পাটিসাপটার প্রতিশোধ
নাকতলার মা পাটিসাপটা পাঠিয়েছেন। ওপরের প্রসেনজিৎ পাটিসাপটা আর পায়েস দিয়ে গেছে। মনে পড়ল মা নাড়ু পাঠাতেন। পাঠাতেন, সঙ্গে করে নিয়ে আসতেন, গেলে ফেরার সময় প্যাক করে দিতেন বয়াম ভরে। সবার মতো আমারও মনে হয়, আমার মায়ের মতো নাড়ু কেউ বানাতে পারে না। মায়ের মিষ্টির হাত ভালো ছিল, পায়েস, নাড়ু, মালপো - খুব বেশি বানানোর সময় পেতেন না, কিন্তু যখনই বানাতেন আমি একবারে চারটে নাড়ু, তিনটে মালপো, আড়াইবাটি পায়েস খেয়ে ফেলতে পারতাম। ছোটবেলায় চিনির নাড়ুকে গুড়ের নাড়ুর থেকে বেশি গুরুত্ব দিতাম। যে বাড়িতে বিজয়ায় চিনির নাড়ু খেতে দিত, একটা সফট কর্নার জন্মাত তাঁদের প্রতি। এর আর আর কোনও কারণ ভেবে বার করতে পারছি না শুধু এইটা ছাড়া যে আমাদের বাড়িতে চিনির নাড়ু হত না। ওই একই কারণে বাসি পাউরুটিকে হাতে গরম আটার রুটির তুলনায় বেশি সম্মান দেখাতাম, ভাবতাম দোতলায় থাকার অনুভূতি নিশ্চয় স্বর্গে থাকার অনুভূতির কাছাকাছি, ট্রেনে হাওয়া খেতে খেতে স্কুলে যায় যত হতভাগ্যের দল, খুপচি ভ্যানগাড়িতে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি হয়ে স্কুলে যেতে গেলে পূর্বজন্মের পুণ্য লাগে। এখন দল বদল করেছি। নাড়ু মাত্রেই ভালো, চিনি গুড় যারই হোক - অর্চিষ্মানের এই নন-পার্