পাকা সই



উৎস গুগল ইমেজেস

আমরা মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে রসিকতা করি, লুব্জুগুব্জু হয়ে যখন মরতে বসব তখন যদি সব ভুলে যাই, নিজের নাম, একে অপরের নাম, তখনও কিছু কিছু শব্দ বা বাক্য মনে থাকবে। মৃত্যুর সময় হয়তো বিড়বিড় করে উঠলাম, ‘ড্যাং না ক্যাং না গ্যাং?’ কিংবা ‘আরেকটু তেনজিংগি না করলে চলছে না,’ কিংবা ‘তোমার মতো পাকা লোক কিনা শেষে পাশবালিশ খুন করল ডাক্তার?’

রসিকতাটা নিতান্ত বাড়াবাড়ি নয়, রেডিও মিরচি-র  মীর, দীপ এবং বাকিরা আমাদের বাড়িতে যে প্রতাপে রাজত্ব করেন, তাতে এ ঘটনা সত্যি সত্যি ঘটা কিছুই আশ্চর্য নয়। সানডে সাসপেন্সের সব গল্পই প্রায় শোনা, কিন্তু হাতে গোনা ফেভারিট কয়েকটা আছে। গ্যাংটকে গণ্ডগোল, হত্যাপুরী, হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিল, সত্যান্বেষী। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেগুলো না চললে আমাদের ঘুম আসে না। 

আর রাতের পর রাত শুনতে শুনতে এই গল্পগুলো আমাদের কণ্ঠস্থ হয়ে গেছে। একজন যে কোনও জায়গা থেকে কোনও একটা সংলাপ বলে উঠলে অন্যজন ঝটিতি পরের সংলাপটা বলে দিতে পারি। মুখস্থ হয়েছে যখন তখন নতুন গল্প শুনলেই পার বলতে পারে কেউ, আমরা সে চেষ্টা করেওছি, কিন্তু মজা পাইনি। এই বস্তাপচা গল্পগুলোর শোনার মধ্যে একটা কমফর্ট আছে। ডায়লগ, অভিনয়, মিউজিক সব মুখস্থ হয়ে গেছে তাই কান করে শোনার প্রয়োজনও হয় না, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে আর আমরা ঘুমে তলিয়ে যাই।

তবু মাঝে মাঝে একেকটা লাইন কানে এসে ধাক্কা মারে। যেমন সেদিন। ফেলুদাকণ্ঠী সব্যসাচী খোঁজ নিচ্ছেন, যমন্তকের মূর্তিটা শেলভাংকার ক্যাশে কিনেছিলেন না চেকে আর তার উত্তরে নিশিকান্ত সরকারকণ্ঠী জগন্নাথ বসু বলছেন, ‘আরে না, ক্যাশ দিলে তো সুবিধেই হত আমার, কিন্তু ক্যাশ তো ছিল না ওঁর কাছে, চেক দিয়েছিলেন।’ এই বলে প্যান্টের পকেট থেকে চেকটা বার করে ফেলুদাকে দেখাচ্ছেন আর তোপসে অমনি পাশ থেকে উঁকি মেরে দেখছে, ‘ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের চেক, চেকের তলায় দারুণ পাকা সই, শিবকুমার শেলভাংকার।’

