Posts

ম্যানিয়া

Recently I took a taxi from one end of Paris to the other and got a garrulous driver. He couldn’t sleep at night. He had a bad case of insomnia. It all began during the war. He was a sailor. His ship sank. He swam three days and three nights. Finally he was saved. For several months he had wavered between life and death, and though he eventually recovered, he had lost the ability to sleep. “I live a third more life than you,” he said, smiling. “And what do you do with the extra third?” I asked. “I write,” he answered. I asked him what he wrote. His life story. The story of a man who swam three days at sea, held his own against death, lost the ability to sleep, but preserved the strength to live. “Is it for your children? A family chronicle?” “My kids don’t give a damn.” He laughed bitterly. “No, I’m making a book out of it. I think it could do a lot of people a lot of good.” My talk with the taxi driver gave me sudden insight into the nature of a writer’s concerns. The reason we write ...

ইঁদুরকল ও তড়কা প্যান

লৌকিকতার ক্লান্তি অতুলনীয়। বিয়েবাড়ি থেকে নাকতলা ফিরে শাড়ি ছেড়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে ডাইনিং টেবিলে চা নিয়ে বসে গত তিনদিনের ঘটনাবলী রিক্যাপ করে রেডি হতে গেলাম। উবার এল। টাটা বলে দুজনে গাড়িতে উঠলাম। দাদা বললেন, রিষড়া? রিষড়া। শ্রীরামপুর কোন্নগর সাইডে? শ্রীরামপুর কোন্নগর সাইডে। দাদা গাড়ি ছেড়ে দিলেন। জানালার বাইরে রোদমেঘের খেলা চলল। অর্চিষ্মানকে বললাম, গান শুনব? অর্চিষ্মান বলল, নিশ্চয় শুনবে। ডান কানে ইয়ারফোন গুঁজে বললাম, বাঁ কান খোলা থাকল, তোমার গল্প করার ইচ্ছে করলেই বলবে, অন্য কান থেকেও গান টেনে খুলে ফেলব। অর্চিষ্মান বলল, বুঝেছি কুন্তলা। থ্যাংক ইউ। এস পি বালাসুব্রমনিয়াম গান ধরলেন। জিস হাথ মে এক হাথ হ্যায়ঁ, উস হাথ কি কেয়া বাত হ্যায়ঁ। সুনতে থে হাম ইয়ে জিন্দগি, গম অওর খুশি কা মেল হ্যাঁ/ হামকো মগর আয়া নজর ইয়ে জিন্দগি ও খেল হ্যায়ঁ/ কোই সব জিতে সব কোই হার দে/ অপনি তো হার হ্যায়ঁ ইয়ার মেরে। দাদাকে বলা ছিল, দ্বিতীয় হুগলী সেতু থেকে নেমে ট্যাক্সি থামালেন। রাস্তার ধারের দোকান থেকে তিন ভাঁড় চা খাওয়া হল। তারপর সোজা বাড়ি। ***** খাওয়াদাওয়ার পর বাবা বললেন, ছাদে যা। সারপ্রাইজ আছে। তক্তা সেঁটে জেড লেখা দরজার খিল...

