Posts

Showing posts from July, 2023

হুলোর হানা

Image
চেনা অ্যালার্মের সঙ্গে সঙ্গে একটা অচেনা আওয়াজে ঘুম ভাঙল। অ্যালার্মের তুলনায় ঢের সুরেলা আওয়াজ। অ্যালার্মের বেসুরোপনা অবশ্য ইনটেনশনাল। অর্চিষ্মানের অ্যালার্মের মতো সুললিত অ্যালার্ম সেট করার মানে বুঝি না আমি। আমার অ্যালার্মের প্যাঁচাল পাড়তে বসে অর্চিষ্মানের অ্যালার্ম নিয়ে পড়ার দরকার নেই জানি। তবে জীবনটাই তো কমপ্যারেটিভ। ওর তুলনায় কত সুখে রইলাম, এর তুলনায় কত দুঃখে। এর তুলনায় কত বেশি দর পেলাম, ওর তুলনায় কত কম, এই তো জীবনের পাশফেলের মাপ। কাজেই অ্যালার্মের তুলনা ন্যায্য। অর্চিষ্মানের অ্যালার্মের থেকে কৌতূহলোদ্দীপক অ্যালার্ম জীবনে শুনিনি। পিড়িং পিড়িং করে মৃদুস্বরে বাজতে থাকে, অর্চিষ্মান মহানন্দে ঘুমোতে থাকে। অর্চিষ্মানের দোষ নেই, পৃথিবীর পঁচানব্বই শতাংশ লোকই ঘুমোবে। চার দশমিক নয় নয় নয় শতাংশ জেগে থাকলেও অ্যালার্ম শুনে ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম ভাঙবে খালি শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য এক শতাংশের, যার মধ্যে কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ে। গোড়ার দিকে এমনও হয়েছে যে ঘুম ভেঙে উঠে ভেবেছি স্বপ্নে শিবকুমার শর্মার কন্সার্ট চলছিল বুঝি। তারপর টের পেয়েছি ওটা অর্চিষ্মানের অ্যালার্ম। নরমগরমে বলার চেষ্টা করেছি। কেউ যদি

সেই গানটা

Image
দু'দিন ধরে এত মনে পড়ছে গানটা। হয়তো এমনিই পড়ছে। হয়তো কেন, নিশ্চয় এমনিই। কোনও অমনি কারণ থাকতে পারে না। কারণ থাক না থাক, এটা মায়ের প্রিয়তম গান। অবশ্য সবার মতোই মায়েরও একাধিক প্রিয়তম গান। কিন্তু তাদের মধ্যেও এই গানটা স্পেশাল প্রিয়তম আরকি। চার বছর হল আজ। অদ্ভুত। তার থেকে বেশি অদ্ভুত, কিচ্ছু থামেনি। সব চলছে যেমন চলার। নির্বিকারে। অম্লানবদনে।

বাসে যেতে যেতে

রংপুর থেকে বাসে করে যশোর যাচ্ছিল অর্চিষ্মান। পোস্ট ছাপা হয়ে যাওয়ার বারো ঘণ্টা বাদে  জিকে টু-র থার্ড ওয়েভ-এর দোতলায় বসে, ডাবল এসপ্রেসোতে চুমুক দিয়ে অর্চিষ্মান বলল, বাঙালত্ব নিয়ে   এত দেমাক আর লিখেছ আমি রংপুর থেকে বাসে করে যশোর যাচ্ছি? রংপুর কোথায় আর যশোর কোথায় আইডিয়া আছে?  আছে বৈকি। একটা উত্তরে একটা দক্ষিণে, কিন্তু এ তো আর কাশ্মীর কন্যাকুমারী না। আমি ভেবেছি প্রোজেক্টের টাকা বাঁচাতে ওকে বাসে চড়িয়েই উত্তর থেকে দক্ষিণে পাঠানো হয়েছে বুঝি। ভুল বুঝেছি। অর্চিষ্মান রংপুর থেকে বাসে করে যাচ্ছিল সৈয়দপুর। এয়ারপোর্টেরই বাস। দূর থেকে যাত্রীদের তুলে নিয়ে আসে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে। সেখান থেকে প্লেনে করে ঢাকা, ঢাকা থেকে প্লেনে যশোর। গোটা ঘটনাটা ঘটছিল ওই  এয়ারপোর্টেরই বাসে।  রংপুর থেকে বাসে করে সৈয়দপুর যাচ্ছিল অর্চিষ্মান। সিট হয় জানালা নয় আইল। মাঝের সিটে সহকর্মী। সহকর্মীর পাশে একজোড়া মা ও মেয়ে। মেয়ে ম্যাক্সিমাম পাঁচ। বাটিছাঁট। সে সিটে সেটল করে গান ধরল, 'তুমি ডুবে ডুবে আমাকে ভালোবেসো, আমিও তোমাকে ডুবে ডুবে ভালোবাসব'। বাকিটুকু অর্চিষ্মান প্যারাফ্রেজ করেছে হয়তো, ডুবে ডুবে-টুকু ভার্বেটিম। গাইয়ের মা

ছবির গল্প

Image
আসল ছবিটায় আসা যাক। স্থানঃ খান মার্কেট। পাত্রপাত্রীঃ ইউজুয়াল সাসপেক্টস। খালি কালটা আনইউজুয়াল। ক্যালেন্ডারের হিসেবে নয়। ছবিটা তোলা আগের সপ্তাহে, যার মধ্যে আনইউজুয়াল কিছুই নেই। ঘড়ির হিসেবে আনইউজুয়াল। ছবিটা তোলা মাঝরাতের অনেকটা পরে। অন্যান্য রাতে এতক্ষণে রিটায়ার করি। কপাল ভালো হলে ঘুমিয়ে পড়ি, পিকচার অফ মোডে টিভিতে সানডে সাসপেন্স চলে। কপাল খারাপ হলে ঘাপটি মেরে ঘুরে ঘুরে সোশ্যাল মিডিয়ার পাঁক ঘাঁটি। মোদ্দা কথা, রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াই না। বেড়াতে যেতে হলে রাতেবিরেতে বাড়ি থেকে বেরোনোটা আলাদা ব্যাপার, দিল্লিতে থেকে রাত জেগে টো টো লাস্ট কবে করেছি মনে নেই। অথচ রাত জেগে টো টো করতে শিখেছিলাম এই দিল্লিতেই। তার আগে আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ, মেক্‌স আ গার্ল শান্ত, বাধ্য অ্যান্ড ইজিয়ার টু সাইজ। সেদিন একটা ইউনিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। বাড়ি থেকে প্লেন ধরার জন্য অর্চিষ্মানকে বেরোতে হত রাত তিনটেয়, মিটিংটিটিং সেরে ব্যাগট্যাগ গুছিয়েও দেখা গেল চারঘণ্টা হাতে। এই সময়টা ঘুমিয়ে পড়ে, ঘুম ভেঙে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট নয়। যদি ঘুম না ভাঙে-র টেনশন তো আছেই। নরম্যালি বিছানায় চিৎপাত হয়ে হইচই দেখার অপশনই মাথায় আসত, সেদিন