স্বীকারোক্তি
স্বীকারোক্তির সময় এসেছে।
অবান্তরকে আমার সব
সময় ভালোলাগে, এক শুক্রবার ছাড়া। কারণ ওই দিনটায় আমাকে সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট
লিখতে হয়। সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট ক্রমেই আদ্যোপান্ত নিখুঁত ডেটের ‘কথা বললে থুতু
ছিটকোনো’য় পরিণত হচ্ছে, বা গোয়েন্দাগল্পে উড়ে এসে আলটপকা জুড়ে বসা প্রেমের
সাবপ্লটে।
দুটোই চরম
অসুবিধেজনক। যারা জানেন, তাঁরা জানেন।
মোদ্দা কথা অবান্তরের
বাকি সিরিজ (চেনেন নাকি, ডিস অর ড্যাট, কখনোসখনো থিংস আই অ্যাম অ্যাফ্রেড টু টেল
ইউ) বা নন-সিরিজ পোস্ট লিখতে বসার আমার যেমন তর সয়না, সব কাজ সেরে কখন MS Word খুলে বসব ভেবে মনটা আনচান করে, সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট লেখার আগে সেরকমটা হয়না।
সিরিয়াল
মোনোগ্যামিস্ট লিখতে বসে আমার ক্ষণেক্ষণে জলতেষ্টা পায়, একের পর এক জরুরি ফোন করার
কথা মনে পড়ে যায়, বারবার উঠে গিয়ে আয়নায় নিজের মুখ পর্যবেক্ষণ করতে ইচ্ছে করে,
কপালের সামনে পাকাচুল আরও কখানা বাড়ল গুনতে ইচ্ছে করে ... এমনকি সিরিয়াল
মোনোগ্যামিস্ট লেখা ঠেকিয়ে রাখার জন্য আমি পুরো বাড়ি ভ্যাকুয়াম করে এসেছি এ ঘটনাও
ঘটেছে।
এক্ষুনি হাল ছাড়ছিনা
অবশ্য আমি। “অ্যাগোনি আন্ট” হওয়ার সাধ আমার আজকের না, সেই খুকিবয়সে প্রথম
সানন্দা হাতে পাওয়ার সময়কার। আর একদু’সপ্তাহ চেষ্টা করে দেখব তারপর এ কাঁটা হয়
চিরকালের মত গিলব নয় ওগরাব। আপনাদের বলেকয়েই।
শুধু আজ আমাকে প্রেমের
প্যাঁচাল পাড়তে বোলোনা প্লিজ, তোমাদের দুটি পায়ে পড়ি।
আজ অন্য কথা হোক
বরং। এখানে এখন ভরা ভাদর চলছে তার কথা হতে পারে, বা আপনাদের সবার পুজোর শপিং
কদ্দূর এগোল তার কথা। অথবা ডার্ক নাইট রাইজেস অবশেষে দেখে কীরকম মনখারাপ হয়ে গেল
তার কথা।
কিংবা অনেকদিন আগে অবান্তরের
কোনো একটা পোস্টে, কোনো এক পাঠকের রেখে যাওয়া কমেন্ট পড়ার পর থেকে যে কথাটা বলব
বলব ভাবছি সে কথাটাও বলা যেতে পারে।
বেড়াতে যেতে
ভালোবাসে না এরকম লোক অনেক আছে পৃথিবীতে। আমি ঠিক তাঁদের দলে পড়িনা, আবার পড়িও।
