Posts

Showing posts from April, 2013

Things I am Not Loving

১. বিয়ের কোল্যাটারাল ড্যামেজ। আমার বাবার গর্মিতে গলা বসে গেছে, মা কোমরের ব্যথায় শয্যা নিয়েছেন। কাকুকাকিমাও জেরবার। ডেডলাইন যত এগোচ্ছে, টু ডু লিস্টের সাইজ ততই সম্ভবের সীমা ছাড়াচ্ছে। আমপাকানো গরমে একএকদিনে পাঁচ থেকে ছ’টা বাড়ি ঘুরে নেমন্তন্ন। একএক ট্রিপে শ্যামনগর থেকে পাটুলি। তার ওপর ক্যাটারার, ডেকোরেটর এদের প্যাঁচপয়জারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো আছেই। সকলেই আমাদের থেকে বেশি বোঝে। “কাকু, লুচি আজকাল কোলেস্টেরলের ভয়ে কেউ খেতে চায় না, ফ্যাটফ্রি বেবি নান প্রেফার করে।” সকলেই আমাদের ভালো চায়। “কাকিমা, চারদিকে একগাদা ফ্যাটফেটে আলো দিয়ে কী হবে। স্রেফ ফালতু খরচ। ধুস্‌। বরং গাছের পাতার ফাঁকেফাঁকে টুকটাক টুনি গুঁজে দেব, আধো আলো আধো ছায়ায় বেশ রোম্যান্টিক আবহাওয়ার সৃষ্টি হবে। তারপর দেখতে না পেয়ে চিকেনবল্‌সের ওপরে বসা মশামাছিও টুথপিকে গুঁজে মুখে পুরে দেবেন, ক্ষতি কী, ওগুলোও তো প্রোটিন...” একখানা বিয়ে করে ভালোবাসার লোকজনেদের এই হাঙ্গামার মধ্যে ফেলেছি ভাবতেই অপরাধবোধ হচ্ছে। ওদিকে টাকা, শরীর সব জলের মত ক্ষয় হচ্ছে আর এদিকে আমি রোজ ব্যাগ দুলিয়ে অফিসে এসেযেয়েই কূল পাচ্ছি না। কুলাঙ্গার

জুয়েল্‌রি বক্স

Image
উৎস গুগল ইমেজেস (নিচের লেখাটা টুং-এর ডায়েরির একটা পাতা থেকে নেওয়া। টুং-এর নাম টুং, কারণ ওর যমজ বোনের নাম টাং। টুং-এর ডায়েরি লেখার অভ্যেস আছে। গতকাল ওরা সবাই মিলে গয়নার বাক্স দেখতে গিয়েছিল। ফিরে এসে টুং তার মনে হওয়াগুলো ডায়েরিতে লিখে রেখেছে। আমি যখন বললাম এটা অবান্তরে ছাপালে কেমন হয়, টুং শ্রাগ করে চুইয়িংগাম চিবোতে চিবোতে চলে গেল। কাজেই ছাপানোতে টুং-এর আপত্তি নেই ধরে নিচ্ছি। একটা কথা, টুং-এর লেখাটা থেকে সিনেমাটার গপ্প, দৃশ্য, ক্লাইম্যাক্স ইত্যাদি ফাঁস হয়ে যেতে পারে। যাঁরা স্পয়লারের ভয়ে সর্বক্ষণ কাঁটা হয়ে থাকেন, তাঁদের আগে থেকে সাবধান করে রাখলাম।) 28th April, 2013 ইয়েস্টারডে আমরা সবাই মিলে জুয়েল্‌রি বক্স দেখতে গেছিলাম। আমার কাল কোনও প্ল্যান্‌স্‌ ছিল না, তার ওপর মুভিটা অপর্ণা সেনের। তো বাবা যখন বলল কি মুভিটা দেখতে যাওয়ার প্ল্যান হচ্ছে, আমি এগ্রি করে গেলাম। স্টোরিটা একটা জুয়েল্‌রি বক্সকে নিয়ে। রাসমণি নামের এক চাইল্ড-উইডোকে বিয়ের সময় একগাদা হরিব্‌ল্‌ লুকিং জুয়েল্‌রি দেওয়া হয়েছিল, বুড়ি এখনও সেই নিয়ে অবসেস্‌ড্‌। তারপর সোমলতা ((((((((কঙ্কণা)

