Posts

Showing posts from March, 2018

অ্যাডভান্টেজ ডিসঅ্যাডভান্টেজ

বুড়ো হওয়ার সুবিধে অনেক। ছোটরা সম্মান দিয়ে কথা বলে, আরও বুড়োরা একেবারে হেলাছেদ্দা করে না, এই সব সুপারফিশিয়াল সুবিধে তো আছেই, কাজের সুবিধেও আছে। সময়ের ম্যাজিককে দীর্ঘক্ষণ ধরে চাক্ষুষ করার সুবিধে। অনেক ভুলকে ঠিক হতে, অনেক সত্যিকে মিথ হয়ে যেতে দেখা যায়। এই যেমন, ছোটবেলায় বলা হয়েছিল চুলে বেশি তেল মাখা ভালো এবং বেশি শ্যাম্পু করা খারাপ কারণ ‘কেমিকেল’। সপ্তাহে সাতদিন তেল, একদিন শ্যাম্পু। শ্যাম্পু করে উঠেই আবার তেল। কারণ এক, চুলের স্বাস্থ্য, দুই, উড়ুউড়ু চুলের সঙ্গে উড়ুউড়ু মনের কোরিলেশন এবং কজেশন। কিছু মুক্তমনা গার্জেন সন্তানদের শ্যাম্পু করার পর চব্বিশ ঘণ্টা ফুরফুরে ঘোরাঘুরি অ্যালাউ করতেন, তারপরেই চুপচুপে তেলচিটে বিনুনি। বড় হয়ে কোরিলেশনের চ্যাপ্টার পড়ে এবং সমবয়সীদের সঙ্গে আলোচনা করে বুড়োদের এইসব বুর্জোয়া এবং আনসায়েন্টিফিক থিওরির অসারত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হলাম। তারপর জানলাম রোজ শ্যাম্পু করে না শুনলে সভ্য সাহেবরা ‘ইউউউউ’ বলে মুখ ভ্যাচকায় এবং জিজ্ঞাসা করে, ওনট ইট স্মেল হরিব্‌লি? নিজের মাথার দুর্গন্ধ পাওয়া শক্ত, কিন্তু আশেপাশের শ্যাম্পু না করা মাথা থেকেও গন্ধ কোনওদিন পেয়েছি বলে তো মনে পড়ল

১০টি প্রশ্ন

১। ছোটবেলা কোথায় কেটেছে?  রিষড়ায়। ২। ভালোবাসায় ভরসা রাখেন না ভরসা করতে ভালোবাসেন?  ভরসা করতে ভালোবাসি। ৩। গাছেদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করতে চান না প্রাণীদের সঙ্গে?  এটা ভীষণ শক্ত প্রশ্ন, কিছুতেই মনস্থির করতে পারলাম না, হাত তুলে দিলাম। ৪। খাবারের কোনও অদ্ভুত কম্বিনেশন পছন্দ করেন?  শুক্তো থেকে চাটনি পর্যন্ত (পাঁপড় ছাড়া) সবকিছু রুটি দিয়ে খেতে পারি, ভালোবেসে খাই।   ৫। পাঁচটা জিনিস যা সারাদিন ভালো কাটায়। অবান্তরে কমেন্ট, মায়ের ফোন, সম্পূর্ণ একলা থাকার কয়েকটা মুহূর্ত, অর্চিষ্মানের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত, ছুটি পাওয়ার অপেক্ষা। ৬। বিখ্যাত হতে চান?  অবশ্যই।  ৭। শেষ কবে গোটা রাত জেগে কাটিয়েছিলেন?  ভুলেই গেছি।  ৮। আপনার শৈশবের আপনি যদি আজকের আপনাকে দেখত তাহলে তার মনের ভাব কী হত?  অবাক। ৯। আফসোস আছে কিছু?  অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি। এখনও করে চলেছি অবিরত।   ১০। জীবনে সেরা উপদেশ কী পেয়েছেন?  পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ***** এই আমি আপনাদের সবাইকে ধাপ্পা দিলাম। এবার উত্তর দেওয়ার পালা আপনাদের।  