বেড়াতে যাওয়া নিয়ে অনেক রকম প্যাকনা আছে আমার। এক, সঙ্গের লোককে পছন্দের হতে হবে।
দুই, থাকার জায়গা (এবং বাথরুম) ভালো হতে হবে। থাকার জায়গা আগে থেকে ঠিক করা থাকলে
সবথেকে ভালো হয়। তিন, বাড়াবাড়ি রকম শারীরিক পরিশ্রম চলবে না। নন্দাদেবীর বেসক্যাম্প
হাঁকাতে হয় তোমরা হাঁকাওগে, আমি বরং দার্জিলিং-এর সমতল ম্যালে বসে হট চকোলেটে
চুমুক দেব।
বিলাসের দিকে এত নজর
থাকলে তো আর ভ্রমণবিলাসী হওয়া যায় না, কাজেই আমার আর সেটা হওয়া হবে না এ জন্মে। কিন্তু
ভ্রমণবিলাসীদের সঙ্গে আমার একটা জায়গায় মিল আছে। সেটা হচ্ছে যে আমিও তাঁদের মতো
ট্যুরিস্ট প্লেস ভয়ানক অপছন্দ করি। আন্তরিক ভাবে অপছন্দ করি। নিজেও ট্যুরিস্ট,
কিন্তু বাকি ট্যুরিস্টদের দেখলে গা জ্বলে যায়। মনে হয় কী সব অগভীর অপদার্থের দল, হাঁইমাই
করে কথা বলছে, ক্যামেরা নিয়ে লাফালাফি করছে, বাচ্চারা কাঁদছে, মেয়েরা কিনছে,
ছেলেরা জ্ঞান দিচ্ছে, বুড়োরা কাশছে আর সাফার করছে কেবল আমার অমূল্য মেমোরি মেকিং।
কাজেই বেড়াতে যেতে
হলে আমার এমন জায়গাই পছন্দ যেখানে ট্যুরিস্টদের ঝাঁক নেই। এই যেমন ধরুন দূরে হলে
দিরাং, মায়াবতী, ল্যান্সডাউন; কাছে হলে শিমূলতলা, পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, কুমারঢুবি।
কিন্তু যদি কেউ
আমাকে জিজ্ঞাসা করে সারাজীবনে আমার সবথেকে স্মরণীয় বেড়াতে যাওয়ার জায়গা কোনটা,
তাহলে আমি বলব মাইথন।
কেন বলব সত্যি জানিনা।
ক্লাস টু-এ পড়তাম। অর্ধেক কথা মনেই নেই। শুধু মনে আছে ট্রেনে করে একটা স্টেশনে
নেমে একটা লঝঝড়ে ট্রেকারে চেপে মা বাবার মাঝখানে স্যান্ডউইচ হয়ে বসে যাচ্ছি।
যাচ্ছি তো যাচ্ছিই। আর মনে আছে ধুলোর কথা। বাপ রে বাপ সে কী ধুলো। প্ল্যাটফর্মে
ধুলো, রাস্তায় ধুলো, ট্রেকারের সিটে ধুলো, আমার জামায় ধুলো, মাথার চুলে ধুলো, ট্রেকারের
চাকার হাওয়া লেগে বিশ্বচরাচর ধুলোয় ধুলোময়, আর সেই ধুলোর খানিকটা আমার মুখের ভেতর
জিভের ওপর এসে ল্যান্ড করেছে।
আর মনে আছে অনন্ত
ধুলোর শেষে আমাদের হোটেল। ডাঙা থেকে একটু দূরে ড্যামের দিগন্তজোড়া জলের মধ্যে একটা
ছোট্ট ডাঙার ওপর একটা বাড়ি। বাড়ির নাম মজুমদার নিবাস।
“জলের মধ্যে হোটেল?!
হ্যাঁ বাবা?”
