পুরী
রেলের খাবারের যা ছিরি হয়েছে আজকাল, রেলওয়ে হোটেলের খাওয়া যে সে স্ট্যান্ডার্ডের হবে না সে রকম একটা আন্দাজ ছিল। পুরীবাসের আড়াই দিনে সেটা বুঝেছি, কিন্তু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম হোটেলে পৌঁছনোর আধঘণ্টার মধ্যে ভেজ পকোড়া আর চা খেয়েই।
যথাক্রমে পান্থনিবাস এবং পুরী হোটেল দিয়েই পুরীতে থাকার জায়গার খোঁজ শুরু হয়েছিল, প্রত্যাশিতভাবেই পাওয়া যায়নি। তারপর ভিক্টোরিয়া ক্লাব, হোটেল হলিডেজ আরও যা যা সমুদ্রমুখী হোটেল আছে সবেতেই মাথা ঠুকে ব্যর্থ হয়েছি। দুঃখের কথা জানাতে নাকতলার বাবা বললেন ওঁর একজন পরিচিত রিসেন্টলি বি এন আর পুরীতে থেকে এসেছেন এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।
অর্চিষ্মান শুনেই বি এন আর-এ ফোন করল এবং ওঁরা বললেন, চলে আসুন, ঘর আছে। সেই খবরটাই আমাকে ফোন করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল অর্চিষ্মান, পাজি পাজেরোটা ওভারটেক করে যে কনভারসেশনটা মাটি করে।
আমরা প্রথমটা দোনোমোনোই করেছিলাম। কারণ বি এন আর আমাদের বাজেটের বাইরে। তারপর অনেকগুলো যুক্তি মাথায় এল। এক, বোঝাই যাচ্ছে পুরীতে এখন ইলিইলি কিলিকিলি ভিড়। এই বাজারে ঘর পাওয়া গেলেও স্বর্গদ্বারের কাছাকাছি থাকাটা খুব একটা বুদ্ধিমানের হবে না। ও তল্লাটে ঘর অবশ্য পাওয়া যাচ্ছেও না। একটি দুটি হোটেল তাদের ‘মহারাজা সুইট’ খালি আছে আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু এই পিক সিজনে দাম আর ঘরের নামের ভারসাম্য কতখানি রক্ষা হচ্ছে আমাদের সন্দেহ আছে। মহারাজা সুইট আসলে হয়তো দেখব গিয়ে সেনাপতিপুত্রের কামরা। টাকাও যাবে, আফসোসও রাখার জায়গা থাকবে না।
আর একটা অপশনও আছে। পুরীও পালাচ্ছে না, আমরাও পালাচ্ছি না, ভিড়টা একটু কমলে না হয় …
পালাচ্ছি না কেন রহস্য, কারণ পালানো আমাদের দরকার। ভীষণ ভীষণ ভীষণ দরকার। কাজেই এই শেষের অপশনটা বাতিল করলাম। চলেই যাই, ফিরে এসে ক’দিন বাইরে কম খাব না হয়। ভালোই করেছি গিয়ে। বি এন আর আমাদের খুবই ভালো লেগেছে। ওঁদের ঘরগুলোর সব রেলওয়ে ক্যারেজে আর স্টেশনের নামে নাম। আমাদের ঘরটা ছিল বারোঘ স্টেশনের নামে। সিমলা কালকা লাইনের সেই ভীষণ সুন্দর বারোঘ। যেখানে টয় ট্রেন থেকে নেমে আমরা ছবি তুলেছিলাম, ভেজ কাটলেট আর চিপস খেয়েছিলাম।
