লিট্টি চোখা জংশন



Chompoo Baritone নামের এক শিল্পী ইন্সটাগ্রামে লোকে কীভাবে মিথ্যাচার করে সেই নিয়ে একটা ছবির সিরিজ বানিয়েছেন। Baritone যদিও হেসেছেন ইন্সটাগ্রাম নিয়ে, কিন্তু এই হাসিটা যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়েই হাসা যায়। ফেসবুক, টুইটার, পিনটারেস্ট, স্ন্যাপচ্যাট, পেরিস্কোপ, ব্লগ। এ সব জায়গাতে লোকে নিজের যে জীবনযাত্রা, যে মতামত, যে আদর্শের ছবি আঁকে বা পোর্ট্রে করে, আসল জিনিসগুলোর চেহারা খুব সম্ভবত (প্রায় নিশ্চিতভাবেই) সত্যি নয়। অবশ্য শুধু সোশ্যাল মিডিয়াকে এ বাবদে দোষ দেওয়া অনুচিত। ঘরের জামা বাইরের জামা যেমন আলাদা, ভেতরের মুখ আর বাইরের মুখও তেমনি আলাদা। তাতে অসুবিধে কিছু নেই। মনের ঘোরপ্যাঁচ, অশিক্ষাকুশিক্ষাগুলোকে মনে চেপে রেখে আমরা যদি সবাই প্রকাশ্যে পরিশীলিত মুখোশ করে ঘোরাঘুরি করি, ক্ষতির থেকে লাভ বরং বেশি। এ ব্যাপারে আমার মত চোখের বালি উপন্যাসের অন্নপূর্ণার মতো। আগে বাইরে ভুলতে আরম্ভ করতে হবে, তাহলেই একদিন ভেতর থেকে ভুলব।

যাই হোক, মোদ্দা কথা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রকমসকম দেখে কারও সম্পর্কে কোনও রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছনো রিস্কি। অবান্তর পড়ে হয়তো আপনি আমাকে পাজির পাঝাড়া ভাবলেন, এদিকে দেখা গেল আমি আসলে নিপাট নিরীহ ভালোমানুষ। কিন্তু ভালোমানুষ হওয়া সত্ত্বেও অবান্তরে আমি নানারকম ফাঁকিবাজি করি। টুকটাক মিথ্যে কথা বলি। রং চড়াই। সত্যি চেপে যাই। যেমন কারিগাছ কিনে বাড়ি নিয়ে আসার কথাটা ফলাও করে লিখেছিলাম, কিন্তু তার পরপরই যে দু'দুখানা পুদিনা গাছকে প্রাণে মেরেছি, সেটা ফাঁস করিনি।  

তবে ইদানীং যে সত্যিটা চেপে যাওয়া নিয়ে আমার অস্বস্তি ক্রমে প্রবল হয়ে উঠছে সেটা হচ্ছে বাইরে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারটা। অবান্তর পড়ে আপনারা হয়তো ভাবেন, বাপরে এদের লাইফস্টাইল কী অস্বাস্থ্যকর, কত বাইরে খায়। তাতে অসুবিধে নেই, কারণ ভাবনাটা সত্যি। কিন্তু অবান্তর পড়লে এটাও বোধহয় মনে হয় যে আমরা হরবখত দামি দোকানে খেয়ে বেড়াই, নয়তো যুক্তি করে স্টেট ক্যান্টিনে যাই। অর্থাৎ আমাদের এই খেয়ে বেড়ানোর মধ্যে একটা উদযাপনের গন্ধ মিশে থাকে।

সেটা আপাদমস্তক ভুল। কারণ আমাদের নিরানব্বই শতাংশ বাইরে খাওয়া আছে নিছক প্রয়োজনসম্ভূত। কখনও কখনও প্রয়োজনটা ফ্রিজের ফুলকপির কোপ থেকে বাঁচার, কখনও বসের বকুনি খেয়ে ফিরে মন ভালো করার। আর ভীষণ ক্বচিৎকদাচিৎ যখন কাজের ধুম পড়ে, তখন বাড়ি ফিরে রান্নার কথা তো ছেড়েই দিলাম, রান্না খাবার থালায় বেড়ে খাওয়া, খেয়ে উঠে সে থালা মাজার কথা কল্পনা করলেও কান্না পায়।