ইমপ্রেসড হওয়ার সেই শুরু। তারপর কী দেখেছি, কী খেয়েছি, কী শুনেছি মনে নেই, কিন্তু সমস্ত কিছুই
অত্যাশ্চর্য লেগেছিল সেটা স্পষ্ট মনে আছে। সাইটসিয়িং হয়েছিল কিনা মনে নেই। ড্যামের
কাছেই কল্যাণেশ্বরীর মন্দির আছে শুনেছি অন্য মাইথন-ঘুরিয়েদের মুখ থেকে, আমরা সে মন্দির
দেখতে গিয়েছিলাম কিনা সম্পূর্ণ ভুলে গেছি।
তবু এখনো আমার মাইথনের
কথা মনে পড়ে। অফিসে, আড্ডায়, যখনতখন। মজুমদার নিবাসের মার্বেল বিছোনো ঠাণ্ডা বারান্দা দিয়ে গোলাপি রঙের
হাওয়াই চটি ফটফটিয়ে ছুটন্ত আমি-র কথা। পেছন থেকে মায়ের প্রশ্রয়মেশানো “আঃ সোনা ছোটেনা” ডাকের কথা।
আর জল। যেদিকে তাকাও, যতদূরে তাকাও, জল আর জল। নিস্তব্ধ নিস্তরঙ্গ নিরুত্তাপ বোরিং
জল। সারাদিন গালে হাত দিয়ে জলের দিকে তাকিয়ে সাধনায় বসে থাকো, জল তোমার জন্য নড়বেনা
চড়বেনা খেল দেখাবেনা।
এক যদি রাত্তিরে
বৃষ্টি না নামে। তখন অন্ধকার ঘরে মশারির ভেতর শুয়ে কান খাড়া করে জলের ওপর জলের
ফোঁটার আওয়াজ শোনো। প্রতিটি ফোঁটার আওয়াজ আলাদা, খেয়াল করো। কোনোটা গম্ভীর, কোনোটা
হাসিখুশি, কোনোটা খলবলে। মা বাবা বিচ্ছু-বাচ্চার হোল ফ্যামিলি ড্যামের পুলে সাঁতার
কাটতে এসেছে, তাদের ফুর্তির হল্লা শোনো। শুনতে শুনতে কখন অগোচরে বৃষ্টির সঙ্গে
প্রেম হয়ে যাবে। জন্মজন্মান্তরের মতো।
আমি জানিনা ওই
প্রেমটা করিয়ে দেওয়ার জন্যই মাইথন আমার এত প্রিয় কিনা। জানার দরকারও নেই অবশ্য।
যেটা দরকার আছে সেটা হচ্ছে মাইথনে আর জীবনে কোনোদিনও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া
এবং সে সিদ্ধান্তে অটল থাকা। কারণ গিয়ে নিশ্চিত দেখব জায়গাটা নোংরা, মাছি ভনভন, মজুমদার
নিবাসের দেওয়ালের কোণে কোণে পানের পিক আর টেকনিক্যালি বাড়িটা পুরোটা ডাঙার ওপরেই।
জলের মধ্যে নয়।
সে বড় মর্মান্তিক
হবে।
আপনাদের আছে নাকি
এমন কোনো জায়গা যেখানে আর জীবনে কোনোদিন ফিরে যেতে চাননা আপনি? নাকি ভালোলাগার
জায়গায় একবার গিয়ে আপনার মন ভরে না? বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে? তাহলে সেরকম একটা
জায়গার কথাই বলুন না হয়। এই আমি শুনব বলে বসলাম।
খবরদার যাবেন না মাইথন। না, আমি মাইথন যাইনি। সে খুব সুন্দর একটা জায়গা সন্দেহ নেই, কিন্তু নিজের স্মৃতির সাথে সুবিচার করতে হলে মোটেই যাবেন না।সদ্য আমার এমন এক অভিজ্ঞতা হয়েছে, সে কথা বলি-
ReplyDeleteপ্রায় বারো বছর আগে দুই সমান বাঁদর বন্ধুর সঙ্গে হোস্টেল থেকে 'পালিয়ে' গেছিলাম পঞ্চসায়র। গড়িয়া স্তেশনের কাছে একটা জায়গা। আমি কিচ্ছু চিনতাম না, তাই কিভাবে কোথা দিয়ে গেছিলাম মনে নেই। শুধু মনে আছে- শেষ দেখা যায় না এমন অনেক গুলো জলাশয়, পর পর, মাঝখান দিয়ে আলপথের মতো চলে গেছে- চতুর্দিকে কোথাও কিচ্ছু নেই- ছোট দু'একটা একতলা বাড়ি ছাড়া। সূর্যাস্ত হওয়ার কিছু আগে, পশ্চিম দিক পুরো মেঘে ঢাকা- তার মাঝখান থেকে বেশ মোটা একফালি আলো বেরিয়ে এসে সার্চলাইটের মতো গোটা আকাশ ছেয়ে ফেলছে, কাছেই ট্রেনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। পণ করেছিলাম- এখানে বারবার আসবো, মন খারাপ হলেই।
পণ রাখা হয়নি, এই হপ্তাদেড়েক আগে দ্বিতীয়বার হুজুগ তুলে চার-পাঁচজন বন্ধু-বন্ধুনী জুটিয়ে গেলাম ওখানে।
সে যে কি শক্ত হতাশা, কি বলবো! পিছনে অম্বুজা গ্রুপের আকাশছোঁয়া এপার্টমেন্ট উঠেছে- 'উপহার', মাঝে মাটি ফেলে বা অন্য উপায়ে জলা বুজিয়ে খেলার মাঠের মতো তৈরি হয়েছে, চারিদিকে সমস্ত ফাঁকা জায়গা উধাও- এক চিলতে বসার বা জিরোবার জায়গা নেই। নেহাত বন্ধুভাগ্য ভাল বলে গালাগাল খেতে হয়নি। তবে যা মন খারাপ হয়েছিল, এখনও পুরো কাটেনি।
