Posts

মাল্টিগ্রেন ইডলি মিলেট পোহা

ডিসেম্বরে (নাকি জানুয়ারির শুরুতে?) আমাদের বার্ষিক হেলথ চেক আপের ডেট পড়ল। মানে অর্চিষ্মান পড়াল। আমাকে লিখেছিল অবশ্য। তোমার হবে তো অমুক উইকেন্ডে? যেন ফাঁসির ডেট ফেলার আগে আসামীর অ্যাভেলেবিলিটি মিলিয়ে নিচ্ছে। এই সব হেলথ চেকআপ মেকআপের আমি হান্ড্রেড পার সেন্ট বিরুদ্ধে। প্রিন্সিপ্যালি, মর‍্যালি, র‍্যাশনালি, ইমোশন্যালি,  স্পিরিচুয়ালি, রিলিজিয়াসলি, অ্যাবসলিউটলি। মরার আগে রিপোর্ট পড়ে দু’বেলা ভয়ে মরাকে আমি আমার লেফট রাইট কোনও ব্রেন দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারি না। কিন্তু অর্চিষ্মান আমার জন্য টিভিতে খবর দেখা ছেড়েছে, বদলে আমি বার্ষিক চেক আপে ঘাড় পেতেছি। দাম্পত্যের দৈনন্দিন দেয়ানেয়া। আমার জন্য বলছি না কুন্তলা, কিন্তু তোমার বয়সে... অলরাইট, অলরাইট, অলরাইট। অর্চিষ্মানের মতে স্বাস্থ্য নিয়ে আমার ‘চিপ অন শোলডার’ আছে। অর্চিষ্মান কোন চিপটার কথা বলছে আমি জানি, কিন্তু সেটা আমার নেই। আমার যা আছে তা হল ডাক্তারখানার প্রতি ঘৃণা। বিরাগ না, বিবমিষা না, বীতরাগ না, বিষণ্ণতা না, বিরক্তি না - পিওর ঘৃণা। বিশুদ্ধ হেট। ছোটবেলায় ঘনঘন ডাক্তারখানায় যেতে হত, সেই থেকেই সম্ভবতঃ। একেবারে গেঁড়িবেলায় গা গরম আর পেটব্যথা সারাতে...

ডেসক্রিপশন প্রেসক্রিপশন

Many critics, beginning with Aristotle, have maintained that the purpose of fiction is to instruct people in right action—teach them how to behave, in other words. This seems a little too restrictive to me, although I suppose you could say that in any story the characters are behaving either correctly or incorrectly, and if you care to you can draw a moral from that. But the most interesting stories to me are those in which people are behaving in morally ambiguous ways, so that it's not easy to say that what they're doing is right or wrong. I'm telling you where I stand so that you can allow for my bias. Other writers—and you may be one of them—prefer stories that demonstrate the correctness of the Ten Commandments, the Golden Rule, or some other conventional code of conduct. And of course some readers also like these stories; but they tend to age rapidly, because conventional attitudes change. Fiction of this kind written only thirty years ago already looks a little qua...

হ্যাপিনেস ও শাহরুখ খান

বাইরের ঘরে কক্স অ্যান্ড কিংস-এর ব্যাগ রাখা থাকে। বাদামী গায়ে খুদি খুদি সাদা লেখা। কখনও কখনও স্যামসোনাইটের একটা মেরুন ট্রলি। দুটোর একটা, কখনও কখনও দুটোই নিয়ে অর্চিষ্মান কোথায় যেন চলে যায়, ফেরে, দেড়দিন মতো থাকে, আবার চলে যায়। সে যাক। ওর যাওয়া আসা স্রোতে ভাসা সয়ে গেছে আমার। শুধু রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিছানার ওদিকটায় গড়িয়ে গেলেই উন্মুক্ত বেডশিটের ঠাণ্ডা ছ্যাঁকায় ঘুম ছুটে যায়। হিটারটা দেহ রাখল নাকি? বারান্দার গ্রিলের ওপারে ঝমঝম বৃষ্টি। ঘুমের বদলে দুঃখরা দল বেঁধে আসে। ঠেকাতে ফোন তুলে শর্টস দেখি। শাহরুখ খান বলেন, ওয়েল কী বলেন সে আর ভেঙে বলছি না, যা বলেন তাতে স্পষ্ট হয় কেন আমার জীবনে কিছু হল না। এত রেস্ট নিলে কারও জীবনে কিছু হওয়া সম্ভব না। ইউ হ্যাভ টু বি রেস্টলেস টু বি সাকসেসফুল। ফোন নামিয়ে রেখে বৃষ্টির ঝমঝম শুনি। কারিদা-র কথা ভাবি। এই ঠাণ্ডায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁপছে। ফাইট, কারিদা, ফাইট। বসন্ত এল বলে। আর ক'টা মাস। হলুদ, শুকনো পাতার বোঝা ঝরে যাবে। তারপর তুমি ঝাড়াপাড়া দিয়ে উঠবে। তুমি আর অর্চিষ্মান। সব গল্প যে গুল নাও হতে পারে, কারিদাকে দেখে টের পাই। দা লাস্ট লিফ। টেন-এ ছিল? না টুয়েলভ-...

