আবছাবাজি



ক্রিস্প, ক্রিমি, জেস্টি, ভেলভেটি, স্মোকি, সিডাকটিভ, ক্রিমি, স্পাইসি, সুয়াভ, রোবাস্ট, রাগেড, পলিশড, ডিসটিংগুইশড, এলিগ্যান্ট, ক্ল্যাসিক।

ভদ্রলোক একে একে সব রকম সেন্ট আমাদের শোঁকালেন এবং আমার শৈশবকৈশোরের একটি ট্রমা উন্মুক্ত হল। ট্রমাটি ভাষাসংক্রান্ত। অর্থাৎ বাংলাসংক্রান্ত। আমাকে ট্রমাটাইজ করার ক্ষমতা হিন্দি ইংরিজিকে আমি দিইনি। আনন্দ লজ্জা শোক দুঃখ পিটিএসডি - যা দেওয়ার বাংলাই দিয়েছে এবং দিতে শুরু করেছে অনেকদিন থেকে। আমার অধিকাংশ “ট্রমা”রই গৌমুখ - সেই পিউবার্টি থেকে।

তার আগে পর্যন্ত দিব্য ছিল। বাংলা বলছিলাম, পড়ছিলাম, লিখছিলাম। বাংলায় আদর পাচ্ছিলাম, বকুনি খাচ্ছিলাম। বাংলা আঙুল দিয়ে বাংলা ভাত মেখে খেয়ে বাংলা দৌড়ে বাংলা লোক্যাল ধরে বাংলা স্কুলে গিয়ে বাংলা বন্ধুদের সঙ্গে বাংলা মাঠে দৌড়ে বাংলা লক অ্যান্ড কি খেলছিলাম। বাংলা পরীক্ষার খাতায় 'ভালো'র বদলে 'অনির্বচনীয়' আর 'আস্তে'র বদলে 'মন্দাক্রান্তা' লিখে গাদাগাদা নম্বর পাচ্ছিলাম। নম্বর ইজুক্যাল্টু কোয়ালিটির মিথ্যেয় মাথা মুড়িয়ে গোপন বাংলা কনফিডেন্সে ভুগছিলাম।

তারপর জীবনে বাংলা বয়ঃসন্ধি ঢুকে গেল। চারপাশে বাংলা প্রেমের সুনামি শুরু হল। রাদার, বাংলা প্রেমপত্রের। কারণ ঘোষণা ছাড়া প্রেম, প্রেম না।

নাটকনভেল পড়লে একটা ভুল ধারণা জন্মানোর সম্ভাবনা যে প্রেম ব্যাপারটা গুপচুপ গুপচুপ। বাস্তবে প্রেম প্রবল পাবলিক। আপনি যদি প্রকৃতিগত ভাবে প্রাইভেট হন এবং এমন কারও সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত থাকেন যার ফেসবুকে সাড়ে তিন হাজার বন্ধু তাহলে হাই চান্স সে প্রেমের খবর তিন হাজার চারশো জনের কাছে পৌঁছচ্ছে। আপনার প্রেমের চ্যাট পড়ছে মিনিমাম তিনশো চল্লিশ জন।

হুঁ হুঁ বাবা, আপনি অত গাধা নন, সনাতন শাস্ত্র মুখস্থ আছে? শতং বদ মা লিখ-র নীতি মেনে আপনি কিছুই লেখেননি? মুখের কথায় সেরেছেন?

চিন্তা করবেন না। আপনার উচ্চারিত, শব্দ, বাক্য, অব্যয়, সমাস, বিস্ময়চিহ্ন, হাইফেন, এলিপসিস -  ভার্বেটিম উচ্চারিত হচ্ছে ফোন থেকে ফোনে।

লোকে অপমান চেপে যায়। প্রেম চাপে না। ঢাক নিয়ে বেরোয়।

অ্যাকচুয়ালি, লোকে অপমানও চাপে না। কোমর বেঁধে কোঁদল করতে নামে। যাতে বিশ্বশুদ্ধু সবাই ভালো করে টের পায় যে অপমানটা ঘটেছে। The Silent World of Nicholas Quinn-এর চিত্ররূপে ইনস্পেকটর মর্স এক সন্দেহভাজনকে বলেন, There is no such thing as a secret, Mrs. Heights. Not that I ever come across.

