পিণ্ড্‌ বালুচি


ভ্যালেনটাইন’স ডে আগের দিন সন্ধ্যেবেলা আমি আর বান্টি ঠিক করলাম বাইরে খেতে যাব।

আমার অফিসটা এমন সুবিধেজনক জায়গায়, যে দিল্লির সমস্ত বলার মতো জায়গাতেই, আমার অফিস থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। হয় পাঁচ মিনিট হেঁটে, নয়তো পাঁচ মিনিট অটো চেপে। কাজেই আমি বান্টিকে বললাম, “আমার অফিসে চলে আয়, সেখান থেকে চলে যাব।”

অফিসটা এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হওয়ার খারাপ দিক হচ্ছে সবসময়েই ভয়ানক ভিড় লেগে থাকে। বাসের ভিড়, অটোর ভিড়, ঠ্যালাগাড়ির ভিড়, মার্সিডিসের ভিড়, কর্পোরেট হঞ্চোদের ভিড়, কলেজছাত্রদের ভিড়, বড়লোকের ভিড়, ভিখিরির ভিড়, রাজনীতিকদের ভিড়, বিক্ষোভকারীদের ভিড়। সেদিন আবার রাস্তা জুড়ে কী একটা আন্দোলন চলছিল। যেদিকে তাকাও লোকে লোকাক্কার, জটলা বেঁধে পথনাটিকা হচ্ছে, মস্ত মঞ্চ বেঁধে কান ফাটিয়ে স্লামডগ মিলিওনেয়ারের “জয় হো” বাজছে, গুটিয়ে রাখা কার্পেটের ঢিবি বাঁচিয়ে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় বসে থাকা লোকের ঘাড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছি।

পাক্কা দশ মিনিট হেঁটে পিণ্ড্‌ বালুচি-র দরজার সামনে পৌঁছে অবশেষে গলার স্বর স্বাভাবিক স্তরে নামিয়ে কথা বলা গেল।

আমাকে যাঁরা চেনেন তাঁদের কাছে আমাদের রেস্টোর‍্যান্ট চয়নটা অদ্ভুত লাগতে পারে, কারণ দক্ষিণের ক’খানা আর পূর্বের একটি বিশেষ রাজ্য ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোনও জায়গার খাবারদাবারই আমার মনে ধরে না। আগুনে সেঁকা কিংবা ময়দা-মোড়া হাঁড়ির ভেতর অতিদীর্ঘ সময় ধরে গুমে গুমে সেদ্ধ হওয়া, কোনওরকম মাংসের প্রতিই আমার কোনওরকম টান নেই। ওর থেকে হাক্কা চাউমিন ঢের ভালো।

কিন্তু বান্টিকে আগে থেকে কথা দেওয়া ছিল যে সেদিন ওর পছন্দ নিয়ে আমি কোনওরকম প্রশ্ন তুলব না। কাজেই দুর্গা বলে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। দরজায় আরাবল্লির ডাকাতদের মতো পাকানো গোঁফওয়ালা এক ভদ্রলোক, কাবুলিওয়ালা পাজামাপাঞ্জাবি পরে আর তেলমাখানো চকচকে লাঠি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আমরা কাছাকাছি যেতেই দরজা খুলে ধরে হাসিমুখে বলে উঠলেন, “সৎ শ্রী আকাল, আইয়ে আইয়ে।”

আপনাদের কথা জানি না, আমি ভারতবর্ষের মতো একটা বৈচিত্র্যময় দেশে জন্মে আর বড় হয়েও, এই সব পরিস্থিতিতে যে কী ভয়ানক আনস্মার্ট হতে পারি, ভাবা যায় না। ভাবলেও মন খারাপ হয়ে যায়। হঠাৎ করে “সৎ শ্রী আকাল” শুনে আমি এমন ঘাবড়ে গেলাম যে অভদ্রের মতো “ওহ, হ্যালো...” বলে তাড়াতাড়ি খোলা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। বান্টি দেখি দিব্যি হাসিমুখে প্রত্যুত্তরে “সৎ শ্রী আকাল” বলল। শুধু বললই না, কাটাঘায়ে নুন ঘষার মতো করে আবার আমার দিকে তাকিয়ে গা-জ্বালানো হাসিও হাসল।

দোকানে ঢুকে অবশ্য গা-জ্বলুনি মুহূর্তে উবে গেল, কারণ ভেতরটা প্রায় বালুচিস্তানের মতো করে সাজিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

এই লাইনটা পড়ে বান্টি বলল, “কী করে বুঝলে বালুচিস্তান? গেছ নাকি কখনও?”