রোজই শুনি, কিন্তু সেই রাতে ওই দারুণ পাকা সইয়ের ব্যাপারটা বুকে বাজল। 

*****

মানুষ হওয়া বলতে কে কী বোঝে সেটা একটা রহস্য। কেউ দয়ালু হওয়াকে, কেউ সৎ হওয়াকে, কেউ দুনিয়াদার হওয়াকে, আবার কেউ ফ্লুয়েন্ট ইংরিজি বলতে পারাকেই মানুষ হওয়ার আলটিমেট লক্ষণ ধরে নেয়। সেই অনুযায়ী যে যার নাগালের ছোটদের বড় করার চেষ্টা করে। আমাদের স্কুলের সব দিদিভাই-ই মানুষ হওয়াকে গুরুত্ব দিতেন এবং যে যার নিজের সংজ্ঞায় আমাদের মানুষ করার চেষ্টা করতেন। কেউ বলতেন কক্ষনও মিথ্যে কথা বলবে না, কেউ বলতেন সবসময় সবার কথা মেনে চলবে, কেউ নিজের টিফিন অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খেতে উৎসাহ দিতেন, কাউকে কাউকে ইস্তিরি করা জামা পরা এবং প্রতি সপ্তাহে নখ কাটার ওপরেও মারাত্মক জোর দিতে দেখেছি। 

মেজদিদিভাই কোন গুণটাকে মানুষ হওয়ার জন্য দরকারি মনে করতেন সেটা আমরা আবিষ্কার করেছিলাম আমাদের ক্লাস থ্রি-র শেষ দিনে। শেষ দিন মানে একেবারেই শেষ দিন। রেজাল্ট বেরিয়ে গেছে, নতুন ক্লাসের বইখাতা জোগাড় হয়ে গেছে, আমরা এসে পুরোনো ক্লাসরুমেই বসেছি। এমনি দিনে ব্যাগ থেকে বই বার করে ডেস্কের নিচের খোপে রেখে ব্যাগ গুছিয়ে রেখে আসার কথা ক্লাসের কোণে, কিন্তু সেদিন সবাই ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে বসে আছি, ক্লাস ফোরের ক্লাসটিচার এসে সংকেত দিলেই তাঁর পিছু পিছু লাইন দিয়ে নতুন ক্লাসরুমে গিয়ে বসব, কিন্তু তাঁর আগে বিদায়ী ক্লাসটিচারের সঙ্গে শেষবারের মতো দিনের শুরুতে দেখা হবে। তিনি আমাদের ভালো হয়ে থাকতে বলবেন, যতই চেঁচামেচি করি বকবেন না, এমনকি তাঁর এবং আমাদের কারও কারও চোখে জলও আসবে। 

মেজদিভাই ছিলেন আমাদের বিদায়ী ক্লাসটিচার। তিনি ক্লাসে ঢুকলেন। সেদিন নাম ডাকার পর্ব নেই, আমরা রেডি হয়ে আছি এই বুঝি দিদিভাই আদর করে কথা বলতে শুরু করলেন, এমন সময় তিনি বললেন, যে যার নোটখাতা বার কর। 

আমাদের নোটখাতা ছিল একটা খেরোর খাতা, সেখানে ছুটি থেকে মাইনের তারিখ সবের নোটিস লেখা হত, প্রতি পিরিয়ডের শেষে ‘আজ এই পিরিয়ডে আমরা এই এই করেছি’ এই সব লিখে ক্লাসের ভারপ্রাপ্ত দিদিভাইকে দেখাতে হত, তিনি ‘রাইট’ দিতেন, তারপর সেই নোটখাতা গার্জেনকে দিয়ে সই করিয়ে আনতে হত। রোজ। এক কথায় নোটখাতা ছিল শিক্ষক, ছাত্র এবং অভিভাবক, এই তিনপক্ষকে তিনপক্ষের চোখে চোখে রাখার একটি অভিনব এবং কার্যকরী পন্থা। কোনও দিন নোটখাতা আনতে ভুলে গেলে দিদিভাইয়ের সে দিনের মেজাজ বুঝে দাঁড়ানো বা কান ধরে দাঁড়ানো বা দুয়েক-ঘা পড়াও আশ্চর্য ছিল না। 

আমরা যে যার নোটখাতা বার করলাম। মেজদিভাই ক্লাসের একধার থেকে ধরে ধরে প্রত্যেকের নোটখাতার খুলে একেবারে শেষ মলাটের গায়ে লাগানো পাতায় গিয়ে পৌঁছলেন। রোজ প্রতি পিরিয়ডে ব্যবহার হত বলে নোটখাতা সবসময়েই অন্য খাতার থেকে স্বাস্থ্যকর হত, এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পেছনের বেশ কয়েকটা পাতা বছরের শেষেও বাকি রয়ে যেত। 

