Posts

বান্ধবগড় ২ঃ জঙ্গল জঙ্গল পতা চলা হ্যায়

এমন কোথাও থাকতে পারবে যেখানে বাজার বলতে বড় রাস্তার এদিকে একটা গন্নে কা জুসের ঠেলা, ওদিকে ফালুদার, হাবিব খানের চিকেন এবং (অ্যান্ড নয়) মাটন সেন্টার আর বান্ধবগড় রয়্যাল স্টেশনারি স্টোরস? রয়্যাল ইজ ওপেন টু ইন্টারপ্রিটেশন। চারটে দোকানই ছ’টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিস শুনেছি এমন কোনও প্রশ্ন করে না যার উত্তর পুলিসের অলরেডি জানা নেই। যদি পুলিস আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কাল রাত দশটা চার থেকে দশটা সাতের মধ্যে কোথায় ছিলেন, তাহলে শিওর হতে পারেন যে নামধাম কন্ট্যাক্ট নম্বর এমব্রয়ডারি করা যে রুমালটা সকাল থেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, সেটা ডেডবডির পাশে ড্যাবড্যাব করে পড়ে ছিল। সিসিটিভি খারাপ ছিল তো কী হয়েছে, পাশের বাড়ির ফুড ব্লগার ভন্টু মাকে ঘামিয়ে ঠাকুরবাড়ির টেংরি রাঁধিয়ে, সে টেংরিতে কামড় বসানোর সময় ক্যামেরার কোণায় আপনাকে স্পষ্ট দেখা গেছে। ভিকটিম দুই হাত তুলে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গি করছে আর আপনি ছোরা নিয়ে বাঘের মতো লাফিয়ে পড়ছেন। ভিকটিম ফ্রেমের বাইরে চলে গেছে কিন্তু আপনি আছেন। আপনার ছোরাও। নামছে আর উঠছে। আবার নামছে। নিজের ফিংগার প্রিন্টটিন্ট শুদ্ধু ছোরা (বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োয় গ্লাভস খুঁজে পাননি সে দায় পুলিসের না...

বান্ধবগড় ১ঃ ও উমরিয়া, ও ও উমরিয়া

Image
আগের পোস্টের 'চলবে' স্থগিত রেখে নতুন একটা 'চলবে' চালাব। এটা শেষ হলে ওই ব্যাখ্যানে ফেরত যাওয়া যাবে। ঝকঝকে প্ল্যাটফর্ম। সদ্য রং করা রেলিং, চাল, পাঁচিল। পাঁচিলে রংচঙে ছবি। তাঁর। হাঁটছেন। হাই তুলছেন। হাঁ করছেন। চোখ বুজে ঘাপটি মারছেন। চোখ খুলে ঘাড় ঘুরিয়ে চোখে সোজা চোখ রাখছেন। থাবা তুলছেন। দাঁত খিঁচোচ্ছেন। লাফ মারছেন। স্টেশনমাস্টারের ঘরের সামনে খড় বাঁশ বা ওই রকম কিছু সাসটেনেবল মেটেরিয়াল দিয়েও তাঁরই মূর্তি। আয়তনে আমাদের হুলোর বেশি বড় না কিন্তু তেজের লিগ আলাদা। স্টেশন কম্পাউন্ডের বাইরে বোর্ডে ভেজা বেড়াল রাজনীতিক জোড়হাতে ভোটভিক্ষা চাইছেন, পার্টিপ্রতীকে তাঁর চোখ জ্বলজ্বলাচ্ছে, তিনি হুংকার দিচ্ছেন। গোলচক্করের ব্রোঞ্জ বীরপুরুষ - ছোট প্লাকে নাম পড়ার আগেই অটো সাঁ - হাতে খাটো তরবারি নিয়ে আর যেখানেই যান, তাঁর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন না গ্যারান্টি। গোলচক্কর পেরিয়ে পঞ্চাশ মিটার এগিয়ে যে দুজন বাইকারোহী অটোতে ধাক্কা মারতে মারতেও কাটিয়ে গেলেন - তাঁদের হলুদ ইউনিফর্মের পিঠেও তাঁরই কালো পাঞ্জার কিউট ধাপ্পা। তিনি সর্বব্যাপী। সর্বময়। সর্বগ্রাসী। যেদিকে ঘাড় ঘোরাই, ঘাড়ে লাফিয়ে পড়তে রেডি হচ্ছেন...
Image
 

Big Fame

Kim Ricketts told me the Stephen King story. . . To snag a Stephen King event, Kim said she’d had to agree to his standard terms. She’d had to hire bodyguards and find a venue that would hold five thousand people. Each person could bring three items to have autographed by Mr. King. The event would last some eight hours, and someone would have to stand beside the signing table and hold an ice pack to the author’s shoulder for the duration. The day arrived, and Kim held the ice pack to the shoulder in question. The venue, Town Hall, a deconsecrated church on Capitol Hill, has a jawdropping view of downtown Seattle. It was filled with the five thousand mostly young people, all ready to wait hours for their three signatures. King sat and began to sign autographs. Kim stood holding the ice pack to his pesky shoulder. Not a hundred books into the eventual fifteen thousand, Kim said that King looked up at her and asked, “Can you get me some bandages?” He showed her his signing hand...