কথাটা সত্যি। কাজেই আমি বরং সোজা কথায় দোকানের বর্ণনা দিই, বালুচিস্তানের মতো কিনা সে বিচার করার দায় আপনাদের। দোকানের ঠিক মাঝখান দিয়ে ছাদ ফুঁড়ে একটা বৃহৎকাণ্ড বৃক্ষ উঠে গিয়েছে, তার গায়ে একদিকে লণ্ঠন আর একদিকে একটা সত্যিকারের ঢোল ঝোলানো। দেওয়ালে যে সব সাজানোর জিনিসপত্র টাঙানো আছে সেগুলো দেখলে আপনার দিল্লি রোডের ধারের ধাবার সামনে রাখা খাটিয়ার কথা মনে পড়বে। একদিকে আবার একটা চাকার মতো দেখতে জিনিস ঘরঘরিয়ে ঘুরছে, আর তার গা বেয়ে জল পড়ছে। সিনেমাতে গ্রামের ক্ষেতে যেমন দেখায়। দোকানের আলোকসজ্জাও হ্যারিকেনের আলোর কথা মনে পড়াবে, যদিও চলাফেরার পক্ষে সে আলো যথেষ্টই।


উৎসঃ Zomato

আমরা টেবিলে গিয়ে বসতেই আরেকজন কাবুলিওয়ালাপাঞ্জাবি পরা লোক এসে আমাদের মেনু ধরিয়ে দিয়ে গেলেন। যা ভেবেছি ঠিক তাই, রাশিরাশি লাচ্ছা আর ভুনা আর রারা আর সিখ আর বোটি আর মাখনি। মেন কোর্স বাছার দায়িত্ব বান্টির ঘাড়ে দিয়ে আমি সোজা টুকটাক জিনিসপত্রের পাতায় চলে গেলাম।

আর যাওয়ামাত্র আমার হৃৎপিণ্ড আনন্দে লাফ দিয়ে উঠল।

বান্টা!       

পিণ্ড্‌ বালুচি-র মেনুবইতে বান্টার দেখা পাওয়া মানে হচ্ছে পিয়ারলেস আহেলিতে গিয়ে গরমগরম মুগডালভাজার সন্ধান পাওয়া। যেটা বাড়িতে মা ডাল রান্নার সময় একটুখানি বাঁচিয়ে রাখেন আর প্লেটে করে চুপি চুপি অংকখাতার ওপর রেখে দৌড়ে পালান।

বান্টা ব্যাপারটা যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য চট করে বর্ণনা দিয়ে দিই। ব্যাপারটা আর কিছুই না, মশলা দেওয়া সোডা। কাঁচের গ্লাসে চামচে করে বান্টা মশলা দিন, লেবু চিপুন, লেবুর বিচি চামচে তুলে ফেলে দিন, মার্বেলপোরা সোডার বোতলের মুখে চাপ দিয়ে ফটাস করে মার্বেল বোতলের ভেতরে পাঠিয়ে দিন, এবার গবগবিয়ে সোডা মশলার ওপর ঢালুন, চামচ দিয়ে ঘটাঘট নাড়ুন, উদগ্রীব খদ্দেরের হাত থেকে এ হাতে দশটাকা ছিনিয়ে নিন, ও হাতে গ্লাস এগিয়ে দিন।

ব্যস হয়ে গেল বান্টা। গ্লাসভর্তি অমৃত।


উৎসঃ গুগল ইমেজেস

আমি আর কোনওদিকে না তাকিয়ে বান্টা অর্ডার করে দিলাম। বান্টি অনেকক্ষণ মাথা চুলকে, অদৃশ্য গোঁফ চুমরে, চিবুক ঘষটে, ভুরু কুঁচকে, মেনুর এ মাথা থেকে ও মাথা কণ্ঠস্থ করে ফেলে অবশেষে বাকিটা অর্ডার দিল।

