরের মতো শুয়ে আছে বিন্ধ্যপর্বত। বিরাট, গম্ভীর, ছায়াময়। ক্ষেতের
মধ্যে মাঝে মাঝে একটাদুটো পাকাবাড়ি ঘিরে লালনীলহলুদসবুজ চকচকে পতাকার সাজ।
ও, আর একটা ভয়ানক মজার জিনিস দেখলাম রাস্তায়। রাস্তার ধারে ধারে প্রকাণ্ড ব্যানারে কবিসম্মেলনের বিজ্ঞাপন। কবিদের ছবি দেওয়া। একটা দুটো বিজ্ঞাপন
নয়, ওই পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার রাস্তায় অন্তত পঁয়তাল্লিশটা চোখে পড়ল।
পথে আরও একটা চমৎকার জিনিস চোখে পড়ল। দিওয়ানগঞ্জের বাজার
ছাড়িয়ে খানিকটা এগোতেই দেখি রং দিয়ে আঁকা দুটো লাইন। লম্বালম্বি নয়, আড়াআড়ি।
রাস্তার পেট ফুঁড়ে এদিক থেকে ওদিকে চলে গেছে। রাস্তা পেরিয়ে লাইন যেখানে এসে মাঠে
মিশেছে সেখানে পোঁতা বোর্ডের দিকে তাকিয়ে অর্চিষ্মান চেঁচিয়ে উঠল “ট্রপিক অফ
ক্যান্সার!” আমি চেঁচালাম “কর্কটক্রান্তি!”
এই ব্যাপারটা আমার এত মজা লাগে, ছোটবেলায় স্কুলের বইতে পড়া শব্দগুলো যে যে
ভাষায় পড়েছে তার মাথায় সেই ভাষাতেই আজীবনের মতো গেঁথে যায়। তা সে শব্দগুলো বাস্তব
জীবনে যতই বিরল বেমানান হোক না কেন। সবাই বলে ডেসিডুয়াস, আমি ভাবি, “সেটা যেন কী?
ও হ্যাঁ পর্ণমোচী, মনে পড়েছে।” একই ঘটনা ঘটে জীবনবিজ্ঞান, ভূগোল, অংকের ক্ষেত্রেও।
অভিযোজন, চলনগমনরেচন, কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি, স্তরীভূত শিলা, পাললিক শিলা,
লম্ব, ভূমি, অতিভুজ।
যাই হোক, মজার ব্যাপারটা এটা নয়। আমরা দিব্যি যাচ্ছিলাম অটো চেপে, ভারতবর্ষের
মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে। দিওয়ানগঞ্জ ছাড়িয়ে সালামতপুরের
দিকে। এমন সময় কর্কটক্রান্তির বোর্ড দেখে হঠাৎ সে সব মাথার ভেতর থেকে উধাও হয়ে গেল
আর আমি স্পষ্ট দেখলাম কমলালেবুর মতো পৃথিবী বিপজ্জনকভাবে কেতরে বাঁই বাঁই করে
ঘুরতে ঘুরতে কক্ষপথ ধরে এগোচ্ছে। সে পৃথিবীর গায়ে লম্বালম্বি আর আড়াআড়ি কতগুলো
লাইন টানা। যে লাইনটার গায়ে লেখা আছে তেইশ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি উত্তর, সেই লাইনটার
গায়ে একটা ছোট্ট কালো ফুটকির মতো আমাদের পুঁচকে অটো বীরবিক্রমে ছুটছে।
বিকেল ৪টেঃ ছাগলের দুধ দিয়ে বানানো কি না জানি না, এদের চা’টা ভালো। পর পর দু’কাপ খেতেই
মাথাধরাটা ছেড়ে গেছে। ঘরে ঢুকেই চা আর পকোড়া অর্ডার করাটা ক্রমেই আমাদের পারিবারিক
ঐতিহ্যে পরিণত হচ্ছে। এবারে ঐতিহ্য রক্ষায় কোনও অসুবিধেই হয়নি কারণ আমাদের দুজনেরই
