সিল্ক


আমার হলুদ জামাটা আমার প্রিয়, অর্চিষ্মানেরও প্রিয়। অর্চিষ্মান সাদাটে শার্টটা অর্চিষ্মানের প্রিয়, আমার অতটাও না।

বারোটা বেজে গেছে। আমরা পার্চে। আমাদের নৈশাভিসারের ফেভারিট জয়েন্ট। (ইন ফ্যাক্ট, কাল রাতেও পার্চেই গেছিলাম।) পার্চ ভালো। পার্চের স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিও ভীষণ ভালো। পার্চের ভিড় বা নিঃসঙ্গতা আমাদের পক্ষে অপটিমাল। পার্চের জানালা দিয়ে নিভতে থাকা খান মার্কেটের ভিউ আমাদের পক্ষে আরামের। 

পার্চের লাইটিং-এ আমরা সর্বদা ফোটোজেনিক।

ছবিটা আমাদের নিরানব্বই শতাংশ ছবির মতোই - সেলফি। ফ্রেমের কোণে অর্চিষ্মানের সেলফি শোলডারের আভাস।

আমার যথারীতি বত্রিশপাটি বিকশিত। অর্চিষ্মানের যথারীতি গম্ভীর প্রসন্নতা। যেমন হওয়ার কথা। নাথিং সারপ্রাইজিং।

ছবিটা সর্বদা অটোপ্লে থামিয়ে দেখি। আমাদের ঠিক আমাদের মতোই দেখতে লাগছে বলে, তাছাড়া এই ছবিটা দেখলে এমনকি আমার মতো অবিশ্বাসীরও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে - আমরা হ্যাপি।

*****

এটা সিনেমা হলে। কোন হল মনে নেই। সিনেমার নামও ভুলে গেছি। দুজনেই থ্রি ডি চশমা পরে আছি। এটাও সেলফি, ফ্রেমে অর্চিষ্মানের সেলফি শোলডার।

ছবিটা যতবার আসে, অর্চিষ্মান বলে, আমাদের অ্যাকচুয়ালি গগলস্‌ পরলে মন্দ লাগবে না, বল?

আমি তো কবে থেকে বলছি দারুণ লাগবে। তুমিই তো বলো তোমাকে গগলস্‌ পড়লে শীর্ষেন্দুর চোরের মতো লাগবে।

ছবিটায় অর্চিষ্মানকে ডেফিনিটলি শীর্ষেন্দুর চোরের মতো লাগছে না।

ছবিটা এলেই অর্চিষ্মানকে মনে করাই যে আমাদের এবার গগলস্‌ কিনতে হবে। মরেই যাব কোনদিন। একটু ভালো না দেখিয়েই মরে গেলে দুঃখের শেষ থাকবে না।

কিন্তু গগলস্‌ আর কেনা হয়ে উঠছে না। এটার কারণ আমি। নর্ম্যাল গগলস্‌ পরে বেরোলে, গলি পর্যন্তও যেতে হবে না, সিঁড়িতেই প্রাণ দেব। মাইনাস দশ আর মাইনাস বারোর গগলস্‌ পাওয়া যায় কি না কোনওদিন খোঁজ নিইনি। এখন প্লাস নয় আর প্লাস এগারোর খুঁজতে হবে। এ সমস্যা আমার আগে আমার থেকে অনেক বুদ্ধিমান লোকের হয়েছে এবং তাঁরা বুদ্ধির সঙ্গে এ সমস্যার সমাধান করেছেন। নবনীতা দেবসেন চশমার ওপর গগলস্‌ পরে ঘুরতেন। আমিও ঘুরেছি।

অর্চিষ্মান বলল, ঘুরেছ ঘুরেছ, আমার সঙ্গে ঘুরো না। দাম দিয়েই তোমার হাই পাওয়ার গগলস্‌ বানানো হবে কুন্তলা।

ব্লিংকিটে আলুপটল কিনতেই লো টু হাই প্রাইস দিয়ে সর্ট করি, ভালো দেখানোর মতো অবান্তর জিনিসে পয়সা খরচ করতে মন খচখচ করতে লাগল।

খোঁজ নিতে অসামান্য বিকল্প বেরোল। নবনীতা দেবসেন জানলে নিশ্চিত এ জিনিস ব্যবহার করতেন।

