Posts

Showing posts from 2025

পুজো ২০২৫

পঞ্চমী দুপুরে কেনাকাটা করতে গেছিলাম। অর্চিষ্মানের জন্য একটা গাঢ় বাদামী টি শার্ট কেনা হল আর একটা ফেডেড ডেনিমের শার্ট - ফুলহাতা। সপ্তমী ও দশমীতে অর্চিষ্মান ওই শার্টটা পরেছিল, অবভিয়াসলি হাতা গুটিয়ে, এবং অতীব সোন্দর প্রতিভাত হইতেছেল। বাড়ির জিনিসপত্রও কিনলাম। গ্লাস ভাঙতে ভাঙতে তিনটেয় এসে ঠেকেছে। আমরা বোতল থেকে জল খাই, আমাদের বাড়িতে ন’মাসে ছ’মাসে যে সব ভালোমানুষেরা আসেন, যদি আসেন, বোতল থেকেই জল খান। আরে গ্লাস দরকার নেই, বোতল নিয়ে আয়। ভান করি যেন বোতল আনা ছাড়া আমাদের বিকল্প আছে। কিন্তু এনাফ ইজ এনাফ। যত বোহেমিয়ানই নিজেদের ক্লেম করি না কেন, গ্লাসহীন বাড়িতে থাকা বাড়াবাড়ি। গ্লাস কেনা হল, বালিশের ওয়াড়। শপিং করা আমাদের কাছে সাত হাত মাটি কোপানোর সমান। হোমস্টপ না কী একটা দোকান, কোটি কোটি কাপ প্লেটের মধ্যে কোটি কোটি সেলসপিপল। আমরা একতলা দু'তলা ঘুরে গ্লাস কিনছি, বালিশের ওয়াড় কিনছি, পেছন পেছন ঘুরছেন। ছুরিতে রিবেট চলছে ম্যাম। বড় বড় ছুরি, খুব ধার। দেব? এই সব কিনতে কিনতে সাড়ে পাঁচটা বেজে গেল, আমার পা টনটন করতে থাকল। বললাম, উবার ডাকছি। অর্চিষ্মান বলল, তোমার জামা? বললাম, হবে'খন। এখন বাড়ি চল। কোটি কোট...

রান আপ

এই পোস্টটা (পরের কয়েকটা পোস্টও, যা আশা করি আমি লিখে উঠতে পারব) ইন্দ্রাণীর জন্য। দশমীর লাঞ্চে দিল্লি এন সি আর থেকে জনতা সি আর পার্কে আসবে। সেই সব লজিস্টিকস সামলানো এবং আরও মজাশিকারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে 'দুর্গা পুজো মিট' গ্রুপ খোলা হয়েছে। সিংহভাগ নাস্তিক, গুটিকয়েক অজ্ঞেয়বাদী ও মুষ্টিমেয় বিশ্বাসী-বিভীষণ মিলে হইহই করে পুজোর প্ল্যান হচ্ছে। তবে এ সব লেবেল ওপর ওপর। বিশ্বাস অতি গোপন বস্তু। জ্ঞাতে অজ্ঞাতে, কনশাসে সাবকনশাসে কে যে কী লালন করছে কে জানে। কিছু একটা করছে বলেই আমার বিশ্বাস। সেদিনই একজনকে জ্ঞান দিচ্ছিলাম, আমরা অধিকাংশই বিশ্বাসের বাতাবরণে বড় হয়েছি। 'বিশ্বাসী' আমাদের ফ্যাক্টরি সেটিং। অত সোজা নাকি বেরোনো? অর্চিষ্মানের দাবি, অতই সোজা। বললাম, ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে যারা উত্তেজিত তারা যদি ক্রিকেট/ফুটবলের ভক্ত হয়, পাঠান/জওয়ান ফার্স্ট ডে লাস্ট শোয়ে দেখার আনন্দে যারা লাফায় তারা যদি শাহরুখ খানের ভক্ত হয়, তাহলে পুজোর একমাস আগে থেকে যারা শ্যামাচিত্রাঙ্গদার রিহার্সাল দেয় বা হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে কোথায় কোথায় কী কী খাওয়া যাবে নিয়ে গজল্লা করে তারা কী? কী তারা? আচ্ছা হিন্ট দিচ্ছি। তারা হচ্ছ...

I Have No Mouth, and I Must Scream, Harlan Ellison

(স্পয়লার আছে, স্পয়লার ছাড়া কিছু নেই।) পৃথিবী শেষ। মানবসভ্যতা শেষ। মানুষও নিশ্চিহ্ন, পাঁচটি নমুনা বাদে। টেড, এলেন, বেনি, নিমডক ও গোরিস্টার।  AM (এর পর থেকে যাকে আমরা অ্যাম বলে ডাকব) নামের একটি সুপারডুপার কম্পিউটার, নিজের পেটের মধ্যে পাঁচজনকে বন্দী করে রেখে অত্যাচার চালাচ্ছে। অত্যাচারের আকৃতিপ্রকৃতির আঁচ পাওয়ার জন্য নিচের প্যারা তুলে দিচ্ছি, যা গল্পেরও প্রথম প্যারা। Limp, the body of Gorrister hung from the pink palette; unsupported, hanging high above us in the computer chamber; and it did not shiver in the chill, oily breeze that blew eternally through the main cavern. The body hung head down, attached to the underside of the palette by the sole of its right foot. It had been drained of blood through a precise incision made from ear to ear under the lantern jaw. There was no blood on the reflective surface of the metal floor. অ্যাম-এর অত্যাচারস্পৃহা তখনের মতো মেটে, গোরিস্টার মুক্তি পায়। ধাতব চকচকে মেঝেতে নিজের ছায়া দেখে একবার ‘ওহ গড’ বলে। তারপর দূরে গিয়ে, চুপ করে বসে। গোরিস্টারের চ...