খিদে পেয়েছিল জোর। তাই চা, পকোড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই এবার বাড়তি চিকেন স্যান্ডউইচ।
ঐতিহ্যের কথা লিখতে গিয়ে হঠাৎ একটা কথা মাথায় এল। লোকে কত রকমের কত প্রোজেক্ট
নেয় জীবনে, আমরা একটা নিতে পারি যে ভারতবর্ষের সবক’টি রাজ্যের সবক’টি ট্যুরিস্ট
ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের হোটেলের মিক্সড ভেজ পকোড়া আমরা খেয়ে দেখব। আইডিয়াটা
অর্চিষ্মানকে বলে দেখতে হবে।
আমরা ঘর নিয়েছি মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের গেটওয়ে রিট্রিট হোটেলে। অনলাইন বুকিং
করা ছিল। আমরা চিরকাল সরকারি হোটেলের পৃষ্ঠপোষক। শুরুতে কারণটা ছিল ট্যাঁক, কিন্তু
এখন এমন খারাপ অভ্যেস হয়েছে যে সরকারি জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও থাকার সম্ভাবনাটাই
মাথায় আসে না (ট্যাঁকের কারণটা অবশ্য এখনও প্রযোজ্য আছে)। সে ট্রিপঅ্যাডভাইসর
ফোরামে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, সরকারি হোটেল আমাদের মন্দ লাগে না। হ্যাঁ গোটা
ব্যাপারটায় একটু ঢিলেঢালা ভাব থাকে, কর্মীরা মাঝে মাঝে ধান শুনতে পান শোনেন, হট
অ্যান্ড সাওয়ার সুপের জায়গায় সুইট কর্ন এনে হাজির করেন, বাথরুমের টয়লেট পেপার
ফুরিয়ে গেলে মাঝে মাঝে রুমসার্ভিসের নম্বরে ফোন করে তাড়া দিতে হয়, তবুও।
এই গেটওয়ে রিট্রিটে দেখলাম সেই ঢিলেঢালা ব্যাপারটা একেবারেই নেই। বিরাট জায়গা জুড়ে হোটেল, বাগানে ফুলের ছড়াছড়ি। ঘরদোর অত্যন্ত পরিষ্কার, টয়লেটে “স্যানিটাইজড ফর ইয়োর সেফটি”র সিল।
যে ব্যাপারটা সব সরকারি হোটেলেরই প্লাস পয়েন্ট সেটাও এর আছে। লোকেশন।
সাঁচী স্তুপ হাঁটাপথ। হোটেলে ঢোকার আগেই উঁচু পাহাড়ের জঙ্গলের ফাঁকে স্তুপের গোল
মাথা চোখে পড়েছিল। ইতিহাস বইয়ের চেনা ছবি।
চা খেতে খেতে, মুখেচোখে জল দিতে দিতে সাড়ে চারটে বেজে গেল। এখন স্তুপে গেলে কি
বোকামো হবে? অবশ্য না গিয়েই বা করব কী? অর্চিষ্মানের মত হচ্ছে হাঁটতে হাঁটতে যতদূর
যাওয়া যায় যাওয়া, যতটুকু দেখা যায় দেখা। আমার অমত নেই।
৫টা ১৫: সাঁচীস্তুপের মাথায়
দাঁড়িয়ে আছি আমরা এখন। ভালোই হয়েছে এসে। টিকিটঘরের সামনে টাইমিং লেখা আছে দেখলাম
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত। চমৎকার লেগেছে আমার। কমনসেন্স একেই বলে। আলো থাকলে দেখব,
আলো নিভে গেলে দেখব না। ব্যস, খেল খতম। পৃথিবীর সব নিয়ম কেন এত সরল হয় না?
