দ্য অয়েন্টমেন্ট
২০শে নভেম্বর, ২০১৭ র সকাল সাতটা তিন মিনিটে ঠাকুমা মারা গেলেন। আমি ঠাকুমার কাছে ছিলাম না। এমন দূরত্বেও ছিলাম না যে চট করে চলে আসতে পারি। কাজেই আমাকে বাবামা খবরটা তৎক্ষণাৎ জানাননি। পাছে আমার বিপদ হয়। পাছে আমি অতদূরে একলা ভেঙে পড়ি। আমি খবর পেয়েছি বাড়ি ঢুকে, অর্চিষ্মানের মুখে, সব চুকেবুকে যাওয়ার পর।
মৃত্যুর সময় ঠাকুমার কাছে আমার বাবা ছিলেন, মা ছিলেন, আর বিজলিদি ছিল। গত কয়েকবছরে আমার ঠাকুমার সবথেকে কাছের তিনজন মানুষ। ঠাকুমা বিছানাবন্দী ছিলেন অনেক বছর। শেষদিকে সাড়া কমে এসেছিল, ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, ‘মাল্টিঅর্গ্যান ফেলিওর’ শুরু হয়েছে। অতিকষ্টে দুয়েকটা কথা বলতেন, কিন্তু চেতনা টনটনে ছিল, যেটুকু বলতেন নিখুঁত বলতেন। ছোটদাদু দিদা দেখতে এসেছিলেন, প্রথমটা চিনতে পারেননি। দৃষ্টিশক্তি ধীর হয়ে এসেছিল। ঠাকুমার মুখের ওপর ঝুঁকে পড়াতে পেরেছিলেন। স্মৃতি অদ্ভুতভাবে কাজ করে। জ্যান্ত লোককে চিনতে পারছেন না, অথচ কবে মরে যাওয়া তাঁর ছোটমাসির নাম জিজ্ঞাসা করাতে মুহূর্তের মধ্যে বলে উঠেছিলেন, ‘কুট্টিমাসি’। ছোটদাদু কম মৃত্যু দেখেননি তাঁর জীবনে। বলে গিয়েছিলেন বাবাকে, এখন আর বেড়াতে যেয়ো না কোথাও।
সপ্তাহখানেক ধরে ঠাকুমার খারাপ শরীর আরও খারাপ হয়েছিল। কী একটা ইনফেকশন হয়েছিল, গালের কাছটা ফুলে গিয়ে ধুম জ্বর এসেছিল। ডাক্তারবাবু বদলে বদলে ওষুধ দিচ্ছিলেন, তাতে কাজও দিচ্ছিল। গালের ফোলাটা কমল, জ্বর নামল। সবাই ভাবল আবার সামলে নিলেন ঠাকুমা। গত প্রায় দশ বছর ধরে এই রকম সব ঝড় সামলে নিচ্ছেন ঠাকুমা। স্ট্রোক, মাথার অপারেশন, হ্যানাত্যানা। উনিশ তারিখেও একটা নতুন ওষুধ লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু, সন্ধ্যেবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে ওষুধটা কিনে এনেছিলেন বাবামা, খাওয়ানোও হয়েছিল।
কুড়ি তারিখ সকালে মা এসে ঠাকুমার লেপ সরিয়ে শীতের জামা পরাতে গিয়ে দেখেছিলেন, কী রোগা হয়ে গেছেন ঠাকুমা। শরীরটা শুধু একটা খাঁচা। রোজই দেখছেন, কিন্তু সেদিন মায়ের নতুন করে দুঃখ হয়েছিল। মনে হয়েছিল, ঠাকুমার কত কষ্ট হচ্ছে। বিজলিদি ঠাকুমাকে দাঁত মাজিয়ে, চুল আঁচড়িয়ে দেওয়ার পর চা খেতে বসা হত সবাই মিলে। এই পর্যন্ত অন্যদিনের মতোই চলছিল, বিজলিদি ঠাকুমার দেখভাল করছিল, মা রান্নাঘরে চা বানাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় ব্যতিক্রম ঘটল। বিজলিদি ডাকল, ‘বৌদি, শিগগিরি আসুন।’ মা ছাঁকনি ফেলে ঠাকুমার ঘরের পর্দা তুলে একঝলক দেখে বাবাকে দৌড়ে গিয়ে বললেন, ‘শিগগির এসো।’ বাবা এসে বসলেন ঠাকুমার পাশে। ঠাকুমার শ্বাস তখন গভীর এবং ধীর। বিজলিদির মাথা বরফের মতো ঠাণ্ডা, ঠাকুমার খাটের পাশের টেবিলে রাখা জলের ঘটি এনে দিল বাবার হাতে। বাবা এক চামচ জল দিলেন ঠাকুমার মুখে। জল ঠোঁটের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে গেল। মা ঠাকুমার মাথা তুলে ধরলেন, কিন্তু ততক্ষণে আরেকটা কথা মায়ের মনে পড়ে গেছে। ঠাকুরের আসনে দু’টো গঙ্গাজলের দুটো পাত্র রাখা আছে আমাদের। একটায় রিষড়ার গঙ্গার জল, অন্যটায় হরিদ্বারের। হরিদ্বারের গঙ্গার জল আনার পর সেই দিয়েই খুব পুজোটুজো হচ্ছিল, যতদিন না ঠাকুমা বললেন, রিষড়ার গঙ্গার জলেই ঠাকুর তুষ্ট হবেন এখন, হরিদ্বারের গঙ্গার জল বরং বাঁচিয়ে রাখ আমার জন্য। তখন ঠাট্টা বলেই ধরেছিল সবাই, কিন্তু ওই মুহূর্তে সবই ভয়ানক সিরিয়াস। ঠাকুমার মাথার নিচে শাল গুঁজে দিয়ে মা দৌড়লেন ঠাকুরের আসন থেকে ঠাকুরকে বঞ্চিত করে ঠাকুমার জন্য তুলে রাখা সেই জল আনতে। একেক চামচ সেই জল বাবা, মা, বিজলিদির হাত থেকে বিনা প্রতিবাদে ঢকঢক করে গিলে নিলেন ঠাকুমা, আর তাঁর চোখের পাতা দুটো স্লো মোশনে বুজে এল। যেন ভীষণ ঘুম পেয়েছে।
ডাক্তারবাবু এলেন। তেত্রিশ বছর আগে আমার ঠাকুরদা মারা যাওয়ার সময় এই ডাক্তারবাবু সবে পাশ করে পাড়ায় চেম্বার খুলে বসেছিলেন, ঠাকুরদা বন্ধুবান্ধবের কাছে সুখ্যাতি শুনেছিলেন, খুব শখ ছিল তরুণ ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে তবে মরবেন। ঠাকুরদার সাধ মিটেছিল। সেই আমাদের বাড়িতে ডাক্তারবাবুর যাতায়াত শুরু। তেত্রিশ বছর পর, সেই ডাক্তারবাবু, এখন যাঁর চুলে পাক, চোখে চশমা, আমার ঠাকুমার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দিলেন।
আত্মীয়স্বজন এল, তারও আগে এল পাড়ার লোক। ঠাকুমা যাঁদের সঙ্গে বসে বারান্দায় গল্পের আসর বসিয়েছেন, রাত তিনটে থেকে জেগে থেকে নিজের বাড়ির সঙ্গে যেচে যাঁদের বাড়ির ফুলগাছ পাহারা দিয়েছেন, সবাই। জেঠু, জেঠি, রত্মাকাকিমা, অমিতকাকু, শ্যামলকাকু, রাজুদা, টুকাইদা, বুচিদিদি, বুবুন। হরিবোল বলে ঠাকুমার খাট গাড়িতে তুলে দিল সবাই। আমার বাবাকাকাজেঠু তো গেলেনই, পাড়ার সবাই যারা একে অপরের বাড়ির শ্মশানবন্ধু হয়ে এসেছে বছরের পর বছর, তারাও সঙ্গে গেল।
*****
শোক সর্বদাই স্বার্থপর। ঠাকুমার জন্য আমার যত না শোক, ঠাকুমা চলে যাওয়ার পরের আমার জন্য আমার শোক তার থেকে অনেক বেশি। মোটে একটাই জীবন বাঁচছি, কাজেই বেঁচে থাকায় আমি এক্সপার্ট নই। বেঁচে থাকতে গেলে কী কী লাগে আমি জানি না। টাকা লাগে, জামাকাপড় লাগে, প্রতিষ্ঠা, প্রতিপত্তি, এবং প্রশংসা লাগে। কার কতটা করে লাগবে তারও তারতম্য আছে, কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই।
