প্রেম ও পলিটিক্স



আজ ফোনের বিষয়ে নতুনত্ব থাকবে জানতাম। কারণ বাবা ভোট দিতে যাবেন। গেছিলেন। দিয়ে এসেছেন। চাপা উত্তেজনা ছিল। ইউটিউব খুললেই আনন্দবাজার অনলাইনের রক্তবর্ণ থাম্বনেল জুড়ে হিংস্রতার হেডলাইন। এক প্রার্থীর মুখের পাশে ‘বুথ দখলের অভিযোগ জানালেন অমুকে,’ আরেক প্রার্থীর মুখের পাশে, ‘বুথ দখলের অভিযোগে কেঁদে ভাসালেন তমুকে।’

বোনাস কুইজঃ দুই প্রার্থীতে কী তফাৎ বলুন দেখি?

বলতে পারেন, আহা তমুকে হয়তো সত্যি কেঁদেছে। হয়তো কেঁদেছে। “ভাসায়নি” সার্টেনলি। আর প্রথম প্রার্থীর থাম্বনেলে যে রকম মারমুখো ছবি, বুথদখলের অভিযোগে ছাদ ফাটালেন, কাকচিল তাড়ালেন, পাড়া মাথায় তুললেন ইত্যাদি হেসেখেলে লিখে দেওয়া যেত।

লেখা হয়নি।

যাকগে মরুকগে। ভাবলাম অনেকদিন পাড়ার ভোট দেখিনি, হয়তো ভাবগতিক বদলেছে, হয়তো আমাদের নিভন্ত পাড়া ঝাড়াপাড়া দিয়ে উঠেছে। বোমাবাজি না হোক, মাথা ফাটাফাটি হয়েছে।

হয়নি। বাবা জানালেন, আমাদের পাড়া একই রকম বোরিং রয়ে গেছে। দুপুর নাগাদ নাকি খিচিরমিচির শুরু হয়েছিল, মৌখিক, সেটুকুতেও বৃষ্টি নেমে আক্ষরিক জল ঢেলে দিয়েছে।

আমার স্মৃতিতে ভোট ছিল আড্ডা মারার ছুতো। সকাল হতে না হতে, 'যাই ফাঁকায় ফাঁকায় দিয়ে আসি'র ছুতোয় পাড়াশুদ্ধু লোক ভিড় জমাত আমাদের বাড়ির ঠিক তিনটে বাড়ি পরের প্রাইমারি স্কুলে। ছোট্ট স্কুলের পুঁচকে মাঠের মাঝখান দিয়ে লাইন, লাইনে দাঁড়িয়ে যে যার আনন্দবাজার আর প্ল্যাটফর্মে পেরেক মারা গণশক্তিসঞ্জাত রাজনৈতিক বীক্ষা উজাড় করে দিত, দুপাশের জমিতে আমরা ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতাম, খেলতে খেলতে লাইনের মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে দৌড়োদৌড়ি।

রোদ থাকত। আর মেলা মেলা ভাব।

কয়েকবছর কাটতে কাটতে, ভোটাধিকার প্রাপ্ত হতে তখনও বছরখানেক, ভোট দিতে যাওয়ার উৎসাহ আমার উপচে পড়তে লাগল। না, এর সঙ্গে রোদ্দুর, মেলা ইত্যাদির সম্পর্ক নেই, রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষের তো নেইই। অধিকাংশ লোকেরই যেমন হয়, বাড়ির সবাই যা বলে, ভাবে, মানে, আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল সেই পদাংক অনুসরণ করে। বাড়ির রাজনীতির ধাঁচ ছিল নঞর্থক। অর্থাৎ কোনও একটি পার্টিকে কষে সাপোর্ট করার বদলে আমরা একটি পার্টির কষে বিরোধিতা করতাম।

আমার ভোট দিতে যাওয়ার উদগ্র আগ্রহের যে বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, সেটা হল প্রেম। অপূর্ণ, অপ্রাপণীয় প্রেম।

প্রেমের গন্তব্য ছিলেন পাড়ার এক চশমাপরা দাদা। দাদা জিনসের ওপর হাতাগোটানো পাঞ্জাবী পরতেন, আবছা দাড়ি রাখতেন, সুমনের গান শুনতেন, লাইব্রেরির জন্য চাঁদা তুলতেন, ঘোর নাস্তিক হয়েও 'তুই না হলে আর কে করবে?' ঝুলোঝুলিতে ক্ষান্ত দিয়ে অষ্টমীর রাতে কুইজ পরিচালনা করতেন, ভোটের আগে মিছিলে হাঁটতেন, স্লোগান দিতেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্লিপ কাটতেন, বাবামায়ের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করতেন, টুকরো হাসি ছিটকে উঠত।