আমার মত, ওইরকম স্মৃতিগুলো গুছিয়ে রাখুন, আমরা অবান্তরে পড়ি- ওদের বাস্তবের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামাবেন না, নির্ঘাৎ হেরে যাবে, আপনাকে সঙ্গে নিয়ে।
বাঃ পঞ্চসায়রের বর্ণনা শুনেই যেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু তোমার বারণ মনে রেখে ইচ্ছে দমন করলাম সুনন্দ। সার্চলাইটের মতো লাইটের ব্যাপারটা দুর্দান্ত বলেছ।
DeleteJaboina ta ato strongly achhe shantiniketan-er byapare. Dubar academic karone gechhilam, rokkhe karo baba ami dur thekei Rabindranath ke bhalo basbo.
ReplyDeleteJaboi jabo arekbar Paris. Ebar borer sange! Tuktuk o jabe jodi na se baro hoye gie Maa babar sathe ghora ta uncool mone korte thake! Tobe etodin wait korte na holei bhalo.
আরে আরে লাক্কি গার্ল রুচিরা। প্যারিস ঘোরা হয়ে গেছে! শান্তিনিকেতন আমিও গেছি বারকয়েক। মহিমা বুঝিনি। তবে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় গেছি হতে পারে।
DeleteJeta likhte bhule giechhilam, lekhata pore khub bhalo legechhe. Specially ei line ta: নন্দাদেবীর বেসক্যাম্প হাঁকাতে হয় হয় তোমরা হাঁকাওগে, আমি বরং দার্জিলিং-এর সমতল ম্যালে বসে হট চকোলেটে চুমুক দেব।
DeletePremer pyanchal-er cheye ei lekhata porte dher beshee bhalo laglo. Ami boliki, anno loker premer jhamelar galpo na shunie tumi ei dharoner galpo guloi shonao na!
Shantiniketan-er byapare bhul somoi-e bhul jaigay ei bole amio nijeke swantona die thaki, kintu pher jete raji noi, ei bhoi-e jodi dekhi thik somoi-eo jaigata ektuo thik thak lagchhe na, takhon ki hobe?
"বেড়াতে যেতে ভালোবাসে না এরকম লোক অনেক আছে পৃথিবীতে। আমি ঠিক তাঁদের দলে পড়িনা, আবার পড়িও। বেড়াতে যাওয়া নিয়ে অনেক রকম প্যাকনা আছে আমার। এক, সঙ্গের লোককে পছন্দের হতে হবে। দুই, থাকার জায়গা (এবং বাথরুম) ভালো হতে হবে। থাকার জায়গা আগে থেকে ঠিক করা থাকলে সবথেকে ভালো হয়। তিন, বাড়াবাড়ি রকম শারীরিক পরিশ্রম চলবে না। নন্দাদেবীর বেসক্যাম্প হাঁকাতে হয় হয় তোমরা হাঁকাওগে, আমি বরং দার্জিলিং-এর সমতল ম্যালে বসে হট চকোলেটে চুমুক দেব।"
ReplyDelete-চ', প্ল্যান কর্।
চল চল করা যাক। প্রথমে দার্জিলিং, তারপর পুরী।
Deleteacche toh, ache toh, jhuri jhuri ache....Deoghar er kache rikhiya..akkale bangalider chuti katanor jayga....schoole parar samay bishal family nie jaoa hayechilo....dhu dhu kora prantor,modhye modhye purono parityakto..venge pora bari....ar dhibir moto pahar.....rattribele soar samay advut rakamer awaj hoto...vaibonera gadagadi shue kankhara kore suntam...electricity chilo na lanthanr alote pray ghumonto amader konorakame khaoano hacche spashto mone ache...............................rikhiate anek chabi.tola hayechilo.,anek alpo boyeshi ma mashi mathay ful gunje pose dieche,amra pichaner kuor pase railrail khelchi,ami ar didi ak chiter jama pore pithe pith thekie bose achi...ar amar theke anek bente motoshota half pant pora vai ostader moto takiye ache........ogulo dekhe anekbar mone hayeche ish ekhane jodi arekbar jaoa jeto.....