বি এন আর-এর মাইনাস পয়েন্ট একটাই, হোটেলটা সমুদ্রতটে নয়। দূরেও নয়, সমুদ্র আর হোটেলের মাঝখানে জাস্ট এক রো বাড়িঘর। পাঁচ মিনিট হাঁটলেই সে সব পেরিয়ে বিচে পৌঁছনো যায়। সে বিচ অপূর্ব শান্ত, ফাঁকা এবং স্বর্গদ্বারের তুলনায় স্বর্গের মতো পরিষ্কার।
বারোঘের চমৎকার বিছানা দেখেই ভিট্রুভিয়ান ম্যান হয়ে যেতে ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে দমন করলাম। একটা গোটা সন্ধে মাটি করা যাবে না। চা আর ভেজ পকোড়া সাঁটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
আমার সমুদ্রের থেকে পাহাড় বেশি ভালো লাগে কিন্তু সমুদ্রের একটা অ্যাডভান্টেজ স্বীকার করতে হবে। পাহাড়ের রঙ্গরসটা একটু কম। (অবশ্য লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে ওটাও পাহাড়ের প্লাস পয়েন্ট) হঠাৎ বাঁক ঘুরলে আর পাহাড় চুড়োয় বরফটরফশুদ্ধু সারপ্রাইজ! বলে ঘাড়ে এসে পড়ল এরকম হয় না। সমতল দিয়ে যেতে যেতে প্রথমে ছোটখাটো টিলা দিয়ে শুরু হয়ে ক্রমশঃ উঁচু হতে হতে যতক্ষণে মনের মতো পাহাড়ের সামনে গিয়ে পৌঁছচ্ছি ততক্ষণে পাহাড় দেখার প্রস্তুতি সারা হয়ে গেছে।
সমুদ্রের আবার ও সব ছলাকলা প্রচুর। সমুদ্র আপনাকে দেখা দেওয়ার আগে নানারকম টিজার দেবে। সংকেতের সাহায্যে নিজের অস্তিত্বের জানান দেবে। যে রাস্তাটা অলমোস্ট সমকোণে এসে ডানদিকে মোড় নেয় স্বর্গদ্বারের দিকে, সেই রাস্তাটা দিয়ে রিকশা করে আসতে আসতে আপনি সমুদ্র দেখার আগে আকাশ দেখবেন। স্বাভাবিক আকাশের মতো নয়, মাটির কাছাকাছি ঝুঁকে এসেছে। দেখে আপনি বুঝবেন সমুদ্রের আর দেরি নেই।
এখন আকাশ দেখে সমুদ্র আঁচ করার উপায় নেই। অনেকখানি পুবদিকে এসে গেছি, সাড়ে পাঁচটাতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। এবারের টিজার, আকাশের বদলে গর্জন। আমরা হোটেলের সিকিউরিটি ভাইসাবের দেখানো রাস্তায় চলেছি। ঠিকই চলেছি, কারণ গর্জন ক্রমে বাড়ছে। অবশেষে সব আড়াল সরে গেল। পায়ের তলায় কংক্রিট ফুরিয়ে বালি, সামনে অন্ধকারের সীমাপরিসীমা নেই। সেই অসীম অন্ধকারে একটা দুটো সাদা রেখা উল্কার মতো ফুটে মিলিয়ে যাচ্ছে।
কিছু কিছু সিচুয়েশনে পড়লে মনে একটা প্রশ্ন জাগে। ঠিক সময়ে প্রশ্নটা মাথায় এলে সিচুয়েশনগুলোতে পড়তেই হত না। যেমন প্লেন ধুপধাপ এয়ার পকেটে পড়ার সময়। চড়ার আগে কখনও মনে হয় না যে আমার আকাশে ওড়ার কথা নয়। অটো কিংবা উবারপুলে পৃথিবীর মাটিতে চলেফিরে বেড়ানোর কথা। তা সত্ত্বেও যেচে কেন উড়তে গেলাম?
