একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান ও একটি বই





অমিতাভ ঘোষ জ্ঞানপীঠ পেলেন। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যেদিন ওঁকে পুরস্কার দিলেন তার পরদিনই অমিতাভ ঘোষের সাম্প্রতিকতম উপন্যাস ‘গান আইল্যান্ড’ আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল। 

জ্ঞানপীঠ দেওয়ার দিন পাস জোগাড়ের ঝামেলা ছিল তাছাড়া পুরস্কার নেওয়া কী দেখতে যাব, তার থেকে বই কিনে পড়লে লেখকের বেশি মর্যাদা করা হবে। বুক লঞ্চ উন্মুক্তদ্বার, আগে আসুন আগে বসুন ব্যবস্থা, চলে গেলাম দুজনে।

এত উৎসাহ অমিতাভ ঘোষ বলেই। যে ক’’জন লেখকের প্রায় সব বই আমাদের বাড়িতে আছে তাঁদের মধ্যে অমিতাভ ঘোষ একজন। এবং যে সব লেখকের প্রায় সব বই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও সেসবের প্রায় কোনওটিই আমি পড়িনি, তার মধ্যেও অমিতাভ ঘোষ একজন। বা একাই। ওঁর 'ক্যালকাটা ক্রোমোজোম' পড়ে সেই যে মাথা চুলকোনো ভাব হয়েছিল, বাকিগুলো আর পড়া হয়নি। তারপর বছর তিনেক আগে বেরোনো ওঁর নন-ফিকশন রচনা 'দ্য গ্রেট ডিরেঞ্জমেন্ট' পড়েছিলাম, ব্যস। 

আমরা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই চারপাশের সব খালি চেয়ার ভরে গেল। অর্চিষ্মানের পাশের খালি চেয়ারে শেষ মুহূর্তে একজন এসে বসলেন যাঁকে আমাদের দুজনেরই ভয়ানক চেনা লাগছিল। সে এক অসামান্য সাসপেন্স। ভদ্রলোক একেবারে পাশে বসে আছেন কাজেই ফিসফিস করে এটা কে এটা কে-ও করা যাচ্ছে না। একটাই ক্লু, উনি আইলে দাঁড়িয়ে এদিকওদিক তাকানোর সময় আমাদের পেছনের সারি থেকে একজন 'মিস্টার রায়না!' ডেকে তাঁকে অর্চিষ্মানের পাশের খালি সিটটার দিকে নির্দেশ করেছিলেন। ভদ্রলোক তখন চোখ গোল করে অল্প দৌড়ে আসার যে ভঙ্গিটা করেছিলেন, তাতেই আমার ওঁকে বেশ পছন্দ হয়েছিল। আর যাই হোন, রামগরুড়ের ছানা নন। তারপর আমরা দুজনেই ভীষণ লুকিয়ে গুগল করে দেখলাম যে উনি হচ্ছেন প্রসিদ্ধ অভিনেতা এম কে রায়না।

সাতটায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অমিতাভ ঘোষ এবং রঘু কারনাড মঞ্চে এলেন। রঘু কারনাড, যাঁকে সন্দেহ করেছেন তিনিই, গিরীশ কারনাডের ছেলে। গিরীশ কারনাড তখন সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তবু যে তিনি এই অনুষ্ঠানটির জন্য দিল্লি উড়ে এসেছেন সে জন্য আয়োজক এবং অমিতাভ ঘোষ দু’পক্ষই তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন।

আলোচনা 'গান আইল্যান্ড' নিয়েই হল। কিন্তু আলোচনা শুরু হলে ঘোষের মতো দীর্ঘ কেরিয়ার সম্বলিত লেখকের আগেকার লেখার কথাও এসে যায়, এলও। তারপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হল। সাবঅল্টার্ন সাহিত্য থেকে শুরু করে 'আফিমের গল্পগুলো কি স্রেফ ফিকশন নাকি লিখতে গিয়ে একটুআধটু…' সব রেঞ্জেরই প্রশ্ন হল। ব্যক্তিগতভাবে তো চিনি না, ওইটুকু সময় দেখে ঘোষবাবুকে ভালোমানুষ বলেই মনে হল, ভদ্রসভ্য স্বাভাবিক ব্যবহার, সেলিব্রিটিসুলভ গাম্ভীর্য একেবারে অনুপস্থিত। 

