Posts

তুলোর পাখি

Image
বাংলালাইভ ডট কমে আমার একটা বড়গল্প বেরিয়েছে। লিংক নিচে রইল। পোস্টটা সাইজে বড্ড ছোট হয়ে যাচ্ছিল বলে ওঁদের সাইটে আমার গল্পের সঙ্গে দেওয়াটা ছবিটাই সেঁটে দিলাম। তুলোর পাখি

#ফেলুদাব্যোমকেশেরপাশথেকেসরেদাঁড়ান

Image
সিরিজখানা খুন হয়ে গেছে কাস্টিং টেবিলে। পরমব্রতকে দেখে মনে হচ্ছে খোকাকে বুড়ো সাজতে বলা হয়েছে। ঋতব্রতকে দেখে মনে হচ্ছে বুড়োকে খোকা সাজতে বলা হয়েছে। রুদ্রনীলকে কী সাজতে বলা হয়েছে আমি শিওর নই। বুড়িয়ে গেলাম বুড়িয়ে গেলাম কঁকিয়ে মরি, চেহারায় বয়সের ছাপ না পড়লে কী ভয়ানক কাণ্ড হয় তার কশনারি টেল পরমব্রত। উনি যে চরিত্রেই অভিনয় করুন না কেন আসলে যাদবপুর ইংলিশ-এর চরিত্রে অভিনয় করেন বলে এতদিন বেঁকা হাসতাম, সাবাস ফেলুদা-র পর থেকে হাসছি না। সত্যি, স্বধর্ম ত্যাগ ইজ নেভার আ গুড আইডিয়া। এই সিরিজে উনি যাদবপুর ইংরিজির বদলে ফেলুদা সাজতে গেছেন। এমন একজন মানুষ যার ছাত্রদশা ঘুচে প্রাপ্তবয়স শুরু হয়েছে। সেটা করতে গিয়ে মুখের যাবতীয় পেশিকে জমিয়ে ফেলতে হয়েছে, যাতে ভুলক্রমেও তারা কোনওরকম অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচালতা প্রকাশ না করে ফেলে। গলার আওয়াজ মন্দ্রসপ্তকে বেঁধে ফেলতে হয়েছে, পাছে তা শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। চোখে কষে সুর্মা মাখাতে হয়েছে, সম্ভবতঃ দৃষ্টিকে অন্তর্ভেদী করে তোলার দুরাশায়। ঋতব্রতর চুলে অত জেল মাখিয়ে প্রায় সুনামির ঢেউয়ের হাইটের টেরি বাগানোটাও কৌতূহলোদ্দীপক। আমি মান্ধাতার আমলের হতে পারি, কিন্তু এই আমলের

টিন

Image
Habitation by MARGARET ATWOOD Marriage is not a house or even a tent it is before that, and colder: the edge of the forest, the edge of the desert                      the unpainted stairs  at the back where we squat  outside, eating popcorn the edge of the receding glacier where painfully and with wonder at having survived even this far we are learning to make fire 

চেনা কবিতা

  Bluebird by CHARLES BUKOWSKI there's a bluebird in my heart that wants to get out but I'm too tough for him, I say, stay in there, I'm not going to let anybody see you. there's a bluebird in my heart that wants to get out but I pour whiskey on him and inhale cigarette smoke and the whores and the bartenders and the grocery clerks never know that he's in there. there's a bluebird in my heart that wants to get out but I'm too tough for him, I say, stay down, do you want to mess me up? you want to screw up the works? you want to blow my book sales in Europe? there's a bluebird in my heart that wants to get out but I'm too clever, I only let him out at night sometimes when everybody's asleep. I say, I know that you're there, so don't be sad. then I put him back, but he's singing a little in there, I haven't quite let him die and we sleep together like that with our secret pact and it's nice enough to make a man weep, but I don&#