সাঁচী বেজায় পুরোনো ব্যাপার। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক। আপনি যদি আমার মতো
ইতিহাসবিদ হন তাহলে অবশ্য আপনাকে এই রকম করে সময় বোঝানো অর্থহীন। আপনার কাছে
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকও যা ত্রয়োদশও তাই। কিন্তু কেউ যদি বলে, "আরে বুঝলে না, সেই যখন কলিঙ্গ
যুদ্ধটুদ্ধ শেষ, কলিঙ্গ আর মৌর্য দুই তরফের লাখ লাখ লোক মরে গেছে, সেই রক্তগঙ্গার
দিকে তাকিয়ে সম্রাট অশোকের রাগ তো পড়েছেই, বেশ একটু অনুতাপের ভাবও জাগছে। তিনি
ভাবছেন চণ্ডাশোক তো অনেক হল এইবার ধর্মাশোক হলে কেমন হয়? তাছাড়া পশ্চিমে
হিন্দুকুশ থেকে পূর্বে বাংলাদেশ, উত্তরে গান্ধার থেকে দক্ষিণে প্রায় কন্যাকুমারিকা
পর্যন্ত যে প্রকাণ্ড সাম্রাজ্য তিনি ফেঁদে বসেছেন সে সামলাতে গেলে যে ধর্মীয় ঐক্য
ছাড়া গতি নেই, এ কথা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে আর তখনই তাঁর মাথায় আসছে
বৌদ্ধধর্ম প্রচারের আইডিয়াটা – সাঁচী হচ্ছে সেইইই সময়কার ব্যাপার" তাহলেই
আপনি বলবেন "ব্যস্ ব্যস্ আর বলার দরকার নেই, একেবারে ক্রিস্ট্যাল ক্লিয়ার হয়ে গেছে।"
(চলবে)
Kuntala, bhopal er bun kabab ta miss koro na....tunday r bhalo competitor :)
ReplyDeleteএ বাবা, মিস তো হয়ে গেল। ছি ছি ছি। আচ্ছা, এখনও তো এম পি-র অনেক কিছু দেখা বাকি, আরও অনেকবার তো ভোপাল যেতে হবে, তখন মনে করে খাব। থ্যাংক ইউ, শম্পা।
Deletearre dhur.....dilli aar lucknow'r kabab jakhon kheye felechho takhon eta tow choto khato miss!!!
Deletetomar ei uttar bharot er lekha gulo pore eto nostalgic lagey je bolar na. jhansi niye chotobelay ekta mojar prosno chilo "jhansi UP mein hai ki MP mein" ...karon ota just UP-MP border er shohor! amar chotobelay jhansi junction broad gauge to meter gauge train change junction chilo. mail train passenger ra eshe wait korto for meter gauge to go to places like khandwa (ashok-kishore kumar er shohor)
নাঃ তোমার কমেন্ট পড়ে মধ্যপ্রদেশ ফেরৎ যাওয়ার ইচ্ছে আরও প্রবল হচ্ছে, শম্পা।
DeleteHint dorkaar chhilo na...
ReplyDeleteone keute less...khogom
কেয়া বাত, কেয়া বাত, অর্পণ। তোমার ঠিক উত্তরের থেকেও হিন্ট যে লাগত না সেই কনফিডেন্স দেখে আমি বেশি মুগ্ধ হয়েছি।
Deleteofff! beriye phire eshe abantor khulei beranor golpo!
ReplyDeleteআরে তুমিও বেড়াতে গিয়েছিলে, কাকলি? কোথায়?
DeleteEastern Sierra mountain range dekhte, California/Nevada area te :)
Deleteবাঃ বাঃ, নাম শুনেই মনে হচ্ছে ভালো জায়গা। আশা করি ভালো লেগেছে, কাকলি।
DeleteTumi roj 4ter somoy ghum theke otho?! Tomar proti respect ta amar dha dha kore bere galo!
ReplyDeleteBhopal er Jama Masjid naki khub sundor. Ar lake tao! Ami ekbar gechhilam ek belar jonyo apisher kaajey. Kichchhu dyakha hoyni. Arekbar jetei hobe.
