যুগলবন্দী
গল্পের সঙ্গে সম্পর্করহিত কিছু কথা।
এক, সেম সপ্তাহে দু'দুটো গল্পের লিংক পোস্টের নামে চালিয়ে দেওয়ার ফাঁকিবাজি মার্জনা করবেন। গায়ে গায়ে গল্পদুটো বেরোল তাই গায়ে গায়েই অবান্তরে দিয়ে দিলাম।
দুই, এতদিন বাদে চারনম্বরের ছবিটা পোস্ট করতে দারুণ ভালো লাগল। চার নম্বরে আমার গল্প লেখা বন্ধ হয়েছিল ব্যক্তিগত কারণে। আগের মতো নিয়মিতও হবে না হয়তো আর, কিন্তু মাঝখানে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম মেরামতিসংক্রান্ত কারণে কয়েকমাস ছুটিতে ছিল। প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম ট্রেনের প্রথম গল্পের কামরায় যে আমার গল্পের জায়গা হয়েছে তাতে আমি রোমাঞ্চিত ও শিহরিত।
এবার গল্প নিয়ে কিছু কথা। আমি যেমন যা দেখিনি তা নিয়ে গল্প লিখতে পারি না, তেমন আবার যা দেখলাম হুবহু তাই নিয়েই গল্প লিখে ফেললাম এও করি না। এই গল্পটা ব্যতিক্রম। অফ কোর্স, গল্পটা পড়লে বুঝতে পারবেন আগাপাশতলা বানানো, কিন্তু গল্পটার যেটা হুক, একখানা সাদাকালো ছবি, সেই ছবিটা আমি চর্মচক্ষে দেখেছিলাম। অমৃতসরের পার্টিশন মিউজিয়ামে। দেখে এসে অবান্তরে ব্যাখ্যান করে বলেওছিলাম। মিউজিয়ামের কথা, এবং পার্টিকুলার এই ছবিটার কথাও। গল্পের লিংক নিচে রইল। আপনারা পড়ে মতামত দিলে ভালো লাগবে সে তো জানা কথাই।
Bhalo hoyechhe lekha!
ReplyDeleteiti
Shuteertho
ধন্যবাদ, সুতীর্থ।
DeleteChomotkar..........Khub valo hoyechchey.............Saugata
ReplyDeleteধন্যবাদ, সৌগত। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
Deleteosadharon!!!! khub bhalo laglo.. sotti.. ki bhalo je laglo
ReplyDeletethank you so much
আরে থ্যাংক ইউ তো আমার দেওয়ার কথা, ইন্দ্রাণী। আপনার গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো তো লাগলই, আপনি যে আমাকে সর্বদা এত উৎসাহ দেন সে জন্যও কৃতজ্ঞতা রইল।
DeleteDuto golpoi khub bhalo.. tomar bhasa ta besh anyorokom tai notun lage protibar.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, উর্মি। ভালো লাগল জেনে।
Deleteমনে হচ্ছে সিনেমা দেখে বেরিয়ে এলাম। ফেরিঘাটের দৃশ্য দিয়ে ছবি শুরু, টাইটেল কার্ড পড়ছে; সুপর্ণ আর সুপর্ণার বুকুলের ঘরে ঢোকায় ইন্টার্ভ্যাল হবে। ছবি শেষ হবে ফেরিঘাটের প্রথম দৃশ্যে ফিরে গিয়ে - ফেরিঘাট আস্তে আস্তে সিপিয়া রং নেবে তারপর ফ্রেম বন্দী হয়ে দেওয়ালে- তারপর লংশটে , বিশাল মিউজিয়ামের ঘরে সে ছবির অবস্থান, পাশের বাক্সে তরফদার আর লম্বা নল- অনেক দর্শক। ভয়েসওভারে ছবি শেষ হবে।
ReplyDeleteঅথবা থিয়েটারও ভাবা যায়। যেন সূত্রধার চতুর্থ দেওয়াল ভেঙে দর্শকের সঙ্গে সরাসরি দর্শকের সঙ্গে সংগে কথা বলছেন-্চিনিয়ে দিচ্ছেন কুশীলবদের আর একটা একটা করে স্পট লাইট জ্বলে উঠছে-
অনেকখানি সময় ধরা হয়েছে- গল্পের গতি দ্রুত স্বভাবতই, নাটকীয় মুহূর্ত আছে; অথচ তার পাশে সূক্ষ্ম কারুকার্য, ডিটেইলিং সব রয়েছে। একটা পুরাতন ছবি থেকে গল্প শুরু হয়ে আবার ছবিতে মিলিয়ে গেল।
এই লেখাটি একটা উপন্যাস হওয়ার কথা; চারকোল স্কেচের অনেক বেশিই হয়ে রইল। এবার লেখক ঠিক করবেন, কত বড় ক্যানভাস লাগাবেন তাঁর ইজেলে।
হাহা, ইন্টারভ্যালটা একদম ঠিক জায়গায় দিয়েছেন, ইন্দ্রাণী। ইন ফ্যাক্ট আমার গল্পে ওই জায়গায় ইন্টারভ্যাল একটা রাখা উচিত ছিল, যেটার খামতি হয়ে গেছে।
Deleteউপন্যাসের ব্যাপার বলতে পারি না, আমার মনে হয় এটা আমার একটা অক্ষমতা যে আমি ছোটগল্পের মধ্যে একগাদা গল্প না গুঁজে দিয়ে থাকতে পারি না। ছোটগল্প বাই ডেফিনিশন অল্প চরিত্র, অল্প সময়, অল্প ঘটনা নিয়ে হওয়ার কথা, সে জায়গায় আমি গল্প বলার তাড়নায় যা পারলাম গুঁজে দিলাম। এক্ষুনি সুমনের অরুণ মিত্র গানটা শুনছিলাম। একজন মানুষের উঠে দাঁড়ানোর মুহূর্ত নিয়ে একটা গোটা গান। আমারও খুব শখ হয় ওই রকম একটা মুহূর্ত নিয়ে গল্প লেখার। পারি না।