অন্ধকার সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে আবার সেই প্রশ্নটাই মনে এল। যে অন্ধকারটার সামনে আমি দাঁড়িয়ে আছি, যেটা ক্ষণে ক্ষণে আমাকে দেখে দাঁত খিঁচোচ্ছে, গোটা পৃথিবীর ওটা তিনভাগ, আর বাকি একভাগের কত শতাংশ জমি তিন্নির দেওয়া বাহারি চটিশোভিত আমার পা দু’খানা অধিকার করে রেখেছে - দুটোর তুলনা আমার কল্পনায় কুলোচ্ছে না, কিন্তু বইয়ে পড়েছি কাজেই আন্দাজ করতে পারি। হঠাৎ ভর সন্ধেয় যেচে এর গায়ে এসে পড়ার তো কোনও কারণ ছিল না। দু’নম্বর মার্কেট থেকে ঝালমুড়ি আর মোমো প্যাক করিয়ে ঘরে ঢুকে পরিপাটি ছিটকিনি তুলে দিলেই হত, রোজ যেমন দিই।
অর্চিষ্মান আমার থেকে সাহসী, তাই ভয় স্বীকার করতে পারে। বলল, ভয় লাগছে না? ঘাড় নাড়ছি আর বাঁ চোখের কোণ দিয়ে দেখছি অনেক দূরে বালুতট ফুঁড়ে একটা ল্যাম্পপোস্ট উঠছে। উঠছে তো উঠছেই। বাকি সব ল্যাম্পপোস্টের মাথা ছাড়িয়ে প্রায় আকাশে ঠেকে গেছে যখন বুঝলাম ওটা কার্তিকপূর্ণিমার চাঁদ। চাঁদের আলোয় অন্ধকারটা সামান্য ফিকে হল আর দেখলাম ঢেউয়ের গায়ে আমার আর অর্চিষ্মানের ছায়া দুলছে।
ভয় চলে গেল অনেকটা। হাত পা ঘাড়ের খিল খুলে গিয়ে আবার বেশ নাড়াতেচাড়াতে পারলাম, শ্বাস নিয়মিত হল, বুকের কাঁপুনিও কমল অনেকটা। এই যে বালির রেলিং আছে হাতখানেক উঁচু হয়ে, যার নিচে এসে বাঁদর ঢেউগুলো হাল ছেড়ে ফিরে যাচ্ছে, সেগুলোর এধারে থাকলেই অনেকটা সেফ, বল?
একটু হাঁটা যাক নাকি? যাক যাক। এদিককার বিচটা দিনে হয়তো রূপসী (সত্যিই) কিন্তু রাতের বেলা একটু বেশি ফাঁকা ফাঁকা। ইতিউতি ছায়ার পুঁটলির কোনটা যে বালির স্তূপ কোনটা যে প্রেমিকপ্রেমিকা জগন্নাথই জানেন। দু’কিলোমিটার দূরে স্বর্গদ্বারের আবছা আলো লক্ষ করে হাঁটতে শুরু করলাম। মাঝপথে ছোট নালা মতো পড়ল, সমুদ্রের ঢেউ এসে জমছে, বিকট গন্ধ, চটি হাতে নিয়ে সেই নালা পেরোলাম।
একটু দূর যেতেই ঢেউয়ের মাথায় কী সব চিকচিক। অমনি কেতাবি বিদ্যে জাহির করলাম, নির্ঘাত ফসফরাস।
যথারীতি ভুল। তাছাড়া ফসফরাস হলে যেখানেসেখানে জ্বলত, এ চিকচিকানি একেবারে সরলরেখা ধরে চলেছে লম্বালম্বি। ওগুলো আসলে জালের দড়ির গিঁট। তিনজন লোক একটা জাল টেনে সমুদ্র থেকে তোলার চেষ্টা করছে। চেষ্টা না বলে যুদ্ধ বলাই উচিত। পারের কাছে ঢেউয়ের গতি দুদিকেই, আসার আর ফেরার। কায়দাটা হচ্ছে আসার সময় ঢেউয়ের আনুকূল্যে হই হই করে যতখানি সম্ভব জালটাকে তুলে আনা, তারপর যখন ঢেউ ফিরছে এবং সঙ্গে সঙ্গে জালও তখন হেঁইও বলে বালিতে গোড়ালি গেঁথে শরীর যতখানি সম্ভব পেছনে হেলিয়ে জাল টেনে রাখা। তাতেও জাল খানিকটা চলেই যাবে, কারণ ওদিকে তিনভাগ আর এদিকে একভাগের শতাংশের যে হিসেবটা একটু আগে দিলাম, সেটা। খালি এইটুকু চেষ্টা যতখানি উদ্ধার করে আনা হয়েছিল তার থেকে যেন কম খোয়া যায়। খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সমুদ্র না সমুদ্রের সঙ্গে এই অসম সংগ্রাম কোনটা বেশি ফ্যাসিনেটিং ভাবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু প্র্যাকটিস নেই তাই বেশি ভাবলে ব্রেন ব্যথা করে। ভাবা থামিয়ে যেদিকে যাচ্ছিলাম সেদিকেই রওনা দেওয়া গেল।