ডিসক্লেমার! ডিসক্লেমার! ডিসক্লেমার! আমি সকাল চারটেয় উঠি ঠিকই, কিন্তু আমি রাত সাড়ে ন'টার পর চোখ খোলা রাখতে পারি না। রাত দশটা মানে আমার কাছে মাঝরাত। কাজেই হরেদরে ব্যাপারটা একই হয়। রেসপেক্টেবিলিটির কোনও জায়গাই নেই, বিম্ববতী।
Deleteভোপাল আমারও কিস্যু দেখা হয়নি। লেকের ঘাড়ের কাছ থেকে ঘুরে চলে এসেছি। একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস অবশ্য হয়েছে, সেটা পরের কিস্তিতে বলব।
Ami shob jayega'r phuchka kheye dekhi ... tobey tomader pakoda ar chaa beshi safe. :-)
ReplyDeleteআরে, ফুচকা টেস্টিংটা তো ভালো, শর্মিলা। সেফটির কথা বললে আর আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল। ওই যে Bizarre Foods with Andrew Zimmern বলে একটা অনুষ্ঠান হয় না, যেখানে অ্যান্ড্রুবাবু সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে বিটকেল খাবারদাবার চেখে বেড়ান, আরশোলা সেদ্ধ, সাপের ঘিলু ইত্যাদি, সেই তিনি একবার ভারতে এসেছিলেন। কোন শহর মনে নেই। স্ট্রিট ফুড খাওয়া হচ্ছিল। যথারীতি পানিপুরি/গোলগাপ্পা/ ফুচকাওয়ালার কাছে যাওয়া হল। সে প্রায় লুচির সাইজের ফুচকা, বুঝলে, সামনে থালায় আলুমাখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অন্তত ঘণ্টাখানেক মেখে রাখা হয়েছে অন্তত চল্লিশ মিনিট তো বটেই, পাশে স্টিলের সিলিন্ডারের গলা পর্যন্ত ভরা তেঁতুল জল, অপূর্ব ঘোলাটে বর্ণ। ফুচকাবিক্রেতা ভদ্রলোক ব্যস্ত হাতে ফুচকা ভাঙছেন আলু পুরছেন তেঁতুল জলে চোবাচ্ছেন টাকা নিচ্ছেন টাকা দিচ্ছেন, আশেপাশে কোথাও গ্লাভসের চিহ্নমাত্র নেই। আমার তো দেখেশুনে টিভির এপারে বসেই জিভে জল এসে যাচ্ছিল।
Deleteখাওয়ার কথা যখন উঠল তখন অ্যান্ড্রুবাবু দু'হাত তুলে বললেন যে আই অ্যাম সরি, সত্যিটা হচ্ছে পৃথিবীতে এমন কিছু খাবার আছে যার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে মেনে নিতে হয় যে একে খাওয়া আমার সম্ভব না। ইন্ডিয়ার পানিপুরি/গোলগাপ্পা/ফুচকা হচ্ছে সেই গোত্রের খাবার।
জাস্ট ভাবো একবার, কাঁচা আরশোলা চিবিয়ে খেয়ে ফেলছে কিন্তু ফুচকা হ্যান্ডেল করতে সাহস পাচ্ছে না! অদ্ভুত একটা গর্ব হয়েছিল সেদিন আমার।
Tai na ki?! Eta toh jantam na. Amar o besh gorbo bodh hocche. Bhodrolok ke ekbaar kaancha intestine moner shukhe chibute dekhar por ar oi program dekhar shahosh korte parini.
DeleteLuchi'r size er phuchka? Eta toh khuje bbaar kortei hobe. :-)
Amar ajkal most favourite genre holo travelogue. Kichu na hok indiamike e itinerary suggestion porteo darun lage. Sarakhoni ghure beranor unfulfilled n almost impossible desire ta ektu satisfied hoy.
ReplyDeleteby the way Ashoka r Bouddho Dhormo prochar er ei angle ta age vebe dekhini. Khubi logical.
Korkotkranti, pornomochi, rechon er sovab ta amaro ache. Bangla medium er sobari ache bodhoy.
কর্কটক্রান্তি হাই ফাইভ, কুহেলি। ভ্রমণবৃত্তান্ত পড়তে আমারও খুব ভালো লাগে।
DeleteOh, osadharun. Amar premika-r bhasa dhar kore boli, "jhinkalakala hoyeche". Chaliye jaan.