বেচাকেনা

দ্যুতির বিয়ে খেতে কলকাতা গেলাম। বৃহস্পতিবার আমি দিল্লি থেকে রিষড়া পৌঁছলাম, শুক্র রাতে অর্চিষ্মান ঢাকা থেকে নাকতলা ঢুকল। এয়ারপোর্ট থেকে ফোন করে বলল, শোনো, তুমি যদি কাল সকাল সকাল নাকতলা এসে যাও আমরা দুপুর দুপুর উপহার কিনে সন্ধে সন্ধে বিয়েবাড়ি চলে যেতে পারি। অর্ধেক গিফট দিল্লিতে কেনা হয়েছে। বাকি অর্ধেক কোথা থেকে কেনা হবে সে নিয়ে কথা হয়েওছে, আবার হয়ওনি। অর্চিষ্মান আভাস দিয়েছে আমি যদি দিল্লি থেকে কিনে নিয়ে যাই তাহলেই বেস্ট হয়। আমি আভাস দিয়েছি ওয়ার্কশপ তো বিকেলেই শেষ হয়ে যাবে, তারপর যদি অর্চিষ্মান ঘুরতে ঘুরতে বাজারের দিকটায় যায়, অর্ধেক পূর্বপ্রজন্মের ভিটের ওমও নেওয়া যাবে, এই রাস্তা দিয়ে একসময় বুদ্ধদেব বসু হাঁটতেন ভেবে রোমাঞ্চিতও হওয়া হবে, তারপর রোমাঞ্চটোমাঞ্চ ফুরোলে টুক করে একটা দোকানে ঢুকে উপহার কিনে নিলেই সব দিক সুষ্ঠুভাবে রক্ষা পায়। আভাস দেওয়াদেওয়ি ঘটেছে অর্চিষ্মান ঢাকা যাওয়ার আগে। আভাস যদি বিবাহের স্ট্র্যাটেজির তূণের একনম্বর ব্রহ্মাস্ত্র হয়, দু'নম্বর হচ্ছে সংযম। আভাস দিয়ে যদি থেমে যাওয়ার সংযম না দেখাতে পারা যায় তাহলে আভাস ধক হারায়। আমরা দু'জনেই সে সংযম দেখিয়েছি। মাঝখানের সাত...

দেয়ানেয়া

স্বামীস্ত্রীতে ঝগড়া লেগেছে। কুরুক্ষেত্র। হোয়াটসঅ্যাপে ভেসে ভেসে খবর এসেছে। তা বলে ভাসা ভাসা আসেনি। কবে লেগেছে, কী নিয়ে লেগেছে - আঁতিপাঁতি খুঁটিনাটি। স্ক্রিনশট। প্রেরকঃ বন্ধুবান্ধব। পাড়াপড়শি। আত্মীয়স্বজন। সেটাই এক্সপেক্টেড। এই দিনগত পাপক্ষয়ে অন্যের জীবনের খোরাকই খড়কুটো। আনএক্সপেক্টেড হচ্ছে মেন রোলদের পাঠানো স্ক্রিনশট। নিজেদের কেচ্ছার খতিয়ান নিজেরাই বিলিয়ে বেড়ানো। অপ্রত্যাশিত ও কৌতূহলোদ্দীপক। যেচে নিজের যন্ত্রণার কথা হাটেবাজারে কেন বলছেন? যখন জানাই আছে যে বাকিরা তার থেকে আনন্দ ছাড়া আর কিছু পাবে না? হয়তো সেই সুপ্রাচীন প্রবাদে বিশ্বাস করেছেন। পেটের কথা বললে মন হালকা হয়। সেই দুরাশায় ডানবাঁ ওপরনিচ স্ক্রিনশটের হরির লুট দিচ্ছেন। বছরকয়েক আগে হলে সম্ভবতঃ একজনই দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় #রিয়েলমেনক্রাই স্লোগ্যান ওঠার পর অন্যজনও স্টেপ আপ করেছেন। আমাদের ভালোই। ডবল খোরাক। ট্যালারা গুলিয়ে ফেলছে স্ক্রিনশটের পারম্পর্য। কোন নীল বাক্সে কে কথা বলছে। নন-ট্যালারা চোখ ঘুরিয়ে হাতা গুটিয়ে নেমেছে। হোয়াটসঅ্যাপে গোপন গ্রুপ। সেজমাসিকে বিজয়ার ফোন করার সময় হয়নি, এদিকে নব্বই ঘণ্টার ওয়ার্ক উইক থেকে সময় বার করে গ্রু...