Posts

Showing posts from August, 2012

মিথ্যুক

মিথ্যেবাদীদের প্রতি আমার মনোভাব কী সেটা আমাকে যারা চেনেন তাঁরা জানেন। আমি নিজে মিথ্যে কথা বলতে ভালোবাসি, ডাইনে বাঁয়ে বলে থাকি এবং কেন সবাই মিথ্যে বলার প্রতি এরকম খড়গহস্ত হয়ে থাকে সেটা ভেবে থই পাই না। কিন্তু আমি জন্ম-মিডিওকার, মিথ্যে বলাতেও সরেস হতে পারিনি। আমার মিথ্যে কথাগুলো সব ওই দরজায় চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে মোবাইল ফোন তুলে “আরে ভীষণ জ্যাম, পৌঁছতে লেট হবে” কিংবা আগাপাশতলা সুর-তাল-লয়হীন গান শুনে সিরিয়াস মুখে “ফাটিয়ে দিয়েছেন” গোছের। ব্যস। মিথ্যে বলাটাকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারিনি আমি। আর্টিস্ট নই বলেই বোধহয়।   সেটা যারা পেরেছেন আমি তাঁদের শ্রদ্ধা করি। ইন ফ্যাক্ট ফেসবুকে যারা নিজেদের প্রিয় কোটেশনের জায়গায় “অনেস্টি ইস দ্য বেস্ট পলিসি” বা “সত্যের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ করা যায়” লিখে রাখেন তাঁরাও করেন। কারণ তাঁদেরই প্রিয় বইয়ের লিস্টে দেখবেন থরে থরে ঘনাদা, টেনিদা, জোজো সাজিয়ে রাখা আছে। রাখাই উচিত। সন্তুর থেকে জোজো হাজারগুণ ভালো আর লক্ষগুণ ইন্টারেস্টিং। সত্যি কথা বলতে কি জোজো না থাকলে কাকাবাবুর ক’টা গল্প আমি পুরোটা বসে পড়তে পারতাম আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু আজকে

ব্যক্তিগত ব্যাকরণ

Image
সিনেমাগ্রাফঃ  Old Hollywood by Jamie Beck  ভালোবাসা বিশেষ্য মা হাসি চা বই গান ভালোলাগা সর্বনাম আপনি তুমি ও সে কেউ ভালোলাগা অব্যয় কিন্তু যদি তবু বরঞ্চ সুতরাং ভালোলাগা বিশেষণ ফুরফুরে বিচ্ছু সহজ হাসিখুশি অভিমানী ভালোলাগা ক্রিয়াপদ ঘুমোনো গান গাওয়া সাইকেল চালানো ভুলে যাওয়া কাতুকুতু দেওয়া (লোক বুঝে অফ কোর্স)

চেনেন নাকি?

Image

ইটিং আউট

আমার ছোটবেলায় বাইরে খাওয়াটা একটা “ ব্যাপার ” ছিল। ইন ফ্যাক্ট, লায়েক হওয়ার আগে (অর্থাৎ কিনা কলেজে ঢোকার আগে) আমি ক'বার রেস্টোর‍্যান্টে খেতে গেছি সেটা গুনে বলে দেওয়া যায়। খুব সম্ভবত “ শূন্য ” বার। বিশ্বাস হচ্ছে না? আচ্ছা, খুব বেশি হলেও পাঁচবার। তার বেশি কক্ষনো নয়। তার কারণ এক, রিষড়ায় রেস্টোর‍্যান্ট বলতে তখনও চাউমিন আর এগরোলের গাড়ি বোঝাত; দুই, আমার বাবামা কেউই ঠিক “ রেস্টোর‍্যান্টে খাওয়া টাইপ ” নন। মায়ের তো চিরকালই পেট ভরলেই হল, বাবার মন ভরাতে হলে ক্যান্ডেলালোকিত হাক্কা চাউমিনের বদলে রাস্তার ধারের তেলচপচপে বেগুনিফুলুরি একশোগুণ বেশি এফেক্টিভ। তাই বলে আমার শৈশবকে করুণা করবেন না যেন। চাউমিন শনিরবিবার সকালে মা বাড়িতেই বানাতেন আর সন্ধ্যেবেলা ট্যাংট্যাং বাজনা বাজিয়ে ইডলিদোসার গাড়ি আসত পাড়ায়। ঠাকুমার পেনশনের টাকা উড়িয়ে আমি নিয়মিত সেগুলো চেটেপুটে খেতাম। দোসাওয়ালার ব্যবসাবুদ্ধি প্রখর ছিল, রোজ আমাদের বাড়ির সামনেটায় এসে আস্তে আস্তে হাঁটত আর বেশি জোরে জোরে তাওয়া বাজাত। কাজেই পাড়াগাঁয়ে থাকলেও ওরিয়েন্টাল আর দক্ষিণী কুইজিনের সঙ্গে আমার আলাপ বহুদিনের। প্রায়