মেজদিভাই সবার নোটখাতার লাস্ট পাতা পরীক্ষা করতে লাগলেন এবং ক্রমে তাঁর মেঘের মতো মুখে ঝড়ের আভাস ফুটে উঠতে লাগল। ক্লাস থ্রি-তে প্রথম পেনসিল ছেড়ে কালি পেনে লেখা শুরু হয়েছিল, এবং পেন আটকে গেলে নোটখাতার পেছনের পাতা বার করে ঘষা হত, কিংবা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে কালি বার করা হত, সেই সব হিজিবিজি আর ছোটবড় নীল ফোঁটা বেরোলো, কাটাকুটি খেলার ঘর, ডেঁপো কিছু মেয়ের খাতার পেছনে অমুকদি + তমুকদা ইত্যাদি সমীকরণ পর্যন্ত বেরোলো। 

আর তখনই আমরা বুঝলাম গেল যে নোটখাতার পেছনের পাতা পরিষ্কার রাখাই মেজদিদিভাইয়ের মতে ভালো এবং পরবর্তী কালে মানুষ হওয়ার প্রধান লক্ষণ। মত একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। যে মেয়ে কক্ষনও খাতার পেছনের পাতায় হিজিবিজি কাটে না, কাটাকুটি খেলে না, দাদাদিদির নাম ঘিরে হার্ট সাইন আঁকে না, সে কী পরিমাণ মনোযোগসহকারে জীবনের মধ্যে দিয়ে চলে এবং ভবিষ্যতেও চলবে ভাবতে পারছেন? 

যাই হোক, ক্রমে আমার খাতা এল। মেজদিদিভাই পাতা উল্টে দেখলেন, তারপর থমথমে মুখে বললেন, 

তোমার থেকে আমি এটা আশা করিনি কুন্তলা।

আমার বুকের মধ্যে কী রকম বাজ পড়েছিল এখনও মনে করতে পারি। কী ছিল আমার নোটখাতার শেষ পাতায়? কাটাকুটি? কালির ফোঁটা? নারীপুরুষের নামের মাঝে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ হার্ট সাইন?

কিচ্ছু না। আমার খাতার পেছনের পাতা ভর্তি করে ছিল আমার সই। শত সহস্র সই।

*****

আমার কেন যেন বিশ্বাস হয়েছিল যে বড় হয়ে আমাকে অনেক অটোগ্রাফ দিতে হলেও হতে পারে। সেই জন্য আমি নিজের জন্য একটি মোক্ষম সইয়ের সন্ধানে ছিলাম। সার্থক সইয়ের মোটামুটি তিনটে ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করা ছিল আমার উদ্দেশ্যঃ

এক, সই ছোট হতে হবে। ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন। হাজার হাজার অনুরাগী যখন ঘিরে ধরে আমার অটোগ্রাফ চাইবে তখন তাদের প্রত্যেকের খাতায় কে ইউ এন টি এ এল এ বি এ এন ডি ওয়াই ও পি এ ডি এইচ ওয়াই এ ওয়াই কিংবা ক-এ হ্রস্ব উ ন-এ ত-য় ল-এ আ-কার ব ন-য় দ-য় য-ফলা ও-কার……… লিখতে হলেই হয়েছে।

দুই, সই পাকা অর্থাৎ স্টাইলিশ হতে হবে। কোনটা স্টাইলিশ কোনটা স্টাইলিশ নয় সেটা আপেক্ষিক, কিন্তু আমার মতে স্টাইলিশ সইয়ের একটা প্রধান লক্ষণ হচ্ছে সই করার সময় পেন কাগজ থেকে উঠবে না। খালি লাস্টে পেন ঝাঁকিয়ে একটা ফুটকি দেওয়া যেতে পারে। জটায়ু যেমন দিতেন। দুঃখের বিষয় আমার গোটা নামে কোথাও ফুটকি নেই। (বাংলা নামের একেবারে শেষে একটা আছে, কিন্তু যেহেতু পুরো সই করা যাবে না কাজেই সেই ফুটকি ইউজলেস।

