বাসাবদল
একটা বাড়িতে পাঁচ বছর থাকলে সে বাড়ির সমস্ত রহস্য উন্মোচন হয়ে যাওয়ার কথা। সারারাত টপ টপ আওয়াজ হয় কোত্থেকে? বেসিনের কল থেকে। সর্বশক্তি দিয়ে টাইট করে বন্ধ করা সত্ত্বেও। বাড়িতে একা থাকলে সন্দেহ হয় আগের কোনও ভাড়াটে অপঘাতে মরেছিল হয়তো। হয়তো তার শুচিবায়ু রোগ ছিল, সারারাত কল খুলে হাত ধোয়।
দোকা থাকলে সে সমস্যা নেই। কারণ দুজনেই জানি ভূত বলে কিছু নেই। নির্ঘাত তুমি ভালো করে কল বন্ধ করনি। আমি! আমি গত তিনঘণ্টায় বাথরুমমুখো হইনি। তোমাকেই বরং দেখলাম পাঁচ মিনিট আগে ওদিক থেকে আসতে। কাজেই তুমি যাবে কল বন্ধ করতে। বাঃ, আমি যে চা করে দিলাম পনেরো মিনিট আগে? আমি পনেরো মিনিট পরে চা করে দেব, হয়েছে?
এ মোকদ্দমায় কোনও ন্যায়বিচার নেই। যাকে কল বন্ধ করতে যেতে হয় প্রতিবারই তার মনে হয় অবিচার হল, আর যাকে যেতে হল না তার সান্ত্বনা রইল, যাক, পৃথিবীতে সুবিচার বলে এখনও কিছু আছে।
কলরহস্য উন্মোচন হয়। ভূতের দোষ নেই, আমাদেরও না। কিছু কিছু কাজে গায়ের জোর ইউজলেস, কৌশলই আসল। যেমন আমাদের বেসিনের বাঁ দিকের কল বন্ধ করা। ক্লকওয়াইজ ঘুরিয়ে কল পুরো বন্ধ হওয়ার মাইক্রোসেকেন্ড আগে আবার মিলিমিটারখানেক অ্যান্টিক্লকওয়াইজ ঘুরিয়েই আবার ক্লকওয়াইজ। ওই মিলিমিটার আর মিলিসেকেন্ডটা ক্রুশিয়াল। কিন্তু মাপ দেওয়া অসম্ভব। ট্রায়াল অ্যান্ড এররে নিজেকেই বুঝে নিতে হবে।
আবার কিছু কিছু রহস্য গজিয়েও ওঠে। ফ্রিজের পাশের চাকাওলা প্লাস্টিকের টেবিলের নিচের ট্রেতে গোলাপি প্লাস্টিকে মোড়া জিনিসটা কী? আমি রাখলে মনে থাকত, নির্ঘাত তুমি রেখেছ। আচ্ছা আচ্ছা, তুমি রাখনি, আমিই রেখেছি, হয়েছে? কে রেখেছে সেটা পয়েন্ট নয়। কী রাখা হয়েছে সেইটা পয়েন্ট।
বাইরের ঘরের টেবিলের নিচের ড্রয়ারটা গত পাঁচবছরে পাঁচবারও খুলিনি। কী আছে ওটায়?
এই সব রহস্যউন্মোচনের মাহেন্দ্রক্ষণ সমাগত। বাসা বদলাচ্ছি। ওরে একটু বড় বাড়িতে যা বলে বলে দুই মা যখন ক্ষান্ত দিয়েছেন, সবাই যখন ধরে নিয়েছে যে ঘাড় ধাক্কা না দিলে আমরা এ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি না, তখন আমরা, স্বেচ্ছায়, সসম্মানে এ বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে চলে যাচ্ছি। গত পাঁচবছরে ড্রয়ারে ড্রয়ারে, টেবিলের নিচে, ওয়ার্ডরোবের নিচের তাকের কোণে যে সব রহস্যেরা গজিয়ে উঠেছে, সমাধান করছিকরব করে গড়িমসির আর সময় নেই। গোলাপি প্লাস্টিক এবার খুলতেই হবে। খুললাম, আর খোলামাত্র বেরোল . . . আমার হারিয়ে যাওয়া বরফে হাঁটার জুতো!