সবরকম প্রয়োজন মিলিয়েমিশিয়ে বাইরে খাওয়ার প্রয়োজনটা আমাদের ঘনঘনই পড়ে। আর ঘনঘন পড়ে বলেই পকেটের কথাটা ভুললে চলে না। আমাদের বাইরে খাওয়ার একটা বিরাট অংশের ভেনু এবং মেনু ঠিক হয় শুধুমাত্র পকেটের কথা মাথায় রেখে। রোজই যদি বাইরে খেতে হয় তাহলে দেশবিদেশ কিংবা ভিনরাজ্যের খাবার খাব প্যাকনা ধরলে চলে না, তখন পাড়ার দোকানের কোণা ছেঁড়া মেনুর সবথেকে কমদামি তরকারি (একশো শতাংশ কেসে সেটা আলুজিরা) দিয়ে দুখানা তাওয়া রোটি চিবিয়ে বাড়ি চলে আসতে হয়। আর বলাই বাহুল্য সেটা ফলাও করে ব্লগে লেখার কল্পনাও মাথায় আসে না।

অথচ না আসার কোনও কারণ নেই। কারণ প্রয়োজনের খাওয়া বলে আমরা এসব খাওয়াকে শখের খাওয়ার থেকে কম এনজয় করি তা নয়। বরং ন্যাড়া সি এফ এল লাইটের নিচে বসে, একে অপরের মুখ স্পষ্ট দেখতে দেখতে গল্প করতে করতে খেতে দিব্যি ভালো লাগে। আর এসব জায়গায় গল্পের তোড়ে হাসির আওয়াজ জোরে হয়ে গেলে কেউ ভুরু কুঁচকে টতাকায় না, সেটা বোনাস।

স্বাদ দিয়ে যদি বিচার করা হয় তাহলে আমি বলব অনেক সুশিসাশিমির থেকেও ওই রুটি আলুজিরা আমার ভালো লাগে। হ্যাঁ, 'হাংগার ইজ দ্য বেস্ট সস' প্রবাদের কথা মাথায় রেখেই বলছি। দিল্লি শহরের অন্তত তেরোটা দোকানের আলুজিরা আমি চেখে দেখেছি, একইরকম ক্লান্তি ও খিদের মুখে, কিন্তু তেরোরকম আলুজিরার তেরোরকম বৈশিষ্ট্য খেয়াল করতে একটুও অসুবিধে হয়নি।

তাই ভেবেছি আমাদের এসব খাওয়াদাওয়ার কথাও এবার থেকে অবান্তরে লিখব। খাবার দেখে আনইন্টারেস্টিং মনে হতে পারে, অপ্রতুল আলোয় অপটু আলোকচিত্রীর হাত কেঁপে ছবি ঝাপসা আসতে পারে, তবু সত্যিটা হচ্ছে খিদের মুখে এরাই আমাদের মুখে খাবার তুলে দেয়, আমাদের ইচ্ছে আর কুঁড়েমিকে প্রশ্রয় দেয়, অর্চিষ্মান আর আমাকে গল্প করার জায়গা জোগায়। এবং এ সবই করে নামমাত্র মূল্যে।  


*****

'যা নেই ভারতে তা নেই মহাভারতে' কথাটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে যদি বলা যায় 'যে খাবার নেই কালকাজীতে তা নেই সারা ভারতে' তাহলে সেটা খুব ভুল হবে না। মোরাদাবাদি, হায়দেরাবাদি, দক্ষিণী, পাঞ্জাবি সব রকম খাবারের দোকান আছে কালকাজী মার্কেটের দুধারের ফুটপাথে। নিন্দুকেরা বলতে পারে সে সবরকমের খাবারই আসলে পাঞ্জাবি খাবারের মতো খেতে, কিন্তু তাদের কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই।