ক্লিপ অন গগলস্‌। দুটো কালো স্ক্রিন, চশমার কাচের মাপমতো কাটা, পেপারক্লিপ প্রযুক্তিতে চশমার সঙ্গে এঁটে দিলেই দিব্যি গগলস্‌।

অর্চিষ্মানকে প্রস্তাবসহ লিংক পাঠালাম। অর্চিষ্মান আমার সব প্রস্তাবের মতো এ প্রস্তাবেও নিরুত্তর থাকল।

আজ মর্নিং শো-তে অ্যাভেঞ্জারস থান্ডারবোল্টস দেখতে গেলাম। থ্রি ডি চশমা পরে সেলফি তোলা হল। অর্চিষ্মান বলল, নাহ এবার গগলস্‌দুটো কিনতেই হবে। হাঁ করতে যাব, অর্চিষ্মান বলল, হ্যাঁ আমি তোমার লিংক দেখেছি কুন্তলা, না, ক্লিপ অন গগলস্‌ কেনা হবে না।

হেউ। এই করে করে গগলস্‌ই কেনা হবে না। বোঝা গেসে।

*****

এই ছবিটা আমাদের না হলে আমরা বুঝতে পারতাম না যে এটা আমাদের ছবি। দুটো ছায়ামুণ্ডু ঘেঁষাঘেঁষি, পেছনে ট্যাক্সির অর্ধোদ্ভাসিত কাঁচ বেয়ে অঝোর বারিধারা।

এই ধরণের ছবি ডিলিট করে দিলে গুগলের ক্রমাগত সাইজ কেনার বিজ্ঞাপন সইতে হয় না। কিন্তু এই ছবিটা থাকবে। কারণ কিছু কিছু ছবি মুহূর্ত মনে রাখায়। আর কিছু কিছু মুহূর্ত ছবি ডিলিট হতে দেয় না। 

সন্ধেটা মনে আছে কুন্তলা?

অফিস থেকে ফিরছিলাম। জে এল এন ফ্লাইওভার থেকে নেমে বাঁ দিকে বেঁকে ডিফেন্স কলোনিতে ঢোকার আগে জ্যামে ট্যাক্সি ফেঁসে ছিল। আমরা বসে বসে বোর হওয়ার বদলে নিজেদের ভুতের মতো ছবি তুলছিলাম।

অর্চিষ্মান মাঝে মাঝেই বলে, কাল রাতে পার্চে বসেও বলছিল। ওই যে দুজনে মিলে একসঙ্গে মেট্রো চড়ে অফিস যাওয়া, এক মেট্রোতে দুটো আলাদা স্টেশন থেকে উঠে বাড়ি ফেরা। তার পরে উবার পুল। এক একদিন যাওয়ার পথে একই উবার পেয়ে যাওয়ার ফুর্তি।

পুল ব্যাপারটাই উঠে গেছে। 

বৃষ্টিবাদলা হলে অর্চিষ্মান ফোন করত। শোন, আমি উবার নিয়ে আসছি, তোমাকে তুলে বাড়ি যাব। মাঝরাস্তায় জ্যামে আটকালে ঝমঝম বৃষ্টি আর গমগমে জ্যামের মধ্যে অন্ধকার ট্যাক্সিতে বসে দুজনে সেলফি তুলব।

ওই সময়টার জন্য আমার যে কী নস্ট্যালজিয়া, কুন্তলা। তখন ভাবছিলাম জাস্ট অফিস যাচ্ছি আসছি। অত আনন্দের একটা সময় কাটাচ্ছি তো বুঝিনি। বুঝলাম যখন সময়টা একেবারে চলে গেছে। আর কোনওদিন ফিরবে না।

যে কথাটা বলব বলব ভাবি, অর্চিষ্মান সেই কথাটাই বলে ওঠে।

অর্থাৎ এখন যে আনন্দগুলো রোজ হচ্ছে সেগুলোকে আনন্দ বলে আইডেন্টিফাই করতে হবে। করে, আনন্দ যে হচ্ছে সেটা বুঝে ডবল আনন্দ পেতে হবে। কবে এগুলোও চিরদিনের মতো অতীত হয়ে যায়। 

*****

ওয়াটার পিউরিফায়ার লাগানো আমাদের মতো কুল লোকজনের পক্ষে "টু পার্মানেন্ট" হবে বলে আমরা গত পনেরো বছর ধরে বিসলেরির কুড়ি লিটারের বোতল কিনে জল খাচ্ছি। জলের ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় প্রায় আত্মীয়তায় পরিণত হয়েছে। যখন বাড়িতে খরা তিনদিন ফোন তোলেন না, জল ঢেউ খেললে মাঝরাতে বেল মেরে চেঁচান, জল লাগবে নাকি বউদি?