স্বর্গদ্বার। কিলবিল করছে ভিড়। ভালোই হয়েছে এখানে ঘর না পেয়ে। পেলে চব্বিশ ঘণ্টা এরই মধ্যে থাকতে হত। তার থেকে ঘণ্টাখানেক বসে ভিড়ের আনন্দ উপভোগ করে নিরিবিলি পাড়ায় গিয়ে ঘুমব। বিচ থেকে উঠে এসে, চটি ঝেড়েঝুড়ে যথাসম্ভব বালিমুক্ত করে রাস্তার ধারের রেলিং-এ গিয়ে সমুদ্রের দিকে পিঠ ফিরিয়ে বসলাম।
মিথ্যে বলব না, প্রথমটা কেবলই কে বিস্কুট খেয়ে প্যাকেট অম্লানবদনে বিচে ফেলছে, পপকর্নের প্লাস্টিক ফুটপাথে কারণ ছ’ইঞ্চি অক্ষরে ইউজ মি লেখা বিন তাঁর বাঁ দিকে আর পপকর্নের প্যাকেট ডান হাতে, পুরী হোটেলের বারান্দায় কারা হাফপ্যান্ট পরে ঠ্যাং নাচাতে নাচাতে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে, ওই লোকগুলো বসেছে বলেই আমি বসতে পারছি না - এই সবই মনে আসছিল। তারপর নিজেকে বললাম, সোনা, বি পজিটিভ। অমনি দেখলাম ঝলমলে জামা পরে বালকবালিকা হাতে বেলুন নিয়ে চলেছে। গম্ভীর মুখে সামনে দিয়ে যাচ্ছেন একজোড়া দম্পতি। একজন অন্যজনকে পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘অমুকদাকে বলবে আমরা খেতে যাচ্ছি, তারপর ওদের ব্যাপার।’ দল বেঁধে পুরী যাওয়ার প্ল্যান করার সময় কমরেডারি উথলে উঠছিল, এখন ছায়া দেখলেও গা জ্বলছে। সবাই ঝালমুড়ির তিনকোণা ঠোঙা হাতে নিয়ে আসছে ওইদিক থেকে। একটু দূরে ডেকচি নিয়ে একজন বসেছেন, কেউ সামনে গিয়ে দাঁড়ালে ডেকচি থেকে ধোঁয়া ওঠা সেদ্ধ ভুট্টা চিমটে দিয়ে তুলে কাগজের প্লেটে রেখে মশলা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমার বিন্দুমাত্র খিদে নেই, কিন্তু সবাই খাচ্ছে সেটাই কি খাওয়ার যথেষ্ট ভালো কারণ নয়? তারপর ভাবলাম নাঃ, লোভে পাপ, পাপে ইনো। তার থেকে লেবু চা খাওয়া যাক বরং।
অর্চিষ্মান বলল, এসে ভালোই হয়েছে বল?
ভালো মানে? না এলে জয়জগন্নাথ পাপ দিতেন।
লেবু চা-টা দারুণ ভালো তাই না? আরেক কাপ খাবে?
বাঁধনছাড়া বাঁচার সাহস যে আমাদের নেই প্রমাণ হয়ে গেছে অনেকদিন। কিন্তু পর পর দু’কাপ লেবু চা খাওয়ার আছে। দুজনে দুই দুই চার কাপ লেবু চা নিয়ে বসলাম, সামনে দিয়ে কলরব করে জনতা, অটো, ট্যাক্সি চলাচল করতে লাগল। চায়ে চুমুক দিতে দিতে সিদ্ধান্ত নিলাম, এই মুহূর্তটাকে জীবনের মনে রাখা মুহূর্তের হল অফ ফেম-এ জায়গা দেওয়া যেতে পারে।
(চলবে)
BNR ta ki?
ReplyDeleteSorry, aager comment ta te naam likhte bhule giyechhi.
ReplyDeleteiti
Shuteertho
বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে র হোটেল। সেটা এখন চাণক্য বি এন আর হোটেল হয়েছে। বি এন আরের আরও কয়েকটা হোটেল আছে, রাঁচি এবং অন্যত্র। বেসিক্যালি রেলওয়ে হেরিটেজ হোটেল।
Deleteporikkha r chape chochhori. Tomar lekha pore ektu mone mone ghure nichhi.
