Posts

Showing posts from 2018

আমার দু'হাজার উনিশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ

অবশেষে সেই ক্ষণ উপস্থিত। দু ’ হাজার আঠেরো , যা কি না কল্পবিজ্ঞানের কোনও বছর, তার ফুরিয়ে যাওয়ার। এই সব মুহূর্তে বিশ্বাস করতেই হয়, দু’হাজার বাইশ, দু’হাজার তেইশ ইত্যাদি সাল, আর্থার সি ক্লার্ক কিংবা অদ্রীশ বর্ধনের বইয়ের পাতা ছাড়া যারা কোথাও নেই, থাকা উচিত নয়, সেগুলোরও এই রকম স্মরণসভা লেখার সময় আসবে। যে রেটে চলছে, আমিই লিখব। পাকা চুল হয়তো আরও কয়েকটা বাড়বে, সম্ভবতঃ অনুতাপও, কিন্তু এ ঘটনা ঘটবে। বছরের এই সময়টা আমার প্রিয়। গরম লাগছে না, ঘাম হচ্ছে না। চারদিকে গত বারো মাসের বারোটি বেস্ট বই, তেরোটি বেস্ট সিনেমা, সতেরোটি বেস্ট ছবির লিস্ট। উৎসব-উৎসব ফিলিং, গিভ অ্যান্ড টেক-বিহীন। সবথেকে ভালো খোলস ছাড়ানোর, শুকনো আমি খসে যাওয়ার অনুভূতিটা। একটাই খারাপ, সামনের বছরের রেজলিউশনসংক্রান্ত স্বপ্নের পোলাওয়ে ঘি ঢালার স্বপ্ন শেষ, কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে সত্যি সত্যি সেগুলো রক্ষার্থে নামতে হবে। বিচক্ষণরা এই জন্য রেজলিউশন নেওয়ার বোকামো করেন না এবং প্রত্যাশা পূর্ণ না করার ফেলিওর থেকে নিজেকে মুক্তি দেন। তাছাড়া রেজলিউশন নেওয়া সহজ, শক্ত হচ্ছে নিজেকে বদলানো। আর যদি সেটা না পারা যায় তাহলে নতুন কিছ

কর্ডলেস

দিল্লিতে যে রেটে ঠাণ্ডা পড়েছে তাতে আমরা প্রায় রুম হিটারের ওপর চড়ে বসে আছি বলা যায়। কোনদিন না গায়ে আগুনটাগুন লাগে। আগে আমাদের একটা ঊষা কোম্পানির ব্লোয়ার ছিল, গোঁ গোঁ শব্দে প্রবল বেগে গরম হাওয়া ছাড়ত। সেটার ভালো ব্যাপার ছিল যে অত্যন্ত দ্রুত অত্যন্ত বেশি গরম হত, কিন্তু খারাপ ব্যাপার ছিল যে গরম হত অতি অল্প জায়গা। যেখানে যেখানে হাওয়া পৌঁছচ্ছে শুধু সেইখানটাই গরম। যথার্থেই পোর্টেবল ব্লোয়ার। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে না ঘুরলে উষ্ণতার আশা নেই।   বছরদুয়েক আমাদের রুম হিটিং অবস্থার আপগ্রেড হয়েছে এবং আমরা একখানি অয়েল-ফিলড রুমহিটারের মালিক হয়েছি। সে হিটার অতি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘর গরম করে অর্থাৎ কি না অনেকক্ষণ চালিয়ে রাখলেও বোঝা যায় না আদৌ গরম হচ্ছে কি না। প্রথমে হাহাকার করেছিলাম। পয়সা নষ্ট হল, কিছুই গরম হচ্ছে না।   তারপর একদিন ঘোর শীতে একমুহূর্তের জন্য দরজা খুলে পাশের ঘর থেকে খবরের কাগজ না কী একটা আনতে গেছি, হিটার থাকা না থাকায় তফাৎটা স্বমহিমায় প্রকাশিত হল।   আমাদের নতুন বাড়ির সব ভালো কিন্তু ইনসুলেশন অকথ্য। শবাসনে শুলে বুঝতে পারি দরজার তলা দিয়ে ফুরফুরিয়ে হাওয়া ঢুকছে। বাইরের ঘরে তিনটে দরজা, দুট