জলের ভাই ফল দু'নম্বর মার্কেটের কোণে ফল বিক্রি করেন। আমরা এমনিতেই ফল কম খাই, খেলেও অন্য একজন বাঁধাধরা ডাকাতের প্রতি লয়্যালটি মেন্টেন করি। যাতায়াতের পথে ফল মাঝে মাঝে চেঁচিয়ে আমাদের মনে করান, ফল খেলে শরীর ভালো থাকে।

বিসলেরির বোতলের সিস্টেম সহজ। খালি বোতল নিয়ে ভরা বোতল উল্টো করে বসিয়ে দিয়ে যাওয়া। সিস্টেম মেন্টেন্ড হলে বাড়িতে এক্সট্রা বোতল পড়ে থাকার কারণ নেই। একদিন নিশ্চয় হয়নি, কারণ একটা বিসলেরির কুড়ি লিটারের খালি বোতল বাড়িতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল।

শনিরবি ছিল, ইউটিউবে গানের অধিবেশন চলছিল। জিৎ গাঙ্গুলি থেকে ছায়া গাঙ্গুলি, মিকা সিং থেকে পালুসকর - পালা করে অধিবেশনে গাইতে আসছিলেন। সেদিন রামকুমারও এসেছিলেন। ওঁকে যে ডাকা যায় সেটা আমরা ভুলে ভুলে যাই, কিন্তু নিজে থেকে এসে পড়লে এক্সট্রা খুশি হই।

তিনি গাইছিলেন, গোয়িং ইউ আর লাফিং লাফিং। ইউ উইল রিটার্ন ক্রাইং ক্রাইং। 

যাচ্ছ তুমি হেসে হেসে, কাঁদতে হবে অবশেষে। কলসী তোমার যাবে ভেসে লাগলে প্রেমের ঢেউ। 

অর্চিষ্মানের শ্যাডেনফ্রয়েড বাঁধ ভাঙল। লাফ দিয়ে উঠে বিসলেরির ফাঁকা বোতল মাথায় নিয়ে কোমর বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে ঘরের এদিক থেকে ওদিক হাঁটতে লাগল।

ওই ছবিটা না তুলে রাখলে সারাজীবনের মতো আফসোস থেকে যেত।

*****

অনেক ছবিতে আমাদের সঙ্গে তৃতীয় ব্যক্তিঃ  আয়না।

আয়না। শার্শি। মিরর।

আয়না দেখলেই অর্চিষ্মানের ছবি তোলা পায়। বাড়ির আয়না। হোটেলের আয়না। জয়পুরের। পুরীর। লখনৌয়ের।

লখনৌয়ের আয়নার ছবিটা আমার প্রিয়। আয়নার পাশে অর্চিষ্মান। অর্চিষ্মানের পাশে আমি। আয়নায় আমার একটা চুলও দেখা যাচ্ছে না কারণ অর্চিষ্মানের ছয় তিন আমার পাঁচ দুইকে সম্পূর্ণ গ্রাস করেছে। অর্চিষ্মান ফোন আয়নায় তাক করেছে। কুন্তলা, রেডি। অমনি আমি অর্চিষ্মানের পিঠের পেছন দিয়ে মুন্ডু (এবং বত্রিশপাটি) বার করে ফোটোতে ঢুকে গেছি।

এক সন্ধেয় ফোর এস-এ গেছিলাম। দোতলার কোণের পাশের সিটটা পেয়েছিলাম, যার উল্টোদিকে একটা আয়না আছে। বেশ খানিকটা সময় কাটানোর পর অর্চিষ্মান ফোন বার করে আয়নায় ধরেছিল। 

ছবিগুলো সংগত কারণেই ঝাপসা কিন্তু আমাদের ফুর্তি ঝকঝকে।

*****

কোনও কোনও ছবিতে শুধুই তৃতীয় ব্যক্তি। দুজনের কেউ নেই। শিলং-এর মেঘেদের ব্যাকড্রপে, হাওয়ায় ঝুঁকে পড়া নরম পাইন বনে, তাওয়াং-এ আঁকাবাঁকা রাস্তায় - ফ্রেমের ঠিক বাইরেই আমরা আছি। চিল্কার অবিশ্বাস্য নীল আকাশের নিচে নৌকোর পাটাতনে পাশাপাশি শুয়ে আছি।

তুমি টুপি পরে ছিলে। মনে আছে?