শনিরবি

Image

সাপ্তাহিকী

Image
শিল্পীঃ Lisa Adams If you want to make God laugh, tell him about your plans.                                                                                                       ―   Woody Allen এই মুহূর্তে। সকলেই যখন সুন্দরী। আগেই বলেছিলাম। এমন জায়গাও ভূভারতে আছে? আমার প্রিয় লেখকের প্রিয় গল্পের প্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমার প্রিয় অভিনেতা। সিনেমাটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। যদ্দিন রিলিজ না করছে, তদ্দিন এই গানটাই ভরসা। আজকের মিনি সাপ্তাহিকী এই পর্যন্তই। সপ্তাহান্ত খোশমেজাজে কাটাবেন, সোমবার আবার দেখা হবে। টা টা।

ঠাকুমার যুগ

বিয়েটিয়ের ঝঞ্ঝাটের মধ্যে একটা ভালো খবর হচ্ছে, ঠাকুমা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর পেছনে কতখানি ওষুধের জোর আর কতখানি মনের, সে নিয়ে বাড়ির সবারই সন্দেহ আছে। মেজ (এবং ঠাকুমার ফেভারিট, যদি নিজের মুখেই বলি) নাতনির বিয়েতে যাতে তাঁকে বিছানায় শুইয়ে রেখে সবাই বেশিবেশি আনন্দ না করে ফেলতে পারে সেজন্য ঠাকুমা আদানুন খেয়ে লেগেছেন। এমনিতে ফিজিওথেরাপি তাঁর দু’চক্ষের বিষ। রোজ সকালে ঠাকুমাকে পাঁচ পা হাঁটাতে গৌতমের ঘাম ছুটে যায়। ঠাকুমা দার্শনিক মানুষ, নশ্বর শরীরটাকে এত মনোযোগ দিতে ভাল্লাগে না তাঁর। আমাদের পাড়ার আরও বেশ ক’বাড়ির বুড়োবুড়ি গৌতমের ক্লায়েন্ট। রোজ সকাল ছ’টা বাজতে না বাজতে ভটভটি চেপে গৌতম আমাদের পাড়ায় ঢোকে, তারপর ঘণ্টাদুয়েক ধরে এপাশওপাশের বাড়ি থেকে “ওরে বাবারে, মরে গেলাম রে” জাতীয় চিৎকার শোনা যায়। আমার ঠাকুমা বেশি চেঁচান না, নাতনির মতোই তাঁরও রাগ হলে শাটডাউন করে যাওয়ার বদভ্যেস আছে, তিনি গোঁজ হয়ে মুখ বুজে সব যাতনা সহ্য করে নেন। সেই ঠাকুমা এখন শুধু গৌতম আসার আগে লক্ষ্মীমেয়ের মতো দাঁত মেজে চুল বেঁধে রেডি হয়ে বসেই থাকেন না, গৌতম চলে যাওয়ার পরেও বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওর দ

ফুচকা

অটো থেকে নেমে ব্যাগ থেকে পার্স বার করে বেছে বেছে ন্যাতানো নোটগুলো অটোওয়ালাকে চালান করছি, পেছন থেকে একজন হর্ন দিয়ে দিয়ে কানের পোকা নড়িয়ে ফেলল। “সরছি রে বাবা, সরছি” মনে মনে বলে আমি কাঁধ থেকে খসে পড়া ব্যাগ পিঠের দিকে ঠেলে দিয়ে তাড়াতাড়ি মাঝরাস্তা থেকে বাজারের দিকে আসার চেষ্টা করলাম। আমার দোষ নেই। অটোওয়ালারও নেই। দিল্লিতে সবাই মাঝরাস্তায় থামে। শত হলেও নবাবদের শহর, নবাবিয়ানাটা এ শহরের মানুষের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ঢুকে গেছে। আমি এই এইখানে আপনাকে নামিয়ে দিলাম, এইবার অগ্রপশ্চাৎএপাশওপাশ থেকে রে রে করে ছুটে আসা গাড়ির চাকার তলায় থেঁতলে না গিয়ে রাস্তা পেরোনোর দায়িত্ব আপনার। অটো, বাস, প্রাইভেট কার, ফটাফট্‌ সার্ভিস, সকলেরই একই ভঙ্গি। ফটাফট্‌ কী? ওহ্‌, ওটা হচ্ছে একটা শাটল সার্ভিস, মেনলি মেট্রোস্টেশনগুলোর মধ্যে দৌড়োদৌড়ি করে। সার্থকনামা। চেহারায় না বাস, না অটো। দিল্লির রাস্তায় ফটাফটের দাপট দেখলে আপনি হাঁ হয়ে যাবেন। বাস লরি থেকে শুরু করে স্কোডা মার্সিডিস বি এম ডবলিউ সবাই ফটাফট্‌কে সাইড দেয়। আমার খুব শখ গাড়িটায় একবার চড়ি, কিন্তু আমাদের রুটে আবার ফটাফট্‌ চলে না। লোকাল অট