আমা থাকালি, মজনু কা টিলা

Image
দিল্লির যে ইন্টারেস্টিং জায়গাটায় স্রেফ দূরত্বের কারণে আমাদের যাওয়া হয় না সেটা হচ্ছে মজনু কা টিলা। প্রায় ষাট বছরের পুরোনো তিব্বতি কলোনি। দিল্লিতে অথেনটিক তিব্বতি খানার ঠিকানা। দুয়েকটা রেস্টোর‍্যান্ট রীতিমতো নামকরা, অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম। সেই আমার প্রথম তিব্বতি খাবার খাওয়া। খুব একটা ভালো লাগেনি। এখন মনে হয়, কোনও দোকানের খাবার ভালো লাগার কারণ যতটা খাবারের স্বাদ, ততটাই কার বা কাদের সঙ্গে বসে খাচ্ছি সেটা। মজনু কা টিলায় যাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম কারও সঙ্গেই বন্ধুত্ব পাতাতে ইচ্ছে করেনি। অর্চিষ্মানেরও নাকি তিব্বতি খাবার ভালো লাগে না। ও কবে কোথায় তিব্বতি খাবার খেয়েছিল আর কাদের সঙ্গে গিয়েছিল সেটা কখনও জিজ্ঞাসা করা হয়নি অবশ্য।   সে সমস্যা এবারে হবে না জানতাম। কারণ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাহুলের সঙ্গে দেখা হত। রাহুল অর্চিষ্মানের গত তেরো বছরের এবং আমার গত ছ’বছরের বন্ধু। পছন্দের বন্ধু। রাহুল অনেকদিন ধরে বলছিল মজনু কা টিলার আমা ক্যাফের কথা। ওখানে আমা ব্র্যান্ডের ক্যাফে আছে, রেস্টোর‍্যান্ট আছে। রিসার্চ করে জানতে পারলাম আমা থাকালি বলেও নাকি একটা দোকান আছে এবং দেখেশুনে ওটাতেই যাওয়ার ইচ্ছে হল আমাদে

হেডফোন

অবান্তরের ‘টু রাইট’ ফোল্ডারে একটা ফাইল দেখছি, নাম হেডফোন। ভেতরে কিছু লেখা নেই। হেডফোন নিয়ে কিছু একটা লেখার কথা মাথায় এসেছিল, কী এসেছিল সেটা সম্পূর্ণ ভুলে গেছি। অবান্তরে এর আগেও হেডফোন নিয়ে লিখেছি সম্ভবতঃ। সেদিন সায়ন জিজ্ঞাসা করলেন লিরিক্যালের রসনাস্মৃতির বাসনাদেশ প্রথম খণ্ডে বাংলাদেশের স্মৃতি এবং খাওয়াদাওয়া নিয়ে আমার যে লেখাটা বেরিয়েছে সেটা অবান্তরে আগে পড়েছেন কি না। আমি বললাম, ওই আকারে পড়েননি হয়তো কিন্তু ওই লেখায় উঠে আসা খুচরোখাচরা গল্প নিশ্চয় পড়েছেন। ন’বছর ধরে অবান্তরে গল্প ফাঁদতে ফাঁদতে সব গল্পই এক বা একাধিকবার বলা হয়ে গেছে। হেডফোনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস প্রসঙ্গে কিছু বলিনি হতেই পারে না। কী বলেছি তা এখন মনেও নেই, খুঁজতে বসার ইচ্ছেও নেই। এক নম্বর, খোঁজা শক্ত, দু’নম্বর, খুঁজে পেলে নিজের পুরোনো লেখার মুখোমুখি পড়তে হবে। তার থেকে বসে বসে নিজের গায়ে চিমটি কাটাও ভালো। ফোল্ডারটা বেশিদিন আগেও বানানো না। ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি। ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি বা তার আশেপাশে নিশ্চয় হেডফোন সংক্রান্ত কিছু একটা বলার মতো ঘটনা ঘটেছিল। কী ঘটেছিল মনে পড়ল না। অর্চিষ্মানকে জিজ্ঞাসা করলাম, মনে আছে গো