দুই বোন

একজনের বয়স পাঁচ, আরেকজনের তিন। যার বয়স পাঁচ সে ছোটবোনের চুল কেটে দিয়েছে। নিজদায়িত্বে। বলাই বাহুল্য পরিণতি খুব একটা সুবিধের হয়নি। সপ্তাহকয়েক পর বোনেদের বাবা তাদের একটা ইন্টারভিউ নিয়েছেন। চুলকাটার ইতিহাস, উপকরণ, পদ্ধতি এবং কর্তন-পরবর্তী উপলব্ধি নিয়ে। শুনে দেখতে পারেন। আপনারা যদি আমার মতো হন, তাহলে একবার শুনে মন ভরবেনা গ্যারান্টি।

Dis or Dat: পাগলে কী না বলে

Image
শিডিউল না স্কেজিউলঃ শিডিউল লিফট না এলিভেটরঃ এলিভেটর চান না স্নানঃ স্নান গ্লাস না গেলাসঃ গেলাস হল না হলঘরঃ হলঘর ফোটোকপি না জেরক্সঃ জেরক্স সয়াবিন না নিউট্রিলাঃ সয়াবিন কিশমিশ না কিসমিসঃ কিশমিশ পাড়ানো না মাড়ানোঃ পাড়ানো ছাদ না ছাতঃ ছাদ দারোয়ান না দরোয়ানঃ দারোয়ান গেছিলাম না গিয়েছিলামঃ গিয়েছিলাম এর’ম না এরকমঃ এরকম পাজামা না পায়জামাঃ পায়জামা চানাচুর না চ্যানাচুরঃ চানাচুর আর্বাল না হার্বালঃ  হার্বাল বেনহুর না বেনহারঃ বেনহুর বুফে না বাফেঃ বাফে স্টিকিং প্লাস্টার না ব্যান্ডেডঃ ব্যান্ডেড অ্যাকাকিত্ব না একাকিত্বঃ অ্যাকাকিত্ব ডিকি না ট্রাঙ্কঃ ট্রাঙ্ক ডাস্টবিন না ওয়েস্টপেপার বাস্কেটঃ ওয়েস্টপেপার বাস্কেট সিনেমা না ছবিঃ সিনেমা ফুটপাথ না সাইডওয়াকঃ ফুটপাথ টয়লেট না রেস্টরুমঃ রেস্টরুম ক্যাব না ট্যাক্সিঃ ট্যাক্সি পেনড্রাইভ না ফ্ল্যাশড্রাইভঃ পেনড্রাইভ সেলফোন না মোবাইলঃ মোবাইল টমেটো না টম্যাটোঃ টমেটো গোটি না ছাগলদাড়িঃ ছাগলদাড়ি ওয়াও না ব্যাপকঃ ব্যাপক রাবারব্যান্ড না গার্টারঃ গার্টার (যদিও আমার বাড়িশুদ্ধু লোক গার্ডার বলে।) পিন

জানতেন?

Image
উৎস                 Avoid  horseplay or "kidding"; she may resent it.  Thank you.

লেখা

কথা তো বলার জন্যেই -এ আজ “ ফোটোজেনিক ” প্রকাশিত হচ্ছে। লেখাটা অনেকদিন আগে অবান্তরে বেরিয়েছিল, কিন্তু রোমান হরফে। কাজেই আগে যারা পড়েছেন তাঁরা চোখের আরাম চাইলে আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন। মতামতের অপেক্ষায় থাকব, বলাই বাহুল্য।

বিজ্ঞানঃ সক্ষম না অক্ষম?

কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। না থেকে উপায়ও ছিলনা। সপ্তাহান্তে বিস্তর ভালো ভালো ব্যাপার ঘটল। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে সাতসাতটি বছর পর দেখা, বাইরে অঝোর বৃষ্টি, ভেতরে তুমুল আড্ডা, সুগন্ধী পোলাও, কচি পাঁঠার ঝাল-ঝাল ঝোল, পেপটোবিসমল খেয়ে অকাতরে ঘুম। হিংসে করবেন না। প্লাসে মাইনাসে মাইনাস করার জন্য এসপ্তাহে আমার গোটাতিনেক ডেডলাইন আছে, তার মধ্যে দুটো লাইনের আমি এখনও স্টার্টিং পয়েন্ট ছেড়েই বেরোতে পারিনি। সামনের ক’দিন কপালে উত্তেজনা লেখা আছে। এখন পোস্ট লেখার জন্য যা-ই ভাবতে বসছি না কেন ঘুরেফিরে গত দু’দিনের টুকরোটুকরো ছবি ভেসে উঠছে মাথার ভেতর। আর আপনা থেকেই মুখটা হাসিহাসি হয়ে যাচ্ছে। এত কথা বুকের মধ্যে জমে ছিল কে জানত? জমা কথা জমা স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে এল, চোখের সামনে কবেকার ভুলে যাওয়া লোকেদের মিছিল। “হ্যাঁরে, অমুক কোথায় আছে জানিস?” লোকেরও অভাব নেই, লোক নিয়ে চর্চারও না। পরচর্চা করতেই করতেই পেট ভরে গেল, পোলাওটা ভালো করে খেতেই পারলাম না। ভালোজাতের আড্ডার মুশকিলটা হচ্ছে সেটার পুনরাবৃত্তি করা অসম্ভব। গুচ্ছ গুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা হল যেগুলো অবান্তরে লিখতে গিয়ে এখন মনে হচ্ছে ধুর এসব

সাপ্তাহিকী

Image
ওপরের ছবিতে নিজের ল্যাবরেটরিতে সাধনারত নিকোলা টেসলা। সারা বিশ্বের ক্লাসরুম। বইয়ের বাগান। নখের বাগান। আমি চিরদিনই জানতাম মহিলাকে আমার পছন্দ। আপনি কবে কী ভুলবেন,  ভুলে যাওয়ার আগে মনে করে দেখে নিন। জ্যাজসঙ্গীত। শিল্পীঃ মাইলস ডেভিস দরজা। বিয়ে করতে কেমন লাগে? একেবারে ঘোড়ার মুখের খবর। সবশেষে এসপ্তাহের গান। আমি সারাসপ্তাহ ধরে যেটা শুনছি সেটাই রইল আপনাদের জন্য। শুনুন, ডুবুন, আর মনে করে ভেসেও উঠুন কারণ সোমবার দেখা করতে হবে আমার সাথে। ঠিক এখানেই। টা টা।

স্বীকারোক্তি

স্বীকারোক্তির সময় এসেছে। অবান্তরকে আমার সব সময় ভালোলাগে, এক শুক্রবার ছাড়া। কারণ ওই দিনটায় আমাকে সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট লিখতে হয়। সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট ক্রমেই আদ্যোপান্ত নিখুঁত ডেটের ‘কথা বললে থুতু ছিটকোনো’য় পরিণত হচ্ছে, বা গোয়েন্দাগল্পে উড়ে এসে আলটপকা জুড়ে বসা প্রেমের সাবপ্লটে। দুটোই চরম অসুবিধেজনক। যারা জানেন, তাঁরা জানেন। মোদ্দা কথা অবান্তরের বাকি সিরিজ (চেনেন নাকি, ডিস অর ড্যাট, কখনোসখনো থিংস আই অ্যাম অ্যাফ্রেড টু টেল ইউ) বা নন-সিরিজ পোস্ট লিখতে বসার আমার যেমন তর সয়না, সব কাজ সেরে কখন MS Word খুলে বসব ভেবে মনটা আনচান করে, সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট লেখার আগে সেরকমটা হয়না। সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট লিখতে বসে আমার ক্ষণেক্ষণে জলতেষ্টা পায়, একের পর এক জরুরি ফোন করার কথা মনে পড়ে যায়, বারবার উঠে গিয়ে আয়নায় নিজের মুখ পর্যবেক্ষণ করতে ইচ্ছে করে, কপালের সামনে পাকাচুল আরও কখানা বাড়ল গুনতে ইচ্ছে করে ... এমনকি সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট লেখা ঠেকিয়ে রাখার জন্য আমি পুরো বাড়ি ভ্যাকুয়াম করে এসেছি এ ঘটনাও ঘটেছে। এক্ষুনি হাল ছাড়ছিনা অবশ্য আমি। “অ্যাগোনি আন্ট” হওয়ার