ReplyDeleteProsher uttor ta obosho-i khogom.
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, ঘনাদা।
DeleteKhub bhalo laglo...porer edition er jonno odhir aagrohe opekkha kore aachi....aar quote ta hochche from KHOGOM (one keute less)
ReplyDeleteআপনারা সবাই যে উত্তরটা পেরেছেন এটা দেখে আমার দারুণ আহ্লাদ হচ্ছে, প্রসূর্য়্য। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
DeleteBhromon brittanto khubi bhalo laglo r porer episode gulor jonno je aro ghono-ghono google e kuntala type korchhi ta ki r bolar dorkar achhe?
ReplyDeletejeta more striking ta holo tumi roj 4 ter somoy otho?ektu dhaar dao plz ei khomota ta-matro 1hr kore dhaar chaichhi. ami to roj 4 ter somoy 2nd phase er ghum suru kori.. Bratati.
এই রে ব্রততী, আমি কিন্তু হাস্যকর রকম আগে ঘুমোতে যাই (সাড়ে ন'টা) কাজেই চারটেতে না উঠলেই অদ্ভুত হত। এতে আমার কোনওই কৃতিত্ব নেই। সাঁচীর গল্প পড়তে তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
Deleteuff aj ker ei khela dekhar pore emon ekta lekhai dorkar chilo mon bhalo korar... tomar ei beranor golpogulo khub bhalo lage.. ar egulo eto mone rakhar moto hoy.. ami kichudin age corbett giye tomar ranthambhorer bagh dekhar bornona mone porchilo... porer part gulo publish koro taratari... ans ta to sobai bolei diyeche.. ota perechilam.. keute less ...
ReplyDeleteআরে করবেট গিয়েছিলি, ঊর্মি? কেমন লাগল?
Deletekhub e bhalo go...forest ta onno type er.. african grassland er moto onek jayga ache... bagh o dekhechi ... beriye ese sei tomader moto amra-ora difference ta holo... jara dekheni tara kahan pe dekha? so raha tha? chal raha tha? photo liya? bole camera kere niye photo dekhlo... :) ...
Deletetomar ei lekhatar style ta prof shankur diary lekhar style e ... onekdin shanku pora hoyni.. besh laglo...
Kuntala..darun hoyeche lekhata..chotto palowan ke puro dekhte pacchi..karkat kranti evabe dekha jay jantam na..sarkari hotel gulo khub bhalo jaygay hay..valley of flowers e jawar samay rudraprayag r uttarakhander govt hotel e chilam..sararat , saradin alakananda garjon sunechi..veranda theke thik samnei bishal pahar r niche boye jawa nadi..oi Smriti kakhono bholar noy..pore 13 r durjoger por chabi dekhe mone hoyeche oi jayga sampurno nasto hoye geche...abashya oi landslide er anyatamo karoni chilo, oibhabe jatro tatro nodir ga gheshe hotel banano..
ReplyDelete*verandah
Deleteএ বাবা, তার মানে এখন রুদ্রপ্রয়াগ গেলে আর ওখানে থাকা যাবে না? খুবই ইনসেনসিটিভ কথা হল জানি কারণ ওদের ক্ষতির তুলনায় আমার এই ক্ষতি হাস্যকর, কিন্তু কী করব এটাই মাথায় এল তাই বলে ফেললাম। স্যান্ডো পালোয়ান চমৎকার ছিল, তিন্নি। আশেপাশের তিন চারটে কুকুরের ওপর বেজায় সর্দারি ফলাচ্ছিল। তোর লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি।
Deletechomotkar lagche porte...porer part er opekkhay roilam.--Pradipta
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্তা।
Deleteওটি তো খগম। ওয়ান কেউটে লেস। আমার মতে বাংলায় লেখা সবচেয়ে ভয়ের গল্প।
ReplyDeleteসরকারি হোটেলে আমি দু-চারবার থেকেছি, কিন্তু অসুবিধে গুলোই সবচেয়ে প্রখর হয়ে ফুটে উঠেছে। আপনি লোকেশনের ব্যাপারটা যা বললেন, সেটা আগে মাথায় আসেনি। এখন বুঝতে পারছি, এটা একটা মস্ত বড় সুবিধে। টিপটা দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আগামী সংখ্যার প্রতীক্ষায়...