কলমি কাবাব, মুর্গ শামি কাবাব, আলুপেয়াজ পরাঠা আর মটকা কুলফি।

আমি সারাজীবনে অনেকরকম কাবাব খেয়েছি। নিজামুদ্দিনের গলিতে, মুনিরকার ঝুপড়িতে, আল-কাউসারের দালানে, করিম্‌সের চাতালে, কিন্তু পিণ্ড্‌ বালুচির কলমি কাবাবের মতো কাবাব আমি আর কোত্থাও খাইনি।

অন গড ফাদার মাদার।

গায়ে আগুনের রং মাখা গোল গোল মাংসের টুকরো, ঝিরি ঝিরি করে কাটা টাটকা পেঁয়াজ আর টমেটো আর পাতিলেবুর পাশে শোয়ানো। টেংরির হাড়ের জায়গাটায় ফয়েল প্যাঁচানো, যাতে ধরতে গেলে হাতে তেলটেল না লেগে যায়। লেবুর টুকরোটা তুলে নিয়ে সন্তর্পণে কাবাবের ওপর চিপে, ফয়েলের জায়গাটা ধরে তুলে মাংসে কামড় বসাতেই আমার নিমেষে পূর্ণার কথা মনে পড়ে গেল।

পূর্ণা ছিল আমার জীবনের প্রথম রুমমেট। বাংলাদেশের মেয়ে। জে এন ইউ তে এসেছিল ইংরিজি পড়তে। আমাকে ভীষণ ভালোবাসত, আমিও ওকে খুব ভালোবাসতাম। সেই পূর্ণা কোনও জিনিস ভালো লাগলেই---তা সে খাবার জিনিসই হোক, এই ধরুন দোসা কিংবা ফজলি আম; অথবা গায়ে দেওয়ার জিনিস, টুপি কিংবা ফ্যান্সি স্কার্ফ---বলত,

“আহা, ইস্‌সা করে দোকানদারের গালে একখান চুমা দিয়া আসি।”

কলমি কাবাবের টুকরোটা যখন লেবুর রসে ভেজানো তন্দুরের সেঁকা গন্ধে আমার মুখের ভেতরটাকে স্নান করিয়ে শেষমেশ আমার তপ্ত জিভের ওপর গলে গেল, তখন আমার সত্যি সত্যি মনে হল, রাঁধুনিকে, পিণ্ড্‌ বালুচির মালিককে, এমনকি যে মুরগিটাকে জবাই করে এই অপার্থিব ব্যাপার সৃষ্টি করা হয়েছে, তাদের সবার গালে একখান কইর‍্যা চুমা দিয়া আসি।

বান্টি খুব সবজান্তা মুখ করে বলল, “আগেই বলেছিলাম। আমার কথা তো বিশ্বাস করতে চাও না।”

বাকি সব খাবারও খুব ভালো ছিল, আলুপরাঠা আমার এমনিই বড় প্রিয় খাদ্য, তার ওপর এ ছিল একেবারে ফাসক্লাস। ময়দা, আলু আর পেঁয়াজ আর ভাজা জিরে আর ধনেপাতার পারফেক্ট প্রোপোরশনে তৈরি। ডানহাতের দু-আঙুলে আলতো করে ছিঁড়ে সামান্য আচার ছুঁইয়ে মুখে পুরে, বাঁহাতে ধরা ডাঁটো কাঁচালংকায় কামড় বসাচ্ছিলাম যখন, জিভে সত্যি সত্যি আগুন লেগে যাচ্ছিল। আর তারপর সেই আগুন নেভাতে চামচে করে ঠাণ্ডা দই তুলে মুখে পুরছিলাম---আমুলের ফুলক্রিমও সে দইয়ের কাছে লজ্জা পাবে---তখন সবটা মিলিয়ে যে ঘটনাটা ঘটছিল, সেটা জানতে হলে আপনাদের বসে বসে এই ব্লগ পড়লে হবে না। কাছাকাছি পিন্ড বালুচির শাখা খুঁজে শিগগিরি ফোন করে একটা টেবিল রিজার্ভ করতে হবে।

মটকা কুলফির কথাটাও খেলিয়ে বলব ভেবেছিলাম, সে বেচারাকেও বঞ্চিত করার আমার কোনওই দুরভিসন্ধি ছিল না, কিন্তু অলরেডি একহাজার দশ শব্দ হয়ে গেছে। আর এত খাওয়ার কথা লিখতে গিয়ে আমার আবার কী রকম খিদেখিদেও পেয়ে গেছে। শুধু এইটুকু বলছি যে টপক্লাস দুধে বানানো রাবড়ি, মাটির ভাঁড়ে জমানো, যেমন খেতে হবে---মটকা কুলফিটাও ঠিক সে রকমই, কিংবা হয়তো আরও একটু বেশি ভালো খেতে ছিল।

