Posts

Showing posts from September, 2013

কবির কণ্ঠে কবিতা

THE NAMING OF CATS  by    T. S. Eliot The Naming of Cats is a difficult matter, It isn’t just one of your holiday games; You may think at first I’m as mad as a hatter When I tell you, a cat must have THREE DIFFERENT NAMES. First of all, there’s the name that the family use daily, Such as Peter, Augustus, Alonzo or James, Such as Victor or Jonathan, George or Bill Bailey – All of them sensible everyday names. There are fancier names if you think they sound sweeter, Some for the gentlemen, some for the dames: Such as Plato, Admetus, Electra, Demeter – But all of them sensible everyday names. But I tell you, a cat needs a name that’s particular, A name that’s peculiar, and more dignified, Else how can he keep up his tail perpendicular, Or spread out his whiskers, or cherish his pride? Of names of this kind, I can give you a quorum, Such as Munkustrap, Quaxo, or Coricopat, Such as Bombalurina, or else Jellylorum- Names that never belong to more than one c

ক্যাথরিন

Image
ভদ্রমহিলাকে আগেই দেখেছি। চেহারা দেখে বুঝেছি ককেশিয়ান, ইংরিজি শুনে বুঝেছি এদিককার লোক। হাবভাব অবশ্য এদিককার লোকের মতো নয় খুব একটা। জার্মান বলতেই যে ছবিটা মনের মধ্যে জাগে---ঘড়ির কাঁটার তালে তালে প্যারেড করে হাঁটছে একদল লোক---এই মহিলা কোনওভাবেই সেই দলে পড়েন না। সকালে যখন কোনওমতে নাকেমুখে কর্নফ্লেক্স গুঁজে ছুটে বেরোই তখন দেখি কিচেন আর টেরাসের মাঝখানের দেওয়ালজোড়া জানালাটার সামনে বসে উদাসমুখে তিনি দূরের জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে আছেন। সামনের টেবিলে পাঁউরুটি, মিনিমাম দু’রকমের জ্যামের শিশি, এককাঁদি কলা ইত্যাদি থরে থরে সাজানো। সন্ধ্যেবেলা ফিরে দেখি তিনি স্টোভের সামনে ধ্যানস্থ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনখানা বার্নারে তিনরকমের পাত্র চাপানো। কোনওটায় টগবগ করে কিছু ফুটছে, কোনওটার চাপা দেওয়া মুখের ভেতরে না জানি কি রহস্য গুমেগুমে সেদ্ধ হচ্ছে, আর কোনওটায় তেলের মধ্যে চড়বড়িয়ে ভাজা হচ্ছে সসেজ কিংবা মাংসের প্যাটি। সব মিলিয়ে সুগন্ধ যা বেরিয়েছে, অবাক লাগে অফিসে বসেই সেটা নাকে আসেনি কেন। খাওয়াদাওয়ার বহর দেখে হিংসেতেই হোক বা আর যে কারণেই হোক, মহিলাকে দেখে আমি বিশেষ ইমপ্রেসড হইনি। ব্যস্ততাকে

সাপ্তাহিকী

Image
আলোকচিত্রী Valeria Schettino The best fighter is never angry.                                                                                                             ---Lao Tzu মুখস্থবিদ্যা কি সত্যিই মহাবিদ্যা? কেউ যদি বেশি খাও, খাওয়ার হিসেব নাও। জেটল্যাগ ডায়েট। কচ্ছপধূপ কিংবা অলআউট না পাওয়া গেলে। #whatatwitterconversationsoundslikeinreallife ফান্‌ পেরেন্টিং। সেদিন আমিও ভাবছিলাম, আর ইচ্ছাডানাও কমেন্টে এসে পুজোর গানের কথা বললেন। তাই এ সপ্তাহে আরও একটা কালজয়ী  পুজো/পুজো প্যান্ডেলের গান।

আবার যদি তেইশ হতাম

১. নিজের কেরিয়ারের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী হতাম। অন্তত একশো শতাংশ বেশি। ২. প্রেমে পড়তাম না।   ৩. একা একা পাহাড়ে বেড়াতে যেতাম। কবে থেকে ভেবে ভেবে আর যাওয়াই হল না। এখন একা যাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে গেছে। ৪. মাথায় ঝুঁটি আর হাতে গিটার দেখলেই গলে জল হয়ে যেতাম না। ৫. বাবাকে আরও ঘন ঘন ফোন করতাম। ৬. বাজে আড্ডা মারা বন্ধ করতাম। ৭. যে সময় বাঁচত, তাতে লেখা শুরু করতাম। সিরিয়াসলি।   ৮. শরীরের যত্ন নিতাম। যোগব্যায়াম, সাঁতার, দৌড়---যা হোক কিছু একটা শুরু করতাম। ৯. সংস্কারজনিত খাওয়াদাওয়ার বিধিনিষেধ তখনই ভাঙতাম। ১০. লোকের ভ্যালিডেশনের জন্য অত হন্যে হয়ে থাকতাম না। নিজের মূল্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হতাম। (আইডিয়া এখান থেকে চুরি )

