Posts

Showing posts from April, 2014

একটি বিলম্বিত অভিনন্দন

সৌমেশ লিংকটা পাঠিয়েছিলেন বেশ ক’দিন আগে। সাপ্তাহিকীর এ সপ্তাহের গানের ক্যান্ডিডেট হিসেবে। আমি ক্লিক করেওছিলাম। চেনা গায়ক, চেনা গান, কিন্তু গাওয়াটি অচেনা। কণ্ঠে ক্লান্তি, দমের ঝুলিতে টান। ডানদিকের ওপরের লাল ক্রসে ক্লিক করে বেরিয়ে সৌমেশকে রিপ্লাই দিয়েছিলাম, ‘সরি সরি, কিছু মনে করবেন না। গানটা আসলে আমার ভালো লাগে না।’ সৌমেশ আপাদমস্তক ভদ্রলোক, হাসিমুখে উত্তর পাঠিয়েছিলেন, ‘আরে না না, কোনও ব্যাপার না।’ কথোপকথন আর্কাইভ করে বসে রইলাম। মাথার ভেতর বাজতে লাগল, ‘সন্ধ্যের গলা সাধা, কী কঠিন ছায়ানট রাগ কী করে রাখব তাল সম ফাঁকে কেবল হারায় . . .’ অফিসে বসে বসেই চোখের বাইরের আলো নিভে এল। জ্বলে উঠল মাথার ওপরের সিলিং জুড়ে ছোট ছোট সারি সারি হলুদ ফুল। দৃষ্টির সামনে ঢালু হয়ে নেমে গেল মানুষের মাথা। রোজ যে সব হরেদরে মাথারা ঘুরে বেড়ায় আমাদের হাটে বাজারে, শাকপাতামাছমুলো বেছেবুছে টিপেটুপে কেনে, তারা নয়। একটু অন্যরকম মাথারা আজ এসে জড়ো হয়েছে এখানে। মাথাদের বেশির ভাগই কলেজে যায়, হাতেগোনা ক’জন অফিসে বা স্কুলে। বিকেলবেলায় শুধু রকে বসে থাকার বদলে লাইব্রেরিতে ঢুঁ মারে। মণ্ডপের দালানে র-সু-ন জয়ন্তীর নাচগা

Fine, ask your question.

Image
উৎস

20 Random Facts About Me

১. কুন্তলা না হলে আমার নাম রাখা হত অদিতি কিংবা শ্রীনীতা। অদিতির জন্য আমার বিশেষ দুঃখ নেই, শ্রীনীতার জন্য একসময় ছিল। এখন আর নেই। এখন আমার কুন্তলা নামটা বেশ পছন্দই হয়। যতক্ষণ না কেউ মানে জিজ্ঞাসা করছেন। তখন বলতে হয়, ‘উওম্যান উইথ হেয়ার অন হার হেড’। নিমেষে প্রশ্নকর্তার চোখ আমার হেডের দিকে যায় এবং আমি আবার নতুন করে শ্রীনীতার জন্য হাহাকার করি। ২. স্কুলে পড়াকালীন আমার প্রিয় বিষয় ছিল বাংলা, ইংরিজি। ৩. আমি গাড়ি চালাতে পারি না। ৪. আমি সাইকেল এবং স্কুটার, দুটোই খুব ভালো চালাতে পারি। ৫. আমার প্রথম মঞ্চে নামার অভিজ্ঞতা তিন বছর বয়সে। পাড়ার ফাংশানে ন্যাড়া মাথায় ফুলের মালা জড়িয়ে ‘সাঁওতালি দল, দলে দলে নাচে রে’ গানের সঙ্গে নাচতে নাচতে। সেই নাচে আমার প্রতিভার প্রকাশ দেখেই আমার মা আমাকে কত্থক নাচ শেখার স্কুলে ভর্তি করে দেন। চার বছর বয়স থেকে ন’বছর বয়স পর্যন্ত আমি প্রতি রবিবার বিকেলে সেই স্কুলে গিয়ে পায়ে ঘুঙুর বেঁধে  কোমরে হাত দিয়ে   ‘ধা ধিন ধিন ধা’ করতাম। আট বছর বয়সে আমাকে গানের স্কুলে ভর্তি করা হয়। আট থেকে ন’বছর বয়স পর্যন্ত রবিবার বিকেলে আমার রুটিনটা ছিল এই রকম: বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোন্