এতদিন বাড়ি না বদলানোর যুক্তি প্রচুর। এক নম্বর, বাড়ি বদলানো রীতিমত আর্থিক চোট। অ্যাডভান্স ভাড়া, সিকিউরিটি, এজেন্টের ফি, শিফটিং-এর খরচ। দু'নম্বর, ব্যাংকে, গ্যাসের দোকানে, ইন্টারনেট, ফোনের অ্যাকাউন্টে অ্যাড্রেস চেঞ্জ করা। কিন্তু সর্বপ্রধান অসুবিধে গভীরে চারিয়ে যাওয়া শিকড় তুলে আবার নতুন করে পোঁতার। এই বিছানার এই দিকটার এই দেওয়ালের এইখানটায় বেশ তেলা মাথার ছাপ পড়েছে এখন আবার অচেনা দেওয়ালে মাথা রাখতে কেমন লাগবে না জানার ভয়।
তবু একটা সময়ের পর বাড়ি বদলাতেই হয়। কারণ বছর বছর ভাড়া বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যে সেই ভাড়ায় বর্তমান বাড়িতে থাকা শত কুঁড়েমোর মুখ চেয়েও জাস্টিফাই করা যায় না।
আমাদের অবশেষে সেই পরিস্থিতি এসেছে এবং আমরা বাসা বদলাচ্ছি।
আর যেই না নতুন বাসা খুঁজে পাওয়া হয়ে গেছে, সইসাবুদ সব সারা, চাবি হাতে এসে গেছে, এই বাড়িটার মহিমাগুলো সব প্রকাণ্ড হয়ে চোখে বিঁধছে। কল বন্ধের রোজকার কসরৎটুকু তো অভ্যেস হয়ে গেছে, ওটা আর গায়ে লাগে না। কিন্তু বাথরুমের জানালা দিয়ে কেমন রোদ্দুর আসে, বাথরুম সর্বদা শুকনো খটখটে থাকে। নতুন বাড়িটা দেখেছি একদিন অফিসফেরৎ সন্ধেয় আর একদিন মেঘলা সকালবেলা। কে জানে সে বাড়ির বাথরুমে আলোবাতাস ঢোকে কি না। ও বাড়ির সামনে বড় রাস্তা নেই, এ বাড়ির সামনের রাস্তা কেমন লম্বাচওড়া, বুলেভার্ডের অমলতাস গাছ কেমন হলুদ ফুল ঝেঁপে এসেছে। উল্টোদিকের কলেজের দরজার সামনে ঝাঁকবাঁধা ছেলেমেয়েগুলোর মুখ দেখে মনে হচ্ছে, মাগো কী শিশু। ওই বয়সে নিজেদের কী প্রাজ্ঞ মনে করতাম মনে আছে? কলেজে দু'মাস অন্তর কণ্ঠী নাইটে জানালার কাচে আর আমার গলার ভেতরে ঢিকচিক ঢিকচিক বাদ্যির আতংক ফিকে হয়ে এসেছে। ওরা পার্টি করবে না তো কি আমি করব?