প্রজাপতি প্রিমিয়াম

একটা ঠিক মানুষকে যত শেখায়, একটা ভুল শেখায় তার থেকে অনেক বেশি। তাই বলে জীবনের মধ্য দিয়ে যেচে ভুল করতে করতে চলা যায় না। অন্তত কাম্য নয়। অথচ চললে শিখতাম হয়তো অনেক বেশি। বা শিখতাম না। ভুলের ওপর ভুলের পাহাড় জমিয়ে বসে থাকতাম, কিছুই না শিখে। আমার পক্ষে সবই সম্ভব। ছাত্রের টাইপের ওপরও শেখা না-শেখা নির্ভর করে। বুদ্ধিমানরা দেখেশুনেই অনেকটা শেখে। আমার শিখতে হলে হাত পোড়াতে হয়। অনেকে বলে ওতে নাকি শেখা কায়েমি হয়। হাতও যে পোড়ে? যে ভুলটা নিয়ে এত প্যাঁচাল, সেটার নাম 'প্রজাপতি প্রিমিয়াম'। গতবছরের অক্টোবর মাসের গোড়ার দিকে গুরুচন্ডা৯-তে বেরোনো একটা নভেলা। যে নভেলাটার কথা আমি কাউকে বলতে পারিনি।  কাউকে বলা মানে অবান্তরে বলা। আর কেই বা আমার কথা শুনবে বলে বসে আছে। বলতে পারিনি, কারণ বলার অবস্থায় ছিলাম না। লেখাটা অ্যাটাচ করে ঈপ্সিতাকে সেন্ড করার মুহূর্ত থেকে ভয়ানক মন খারাপ হয়েছিল। ভয়ানক। ভয়ানক। কারণ, গল্পটা আমার মনের মতো হয়নি।  অফ কোর্স, কোনও গল্পই মনের মতো হয় না। 'মনের মতো' অবস্থানটা শুধু মনের মধ্যেই সম্ভব। লেখা, চাকরি, প্রেম। বাস্তবের রোদহাওয়া গায়ে লাগা মাত্র সবাই, সবকিছু, হড়কাতে শুরু করে।

ইদানীং দিনরাত

Image
আগেই বলা উচিত ছিল। আগামী মাসদেড়েক অনিয়মিত হবে অবান্তর। আমার দোষেই কারণ চব্বিশ ঘণ্টা সব কাজ সামলানোর পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু আমি যেহেতু আমি, সব সামলাতে গেলে সবক'টাই ছত্রাকার করব। কিছু প্রায়োরিটি এসেছে যা ছত্রাকার হলে খুবই খারাপ হবে। অবান্তর ডকে তুলে সে সব প্রায়োরিটি পালন করতে গেলে আবার মানসিক স্বাস্থ্য টলমলাবে। কাজেই মাঝে মাঝে ঘাই মেরে ফাঁকিবাজি পোস্ট করে ডুব দেব। কিছু মনে করবেন না আশা করি। আজকের ফাঁকিবাজি পোস্টে দুটো গান। অনিমেষ রায়ের গান, ইউকুলেলে এবং নয়ন রায়ের ডুবকি - সকলেই শুনে ফেলেছেন, আমার এত দেরি হল কেন কে জানে। সবেতেই দেরি বলে বোধহয়। অনিমেষ কোক স্টুডিও ইত্যাদিতেও গেয়েছেন, কিন্তু আমার ওঁর ঘাটেমাঠে বা ঘরের ভেতর বসে গাওয়া গানগুলো বেশি টেনেছে। সে রকম দুটো গান রইল। প্রথম গানটা এমনিই ভালো। দ্বিতীয় গানটা এক্সট্রা ভালো করে তুলেছে 'দ্যাখ কেমন লাগে'র অ্যাংগলটা।

