লেটলতিফ





আমরা সবাই আইডেন্টিটির ভেন ডায়াগ্রামের অনেকগুলো কাটাকুটির মধ্যে বাস করি। অনেকগুলো ইনটারসেকশনের সুবিধে পাই, অসুবিধে ভোগ করি। সে সব সুবিধেঅসুবিধের কিছু কিছু জন্ম থেকে আমাদের সঙ্গে সেঁটে যায়, কিছু আমরা অর্জন করি।

একটা পরিচিতি শুধু যেচে আসে। কখন আসে, টের পাওয়া যায় না।

সংযোগের নবতম প্ল্যাটফর্ম টেকনোলজি বাকিদের থেকে সাড়ে তিনমিনিট আগে ফিগার আউট করে ফেলে যে যুবক বলে ওঠে, মে বি বিকজ আই অ্যাম ইয়ংগার? হিউম্যান রাইটস নিয়ে উত্তেজিত তরুণীটি যখন বলে ওঠে, বুড়োদের দিয়ে কিছু হবে না, টু সেট ইন দেয়ার ওয়েজ। যুদ্ধ থামাবে শিশু কিশোর যুবকরা, বিশ্বশান্তি আনবে তারাই, বুড়োগুলোকে হাটাও, খালি পথের মাঝে দাঁড়িয়ে দেরি করিয়ে দেওয়া ছাড়া ওদের আর কিছু করার নেই,  মনে মনে ভাবি, আমাকে বলছে নাকি?

একটা সময় আসে যখন সময়ের কেরামতিটাই সব ইন্টারসেকশন গ্রাস করে নেয়। আর এই গ্রাসের প্রক্রিয়া আয়নায় যেমন করে ফোটে তেমন আর কোথাও ঘটে না। ওই একফালি কাঁচে মহাকাল যেমন ঘনায় তেমন আর কোথাও ঘনায় না।

এবারের চার নম্বরের গল্প 'লেটলতিফ' সেই ঘনানোর গল্প। আর একফালি কাঁচের। লিখে আমার ভালো লেগেছিল। পড়ে কেমন লাগল জানাবেন। 


Comments

  1. খুব ভাল লাগল, এর বেশি কিছু বলার যোগ্যতা আমার নেই। শুধুমাত্র আয়নার এগ্জিবিশনের কনসেপ্টটা নতুন পড়লাম। এরকম সত্যিসত্যি কিছু দেখেছেন নাকি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রকম বাজে বিনয়ের বিরোধিতা জানিয়ে গেলাম। আপনার যদি সত্যি ভালো লাগে তাহলে খুব কম লোকের ভালোলাগাই আমাকে তার থেকে বেশি ভালোলাগা/আশ্বাস দেবে। দাবিটা সত্যি আপনি জানেন।

      দেখিনি, কিন্তু আয়না ঢোকাতে হত গল্পে, আর মনে হল এ রকম প্রদর্শনী হলে আমি দেখতে যাব। তাই লিখে দিলাম।

      Delete
    2. না সত্যিই খুব ভাল আর অভিনব আইডিয়া। আমার ভাল লাগল। কাঁচের জিনিসের মিউজিয়াম দেখেছি একটা, কিন্তু শুধু আয়নার নয়। আর গল্পে যেখানে প্রথম মানুষের প্রতিবিম্ব দেখার বর্ণনা দিয়েছেন ওটাও খুব সুন্দর হয়েছে।

      Delete
    3. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. চুল কাটাতে গেলে দেখতাম পিছনের আয়নায় সামনের আয়নার ছবি পড়ে আর সেই ছবির ভিতরে আবার পিছনের আয়নার ছবি, এরকম চলতেই থাকে আর দেখতে দেখতে কখন কাটা শেষ হয়ে যায়।আপনার এবারের লেখায় এই ব্যাপারটা খানিকটা আছে।ভালো লেগেছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, নালক। ওই আয়নার খেলাটা চমৎকার। আমি খুব একটা উপভোগ করতে পারি না, কারণ চুল কাটতে গেলে চশমা খুলে রাখতে হয়। আপনার নামের গল্পটা শুরু করেছি। যদি কেউ ছাপে, লিংক দেব।

      Delete
  3. খুব ভাল লিখেছ গো ... ��

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ঊর্মি।

      Delete
  4. অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার। খুব পছন্দের লেখক হয়ে উঠছেন আপনি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক। ধন্যবাদ সপ্তর্ষি। মন ভালো করে দিলেন আপনি।

      Delete

Post a Comment