তিন নম্বর শর্তটা আমার নিজের মাথা থেকে বেরোয়নি, আনন্দমেলা ভাবিয়েছিল। সই নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তা যখন তুঙ্গে তখন আনন্দমেলায় একটা আর্টিকল বেরিয়েছিল সই দিয়ে স্বভাব বিচার সংক্রান্ত। স্বাক্ষরের স্যাম্পলের একদিকে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী, নেতাজী, চে গুয়েভারা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার অন্যদিকে হিটলার, মুসোলিনি, পল পট। তার পর দুই স্যাম্পলের সইয়ের বৈশিষ্ট্য খুঁটে খুঁটে প্রমাণ করা হয়েছিল যে কোনও সন্দেহই নেই, সই দেখেই বোঝা যাওয়া উচিত ছিল ভবিষ্যতে কার গলায় নোবেল আর কে বাংকারে নিজের মাথায় নিজে গুলি। আমার সইয়ের সঙ্গে এই দ্বিতীয় স্যাম্পলের সইয়ের যাতে কোনও মিল না থাকে সে সম্পর্কে আমি বিশেষ যত্নবান হয়েছিলাম। এতগুলো ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে গিয়ে বলা বাহুল্য প্র্যাকটিসের দরকার হয়েছিল প্রচুর, কাজেই নোটখাতার পেছনের দুই পাতাই ভরে গিয়েছিল এবং ফলস্বরূপ মেজদিভাই আশাহত হয়েছিলেন।

ওয়েল, নিজের সম্পর্কে বেশিরভাগ এসটিমেটের মতো অটোগ্রাফ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার এস্টিমেটও ভুল হয়েছিল। এমনকি আমার বাবামায়ের সইয়ের যা দাম ছিল আমার সইয়ের দাম তার কাছাকাছিও পৌঁছোতে পারেনি। দুজনে মিলে সই করে সারাজীবনে কম করে কোটিখানেক ফাইল পাস করিয়েছেন, আমার সই কাজে লাগছে কেবল আমার নিজের। আমার ব্যাংক, আমার পাসপোর্ট, আমার ট্যাক্স ডিক্লারেশন।

আর কাজে লাগার সই করতে হয় বলেই কায়দার সই করতে সাহস হয় না, পাছে প্রত্যেকবার একরকম দেখতে না হয়, তাই বেসিক্যালি এসব জায়গায় আমি সইয়ের বদলে নিজের গোটা নামটা লিখি। আমার অত প্র্যাকটিসের সই করার সুযোগ আসে শুধুমাত্র অ্যামাজন/ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি নেওয়ার সময়। ভাইসাবের বাড়িয়ে ধরা ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সবুজ পর্দায় আঙুল বুলিয়ে সই দেওয়ার পর সেটা যে রকম দেখতে হয়, তাতে আমার মাঝে মাঝে সেদিনের মেজদিভাইয়ের থেকেও নিজের প্রতি বেশি হতাশ লাগে।



Comments

  1. Ekkebare same to same hoeche eta. Amio chhoto theke soi practice kore kore khatar pata bhoriyechhi. Kintu ajkal bhoyer chotey shudhu gota naam likhi. Ami tomar thekeo bhitu kina, tai Amazon delivery nite geleo gota naam likhi. Pachhe amar soi na mele, ar amar delivery ferot niye nay?