অস্তিত্বের সমস্তটুকু দিয়ে সেই হাসি আমি শুষে নিতাম। অফ কোর্স, অকুস্থলের ত্রিসীমানায় না থেকে। পারলে খাটের তলায় সেঁধিয়ে থেকে। দাদা চলে গেলে, খাটের তলা থেকে বেরিয়ে, বিশ্বচরাচরজোড়া সে হাসির প্রতিধ্বনি লুপে চালিয়ে রেখে টেলিফোন ডিরেক্টরি খুলে বসতাম। কারও কারও কি স্মৃতিতে আছে সে জিনিস? কলকাতা টেলিফোনের আওতায় তেত্রিশ কোটি মুখার্জি/মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে থেকে আমাদের পাড়ার ঠিকানা মিলিয়ে দাদার ফোন নম্বর খুঁজে বার করার সংকল্প নিয়ে। সফলও হয়েছিলাম সে সংকল্পে।

না। নম্বরটা কাউকে জিজ্ঞাসা করা যেত না। খেপেছেন? তাছাড়া ফোননম্বর খুঁজে, কণ্ঠস্থ করেছি বলে তো আর সত্যি সত্যি ফোন করব না। তারপর দাদা ফোন তুলে 'হ্যালো' বললে যে হার্টফেলটা হবে, তার দায়িত্ব কে নেবে? পরীক্ষার পড়া চুলোয় দিয়ে, চশমার পাওয়ার বাড়িয়ে ডিরেক্টরি খুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেগার খাটার পাগলামিটাই (ছাগলামিই বলা উচিত) আমার প্রেমের অনুশীলন, প্রাপ্তি।

পাড়ার লোক, কাজেই দেখা হওয়া এড়ানো যেত না। রাস্তাঘাটে, পুজো প্যান্ডেলে, রসুনজয়ন্তীর মঞ্চে প্রভূত কৌশলেও 'কীরে সোনা কেমন আছিস'-এর প্রাণঘাতী মুহূর্তের খপ্পরে পড়তে হত। 'ভালো, তুমি?' জাতীয় স্বাভাবিক কথোপকথন চালাতে হত। সে যন্ত্রণা যে না ভুগেছে সে জানে না।

কিন্তু যেচে যন্ত্রণাভোগ প্রেমের পূর্বশর্ত। কাজেই ভোট দিতে যাওয়ার জন্য আমি ডাঙায় তোলা কইমাছের মতো ছটফট করতাম। ভোটের দিনের সুবিধে - অনেকের মধ্যে মিশে থাকা যাবে, দাদা ব্যস্ত থাকবেন, আমাকে সরাসরি মনোযোগ দেবেন না। আর সেই সুযোগে আমি দাদার দৃষ্টি আকর্ষণ না করে তাঁর একশো হাতের মধ্যের কমন বাতাসে শ্বাস নেওয়ার স্বর্গীয় প্রিভিলেজ উপভোগ করব। লাইন যত লম্বা, লাভ তত বেশি। তারপর ঘরে ঢুকে পর্দার আড়ালে গিয়ে ভোট দিয়ে একই সঙ্গে মুক্তি এবং মরে যাওয়ার ফিলিং।

গোটা ঘটনাটায়, প্রত্যাশিতভাবেই, ইন্টারেস্টিং অংশটুকু প্রেম নয়। সেটা ভোটের অংশটুকু। আমার ধাত অ্যাদ্দিনে নির্ঘাত ধরে ফেলেছেন অবান্তরের পাঠকরা, বুঝে ফেলেছেন যে আমার অনুরাগ আজীবন একটি বিশেষ টাইপের প্রতি ধাবিত হয়েছে, যে টাইপের দশের মধ্যে ন’জন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয় নেতা, নয় কর্মী, নিদেনপক্ষে সমর্থক।

সেই পার্টির, যার বিরোধিতা আমি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হয়েছি।

কাজেই সারাসকাল দাদার জন্য লাইন লাগিয়েও, ভোট আমি দিয়ে আসতাম সম্পূর্ণ অন্য দলকে। এবং না, এ আচরণকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে মনে ঠাঁই দিতাম না। প্রেম আপাদমস্তক রাজনৈতিক। কিন্তু সে রাজনীতি দলাদলির সংকীর্ণতায় বাস করে না। পরবর্তী জীবনেও এ জিনিস বারংবার ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমিক, যে কিনা সেই দলটির সক্রিয় ছাত্রকর্মী ছিল, প্রতিবার ভোটের আগের দিন বলত, তোকে তো বলে লাভ নেই, তুই তো ভোট দিবি না। যে ক’টা গুণের জন্য আমার তার প্রতি প্রেম জেগেছিল, রাজনৈতিক মতামতের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা তার মধ্যে অন্যতম।

ভোটের কথা উঠল আর আমার দাদার কথা মনে পড়ল।

সিকি সেঞ্চুরি বাদে গোপন প্রেম উন্মুক্ত হলে কাঁচকলা, তাছাড়া পাড়ার একজন র‍্যান্ডম লোকের নাম ধরে খোঁজ নিলে শিবের বাবার পক্ষেও তার প্রতি প্রাচীন প্রেমের আঁচ পাওয়া অসম্ভব, তবু কেন যেন নিজের বাবার সামনে আমি আমার দাদাটির নাম মুখে আনতে পারলাম না, অন্য এক সমসাময়িক দাদার নাম নিলাম।

আচ্ছা বাবা, বুথে অমুকদারা বসে এখনও?