হ্যাঁ অর্চিষ্মান, আমি টুপি পরে ছিলাম। মনে আছে।

অর্চিষ্মান নিজের টুথব্রাশের রং পর্যন্ত ভুলে গিয়ে আমার ব্রাশ দিয়ে রেগুলার দাঁত মেজে ফেলে, খালি আমার টুপি পরাগুলো পাই টু পাই মনে রাখে।

*****

তারপর মেমোরিতে ওই ছবিটা আসে।

বাকি ছবিগুলোর থেকে আলাদা। অনেকগুলো পয়েন্টে। অধিকাংশ পয়েন্টেই।

এক, বিয়েবৌভাতের ছবি বাদ দিলে আমাদের নিরানব্বই দশমিক নয় নয় শতাংশ ছবি নিজেদের তোলা। এই ছবিটা বিয়েরও নয়। বৌভাতেরও নয়। আমাদেরও তোলা নয়।

দিনটা মনে আছে। কোথায় ছিলাম, সঙ্গে কারা ছিল। সে সব ধরলে ছবিটা তুলেছিল হয় রাহুল নয় কৌস্তুভ নয় মামু।

ছবিটায় আমি আর অর্চিষ্মান দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছি। যারা আমাদের এখন রোগা বলে, এই ছবিটা দেখলে নতুন বিশেষণ বার করতে হবে। অর্চিষ্মানের টি শার্ট, আমার চুল কালো। আমার কপালে টিপ নেই, অর্চিষ্মানের কপালঢাকা চুল, বড় বড় চোখ।

ছবিটা আবারও প্রমাণ করে, জন্মান্তরের জন্য আক্ষরিক মরতে হয় না।

তবে সবথেকে নোটিসেবল হচ্ছে ছবির মানুষদের বীরত্ব। একে অপরকে প্রায় না চিনে, কপালে কী নাচছে বিন্দুমাত্র না জেনে, ঠিক করে ফেলেছে একসঙ্গে থাকবে। পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি বসে আছে। বীরের মতো, বা বোকার মতো (দুটোর মধ্যে তফাৎ অনেক ক্ষেত্রে ননএক্সিস্টেন্ট)।

একজন বত্রিশপাটি বিকশিত করে, অন্যজন গম্ভীর প্রসন্নতায়। 

বা যতটা ভাবছি ওরা ততটা বোকাও নয়। চেনাচিনি ব্যাপারটাই কি ইলিউশন নয়? চিনে কী লাভ হত? ওই লোকদুটো তো কোথাও নেই। এখন যে লোকদুটো আছে তাদের চিনেই বা কোন হাতিঘোড়া? এরাও তো দেখতে দেখতে মিলিয়ে যাবে।

বেশি পার্মানেন্টের দিকে যদি নাও যাই, নেক্সট বারো বছরের জন্য অর্চিষ্মানের পাশে বীরের মতো, বা বোকার মতো, বত্রিশপাটি বার করে বসতে রাজি আছি। অর্চিষ্মানও রাজি, হোপফুলি।

হ্যাপি বারো, অর্চিষ্মান। 

Comments

  1. দারুন লেখা। খুব ভালো লাগলো। ছবি না পোস্ট করেও দেখিয়ে দিলেন লেখার মধ্যে দিয়ে।

    ReplyDelete
  2. Hok... aaro baaro...tarpor aaro ek dojon...hotei thaak....