যদি নতুন বাড়িটার সবকিছূ পারফেক্ট হয়, তবুও এই বাড়িটাকে একটা জায়গায় কোনওদিন মাত দিতে পারবে না। কোনও বাড়িই পারবে না কোনওদিন। এ বাড়িটা আমাদের প্রথম সংসার।
বাসাবদলের বিরক্তি আর বিষাদ চাপা দিতে রুপোলি রেখা খুঁজে বার করেছি কিছু। প্রথমটা আগেই বললাম, গত পাঁচবছরের সমস্ত রহস্য উন্মোচন। দুই, জঞ্জাল বিদায়ের সুযোগ। জঞ্জাল বিদায় করার অনেকরকম পথ ও পদ্ধতি আছে। লোকে পার্সোন্যাল শপার রাখে শুনে অবাক হয়েছিলাম। শপ থেকে কিনে আনা জিনিস ফেলার জন্যও লোকে এক্সপার্ট ভাড়া করে যতদিনে জানলাম ততদিনে অভিজ্ঞতা বেড়েছে, কাজেই অবাক হইনি। ইন্টারনেটের সুবিধে হচ্ছে, সব জিনিসেরই ফ্রি ভার্শান পাওয়া যায়। অবিকল এক হয়তো নয়, কিন্তু কাজ চালিয়ে দেওয়া যায়। এই সব ডিক্লাটারিং এক্সপার্টরা হাতের আসল তাসগুলো লুকিয়ে ছুটকোছাটকা ফ্রি টিপস দিয়ে রেখেছেন। সেই গুঁড়ো টিপসের নিশানা ফলো করে খদ্দেররা তাঁদের দোকানের দরজায় গিয়ে বেল বাজাবেন আশায়। অফ কোর্স, আমার মতো কিছু লোক থাকবেই যারা গুঁড়ো খেয়েই খিদে মেটাবে, কিন্তু ওইটুকু চান্স ওঁদের নিতেই হয়।
সে সব গুঁড়ো জড়ো করে যা বুঝলাম, বাড়ির ওজন কমানোর তিনটে রাস্তা আছে।
এক, একবারে সব টান মেরে ফেলে দেওয়া। ক্ষতের ওপর থেকে লিউকোপ্লাস্টার যত খুঁটে খুঁটে তুলবেন, যন্ত্রণা তত বাড়বে। তার থেকে একটানে আপদ বিদায় করুন।
দ্বিতীয়, অ্যাপ্রোচ, সিস্টেম্যাটিক্যালি একধার থেকে শুরু করুন। আজ শোওয়ার ঘরের ওয়ার্ডরোবের নিচের তলায় পরিপাটি ভাঁজ করা গোটা দশেক রংচটা বালিশের ওয়ার ফেলুন। অত যত্ন করে পরিপাটি করে রাখার মুহূর্তের চিন্তা ও যুক্তি মগজে রেপ্লিকেট করার চেষ্টা করুন এবং ব্যর্থ হোন। আগামীকাল ফেলুন রান্নাঘরের কে জানে কবে কেনা সন্দেহজনক গন্ধ বেরোনো ছাতু। মা পইপই করে বলেছিলেন গরমকালে শরবত বানিয়ে খেয়ে অফিস যেতে।
পয়সা দিয়ে কিনে নষ্ট করা ছাতু ডাস্টবিনে ঢালতে ঢালতে শপথ নিন, নতুন বাড়িতে গিয়ে মায়ের প্রতিটি কথা শুনবেন।
কোনটা ফেলবেন কোনটা রাখবেন, সে সব স্থির করারও মেথড আছে বিস্তর। একটা মেথড হচ্ছে কমন সেন্স অ্যাপ্লাই করা। কিন্তু এটা এতই কমন যে কারও পছন্দ নয়। যে পদ্ধতিটা আজকাল খুব চলছে সেটা হচ্ছে বাড়ির প্রতিটি জিনিস, পুরোনো মোজা, কাপড় শুকোনোর ক্লিপ, হোম ডেলিভারির প্লাস্টিক কন্টেনার এবং মাইক্রোওয়েভের তাপে বেঁকে যাওয়া তাদের ঢাকনা, হাতে তুলে নিয়ে কনসেনট্রেট করুন। শরীরে পজিটিভ এনার্জি ফ্লো টের পাচ্ছেন কি? ব্রেনের কোণা কোণা আনন্দে ভরে যাচ্ছে? তাহলে এখনও বিদায়ের সময় আসেনি। আর যদি ফ্লো ইত্যাদি কিছু টের না পান, সে যদি নিষ্প্রাণ বস্তু হয়েই থেকে যায়, আপনার অস্তিত্বে কোনও নতুন অর্থ সঞ্চার না করতে পারে তবে ও দায় মুক্ত হন।