ReplyDeleteপরীক্ষা ভালো হোক এই কামনা করি।
Deleteমাঝরাতে ঘুম ভেঙে মনটা দারুণ খুশি খুশি হয়ে গেল আপনার লেখাটা পড়ে। শরদিন্দু অমনিবাসের মতো আপনার ভ্রমনকাহিনীরও তৃতীয় খণ্ড মন কেড়ে নেওয়া।
ReplyDeleteসব দেখতে, বুঝতে, অনুভব করতে পারছি।
সমুদ্রের কাছাকাছি এলে আমি একটা আঁশটে মতো ইস্পেশাল গন্ধ পাই। ঐটাও পেলাম মনে হলো।
হাহা, থ্যাংক ইউ বৈজয়ন্তী।
Deleteলেখা পড়ে মনে পড়ে গেল অনেক দিন সমুদ্রের সাথে দেখা হয়নি। একটা স্মৃতি মনে এল- ছোট বেলায় টিভি তে কোন একটা দেশের সিনেমা দেখেছিলাম, তার গল্প টা এরকম যে পূর্ব ইউরোপের কোন একটা দেশের প্রেমিক প্রেমিকা কলেজে পড়ার সময় communist আন্দোলন করতে করতে দূরে সরে যায়। বহুদিন পর তাদের মধ্যে আবার যোগাযোগ হলে তারা ঠিক করে সমুদ্রের ধারে এক শহরে তারা একসাথে কিছু সময় থাকবে,তার বাসে করে ঐ শহরে আসার সময় হটাৎ করে একটা গলি দিয়ে একঝলক সমুদ্র দেখা যায়,সে সময় তারা নিজেদের মধ্যে কথা থামিয়ে একমুহুর্ত চুপ করে, কি জানি কি ছিল সিনেমায় যে আজ ও এই জায়গা টা মনে আছে।
ReplyDeleteমনে রাখার মতোই জায়গা তো।
Deletebah bah enzy,bhog khawar galpo likho kintu
ReplyDeleteprosenjit
ভোগ খাইনি।
DeleteKi sundar lekha:)
ReplyDeleteধন্যবাদ, তিন্নি।
DeleteMost common jayga holeo Chotobelar puri ar ekhon puri dekha alada .. age onek kichu chokhe porto na.. nana lokjoner kothabarta sune hasi pawa.. jal dhore tana.. net dekhe khabar khawa.. local bari gulor dewale rong diye koto chobi anka.. plus kar songe jawa hocche...ekhon segulor jonnoi puri k onno rokom lage..
ReplyDeleteঠিক বলেছিস, ঊর্মি।
DeletePurnima r chaand e somudro dekhle .... icche korche ekkhuni Puri chole jayi. :-)
ReplyDeleteসত্যি বলতে কি অন্য আলো এত বেশি ছিল যে চন্দ্রালোকের মহিমা বিশেষ বোঝা যায়নি, শর্মিলা, তবুও দেখা হল আরকি।
DeleteAchcha..ei BNR ki sei Hatyapuri te Feluda ra jetay chilo seta??
ReplyDeleteফেলুদারা ছিল নীলাচল হোটেলে। ভিলেন উঠেছিলেন “রেলওয়ে হোটেলে”, সেটা যে বি এন আর হোটেলই সেফলি ধরে নেওয়া যায়।
DeleteAmi life e akbari Puri gechi. 12 bochor boyes hobe hoyto. roj swargodwar er pora gondho shuke ar swargodwar er jatri der dekhe oi boyese ja bhoyanok trauma hoyechilo je ar Puri r kotha bhableo anxiety ese hi hello korte thake.
ReplyDeleteএই প্রতিক্রিয়াটার একটা সম্ভাবনা থাকে অবশ্য। পুরীর প্রচুর খারাপ জিনিস পরে আবিষ্কার করেছি। বেশিরভাগই খারাপ। কিন্তু সে সব খারাপ বোধগম্য হওয়ার বয়সের আগে সমুদ্র (জীবনের প্রথমবার দেখা) চেতনা দখল করে ফেলেছিল। এখনও একাই বাকি সব খারাপকে ফাইট দিয়ে যাচ্ছে।
Deleteইস্, পুরী বললেই এই মোটা শরীরেও এক পাক ঘুরে যেতে ইচ্ছা করে। বড় হবার পর তুমি কি এই প্রথম পুরী গেলে? তবে তো তোমার অবশ্যই একটা সী-ফেসিং ঘর নেওয়া উচিত ছিল। গভীর রাতে বারান্দায় বসে এখানে ওখানে সাদা দাগ দেখা, শোঁ শোঁ শব্দের সঙ্গে জলের ছল ছলানি - এরকম না হলে কি সমুদ্রের সাথে মনের কথা বলে যায়?
ReplyDeleteতাও ঠিক।
Delete