দিবসোপযোগী

সকাল থেকে মুখ এক্সট্রা হাঁড়ি করে বসেছিলাম। ঠিক করেছিলাম, নিজে থেকে তো জানাবই না, হোয়াটসঅ্যাপে কেউ শুভ নববর্ষ জানালেই মনে মনে তার গর্দান নেব। যত ফিরতি শুভেচ্ছা পাঠাব, সব ওপর ওপর, ফাঁপা। পাড়ার বাংলা স্কুলে মাইকে রোজ প্রার্থনায় গায়ত্রীমন্ত্র হয়। রোজ এই সময়টা এমন মুখ করে থাকি যেন নিজে একটা আস্ত হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। তারপর নিজেকে মনে করাই আমাদের ভয়ানক অন্যরকম ইস্কুলে, যার দেমাকে মাটিতে পা পড়ত না আমার, আমার অনেক বন্ধুর এখনও পড়ে না, রোজ সকালে শৃণ্বন্তু বিশ্বে , মধুবাতা ঋতায়তে, একবার সংস্কৃতে, একবার বাংলায়, একবার শুরু থেকে শেষ, একবার শেষ থেকে শুরু গাওয়ানো হত। সরস্বতীটতি তো ছেড়েই দিলাম, রামকৃষ্ণ সারদামা বিবেকানন্দর বাণীতে মুড়ে বড় করা হয়েছিল আমাদের। মন্ত্রোচারণ শেষ হল। বাঁচা গেল ভেবে হাঁফ ছাড়তে যাব, একজন মাইকে ঘোষণা করলেন আজ নববর্ষ বাবদ ক্লাস শুরু হওয়ার সময় সামান্য পিছিয়ে সংক্ষিপ্ত ফাংশান হবে। এস হে বৈশাখ হল। স্লাইট বেসুর, কিন্তু গলাটা মিষ্টি। সকালবেলা বাড়ির সামনে দিয়ে বাবার সাইকেলে বসে যারা গম্ভীরমুখে যায়, তাদের কেউ? জীর্ণপুরাতনকে ঝাঁটাপেটা করার মর্মে একজন কবিতা বলল। বরিষ ধরা মাঝে

নতুন চশমা

অর্চিষ্মান যেদিন চেয়ারের পেছন দিয়ে পাস করতে করতে আমার স্ক্রিনের ছত্রিশ ফন্টের দিকে চোখ ফেলে, “বস্‌স্‌স্‌স্‌…” বলে উঠল বুঝলাম আর দেরি করা যাবে না। বিকেলেই দয়াল অপটিকস। গটগটিয়ে ঢুকে গেলাম। কোনদিকে যাব, কার সঙ্গে কথা বলব ইত্যাদি নার্ভাসনেস দেখালাম না। চেনা দোকান। চেনা মুখ। করণীয় কাজের পারম্পর্য জানা। প্রথমে যেতে হবে দোকানের অন্যপ্রান্তে স্বচ্ছদেওয়াল কিউবিকলে, যার ভেতর একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক বিবিধ যন্ত্রপাতি সাজিয়ে বসে আছেন। ট্রে মতো একটা জিনিসে চিবুক রাখলাম। উত্তলমতো একটা জিনিস কপালে সেঁটে গেল। সবুজ মাঠ, নীল আকাশ, সবুজ ট্রাক। ঝাপসা হল,স্পষ্ট হল। যন্ত্র সরিয়ে, চশমার কংকাল নাকে বসিয়ে, গোল কাচ ঢুকিয়ে, ঘুরিয়ে, বার করিয়ে দূরের বোর্ডের বর্ণমালা পড়ানো হল। সেই সাড়ে পাঁচ থেকে পড়ে আসছি। সাড়ে পাঁচে ওই ট্রাকের ফোকাসের ব্যাপারটা হত না। বদলে ডাক্তারবাবু একটা হলুদ আলোর বিন্দু নিয়ে আমার চোখের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। চশমা হওয়ার গল্পটা আগে বলেছি, আবার শুনুন। কেজি টু শেষ আর ক্লাস ওয়ান শুরুর মাঝখানে আমার চশমা হয়। হওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই। কিন্তু আমি তো বুঝিনি যে আমি কম দেখি। আমি ভেবেছি আমি যেমন দে

