এখানে ওখানে
আমাকে একটা রেললাইন দিন। লাগোয়া একটা প্ল্যাটফর্ম। কালীপাহাড়ির মতো ভালো দেখতে প্ল্যাটফর্ম হওয়ার দরকার নেই। কদাকারও হলেও চলবে। তার ওপর দাপুটে, বদমেজাজি। কালীপাহাড়ির তিনখানা প্ল্যাটফর্ম পাশাপাশি জুড়লে তার একটা হয়। সে রকম ষোল বা ওই রকমই হাস্যকর গুনতির অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম পাশাপাশি রাখুন। গিজগিজ ভিড়। দাঁড়িয়ে, শুয়ে, বসে, উবু হয়ে, হেলান দিয়ে, দৌড়ে। ভিড়ের মাথায়, মাথার তলায়, কোলে, কাঁখে, গোড়ালির ফাঁকে লটবহর। মগজের সুইচ অফ সে ভিড়ের। অন্তরীক্ষ থেকে যান্ত্রিক গলা আর বোর্ডে লাল দপদপে আলো তাদের চালনা করছে। পাঠাচ্ছে এদিকসেদিক। কুকুরবেড়াল শুয়োর হনুমান, পাখিরাও আছে। গ্রাসাচ্ছাদনের ধান্দায় ঘুরছে ভিড়ের আড়ালে আবডালে।
গরম নেই। কিন্তু তাপ আছে। এতগুলো লোকের কোঁচকানো ভুরু, মাল বওয়ার ক্লান্তি, অপেক্ষার শ্রান্তি এবং ভালোয় ভালোয় গন্তব্যে পৌঁছনো হয় কি না হয় টেনশনের আঁচ, আবহাওয়ায় আনমিসটেকেবল।
গোটা দৃশ্যের একটি ছোট অংশে এইবার নড়াচড়া শুরু হল। না না, নড়াচড়া তো ছিলই শুরু থেকে, সেই সর্বব্যাপী এবং সর্বগ্রাসী চাঞ্চল্যের ওপর বাড়তি চাঞ্চল্য। প্রথমে চাঞ্চল্যের কারণ বোঝা যাবে না। তারপর ভিড়ের মাথার ওপর তার মাথা দেখা যাবে। ধাতব, শীতল, কঠিন। ধীরগতি ও ভয়াল। রুদ্ধশ্বাস ভিড় আলপিনের মতো এগোবে চুম্বকের দিকে।
আপনি আমার প্রতিকূলতা বাড়াতে চান? বাড়ান। হাতে ভি আই পি সুটকেস ধরান। গলা থেকে ঝোলান চার হাতি বস্ত্রখণ্ড। একসময় একে বশে রাখার উপায় আমার জানা ছিল। ভি-এর মতো ভাঁজ করে কাঁধের জামার সঙ্গে ক্লিপ দিয়ে গুঁজে রাখতাম। সোনালি গায়ে খাঁজকাটা ডিজাইনের ক্লিপদুটো আমার কলকাতার কলেজের বন্ধুরা ক্লাসের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। আর ইউ ম্যাড? সে সব মফস্বলী ম্যাডনেস আমার ঘুচে গেছে। ক্লিপ তো নেইই, শখ করে দাম দিয়ে ফুরফুরে ওড়না কেনা হয়েছে, সে নিজের উপযোগিতা প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টায় গলা আঁকড়ে ঝুলছে, এখানে লটকাচ্ছে, ওখানে ফাঁসছে। সিনে সহযাত্রী আমদানি করুন, আমার দশ কেজির নীল ভি আই পি-র বদলে তাঁর হাতে পঁয়ত্রিশ কেজির লাল অ্যামেরিক্যান টুরিস্টার তুলে দিন। যা দিয়ে উনি আমার ভি আই পি-কে গুঁতিয়ে লাইন ভেঙে আগে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সংসার সমরাঙ্গনে আমার সহযোদ্ধার মনোবল ভেঙে দিন। এই অসম লড়াইয়ে আমাকে সাহায্য করার বদলে সে ক্রমাগত আমাকে নিরুৎসাহ করার চেষ্টা করুক। কী করছ? পড়ে যাবে, ছেড়ে দাও, যে আগে যেতে চাও যেতে দাও, হকের লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসো, হার মানো।