ধুর, ওরা বসবে কি। ওরা এখন কত সিনিয়র। বুথে বসে চব্বিশপঁচিশের ইয়ং ছেলেরা।

বাকি কথা সেরে ফোন রেখে জানালার বাইরে তাকিয়ে বসে রইলাম। আমার বুড়ো হওয়াটা কত সহজে হেসেখেলে মেনে নিই দু’বেলা। আমার প্রেমেদের বয়স বাড়ার সত্যিটা এত অবিশ্বাস্য লাগে কেন, ভাবতে লাগলাম বসে বসে।

Comments

  1. Onek golpo mone porlo, voter din amader paray konodin jhamela dekhini, amar besh bhalo lagto vote ele.
    tobe tomar memory ta special .. khub moja laglo pore..

    ReplyDelete
    Replies
    1. 🙂স্পেশাল কি না বল, ঊর্মি? আমাদেরও চিরকাল নির্ঝঞ্ঝাট ভোট। কাজেই উপভোগ্য। ম

      Delete
  2. এইবার ভোটের দিন আমি কলকাতায় ছিলাম। দেখলাম পরের দিন বিজেপি বন্ধ ডেকেছিল। আমার তো কলকাতায় ভোট নিয়ে বিশেষ কিছু স্মৃতি নেই। তবু ঝামেলা হয় না শুনে ভালো লাগলো। তবে কলকাতায় ট্যাক্সিওয়ালা,উবের ইত্যাদি কি ঝগড়াঝাঁটি করে দেখে অবাক হলাম একটু। সামান্য সামান্য ব্যাপারে কি খারাপ কথা চালাচালি হলো।

    বাকি বইমেলায় গেলাম বহু বছর পরে। আপনার বইও কিনলাম। :)

    আপনার ছোটবেলার প্রেমের নাকি ক্রাশ এর গল্প দারুন লাগলো। এরকম কিছু আমার সাথেও হয়েছিল কখনো। :)

    খুব খুব ভালো থাকবেন

    ইন্দ্রানী

    ReplyDelete
    Replies
    1. বইমেলাআআআআআআ 😭😭😭😭। কী হিংসে করলাম আপনাকে, ইন্দ্রাণী। জানি জুলুম করছি, কিন্তু মেলায় কী খেলেন আর কী দেখলেন, প্লিজ বলবেন আরেকবার কমেন্ট করে।

      আমার বইটা আপনার কাছে থাকতে পছন্দ করবে, কাজেই থ্যাংক ইউ।

      আপনিও ভালো থাকবেন ভীষণ। আপনার মতো বন্ধুদের ভালো থাকা আমাকে ভালো রাখে। সত্যি বলছি।

      (কী খেলেন বলবেন কিন্তু।)

      Delete
    2. বহু বহু বছর পরে এবার বইমেলায় যাওয়া হলো। দুবার যেতে পারলাম। কি ভালো যে লাগলো।

      বাংলাদেশ এবারে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো। অনেকগুলো ষ্টল ছিল। খুব ভালো লাগলো বইয়ের কালেকশন দেখে। ৬৪ জেলার উপর আলাদা আলাদা ভ্রমণ সংক্রান্ত বই ছিল একটি স্টলে। আমার ইচ্ছে ছিল দঁড়িয়ে দঁড়িয়ে যতটা সম্ভব পড়ে ফেলা। কিন্তু খুব ভীড় আর তেমন কম জায়গা। বই দেখা বেশ অসুবিধে। পরের দিন অবশ্য দুপুরে গেছিলাম - তখন একটু কম ভিড় ছিল

      আনন্দর ষ্টল একদম ভালো লাগেনি। ষ্টল এর দেয়াল ঘিরে অল্প কিছু বই আর তেমনি ভিড়। মাঝখানে অদ্ভুত প্লাষ্টিক দিয়ে ঘিরে একটা বুলেটপ্রুফ টাইপ রুম এর মধ্যে থেকে বই কেনাকেনি হচ্ছে। পুরো মুড অফ। এক ভদ্রমহিলা ছোট মেয়েকে পাশে নিয়ে একটা লিস্ট থেকে পড়ে পড়ে বই আছে কিনা জিজ্ঞেস করছিলেন। আমি থাকা অবধি অন্তত ২০টা বই এর মধ্যে উনি একটাও পেলেন না

