কাঠমান্ডু ৩ঃ নাগরকোট
নাগরকোট জনপ্রিয় কিন্তু ছোট্ট জায়গা। একটা চৌমাথামতো জায়গায় গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারজি বললেন, অব কিস তরফ?    হোটেলের নাম বললেই যে সবাই ফস করে সব চিনে যাবে সে রকম আশা করবেন না। কারণ নেপালে হোটেল থেকে ওষুধের দোকান থেকে রেস্টোর্যান্ট থেকে জুয়ার আড্ডা থেকে বইয়ের দোকান - সবেরই নাম হয় এভারেস্ট নয় হিমালয় বা হিমালয়ান। নাগরকোটের বিখ্যাততম হোটেল হিমালয়ান ক্লাব। ড্রাইভারজি তার সামনেই গাড়ি থামিয়েছেন। আমরা যাব হিমালয়ান গ্লেসিয়ার-এ। অর্চিষ্মান নেমে এদিকওদিক তাকাল। ওই তো।    হিমালয়ান গ্লেসিয়ার-এর একতলার ডাইনিং রুমের একদিকের দেওয়াল পুরো কাচ, কাচের ওপারে ভিউ। কিন্তু আমরা কাচ দিয়ে ভিউ দেখতে চাই না, ভিউ-র ভেতর সশরীরে গিয়ে পড়তে চাই।    ভাইসাব বললেন, ভালো ঘর বেছেছেন, ভিউ পাবেন। অর্চিষ্মান আরও দু’ইঞ্চি লম্বা হয়ে গেল, আমি আরও দু’ইঞ্চি কুঁকড়ে গেলাম।    ঘর আরামদায়ক্, পরিচ্ছন্ন, মাপমতো সাজানো। বারান্দার চেয়ারটেবিলে বসে তাকালে জঙ্গল, খাদ আর দিগন্তে হিমালয়।    যদি অবশ্য হাওয়া পরিষ্কার থাকে। এখন হাওয়া পরিষ্কার নয়। ভিউ বলতে কুয়াশাবৃত শূন্যতা। মন খারাপ করতে চাইলে করাই যায়। এভারেস্ট যদি ছেড়েও দিই, অন্নপুর্ণার পিক না ...