চেনেন নাকি?

Image

5 things

Image
আমার ব্যাগে টাকার পার্স পেন পেন ড্রাইভ চাবি চিরুনি আমার টেবিলে ঘড়ি ক্যালেন্ডার পেনস্ট্যান্ড টর্চ টেবিল ল্যাম্প আমার ফ্রিজে দুধ ডিম মাস্টার্ড আপেল বরফ আমার To do লিস্টে পড়াশোনা রেওয়াজ হাঁটা যোগব্যায়াম বাড়িতে ফোন আমার গায়ে চশমা দুল হাতঘড়ি নিভিয়া টাচ অফ স্মুদনেস বডি ওয়াশ নিভিয়া ন্যাচারাল লুক লিপ বাম আমার মাথার ভেতর অবান্তর মা অফিস যে কোনো একটা গান (কখনো  রশিদ, কখনো রিহানা) প্রেম আমার বিছানায় খোলা ল্যাপটপ মোবাইল বালিশ চানাচুরের শিশি উইথ চামচ আমি আর অবান্তরে আজ আপনাদের জন্য? বেশি কিছু নেই, খালি এই ভিডিওটা ছাড়া। আপনারা বসে বসে দেখুন, আমি চট করে একটা জরুরি কাজ সেরে আসি।

যদি এমন হত আহা

Image
উৎস

কী মিস কী মিস!

Image
বাড়িতে না থাকলে যে কত কিছু মিস হয়ে যায়। বাকিগুলোর কথা জানিনা, যুধিষ্ঠির ওই একটা প্রশ্নের জবাব অন্তত ঠিক দিয়েছিলেন---প্রবাসীর থেকে বেশি দুঃখী এ জগতে কাউকে খুঁজে বার করা টাফ। এক নম্বর তো বিয়েবাড়ি। প্রাণের বন্ধুদের দিদিদাদাদের সবকটা বিয়ে মিস হয়ে যাওয়ার পর থেকে এক এক করে প্রাণের বন্ধুদের বিয়ে মিস হওয়া শুরু হল। খাওয়া আর শাড়ি পরার সুযোগ হারানোর দুঃখের ওপর শাকের আঁটি বন্ধুদের রাগ। “ এলি না তো? দেখে নিলাম। ” যেন আমি ইচ্ছে করে যাইনি। কোনো মানে আছে? আমিও উল্টে মুখভারি করাতে মা বললেন, “সোনা ওদের ওপর কি এখন রাগতে আছে? মনে রাখবে বিয়ের ছ’মাস আগে থেকে ছ’মাস পর পর্যন্ত মানুষ নিজের মধ্যে নিজে থাকেনা।” কাজেই রাগ করা গেলনা। অবশ্য এতদিন বাদে সে রাগ আমার আর নেইও। বিয়ে তো দূর অস্ত, বন্ধুদের ছেলেমেয়ের মুখেভাত পর্যন্ত মিস হয়ে গেছে আমার। এখন আমি ওদের ছেলের পৈতে আর মেয়ের বিয়ে টার্গেট করে বসে আছি। তখন গিয়ে একেবারে হাতে পায়ে ধরে মান ভাঙাব। দু'নম্বর মিস হচ্ছে পুজোপার্বণ। দুর্গাপুজো নিয়ে আমার বিশেষ আফসোস নেই কারণ তখন বাড়ি গেলেই অভ্যেসের বশে অষ্টমীতে পাড়ায় অঞ্জলি দিতে যে