ReplyDeleteTinni, ei comment ta pore tomar sathe alap kore phelchhi! ei Rikhiya jaiga ta samporke anek galpo shunechhi. Amar babara jakhon Bangladesh chhere esechhilo, takhon Rikhiya te ek bachhor chhilo. Amar babar ei jaigatar khub sundor smriti achhe. Kintu tar pore ar kakhono jaoa hoini. tomar kachhe ki Rikhiya-r kichhu general chhobi achhe?
Deleteবাঃ রিখিয়া নামটাও তো কী সুন্দর। দেখি যাওয়ার ইচ্ছে রইল।
Deleteamar mamarbarir kache ei gram ta....mayer mukhe suntam...kokhono jaini..kintu janina keno "holud gandar phooll ranga polash phool ene de ende " gaan tar jekhantay ache na "dole dole pothe chole sokal hote..." aamar mone hoy ora rikhiya gram thekei asto..........
Deleteআরে ঘুরে আয় সাহানা। আমার তো নাম শুনেই যেতে ইচ্ছে করছে। বাই দ্য ওয়ে, অবান্তরের পাতায় তোর সঙ্গে আড্ডা দেওয়াটা অসম্ভব মজার। খুব খুব ভালো লাগছে।
Deleteache nischai ..dekhbo khunje.:) alap kore bhalo laglo
ReplyDeleteamar didima khub darjeeling er goppo korten. onar biyer aagey shob bhai bonera miley okhane chuti katate giyechilo. unchu pahar er opor ekta bari bhara kore thakto, ekdike bishaal dhaka baranda...ekdin naki shei baranday megh dhuke, mejhe moy jol e bhore diyechilo. daroon shundor pose dawa sada kalo chobi o achey jegulo aami choto belay ulte palte dekhtam.
ReplyDeletemaa er mukheo prochur darj e goppo shunechi. college e pora kalin maa ebong shob mashira with tader jethima/thakuma, ekta bari bhara kore ek maash okhane chilen. tar o shob daroon daroon chobi achey.
tarpor amar choto bela. class 2 e pora kalin aamra ek bishaal group kore darjeeling giyechilam. bishesh kichu mone nei, kintu hotel e sabar pasha pashi ghor chilo...aami nijeder ghor e cheye pishider ghor ei thaktam. mall tao ektu ektu mone achey.
tarpor ki bhul e na korlam. du bochar agey abar darjeeling berate gelam. hai re! mall e ki bhir. charidike "touristy" dokan....aar shei dokaneo emon bhir je aami tow praye counter e poster hoye jachhilam. sunrise dekhte giye mone holo er cheye sealdah station e office time e dnariye dnariye sunrise dekhle hoto!!