তালমার রোমিও জুলিয়েট , অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ লাইট

*স্পয়লার আছে। স্পয়লার ছাড়া কিছু নেই।* পুজো পার করে দিল্লির হলে টেক্কা এসেছিল, বহুরূপীও। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজও এসেছিল। কাটছি কিন্তু। হুমকি বললে হুমকি, মত নেওয়া বললে মত নেওয়া। টিকিট কাটা হল, দুটো সিনেমাই দেখা হল। সে সব নিয়ে কিছু না বলাই ভালো। তার থেকে তালমার রোমিও জুলিয়েট নিয়ে বলা বেটার। বাংলার গ্রামীণ সেট আপে রোমিও জুলিয়েটের পুনর্কল্পনা ও নির্মাণ। আমার ভালো লেগেছে। আমি মন্দার দেখিনি। অর্চিষ্মান মন্দার দেখেছে। অর্চিষ্মান বলেছে তালমার মন্দারের থেকে বেটার। আর কিছু বুঝি না তাই গল্প নিয়েই বলতে হবে। গল্প আর অভিনয়টভিনয়। অভিনয়ও বুঝি না। জীবনে করিনি। অর্চিষ্মানকে জিজ্ঞাসা করতে গেলাম ও অভিনয় বোঝে কি না। ইফ ইয়েস, ভালো অভিনয় বলতে ও কী বোঝে। আজকাল আমাদের টাইমপাসের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে অভিধান তৈরি করা। বা দুজনের অভিধান মিলিয়ে নেওয়া। ছোটবেলায় ধারণা ছিল যে ভাষা ধ্রুব। টাকার মতো। কাবলিদার তিরিশ টাকা যা আমার তিরিশ টাকা এক্স্যাক্টলি তা না হলে বিকেলের ঝালমুড়ির সিসটেম ধসে যাবে। তেমনি 'না মানে না', 'হ্যাঁ মানে হ্যাঁ' না হলে মানবসভ্যতা দাঁড়াবে না। কিন্তু ঝালমুড়ি এক বেলার‍, সংসার চব্...

আপনার অগোচরে

প্রসেনজিতের পার্টি নিয়ে চোখ টাটাচ্ছিল অর্চিষ্মান, একত্রিশ রাতে প্রসেনজিৎই আমাদের পার্টি দিল। এ বাড়ির তিন ভাড়াটে, আর প্রসেনজিতদের কিছু আত্মীয়বন্ধু, সব মিলিয়ে পনেরো জনের বেশি না। যদিও হোয়াটস্‌অ্যাপের বায়োতে ফার্নান্দো পেসোয়ার লাইন টুকে রেখেছি, Enthusiasm is sheer vulgarity , সেটা খানিকটা আঙুর ফল টকের মতো। এনথুসিয়াস্টিক লোক না থাকলে কাজের কাজ হয় না। প্রসেনজিৎ, কৃষ্ণা, রাজু মিলে বেডকভার টাঙিয়ে দিল্লির উদ্ভট শীতকালীন বর্ষা ও তৎসংলগ্ন ঝোড়ো হাওয়া প্রতিরোধ করল। উপযুক্ত পানীয়ের সঙ্গে বেগুনি, পেঁয়াজি, লংকার চপ, ফিশ ফ্রাই, স্যালাড, শুকনো ঝালঝাল আলুর দম, কড়াইশুঁটির ফুলকো কচুরি, আলু ফুলকপির তরকারি, ভাত, আলুভাজা, পাঁঠা - শিওর দু একটা পদ বাদ পড়ছে - লোহার কড়াইয়ে কাঠকয়লা দিয়ে ধিকিধিকি আগুন। টুসু পাবলো ছুটোছুটি করে খেলতে লাগল, প্রতি কুড়ি মিনিটে ঝগড়া বাধিয়ে কান্নার বান ডেকে পত্রপাঠ বেস্ট ফ্রেন্ড পাতিয়ে ফেলল, আমগাছের ডালে গুটিয়ে রাখা টুসুর দোলনার দড়ির ফাঁসে গোঁজা স্পিকার থেকে লতা গাইতে লাগলেন, তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই শিকওয়া তো নহি/ তেরে বিনা জিন্দেগি ভি লেকিন জিন্দেগি তো নহি। বন্ধুদের মধ্যে একজনকে...

