লখনৌ ২০২৪
অটো থেকে নামতে নামতে অর্চিষ্মান বলল, দোকানে যে লোকগুলো বসে আছে তাদের চেহারাগুলো দেখ। নিজেদের অগোচরে যখন লোকজন বসে থাকে - জাস্ট বসে থাকে, কোনও কথা না বলে, ফোন না ঘেঁটে - তাদের বিশ্বমানের পেন্টিং-এর মতো দেখায়। আমিনাবাগের নেত রাম মিঠাইয়ের সামনে বসে থাকা লোকগুলোকেও দেখাচ্ছে। চোখেমুখে শূন্যতা, ক্লান্তি, হতাশা মিলিয়ে যে ভাবটা ফুটে উঠেছে, সেটার এক কথায় প্রকাশ আমাদের জানা। অনেকক্ষণ কথা না হলে বা কথা বলার মতো কিছু না পেলে যখন একজন লেখে, ‘আজ রাতে কী মজা হবে?’ আর অন্যজন সটাং লিখে দেয় ‘জানি না’ বা ‘কে জানে’ বা ‘কোনও মজা হবে না কাল সাবমিশন’, তখন প্রথমজন যে শব্দটা টাইপ করে। হেউ। অন্ততঃ লিখে প্রকাশ করতে গেলে 'হেউ'-ই টাইপ করতে হয়। আসলে ব্যাপারটা একটা ধ্বনি। কুকুরের রিয়েলিস্টিক ডাক যেমন ঘেউ-ও না, ঘৌ-ও না, মাঝামাঝি, হেউ-ও তাই। উচ্চারণ করতে এক সেকেন্ডের কম লাগবে। উচ্চারণ অস্পষ্ট হবে, ঠোঁট যথাসম্ভব কম ফাঁক হবে, উৎস হবে পেটের বদলে গলার পেছন। যে আবেগটা প্রকাশিত হবে সেটাও ধূসর। ধুসও না, হুসও না, মাঝামাঝি। শেষ হয়ে গেলে নিচের ঠোঁট উঠে এসে ওপরেরটার সঙ্গে মিশবে। হেউ-এর মর্মার্থ হচ্ছে, আপনার জ