এতেও মন ভরছে না আপনার? আপনি ট্রেনটাও থামাতে চান না? অল্প চালু রাখতে চান? রাখুন। ইন ফ্যাক্ট, আমি সেটাই প্রেফার করব। কারণ ওইটা শেষমেশ আমার প্রতিযোগিতাদের ছিটকে দেবে। অ্যামেরিক্যান টুরিস্টার রানিং ট্রেন সামলাতে পারবে না। আমি হেঁইও বলে আমার বাক্স সিঁড়ি টপকে ট্রেনের মেঝেতে তুলে দেব, হ্যান্ডেল ধরে নিজেকে চাগিয়ে নেব সিঁড়িতে, ওড়নাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেব, সঙ্গে আসতে হলে এস, যেতে চাইলে, ফ্র্যাংকলি, আই ডোন্ট কেয়ার। অমনি সে সুড়সুড় করে এর সুটকেসের হাতল, ওর চটির তলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে আমার গলায় লটকে যাবে অদৃশ্য ক্লিপের তলায়। এইবার খালি বগিতে ঢুকে সিট নম্বর খুঁজে সিটের নিচের খাঁ খাঁ অভ্যন্তরে ভি আই পি সেট করে দিয়ে জানালার পাশে আরাম করে বসা আর অপেক্ষা করা কখন যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে দেওয়া সহযোদ্ধা এসে পাশের খালি জায়গাটায় বসবে। বসে মাথা নেড়ে বলবে, কোনও দরকার ছিল?
*****
আপনি আমাকে একটা রাস্তায় নামান। বড় রাস্তা। বড় শহরের রাস্তা। যে শহরে কয়েকদিন ধরে স্পেশাল কিছু একটা ঘটছে। ঘটবে আরও ক’দিন। সে সব শহরের সে সব রাস্তাতে এমনি সময়েই অনেক আলো থাকে, স্পেশাল ক’দিনে তার ওপর স্পেশাল আলো। এত আলোতেও চারদিক যতখানি আলোকিত হলে ইম্প্রেসড হওয়া যেত, ততখানি হচ্ছে না। সাধারণ আলোতে কেন কাজ দিচ্ছে না সেই রহস্যটা কনট্রাক্টর আর ভারপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ লোকেরা বলতে পারবেন, স্পেশাল আলোতে কেন হচ্ছে না সেটা আমি বলতে পারি। আগেও খেয়াল করেছি, এ সব আলো খালি ঝলকায় ফ্রকের চুমকিতে, গগলসের সবুজ ডাঁটিতে, প্রেমিকপ্রেমিকার চোখের তারায়। শহরের রাস্তার মতো বোরিং ব্যাপার আলোকিত করার দায় নেই এর।
যাই হোক, সেই ঝলমলে আলোর নিচে আবছা অন্ধকারে আমি দাঁড়িয়ে আছি। পাশে আমার সহযোদ্ধাও আছে। আগের যুদ্ধে যে আমাকে ফেলে পিঠটান দিয়েছিল। কেন দাঁড়িয়ে আছি, কেন এই ক’দিন রাস্তায় বেরোনোর পরিণতি হাড়ে হাড়ে জানা সত্ত্বেও বাড়িতে বসে পুজোবার্ষিকী পড়ছি না, কিংবা কেন জানালা বন্ধ করে লাইট নিভিয়ে ফ্যান পাঁচে চালিয়ে বেডকভার গায়ে চাপা দিয়ে ঘুমোচ্ছি না এ সব প্রশ্ন করবেন না।