বাংলা বাঁচাও / শেষ পর্ব

চিন্তামণি একটি সোফা পুরোটা দখল করে চিৎপাত হয়ে শুয়ে আছেন। বিনীত সোফার হ্যান্ডেলে বসে খবরের কাগজ নেড়ে নেড়ে তাঁর মাথায় হাওয়া করছে। প্রকাশঃ বন্ধুগণ, শ্রদ্ধেয় চিন্তামণিদা অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্য আমাদের সভা খানিকক্ষণ স্থগিত ছিল। আপাতত উনি খানিকটা সুস্থ বোধ করছেন। তাই তো দাদা? চিন্তামণি শুয়ে শুয়েই ডান হাত আশীর্বাদের ভঙ্গিতে তুলে সম্মতি জানালেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে কথা বলার অবস্থা তাঁর এখনও আসেনি। প্রকাশঃ কাজেই আমাদের সভা আবার শুরু হচ্ছে। আমরা সিনিয়রিটি অনুযায়ী বক্তার ক্রম সাজানোর চেষ্টা করেছি। যাতে কেউ পার্শিয়ালিটির অভিযোগ আনতে না পারে, হে হে। আমাদের লিস্ট অনুযায়ী চিন্তামণিদা’র পর বাংলাভাষা বাঁচানো নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখবেন আমাদের সবার প্রিয় মায়াবীদি। বেচারামঃ জিয়ো মায়াবীদি, হয়ে যাক হয়ে যাক। মায়াবীঃ সেকী, আমার থেকে সিনিয়র কেউ নেই নাকি এখানে? আমাকে কিন্তু দেখে বোঝা যায় না, আমার খুব ছোট বয়সে বিয়ে হয়েছিল তো। আমার এই গত অক্টোবরে সাঁইত্রিশ হল। বেচারামঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ...ইয়ে মানে, আমার হঠাৎ একটা ভীষণ মজার চুটকি মনে পড়ে গেল... কিন্তু সিরিয়াসলি মায়াবীদি, আপনাকে দেখে কিন্তু বোঝাই

বাংলা বাঁচাও/ ১

সময়, আন্দাজ সন্ধ্যে ছ'টা। স্থান, 'মায়াবী গোধূলি' দেবীর অতি সুসজ্জিত বৈঠকখানা। ঘরের চার দেওয়াল যামিনী রায়ের কপি থেকে শুরু করে গুরুদেবের হিজিবিজি থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন থেকে কিনে আনা কাঁথা স্টিচের রাধাকৃষ্ণের রাসলীলায় ছয়লাপ। আসবাবপত্রের ফাঁকে ফাঁকে ঘরময় গোটাদশেক বিষ্ণুপুরী ঘোড়া ছেটানো। তিন ইঞ্চি থেকে তিন হাত, সবরকমের ঘোড়া আছে 'মায়াবী গোধূলি' দেবীর কালেকশনে। ঘোড়া সংগ্রহ ওঁর নেশা। থেরাপিস্ট বলেছেন ছোটবেলায় টাট্টুর বায়না করে বাবার কাছে কানমলা খেয়েছিলেন, সেই অবদমিত ট্রমারই প্রকাশ ঘটেছে বুড়ো বয়সে। দার্জিলিং ও কেদারনাথ ভ্রমণে গিয়ে জ্যান্ত ঘোড়ার কাছাকাছি আসার সৌভাগ্য হয়েছিল, সুবিধে করতে পারেননি। অগত্যা বিষ্ণুপুরীই সই। ‘মায়াবী গোধূলি’ নামটা ভদ্রমহিলার বাপমাপ্রদত্ত নয়। ওঁর আসল নাম মালা দে। নাম বদলানোর আইডিয়াটা ভদ্রমহিলার মাথায় আসে প্রবাসে বিয়ে হওয়ার পর। স্বামী অফিসে চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ দুপুরগুলোয় শপিং মলে ঘুরে ঘুরে যখন হাঁটুব্যথা হয়ে গেল, রকমারি রান্নার এক্সপেরিমেন্ট সয়ে সয়ে স্বামী পায়ে ধরে কেঁদে পড়লেন, স্বরচিত পেন্টিঙে বাড়ির কোণাঘুঁজি ছেয়ে গেল, এমন সময় মালাদেবী পদ