কালকাজীর এই কুইজিনের মেলার মুকুটে বেশ কিছুদিন যোগ হয়েছে 'লিট্টি চোখা জংশন'-এর পালক। আমরা অলরেডি খেয়েছি বারকয়েক কিন্তু ছবি তোলা হয়নি কখনও। কেন হয়নি সে কথা ওপরে বলেছি। কিন্তু যখন মন বদলাল, ক্যামেরা ঘাড়ে গত শনিবার লিট্টি চোখা জংশন-এ গিয়ে হাজির হলাম।


ছোট্ট দোকান। কর্তৃপক্ষ আর রন্ধনশিল্পীদের জন্য বরাদ্দ মেজনিন ফ্লোর, খাইয়েদের বসার জায়গা বেসমেন্টে। সাদাকালো ছবি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো। ছবি মূলত দু'রকম। কিছু ছবি, যেমন শিশুদের খেলার ছবি, পুড়তে থাকা সাপবাজির ছবি, ভারতের যে কোনও প্রদেশের হতে পারে। দ্বিতীয় রকম ছবি হচ্ছে বিহারের বিখ্যাত মানুষদের। স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, যাঁরা ভারতের ইতিহাসে নিজেদের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। খুবই ভালো আইডিয়া। কিন্তু আমাদের দুজনের মতেই গোবিন্দা আর শত্রুঘ্ন সিনহা-র ছবিও দেওয়ালে থাকা উচিৎ ছিল।


মহারাষ্ট্র সদন নিয়ে কথা বলার সময়ই বোধহয় আঞ্চলিক রান্নার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কথা হচ্ছিল। রান্নায় (বা মেনুকার্ডে) যে বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি দেখেই অঞ্চল চিনে নেওয়া যায়। লিট্টি চোখা জংশন-এর মেনু যদি বিহারি খানার যথার্থ প্রতিনিধি হয়ে থাকে তাহলে বলতেই হবে বিহারের লোকেরা চিঁড়েভাজা খেতে দারুণ পছন্দ করেন। চিউড়া মাটন, চিউড়া ঘুগনি, চিউড়া অমুক, চিউড়া তমুকে মেনু ছয়লাপ। আগের দিন আমরা চিউড়া মাটন টেস্ট করেছিলাম। রগরগে পাঁঠার ঝোলের পাশে কুড়কুড়ে চিঁড়েভাজার বাটি। সে চিঁড়েভাজা মাংসের ঝোলের সঙ্গে মেখে খেয়ে দেখলাম, চমৎকার লাগে। সেদিন আমরা ছাতুর পরোটাও নিয়েছিলাম, আর নিয়েছিলাম কুলহড় কি চায়।


পরশু আমাদের লিট্টি খাবার মন হল। আমি নিলাম লিট্টি চোখা, অর্চিষ্মান নিল লিট্টি মাটন। লিট্টি কী জিনিস জানেন নিশ্চয় সকলে। ছাতুর পুর দেওয়া আটার গোল্লা। সেটা কয়লার আগুনে সেঁকাও হতে পারে আবার ডুবো তেলে ভাজাও হতে পারে। সেঁকা ভাজা যাই হোক না কেন সবশেষে তার ওপর গব্যঘৃতের প্রলেপ দেওয়া হয়, অন্তত লিট্টি চোখা জংশন-এ তো দিয়েছিল দেখলাম।

লিট্টি আমরা আগেও খেয়েছি, দুজনেরই ভালো লেগেছে। তবে ব্যাপারটা শুধু খেলে একটু শুকনো লাগতে পারে। তাই সঙ্গে একটা কিছু থাকা জরুরি। লিট্টির সঙ্গে খাওয়ার জন্য সবথেকে ট্র্যাডিশনাল পদ হল চোখা। অন্য জায়গায় যাকে ভর্তা বলে বিহারে তাকেই বলে চোখা। চোখা সব জিনিসেরই হতে পারে, তবে লিট্টি চোখা জংশন-এর চোখা বানানো হয়েছিল আমার পৃথিবীর দ্বিতীয় সেরা পছন্দের সবজি, বেগুন দিয়ে। কয়লার আঁচে বেশ করে পোড়ানো বেগুনের নরম শাঁস, ঝাঁঝালো সর্ষের তেল, লংকাকুচি, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বেশ করে মাখা। আবার মাখার মাঝে মাঝে আমার পৃথিবীর প্রথম পছন্দের সবজি, আলুর সেদ্ধ টুকরোও মুখে পড়ছিল। স্বর্গ।