বাইরের ঘরের টেবিলের নিচের ড্রয়ারে হাত দিলাম। না চলা পেন, না লেখা ডায়রি, কবেকার কেনা ফার্নিচারের রসিদ, আট বছর আগেকার দুজনের একসঙ্গে দেখা প্রথম সিনেমার টিকিট। তারপর দ্বিতীয় তৃতীয়, চতুর্থ.. কত সিনেমা দেখে ফেললাম। হাফ সেঞ্চুরি নির্ঘাত পেরিয়ে গেছে। এখন যদি আমাদের দেখা হত তাহলে সিনেমার টিকিট কাটতেই হত না। মোবাইল টিকিট স্ক্যান করে হলে ঢুকে যাওয়া যেত। জমানোর থাকত না কিছু। জায়গা বেঁচে যেত। গোছা গোছা আইডেনটিটি, ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড। একদিন এদের একটা সময়ের, স্পেশাল সময়ের প্রতিনিধি মনে হয়েছিল। কী কী হতে পারত, হবে না যে সন্দেহই ছিল না মনে, অথচ হয়নি, তার দলিল হিসেবে সযত্নে সঞ্চয় করে রেখেছিলাম।
গত পাঁচ বছরে সেই সব ব্যর্থ সম্ভাবনার ওজন এত কমে গেছে, রং এত ফ্যাকাসে হয়ে গেছে, ওগুলোর চেহারা স্পষ্ট কল্পনাও করতে পারি না আজকাল ।
যে রক্তমাংসের জীবনটা আষ্টেপৃষ্টে জাপটে ধরে দমবন্ধ করে দিচ্ছে আজকাল সেটাও কি কল্পনায় ছিল কখনও? আজকের দিনরাতের ছবি ওই সময়টায় দাঁড়িয়ে যদি কেউ দেখাত আমায়, বিশ্বাস করতাম? এই যে আমারতোমার একসঙ্গে থাকা, সব যদি নিয়ম মেনে চলত, হত? তোমার আমার দেখা হওয়ার মুহূর্তটাতে কত গ্রহতারা এক লাইনে দাঁড়িয়েছিল বল দেখি?
বাকি সব ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি, খালি সিনেমার টিকিটগুলো আমাদের সঙ্গে নতুন বাড়িতে যাচ্ছে।
Baah bari change korchhen....ekhon kodin oi niye byastota thakbe.
ReplyDeleteSesher paragraph ta khub bhalo laglo...
ধন্যবাদ, সুস্মিতা। আর বলবেন না, ব্যস্ততা আর শেষই হচ্ছে না।
DeleteAamra abar last 12 bochhore sabtheke beshi tana 2 bochhor ek barite thekechhi. Almost proti bochhor bari bodol korechhi.
ReplyDeleteসর্বনাশ। এটা করতে হলে আমি মারা যেতাম।
Deleteযে পদ্ধতিটা আজকাল খুব চলছে সেটা হচ্ছে বাড়ির প্রতিটি জিনিস, পুরোনো মোজা, কাপড় শুকোনোর ক্লিপ, হোম ডেলিভারির প্লাস্টিক কন্টেনার এবং মাইক্রোওয়েভের তাপে বেঁকে যাওয়া তাদের ঢাকনা, হাতে তুলে নিয়ে কনসেনট্রেট করুন। - ha - ha, this is called konmari.