আমার শীত, আমাদের শীত

লোকে বলে প্রথম প্রেমের নাকি সবই স্পেশাল হয়, তাকে নাকি অন্য কোনও প্রেম দিয়ে রিপ্লেস করা যায় না,   তার  প্রতি দুর্বলতা নাকি চিরকাল থেকে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার সে রকম কিছু মনে হয় না। প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সব প্রেমই স্পেশাল, সবেরই কিছু না কিছু চিরকাল মনে থাকে। অবশ্য স্মৃতিতে ভালো নাকি মন্দের অংশটুকু বেশি হবে তা নির্ভর করে কে কাকে ছেড়েছে তার ওপর। যাই হোক, প্রেম সম্পর্কে থিওরি দেওয়ার জন্য এই পোস্টের অবতারণা নয়, বরং আমার প্রথম প্রেমিকের দেওয়া একটা থিওরির প্রাসঙ্গিকতা বিষয়েই পোস্ট।   আমার প্রথম প্রেমিক ভালো ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনচেতাও ছিলেন। তাঁর আর একটা ভালো ব্যাপার ছিল কাঁধ ছাপানো পনিটেল, কিন্তু সেটা এই পোস্টে প্রাসঙ্গিক নয়। প্রথম দুটো গুণ অবলম্বন করে তিনি ছোট বয়স থেকে (বা যে বয়সে বাঙালি ছেলেদের ছোট মনে করা হয়) তাঁর থেকে ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। টাকার বিনিময়ে। সোজা কথায় টিউশানি। আমার সেই প্রথম প্রেমিক আমাকে বলেছিলেন যে টিউশানি করতে করতে একটা অতি অদ্ভুত জিনিস তিনি লক্ষ করেছেন।   ‘না না, হাসিস না, এটা আমি সিরিয়াসলি খেয়াল করেছি। প্রতি বছর ছাত্ররা আগের বছরের থেকে বেশি গাধা হয়ে যাচ্

বর্ষশেষের পোস্ট

দু’হাজার আঠেরো অবশেষে বিদায় হচ্ছে। তাড়াতাড়ি হচ্ছে না। হিন্দিতে একটা চমৎকার শব্দ আছে ধোবিপিছাড়, গত বারো মাস, বাহান্নটা সপ্তাহ ধরে আমাকে সেই করে, তবে হচ্ছে। আত্মীয়বিয়োগ জাতীয় বড় বড় খারাপ ঘটনা তো ঘটেছেই, বেড়াতে যাওয়া কম হয়েছে, বই পড়া কম হয়েছে, বাইরে খাওয়া সিনেমা দেখা কম হয়েছে, বেশি হয়েছে খালি অফিসের কাজ। দু’হাজার আঠেরো একটি অতি জঘন্য বছর। দু’হাজার উনিশ যেন এরকম না হয় ভগবান।   দু’হাজার আঠেরোর রেজলিউশন রিভিউ করছি না আর, কারণ এই নয় যে রেজলিউশন রক্ষা হয়নি। আমার ডায়রির প্রথম পাতায় যে রেজলিউশনগুলো (গোটা বাইশ) লিখেছিলাম আশ্চর্যজনকভাবে তার বেশিরভাগই (দুই-তৃতীয়াংশ মতো) রক্ষা হয়েছে। রিভিউ করছি না কারণ সে রেজলিউশনগুলোর অধিকাংশই ব্যক্তিগত অর্থাৎ সেগুলোর কথা অবান্তরে আগের বছর লিখিনি কাজেই সেগুলোর পূর্ণ হওয়া না হওয়ার ফিরিস্তি অবান্তরে দেওয়ার মানে হয় না। তাছাড়া বছরের মাঝখানে কিছু রেজলিউশন জড়ো হয়েছিল, সেগুলো সামলাতে গিয়ে হিসেব গোলমাল হয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস নাগাদ প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার জোগাড় হয়েছিল যে কোনও কূলই রক্ষা হবে না। কপালজোরে বেশিরভাগই রক্ষা হয়েছে। দু’হাজার আঠেরোতে বই পড়েছি আ

মটর কা পানি, ন্রুসিংহ কা খাজা

Image
বাবামায়ের প্রতি আমার কোনও অভিযোগ নেই। সন্তানকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার ওয়ান শট গেমে ওঁরা আশাতীতরকম ভালো পারফর্ম করেছেন, কিন্তু এবার পুরী গিয়ে একটা করার মতো অভিযোগ জন্মাল। আমাকে এতদিন এতবার পুরী নিয়ে গিয়েও ওঁরা আমাকে মটর কা পানি একবারও খাওয়ালেন না কেন।   মটর কা পানি ব্যাপারটা শুনতে যতটা অদ্ভুত, দেখতেও ততটাই। স্টোভের ওপর একটা বড় চ্যাৎনা পাত্রে কতগুলো ফ্যাটফেটে মটর একগলা জলের মধ্যে ভাসছে। আপনি গিয়ে দাঁড়ালে একটা মগে ওই মটর খানিকটা, মটরের জল খানিকটা, কাঁচা লংকা, তেঁতুল জল বেশ করে ঘুঁটে, ছোট স্টিলের বাটিতে ঢেলে চামচ সহযোগে আপনাকে দেওয়া হবে। সে বাটির রক্তশূন্য চেহারা আগে কখনও না দেখে থাকলে আপনার দশটাকা এইভাবে খরচ করার সিদ্ধান্তটার প্রতি সন্দেহ জাগতে বাধ্য। যতক্ষণ না আপনি চামচে করে ওই ফ্যাকাসে তরল তুলে চুমুক দিচ্ছেন। ধোঁয়া ওঠা গরম। চোখে জল এনে দেওয়া ঝাল। আর সে টকের কথা মনে করলে এই সি আর পার্কের বাড়িতে হিটারের গায়ে সেঁটে বসে জিভে জল এসে যাচ্ছে। ওই সর্বরোগশোকহর তরল যতক্ষণ আপনার গলা দিয়ে নামবে ততক্ষণ বসের মুখ মনে পড়বে না, গ্যারান্টি। দুঃখের বিষয়, বাটিটা শেষ হয়ে যাবে। আশার থেক