এর থেকে সত্যি কথা জীবনে শুনিনি।

কাজেই প্রেমের অষ্টপ্রহর সংকীর্তন যখন লাগল, হরির লুটের বাতাসার মতো প্রেমপত্র স্কুলের আকাশেবাতাসে উড়তে লাগল, তাদের একটাও আমাকে লেখা না হলেও, অনেকক’টাই আমার হাতেও এসে পড়ল।

আর আমার কনফিডেন্স ঝুরঝুর করে ধ্বসে গেল।

প্রেমপত্রের অভাবে নয়। পরে যাকে প্রেম করে বিয়ে করেছি, এমনকি সেও আমাকে একটিও প্রেমের বা অপ্রেমের চিঠি পাঠায়নি কোনওদিন। চিঠি ছাড়ুন, একটা ইমেলও না। একটা প্যারাগ্রাফও না, একটা বাক্যও না। তার দাবি সে কোনওদিন পরীক্ষার খাতার বাইরে কিছু লেখেনি। লেখার কথা মাথাতেও আনেনি।

কী করে? পড়েছ তো অনেক। পড়লে তো লিখতে ইচ্ছে করার কথা।

পড়েছি বলেই তো। পড়ে বুঝেছি অলরেডি এত ভালো লেখা হয়ে গেছে, আমার হাবিজাবি লেখার কোনও দরকার নেই। তাছাড়া লিখলে এত খারাপ লিখব কুন্তলা - সে পাপ করার থেকে না করা ভালো।

সিধুজ্যাঠা লোকের ভাত মারার ভয়ে জীবনে কিছুই করেননি, অর্চিষ্মান লোক হাসানোর ভয়ে জীবনে কোনও এক্সট্রাকারিকুলার কর্মসূচি পারসু করেনি। কবিতা লেখেনি, গান গায়নি, গিটার পর্যন্ত বাজায়নি।আত্মসমীক্ষা, আত্মমূল্যায়ন কম থাকার, বা অ্যাট অল না থাকার, পরিণতি চারদিকে দেখি। সবথেকে বেশি দেখি আয়নাতে। ও সব জিনিস বেশি থাকলে কী দাঁড়ায় দেখতে হলে অর্চিষ্মানকে দেখতে হবে।

প্রেমপত্র না, প্রেমপত্রের বাংলা আমাকে ধ্বসিয়ে দিল। ভাসাভাসা, ধোঁয়াধোঁয়া, ছোঁয়াছুঁয়ি, লুকোচুরি, কুমিরডাঙা, চুকিতকিত বাংলা। পাতার পর পাতা লিখেও কিছুই না লেখা বাংলা। আমি তোকে ভালোবাসিটাসি-র বোকামো বাদ দিন, পৃথিবীতে কেউ যে কাউকে ভালোবাসে, হোমো সেপিয়েন্সের তিন লাখ বছরের ইতিহাসে কেউ যে কোনওদিন কাউকে ভালোবেসেছে বোঝার উপায় নেই সে সব পত্র পড়ে।

অবভিয়াসলি, সব প্রেমপত্র এ রকম হয় না। কালভার্টের নিচে অপেক্ষারত সাইকেল থেকে যা হাতে গুঁজে দেওয়া হয়, সে সব পত্রে উদ্দেশ্যবিধেয় সাধারণতঃ স্পষ্ট করে লেখা থাকে। আমি জানি না, গেস করছি। আমি বলছি প্রেমের সাহিত্যের কথা। যে প্রেম যত বেশি সাহিত্য, তার ধোঁয়াশা তত বেশি। আমাদের সংস্কৃতিঋদ্ধ (সংস্কৃতঋদ্ধও - রোজ উপনিষদ গেয়ে দিন শুরু করতে হত) স্কুলের মেয়েদের লেখা প্রেমপত্রের সব বাক্যই দু’বার করে পড়তে হত। কিছু আশ্চর্য বাক্য প্রথমবার পড়ে যদি বা মনে হত বোঝা গেল, দ্বিতীয় ও তৎপরবর্তী পাঠে তারা উত্তরোত্তর দুর্বোধ্যতা প্রাপ্ত হত।