আমাদের আশেপাশে আরও অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছেন। মিনিটে মিনিটে আরও লোকেরা এসে জড়ো হচ্ছেন। বোঝা গেল ওখানে এ রকম ভিড় এমনিতেই থাকে, কিন্তু দফায় দফায় সে ভিড় পাতলা করে দেওয়ার উপায়ও থাকে। এখন স্পেশাল সময়ে সে সব উপায় অন্তর্হিত হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার আরেকটা উপায় আছে অবশ্য। ফোনে চার্জও আছে, ডেটাও আনলিমিটেড। তবু ওলা উবার ডাকছি না কেন? কারণ চতুর্থীর রাতে অনেক প্যান্ডেলের প্রতিমার হাতে অস্ত্র না উঠলেও ওলাউবার দশ হাতে খাঁড়া, বল্লম, চক্র, গদা নিয়ে নেমে পড়েছে। বনবন ঘোরাচ্ছে এলোপাথাড়ি যেদিকে পারে। ঢাকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গাঙ্গুলিবাগান, তাও পুল, বলে নাকি দুটো সিট মাত্র দুশোটাকায় পাওয়া যাচ্ছে, নিতে হলে নিন না হলে আর পনেরো মিনিট পরে সাড়ে তিনশো হয়ে যাবে। হোক গে, বলে ফোন অন্ধকার করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলাম। সহযোদ্ধাকে সবে বলতে গেছি, চক্ষুলজ্জা বলে জিনিসটাই চলে গেছে বুঝলে? অমনি দেখি সহযোদ্ধার দৃষ্টি চলে গেছে আমার মাথার ওপর দিয়ে পেছনদিকে, চোখ বিস্ফারিত, হাঁ মুখে ওই অন্ধকারেও অনির্বচনীয় আলো, যেন সব জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর মিলে গেল এক্ষুনি।
পঁয়তাল্লিশ!
কোথায় যেন শুনেছিলাম বেয়াল্লিশ... বলতে না বলতে ভিড়ের শরীরে আসন্ন যুদ্ধের আভাস। যত না বেগ তার থেকে জোরে ল্যাগব্যাগ করতে করতে আসছে একটা টিনের বাস, বাসের গা থেকে ঝুলছেন সবুজ গেঞ্জি পরা একজন লোক। গলা সপ্তমে তুলে চেঁচাচ্ছেন, কী চেঁচাচ্ছেন কিছু বোঝা যাচ্ছে না, এইটুকু খালি স্পষ্ট যে এঁর মতো পাওয়ারফুল লোক এই মুহূর্তে এ শহরে বেশি কেউ নেই।
কবজিতে টান, চিন্তাসূত্র পটাং, ঘাড় ঘুরিয়ে আমার নিড়বিড়ে সহযোদ্ধার খোলস ছিঁড়ে আবির্ভাব হয়েছে এক নতুন মানুষ, দৈর্ঘ্য প্রস্থে অবিকল আগের জন কিন্তু চোখেমুখে এমন জ্বলজ্বলে প্রত্যয়, গত আট বছরের চেনায় দেখেছি কি না মনে করতে পারছি না।
ছুটতে পারবে?
অবান্তর প্রশ্ন, কারণ আমি অলরেডি ছুটছি। সহযোদ্ধা আমার কবজি ধরে ছুট লাগিয়েছেন এবং আমাকে ছুটতে বাধ্য করছেন। আমাদের আগে পরে আরও কোটি কোটি লোক ছুটছে। কোনও একটা সামনের বিন্দু লক্ষ করে যেখানে পরমপ্রতাপশালী সারথি তাঁর বাস থামাতেও পারেন আবার নাও পারেন।
একবার বলার চেষ্টা করলাম, পরের পঁয়তাল্লিশের জন্য অপেক্ষা…
পঁয়তাল্লিশ মিনিটেও আসবে কি না গ্যারান্টি নেই। সহযোদ্ধা স্পিড বাড়ালেন।
বাস থামল। কিছু লোক প্রচণ্ড বেগে দৌড়ে, পেছন থেকে রীতিমত কমপ্লেক্স দিয়ে ওভারটেক করে এসে দরজার সামনে ব্রেক কষেছেন। ও দাদা উঠবেন না তো এই মারাত্মক স্প্রিন্ট টানলেন কেন?