বিয়েবাড়ি

সোজা বাড়ি ফিরলেই হয়, কিন্তু হওয়ানোর দরকার নেই। চল, ওই মোড়টা পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে যাই, মোড় থেকে কিছু একটা ধরব। না পেলে উবার ডাকব। মোড়ে একজন দিদি চায়ের দোকান খুলে বসে আছেন। কাজেই আমাদের কর্তব্য চা খাওয়া। দোকানের সামনে পেয়ারা আধখানা খেয়ে ফেলে রেখে গেছে কেউ। পেয়ারা ঘিরে মাছিদের পার্টি। মাছিভনভন আধগলা পেয়ারা থেকে চোখ যথাসম্ভব ফিরিয়ে চায়ের অপেক্ষা করলাম। চা এল। একটা অটোও। যাবেন দাদা? দাদা হাসলেন। না দিদি। আমরা চা খেতে লাগলাম। দাদাও চা খেতে লাগলেন। এক ভদ্রলোক, সাইকেলের হ্যান্ডেলে বাজারের ব্যাগ ঝুলিয়ে এসে জানালেন তিনিও চা খাবেন। অটো আর সাইকেল একে অপরের চেনা। অটো জানতে চাইলেন, সাইকেল বিকেলে কী করছেন। সাইকেলের ভয়েস ব্যারিটোন। মিটিং আছে। অটোর চোখ কপালে। আবার? বাংলাদেশীরাও এত মিটিং করছে না তোরা যত মিটিং করছিস। বাপ রে বাপ রে বাপ। সাইকেল হাসলেন। আমিও হাসলাম। অটোও হাসলেন। একা অর্চিষ্মান অভদ্রের মতো গম্ভীর হয়ে রইল। কী গো হাসো? না হলে এঁরা কী মনে করবেন, বলে কনুইয়ের খোঁচা মারতে গিয়ে দেখি অর্চিষ্মান ভাঁড় ঠোঁটে ছুঁইয়ে ভুরু কুঁচকে কী একটা দেখছে। ওর ভুরু ফলো করে আমিও দেখলাম। আপনাদেরও দেখানোর চেষ্টা করি। দেখ...

আবছাবাজি

(এর আগে) ক্রিস্প, ক্রিমি, জেস্টি, ভেলভেটি, স্মোকি, সিডাকটিভ, ক্রিমি, স্পাইসি, সুয়াভ, রোবাস্ট, রাগেড, পলিশড, ডিসটিংগুইশড, এলিগ্যান্ট, ক্ল্যাসিক। ভদ্রলোক একে একে সব রকম সেন্ট আমাদের শোঁকালেন এবং আমার শৈশবকৈশোরের একটি ট্রমা উন্মুক্ত হল। ট্রমাটি ভাষাসংক্রান্ত। অর্থাৎ বাংলাসংক্রান্ত। আমাকে ট্রমাটাইজ করার ক্ষমতা হিন্দি ইংরিজিকে আমি দিইনি। আনন্দ লজ্জা শোক দুঃখ পিটিএসডি - যা দেওয়ার বাংলাই দিয়েছে এবং দিতে শুরু করেছে অনেকদিন থেকে। আমার অধিকাংশ “ট্রমা”রই গৌমুখ - সেই পিউবার্টি থেকে। তার আগে পর্যন্ত দিব্য ছিল। বাংলা বলছিলাম, পড়ছিলাম, লিখছিলাম। বাংলায় আদর পাচ্ছিলাম, বকুনি খাচ্ছিলাম। বাংলা আঙুল দিয়ে বাংলা ভাত মেখে খেয়ে বাংলা দৌড়ে বাংলা লোক্যাল ধরে বাংলা স্কুলে গিয়ে বাংলা বন্ধুদের সঙ্গে বাংলা মাঠে দৌড়ে বাংলা লক অ্যান্ড কি খেলছিলাম। বাংলা পরীক্ষার খাতায় 'ভালো'র বদলে 'অনির্বচনীয়' আর 'আস্তে'র বদলে 'মন্দাক্রান্তা' লিখে গাদাগাদা নম্বর পাচ্ছিলাম। নম্বর ইজুক্যাল্টু কোয়ালিটির মিথ্যেয় মাথা মুড়িয়ে গোপন বাংলা কনফিডেন্সে ভুগছিলাম। তারপর জীবনে বাংলা বয়ঃসন্ধি ঢুকে গেল। চারপাশে বাংলা ...

