শেষ দিন




মেয়ের সঙ্গে সবাই ক্যাশটাকা সোনাদানা খাটবিছানা ফ্রিজ মাইক্রোওয়েভ শ্বশুরবাড়ি পাঠায়, দ্বিতীয় সংগ্রাম সিংহের শ্বশুরমশাই পাঠিয়েছিলেন মেয়ের আটচল্লিশ জন সখী। তাঁদের থাকার জন্য রংবেরঙের ফুল লতাপাতা, মার্বেলের হাতিঘোড়া আর ফোয়ারা দিয়ে সাজিয়ে রাণা বানিয়ে দিয়েছিলেন নয়নাভিরাম সহেলিয়োঁ কি বাড়ি। 


সেই বাড়ি আমরা দেখতে এসেছি সক্কাল সক্কাল। আরেকটু পরে এলেও হত, আনন্দ ভবনের প্রায় ফুটবল মাঠের সাইজের খাটে লেপমুড়ি দিয়ে ঘুমটাও এসেছিল দিব্যি। কিন্তু সেই খাটের মাথার কাছে জানালা, জানালার ওপারে মোটা মোটা গাছ আর সেই গাছের ডালে অজস্র পাখি সূর্য উঠতে না উঠতে চেঁচামেচি লাগাল। সে যে কী চেঁচামেচি যে নিজে কানে না শুনেছে জানে না।

অ্যালার্মের স্নুজ টেপা যায়, পাখিদের গলা টেপা যায় না। কাজেই উঠতে হল। উঠে কমপ্লিমেন্টারি চা ব্রেকফাস্ট খেয়ে আমরা গেলাম সহেলিয়োঁ কা বাড়ি দেখতে।

মরুভূমির দেশ বলেই বোধহয়, ফোয়ারা এদের কাছে সৌন্দর্যায়নের একটা বিশাল অঙ্গ। লেকের মাঝে ফোয়ারা, প্রাসাদের মাঝে ফোয়ারা, যেদিকে তাকাও সেদিকে ফোয়ারা। তবে ফোয়ারার চরম বাড়াবাড়ি দেখলাম সহেলিয়োঁ কা বাড়িতে। ফোয়ারায় ফোয়ারায় ছয়লাপ, পিছল! সাবধান! সতর্কতামূলক নোটিস লাগাতে হয়েছে মোড়ে মোড়ে, তবু ফোয়ারারা জল ছিটিয়েই চলেছে।

সখীদের বাড়ি দেখে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। উদয়পুরে অনেক কিছু দেখার আছে, মহারাণা প্রতাপ মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, কর্ণী মাতার মন্দির (আনন্দ ভবনের জানালা থেকে রাতের বেলা সেই মন্দির পর্যন্ত রোপওয়ের আলো দেখেছি), জগদীশ মন্দির, একলিঙ্গ মন্দির, খানিক দূরে হলদিঘাটি - কিন্তু আমরা এসব কিছুই দেখব না। আমরা দেখব শুধু উদয়পুরের বিখ্যাত সিটি প্যালেস। তবে তার আগে চেক আউট করব। চেক আউট করে লাগেজ রিসেপশনে রেখে যাব।

হোটেলের লাঞ্চ শুরু হয় দুপুর একটায়। আর লাঞ্চের টাইমিংসংক্রান্ত কড়াকড়ির কথা জেনেছিলাম কাল দুপুরেই। কিন্তু রেস্টোর‍্যান্টের ভারপ্রাপ্ত ভাইসাব আমাদের জানালেন, আমরা খেয়েই বেরোতে পারি। আমাদের কথাবার্তা শুনে তিনি জেনেছেন যে আমরা কী খেতে ভালোবাসি, ডালরুটি সবজি, বারোটার মধ্যে সে সব রেডি করে দিতে তাঁর কোনও অসুবিধেই হবে না।

*****


রাণা সঙ্গের যে ছেলেকে বাঁচাতে ধাত্রীপান্না নিজের ছেলেকে শত্রুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন, সেই উদয়সিংহই (দ্বিতীয়) পত্তন করেছিলেন এই উদয়পুরের। প্রভূত মারামারি কাটাকাটির মধ্যে তাঁর জন্ম এবং ছোটবেলা কেটেছিল বলেই বোধহয় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, চারদিক খোলা পাহাড়ের ওপর অবস্থিত চিতোরে মুঘল আক্রমণ যে রেটে বাড়ছে, তাতে মেওয়ারসূর্য অস্ত যেতে বেশিদিন লাগবে না যদি না রাজধানী নিরাপদতর কোনও জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়।