সবথেকে বিপদের - গোটা সময়টা ধরে চিঠির অরিজিন্যাল প্রাপকের শ্যেনদৃষ্টি আমার ভুরু, চশমার আড়ালে চোখের মণি, ঠোঁট, বিশেষ করে ঠোঁটের দু’কোণের মিনিস্কিউল ও মাইনিউট কম্পন মাপত। চিঠির শেষ লাইনের অন্তে পৌঁছে চোখ তোলা মাত্র প্রশ্ন আসত, “ভালো না?”

যত স্মার্ট হলে উত্তরে, "কী করে বলব, কিছুই বুঝতে পারলাম না তো" বলা যায় তত স্মার্ট আমি তখনও ছিলাম না, এখনও নই।

কাজেই আমি সে সব "প্রেম"পত্রের ভালোত্বের গুঁতোয় রুদ্ধবাক হওয়ার ভঙ্গি করতাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাতেই মুক্তি মিলত। কখনও মিলত না। প্রেমের জোয়ারে ভেসে একজন স্থানকালপাত্র ভুলে গিয়ে আমাকে বলেছিল, যে এই লেভেলের বাংলা লেখে সে প্রতি পরীক্ষায় বাংলায় হায়েস্ট পায় না কী করে? যত এলিতেলিরা পেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে?

"ঠিকই" ছাড়া আর কীই বা বলতে পারতাম?

এখনও যখন কেউ স্বরচিত কবিতা পড়ান বা মেলায় কেনা কানের দুল দেখান, ফর্মভাঙা উপন্যাসের ফার্স্ট চ্যাপ্টার বা ফেসবুকে আপলোড করা রিসেন্ট ফেলুদার ফানি রিভিউ পাঠান - সেম প্রতিক্রিয়া দিই। করেছেন কী, কেয়া বাত, কান্ট বিলিভ ইট। পুরোটা আনস্মার্টনেস থেকে নয়। এক অর্থে, আত্মমূল্যায়ন থেকে। আমি ভালো বললাম না খারাপ বললাম তাতে কী এসে যায়? যদি যায়, যার যায়, তার দায়। আমার না।

বয়ঃসন্ধিক্ষণে বাংলাভাষা দিয়ে শুরু করেছিলাম, পরে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ পেয়েছি। চন্দ্রিল ভট্টাচার্য যাকে “আবছাবাজি” বলেন, তার বাজার তেজী। ক্ল্যারিটি ইজ বোরিং, কনফিউশন ইজ অ্যাট্রাকটিভ।

দুটো রাস্তা ছিল। এক, প্রাণপণে ওই রকম বাংলা লেখা শেখার চেষ্টা করা। কিন্তু তাতে সমস্যা। প্রাণপণ ব্যাপারটা প্রায় আবছাবাজির লেভেলেই অপছন্দ করি। তখনও করতাম, এখনও করি। লোকে নম্বরের জন্য প্রাণ পণ করছে, কেরিয়ারের জন্য প্রাণ পণ করছে, নীতি, আদর্শ, শিল্পের জন্য প্রাণ পণ করে ফেলছে। আমার প্রাণ অত সস্তা নয়। একমাত্র মৃত্যুর জন্য ছাড়া আমি আর কিছুর জন্য প্রাণ পণ করতে রাজি নই।

যেটা হাওয়া খেয়ে হয় না, হওয়ার দরকার নেই।

কাজেই দ্বিতীয় রাস্তাই একমাত্র রাস্তা। অক্ষমতা অতিক্রম করার আশা ত্যাগ দিয়ে ক্ষমতাতে ডাবল ডাউন করা। মাছ হয়ে জন্মেছি যখন সাইকেল চালানোর চেষ্টা না করে সাঁতারটা মনের আনন্দে কাটা।