আলোচনা শেষে যেই না ঘোষণা হল এইবার লেখক বই সই করবেন যা ঘটল কহতব্য নয়। হলের বাইরে টেবিল থেকে সকলেই বই কিনেছে, পিল পিল করে ছুটে গিয়ে লাইন দিল। আমরা বই প্রি-অর্ডার করে রেখেছিলাম, লঞ্চের পরদিনই আমার অফিসে ডেলিভারি হয়ে যাওয়ার কথা, লেখকের সই শুদ্ধু, তাই ওই হুটোপাটির মধ্যে পড়তে হল না। ( প্রি অর্ডার না করলেও লাইন দিতাম না, কারণ লেখক তো বইয়ের প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি প্যারায়, প্রতিটি অক্ষরে তাঁর সই দিয়েই রেখেছেন।) শুধু সই করলেই হবে না, হ্যান্ডশেক করে আবার দু’চার কথা বলতে হবে। এত লোকের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে হলে, লোকে হাসুক আর যাই করুক, গ্লাভস পরে আসাই উচিত। 

*****

একটা জিনিস আগেও খেয়াল করেছি, লেখককে দেখলে, ইন্টারভিউ শুনলে বই পড়ার আগ্রহ জন্মায়। গান আইল্যান্ড আসার পরের তিনদিনে অর্চিষ্মান শেষ করল, তারপর আমি শুরু করলাম।

গল্পের পরিসর গ্লোবাল। দীননাথ, নিউ ইয়র্কে থাকা একজন পুরনো জিনিসপত্র বইপত্রের ব্যবসায়ী।  কলকাতায় এসে তিনি এক অল্পশ্রুত কাব্যের নায়কের কথা জানতে পারেন। বন্দুকী সদাগর। দীননাথ চাঁদ সদাগর জানেন, কিন্তু বন্দুকী? তাঁর খবরি তাঁকে খবর দেয়, বন্দুকী সদাগরের চাঁদ সদাগরের সঙ্গে অনেক মিল আছে, তাঁরও সারাজীবনের সংগ্রাম মনসাদেবীর সঙ্গে। বিশ্বাস না হলে দীননাথ গিয়ে দেখে আসতে পারেন, সুন্দরবনের গহন বনে সেই বন্দুকী সদাগরের ধাম বা মন্দির এখনও আছে।

দীননাথ হাজির হন সদাগরের ধামে। সেখানে নানারকম অদ্ভুত চিহ্ন আবিষ্কার করে। তারপর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে গল্প চলে সুন্দরবন থেকে ভেনিস। আরও নানা চরিত্ররা এসে হাজির হয়। ময়না, টিপু, রফি, চিনতা (বাঙালি চিন্তা নয়, ভেনেশিয়ান চিনতা), পিউ। এর মধ্যে বেশ কিছু চরিত্র যা বুঝলাম আগের সুন্দরবনকেন্দ্রিক হাংরি টাইড উপন্যাসেও ছিল।

একটা তত্ত্ব ঘোষ ইন্টারভিউতেও বলেছিলেন, বইতেও লিখেছেন। ব্যাপারটা আমার মাথায় আগে আসেনি কথাটা তাই ভারি চমৎকৃত হয়েছি। চাঁদ সদাগর আর মনসা, বা  বন্দুকী সদাগর আর মনসার দ্বন্দ্বটা যেমন মানুষ-দেবতার সংঘর্ষ হিসেবেও দেখা যেতে পারে তেমনি পুঁজি বনাম প্রকৃতির লড়াই হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

অমিতাভ ঘোষ  'দ্য গ্রেট ডিরেঞ্জমেন্ট' বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন যে ক্লাইমেট চেঞ্জ, জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিশ্বজোড়া সমস্যা, রাজনীতি, কূটনীতি, বিজ্ঞান, মানুষের জীবন, জীবিকা, মরণবাঁচনে থাবা ফেললেও সাহিত্য আশ্চর্যজনক রকম গা বাঁচিয়ে থাকতে পেরেছে।

"....when the subject of climate change occur in these publications, it is  almost always in relation to nonfiction; novels and short stories are very rarely to be glimpsed within this horizon. indeed , it could even be said that fiction  that deals  with climate change is almost by definition not of the kind that is taken seriously  by serious literary journals: the mere mention of the subject is often enough to relegate a novel or a short story to the genre of science fiction. it is as though in the literary imagination climate change were somehow akin to extraterrestrials or interplanetary travel. 

...