জল জঙ্গল পাহাড় দিয়ে ঘেরা পিচোলা দিঘির পারের থেকে নিরাপদ আর কীই বা হতে পারে? জায়গাটা একেবারে আলটপকা পছন্দ ছিল না, কারণ এখান থেকে উনিশ কিলোমিটার দূরে নাগডা শহরেই ষষ্ঠ শতাব্দীতে পত্তন হয়েছিল মেওয়ার শাসনের। অষ্টম শতাব্দীতে রাজধানী চলে যায় চিতোরগড়ে। সেখান থেকে আটশো বছর রাজত্ব চালানোর পর সূর্যবংশী শিশোদিয়া রাজপুত সাম্রাজ্যের রাজধানী উদয়সিংহ (দ্বিতীয়)র হাত ধরে ফেরত আসে উদয়পুরে।

সব ভালো গল্পেই রাজা থাকেন, শিকার থাকে আর শিকার করতে গিয়ে বনে দেখা হয়ে যাওয়া সন্ন্যাসী থাকে। এ গল্পেও আছে। জঙ্গলে শিকার করে বেড়ানোর সময় উদয়সিংহ সন্ন্যাসীর দেখা পেলেন। তিনি রাণাকে আশীর্বাদ করে জানালেন রাজধানী স্থাপনের নিমিত্তে এই স্থান অতি উপযোগী। পনেরোশো ঊনষাটে রাজধানী স্থাপন হল। প্রথমে ছিল একটি ছোট চত্বর, চত্বরে রাজা বসতেন, চারপাশের ছোট ছোট ঘরে রাজ্যচালনার কাজ চলত। 


সেই ছোট চত্বরই রাই আঙ্গন, যেখান দিয়ে কানে অডিও গাইড গুঁজে আমি হেঁটে চলেছি। 


পরের চারশো বছর ধরে ছিয়াত্তর প্রজন্মের রাণারা রাই অঙ্গনের সঙ্গে জুড়ে জুড়ে উদয়পুর সিটি প্যালেসকে আজকের চেহারায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। এই এক প্রাসাদে নাকি আলাদা আলাদা এগারোখানা প্রাসাদ আছে। তাতে একটু খাপছাড়া লুক যেমন হয়েছে, প্রাসাদের নির্মাণশৈলীতে যেমন রাজপুত, মুঘল, অ্যাংলো বিভিন্ন স্থাপত্যের মিশেল ঘটেছে, তেমনি আয়তনেও প্রাসাদ হয়ে উঠেছে প্রকাণ্ড। আটশো ফুট চওড়া, একশো ফুট উচ্চতা। আর সে প্রাসাদে কত যে মহল, বড়ি মহল, মানিক মহল, জেনানা মহল; কত যে চৌক, অমর বিলাস, ভীম বিলাস, কৃষ্ণা বিলাস ইয়ত্তা নেই। সে সব মহল, চৌক ভর্তি করে এই প্রাচীন রাজবংশের সম্পদ, ছবি, দলিলদস্তাবেজ, পালকি, পোশাক, অস্ত্র, রান্নাবাটির হাতাখুন্তির মিউজিয়াম বসানো হয়েছে। চিন এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ হিসেবে সাদানীল টাইলসে আঁকা ছবি আছে, মিনিয়েচার পেন্টিং আছে, পাথর খোদাই করে বানানো নাকচোখমুখ ভাঙা প্রাচীন দেবদেবীর মূর্তি আছে। মার্বেলের অতি নিপুণ শিল্পকর্ম আছে। তরবারি, চোগাচাপকান, পালকি, রথ, হাওদা, সিংহাসন আছে।

কিন্তু সবথেকে ভালো জিনিস যা আছে তা হল গল্প।

রাণা ভীম সিং-এর মেয়ে কৃষ্ণা ছিলেন মারাত্মক রূপসী। সময়মতো কৃষ্ণার সম্বন্ধ পাঠানো হল আশেপাশের রাজ্যের রাজপুত্রদের কাছে। ভুলক্রমে জয়পুর আর যোধপুর, দুই রাজ্যের রাজপুত্রের কাছেই জামাই হওয়ার নেমন্তন্ন গেল। তাঁরা যখন বরযাত্রীসহ দুদিক থেকে উদয়পুরের দু’দিকে এসে উপস্থিত হলেন তখন ভুলটা ধরা পড়ল। ভীম সিং কাকে ‘না’ করবেন স্থির করে উঠতে পারলেন না। রাজপুত্রদের ইগো ভয়ানক, পান থেকে চুন খসলেই যুদ্ধ ঘোষণা হবে। 


এই ত্রিশঙ্কু অবস্থার সমাধান কী হল বলে আপনার মনে হয়?