What a beautiful, beautiful ride

Image
 

সিল্ক

আমার হলুদ জামাটা আমার প্রিয়, অর্চিষ্মানেরও প্রিয়। অর্চিষ্মান সাদাটে শার্টটা অর্চিষ্মানের প্রিয়, আমার অতটাও না। বারোটা বেজে গেছে। আমরা পার্চে। আমাদের নৈশাভিসারের ফেভারিট জয়েন্ট। (ইন ফ্যাক্ট, কাল রাতেও পার্চেই গেছিলাম।) পার্চ ভালো। পার্চের স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিও ভীষণ ভালো। পার্চের ভিড় বা নিঃসঙ্গতা আমাদের পক্ষে অপটিমাল। পার্চের জানালা দিয়ে নিভতে থাকা খান মার্কেটের ভিউ আমাদের পক্ষে আরামের।  পার্চের লাইটিং-এ আমরা সর্বদা ফোটোজেনিক। ছবিটা আমাদের নিরানব্বই শতাংশ ছবির মতোই - সেলফি। ফ্রেমের কোণে অর্চিষ্মানের সেলফি শোলডারের আভাস। আমার যথারীতি বত্রিশপাটি বিকশিত। অর্চিষ্মানের যথারীতি গম্ভীর প্রসন্নতা। যেমন হওয়ার কথা। নাথিং সারপ্রাইজিং। ছবিটা সর্বদা অটোপ্লে থামিয়ে দেখি। আমাদের ঠিক আমাদের মতোই দেখতে লাগছে বলে, তাছাড়া এই ছবিটা দেখলে এমনকি আমার মতো অবিশ্বাসীরও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে - আমরা হ্যাপি। ***** এটা সিনেমা হলে। কোন হল মনে নেই। সিনেমার নামও ভুলে গেছি। দুজনেই থ্রি ডি চশমা পরে আছি। এটাও সেলফি, ফ্রেমে অর্চিষ্মানের সেলফি শোলডার। ছবিটা যতবার আসে, অর্চিষ্মান বলে, আমাদের অ্যাকচুয়ালি গগলস্‌ পরলে মন...

সোলমেট

দু'হাজার তেইশের অক্টোবরটক্টোবরে কৃত্তিবাসে গল্পটা বেরিয়েছিল। গল্প চাওয়ার সময় আমার জন্মদিন জানতে চেয়েছিলেন সম্পাদক। অবাক হয়েছিলাম, প্রকাশ করিনি। মানে অবাকত্বটা প্রকাশ করিনি, জন্মদিন সানন্দে করেছিলাম। সংখ্যা হাতে পাওয়ার পর দেখলাম, অনূর্ধ্ব পঁয়তাল্লিশ লেখকদের গল্পসংখ্যা। তখন বুঝলাম। আমার সন্দেহ আমার জন্যই সীমাটা চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ করতে হয়েছে। না হলে এই সব সীমাটিমা সাধারণত তিরিশ চল্লিশ জাতীয় মাইলস্টোনেই সেট করা হয়। একমাত্র এক্সেপশন অনূর্ধ্ব পঁচিশ। লজ্জাই হয়েছিল। সবেতে এত দেরি হয়ে যায় আমার। ছাপা হওয়ার ছ'মাস পর থেকে ভাবছি এবার গল্পটা অবান্তরে দিই, তাতেও দেরি। কিছু লেখা গত দু'বছর ধরে গলায় আটকে ছিল সেগুলো নিয়ে তানানানা করে অনেকটা সময় গেল। মন খারাপ তো আছেই। সারাদিন এত দুঃখ হলে শুধু ক্যান্ডি ক্রাশ খেলা ছাড়া আর কিছু করা যায় না।  ক্যান্ডি ক্রাশের লাইফ ফুরোলে, মন মোটামুটি মন্দের ভালো অবস্থায় পৌঁছলে, বাকি লেখাগুলো অবশেষে, অ ব শে ষে, ঘাড় থেকে নামলে এই গল্পটার গুগল ডকটা খুলি। এক লাইন পড়ি। দু'লাইন পড়ি। আস্তে করে উত্তরপূর্ব কোণের কাটা চিহ্নে কার্সার নিয়ে যাই। ক্লিক করি।  ক্লোজ কারেন্...