পাকে পাকে বাঁধা

গত বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে, প্রতিভাস থেকে প্রকাশিত কৃত্তিবাস পত্রিকায় আমার একটা ছোটগল্প বেরিয়েছিল। ভদ্রস্থ পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়েছে আশা করে জানতে চেয়েছিলাম গল্পটা এবার আমি আমার ব্লগে দিতে পারি কি না। অবশ্যই পারি জানতে পেয়ে গল্পটা অবান্তরে দিয়ে রাখলাম। পাকে পাকে বাঁধা কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ সবথেকে সহজ এবং সাফসুতরো হচ্ছে সায়ানাইড। খাবে, মরে যাবে। আর্সেনিক হলে কষ্ট বেশি। পেটব্যথা, খিঁচুনি, ডায়রিয়া। বমি করে করে ন্যাতা হয়ে যাবে, তখনও শরীর মোচড় দিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করতে চাইবে যাতে বিষ ভেতরে না থেকে যায়। মোমের মতো চামড়া ফেটে ঘা বেরোবে। সারা শরীরে কালশিটে। এখনও তোমার সুবিধের কথা ভাবছি। আমার সুবিধে আর্সেনিকেই। আজকাল সুপারমার্কেটগুলোতে সব পাওয়া যায়। আমি ওদিক থেকে এঞ্জিন কুল্যান্ট তুলব, তুমি এদিক থেকে হারিসা আর অরগ্যানিক ডিম, ব্রাউন খোলের। ব্রাউন আর সাদা খোলের মধ্যে স্বাদ গন্ধ এমনকি নিউট্রিশন্যাল ভ্যালুরও কোনও তফাৎ নেই, বলার চেষ্টা করেছিলাম একবার। বাঁকা হেসেছিলে। দামের আছে। কিন্তু সায়ানাইডকে যতটা ইন্সট্যান্টেনিয়াস বলা হয়, ইন্টারনেট দাবি করছে ততটাও না। কারা যেন খেয়ে মরে যাওয়ার আ

আরও একবার

Image
গত আটচল্লিশ ঘণ্টা সব রাস্তা খাদের ধারে এসে থেমেছিল। নিজের রাস্তা ফুরোনোটায় অত কান্না পায় না, যত টুঁটি টিপে ধরে অন্যদের রাস্তা অনন্ত সম্ভাবনা, প্রাপ্তি ও অর্জনের দিকে ধাবিত হওয়াটা। ষষ্ঠ রিপুটা এমনি এমনি ষষ্ঠ নয়, যথার্থেই ওস্তাদের মার শেষ রাতে। এই সব সময়ে উইল পাওয়ারটাওয়ার পাগলের প্রলাপ। ডোপামিনের যে কটা বাহ্যিক অনুঘটক আছে তার মধ্যে, হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা পর্যন্ত একমত, সকালের সূর্য অন্যতম। নিজেকে ঠেলে মেলা গ্রাউন্ডে পাঠিয়েছিলাম ভোরে। ফিরে এসে বুঝলাম ঠেলা যথেষ্ট হয়নি। অর্চিষ্মানের ঘুম ঠেলে ভাঙাতে হবে। অটো চড়ে গেলাম কফি খেতে। ডিফেন্স কলোনির কফি শপ। আগে যাইনি কখনও। দোকানে ঢুকে মাছির মতো ধাবিত হলাম আলোকিত জানালার দিকে। দুটো চেয়ারের যেটাতে রোদ পড়েছে, অর্চিষ্মানকে সুযোগ না দিয়েই দখল করলাম। করার পর একবার বলেছিলাম অবশ্য, আমার চেয়ারটা বেটার, তুমি আসবে এদিকে? ওর 'না' বলার পূর্ণ নিশ্চয়তা নিয়েই। ক্রমাগত ঝড়বৃষ্টি হয়ে দিল্লির বসন্তটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দোসরা এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারোটার সময় ফ্যান চালাতে হচ্ছে না, স্মৃতিতে প্রথম। সেই বসন্তের আঁচ পোয়াতে পোয়াতে কফি খেলাম। ঘণ্টাখানেক ধরে সূর্য