কৃষ্ণার বিয়ে নিয়েই যখন সমস্যা তখন তাকেই যে সমাধানের দায়িত্ব নিতে হবে তাতে কুযুক্তির কিছু নেই। ভীম সিং মেয়েকে গিয়ে বললেন, ‘মা, তুই বিষ খেয়ে আমাকে এই ঝামেলা থেকে উদ্ধার কর।’ কৃষ্ণাকে ভীম সিং ভালো মানুষ করেছিলেন। সে এক কথায় রাজি হয়ে গেল। বলল, ‘বিষ খাওয়ার আগে শুধু আমাকে ভগবানের নাম করে নিতে দাও।’ এই না বলে কৃষ্ণা ভগবানের নাম নিয়ে হাসিমুখে বিষ খেল। এবং মরল না। আবার বিষ দেওয়া হল। আবারও কৃষ্ণা মরল না। তৃতীয়বার বিষ দেওয়ার পরেও যখন কিছু হল না, তখন সবাই বলল ওই যে কৃষ্ণা বিষ খাওয়ার আগে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিল, সে জন্য যত গোলমাল বাধছে। এরও সমাধান সোজা, বিষের ডোজ বাড়িয়ে প্রার্থনার ডোজের থেকে বেশি করে দিলেই হবে। আগের বার কৃষ্ণা ভগবানের কাছে কীসের প্রার্থনা করেছিল জানা নেই (সম্ভবত নিজের প্রাণের), এইবার হাল ছেড়ে বাবার মঙ্গলপ্রার্থনা করে বিষ খেল। এবং আর উঠল না।

ভীম সিং চোখ মুছে মেয়ের নামে বিলাসমহল বানিয়ে দিলেন। সেই মহলই হচ্ছে কৃষ্ণা বিলাস। এখন মিনিয়েচার পেন্টিং-এর সংগ্রহশালা।


সিটি প্যালেসের ছাদের ওপর অমরবিলাস। ফোয়ারা, গাছ, পাখির ডাক মিলিয়ে চার ধারের থামওয়ালা বারান্দাঘেরা এই মরুদ্যানটি যে কী শান্তির, কী সুন্দর, কী আরামদায়ক, বলে বোঝানো যায় না। অডিও গাইড বললেন, এখানে বিশ্রাম নিতে চাইলে নিন। গান শুনতে চাইলে তারও ব্যবস্থা আছে। ন’শো এক টিপলে মর্নিং রাগা বাজবে, ন’শো দুই টিপলে ইভনিং রাগা।

নাকতলার মা বন্ধুদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলেন, রোদের মধ্যে ঘুরে ঘুরে হাজারদুয়ারি দেখছিলেন, জীবন্ত ইতিহাস  বলেটলে সবাই শিহরিত হচ্ছিলেন, এমন সময় মা শুনলেন একজন বয়স্ক মহিলা প্রাসাদের বারান্দায় বসে পড়ে রাগত স্বরে বলছেন, ‘এই যা কইর‍্যা থুইছে, দেখনের আর শ্যাষ নাই।’ 



হাঁটতে হাঁটতে দেখতে দেখতে আমাদেরও অবস্থা হয়েছিল খানিকটা সেই রকম। কিন্তু পয়েন্টে পয়েন্টে উর্দিপরা সান্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন, ফাঁকি দিলেই বকছেন। শেষে একটা সিলভার রুম না কী বাকি ছিল, আমরা ‘যথেষ্ট হয়েছে’ বলে পাশ কাটিয়ে পালানোর উদ্যোগ করতেই চোখ পাকিয়ে আঙুল তুলে বললেন, ‘যান গিয়ে দেখে আসুন বলছি।’ তখন দেখতেই হল রুপোর থালাবাটি রথ সিংহাসন। আর একটা বিয়ের গোটা মণ্ডপ। মণ্ডপের তোরণ, চাঁদোয়া, যজ্ঞস্থল, ঘট, ঘটের ওপর আম্রপল্লব সব খাঁটি রুপো দিয়ে বানানো।


