নিজের হাতে
বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম আমার টেবিলের সামনে নাজিয়া। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। আপহি কো ঢুন্ড রহে থে ম্যাম। এসপ্রেসো বনায়েঙ্গে? প্রশ্নটা বুঝতে দশ সেকেন্ড গেল। ব্লু টোকাই-এর নতুন স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে এনগেজমেন্ট। দোকানের বাইরের চাওয়ালা, বইয়ের দোকানের মালিক, দর্জি - কমিউনিটির অন্যান্য সদস্য, নেবারহুডের বাকি প্রতিবেশীদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের অংশ করতে উঠে পড়ে লেগেছে ব্লু টোকাই। প্রতিবেশীদের ছবিসম্বলিত ব্যানার রাখা হয়েছে দোকানের সামনে, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট তৈরি হয়েছে যা দোকানের ভেতর ঝোলানো তিনটে টিভির একটায় লুপে চলছে। বাইরের প্রতিবেশীদের এনগেজ করা ভালো ব্যাপার। ভেতরের পাপীরা যাতে ভেসে আসার ফিলিং না পায় সেদিকেও নজর দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আশপাশের পাড়ার ম্যাপ - এত প্রফেশনালি আঁকা যে অ্যামেচারিশের আশ্বাস দেয় - টাঙিয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে প্রিয় পাড়া সম্পর্কে নিজের অনুভূতি পোস্ট ইট-এ লিখে সাঁটতে। ম্যাপটা হচ্ছে একটা পিন বোর্ড। বাথরুমের জন্য যে দেওয়ালের পাশে লাইন পড়ে, বোর্ড স্ট্র্যাটেজিক্যালি সেই দেওয়ালেই টাঙানো হয়েছে। অপেক্ষা করতে করতে রেগে না উঠে গল্প লিখুন, সাঁটুন, পড়ুন। রেগুলাররা প্রায় সকলেই গল্প সেঁটেছে।...