তবে আবারও বলছি, ওই কলমি কাবাব দিয়ে যে ডিনারের আলাপ বাঁধা হয়েছে, তার বিস্তার, দ্রুত, ঝালা যে যেমনতেমন হবে না, সে কথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

টাকা দিয়ে, মৌরি খেয়ে, মৌরির বাটির পাশে রাখা গুড়ের টুকরো মুখে ফেলে, কোনওমতে চেয়ার ঠেলে ওঠা গেল। আর একগ্রাস বেশি খেলেই যে ওঠা যেত না, ক্রেন কোম্পানিকে খবর দিতে হত, সে নিয়ে আমি আর বান্টি একমত।

ব্যস, গল্প শেষ। ও হ্যাঁ, বেরোবার সময় আমি গাছে ঝোলানো ঢোলটায় আস্তে করে একটা টোকা মেরে এসেছিলাম, আর এইবার ভদ্রলোকের সম্ভাষণের উত্তরে জোরগলায় “সৎ শ্রী আকাল জি”-ও বলতে ভুলিনি। 

Comments

  1. pind balluchi to amar barir pashei. shiggir jete hochhey.

    ReplyDelete
    Replies
    1. চলে যাও চলে যাও সৌমেশ, তবে একটাই সতর্কবার্তা, দোকানটায় কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড সংগীত হিসেবে সর্বক্ষণ ইয়ো ইয়ো হানি সিং টাইপের গান বাজতে থাকে।

      Delete
  2. Egulo khub kharap hochhe..er por theke erom blog lekhar age ekta statutory warning likhe deben sobar upore...'nimno blog e utkrishto khabarer utkorsho bornona dewa ache...nijer lov somboron khomotar upor bhorsha kore blog pora suru korun' :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমি তো ভাবলাম আপনারা পড়ে সবাই খুশি হবেন, আর কাছাকাছি দোকান খুঁজে কাবাব খেতে যাবেন।

      Delete
  3. ইকী, খিদে পেয়ে গেল যে! আমার আবার দক্ষিণের ক'খানা রাজ্যের মধ্যে কেবল কেরালার রান্নাই ভালো লাগে, মালাবার কুইজ্যিন যাকে বলে আরকি। পূর্বের একটা রাজ্যের রান্নাও ভালো, তবে সেদেশের মানুষের ব্যাবসা করার মনোবৃত্তি নেই কিনা, তাই দোকানেবাজারে সে রাজ্যের রান্না বড় একটা পাই না।
    উত্তরভারতীয় রান্না আমার দুর্ধর্ষ লাগে, যদিও উত্তরভারতীয় রান্না বলতে আমি পাঞ্জাবি, মোগলাই আর ফ্রন্টিয়ার কুইজিনের কথাই ভাবি। সময়বিশেষে রাজস্থানি, কাশ্মিরি খাবারও ভালো লাগে বৈকি, তবে সে কথা ক্রমশ প্রকাশ্য।
    আর আপনি অনেক দেশের অনেক রকম কাবাব খেয়েছেন, আরেকটা খেয়ে আসুন প্লিজ। প্রগতি ময়দানের কাছে মটকা পির দরগার কাছে বাবুশাহি বাবুর্চির কাবাব আর বিরিয়ানি। আপনার অফিস থেকে অটোতে পাঁচ মিনিট লাগবে, ওখান থেকে আপনার বাড়িও খুব দূর হবে না। দিল্লির নিজামের কাবাব খুব একটা সুবিধের নয়, কিন্তু হায়দ্রাবাদের প্যারাডাইসের কাবাব ভালো।
    আর বালুচিস্তান তো মরুভুমি মশাই, পিন্ড বালুচির ইন্টিরিয়রটা তো নিতান্তই পাঞ্জাবের গ্রাম বাংলার ছবি। ওই যেখানে যশ চোপড়ার সিনেমাতে মেয়েরা লালনীল ওড়না পরে সর্ষেখেতের মাঝ দিয়ে জল তুলতে যায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে যাব তো! থ্যাংক ইউ। আমি একবার কাশ্মীর ভবনের ক্যান্টিনে খেতে গিয়েছিলাম, খুব ভালো লেগেছিল। আর ওই গানগুলো কী ভয়ংকর হয় না?