একমাস না

প্রায় দু'মাস হতে চলল। কারণ আমার পরিশ্রম করে লেখা শেষ পোস্ট লখনৌ। নভেম্বরের এক তারিখে পাবলিশ হয়েছিল। সাতাশে নভেম্বরের পোস্টের যাবতীয় পরিশ্রম ফার্নান্দো পেসোয়া-র। আমার ক্রেডিট খালি টোকায়। কেন দু'মাস ধরে কিছু লিখছি না তার যুক্তি যেমন আছে, আবার নেইও। আমি একটা দুঁদে স্কুলে পড়তাম। চেনা বৃত্তে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছি সব স্কুলেরই বড় ক্লাসের থেকে নিচু ক্লাসে দুঁদেগিরি বেশি হয়। দিদিমণিরা বেশি দুঁদে হন। নিয়মকানুন দুঁদেতর হয়। সে সব নিয়মকানুন মানার পুরস্কার এবং ভাঙার তিরস্কারও।  নিয়ম ভাঙার শিরদাঁড়া আমার তখনও ছিল না কাজেই ডিরেক্ট তিরস্কার এড়াতে অসুবিধে হয়নি। তবে জিনিসটা কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি। জায়গা পেলে সর্বদা ফার্স্ট বেঞ্চে বসতে শিখিয়েছিলেন মা। তখন মায়ের কথা শুনে চলতাম কাজেই ফার্স্ট বেঞ্চে বসতাম। আর ফার্স্ট বেঞ্চ ছিল দিদিভাইয়ের পুরস্কার ও তিরস্কার বিতরণী সভার ভি আই পি সিট। মূলতঃ তিরস্কারই। আমাদের সংস্কৃতিতে পুরস্কারের প্রতি অনাস্থা পাভলোভিয়ান। আদর করলেই বাঁদর। স্কুলে বেত মারা ফের চালু করলেই বাঙালিরা ফের জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন । ভালো করলে, "আরও ভালো করতে হবে", আমাদের আদর্শ প্রত...

Only I can see what I dream, only I can possess it.

All ships are dream ships as long as we are capable of dreaming them. What kills the dreamer is not living while he dreams; what wounds the man of action is not dreaming while he lives. I blended into one happy color the beauty of the world and the reality of life. You can possess a dream, but you can never possess it in the way you possess the handkerchief in your pocket, or, if you like, your own flesh. Even if you live your life engaged in full, frenetic, rumbustious activity, you cannot avoid coming into contact with others or stumbling over obstacles, however small, or feeling time passing. To kill our dream is to kill ourselves. It is like mutilating our soul. The dream is what is most truly, impenetrably, ineradicably ours. The Universe, Life — whether real or illusory — belongs to everyone, everyone can see what I see and possess what I possess or can, at least, imagine seeing or possessing it . . . But only I can see what I dream, only I can possess it. And if my way ...

লখনৌ ২০২৪

অটো থেকে নামতে নামতে অর্চিষ্মান বলল, দোকানে যে লোকগুলো বসে আছে তাদের চেহারাগুলো দেখ। নিজেদের অগোচরে যখন লোকজন বসে থাকে - জাস্ট বসে থাকে, কোনও কথা না বলে, ফোন না ঘেঁটে - তাদের বিশ্বমানের পেন্টিং-এর মতো দেখায়। আমিনাবাগের নেত রাম মিঠাইয়ের সামনে বসে থাকা লোকগুলোকেও দেখাচ্ছে। চোখেমুখে শূন্যতা, ক্লান্তি, হতাশা মিলিয়ে যে ভাবটা ফুটে উঠেছে, সেটার এক কথায় প্রকাশ আমাদের জানা। অনেকক্ষণ কথা না হলে বা কথা বলার মতো কিছু না পেলে যখন একজন লেখে, ‘আজ রাতে কী মজা হবে?’ আর অন্যজন সটাং লিখে দেয় ‘জানি না’ বা ‘কে জানে’ বা ‘কোনও মজা হবে না কাল সাবমিশন’, তখন প্রথমজন যে শব্দটা টাইপ করে। হেউ। অন্ততঃ লিখে প্রকাশ করতে গেলে 'হেউ'-ই টাইপ করতে হয়। আসলে ব্যাপারটা একটা ধ্বনি। কুকুরের রিয়েলিস্টিক ডাক যেমন ঘেউ-ও না, ঘৌ-ও না, মাঝামাঝি, হেউ-ও তাই। উচ্চারণ করতে এক সেকেন্ডের কম লাগবে। উচ্চারণ অস্পষ্ট হবে, ঠোঁট যথাসম্ভব কম ফাঁক হবে, উৎস হবে পেটের বদলে গলার পেছন। যে আবেগটা প্রকাশিত হবে সেটাও ধূসর। ধুসও না, হুসও না, মাঝামাঝি। শেষ হয়ে গেলে নিচের ঠোঁট উঠে এসে ওপরেরটার সঙ্গে মিশবে। হেউ-এর মর্মার্থ হচ্ছে, আপনার জ...