তুমি একা, আমি একাই

বাড়িঘর ঝেড়েমুছে এক বালতি পেঁয়াজি ভেজে চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে প্রসেনজিৎ বেরিয়ে গেল, ফ্যান জোর আর লাইট নিভুনিভু করে আড্ডা শুরু হল। অনুপস্থিত বন্ধুদের নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে, এমন সময় চমকে মুখ চাপা দিল একজন। ভুলেই গেছি বলতে। খবরটা পেয়েছ? খবরটা এই নয় যে অমুকে প্রকাণ্ড মাইনের চাকরি পেয়েছে কিংবা মিটু খেয়েছে। খবরটা হচ্ছে, অমুক নিজের নতুন বাড়িতে একটি ঠাকুরঘর বানিয়েছে যেখানে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর লোকনাথবাবা রামঠাকুর সবাই আছেন। ইলন মাস্কের প্রথম মঙ্গলাভিযানের টিমে সিলেক্টেড হওয়ার খবর পেলে কম অবাক হতাম। বন্ধুটি আমার দেখা গেরিলাতম নাস্তিক। ছিলেন, আই গেস। সেটা অবশ্য একদিক থেকে আমার অবাক হওয়াকে নাকচ করে। কারণ গুলতি থিওরি। একটা গুলতি যত জোরে এদিকে টানা হবে, টান যখন ঢিলে হবে (সাধারণতঃ হয়) ঢিল তত জোরে, তত ওদিকে গিয়ে পড়বে। ঠাকুমার কথাটা একটু ঘুরিয়ে নিলে, যে যত বড় হিঁদুর পোলা, মুসলমান হলে সে তত উদ্যমে গোয়াল কে গোয়াল সাবাড় করবে। কত কেস যে দেখলাম। হাসাহাসি থামলে দ্বিতীয় কারণটা মাথায় এল। অবাক যে আর হলাম না তাই নয়, এক মুহূর্তে ক্লিয়ার হয়ে গেল ঘটনাটার পেছনে কী কাজ করেছে। একাকীত্ব। ক্লিয়ার হয়ে গ

আজ সারাদিন

Image
 

তাওয়াং ৬ঃ ফেরা

Image
গাড়ি দুলতে দুলতে চলল। জানালার কাচে গাল রাখল ঘন বাষ্প, ওয়াইপারের নাগালের বাইরে উইন্ডস্ক্রিনের কিনারায় বরফ আইস হতে শুরু করল। সবাই চুপ। অর্চিষ্মান ফিসফিসিয়ে বলল, মনে হচ্ছে না যত ভালোই হোক, এবার বরফ শেষ হলে পারে? বরফপাতের মধ্যে একটা ভুতুড়ে ব্যাপার আছে। ভূতে আমার আর অর্চিষ্মানের যেমন অবিশ্বাস তেমন ভয়। আমাদের ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ে, শনশনিয়ে কালবৈশাখী ছোটে, বা অত বাড়াবাড়ি কিছু না হলেও, স্রেফ গরম লাগলেও ফ্যান পাঁচে ঘোরে ক্যাঁচকোঁচিয়ে। মোটমাট একটা শব্দকল্পদ্রুম ঘটে। এদিকে বরফ পড়ে নিঃশব্দে, আশপাশের সমস্ত শব্দ শুষে নিয়ে। ভুতের আবির্ভাবের আদর্শ পরিবেশ। আমাদের বর্ষানিশীথে যে ভুতেরা আসেন রামনাম করলে তাঁরা পিছু হটলেও হটতে পারেন, বরফের নৈঃশব্দ্যে আসেন যাঁরা তাঁরা কীসে ভাগেন আমাদের জানা নেই। কাজেই বরফের ভুতুড়েপনায় আমাদের অস্বস্তি। অস্বস্তি কাটল একটি অসম্ভবে। দেভের সুমোও ফাঁসল। অট্টহাস্য করে দেভ বলল, আরে বাঁদিকে গেল না তো গাড়িটা কিছুতেই। চাকা ঘুরতে আর গাড়ি দুলতে শুরু করতেই লাফিয়ে নামার উপক্রম করলাম। গাড়ির দরকার নেই, গোটা রাস্তা হেঁটে যাব। আমার নামার আগেই ঠেলাঠেলি সারা হয়ে গেল এবং আবার চলতে শুরু করলাম