ঝুলব বলে। ফুরফুরে পাঞ্জাবী পরেছি, ইস্তিরি মাটি করি আরকি। ভেতরে যেতে হয় আপনি যান, আপনার আঁচল সেফটিপিন থেকে আলাদা হয়ে ছিঁড়েকুটে যাক, আমার পাঞ্জাবী যেন না টসকায়।
ওই প্রস্থের দরজা দিয়ে ওই বেগে অত লোক একসঙ্গে ঢোকা, স্পেশাল দিন বলেই সম্ভব। বাসের ভেতর পা দেওয়ার মুহূর্তে সবুজ গেঞ্জির প্রচণ্ড থাবড়ায় বাস ছেড়ে দিল, রামধাক্কায় আমার কবজি থেকে সহযোদ্ধার হাত খসে গেল এবং জনতার স্রোত আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল বাসের প্রায় ল্যাজের দিকে। আমার ডান পা বাসের মেঝেতে, বাঁ হাঁটু অল্প মণিপুরি নাচের ভঙ্গিতে ঝুলন্ত ও বঙ্কিম। ডান হাত দিয়ে প্রাণপণে নিজের পার্সের মুখ চাপা দিয়ে রেখেছি এবং বাঁ হাত সেঁটে গেছে সামনের মহিলার পার্সের গায়ে।
সহযোদ্ধা বাসে উঠেছেন সেটুকু জানি, কিন্তু আশেপাশে নেই। ভিড়ের মধ্যে আপাতত আমি একা। তাতে চিন্তার কিছু নেই। একা এসেছি, একা যাব। ঢাকুরিয়া থেকে গাঙ্গুলিবাগানের রাস্তাটুকু একা পেরোতে আর কী।
সমস্যাটা হচ্ছে, আমি গাঙ্গুলিবাগান ভালো করে চিনি না। অন্য সময় বাঁ ফুটে সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার দেখলে বুঝি এসে গেছি, এখন কোথায় সত্যনারায়ণ, আমার দৃষ্টি জুড়ে সামনের মহিলার খোঁপা, নাকটা কোনওমতে সাইড করে অক্সিজেন কার্বন ডাই অক্সাইডের রাস্তা খোলা রেখেছি। মাঝে মাঝে সবুজ গেঞ্জির সেলিমপুর, সুলেখা মোড়, বাঘা যতীন চেঁচিয়ে চলেছেন তাও কাজে দিচ্ছে না কারণ সে সব স্টপের পরম্পরা আমার মুখস্থ নেই। গাঙ্গুলিবাগান নামতে হলে কখন রেডি হতে হবে, কখন ঠেলতে শুরু করতে হবে এ সব ব্যাপারে আমি ক্লু লেস।
আমার সহযোদ্ধা অবশ্য নন। হেঁটে, রিকশায়, বাসে, অটোতে যতরকম ভাবে একটা রাস্তা পার হওয়ার যায়, এই শহরের এই রাস্তাটুকু তিনি সবরকম ভাবে পার হয়েছেন। হাঁক দিয়ে আমাকে অবগত রাখা তাঁর পক্ষে জলভাত। কিন্তু তিনি আজকে নিজের স্বাভাবিক জাড্য নস্যাৎ করে ওই স্পিডে দৌড়ে আমাকে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন, আজকেই আবার টইটম্বুর বাসে আমাকে ডেকে ডেকে লোকেট করে নিজেকে লোকচক্ষুর যথাসম্ভব আড়ালে রাখার সাধনায় বিঘ্ন ঘটাতে রাজি হবেন কি? স্পেশাল দিনেও একজনের কাছ থেকে এতগুলো সারপ্রাইজ আশা করা অন্যায়। হয়তো চুপচাপ বাস থেকে নেমে যাবেন এবং ফোন করে জানানোর চেষ্টা করবেন যে এইবার আমাকেও নেমে পড়তে হবে। ডানহাতের আঙুল বুলিয়ে পার্সের ভেতর ফোনটাকে অনুভব করলাম। বার করার তিলমাত্র সম্ভাবনা নেই।
তক্ষুনি মির্যাকল ঘটে গেল। বাঘা যতীন না কী একটা আসতেই হুড়হুড় করে বাসের অর্ধেক লোক নেমে গেল। তার পরেও যা রইল নেহাত কম নয় কিন্তু আমি প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব খাটিয়ে তিনচারটে দরকারি স্টেপ নিয়ে নিলাম। সামনের মহিলার পার্স থেকে হাত সরিয়ে নিলাম, বাঁ পাটা নামিয়ে বাসের মেঝেতে স্থাপিত করলাম এবং শরীর ঘুরিয়ে নিলাম সেইদিকে যে দিকে আমার সহযোদ্ধা থাকলেও থাকতে পারেন।