The Eye Camera by Carrie Liao

Image
ব্যাপক তো!!! ক্যামেরাটা গেল কই যাত্তারা... ...কী খাজা উঠেছে বস্‌ জঘন্য ইস্‌ যদি এমন হত যে... ...চোখটাই ক্যামেরা হত? চোখ বুজলেই... খচাৎ!  যখনই কেউ বলত, "দিদি একটা ছবি যদি..." আমি বলতাম, "শিওর, মাই প্লেজার।" আর তারপর... উৎস

এঁরা কারা কুইজের উত্তর

এইখানে।

কুইজঃ এঁরা কারা?

Image
১. জন্মদিন ৬ই জানুয়ারি ১৮৫৪, ড্রাগ-অ্যাডিক্ট, ওয়েল মার্কড Supra-orbital development ওয়ালা Dolichocephalic খুলির মালিক। দিনের পর দিন কিছু না খেয়ে থাকতে পারেন। খবরের কাগজ পড়েন না, কারণ অদরকারি তথ্য দিয়ে মস্তিষ্কের RAM জ্যাম করায় বিশ্বাস করেন না। ২. ইনি আবার দিনে দুটো করে খবরের কাগজ পড়েন, নিয়ম করে চার্চে যান, বাগান করতে ভালোবাসেন, তার থেকেও বেশি ভালোবাসেন লোকের কেচ্ছা ঘাঁটতে। মানুষকে মোটে বিশ্বাস করেন না। অবিবাহিত। ৩. বিধবা, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, মনে সিংহের মতো তেজ আর জিলিপির মতো প্যাঁচ। ঘাসের চচ্চড়ি রেঁধে বড়লাটকে তাক লাগাতে পারেন, রেগে গিয়ে তাকালে গরু তিনদিন দুধের বদলে দই দেয়। ৪. ডোরাকাটা, হাসিখুশি, এদিকে নাম রাখা হয়েছে এক গোমড়ামুখো দার্শনিকের নামে। প্রিয়বন্ধু এবং মালিকের বয়স ছয়। ৫. ঠিকানা, সর্দার শংকর রোড, লেক মার্কেট। বইয়ের পোকা, তথ্যের শিকারি। বলতে গেলে মাথার ভেতর জেরক্স মেশিন বসানো আছে। মনের জানালা সর্বদা খোলা রাখেন। আর পাঁচটা বুদ্ধিমান লোকের মতো এঁর পৈতৃক নিবাসও পূর্ববঙ্গ।    ৬. কুচকুচে কালো নধর দেহ, দেহে বোঁটকা গন্ধ, আধহাত দাড়ি। কচি প

শনিরবি

Image

সাপ্তাহিকী

Image
আলোকচিত্রীঃ Julien Coquentin A lie gets halfway around the world before the truth has a chance to get its pants on.                                                                                         ―  Winston Churchill একটা   ভালো খবর   দিয়ে সপ্তাহান্ত শুরু করা যাক। কী বলেন ? আপনার বয়স কত ? লোকে লাইব্রেরিতে কী করে।   আমি অবশ্য এগুলোর একটাও করি না। আমি সামনে বইখাতা খুলে রেখে হাঁ করে লোক দেখতে থাকি।   অবশ্য এরকম একখানা লাইব্রেরি পেলে লোক না দেখে স্লিপ খেতে পারি। সেই এগারোশো শতাব্দী থেকে এখন পর্যন্ত পাশ্চাত্য সঙ্গীতের অভিযোজন। বোরিং থিওরি নয়, অসাধারণ ডেমো। সব সেমিনারে একপিস করে এ জিনিস থাকে। বাৎস্যায়ন বর্ণমালা। অফিসে বসে খুলবেন না, আর বাড়িতে বসে খুললে আশেপাশে গুরুজন কিংবা ছানাপোনা নেই সেটা ভেরিফাই করে নেবেন দয়া করে। যদি সত্যি কখনও চলে যেতে হয়। এসপ্তাহে আমার প্রিয় গান। সবাই ভালো হয়ে থাকবেন। দিল্লিতে গরম ক্রমেই স্বমূর্তি ধারণ করছে। গরম লাগলে কোল্ডড্রিংকস না খেয়ে ঘোল খেয়ে দেখুন। শরীর, পয়সা দুটোই বাঁচবে। সোমবার আবার