অর্চিষ্মানের কিমার তরকারিও ঠিক ততখানি রগরগে আর তেলতেলে ছিল, যতখানি না হলে মাটন খেয়ে মজা নেই। এসব কিছুর সঙ্গে আমরা নিয়েছিলাম ছাতুর সল্টেড শরবত।


নানারকম ইন্টারেস্টিং মিষ্টি আছে লিট্টি চোখা জংশন-এর মেনুতে। তাদের মধ্যে 'বাগিয়া' ব্যাপারটার প্রতি আমাদের কৌতূহল ছিল। সেটা অবশ্য ডেজার্টের তালিকায় ছিল না, ছিল স্ন্যাক্সের লিস্টে। কিন্তু শেষমেশ পরীক্ষানিরীক্ষায় না গিয়ে আমরা গুড় কি ক্ষীর আর সিলাও কে খাজা নিলাম। আমার মায়ের হাতের পায়েসকে দশে দশ ধরলে লিট্টি চোখা জংশনের পায়েস ছয় পাবে। কাজুকিশমিশের অভাব আছে, তবে দুধ যে যত্ন করে জ্বাল দেওয়া হয়েছে সে নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রায় প্রতি চামচেই ঘন সরের দেখা মিলছিল।


সিলাও কে খাজা কেমন খেতে সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ আমি ওটা আর খেতে পারিনি। খাজার দোষে নয়, আমার পেটের জায়গার অভাবে। আমাদের ওটা অর্ডার করাই উচিত হয়নি, কিন্তু মেনুতে “A sweet which has history over 2000 years. It was done even in Maurya and Gupta timesটিপ্পনী দেখে উৎসাহ চাপতে পারিনি। শেষটা খাজা প্যাক করে নেওয়া হল। বাড়ি এসে বিকেলবেলা চায়ের সঙ্গে একদু'কামড় খেয়ে অর্চিষ্মান বলেছিল, খাজার মতোই খেতে। বাকিটুকু এখনও ফ্রিজে তোলা আছে। দেখি, মনে থাকলে অফিসে নিয়ে যাব।

কিন্তু এভাবে বললে লিট্টি চোখা জংশনের খাবারে ঠিক মূল্যায়ন হয় না। সেদিন রেডিওতে একজন প্লট, স্টোরি, থিম ইত্যাদি নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। প্লট যদি গাছ হয়, স্টোরি তবে জঙ্গল, আর থিম হচ্ছে গিয়ে মানচিত্রে সবুজ রঙের ছোপ। গোটা মানচিত্রে যেখানেই ওই ছোপ দেখা যাক না কেন, সে সব জায়গার আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, সে সব জঙ্গলে ম্যানগ্রোভ, পর্ণমোচী, চিরহরিৎ যত রকমারি গাছপালাই জন্মাক না কেন, আসলে তারা সবাই জঙ্গল। গল্পেরও তাই। প্লট আলাদা আলাদা হতে পারে, চরিত্র আলাদা আলাদা হতে পারে, তাদের চেহারা, চাওয়াপাওয়া আলাদা আলাদা হতে পারে, কিন্তু থিম সেই আদিঅকৃত্রিম দুটো। হয় ভূত নয় চোর।