The Basic Laws of Human Stupidity

by  Carlo M. Cipolla , Professor of Economics, UC Berkeley in Whole Earth Review, Spring 1987 1.  Always and inevitably everyone underestimates the number of stupid individuals in circulation. 2. The probability that a certain person be stupid is independent of any ot her characteristic of that person . 3. A stupid person is a person who caused losses to another person or to a group of persons while himself deriving no gain and even possibly incurring losses. 4. N on-stupid people always underestimate the damaging power of stupid individuals. In particular non-stupid people constantly forget that at all times and places and under any circumstances to deal and/or associate with stupid people always turns out to be costly mistake.  5. A stupid person is the most dangerous type of person. বিস্তারিত বিবরণের জন্য এখানে দেখুন।  

মেজমামি

প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব সিগনেচার ইমোশন থাকে। কাউকে দেখলেই বিষণ্ণতার কথা মনে পড়ে, কারও সঙ্গে পাঁচ মিনিটের বেশি না হেসে কাটানো যায় না। আমার মেজমামির ছিল আনন্দ। ছিল বলছি কারণ গত সপ্তাহে মেজমামি মারা গেছেন। খুচখাচ অসুখ ছিল, ষাটের আশপাশে ঘোরাঘুরি করা বাঙালি ভদ্রমহিলাদের যা যা থাকে। হাঁটুব্যথা, সুগার, রাতে ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুম। বুধবার বেলা এগারোটা নাগাদ বাথরুমে ঢুকেছিলেন, সোয়া এগারোটা নাগাদ বাথরুমের পাশ দিয়ে যেতে যেতে দোলন আবিষ্কার করল বাথরুমের দরজা খোলা, মেঝের ওপর মামি অচেতন। চিৎকার চেঁচামেচি, একতলা থেকে ছোটমামা-ছোটমামির ছুটে আসা, অ্যাম্বুলেন্সে ফোন, হাসপাতাল যাওয়া, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, আটচল্লিশ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ, ডাক্তারের মাথা নাড়া, কয়েকঘণ্টা পরে মৃত্যু ঘোষণা। নির্ঝঞ্ঝাট, ঝটপট। নির্ভুল মেজমামি স্টাইল। রেলগাড়ির স্পিডে কথা বলতেন মামি। অনেক কথা বলার ছিল তাঁর, এদিকে একটা দিনে সময় মোটে চব্বিশ ঘণ্টা। অগত্যা স্পিড না বাড়িয়ে উপায় নেই। কসবার ডাইনিং টেবিল ঘিরে কনফারেন্স বসত। আমার দাদুদিদিমার নয় ছেলেমেয়ে, বারো নাতিনাতনি আর সেই নাতিনাতনিদের গোটা চারেক ছানাপোনা। সকলেই বেশি কথা

খুড়োর বচন

ক্রাইসিস, তা সে যে ধরণেরই হোক না কেন, লক্ষ লক্ষ লোকের রুজিরুটি যেমন কাড়ে, তেমন লক্ষলক্ষ লোকের রুজিরুটির জোগানও দেয়। একএকটা ক্রাইসিস ঘিরে শতশত সেমিনার বসে, হাজারহাজার পেপার লেখা হয়, লাখলাখ ইন্টারভিউ দেওয়া-নেওয়া হয়। অবশ্য ক্রাইসিসই যে হতে হবে তা নয়, যে কোনও স্ট্রাকচারাল পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়াতেই এ জিনিস ঘটে। যেমন ধরা যাক উনিশশো একানব্বইয়ের ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার। এখন ব্যাপারটা জলভাত হয়ে গেছে বলে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আর কাগজে কাগজে সম্পাদকীয় লেখা হচ্ছে না, কিন্তু আজ থেকে বছর দশেক আগেও ইকনমিক লিব্যারালাইজেশনের সুফলকুফল নিয়ে ইউনিভার্সিটির ধাবায় ধাবায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গলাবাজি চলত। রংবেরঙের বিলিতি গাড়ি চড়তে পারার বেনিফিট, আর সস্তা আমদানির মুখে পড়ে দেশী ব্যবসাদারের নাভিশ্বাসের কস্টের অ্যানালিসিস। লাভক্ষতির মাপজোক নিয়ে প্রায় হাতাহাতি। নীলগিরি ধাবায় এক স্বর্গীয় বিকেলে এমনই এক বন্ধুত্বপূর্ণ হাতাহাতির আড্ডায় বসে শিঙাড়ায় কামড় দিয়ে তীর্থদা বলেছিল, “ভালোমন্দ কী হয়েছে জানি না বস্‌, কিছু ইকনমিস্টের সারাজীবনের খাওয়াপরার চিন্তা ঘুচেছে।” এর থেকে বেশি সত্যি কথা আমি জ