আন্দাজ অব্যর্থ। ঘোরামাত্র চোখে চোখে পড়ে গেল। কিছুক্ষণ আমরা ওইভাবে দাঁড়িয়ে রইলাম, তারপর সহযোদ্ধা দরজার দিকে তাকিয়ে ভ্রুভঙ্গি করা মাত্র শরীরে যত শক্তি ছিল জড়ো করে সামনের লোককে ঠেলে (পেছনের লোকদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে, তাঁদের ঠেলুনি ছাড়া এ অসাধ্য সাধন হত না।) পেছনের দরজা দিয়ে নেমে পড়লাম।
সহযোদ্ধার হাত বাড়ানোই ছিল। চুলের ক্লিপ খুলে কানের কাছে ঝুলছিল, এক হাত দিয়ে সেটাকে সামলাতে সামলাতে অন্য হাত বাড়িয়ে তাঁর হাত ধরলাম। তিনি মাথা নেড়ে জিজ্ঞাসা করলেন, খুব কষ্ট হয়নি তো?
টিকিট কেটেছিলেন? কলেজ থেকে অফিস টাইমে বাড়ি ফেরার কথা মনে পড়ে গেল। আমি আর আমার সাথের জিনিসপত্র একসাথে নামতে পারতামনা। প্রথম আমি, তারপর ব্যাগ, আর সবশেষে ওড়না।
ReplyDeleteভিড় বাসের আরেকটা মুশকিল হচ্ছে একটা ফাঁক ফোকর খুঁজে শুধু সেই এক দিকেই সারাক্ষন মাথা ঘুরিয়ে থাকতে হয়, অন্য যেকোনো দিকে মাথা ঘোরালেই, আমার যা হাইট, কারুর না কারুর হাত উঁচু করে হ্যান্ডেল ধরে থাকা বগল নাকের সামনে চলে আসে।
হ্যাঁ হ্যাঁ বৈজয়ন্তী, সাত সাত চোদ্দ টাকার টিকিট কেটে যা আনন্দ হয়েছিল, ওলাউবারের পুঁজিবাদী গালে চড় কষাতে পেরে। বগল ব্যাপারটা বাসে ট্রেনে ব্যান করে দেওয়া উচিত, সিরিয়াসলি।
Deletekoddiye kothay gechile
ReplyDeleteprosenjit
oh miss kore geslam,sory
ReplyDeleteনো প্রবলেম।
DeleteShohojodhhar parodorshita dekhe mone holo she anayashe Bolte parbe "ma khu chihl panjam hastam"
ReplyDeleteহাহা, ওর আরও অনেকের মতো পঁয়তাল্লিশে পি এইচ ডি আছে।
Deleteবর্ণনা শুনে মনে হলো, পুজোতে কলকাতায় ছিলে। পুজো খুব ভালো কেটেছে আশাকরি। তোমাদেরকে শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteশুভ বিজয়ার প্রীতি ভালোবাসা জানাই তোমাকেও, চুপকথা। আমি চতুর্থী টু সপ্তমী পশ্চিমবঙ্গে ছিলাম, ভালোর থেকেও ব্যস্ত কেটেছে স্বাভাবিকভাবেই। নবমী দশমী খুব আরাম করেছি।
Deleteআমারও ওই একই দশা হয়। কলকাতা থেকে ঘুরে এলে মনে হয় ওই ছুটির থেকে রিকোভার করার জন্য আরো দিন সাতেক ছুটি দরকার। ভালো থেকো।
Deleteঠাণ্ডা হোন, ঠাণ্ডা হোন, বাজার অর্থনীতির গালে দুই চড় দিয়েছেন এটা একটা বিরাট ব্যাপার। আপনাকে পুরস্কারের জন্যে Guftgu তে এবার নাসিরউদ্দিন এর ইন্টারভিউ ইউটিউব এ দিয়েছে, দেখে আপনার ভালো লাগতে পারে।
ReplyDeleteআমি কালকেই শুরু করেছি দেখতে, নালক। লম্বা, সময় নিয়ে দেখতে হবে। চড় মারতে পেরে সত্যিই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম, টাকা বাঁচানোর জোশ এসে গিয়েছিল। গাঙ্গুলিবাগান থেকে রিকশা পর্যন্ত নিইনি, হেঁটেই মেরে দিয়েছি বাড়ি পর্যন্ত।
DeleteSubho Bijoya r subheccha o bhalobasha tomader jonne roilo Kuntala.