    [Sunday Suspense bhalo lage shune jarpornai amod pelam. Amar bhai majhe majhei participate kore otey. Tomar bhalo lage shune khushi hobe.:) ]

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি তোমার ভাইকে চিনি, বিম্ববতী। অগ্নি তো? হত্যাপুরীর ইন্ট্রো বলেন।

      তোমার সঙ্গে সইসাবুদের ব্যাপারে হাই ফাইভ। আমাজনের ফেরৎ নিয়ে নেওয়ার ভয়টা সত্যি বাড়াবাড়ি, ওরা গছাতে পারলেই খুশি, বিশ্বাস কর।

      Delete
  2. Khub bhalolaglo lekhata. Purono kotha mone pore gelo :-D

    Lekhar shurute soita kaar?

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সায়ন। ওটা পাবলো পিকাসোর সই। ভালো না?

      Delete
  3. ha ha ha khub haslam pore :D. are school e khatar pechon ta to soi kore bhoriechhilam i, tobe ami abar tarpore o onek din obdi britha asha buke kore rekhechilam. PhD er somoi conference r talk e boseo soi kore jetam.
    -Gobechara

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আশা তো না ছাড়ারই জিনিস, গোবেচারা। সই প্র্যাকটিসে হাই ফাইভ।

      Delete
  4. "ক্লাস থ্রি-তে প্রথম পেনসিল ছেড়ে কালি পেনে লেখা শুরু হয়েছিল, এবং পেন আটকে গেলে নোটখাতার পেছনের পাতা বার করে ঘষা হত, কিংবা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে কালি বার করা হত, সেই সব হিজিবিজি আর ছোটবড় নীল ফোঁটা বেরোলো, কাটাকুটি খেলার ঘর, ডেঁপো কিছু মেয়ের খাতার পেছনে অমুকদি + তমুকদা ইত্যাদি সমীকরণ পর্যন্ত বেরোলো। "

    eta darun .. chotobela ta chokher samne bhese uthlo. edike apnar oi anandamnela ta amar o chilo. amio soi gulo kete autograph khata baniyechilam. tobe mejdidimonir raager karon ta bujhlam na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. রাগের কারণ হচ্ছে সম্পূর্ণ মনোযোগ ক্লাসের পড়ায় না দিয়ে হিজিবিজি করে নষ্ট করায়, ঋতম। যদিও আমি নিশ্চিত আমি (বা আমার অন্য অনেক ক্লাসমেটই) ক্লাস চলাকালীন নোটখাতার পেছনের পাতায় ব্যস্ত থাকতাম না, ইচ্ছের অভাবে নয়, সাহস এবং সুযোগের অভাবে, তবু ফাঁকা সময়ে বসেও যে এইসব আজেবাজে কাজে সময় নষ্ট করেছি তাতেই দিদিভাই দুঃখ পেয়েছিলেন আরকি।

      Delete
    2. Ar iye,hoyto janen oi RJ Deep bhodrlok (asol nam deepanjan ghosh) purono bari/ soudho niye chomotkar article lekhen.. pore dekhte paren, bhalo lagbe

      http://double-dolphin.blogspot.in/2018/01/my-publications-in-2017.html

      Delete
    3. ওহ, এটা জানতাম না, অনেক ধন্যবাদ, ঋতম।

      Delete
  5. Amar surname o 'bandopadhay'.Kno jaigai puro signature karte blke eto jaiga lage j 4 te nam dhare jai.Kintu se sab jaigai kaidar soi chale na bale ro dukkho hoi.R notekhatay ses patay soi practice r katha tai nijer school life er katha mane pare glo.-Sunanda.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি আমার পদবীতুতো, সুনন্দা? ভেরি গুড।

      Delete
  6. আমার কেন যেন বিশ্বাস হয়েছিল যে বড় হয়ে আমাকে অনেক অটোগ্রাফ দিতে হলেও হতে পারে
    - ইয়ো। হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে। আমার ছেলেবেলায় দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে আমি ইন্ডিয়ার হয়ে ক্রিকেট খেলব। কিন্তু দশ বছর বয়সে যখন পিছন ফিরে দেখলাম যে আমার জীবনের হায়েস্ট স্কোর একুশ, তখন বুঝলাম যে কপালে কলমপেষা কেরানি হওয়াই নাচছে।
    কিন্তু আপনি তো লেখিকা হবেন। লেখিকাদের তো রিটায়ারমেন্ট এজ নেই। আপনি চেষ্টা চালিয়ে যান, আমরা আপনার পেছনে আছি।

