সকাল থেকে মুখ এক্সট্রা হাঁড়ি করে বসেছিলাম। ঠিক করেছিলাম, নিজে থেকে তো জানাবই না, হোয়াটসঅ্যাপে কেউ শুভ নববর্ষ জানালেই মনে মনে তার গর্দান নেব। যত ফিরতি শুভেচ্ছা পাঠাব, সব ওপর ওপর, ফাঁপা। পাড়ার বাংলা স্কুলে মাইকে রোজ প্রার্থনায় গায়ত্রীমন্ত্র হয়। রোজ এই সময়টা এমন মুখ করে থাকি যেন নিজে একটা আস্ত হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। তারপর নিজেকে মনে করাই আমাদের ভয়ানক অন্যরকম ইস্কুলে, যার দেমাকে মাটিতে পা পড়ত না আমার, আমার অনেক বন্ধুর এখনও পড়ে না, রোজ সকালে শৃণ্বন্তু বিশ্বে , মধুবাতা ঋতায়তে, একবার সংস্কৃতে, একবার বাংলায়, একবার শুরু থেকে শেষ, একবার শেষ থেকে শুরু গাওয়ানো হত। সরস্বতীটতি তো ছেড়েই দিলাম, রামকৃষ্ণ সারদামা বিবেকানন্দর বাণীতে মুড়ে বড় করা হয়েছিল আমাদের। মন্ত্রোচারণ শেষ হল। বাঁচা গেল ভেবে হাঁফ ছাড়তে যাব, একজন মাইকে ঘোষণা করলেন আজ নববর্ষ বাবদ ক্লাস শুরু হওয়ার সময় সামান্য পিছিয়ে সংক্ষিপ্ত ফাংশান হবে। এস হে বৈশাখ হল। স্লাইট বেসুর, কিন্তু গলাটা মিষ্টি। সকালবেলা বাড়ির সামনে দিয়ে বাবার সাইকেলে বসে যারা গম্ভীরমুখে যায়, তাদের কেউ? জীর্ণপুরাতনকে ঝাঁটাপেটা করার মর্মে একজন কবিতা বলল। বরিষ ধরা মাঝে