      দেব সাহিত্য কুটির, দীপ প্রকাশন, পত্রভারতী এবং আরও অনেক ষ্টল ভালো লাগলো। সৃষ্টিসুখ এর ভদ্রলোক চালভাজা খাচ্ছিলেন। আপনার বই যত্ন করে দিলেন খাওয়া থামিয়ে।

      শেষে আমিও পালিয়ে গেলাম। ব্যাগ ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়ে। ভালো রকম এক্সসেস ব্যাগেজ দিতে হলো এয়ারপোর্টে।

      এবার খাওয়ার ব্যাপার। প্রচন্ড বয়েস হয়ে গেছে বুঝলেন। শুধু চা আর জল খেয়েছি। আর কিছু খেয়ে উঠতেই পারলাম না। কিছুটা রোদ গরম, কিছুটা নিরামিষ নোনতা তেমন কিছু ছিল না আর কিছুটা আত্মীয় স্বজন বন্ধুরা তাদের বাড়িতে এতো খাওয়ালো। শুধু বইমেলা নয় , কলকাতার ৫ দিনের ট্রিপে কিছু মাত্র জাঙ্ক ফুড খাওয়াই হলো না। পরের বার হোটেলে থাকবো। :)

      The Elgin FairLawn বলে একটা হোটেলের রেস্টুরেন্ট এ খেলাম। ১৭৮৩ সালের হোটেল - sudder স্ট্রিট এ। খুব ইচ্ছে আছে একবার ওখানে থাকার

      খুব খুব ভালো থাকবেন

      ইন্দ্রানী

      Delete
    3. ইন্দ্রাণী, আপনি যে এত যত্ন করে, এত টাইপ করে, আমাকে বইমেলার গল্প শোনালেন, এ জন্য দেখা হলে কোলাকুলি হবে।

      বইমেলায় দু'দু'বার! মজা হয়েছে জেনে খুব খুশি হলাম। খাওয়া হয়নি একদিক থেকে ভালো, পরের বছর ওই না-হওয়াটা মেটাতে আবার বাধ্যতামূলক যেতে হবে। আর হ্যাঁ, আত্মীয়স্বজনদের বলতে হবে যে বইমেলার অখাদ্যকুখাদ্য প্রায়োরিটি পাবে, কাজেই সমঝে খাওয়াও।

      আনন্দ-র দোকানে মেয়ের মায়ের হাতের লিস্ট অনেক কিছু মনে করাল। থ্যাংক ইউ।

      😀রোহণকে চালভাজার কথাটা বলব তো। রোহণের এই গুণটা কনস্ট্যান্ট। যা করে যত্ন করে করে।

      এলগিন ফেয়ারলন- টু ডু লিস্টে লিখে রাখলাম।

      আপনিও ভীষণ ভীষণ ভালো থাকবেন। অনেক বই পড়বেন।

      Delete
  3. আমার প্রথম ভোট ছিল। 😁

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাবাগো আধিরা, তুমি কত ছোট (বয়সে, আর কোনও দিক থেকে নয় কিন্তু) যতবার রিয়েলাইজ করি, শিউরে শিউরে উঠি।

      কিন্তু এত ছোট একটা মানুষ যে আমাকে এখনও বুড়োহাবড়া বলে হাঁকিয়ে দেয়নি, এটাও কলার তোলায়।

      আশা করি নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছ। প্রত্যেকবছর গটগটিয়ে গিয়ে ভোট দাও, নিজের মত মাথা উঁচু করে প্রকাশ কর, এই কামনা করি।

      Delete
  4. খুব সুন্দর লাগলো এটা পড়ে, আর পুরো নস্টালজিক হয়ে গেলাম। "স্বাভাবিক কথোপকথন" এর যন্ত্রনা সবাই পেয়ে থাকবে নিশ্চই, কখনো না কখনো।

    "প্রেমেদের বয়স বাড়ার সত্যিটা" - না, এটা একদন সত্যি নয়। ওটা বাড়ে না (যদি না একসাথে থাকো - একসাথে থাকলে বা দৈনন্দিন যোগাযোগে থাকলে, অন্যরকম)।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, একসঙ্গে থাকলে সেটা আর প্রেম থাকে কি না সেটা আরও গোড়ার একটা প্রশ্ন হতে পারে কিন্তু রাজর্ষি। গোড়ার এবং গোলমালের। কাজেই এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

      হ্যাঁ, ওই অপ্রকাশিতব্য প্রেমের যন্ত্রণা বিশ্বজনীন বলেই মনে হয়। এবং হয়তো ও যন্ত্রণা কখনও না কখনও পাওয়াই ভালো।

      Delete

Post a Comment