তবে যা বুঝেছি, বাঁচতে গেলে ভালোবাসার লোক লাগেই। এমন লোক যারা আমাকে ভালোবাসবে। কোনও প্রশ্ন না করে ভালোবাসবে। আমি যেমন ঠিক তেমন করে আমাকে ভালোবাসবে। আর সে রকম ভালোবাসা কেমন হয়, কাকে বলে তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন আমার ঠাকুমা।
জীবন থেকে হঠাৎ অতখানি ভালোবাসা উধাও হওয়ার ক্ষতি হিসেব করছি আমি এখন বসে বসে। শেষবার গিয়ে ঠাকুমার গালে গাল, ঠাকুমার আঙুলে আঙুল জড়ানোর ছোঁয়াটা মনে করার চেষ্টা করছি। অপেক্ষা করছি, কখন সময় এই ক্ষতি পূরণ না করলেও, অন্তত ভুলিয়ে দেবে।
ডেথ ইজ নট দ্য ফ্লাই ইন দ্য অয়েন্টমেন্ট। ইট ইজ দ্য অয়েন্টমেন্ট। পড়লাম ক’দিন আগেই। ক’দিনের জীবন কাটিয়ে আমার ঠাকুমা সেই মৃত্যুময় জগতে ফিরে গেছেন। আমিও যাব একদিন। যদিও আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য ঠাকুমা ততদিন বসে থাকবেন, তা ধরে নেওয়ার মতো নিষ্পাপ বিশ্বাস আমার আর নেই। শুধু গত সাঁইত্রিশ বছরের ঠাকুমাকে কাছে পাওয়াটুকু রইল। থাকবেও।
ডেথ ইজ নট দ্য ফ্লাই ইন দ্য অয়েন্টমেন্ট। ইট ইজ দ্য অয়েন্টমেন্ট। পড়লাম ক’দিন আগেই। ক’দিনের জীবন কাটিয়ে আমার ঠাকুমা সেই মৃত্যুময় জগতে ফিরে গেছেন। আমিও যাব একদিন। যদিও আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য ঠাকুমা ততদিন বসে থাকবেন, তা ধরে নেওয়ার মতো নিষ্পাপ বিশ্বাস আমার আর নেই। শুধু গত সাঁইত্রিশ বছরের ঠাকুমাকে কাছে পাওয়াটুকু রইল। থাকবেও।
E je ki bhishon koshto ami bujhi Kuntala. Uni jeno shanti paan eyi kamona kori. Tumi shokto theko.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, শর্মিলা।
Deletefeeling sorry for your loss. ei kharaplaga bhashai prokash kora jaina.
ReplyDelete----Susmita.
থ্যাংক ইউ, সুস্মিতা।
Deleteএই শোকের সমবেদনা বলে কিছু হয় না। তাই কিছু লিখতে পারব না। সময় এই ক্ষতস্থানে নিজস্ব প্রলেপ দেবে একদিন, তবে চেনা ঘরে ঢুকেই ধুনো, ওষুধ, আর আদর মেশানো গন্ধটা আর না পাওয়ার ধাক্কা লাগবে, যতবার ওই চৌকাঠ পেরোবেন। আমার লাগে, তাই জানি।
ReplyDeleteগন্ধটা অবিকল ধরেছেন, ঋজু। আমিও সময়ের অপেক্ষাতেই আছি।
Deleteঠাকুমা এই ক'বছরে আমাদের সবার ঠাকুমা হয়ে উঠেছিলেন। উনি যেখানেই থাকুন, সেই ডাকাতের গল্পের মতো দাপটের সাথে থাকবেন, আমি জানি।
ReplyDeleteআপনার শরীর ও মন ভালো রাখবেন, কাকু কাকিমার খেয়াল রাখবেন।
ডাকাতের গল্পটা মনে আছে, চন্দ্রচূড়? ঠাকুমা খুশি হতেন জানলে। ঠিকই বলেছেন, আমার থেকেও মাবাবার কষ্ট বেশি। ওই বাড়িতে তো ওঁদেরই থাকতে হবে।
Deleteএমন গল্প কি ভোলা যায়? :)
Deleteতাও বটে।
DeleteThakuma nishchoi o paare giyeo boot juto pore chor ke bhoy dyakhachchhen, dekho tumi.