ReplyDeletethik bolechhen - declutter korar duto upay- bari platano kimba barite lok daka. ekbar amar school friend ashbe bole amar ma puro bari opor theke nich including shiri porishkar korechhilo :)
বাড়িতে লোক ডাকলে আমার আবার শুধু পরিষ্কারই হয়, জিনিসপত্র ফেলে ওঠা হয় না, উজ্জয়িনী। ফেলতে গেলে ঠিকানা বদল মাস্ট।
Deleteebar amake oi decluttering ta korte hobe. 2014 te notun barite move korechhilam. tokhon dekhar somoy chhilo na bole sob ja chhilo pack kore enechhilam. ei char bochhore tara semni e unpacked roye gechhey. Ebar dhore unpack kore felte hobe sob guloke
ReplyDeleteএর থেকে খারাপ কাজ আর পৃথিবীতে দুটো নেই, চুপকথা।
Deleteআঠেরো বছর হল, আমার আর বাড়ি বা বাসাবদল হয় না। এক কোয়ার্টার ছেড়ে নতুন কোয়ার্টারে যাওয়া হয় শুধু। যতদিন স্ত্রী সঙ্গে ছিলেন, ততদিন তাও এসব হ্যাপা বলেই মনে হত। একা থাকা শুরু হওয়ার পর তাও গেছে। তবু, আহমেদাবাদের কোয়ার্টারের কম্পাউন্ডে একটা দোলনা ছিল। মেয়ের জন্য সেট করেছিলাম ওটা, নিজে বসতাম না ওতে। কিন্তু কোয়ার্টার ছেড়ে আসার সময় সেই দুলতে থাকা দোলনাটার দিকে তাকিয়েই হাত নেড়েছিলাম। গুয়াহাটির কোয়ার্টার ছাড়ার সময় কম্পাউন্ড সাদা করে রাখা শিউলি গাছটাকে বলে এসেছিলাম, "আসি গো।" কলকাতা ছাড়ার সময় হয়তো বইয়ের আলমারিগুলোর দিকেই ছুড়ে দেব শেষ তাকানোটা।
ReplyDeleteএই মায়াগুলোই থেকে যায়।
আহা, কোয়ার্টারও তো একরকম বাড়িই হল, ঋজু। আপনার কোয়ার্টার থেকে কোয়ার্টারে চলে যাওয়ার বর্ণনা ভারি ভালো লাগল। থ্যাংক ইউ।
Deleteবাসাবদল? এপাড়া ওপাড়া যাচ্ছেন, নাকি দূরে কোথাও?
ReplyDeleteডি থেকে আই ব্লক। তাতেই মনে হচ্ছে সাগরপাড়ি দিচ্ছি।
Deleteআই ব্লক মানে কালীবাড়ির সামনে যেটা? গেট দিয়ে ঢুকে একটা পার্ক আছে?
Deleteওই পার্কটা ছিল আমাদের ডেটিং স্পট
ওইটাই।
Delete"এই বাড়িটাকে একটা জায়গায় কোনওদিন মাত দিতে পারবে না। কোনও বাড়িই পারবে না কোনওদিন। এ বাড়িটা আমাদের প্রথম সংসার। " <3
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অন্বেষা।
Deleteকাকতালীয় ভাবে আমাদেরও বাসা বদল হচ্ছে এই সময়েতেই। এই খানিক আগে মালপত্র নিয়ে গাড়ি ছেড়ে গেল।১৪ টা বছর পর।একটা নিমগাছ লাগিয়ে ছিলাম,বেশ বড়সড় হয়েছে।
ReplyDeleteএইটা ভালো কাজ করেছিলেন, নালক। নতুন বাসায় সব ভালো কাটুক।
Deleteআহা নতুন বাড়িতে গুছিয়ে বসার শুভেচ্ছা জানালাম! আমার এগারো বছরের পুরোনো বাড়ি ছাড়তে হলে সবচেয়ে কষ্ট হবে নিজেদের হাতে লাগানো গাছগুলোর জন্য, আর বিছানায় নিজের কোন টা...আমি প্রায়ই জিনিসপত্র বাড়ি থেকে বিদায় করি, এই পসিটিভ এনার্জি র ব্যাপারতা জানতাম না :) তাহলে বোধয় কিছুই বিদায় হতোনা এতদিনে।
ReplyDeleteএকমত কাকলি। বিছানার কোণ জীবনযাপনের অপরিহার্য অঙ্গ, নতুন করে নতুন জায়গায় আবার মনের মতো একটা কোণ বানানো, অনেক পরিশ্রমের ব্যাপার।
DeleteAmar jinis rekhe dewa ar fele dewar sathe tomar o koto mile jacche .. ei je dudin age tomar jonno 32 takar hiseb korlam.. ebar to abar notun kore pension er hiseb korte hobe..
ReplyDeleteআরে তোর পেনশনের এখনও অনেক দেরি, ঊর্মি। এখন না ভাবলেও চলবে।
Delete