But why? Are the currents of global warming too wild to be navigated in the accustomed barques of narration? But the truth, as is now widely acknowledged, is that we have entered a time when the wild has become the norm: if certain literary forms are unable to negotiate these torrents ,then they will have failed and their failures will have to be counted as an aspect of the broader imaginative and cultural failure that lies at the heart of the climate crisis." (The Great Derangement: Climate Change and The Unthinkable, Amitav Ghosh)

'গান আইল্যান্ড'-এ তিনি সাহিত্যের এই খামতিকে পূরণ করার সমস্ত চেষ্টা করেছেন। বন্দুকী সদাগরের মিথ ছাড়াও  সুন্দরবনের দ্রুত বদলে যাওয়া পরিবেশ, সেখানকার মানুষজনের দুর্দশা, পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে একইরকম পরিবেশ ও জলবায়ুসংক্রান্ত দুর্ঘটনা, সামুদ্রিক প্রাণীদের মৃত্যু, পরিবেশগত উদ্বাস্তুদের দেশ থেকে দেশে মাথা কুটে ফেরা, এই সমস্ত বিষয় গান আইল্যান্ড -এ এসেছে।

গান আইল্যান্ড-এর রিভিউতে অধিকাংশ রিভিউয়ার বইটির অনাকর্ষণীয়তার পেছনে এজেন্ডার ঘনঘটাকেই দায়ী করেছেন। প্রাথমিকভাবে কথাটা আমারও মনে ধরেছিল। আমি নিজে নাটকনভেলে এজেন্ডার ঘোর বিরোধী। গল্প পড়তে বসে যদি বোঝা যায় লেখক গল্প বলা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য (সাধারণতঃ মহৎ) নিয়ে লিখতে বসেছেন তার থেকে গল্প মাটি করার আর সহজ রাস্তা আর কিছু হয় বলে আমার জানা নেই।

গান আইল্যান্ড-এর সঙ্গে সমস্যাটা খানিকটা এটাই ঘটেছে তাও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটার সমাধানটা কী হবে সেটা নিয়ে আমার মতের কিঞ্চিৎ বদল ঘটেছে। লেখকের এজেন্ডা থাকেই, না থাকাটা অসম্ভব বলেই বুঝেছি। যে বিষয়ে মতটা বদলায়নি সেটা হচ্ছে গল্পের থেকে সেই এজেন্ডা বড় হয়ে ওঠার অসুবিধেটায়। একটা যদি শক্তপোক্ত প্লট থাকে যে নিজের কাঁধে লেখকের বক্তব্য, এজেন্ডা বয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলেই ল্যাঠা চুকে যায়। গান আইল্যান্ডে সেটারই অভাব ঘটেছে। 

গান আইল্যান্ড-এর প্লটটি যথেষ্ট জোরালো নয়। ঘটনার ঘনঘটা আছে, সাপ, সংকেত, পুরাণ ইত্যাদি নানারকম রোমহর্ষক উপাদান আছে কিন্তু কোনওটাই দানা বাঁধেনি। এর একটা কারণ আমার মনে হয় চরিত্রের খামতি। ঘটনার ঘনঘটা পাঠককে টেনে রাখতে পারে কিন্তু একমাত্র তখনই যখন সেই ঘটনা যাঁদের সঙ্গে ঘটছে, অর্থাৎ গল্পের চরিত্রদের প্রতি পাঠকদের মাথাব্যথা থাকে। গান আইল্যান্ডে চরিত্র প্রচুর কিন্তু কারও সঙ্গেই পাঠকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। পিউ, চিনতা, গল্পের অনেকখানি জায়গা জুড়ে থাকা চরিত্রদের কেবল প্লট ডিভাইস বলে বোধ হয়। অন্যদিকে টিপু এবং রফি, যে দুটি চরিত্রের প্রতি (এবং এই দুজনের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতিও) পাঠকের কৌতূহল জাগাতে সক্ষম হন লেখক, তারা মাঝে মাঝেই গল্প ছেড়ে হাওয়া হয়ে যায়, আবার কখন ভুস করে ভেসে উঠবে বলে।

এই গল্পটা যদি টিপুর হত কিংবা রফির বা ওদের দুজনের, আমি গোগ্রাসে পড়তাম, গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। কিন্তু এখানে অমিতাভ ঘোষ গল্পের কেন্দ্রে রেখেছেন দীননাথকে। যে উত্তম পুরুষে গোটা গল্পটা বলে। উত্তম পুরুষে গল্প বলার সুবিধে যেমন আছে (চট করে বক্তার সঙ্গে একাত্ম হতে পারা), অসুবিধেও আছে। অসুবিধে হচ্ছে 'আমি' 'আমি' করে গল্প বললে অজান্তেই পাঠক সেই চরিত্রটিকে গল্পের নায়ক বলে ভেবে নেয় এবং তার থেকে নায়কোচিত কাণ্ডকারখানা আশা করে। এখানে কাণ্ডকারখানা বলতে আমি বলছি না যে সেই চরিত্রটিকে একা একশো গুণ্ডাকে ঢিট করতে হবে। সে যদি আমার মতো নিড়বিড়েও হয়, পাঠক আশায় থাকে যে গল্পের সেরা ভাগ্যের মার অন্তত বাকিদের ছেড়ে তার ঘাড়েই পড়বে। 