ইফ ইউ কান্ট (অ্যাকচুয়ালি, ইউ মাস্টন্‌’ট) জয়েন দেম, বিট দেম।

সবসময় নিশ্চয় পারিনি, কিন্তু চেষ্টা ছাড়িনি। ওঠাবসা, খাওয়াশোওয়া, সাজপোশাক, মুখের কথা, লেখার ভাষা - সবকিছু থেকেই “আবছাবাজি” রিজেক্ট করতে। হ্যান্ডশেকের নামে সুড়সুড়ি আর আই কন্ট্যাক্টের নামে কটাক্ষের শরীরের প্রতি রক্তবিন্দু দিয়ে বিরোধিতা করেছি। প্রতি বসন্তপঞ্চমী ও বাকি তিনশো চৌষট্টি তিথিতে চোখ পিটপিট করতে করতে দুই হাত বুকের কাছে জড়ো করে বলেছি, হেই মা সরস্বতী, আমার বাংলা থেকে ধোঁয়াশা একেবারে বিদায় কর মা। প্রেমের প্রদাহে আমার বাংলা জরজর হোক, ঘেন্নার থুতু ছিটকে উঠুক। সমস্ত মেদুরতাকে কান ধরে বার করে দিয়ে আমার বাংলাকে আধলা ইট করে তোল, ছুঁড়ে মারলে যাতে রক্তারক্তি ঘটে।

*****

অস্পষ্টতার অবশ্য অ্যাডভান্টেজ আছে। আমার এক বন্ধু জীবনে যত প্রেমপত্র পেয়েছে (অগুন্তি) সব জমিয়ে রেখেছে। সেই প্রেমপত্র এখনও সে মাঝে মাঝে বার করে পড়ে এবং আমাকে পড়ে শোনায় (তার ইদানীংকার প্রেমচ্যাটের মতোই)। আমি আর বলি না এগুলো একত্রিশ বছর আগেও শুনিয়েছিলি।

প্রথমে মনে হত, হয়তো পুরোনো প্রেমের উদযাপনে এইসব চিঠি ফিরে ফিরে দেখে। তারপর বুঝলাম, উঁহু। যেহেতু প্রেমট্রেমের উল্লেখ নেই, একত্রিশ বছর আগেও ওটাকে প্রেমপত্র বলে চেনা যেত না। চেনা যেত না বলেই এখন ওটা অসামান্য বাংলা রচনার স্নিপেট হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

বন্ধুর আরও এক প্রতিভা, প্রেম ফুরোনোর পর প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব মেন্টেন করা। সে নাকি যখনই এই চিঠিগুলো বার করে পড়ে (এবং হাতের কাছে যাকে পায় পড়ায়), হোয়াটসঅ্যাপে প্রাক্তন প্রেমিক ও অধুনা বন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করে, তুমি এই লেভেলের বাংলা লেখ, উপন্যাস লিখছ না কেন? কত হেজিপেঁজি হেদিয়ে মরছে। বলা যায় না, লিখেও ফেলবে কোনদিন।

"সিরিয়াসলি" ছাড়া আর কীই বা বলতে পারতাম?

*****

বাংলা আবছাবাজিই বুঝি না, ইংরিজি আবছাবাজি বুঝব কী করে?

ফ্রুটি। ফ্রুটি মানে কী? কী ফ্রুট? কাঁঠাল? না কমলা? না নিমফল? নাকি ব্যাংককের ওয়ার্কশপ থেকে “কুন্তলা তোমার জন্য বিশেষ করে এনেছি” বলে যে ফলের শাঁস দিয়ে বানানো ক্যান্ডির বাক্সটা সুটকেস থেকে বার করে অর্চিষ্মান মুচকি হেসেছিল সেই ডুরিয়ান?

মাস্কিটাস্কি বোঝার চেষ্টাও করি না। অর্চিষ্মান যে অর্চিষ্মান - ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছে আর পিংক ফ্লয়েডের সঙ্গে মাথা ঝাঁকিয়েছে - সেও নাকি বোঝেনি। উল্টে আমাকেই কনুইয়ের খোঁচা মারছে।

কী গো কোনটা নেবে?