      Delete
  4. এ রীতিমত অন্যায়, শুধু অন্যায়ই না - অত্যাচার। নিজে এরকম বেজায় ভালো ভালো খাবে আর বলবেও। এদিকে আমার বাসায় যে এখন ম্যাগী, কলা, চানাচুর মায় মেরি বিস্কুট অব্দি নেই তার বেলা? এখন কি খাই? তবে 'চুমা' দেবার ব্যাপারটা বেশ মজার। এরকম একটা দোকানদার হতে পারলে মন্দ হত না :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, দোকানদার হওয়ার আইডিয়াটা ভালো তো...

      Delete
  5. "নিজামুদ্দিনের গলিতে, মুনিরকার ঝুপড়িতে, আল-কাউসারের দালানে, করিম্‌সের চাতালে" kheyechhi, kintu pind baluchi-te kokhono khawa hoyni....sob theke beshi kheyechhi oboshyoi nizamuddin-e...dorgar pashe, Jahanarar shomadhir kachhei sei buro chachajir dokaan Ghalib, aar taar topto gorom kabab, ekhono bhablei jibhe jol chole ashe....Karims bhalo, Karims bishyobikhyato, amaro khub i priyo Karims, kintu taake aami nombor debo dwitiyo sthanei....chachajir chhotto dokaner bhetor lohar danday shneka gorom shik kababer shonge palla Karims kono din i dite pareni....
    e chhara আল-কাউসারের kakori kabab chhilo boro lobhoniyo...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমারও গালিব দোকানটা ভীষণ পছন্দ শ্রমণ। তুমি একটা গল্প জানো নিশ্চয়, ওই গালিবের সামনে দেবজিতের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন সামান্য উন্মত্ত ভদ্রলোকের বিরিয়ানি পড়ে যাওয়ায়, দেবজিৎকে আবার তাঁকে নতুন করে বিরিয়ানি কিনে দিতে হয়েছিল।

      Delete
    2. Kuntaladi, ehhe ei golpota mone porchhe na to . Debjit ke detail ta jiggesh korte hochhe. Aar smriti guloke jhaliye nite Dilli ekbar hana dite hobe mone hochhe.
      Aager ekta comment-e Kashmir house-er kotha dekhlam, otao darun ! Kashmir house-er Rogan Josh ta oashadharon :)

      Delete
  6. banti bhari khadyorashik toh!!! :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই তো আমিও দেখছি।

      Delete
  7. Hehehe...Baluchistan er byapar ta bhalo laglo... sei ekjon ra eshechilo na okhan theke, tai to tara Kolkata'r rasta chinto na bhalo... tader por tomay abar bolte shunlam oi jayga kar katha!

    Ta valentine's day to bhaloi palon korecho, sokal bela orom "grumpy cat" type chhobi diyechile keno? Aaa?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, ও রকম একটু ছবিটবি দিতে হয় রিয়া, না হলে সবাই নন-আঁতেল ভাবে।

      Delete
  8. Ghranengo ordho bhojonong shunechilam....eta pore puro jibhe jol eshe ekakar kando holo....digene thuri carmozyme kheye nio....noile petkharap hole amay dish diyona....

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা রণিতা, সে আমি বাড়ি ঢুকেই কার্মোজাইমের শিশি গলায় উপুড় করে ধরেছি, কাজেই চিন্তা নেই।

      Delete
  9. aha aha kuntaladi.. ki ba shunaile shyamnaam..amon kore kaaner, thuri, choker bhitor diye morome posheche je mon ta bhishon kabab-kabab korche, tao abar j se kabab na, mondar bose-khyato baluchistaner kabab! kintu ki r korbo, dilli durast.. :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. দিল্লি এলে তোমাকে আমি কাবাব খাওয়াব স্বাগতা, প্রমিস। শুধু একটা ফোন কোর।

      Delete
  10. এক্ষুনি খেয়ে উঠলাম, কিন্তু আবার খিদে পেয়ে গেল... কি মুস্কিল!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে তোমাদের বয়সে আমরা কাঁচা লোহা খেয়ে হজম করতে পারতাম সুনন্দ, আর তুমি আবার খিদে পাওয়া নিয়ে আফসোস করছ?

      Delete

Post a Comment