ReplyDeleteDidima chole gachhen bochhorkhanek holo, purota samle uthte bodh hoy ekhono parini. Ghore dhuklei buk ta dhok kore othe.
Sabdhane theko Kuntala di.
বাড়ি ফিরতে আতংক হচ্ছে, বিম্ববতী। ওই ঘরটা, ওই খাটটা....
Deleteউঃ|
ReplyDeleteসত্যিই উঃ করে ওঠার মতো ব্যথা, অন্বেষা।
Deletekhub khub kharap laglo shune.. aapni sabdhane thakben.. please be kind to yourself..
ReplyDeleteIndrani
থ্যাংক ইউ, ইন্দ্রাণী। আপনার কথা মনে রাখব।
DeleteAbantor er anyotomo akorshon chhilen thakuma.. :(
ReplyDeleteApnar lekha - thakumar bola golpogulo sobsomoy mone thankbe..
থ্যাংক ইউ, রণদীপ। ঠাকুমা সত্যিই অবিস্মরণীয়।
Delete......
ReplyDeletebhalo thakar chesta korben.. etukui shudhu bolar
সেই চেষ্টাই করছি, ঋতম। থ্যাংক ইউ।
DeleteAmar somobedona roilo. Khub priyo ekjon k hariyechi tokhon onek dure chilam, Bari aste parini, bujhte parchi apnar kotota kharap lagche.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সুহানি। আমি এখনও স্থির করে উঠতে পারছি না, দেখলে ভালো লাগত না কি না দেখে থাকাই বেটার। যাই হোক, এখন আর ভেবে লাভ নেই।
DeleteThakuma-ra thaake na... Kintu bhalobasha ta thaake...
ReplyDeleteএকদম ঠিক, অর্পণ .
Deleteami akjon manusher jonno kadchi jar sathe amar porichoy shudhu ei blog theke. blog er thumbnail ta chokhe portei buk ta dhok kore uthechilo. thakuma bhalo thakun jekhanei thakun.
ReplyDeleteআমারও তাই প্রার্থনা, কুহেলি।
Deleteishh! monta hu-hu kore uthlo..Abantor er ekta part amra haralam. asha kori samayer sathe tumi manie nite parbe...kaku kakimar bodhoy khub kashto habe...oi smritir modhyei thaka to...- Bratati.
ReplyDeleteসে তো বটেই, ব্রততী। মাবাবার কষ্টই বেশি।
DeleteI am very sorry kuntala di. But ei lekha ta am sesh porjontoo porte parlam na.. r kichu bolbo na. tumi bhalo theko.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ প্রিয়াঙ্কা। আমিও সরি, যদি লেখাটা তোমার খারাপ লেগে থাকে। হয়তো এভাবে না লিখলেও হত, কিন্তু আমার ইচ্ছে করছিল, নিজের জন্যই, তাই আরকি...
Deletena na lekha ta khub koster..lekhar dosh noe, lekhar gun
Deleteওহ, আমি ভাবলাম তোমার খারাপ লেগেছে এত ঘটা করে ঠাকুমার মৃত্যুর কথা লিখেছি বলে। আসলে আমি ছিলাম না তো, মায়ের কাছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে শুনে যতটা মনে রাখা যায় মনে রাখার চেষ্টা করছি এখন...
DeleteTumi bhalo theko Kuntala...thakuma shanti paben.