Dis or Dat

Image
অর্জুন না কিকিরাঃ কিকিরা ডেনিম না কর্ডঃ ডেনিম লেপ না কম্বলঃ লেপ সোয়েটার না চাদরঃ সোয়েটার কলসী না কুঁজোঃ কুঁজো ল্যাপটপ না ট্যাবলেটঃ ল্যাপটপ পর্দা না ব্লাইন্ডসঃ পর্দা ট্র্যাডিশনাল না ওপেন-বুকঃ ট্র্যাডিশনাল স্পষ্টবাদী না মিষ্টভাষীঃ মিষ্টভাষী উপমা (নোনতা সুজি) না চিঁড়ের পোলাওঃ চিঁড়ের পোলাও হার্ডকভার না পেপারব্যাকঃ পেপারব্যাক দক্ষিণেশ্বর না বেলুড়মঠঃ দক্ষিণেশ্বর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল  না মিলেনিয়াম পার্কঃ ভিক্টোরিয়া  মেমোরিয়াল   কমেন্টস না পেজভিউসঃ কমেন্টস সুমন না মহীনের ঘোড়াগুলিঃ সুমন কৃষ্ণচূড়া না রাধাচূড়াঃ কৃষ্ণচূড়া গদ্য না পদ্যঃ গদ্য ভাবসম্প্রসারণ না সংক্ষিপ্তসারঃ সংক্ষিপ্তসার দীঘা না পুরীঃ পুরী কার্ডিও না ওয়েটসঃ কার্ডিও ওয়ে ওয়ে না তু চিজ বড়ি হ্যায়ঃ তু চিজ বড়ি হ্যায় শনি না রবিঃ শনি বলা না শোনাঃ শোনা ইন্টারনেট না টিভিঃ ইন্টারনেট কড়া না কলিং বেলঃ কড়া নুডলস না ফ্রায়েড রাইসঃ নুডলস রুমাল না টিস্যুঃ রুমাল শ্যামা না চিত্রাঙ্গদাঃ চিত্রাঙ্গদা বুড়ো না ক

হাত ঘোরালেই বর্ণমালা

Image
উৎস বাই দ্য ওয়ে, একটা গোলমাল আছে বর্ণমালায়। বলুন তো কী?

ভাবা যায়?

মাসখানেক আগে একবার হয়েছিল, পাত্তা দিইনি। গত সপ্তাহে আবার হল। রাতের দিকে অল্প অল্প শীত করে। সকালে ঘুম ভাঙার পর ঘাড় মাথা অসম্ভব ভারি লাগে, ঢোঁক গিলতে কষ্ট হয়, কান-নাক-গলা তিনটেকে যোগ করে যে রাস্তাটা গেছে মাথার ভেতর দিয়ে, সেটা জলবিছুটি লাগার মত জ্বলতে থাকে। এই পর্যন্ত শুনে সোমা লাফিয়ে পড়ে বলল, “ কুন্তলা বেশি কায়দা না করে এইবেলা ডাক্তারের কাছে যা বলছি। ” বান্টি বলল, “ আহা এখনি ডাক্তার কীসের। আগে গার্গল করে দেখো, হয়ত নিরীহ ইনফেকশন। ” সোমা জ্বলন্ত চোখে বান্টির দিকে তাকিয়ে বলল, “ নিরীহ ইনফেকশন? তুই কি ডাক্তার? কী থেকে কী হয় জানিস তুই? ” একটা ঝামেলা বাধে বাধে দেখে আমি বললাম, “ আহা তোমরা আমার কথাটা শোনো আগে। আমার সমস্যাটা এটা নয়। ” “তবে কোনটা?” “সমস্যাটা হল যে যে দুদিন এরকম হয়েছিল, দুদিনই আমার কোনো ডেডলাইন ছিল না, এমনকি পরেরদিনও, তার পরেরদিনও না, তার তার পরেরদিনও...” বান্টি বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি আগে বাঢ়ো।” আমি বললাম, “ব্যাপারটা হচ্ছে যে দুদিনই আমার অফিস না গেলেও চলত, আমিও দুদিনই সকালে উঠে ডিসাইড করে ফেলেছিলাম যে ডুব মারব। কিন্তু যত ঘড়ি এগোতে লাগল