উদয়সিংহ নিরাপদ রাজধানী বানাতে চেয়েছিলেন। কাজেই স্রেফ জল জঙ্গল পাহাড়ের ওপর ভরসা করেননি। শহরের চারপাশে পাঁচিল তুলে গেট বসিয়েছিলেন। সে সব গেটের  নাম বড়া পোল, হাথি পোল ইত্যাদি। কিন্তু আমার মতে সবথেকে সুন্দর পোল হচ্ছে তিনটি চূড়াওয়ালা ত্রিপোলিয়া পোল। 


ঢুকেছিলাম হাথি পোল দিয়ে, বেরোলাম ত্রিপোলিয়া গেট দিয়ে। এ জায়গা আমাদের চেনা,  একটু এগোলেই জগদীশ টেম্পল, আরও এগোলে গ্রিক কফির দোকান উদয় আর্ট ক্যাফে, বাঁদিকে বেঁকলে গনগৌর ঘাট, আর ঘাটের মুখে ডানহাতে এডেলওয়াইস নামের পুরোনো জার্মান ক্যাফে। পা ব্যথার ছুতো করে আমরা সেখানে বসে লেমন টি আর টা হিসেবে স্যান্ডউইচ খেলাম। 

ব্যস, বেড়ানো ফুরোল। বাকি রইল শুধু আনন্দ ভবনের রিসেপশন থেকে লটবহর কালেক্ট করে উবার ডেকে সিটি সেন্ট্রাল স্টেশন পৌঁছনো। রাজস্থানের ট্র্যাক রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে মেওয়ার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস টাইমে ছাড়ল, সোমবার সকালে হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে টাইমে পৌঁছল, বাড়ি ফিরে চা খেয়ে, স্নান করে, উবার ডেকে আমরা টাইমে অফিসে ঢুকে গেলাম।

*****

সন্ধ্যেবেলা অফিস থেকে ফিরে আনপ্যাক করার সময় দেখি লাল ব্যাগটার গায়ে খড়ি দিয়ে একশো তেরো লেখা। চেক আউটের পর হোটেলে জমা রেখে প্যালেস দেখতে গিয়েছিলাম, তখনই সম্ভবত কেউ চেনার সুবিধের জন্য আমাদের ঘরের নম্বর লিখে রেখেছেন। মুছতে গিয়েও মুছলাম না। থাক, যতদিন থাকে। 

                                                                                                                               (শেষ)

মাউন্ট আবু - উদয়পুর ভ্রমণঃ প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব, চতুর্থ পর্ব, পঞ্চম ও শেষ পর্ব


Comments

  1. অতিশয় সুন্দর বর্ণনা। উদয়পুর সিটি প্যালেস আমিও দেখেছি, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা আপনার গল্পের ধারেকাছে না। শুধু একটা মিল পেলাম - এই যা কইর‍্যা থুইছে, দেখনের আর শ্যাষ নাই। আমরা আবার রাজামশায়ের ভিন্টেজ কার কালেকশনও দেখতে গিয়েছিলাম।

    আর আপনারা বরবউ দুজনেই সোমবার সকালে ট্রেন থেকে নেমে আপিস যান? আপনাদের চরণে শতকোটি প্রণাম। আমি তো ওয়ার্ক ফ্রম হোম বলে সকালে একঘন্টা এক্সট্রা ঘুমিয়ে নি।

    একটা অবান্তর তথ্য- এক্সট্রা হল ওয়ান অফ দোজ রেয়ার ওয়ার্ডস যেটা সেম সেট অফ কি-স্ট্রোকস দিয়ে বাংলা আর ইংরিজি, দুই ভাষাতেই লেখা যায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।

      Delete
  2. Barnana r chabi to sundor hoyeche e,sanger galpo gulo aro sundar.R ses paragraph r jonno hattali.-Sunanda.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুনন্দা।

      Delete
  3. Khub bhalo laglo lekhata pore. Amar ar Rakar goto bochhorer Rajasthane beranor dingulo mone poriye dilen. Amader trip-e Udaipur ekdin chhilo. Saradin City palace chhotworei kete gechhe. Bikele Pichola Lake-e boating. Surjasto jara dekehen ni, ta aborniyo. Amra pasher shilipider dkane ghure ghure miniature painting dekhchhilam. Seo ek asamanyo abhigyota.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধনবাদ সায়ন। শিল্পীদের দোকান বলতে কি শিল্পগ্রামের কথা বলছেন? আমাদের যাওয়া হয়নি এবার।