ReplyDeleteহ্যাঁ, ঠাকুমা তো চলেই গেছেন, রুণা, এখন নিজেদের ভালো রাখার চেষ্টা করা ছাড়া আর কিছু করারও নেই।
Deleteকিছুই বলার নেই... গত দুতিন বছরে অনেককে হারিয়েছি। কাকু, জেঠু, পিসি, বেস্ট ফ্রেন্ড। ঠাকুমা কে আপনার কলম দিয়ে অনেকটা চিনেছিলাম। বিছানাবন্দি হয়ে থাকাটা বড় কষ্টের। আশাকরি ঠাকুমা এখন সুখে আছেন।
ReplyDeleteসেটা ঠিকই বলেছেন, দেবাশিস। ঠাকুমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। সেটার যে অন্ত হয়েছে, এটাই সবথেকে জরুরি কথা।
DeleteThakuma Rishra'r oi ghorta theke hoyto chole gelen, kintu tini acchen - amader sokoler hridoye tini theke jaben.
ReplyDeleteR kichhu bolar nei
থ্যাংক ইউ, অরিজিত। আপনারা আমাকে এই সময়টায় ভালো থাকতে যে কতখানি সাহায্য করলেন, আমি বলে বোঝাতে পারব না।
Deleteপ্রিয়জনের মৃত্যু সবসময়ই দুঃখের। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই দুঃখ ক্রমশ ম্লান হয়ে আসে। তবু হটাৎ করে জীবনের কিছু মুহুর্ত আসে, যখন ওই চলে যাওয়া মানুষটাকে আর কোনদিন কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণাটা গলার কাছে এসে জমা হয়। দারুণ ভাল একটা কিছু যে কিছুতেই ওই মানুষটার সাথে ভাগ করা যাবে না - সেই যে কষ্ট, সেটা কাউকে বোঝানোও যায় না, কারণ অনেকেই শুনলে ভাবে বাড়াবাড়ি।
ReplyDeleteআমি নিশ্চিত আপনার ঠাকুমা আপনার আগামী সব খুশীর মুহুর্তে আপনার সাথে থাকবেন আর থাকবেন আপনার লেখায়।
থ্যাংক ইউ, আত্মদীপ।
Deleteখুব খারাপ লাগলো শুনে কুন্তলা | তোমার জীবনের একটা দিক খালি হয়ে গেল | বাড়ি যেতে পেরেছিলে?
ReplyDeleteএই এয়ারপোর্টে বসে আছি, অমিতা। বাড়ি যাচ্ছি। আমারও ওইটা মনে পড়েই যত কষ্ট হচ্ছে, জীবনের একটা অংশ আর রইল না।
DeleteThakuma mara gechhen shune khub kharap laglo. Tobe tomar smritite to oboshyoi, amader moton pathokder smrititeo uni sob somoyei thakben. Tomar lekha pore pore thakumake moye hoyechhilo bohukaler chena. bhalo theko.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, চুপকথা।
Deleteকি আর বলব। আমার ঠাকুমা যখন মারা যান তখন মনে হয়েছিল, এক সেট ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে আর কেউ থাকলনা, সেসব গল্প বলার আর শোনার দিন শেষ। শয্যাশায়ী হয়ে থাকা কষ্টের, তবে শেষ সময়ে আপনি কাছে থাকতে পারলেননা সেটাই দুঃখ। ঠাকুমার আত্মার শান্তি কামনা করি।
ReplyDeleteঠিক বলেছেন, সুগত। একজনের সঙ্গে সঙ্গে কতকিছু যে যায়, তলিয়ে ভাবলে আতংক লাগে।
Deleteবহুদিন পর লেখা পড়তে এসে ঠাকুমা র চলে যাওয়ার খবর পেলাম। মন খারাপ হয়ে গেল রে। আমার বড়মার কথা মনে পড়ল। এমন ভালবাসার মানুষ চলে গেলে অনেক টা শূন্যতাবোধ জন্মায়। আবার স্মৃতি তে রয়ে যায় সবটুকু। অনেক গল্প ও করতিস, সে সব মনে পড়ছে।
ReplyDeleteঠিক বলেছিস, সাহানা।
Deletebohudin por elam blog e, monkharap kora khabor. ei shunyotar kono santona hoina. - Ichhadana
ReplyDeleteহ্যাঁ, ইচ্ছাডানা। আশা করি আপনার সব ভালো চলছে।
Delete