বই থেকে

সেদিন ছিল আমার গ্রুপের স্টাডিক্লাস। বিষয়ঃ ভারতবর্ষে পুঁজির বিকাশ ও ধারাবাহিকতা। সার্কুলার দেওয়া হল সবার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু ক্লাসের দিন সকালে আমি জনৈক ছাত্রনেতাকে জানলাম আমার পক্ষে সেদিন স্টাডিক্লাসে থাকা সম্ভব হবে না। কেন? কারণ ওইদিন ইস্টবেঙ্গল মাঠে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বিম্যাচ। চিমা ওকোরি সেবছর প্রথমবার ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গাইয়ে চাপিয়েছেন। ফলে মাঠে আমি না গেলে হয়তো খেলাটাই হবে না। আর খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু আমাকে ছুটতে হবে পাড়ার থিয়েটারের মহলাকক্ষে কারণ সে বছর পুজোয় হবে ‘নরক গুলজার’ এবং এই প্রথম তা নিয়ে রিহার্সালে ক্লাস নিতে আসবেন আমারই অনুরোধে স্বয়ং নাটককার মনোজ মিত্র - আর আমি অন্যতম মূল চরিত্র মানিকচাঁদ, ফলে সেখানে তো আমাকে যেতেই হবে। অতঃপর সেই ছাত্রনেতা ও আমার কথোপকথনের নমুনা -   - তোর কাছে স্টাডিক্লাসের থেকে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ বড়ো হল? ভারতের শ্রেণিসংগ্রাম বুঝতে গেলে আজকের ক্লাসটা অত্যন্ত জরুরি।   - কিছু করার নেই। তুমিই আগের দিন ক্লাসে বলেছিলে যে লেনিন বলেছেন কোন অবস্থাতেই বিপ্লবীর স্বতঃস্ফূর্ততা যেন নষ্ট না হয়। তার প্রাণের আকাঙ্ক্ষ

দিল্লি বাংলা বইমেলা ২০১৮

কলকাতা বইমেলা নিয়ে যত হইচই শুনি, লোকে ঘুরছে, বই কিনছে, বুড়ির চুল খাচ্ছে, তত মনে মনে ভাবি আমাদেরও দিন আসবে। দিন অবশেষে এসে যেতেও বসেছে প্রায়। দিল্লি বইমেলার আজই শেষ দিন। সত্যি বলতে, বইয়ের থেকেও বইমেলা যাওয়ার অন্য আকর্ষণ বেশি। আড়ালআবডাল থেকে বাংলা সাহিত্যের যে সব দিকপালদের চোখে চোখে রাখি, তাঁদের চাক্ষুষ করার এই সুযোগ। তাছাড়া অন্য আরেকটা আকর্ষণও আছে, আকর্ষণের থেকে আরাম বলা উচিত হবে বেশি। যে আরামের জন্য বিবিধ অসুবিধে সত্ত্বেও সি আর পার্কে ঘাড় গুঁজে পড়ে আছি। মাথার ভাষা মুখে প্রতিনিয়ত ট্রান্সলেশন না করার আরাম, যাঁদের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য আমার আঁকুপাকুর অন্ত নেই, কিন্তু ফাইন্যালি চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত আমি যাঁদের মতো, আমার সেই দেশের লোকদের অসহনীয় সাহচর্যে চব্বিশঘণ্টা কাটানোর আরাম। দিল্লি বাংলা বইমেলার অনুষ্ঠানসূচী হাতে পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে চাতকপাখির তুলনাটা বাড়াবাড়ি হবে না। আমার থেকে অর্চিষ্মানের পক্ষে ও জিনিস জোগাড় করা সোজা ছিল বেশি, কারণ ও আমার থেকে বেশি সোশ্যাল। অবশেষে অপেক্ষার অবসান করে, চ্যাটবক্সে ভেসে উঠল, ‘এই দেখো।’ হাতের কাজ থামিয়ে লিংক খুললাম। পুঙ্খানুপুঙ্খ