সমুদ্রস্নানের সাত রকম

১। এঁরা সবার আগে বিচে আসবেন। সুইমসুট, সানগ্লাস, তোয়ালে, শতরঞ্জি, ছাতা, জুতো পাহারা দেওয়ার লোক -   সমুদ্রস্নানের সমস্ত প্রয়োজনীয় গিয়ার ঘাড়েবগলে করে। এর পর শতরঞ্জি পেতে ছাতা মেলে কিংবা নুলিয়াদের ছাউনি ভাড়া করে আরাম করবেন কিংবা  স্রেফ  সানগ্লাস আর শতরঞ্জির ভরসায় ডেয়ারডেভিল নেমে পড়বেন ট্যানের সাধনায়। কেউ মালিশওয়ালা ডেকে মাল্টিটাস্কিং-এ নিমগ্ন হবেন। এঁদের সন্তানসন্ততিরা প্যাস্টেল রঙের ছোট্ট বালতি বেলচা নিয়ে বালিতে শিল্পকর্ম ফাঁদবে। এঁদের আশপাশ দিয়ে কোটি কোটি লোক সমুদ্রে নেমে, স্নান করে, উঠে বাড়ি চলে যাবে। এঁদের জলে নামার ওয়ার্ম আপ ফুরোবে না। আদৌ জলে নামা হবে কি? আমি জানি না। আমি যতক্ষণ আশেপাশে থেকেছি নামতে দেখিনি কোনওবার, আমি চলে আসার পরে নেমে থাকলে আমার জানার কথা নয়। আমার সন্দেহ হচ্ছে ইনি ওয়ার্ম আপ ক্যাটেগরিতেই পড়বেন, নিশ্চিত হতে পারছি না বলে আলাদা লিখছি। এঁকে প্রথম দেখা যাবে ডান কিংবা বাঁ দিকে, বহুদূরে, একটি কালো বিন্দু হিসেবে। বাড়তে বাড়তে সেটি অবশেষে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের আকার ধারণ করবে। দৃষ্টি নিচু বা সামনে, সমুদ্রের দিকে কদাচ নয়। কাঁধের তোয়ালে তাঁর স্নানের ইচ্ছের সাক্ষ্য দ

রঘুরাজপুর আর মঙ্গলাজোড়ি

Image
মঙ্গলাজোড়ি যাওয়া ফাইন্যাল অবশেষে হল শুক্রবার সন্ধেবেলা স্বর্গদ্বারে বসে লেবু চা খেতে খেতে। শনিবার কোথাও একটা যাব সেটা জানতাম কিন্তু যাওয়ার জায়গাটা নিয়ে সংশয় ছিল। কোনারক দুজনেরই দেখা, দুজনেরই নন্দনকাননে অনাগ্রহ। নাকতলার বাবা মঙ্গলাজোড়ির খবর দিয়েছিলেন। চিলিকা হ্রদের উত্তরপ্রান্তের ছোট্ট গ্রাম। সাইবেরিয়া মংগোলিয়া এই সব জায়গায় এখন ঠাণ্ডাটা একটু বেশি তাই পাখিরা উড়ে উড়ে এসে জড়ো হয় মংগলাজোড়ির বিরাট জলাজমি। নলঘাসের বনের অলিগলি বেয়ে মঙ্গলাজোড়ির মিষ্টি জল চিলকার নোনতা জলের সঙ্গে মিশেছে সে ভুলভুলাইয়া নেটিভ, পরিযায়ী মিলিয়ে এই ক'মাস, নভেম্বর থেকে মার্চ, প্রায় নাকি তিন লাখ পাখির আখড়া। গত কয়েকবছরে কিছু বদমেজাজি পায়রা ছাড়া আর বিশেষ কোনও রকম পাখির সঙ্গে ওঠাবসা নেই, আমি তাও অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে ফিঙেটিঙে চিনতে পারি, অর্চিষ্মানের কাক পায়রা শালিক চড়ুই পার হলে সব পাখিই ডাইনোসরের বংশধর। কাজেই মঙ্গলাজোড়ি যদি যাই একটা নতুন জায়গায় যাওয়া হবে ভেবেই যাব। পুরীতে সারাদিন থেকেই বা কী করব।   যাওয়ার আগে কয়েকটা কথা আছে। মঙ্গলাজোড়িতে বেস্ট পাখি দেখার সময় ভোর নয়তো সন্ধে। পুরী থেকে মংগলাজোড়ি গাড়িতে লাগে দু