ReplyDeleteশুভ বিজয়ার প্রীতিভালোবাসা জানাই তোমাদেরও, শর্মিলা।
DeleteOshadharon lekha....uttejona ta amaro shiray shiray chagiye uthhechilo :)
ReplyDeleteTobe 45 niye kono kotha hobena. Oi bus e chore 10 bochhor ami Ultodanga theke Airport 1 number gate e gechhi - jemni speed e jeto, r temni tar frequency. :)
In fact, VIP road e kothao jete hole ekhono ami 45 ei uthhi. :) :) Kolkatar rastay Ola-Uber shei kick ta dite parena, jeta 45, L238 ra dyay.
Sob seshe janai, Subho Bijoyar preeti o shubheccha - apnake, apnar sohojoddha ke, ebong Abantor k. :) :)
আমাদের তিনজনের তরফ থেকেই বিজয়ার প্রীতি ভালোবাসা শুভেচ্ছা রইলো আপনার ও আপনার প্রিয়জনদের প্রতি, অরিজিত। পঁয়তাল্লিশ সত্যিই কিছু মানুষের জীবনে মিথের জায়গা ধারণ করে রেখেছে।
Deleteশুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা নিও।
ReplyDeleteআমার তরফ থেকেও রইল শুভেচ্ছা।
DeleteArre arre daroon. Amio ebar ashtamir raatey tin er bus e chepe 8B theke Park Circus gechhi. 7 taka bhara, hatol theke haat soralei soja pechhoner bhodroloker koley giye porbo, ashtami sondhyer notun kurta edik odik kuchke jachche -- kintu ki aram, ki aram.
ReplyDeleteঅষ্টমীর রাতে বেরোনো? তোমার সাহসকে সেলাম, বিম্ববতী। পুজো ভালো কেটেছে আশা করি।
DeleteEto amar paarar bus---45...Aami bahu bochhor Jadavpur Univversity theke ferar somoy oi bus e firtam...anekdin por bus number ta mone pore gelo.
ReplyDeleteপঁয়তাল্লিশে অনেক গুণগ্রাহী বেরোচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।
Deleteআহা!পঁয়তাল্লিশ, যাদবপুর মিনি এসব স্বর্গীয় যানবাহন, এয়ারপোর্ট থেকে ফাঁকা বসে মনের মত সিট খুঁজে বোসো, বাকি রাস্তা বাইরের দৃশ্য দেখতে পারো, গান শুনতে পারো, বা চাইলে ঘন্টাখানেকের সাউন্ড স্লিপও দিয়ে নিতে পারো - আপসে যাদবপুরে এসে যত্ন করে নামিয়ে দেবে।
ReplyDeleteশাল্মলী, এইরকম ডিপো টু ডিপো জার্নি আমারও দারুণ লাগে। কিন্তু মাঝপথ থেকে উঠে মাঝপথে নেমে যাওয়া, তাও আবার পঁয়তাল্লিশ, দুশো চল্লিশ, দুশো উনিশ বা আমাদের তিন - নারকীয় ব্যাপার।
Deleteতিন এখনো চলে?? বাগবাজার এ আমার নামার বাড়ির কাছ থেকে ছাড়তো, গায়ে টিন রঙের জমা, আর মাথার উপরে হেয়ার ব্যান্ডের মতো একখানা জিনিস আটকানো। আহা! কি মনে করালে কুন্তলা দি!!!
ReplyDelete