    ReplyDelete
  7. Apnar saier style janina,kintu apnar lekhar style anabadya

    ReplyDelete
  8. Kuntala di Ekdin Kolkata boi melay tomar Lekha boi kinbo sedin kintu ekta paka soi lagbe.. :) amader somoy mejibhai er note khata check ta hoyni bhaggis..

    ReplyDelete
    Replies
    1. Anandamelar oi sonkha ta mone poriye dile . Darun legechilo..

      Delete
    2. ওই সংখ্যাটা আমারও মনে থাকা সংখ্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম, ঊর্মি। মেজদিভাই তোদের নোটখাতা চেক করেননি? কী সাংঘাতিক পারশিয়ালিটি!

      Delete
  9. " অটোগ্রাফ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার এস্টিমেটও ভুল হয়েছিল"

    na na K, amra tomar pathok ra tomar autograph nebo. tomar lekha abantor er ekhana paper copy amar kachey achey. dekha holei tomat shoi niye nebo :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, বাঁচালে শম্পা।

      Delete
  10. টিভিতে একটা বিজ্ঞাপনে,বোধহয় চেরি ব্লসমের, সুনীল গাভাসকার-কে দেখতাম খসখস করে সই দিতে। সেই থেকে একখানা পাকা সইয়ের ওপর লোভ জন্মে যায়। ক্লাস এইটে পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট করতে গিয়ে সইয়ের ব্যবহার শুরু হয়। আমার বাবা'র সইটা ছিল দুর্বোধ্য, যা থেকে কিছুই বোঝা যেত না। আমার কাছে কিন্তু মডেল ছিল গাভাসকারের সইটাই, একদম নিচে দু'খানা ডট সমেত। যাদবপুরে পড়ার সময় থেকেই 'নাম'-সইটার বিবর্তন এবং ক্রমকুঞ্চন শুরু হয়।
    মানুষ হিসেবে অ্যাদ্দিনে কতটা পেকেছি জানি না (বউ ও মেয়ে আমাকে সাবালক বলে ধরেই না), তবে সইটা দুর্দান্ত রকম পেকেছে, এটা জানি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে অভিনন্দন, ঋজু। গাভাসকরের সইয়ের অ্যাডটা আমারও মনে পড়ল।

      Delete
  11. Aamar monehoi aami chhotobelai khub pragmatic chhilam ei karone ----amar dwara je bikhyato-phikhyato hoya sambhob noi bujhe gechhilam...tai konodin soi practice korini.

    Aar ekta kotha manush hoya bolte jodi enriji jana hoi tahole sab british jonogon manush hoyechhe aar bakira amanush!!! Kintu eta amader deshe anekei mone kore thaken.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, খুব হিংসে করলাম সুস্মিতা। আমি তো বুড়ো হয়েও প্র্যাগম্যাটিক হতে পারছি না।

      Delete
    2. Chhoto boyosei chhilam....joto burochchhi toto udbhot hoye uthchhi...