আমার গল্প বনাম মায়ের গল্প

মাকে বলি, 'সবাই বলে অবান্তরে তোমার গল্প পড়তে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।' মা বলেন, 'ভ্যাট। আমার আবার গল্প। তুই বাড়িয়ে বাড়িয়ে লিখিস তাই ভালো বলে নিশ্চয়। তারপর বলেন, 'আমার কথা আর লিখিস না সোনা। পার্সোন্যাল কথা লিখতে নেই। সাহিত্যিকরা কেমন সব বানিয়ে বানিয়ে লেখেন দেখিস না। তুইও সাহিত্য কর, বানিয়ে বানিয়ে কাল্পনিক মায়েদের কথা লেখ।'   মায়ের কথা শোনা অনেকদিন আগে ছেড়ে দিয়েছি, এখন নতুন করে ধরার মানে হয় না। তাছাড়া আমার কল্পনার মায়েরা আমার সত্যিকারের মায়ের থেকে ইন্টারেস্টিং হবেন আর তাঁদের গল্প আমার সত্যিকারের মায়ের গল্পের থেকে বেশি মজার হবে, এ অসম্ভব। কাজেই অবান্তরে মায়ের গল্প আরও অনেকদিন বলব। আমার বলতে ভালো লাগে বলে বলব, আপনাদের শুনতে ভালো লাগে বলেও বলব। কিন্তু সবথেকে জরুরি যে কারণে মায়ের গল্প আমাকে বলতেই হবে সেটা হচ্ছে গল্পগুলো। একটা লোকের রোজকার ওঠাবসা খাওয়াশোওয়া হাইতোলায় এত ভালো ভালো, ইন্টারেস্টিং, গায়ে কাঁটা দেওয়া, নখ কামড়ানো, মনভরানো গল্প জন্ম নিতে পারে, মাকে না চিনলে, মায়ের গল্পগুলো না জানলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না। এ সব গল্প যত্ন করে জমিয়ে না রাখা পাপ।   সে

জানুয়ারি + ফেব্রুয়ারি মাসের বই

Image
জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের বইয়ের পোস্ট যে বাদ গেছে সেটা আপনারা কেউ খেয়াল করেছেন কি? আপনারা না করলেও আমি করেছি, করে অপরাধবোধে ভাজাভাজা হয়েছি। পোস্ট কেন বাদ গেছে? বই পড়ার অভাবের জন্য নয়। গত আড়াইমাসে আমি ষোলোটা বই পড়েছি, এ ছাড়াও বিভিন্ন বই বিভিন্ন পাতা পর্যন্ত এগিয়ে পড়া থেমে আছে। পড়া বইয়ের সিংহভাগ সৃষ্টিসুখের। সৃষ্টিসুখ চাঁদা ফেলুন বই পড়ুন’ ভিত্তিতে অনলাইন অ্যাপ খুলেছে। আমি সেখানের প্রায় সব বই শেষ করে এনেছি। কিন্তু সে বইগুলো সম্পর্কে এই পোস্টে লিখছি না। যে কারণের জন্য বইয়ের পোস্ট লেখা হচ্ছিল না সেই কারণের জন্যই বেশিরভাগ কাজ আমার হয়ে ওঠে না। না হয়েই চলে যাচ্ছে যখন না হয়েই চলুক। আজ হল না, কাল হবে না, পরশু হবে। শুধু হবে না, আজকের থেকে বেশি ভালো করে হবে। কারণ সময় বেশি পাব, রিসার্চ বেটার হবে, রিভিশন বেশিবার হবে। একবার ভেবেছিলাম মার্চের শেষে একেবারে ত্রৈমাসিক পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখব, ভীষণ ভালো করে। তারপর নিজের দিকে ভালো করে ভুরু কুঁচকে তাকাতেই ফাঁকিবাজির অজুহাতগুলো ঝুরঝুরিয়ে খসে পড়ল আর আমি মাসের মাঝখানে আপনাদের বইয়ের গল্প শোনাতে এলাম। ***** On the Shortness of Life/ Seneca