হ্যাঁ দার্জিলিং একটা বড্ড ভালো ব্যাপার শম্পা। আমারও প্রত্যেকবার গিয়ে আগেরবারের থেকে একটু বেশি মোহভঙ্গ হয়, কিন্তু তাও আবার যাই। তোমাদের সাদাকালো ছবিগুলো যত্ন করে রেখো কিন্তু, ওগুলো সম্পদ।
Deleteকয়েকটা জায়গায় বার বার গিয়েছি, পুরনো হতেই চায় না। হরিদ্বার, শিলং, বেঙ্গালুরু, গোয়া, ব্যাঙ্কক। প্যারিস দ্বিতীয়বার গিয়ে খুব মোহভঙ্গ হয়েছিল, তবে ল্যুভর মিউজিয়ম এর তুলনা হয়না। আবার প্যারিসের আনাচ কানাচ থেকে আইফেলের চুড়োটা মাঝে মাঝে উঁকি দিত, আমি বাস থেকে মাথা বের করে করে দেখতাম। কিন্তু কলকাতা আজকাল আর ভালো লাগে না।
ReplyDelete(কেউ মারবেন না কিন্তু, আমি কলকাতার বাসিন্দা নই, তাই কলকাতা কে আমি দিল্লি, মুম্বাই ইত্যাদির সাথে তুলনা করেই দেখি)
দার্জিলিং, দিঘা আর পুরী নিয়ে সবাই আমাকে এত ভয় দেখিয়েছে, যে ওই জায়গাগুলোতে যাবার সাহস এখনও জুটিয়ে উঠতে পারিনি।
আরে বাঃ বাঃ আপনি প্যারিস একাধিকবার ঘুরে এসেছেন, আর আমি দেখুন পৌঁছতেই পারিনি এখনো পর্যন্ত।
Deleteদার্জিলিংটা যান। ইন ফ্যাক্ট পুরীটাও। গিয়ে পুরী হোটেলে সি-ফেসিং একটা ঘর নিন, আর রাতে শুয়ে শুয়ে ঢেউয়ের গুমগুম আওয়াজ শুনুন। আর যাওয়ার সময় মোড় ঘুরে প্রথম আকাশ থেকে সাগর আলাদা করে চেনার মুহূর্তটাও ভালোলাগবে।
আপনার যেমন সিরিয়াল মনোগ্যামিস্ট লিখতে ভাল লাগেনা, আমারও তেমনি অবান্তরের রেগুলার সিরিজের মধ্যে এটা সবচেয়ে কম পছন্দ| কেন কেজানে? এখনও একটা "মনো"-ও নামাতে পারিনি বলে হবে হয়ত| যাই হোক, এই পোস্টটা তার থেকে ঢের ভাল হয়েছে|
ReplyDeleteমাইথনের বর্ণনাটা পড়ে খুব খুব ভালো লাগলো - মনে হলো এক ছুট্টে ঐখানে চলে যাই| আমি মাইথন ড্যাম দেখতে গেছিলাম কলেজে পড়বার সময়ে| থাকিনি অবশ্য, গাড়ি করে গিয়ে দেখে চলে এসেছিলাম| পিকনিক করতে যাওয়া লোকজন অনেক ছিল, কাজেই এটা বলতে পারি আপনি ওখানে আর না গিয়ে ভালই করেছেন|
আমার অবশ্য এরকম কোনো জায়গা নেই| আমি পাঁচ বছর বয়েসে এলাহাবাদে চলে গেছিলাম, তারপর থেকে ছুটি পড়লে আমরা শুধু হুগলিতে বাড়ি আসতাম| তার আগেকার বেড়াতে যাওয়াগুলো আমার সেভাবে মনে নেই| আর তার পরে গেছি বেনারস, লখনৌ আর ক্লাস টেন পাস করে নৈনিতাল| সেগুলোকে আর ছোটবেলার বেড়ানো বলা যায়না| আমি সুযোগ পেলে নৈনিতাল আবার যেতে চাই| হয়ত আগের মতন ভাল লাগবেনা, কিন্তু একটা জায়গা তো সময়ের সঙ্গে পাল্টাবে, সেটাই স্বাভাবিক| এই যে নিউ ইয়র্ক এত ভাল লাগে, শুনেছি আজ থেকে বছর পঁচিশেক আগে এইখানেই দিনের বেলাতেও ঘোরা যেতনা| আমরা এই দাবিটা যদি করতে পারতাম যে দুনিয়াটা ঠিক আমাদের যতটুকু পছন্দ ততটুকু বদলাবে তাহলে খুব ভাল হত, কিন্তু সেটা যেহেতু হবার নয়, চেঞ্জ কে ভালবাসা ছাড়া উপায় নেই| এই চেঞ্জের জন্যই আমাদের ভালোলাগার জায়গাটা ভালোলাগার অবস্থায় এসেছে|
তা তো ঠিকই। মাইথনেও নিশ্চয় কোনোদিন ড্যামের জায়গায় ধু ধু মাঠ ছিল, হয়ত তখন জায়গাটা কদাকার দেখতে ছিল, কিংবা হয়ত আরও সুন্দরী ছিল কে জানে।
Deletetin dhoroner manush hoy - ek dol berate giye ashombhob chhotachhuti korey, shob kichhu - maane ja ja dekhar achhey - shob kichhu dekhe felbar jonno. arek dol achhey, jara saat shomuddur tero nodi periye giye ekta hotel-e boshey beer khaye aar taash khele. ei dui type baad diley je ekta atyonto shamanno minority poRey thake, shei taader theke du ek jon shongi chai. byas. tobei na berano?