      Delete
    3. নানা উদ্ভট কেন বালাই ষাট, সবরকমই ভালো।

      Delete
  12. Amar soi otyontyo unique baishishtyo purno.
    Amar duto soi kokhono ekrokom hoyna. Mane ajker Kora you 7 bochhor ager Kora kono soi er sathe milbe kina Janina, kintu age pore 5 bochhorer kono soi er sathe milbe na.
    Bolai bahulyo ei durlov prativa r jonye amake onek bhugte hoyechhe ek kaale... Ajkal soi lage na bole temon jhamela hoyna

    ReplyDelete
    Replies
    1. তা ঠিক, শিবেন্দু। আজকাল সইয়ের প্রয়োজন কমে গেছে অনেক।

      Delete
  13. যাঁরা খাতার পিছনের পাতায় একটুও ডুডল করেননা সেরকম লোকেদের আমি এড়িয়ে চলি। আমি তো অফিসের মিটিঙে কাজের পাতাতেই হিজিবিজি করতে থাকি, লাস্ট পাতা অবধি যাওয়াটাও আর পোষায়না।

    আনন্দমেলার ওই সই প্রচ্ছদকাহিনী ওলা সংখ্যাটা আমাদের বাড়িতে রাখা আছে। ওটা দেখে সই ঠিক করার গল্পটা পড়ে মনে হল আমি নিজের কথাই পড়ছি। টমাস এডিসন সইয়ের দিক থেকে আমার অন্যতম প্রিয় ছিলেন, তবে আমার নিজের সই বাছার সময়ে দাদু আর বাবার ইনফ্লুয়েন্স খুব কাজ করেছে। আমার ইংরেজি সইতে দুটো ফুটকি আছে শেষে, আর সেইজন্যই আমার "Banerji" বানানটা এতো পছন্দ। আমারও ওই ফুটকি দেওয়াটা একটা পছন্দের ব্যাপার।

    আমেরিকার বর্তমান রাষ্ট্রপতির সই টা দেখেছেন কি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই সই নিয়ে পোস্ট লিখতে গিয়েই দেখলাম মিঃ ট্রাম্পের সই, সুগত। ফুটকি পছন্দতে হাই ফাইভ।

      Delete
  14. আমার স্কুলের ক্লাস এইটের নোটখাতায় প্রত্যেক জোড়পাতায় এক মহানুভব বন্ধু ম, আর বিজোড় পাতায় আরো এক মহানুভব বন্ধু শ সই করে রেখেছিল, পাতা জুড়ে, বড় বড় করে। সই প্র্যাক্টিস, আর আমায় জ্বালাতন, দুটোই একসাথে করা গেছিলো। শৌখিন সই, দুটো করে ফুটকি সমেত। ওর ওপরেই লিখতাম কষ্ট করে।

    খাতাটা হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজের বান্ডিল থেকে খুঁজে পেয়ে একসাথে অনেক অনেক দুষ্টুমি মনে পড়ে গেল, ক্লাস পালিয়ে জানলা গলে ছাদে আড্ডা, আলুকাবলি পার্টি, একযোগে ফুচকাওলার সাথে অকথ্য হিন্দিতে দরাদরি ইত্যাদি ইত্যাদি। খাতাটা গুছিয়ে রেখে দিলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালোই করেছেন, বৈজয়ন্তী। আপনার বন্ধুভাগ্য তো দারুণ মনে হচ্ছে।

      Delete
  15. onek sriti uske dile..prosongoto amar ei sesh patay soi practice er abhyesh ti ajo jaini..chotobelay lokkho chilo babar moto soi korte hobe..ekhono baba ara amar choto soita ek...ar futki? are name nei to ki hoeche? ami to namer niche ekta daag ar duto futki nijei add kroeniyechi:)) ...oi prochochodkahini ti amar o mone porche..callygraphy ebong graphology te koutoholer suchona tokhon thekei..saraswati pjoy schooleer notekhtatar jonyo monta hu hu kore uthlo...(monoschokkhe tomar sei bikhyato dui jhuti ebong lal fite sombolito anabil hashita bheshe uthlo hotat...soroswoti pujo nei lekho plzz....

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, নেই তো কী হয়েছে, ফুটকি যোগ করে নেওয়ার আইডিয়াটা দারুণ, পারমিতা। এ বছর তো পার হয়ে গেল, নেক্সট বছর সরস্বতী পুজো নিয়ে লেখা যেতে পারে।

      Delete

Post a Comment