      Delete
    2. Shilpogram noy. Kellar bairei craft shop chhilo onekgulo. Taar onekgulo kichhu shilpir. Ekjoner sange alap hoyechhilo. Uni miniature kaaj kore, raagmala paintings-o. Miniature kaj-e purono tuloT kagoje hatir aboyob eNeke tate bosiye den koto chhoto chhoto details! Apurbo sei chhobi. Amra Raagmala serieser kichhu painting niyechhilam Udaipur ar Chittor theke.

      Delete
    3. ওহ, আচ্ছা। হ্যাঁ, মিনিয়েচার কাজ সত্যি অবাক করার মতো।

      Delete
  4. amar thik korai chilo Lucknow gele tomar beranor print out niye jabo..(mobile er theke print porte besi comfortable lage) ekhon udaypur tao add holo..lake pichola sundor seta sunechilam.. tomar lekha pore ekhon mone hocche Bhratborsher best romantic dinner korar jayga city palace er view dekhte dekhte.. :) ami sudhu jaipur bharatpur ar sariska gechilam. ar ekta chotto jayga Diggi jeta map pointing e kheltam khub. Diggi palace ta lokjon besi jay na.. kintu khub sundor legechilo.. ekhon hotel hoye geche jeta rajasthan er onek palace e hoye geche.. ami sure rajasthan er onno jaygay tumi gele segulo o amay print out korte hobe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ঊর্মি। উদয়পুরে গেলে লেকে বোটিং করিস আর আম্বরাইতে খাস। ডিগ্‌গি আমি যাইনি, নামও শুনিনি। পরে সুযোগ হলে যাব কখনও। তোর যাওয়া তিনটে জায়গার মধ্যে আমার ভরতপুর যাওয়া নেই, ইচ্ছে আছে খুব। দেখি কবে হয়।

      Delete
    2. ঊর্মিদেবী কি দীগ প্যালেসের কথা বলছেন, যেটা ভরতপুর থেকে আধঘন্টার দুরত্বে? আমি সেখানে গেছি। দীগের কেল্লার ভগ্নপ্রায় দশা, তবে প্যালেসটা এখনও ভালোই রয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের বেস্ট ছোটগল্প, খগমে দীগের একটা ওয়ান লাইন রেফারেন্স আছে।

      Delete
    3. hya thik bolechen apni Deeg palace e hobe..thank you.. ami bodhoy guliye felechi naam ta Kuntala di.. ami gechi 19-20 bochor age school e portam mone chilona.. tobe ekdom e bhogno dosha chilo na.. khub sundor chilo.. rani der pathor bosano surongo pothe snan korte jabar rasta ta khub mone ache.. khogom er route ei gechilam amra.. :)

      Delete
  5. kodin dhore eshe eshe tomar beranor golpo pore fellam. osombhob bhalo laglo ar tar sathe monta ekebare berai berai kore uthlo. kintu upay nei. Atka pore achhi ekkebare.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে সব আটকাই তো একদিন খুলবে, চুপকথা। তখন উশুল করে ঘুরো এই কামনা করি।

      Delete
  6. Udaipur er bazaar e dupatta ar kapor rong kore ... sheta dekhbaar moto shundor. Cityt palace beriye amader o oi ek e obostha hoyechilo ... shob cheye mojar legechilo palace er protyek tola te uthon ar taatey boro boro shob gaach.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিটি প্যালেস সত্যি বড় ভালো দেখতে, শর্মিলা, তার থেকেও বড় কথা, অসম্ভব সুসংরক্ষিত। বাজারে আমাদের যাওয়া হয়নি, উদয়পুর আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে পরে, তখন সুযোগ হলে যাব।

      Delete
  7. আহাহা বেড়ে লাগলো । ইতিহাসের গল্প এমন চমৎকার করে শোনাও ^_^

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত।

      Delete
  8. Krishna Bilas er itihas khana ki bhoyanok, baap re baap!

    ReplyDelete
    Replies
    1. বেশিরভাগ ইতিহাস এই রকমই বিম্ববতী।

      Delete

Post a Comment