পিসির কথা মনে পড়ল। কিছু গন্ধকে পিসি বলতেন, নাক পুড়ে যাওয়া গন্ধ।

বললাম, যেটায় নাক সবথেকে কম পুড়ছে সেটা।

সেন্ট বাছা হয়ে গেল। প্যাকেটে ছাপা দাম হিজিবিজি কাটিয়ে ঢাকিয়ে, গিফট প্যাক করিয়ে, প্যাকের ওপর সাঁটা কার্ডে শুভেচ্ছাবার্তা লিখে (পরে শিওর ভুলে যাব) শপিং মল ছাড়লাম।

                                                                                                                                                        (চলবে)

Comments

  1. যাক, ভেবেছিলাম হয়তো এই সিরিজটার কথা ভুলেই গেছেন!

    প্রেমপত্রের কথা এমন দারুন বৈশিষ্টমূলক করে লিখেছেন, যে খুব কৌতহল হল ওইরকম প্রেমপত্র পড়তে। এমন কি আছে, যে বার বার পড়লে দুর্বোধ্যতা বেড়ে যায়!

    আর এটা পড়তে পড়তে, মনে করে দেখলাম নিজের প্রেমপত্র-জনিত অভিজ্ঞতার। ছোটবেলায় আমার চারপাশে অত ছড়াছড়ি তো পাইনি, বা হয়ে থাকলেও, সেটা আমার অগোচরেই রয়ে গেছে। অন্যদের খবর কখনো সখনো একদুটো যখন যা জেনেছি, সেগুলো সাধারণত খুবই ছোট, দু-চার লাইন, ঠিক "পত্র" বলা যায় না।

    গন্ধযুক্ত প্রসাধনগুলো কেনা সত্যিই খুব কঠিন কাজ। নিজের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যেও যেগুলো থাকে, সেগুলকেও বহু কষ্টে কোনো একটা পছন্দ করে উঠতে পারলে, তিন-চার বছর পর হটাৎ দেখা যায় বাজারে আর সেটা নেই। একই কোম্পানির জিনিসগুলো হয়তো সব নতুন নতুন নামে বাজারে এসেছে। ব্যাস, আবার বিভ্রান্তি শুরু।

    ReplyDelete
    Replies
    1. না না, ভোলার প্রশ্নই নেই, রাজর্ষি। আমার স্মৃতিশক্তি অসুবিধেজনক রকম শক্তিশালী। আপনি যে না-পত্রগুলোর কথা বললেন, আমার মতে সেগুলোই আসল প্রেমপত্র। আমার পড়া দুর্বোধ্য উপন্যাসগুলো অনুভূতির আত্মরতি ছাড়া আর কিছু না।

      বিভ্রান্তি শব্দের ব্যবহার ভালো লাগল। চট করে দেখা যায় না শব্দটা আর।

      Delete
  2. পড়ে বুঝেছি অলরেডি এত ভালো লেখা হয়ে গেছে, আমার হাবিজাবি লেখার কোনও দরকার নেই। তাছাড়া লিখলে এত খারাপ লিখব কুন্তলা - সে পাপ করার থেকে না করা ভাল
    Eto ekebare amaro moner katha ... Archishman ke bjari bhalo lege gelo

    Ekmot...jeeban er sab kichhu thekei abchhabaji porityajyo

    ReplyDelete
    Replies
    1. আবছাবাজি পরিত্যাগ আর অর্চিষ্মানকে ভালোলাগা - দুই বিষয়েই হাই ফাইভ, শিবেন্দু।

      Delete
  3. নোট টু সেল্ফ : আপনাকে আর স্বরচিত ব্লগ পোস্ট, বা অন্যের রচিত কবিতার অনুবাদ ইত্যাদি পড়িয়ে "কেমন হয়েছে?" জিজ্ঞেস করব না। তবে ওই ফ্রুটি স্মেল ব্যাপারটা আমি কোনোদিনই বুঝিনি। স্কুলে কেমিস্ট্রি প্র্যাক্টিকাল ক্লাসে অ্যালকোহল তৈরি হলে ফ্রুটি স্মেল পাওয়া যাবে বলেছিল। আমার তো শুঁকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ছাড়া কিছুর কথাই মনে হয়নি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. লোকে এইসব বিশেষণগুলো যা তা করে ইউজ করে। একটা বলে দিলেই হল।

      Delete

Post a Comment