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার মুখে দই অমলেট পড়ুক।

      Delete
  3. অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের জন্যে।
    "সিল্ক"টা বলে জানা ছিল না, সিল্ক বুঝতে গিয়ে অন্য সব বছরের নামগুলোও পেলাম।

    ক্লিপ অন গগলস্‌ জিনিসটা কিন্তু অনেকদিন আগে থেকেই আছে। আমার ঠাকুরদার একটা ঐরকম ছিল - চশমার ওপর লাগানোর।

    আমরাও এক্সাক্টলি তিনদিন আগে, বিসলেরির কুড়ি লিটারকে ত্যাগ করে ওয়াটার পিউরিফায়ার লাগিয়েছি। এখন পিউরিফিকে থেকে জল নিয়ে বিসলেরির কুড়ি লিটার ভরে নিয়েছি (একে তো এতো আস্তে জল বেরোয় যে হাত ব্যথা হয়ে যায় বোতল ভরতে, তার ওপর যদি হটাৎ পিউরিফায়ার খারাপ হয়ে যায় তখন কোথায় পাবো জল?)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, রাজর্ষি। জীবনের শুধু সোনা রুপো হিরে জহরত সেলিব্রেট করলে হবে? মাঝখানের লোহা তামা ছাই ভস্মগুলো কি বানের জলে ভেসে এসেছে? সেই পেপার থেকে শুরু করেছি, দেখা যাক কোথায় গিয়ে থামি।

      ওরে বাবা, ওই পিরপিরিয়ে জল পড়া আমারও অসহ্য লাগে। নাকতলায় পিউরিফায়ার আছে। আমি এক গ্লাস জল ভরতে হলেও গ্লাস ধরে দাঁড়িয়ে থাকি না, জল যেখান থেকে বেরোচ্ছে সেখানে গ্লাসটা ধরে ধীরে ধীরে জলের লাইন মেন্টেন করে কাউন্টারে নামিয়ে রাখি, ভরে যেতে শুরু করলে জলের লাইন মেন্টেন করে গ্লাস আবার জলের উৎসের কাছে তুলে নিয়ে যাই।

      খুব বেশিক্ষণ কাউন্টারে গ্লাস রাখার সময় থাকে না, মানছি, কিন্তু গোটা ব্যাপারটা একরকম এন্টারটেনমেন্ট জোগায়।

      Delete
  4. অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তোমার পোস্ট থেকেই বছর গুলোর নাম জেনেছি, যদিও মনে থাকেনা, তবে লোহা, তামা, সিল্ক, সূতি, সোনা, হীরে, প্লাটিনাম সব আসুক জীবনে।
    ছবিগুলোও তেমনই চমৎকার হয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, প্রদীপ্ত। ভালো লাগল।

      Delete
  5. Bibahobarshiki'r onek shubheccha tomader dujonke Kuntala. Lekhata khub bhalo legeche. Aar hain, jotodur jani, power er sunglass korano jaye. Khnoj niye dekhte paro.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, শর্মিলা। পুরোনো বন্ধুদের শুভেচ্ছা পেতে ভালো লাগে। হ্যাঁ, দেখি, সানগ্লাস করাব। আসলে ওগুলো যখন বাই ওঠে কথা হয়। তারপর আবার ঢিলে পড়ে যায়

      তোমরা খুব ভালো থেকো।

      Delete
  6. অনেক শুভেচ্ছা, সুন্দর অ্যালবাম, আরো ভাল ভাল ছবি হোক :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. 😀থ্যাংক ইউ ঊর্মি।

      Delete
  7. প্রতিটি ছবি আপনার বর্ণনার গুণে চেখের সামনে ভেসে উঠল। এই গগলস-এর সমস্যাটা আমারও আছে। ছোটবেলা থেকে শখ গগলস পরে কেত মারব, কিন্তু এদিকে ছোটবেলা থেকেই চশমা। ফটোক্রোম্যাটিক কাঁচ দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতাম বটে, কিন্তু তাতে গগলস পরার কুলনেসটা আসেনা। আমার বাবা আর শ্বশুরমশাই দুজনেই কম বয়েসে ক্লিপ-অন গগলস পরত, কিন্তু আমার সেটাও পোষায় না।ইদানিং একটা পাওয়ার ওয়ালা গগলস করিয়েছি, শুধু নেগেটিভ পাওয়ারটা, কিন্তু তাতেও দিব্যি স্টাইল মারা যায়।

    ও, বলতেই ভুলে যাচ্ছিলাম! বিলেটেড শুভ বিবাহবার্ষিকী। এরকম আরো বারো, এবারো বারো, আরও এক ডজন, একের পিঠে দুই, ইত্যাদি চলতে থাকুক।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। অর্চিষ্মানকে আপনার শুভেচ্ছা জানিয়ে দেব।

      ফোটোক্রোম্যাটিক চশমা, আমার মতে সভ্যতার সেরা স্ক্যাম।

      Delete

Post a Comment