দীননাথ সেই রোলে একেবারে ফেল। গোটা ঘটনায় ভদ্রলোকের বিশেষ স্টেক নেই, গোটাটাই শখে। চরিত্রটিও ভারি নিরুৎসাহ এবং নিরুদ্যমী গোছের। এর প্রতি রাগ, অনুরাগ, বীতরাগ, কোনও অনুভূতিই জোরালো হয়ে জাগে না।


Comments

  1. Besh interesting review.
    Amitav Ghosh er kichhu boi porechhi, bhaloi legechhe. Ei boitao pore felbo tahole :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইটার রিভিউ বিশেষ সুবিধের নয় কিন্তু, অরিজিত। অমিতাভ ঘোষের অতি বড় ভক্তরাই বলছেন। তবে লাইব্রেরিতে পেলে লাফিয়ে পড়ে ফেলুন।

      Delete
    2. haan. ejabot Ghosh babur je koti boi porechi, sob kotai libraty theke niyei, Kuntala. :)

      Delete
    3. খুবই ভালো করেছেন, পৃথিবীর সব বই যে কেন লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় না...।

      Delete
  2. "Hungry Tides" amar khub bhalo lageche. Onek din age Calcutta Chromosome o porechilum khub bhalo lagechilo. Apni hoito ar ekbar pore dekhte paren. Onek boi bivinno somoye porle bivinno onubhuti hoi. Ami jokhon prothom "Gora" porechilum tokhon amar boyesh chilo 12-13, khub ekta bhalo lage ni. Goto bochor ami abar "Gora" pori. Boi-er govirotai mughdo hoye gelum. Asole age jokhon porechilum amar tokhon "Gora"porbar boyesh hoini. Obosho "Gora"-r songe "Calcutta Chromosome" er kono tulona korchi na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা ঠিকই বলেছেন, ঘনাদা। বইয়েরও স্থানকালপাত্র থাকে। আচ্ছা ঘোষবাবুকে আরেকবার কালটিভেট করে দেখব।

      Delete
  3. অমিতাভ ঘোষের লেখার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় বি.এইচ.ইউ-এ পড়ার সময়। লাইব্রেরি থেকে নিয়ে পড়েছিলাম 'শ্যাডো লাইন্স'। সেই যে আমি ভদ্রলোকের ইংরেজির প্রেমে পড়লাম, সে আর ঘুচল না। 'দ্য ক্যালকাটা ক্রোমোজম' পড়ে বুঝভুম্বুল হয়েছি। 'ড্যান্সিং অ্যাট কম্বোডিয়া, অ্যাট লার্জ ইন বার্মা' পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। 'দ্য ইমাম অ্যান্ড দ্য ইন্ডিয়ান' পড়ে চমকে গেছি। 'দ্য সার্কল অফ রিজন' পড়ে স্তম্ভিত হয়েছি। কিন্তু 'কাউন্টডাউন' থেকে আমার মেল্টডাউন শুরু হল। ওই সময়েই ভদ্রলোক গল্প ছেড়ে এজেন্ডায় ঢুকে পড়লেন। তারপর কয়েকটা পড়ার চেষ্টা করেছি - অপ্রয়োজনীয় চরিত্র আর এসোটেরিক তথ্যের ভিড়ে গল্প মেলার ভিড়ে শিশুর মতো হারিয়ে গেছে দেখে হতাশ হয়েছি। এখন আর পড়ি না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অমিতাভ ঘোষের লেখার সঙ্গে তো আপনার রোলার কোস্টার অভিজ্ঞতা দেখছি, ঋজু। যে বইগুলোর নাম বললেন কোনওটাই আমার পড়া নেই, তবে ওই ইমাম-টা পড়ার ইচ্ছে আছে। দেখি এ মাসেই শুরু করব।

      Delete
  4. তবে যাই বলুন এটা একটা মনে রাখার মত ঘটনা। সুনীল বাবু বোধহয় একবার বলেছিলেন অমিতাভ তো ইংরেজিতে বাঙলা উপন্যাস লেখেন।মানে সম্মান করেই বলেছিলেন।

    ReplyDelete

Post a Comment