Posts

Showing posts from April, 2020

সেকাল - ৫, একাল - ০

Image
অতিরিক্ত সাল্ট্রি হতে গিয়ে তাল কাটার জন্য একালের নম্বর আরও কাটা যেত, কিন্তু থাক।

করোনা জেনারেশন

কত কমে সংসার চালানো যায় টের পেয়ে আমি চমৎকৃত। কত কম খেয়ে পেট ভরানো যায় সেটা আবিষ্কার করেও। যে পাঁচ কেজি কমানোর জন্য উতলা ছিলাম গত এক বছর, করোনা দেড়মাসে তার তিন কেজি ঝরিয়ে দিয়েছে। এর পেছনে, বলা বাহুল্য, এক্সারসাইজের তিলমাত্র অবদান নেই। সেদিন হিসেব করলাম, দিনে আট থেকে ন’ঘণ্টা ঘুমোচ্ছি। যেটুকু যা নড়াচড়া - চান আর খাওয়া আর কাপড় মেলায় এসে ঠেকেছে। ওজন কমেছে স্রেফ খাওয়া কমে যাওয়ায়। আগে লাঞ্চ থেকে ডিনার পর্যন্ত অন্তত তিন বার কিছুমিছুর সন্ধানে বেরোতাম, এখন ডিনারও খেতে হয় বলে খাই। সম্পূর্ণ বাড়ির খাওয়ায় শিফট করে যাওয়াটাও সম্ভবত কাজে দিয়েছে। দু’দিন জোম্যাটো থেকে ব্রেকফাস্টে ইডলি বড়া আনিয়েছিলাম, তারপর খবর পেলাম ডেলিভারি পার্সনের পজিটিভ বার হওয়ায় বাহাত্তরটি পরিবারকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে। নমস্কার করে ও রাস্তা ত্যাগ দিয়েছি। পয়সা বাঁচানোর জন্য চানাচুর কেনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। চার সপ্তাহ কাটার পর বুঝে পাচ্ছি না, চানাচুর থাকলে খেতাম কখন। খিদেই তো নেই। এদিকে ইউটিউবে কোয়ারেনটাইন স্ন্যাক্সের ভিডিওতে ছয়লাপ। যা বুঝলাম, সুজি আর দই যদি বাড়িতে থাকে, আপনি কম সে কম আড়াই লাখ স্ন্যাক্সের পেটেন্ট নিতে পারেন। জল

কমফর্ট ইন দ্য টাইম অফ করোনা/ ২

অর্চিষ্মান রোজ জানতে চায়, কী দেখছ, কী শুনছ, কী খাচ্ছ। খাওয়ার কথা আর কী বলব, ডালভাত খেতে খেতে পেটে চড়া পড়ার জোগাড়। ম্যাগি খাওয়া নিয়ে অত বুক বাজালাম, দোকানে ম্যাগি হাওয়া। বলে কি না ইপ্পি আছে, দেব? আমি দুঃখিত, যে ব্র্যান্ডের কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রোডাক্টের একটা নাম রাখার কষ্ট করতে পারেননি, স্রেফ ধ্বনিসূচক অব্যয় দিয়ে কাজ সেরেছেন, আমি   (এখনই) তাঁদের পৃষ্ঠপোষক হতে রাজি নই। অবস্থা আরও সঙ্গিন হলে দেখা যাবে। খাওয়ার কথা যা বলার আগের পোস্টে বলেছি, দেখাশোনা নিয়ে আজ বলব। দেখার থেকে শোনা (কোনও কোনও সময় পড়ার থেকেও) অনেক বেশি আরামদায়ক, গত কয়েকবছরে বুঝেছি। অনেকেই যে বুঝেছেন (বা অলরেডি বুঝেই ছিলেন) তার প্রমাণ বিশ্বজোড়া শ্রুতিশিল্পের হইহই উত্থান। ব্লগ পড়া, ভ্লগ দেখা সব ভুলে এখন লোকে পডকাস্ট শুনছে হামলে পড়ে। অডিবলের অ্যাড শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। কারণও আছে। প্রতিটা ইন্দ্রিয় একই সঙ্গে আটকা রাখার দায় থেকে মুক্তি। শুনতে শুনতে খেলুন, ছবি আঁকুন, চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে চাইলে ঘুমোতেও পারেন। মজা পেয়ে গিয়ে আমি প্রায় আর কিছুই দেখছি না। শুনছি দেদার। শুনতে শুনতে খেলছি, লিখছি, ঘুমোচ্ছি। আর আগের পোস্টে যে