Evolution of Murder Mysteries

Image
উৎস

পরী

Image
উৎস গুগল ইমেজেস গাট ফিলিং-এ আপনি বিশ্বাস করেন? আমি করি না। কারণ আমার গাট আমাকে নিয়মিত ভুল পথে চালিত করে। প্রেম, কেরিয়ার, আরও কত বিষয়ে কত বার যে আমার গাট আমাকে ঘোল খাইয়েছে একটা সময়ের পর আমি ক্লান্ত হয়ে গোনা ছেড়ে দিয়েছি।   গাট ফিলিং বলছিল পরী আমার খারাপ লাগবে। প্রথমত, ভূতের সিনেমা ছোট পর্দাতে দেখতেই ভয় লাগে, বড় পর্দায় শখ করে সে ভয়ের ভিক্টিম নিজেকে বানানোর কোনও যুক্তি নেই। দুই, রিভিউ খারাপ। আমি যাঁদের রিভিউতে মোটামুটি বিশ্বাস রাখি, সিনেমা না দেখলেও যাঁদের করা সিনেমার রিভিউ দেখি, যেমন রাজীব মসন্দ, তিনি বলেছিলেন শুরুটা স্ট্রং, শেষটা সিলি। তবু পরী দেখতে গেলাম কারণ এক, অর্চিষ্মানের ঝুলোঝুলি, দুই, জি কে টু-র ডিটি হলে, যেটা আমাদের বাড়ি থেকে হেঁটে যাওয়াআসা যায়, মাত্র দেড়শো টাকায় সুবিধেজনক সময়ে টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল। অফিস থেকে ফিরে এমনিতে ফ্রিজ থেকে খাবার বার করে মাইক্রোওয়েভে ঢোকাতেও নতুন করে উচ্চমাধ্যমিকে বসার ফিলিং হয়, কিন্তু বৃহস্পতিবার আমরা ব্যাগ রেখে বেরিয়ে ধোপাভাইসাবকে কাপড় দিলাম, ঝালমুড়ি আর রোল খেলাম, তারপর হেঁটে হেঁটে হলে চলে গেলাম সিনেমা হলে। প্রতিটি মুহূর্ত আমার গাট আমাকে বলত

রাণাদের রাজত্বে

Image
চিতোর কথাটা এসেছে চিত্রাঙ্গদ থেকে, আর এই চিত্রাঙ্গদ ছিলেন মৌর্য বংশের রাজা। চিত্রাঙ্গদ এবং সম্ভবত অন্যান্য মৌর্য রাজাদের উদ্যোগে চিতোরদুর্গ বানানো হয় সপ্তম শতাব্দীতে। অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি গুহিলা রাজা বাপ্পা রাওয়ালের আমলে চিতোর প্রথম রাজপুতদের দখলে আসে। বলপ্রয়োগের ফলে না বরপণ হিসেবে, সে নিয়ে মতভেদ আছে।   চিতোরে দেখার যা কিছু সব ওই কেল্লার মধ্যেই। পান্নার সামনে দিয়ে অবিরত অটো যেতে থাকে, এঁরা বলেন টেম্পো, উঠে পড়লেই হল। হোটেল থেকে সুভাষ চক মাথাপিছু দশ টাকা, সুভাষ চক থেকে কেল্লার গেট আরও দশ। আমাদের অটোভাইসাব বললেন তিনশো টাকা দিলে উনি কেল্লার ভেতরেও ঘুরিয়ে দেবেন। আমরাই রাজি হইনি।   হোটেলের গেট থেকে বেরিয়েই দেখি একটা উট ইন্ডেন গ্যাসের সিলিন্ডারওয়ালা একটা ভ্যানগাড়ি টেনে নিয়ে চলেছে। উটের মুখের মধ্যে যে একটা প্রসন্ন উদাসীনতা, সেটা আমার ভারি পছন্দের। আমি উটভাইয়ের সঙ্গে আই কনট্যাক্টের চেষ্টা করলাম, উটভাই পাত্তাই দিলেন না, ঊর্ধ্বমুখে চোয়াল নাড়াতে নাড়াতে চলে গেলেন। এই অঞ্চলের পাহাড়গুলো সমতল জমির ওপর হঠাৎ একেকটা খাড়া টেবিলের মতো উঁচু হয়ে উঠেছে, মাথাটা টেবিলের মতোই ফ্ল্যাট