ReplyDeleteaar amar shobcheye memorable beranor smriti? mukteshwar. shei jekhaney jim corbett man-eater merechhilo - shei mukteshwar. kintu sheta je boddo lombaa golpo. ei comment thread-e dhorbe na.
ওহ, সে তো নিশ্চয় রোমহর্ষক জায়গা সোমনাথ। ঠিকই বলেছ, সেগল্প থ্রেডে আঁটানো মানে গল্পের প্রতি অবিচার। পরে একদিন সময় করে শোনা যাবে'খন।
DeleteAmar na khub Giridih jete ichche kore, keno jani na. Kimba Daltongunj, Ruku-Shuku pora kalin, ami bhishon bhishon Daltongumj jete chaitam. Jaini kono ta tei. Geleo nishchoy khub kharap lagbe kintu ichche kore.
ReplyDeleteAr amar ghorar idea to exactly tomar sathe mile jachche. Bathroom er bhoye ei summer e duto camping trip paati eriye gechi. Giridih te bhalo bathroom wala hotel pabo kina seitao ekta question.
পাবেন পাবেন বং মম। গিরিডি, ডালটনগঞ্জ দুটো জায়গাতেই পাবেন। আমারও ডালটনগঞ্জ নামটা শুনেই যেতে ইচ্ছে করে। ডালটনগঞ্জ আর ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
Deleteআমি সদ্য সদ্য গিরিডির ওপর দিয়ে ঘুরে এলাম। গিরিডিতে লাঞ্চ করেছিলাম। অপূর্ব সুন্দর জায়গা।
Deleteতাহলে তো যেতেই হচ্ছে।
DeleteMajumardar nibas e amra bondhu ra mile giyechilam 2005 saale. Tokhon o jol sukoi ni r charpas tao dibbo sobuj chilo. Accha apni Maithan e giye "papri chat" kheyechen ? R o kichu chat er rokomfer chilo mone hoy
ReplyDeleteমাইথনের পাপড়ি চাট বিখ্যাত বুঝি? আমি যে বয়সে মজুমদার নিবাসে গিয়েছিলাম, শুভব্রত, তখন চাট বলে যে একটা দুর্দান্ত খাবার হয় সেটাই আমার জানা ছিল না। মাবাবার জানা থাকতে পারে, থাকলেও তাঁরা সেটাকে মানুষের খাওয়ার যোগ্য মনে করতেন কি না কে জানে।
DeleteI have never been from a permanent residence throughout my life. Babar bodlir chakri chhilo, amio hostel - mess kore beriyechhi. Smritir fonfone utture batas ei porijayii r je periye asa pother kotha mone koralo seguli khub primary o sadamatha. Kintu sotti korei ei jaygagulote Ami jete cheyechi bohubar... Kintu fera hoy Ni.
ReplyDelete1. Amar chhotobelar prothom school e. Ekta kather ghora chhilo ar duto rongin dolna. Ekhono jete echche kore.
2. 219/B. Eta Amar jonmosthan. Ekhane chotto theke Ami boro hoye uthechhilam. Prithibir sreshto Bari. Puber janlay khejur gachhe jhulonto babui er bass ved kore asa shuddho adure rod ar uttorer janlay porar table e pa uthiye chair e thes diye paharer opor borocer ring bodle jete dekha.
Caution! Beshi mone korle osukhta abar dhorte pare. Monkharaper osukh. Boddo baje jinis.
আরেঃ ক্কীই আশ্চর্য! আমিও তো ক্লাস টুয়ে পড়াকালীনই বাবামায়ের সাথে মাইথন বেড়াতে গেছিলাম। তবে কিনা সেটা জিপগাড়ি ছিল, আর সেই ধুলো, বিশ্বচরাচরজোড়া ধুলো আমার আজও মনে আছে।
ReplyDelete