পুরী

রেলের খাবারের যা ছিরি হয়েছে আজকাল, রেলওয়ে হোটেলের খাওয়া যে সে স্ট্যান্ডার্ডের হবে না সে রকম একটা আন্দাজ ছিল। পুরীবাসের আড়াই দিনে সেটা বুঝেছি, কিন্তু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম হোটেলে পৌঁছনোর আধঘণ্টার মধ্যে ভেজ পকোড়া আর চা খেয়েই।   যথাক্রমে পান্থনিবাস এবং পুরী হোটেল দিয়েই পুরীতে থাকার জায়গার খোঁজ শুরু হয়েছিল, প্রত্যাশিতভাবেই পাওয়া যায়নি। তারপর ভিক্টোরিয়া ক্লাব, হোটেল হলিডেজ আরও যা যা সমুদ্রমুখী হোটেল আছে সবেতেই মাথা ঠুকে ব্যর্থ হয়েছি। দুঃখের কথা জানাতে নাকতলার বাবা বললেন ওঁর একজন পরিচিত রিসেন্টলি বি এন আর পুরীতে থেকে এসেছেন এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।   অর্চিষ্মান শুনেই বি এন আর-এ ফোন করল এবং ওঁরা বললেন, চলে আসুন, ঘর আছে। সেই খবরটাই আমাকে ফোন করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল অর্চিষ্মান, পাজি পাজেরোটা ওভারটেক করে যে কনভারসেশনটা মাটি করে। আমরা প্রথমটা দোনোমোনোই করেছিলাম। কারণ বি এন আর আমাদের বাজেটের বাইরে। তারপর অনেকগুলো যুক্তি মাথায় এল। এক, বোঝাই যাচ্ছে পুরীতে এখন ইলিইলি কিলিকিলি ভিড়। এই বাজারে ঘর পাওয়া গেলেও স্বর্গদ্বারের কাছাকাছি থাকাটা খুব একটা বুদ্ধিমানের হবে না। ও তল্লাটে ঘর অব

ভুবনেশ্বর

Image
দিল্লির বাইরে বেরোনর পর প্রথম যেটা চমকে দেয় সেটা হচ্ছে বাকি দেশটার লোকজন কী ভদ্র এবং বিনীত। ভদ্র মানুষজন ছাড়াও ভুবনেশ্বরের আরও অনেক গুণ আছে।  ভুবনেশ্বর  শুনেছি আধা-প্ল্যানড শহর। রাস্তাঘাট দেখলে সেটা বোঝা যায়। রীতিমত পরিষ্কার। তাছাড়া পুরুষ হকি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে তাই মোড়ে মোড়ে ব্যানার সেঁটে শহরটা আরও সেজেগুজে রেডি। আর ভালো শহরের ওলাউবার পরিষেবা। যে সময়টুকু ভুবনেশ্বরে ছিলাম ওলাউবারের অটো ট্যাক্সিই ব্যবহার করেছি। হায়েস্ট অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচ মিনিট। একজন খালি ওলা মানিতে যেতে অসম্মত হয়েছিলেন, তাঁকে ক্যাশে পেমেন্ট করেছি। ব্যস। অফিস সেরে ভুবনেশ্বর পৌঁছতে হয়ে গিয়েছিল রাত দশটা পাঁচ। হোটেলে ব্যাগ রেখেই দৌড়েছিলাম ডিনার খেতে, সে গল্প পরে বলব। খেয়েদেয়েই ঘুম, কারণ সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘোরাঘুরি শুরু করতে হবে। পরদিন দুপুর পর্যন্ত ভুবনেশ্বরে থাকার মেয়াদ। তার মধ্যে যা দেখার দেখে ফেলতে হবে, যা খাওয়ার খেয়ে ফেলতে হবে। হোটেলে ব্রেকফাস্ট কমপ্লিমেন্টারি ছিল , কিন্তু সে সব খেয়ে পেট ভরানো চলবে না।   ইউটিউব দেখে , ব্লগ পড়ে কয়েকটা খাওয়ার জায়গা বাছা আছে , সব হয়ত যাওয়া অসম্ভব কিন্তু কয়েকটায় যে