কমফর্ট ইন দ্য টাইম অফ করোনা/ ১

চিরজীবন ভেবে এসেছি অফিস কেটে বাড়িতে থাকা আরামের। এখন বাড়িতে থেকে অশান্তি ছাড়া কিছু নেই। একগাদা চিন্তা মাথার ভেতর গাদাগাদি। কী হবে। কী হবে না। না হলে কী হবে। মাথার ভেতর জ্ঞানপাপী কুন্তলা বোঝাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই আসল হওয়া, বাকি সব তুশ্চু, কিন্তু মনে মনে জানি যে মরব না। কেন মরব না তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নেই। কেউ বর দেয়নি, কুষ্ঠিতেও লেখেনি, এমন কি আয়ুরেখাদুটোও তালুর মাঝখান পর্যন্ত গিয়ে হাওয়া হয়েছে। প্রথমে শুনেছিলাম মেয়েদের ভাগ্য বাঁ হাতে লেখা থাকে আর ছেলেদের ডান হাতে। যখন শুনেছিলাম তখন নারীবাদী ছিলাম না, "তাই বুঝি?" বলে নিষ্পাপ ঘাড় নেড়েছিলাম। যতদিনে নারীবাদী হলাম ততদিনে কেউ একজন আশ্বাস দিল, আহা ডানবাঁয়ের সঙ্গে ছেলেমেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই, ছেলেমেয়ে দুয়েরই বাঁ হাতটা হচ্ছে জন্মের হাত, আর ডান হাতখানা কর্মের। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আবার বাঁচলামও না, যখন পরীক্ষা করে দেখলাম জন্মের হাতে আমার আয়ুরেখা তালুর প্রায় মাঝখানে গিয়েই অদৃশ্য হয়েছে, কর্মের হাতে আরেকটু লম্বা - পাপতাপ করে খানিকটা লম্বা করেছি সব শোধ এ জন্মেই মিটিয়ে যেতে হবে বলে - তাও কবজির ধারে কাছে পৌঁছতে প

করোনা করোনা

Image
আর যে লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে গলা ফাটাচ্ছে ফাটাক, অবান্তরের লকডাউন ভাঙার সুযোগ আমি হাতছাড়া করছি না। চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এ লকডাউন ডায়েরিজ বলে একটা সিরিজ বেরোচ্ছে। সিরিজে আমারও একটা লেখা বেরিয়েছে। বিষয়, স্বাভাবিকভাবেই, করোনা। এই সময় অন্য কিছু নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমত, লোকে শুনবে না, তার থেকেও বড় কথা, বক্তার মাথাতেও কিছু আসবে না। ব্রেনেও লকডাউন। তবে ইস্যু কমন হলেও তাকে নিয়ে আলোচনার রকমফের তো থাকে। একই বিষয়ে বিভিন্ন উচ্চতা থেকে আলোকপাত করা যায়, বিবিধ গভীরতায় গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি চালানো যায়। করোনার ক্ষেত্রে যা সামাজিক বিশ্লেষণ বা ব্যক্তিগত উপলব্ধির উন্মোচন। লকডাউন ডায়েরিজ সিরিজে সে সবই আপনি পাবেন। আমার লেখাটায় ওসব পাবেন না। আমার দৌড় আপাতত আক্ষরিক যেটুকু পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে - মুদিখানা - আমি সেই বৃত্তান্ত লিখেছি। আমার পক্ষে এর থেকে গুরুতর কিছু ভেবে ওঠা সম্ভব নয়, আমাকে যারা চেনে তারা জানে। ছাপার পর মনে হচ্ছে লেখাটা একটু বেশি ছোট হয়ে গেছে আর শেষটা কেমন খপাৎ করে শেষ হয়েছে। মুদিখানা পর্যন্ত ঠিক ছিল, লাস্টে উচ্চাশায় ভুগে ঘোড়ানিমটিম, শুকনো পাতাটাতা এনে কাব্য করতে গিয়ে… যাকগে, ডা