শুক্রশনি

Image

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস Well," said Pooh, "what I like best--"and then he had to stop and think. Because although Eating Honey was a very good thing to do, there was a moment just before you began to eat it which was better than you were, but he didn't know what it was called.                                                                    --- A. A. Milne, Winnie the Pooh হোর্ডিং + ও সি ডি = আর্ট তুতেনখামেন যখন রাজা হয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স কত ছিল বলুন দেখি? নিউ ইয়র্ক শহরের ক্রাইম সিন। নতুন চোখে দেখা। কোস্তা কনকর্ডিয়া। ছোট থেকে বড়। সৌজন্যে, সুগত। বাজে খরচ করার মতো সত্তর টাকা থাকলে আমি এটা কিনে ফেলতাম। সত্যি বলছি। How Chris Mccandless Died. পপাত চ। Things That Are Better With Pockets--- কেবল , আমাদের বাড়ির দরজি নেয়ামত খলিফা অবহেলা করিয়া আমাদের জামায় পকেট-যোজনা অনাবশ্যক মনে করিলে দুঃখ বোধ করিতাম — এমন বালক কোনো অকিঞ্চনের ঘরেও জন্মগ্রহণ করে নাই , পকেটে রাখিবার মতো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যাহার কিছুমাত্র নাই ; বিধাতার কৃপায় শিশ

A Field Guide

Image
উৎস আমি একজন ওস্তাদ ১. লিস্ট মেকার ২. সাইডট্র্যাকার ৩. দ্য ইন্টারনেট রিসার্চার ৪. দ্য গেমার (স্পাইডার সলিটেয়ারের চক্রব্যূহে আমার মৃত্যু লেখা আছে, আমি নিশ্চিত।) ৫. দ্য ওয়াচার (আপাতত চলছে ‘আ টাচ অফ ফ্রস্ট’ ) ৬. দ্য পারপেচুয়েটর ৭. দ্য ডেলিগেটর  (নেহাৎ ডেলিগেট করার লোক নেই বলে) এবার আপনাদের স্বীকারোক্তির পালা।

আলোকচিত্রী চোখ

Image
ঘটনাটা ঘটল নদী পেরোতে গিয়ে। এই যে ওপরের নদীটার ছবি দেখছেন, এই নদীটা। নদীটার নাম মোসেল, এরই পাশে প্রাচীন শহর  Trier -এর অবস্থান। আমার বাঁধা সিট ড্রাইভারের ঠিক পেছনেই, তাই বাসের বাকিদের সবার আগে আমিই দেখেছিলাম সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঘন নীলের আভাস। দেখতে না দেখতেই বাস হুড়মুড়িয়ে ব্রিজের ওপর উঠে পড়ল, ওপাশের জানালা থেকে অ্যালফন্‌স্‌ বলল, “লুক লুক”, আশপাশপেছনের সিট থেকে বিস্ময়মিশ্রিত “ওয়াও” ধ্বনি উঠল, আর আমি কোনওমতে কোলের ওপর রাখা ক্যামেরাটা চোখের কাছে তুলে নিয়ে খচাৎ খচাৎ শাটার টিপে গেলাম, সেকেন্ডে তিনবার। বাস ব্রিজ থেকে নেমে পড়ল, সবাই জানালার পাশে হুমড়ি খেয়ে পড়া অবস্থা থেকে যে যার সিটে ফিরে গেল, আমি ক্যামেরা চোখ থেকে নামিয়ে ছোট্ট তিনকোণা প্লে বাটন টিপে আমার শিল্পকর্ম মুগ্ধনয়নে নিরীক্ষণ করতে লাগলাম, আর তক্ষুনি ঘটনাটা ঘটল। আমার মনে পড়ে গেল যে নদীটা আসলে আমি চোখে দেখিনি। দেখিনি মানে, এই তো এল সি ডি মনিটরের তিন ইঞ্চি পরিসরে জুম ইন জুম আউট করে নদীর ছবি দেখছি, চাইলে বাকি জীবনটা ধরে প্রতিদিন সকালবিকেল ঘুরিয়েফিরিয়ে দেখতে পারি, কিন্তু নিজের চোখে দেখার যে চান্সটা প