আরে ধন্যবাদ দেবেন না, দেবাশিস। আপনার রণথম্ভোর ঘোরা হল?
Deleteআরে ইয়েস, বাঘ দেখেছি তো। আপনার মত পষ্ট ভাবে না হলেও দেখেছি। ক্যান্টারেই ঘোরা হয়েছিল। ওই বাঘটার নাম ছিল টি-থার্টিফোর।
Deleteচমৎকার! রণথম্ভোর আমার আপনার দুজনের পক্ষেই লাকি দেখা যাচ্ছে।
Deletebere hoyechhey lekhata... porte porte chokher samne ektu ektu kore chhobi fute uthchhilo...porer ta taratari post koro.. r "khagam" bole ektu credit nebo bhablam, to dekhi sobai e age bole diyechey :(
ReplyDeleteআরে ক্রেডিট কেউ দেবে সেই আশায় বসে থাকলেই হয়েছে চুপকথা। আমি ঠিক উত্তর দিয়েছি অতএব ক্রেডিট আমার, বলে নিজেই নিয়ে নিতে হবে। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি।
DeleteBeranor galpo manei ami du tinbar pore jai.. darun... ar chhobio... aro chhobir ar abossoi paroborti ongsher ashai roilam.
ReplyDeleteএকেই বলে শেয়ালকে ভাঙা বেড়া দেখানো, ছবির সুনামি আসছে পরবর্তী কিস্তিতে, ইচ্ছাডানা।
DeleteTui ato bhalo likhli je tor ghum theke otha na otha theke purotai visualise korte parlam. Ar alarm snooz kore ghumono ta toh akdom same to same amar moton.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ভট্টা।
DeleteVor 4 tei ghum theke othen??? tarporeu loke Delhi te apnake na dekhe Lotus Temple dekhe??
ReplyDelete"ওয়ান কেউটে লেস" টায় হিন্ট লাগতনা। এই তো সেদিন আরেকবার শুনলাম সান্ডে সাসপেন্স-এ।
ReplyDeleteজানেন, আমার বাবারও ওই প্রত্যেক স্টেশনে নামার অভ্যেসটা আছে, আর সাসপেন্স ফিল্মে যেমন সাংঘাতিক কোনও ঘটনা ঘটার পর তার পরিণতিটা দেখাতে দেরী করে, আমার বাবাকেও তেমনই ট্রেন ছাড়ার পর কিছুক্ষণ অবধি দেখতে পাওয়া যেতনা। তাই টেনশনটা কাটার বদলে বেড়েই যেত। এদেশে এসে অ্যামট্র্যাকের দুরপাল্লার ট্রেন থেকেও নেমেছিল বাবা। যাই হোক, গল্পটা ভীষণ ভালো লাগছে। ওভার-অ্যাম্বিশাস অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া থেকে শুরু করে রাস্তার মাঝখানে ট্রপিক অফ ক্যান্সার দেখে অহেতুক উত্তেজিত হয়ে পরা অবধি সব কিছুর সঙ্গেই নিজের মিল পাচ্ছি। আমি অবশ্য ট্রপিক অফ ক্যান্সার দেখিনি। ইন ফ্যাক্ট, সেভাবে মধ্যপ্রদেশ-ই দেখিনি। তাই এখুনি ভয়ানক আগ্রহ নিয়ে পরের অংশটা পড়ব।
বাবারা, সিরিয়াসলি . . .
Deleteঅনেকদিন বাদে এলাম অবান্তরে, আর এসেই একটা টাটকা ভ্রমনকাহিনি পড়ে মনটা একেবারে খুশ হয়ে গেল। :)
ReplyDeleteবাকি কিস্তিগুলোর অপেক্ষায় রইলাম। :)
ধন্যবাদ, অরিজিত।
Delete