খাবারের সম্পর্কেও আমার একই মত। মশলা একশো রকমের হতে পারে, রাঁধুনি লক্ষ রকমের হতে পারে। আজ লিট্টি চোখা জংশনের বেসমেন্টে বসে লিট্টি মাটন খাচ্ছি, সেদিন খেয়েছিলাম চিউড়া মাটন, পরদিন আমার পুবি ভাজি বুনিয়া খাব। একেকদিন একেকরকম মেনু, একেকরকম স্টোরিলাইন। সে গল্পের গতি ক্ষণে ক্ষণে বদলাবে, এই লিট্টিই এক রাঁধুনির হাতে একরকম চেহারা আর স্বাদ পাবে, অন্য এক রাঁধুনির হাতে ভোল পালটে অন্য চেহারা নেবে। কিন্তু যেটা পালটাবে না সেটা হচ্ছে লিট্টির থিম, চরিত্র। এ হচ্ছে ইউটিলিটারিয়ান ফুড, পাওয়ার ফুড। ওরকম ছোট্ট মিষ্টি ফুটবলের মতো চেহারা, কিন্তু আসলে একেকটি বোমা। একখানা খেয়ে একগ্লাস জল খেয়ে নিন, পরের ছ’সাত ঘণ্টা আর খাওয়ার কথা মনে থাকবে না। ঘণ্টায় ঘণ্টায় “কী খাই কী খাই” করে ফ্রিজের দরজা খুলে দাঁড়াতে হবে না, চানাচুরের গুঁড়ো লেগে থাকা শূন্য বয়ামের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হবে না। লিট্টির বোমা আপনার পাকস্থলীতে ধীরে ধীরে ধিকি ধিকি জ্বলবে, আপনার রক্তে মিশবে মহার্ঘ ফাইবার ও প্রোটিন, আপনার শরীর শক্ত হবে, মগজ চাঙ্গা হবে।

বাড়ির কাছে সস্তা, পুষ্টিকর ও টেঁকসই খাবারের এমন একখানা দোকান পেয়ে আমরা বর্তে গেছি। কালকাজী মার্কেটের খাবার দোকানের টার্নওভার রেট বাড়াবাড়ি রকমের হাই। নিত্যনতুন দোকান গজায় আবার বন্ধও হয়ে যায়। লিট্টি চোখা জংশনে খেয়ে বেরিয়ে প্রত্যেকবার আমি আর অর্চিষ্মান মনে মনে প্রার্হনা করি, “ঠাকুর, সি আর পার্ক, কালকাজী, গ্রেটার কৈলাসের লোকেরা সবাই বেশি বেশি করে ছাতুর শরবত আর লিট্টি চোখা খাক, ‘এল সি জে’ ছাপ্পা মারা মোটরবাইক হোমডেলিভারি নিয়ে দিকে দিকে ধাক, লিট্টি চোখা জংশন দীর্ঘজীবী হোক।”  


*****

Litti Chokha Junction
E-8, Main Road, Kalkaji
New Delhi
+91 9990456562


Comments

  1. Darun! Litti niye je keu ato bhalo lekha likhte pare vabtei parini. ak nishashe pore felllum. litti ar thekua dutoi amar darun lage.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠেকুয়া আমারও পছন্দের, কুহেলি। লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. Baaah! Jobordost lekha!!! Eeh amaro khaoar ichche bere gelo. Apnar lekhar modhye swad pelam!

    Chhotobelay besh kobar Deoghar (ager Bihar, adhuna Jharkhand) giyechhilam. Jasidih Station -er khabar bikretader ekta chena daak chhilo ..... Litti-pani. Ekta jholay litti sajano, sada kapore dhaka, sei kaporer bNochka bNedhei kNadh theke jholano. Ar hate ekta joler balti, mukhdhaka. Chayegaram-er motoi daak Littipaaaani :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাহ, চমৎকার একটা দৃশ্যের কথা বললেন, সায়ন। আমার এখন ইচ্ছে করছে যশিডি ইষ্টিশনে বসে লিট্টিপানি খাই। এই রকম ফেরি করা খাবার আমার দারুণ লাগে। পুরীর বিচে ডেকচির মধ্যে মিষ্টি খেয়েছেন নিশ্চয়?

      লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
    2. অন্বেষা সেনগুপ্তNovember 6, 2015 at 1:45 AM

      খাই নি আবার! একবার পুরী গিয়ে সক্কালবেলা বীচে বসে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয়েছিল | তবে সঙ্গে পয়সা ছিল না| মিষ্টিওয়ালা আমাদের অবস্থা দেখে পরে হোটেলে এসে টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন ;) | আমার এক মামা তার পর থেকে সাড়ম্বরে ঘোষণা করতে লাগলেন, ' আমরা ক্রেডিট কার্ডে মিষ্টি খেয়েছি আজ' | হেহে|

      Delete
    3. তোমার মামাবাবু রসিক মানুষ মনে হচ্ছে অন্বেষা।

      Delete
  3. লেখাটা দারুণ, মুড়ি আর চানাচুরের সঙ্গে মিশিয়ে আরামসে খেয়ে ফেললাম। খেতে থাকুন, লিখতে থাকুন... :)
    শুভকামনা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস, আমার বাড়িতে চানাচুর ফুরিয়ে গেছে। আজই কিনে আনব। থ্যাংক ইউ, আরাফ।

      Delete
  4. ami kokhono litti khaini. pore ekhon khete ichhey kochhey. Net ghnete ekta recipe pelam. Jodi r karor ichhey kore tader jonya.
    http://theveggieindian.com/2013/11/litti-chokha-baati-chokha-step-by-step-recipe-and-tips-on-making-sattu-from-scratch.html

    ReplyDelete
    Replies
    1. চোখা বানানো তো সোজা, লিট্টি বানানোও আর কত কঠিন হবে। তোমার রেসিপির লিংকের জন্য অনেক ধন্যবাদ, চুপকথা। চেষ্টা করে দেখতে পারি।

      Delete
  5. Daroon post....Patna station er deke deke bikri korto.,..."litti-chokha-chatni le lo" :)
    tumi sattu paratha tao try kore dekhte paro. aami barite ekta short cut e banai...bread diye...youtube link ta dilam.....
    https://www.youtube.com/watch?v=2LjfzX6V1UA

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, কী চমৎকার লিংকখানা, শম্পা। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। ছাতুর পরোটা আমি কখনও খাইনি, কিন্তু অর্চিষ্মান শুনেছি নিয়মিত টিফিনে ছাতুর পরোটা নিয়ে স্কুলে যেত। সে পরোটার এমন স্বাদ হত যে ছেলেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ত। শেষটা টিফিন পিরিয়ড এলেই আর সেদিন টিফিনে ছাতুর পরোটা থাকলেই অর্চিষ্মান বাক্স খুলে একখানা পরোটা নিজে বার করে নিয়ে বাকিগুলো জনতার হাতে ছেড়ে দিত।

      Delete
  6. ore bandho kar ..bandho kar.. bandho kar .. ar je newa jacche na, bombayte littir dokan nei ..

    ReplyDelete
  7. বহু বছর আগে গোবিন্দা একবার একটি সাক্ষাৎকারে নিজেকে "বিহার কা ছোকরা" বলেছিলেন।
    তার বহু বছর পর জানা গেল যে সাংবাদিক ছিলেন কানে খাটো এবং হোমওয়ার্কে অলস, ওটা আসলে "ভিরার কা ছোকরা" হবে। ভিরার হল মুম্বাইয়ের উত্তরের একটি শহরতলি।
    গোবিন্দার বাবা পাঞ্জাবি এবং মা উত্তর প্রদেশের।
    কিন্তু লেখাটা চমৎকার হয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, অবান্তরের লেখকও ওই সাংবাদিকের মতোই অলস দেখা যাচ্ছে। যাই হোক, জেনে নিলাম। ধন্যবাদ, দেবাশিস।

      Delete
  8. misti football.. hahah .... litti chokha eto bhalo je tumi abar likhle..? jinista niye amar dharona khub ekta bhalo chilona... eto bhalo jokhon tahole to khujtei hocche...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমাদের জিনিসটা খেতে ভালো লাগে তো বটেই, ঊর্মি, কিন্তু একবার খেলে যে পরের আট ঘণ্টা আর খাবার কথা ভাবতে হয় না, সেটা আরও ভালো লাগে।

      Delete
  9. amar o onyotomo pachander khabar litti chokha,ami bartoman e Jharkhand muluk ei roechi to...ekta addition thake,cheo to dokan tate peye jabe mone hoy,tometo pora,seita kacha lonka aar beetnun diye makha ebong last e jol diye ektu taral kore dhonepata chorano...bujhtei parcho case ta kemni hobe...litti,chokha aar tomato nonta chatni..litti Kolkata teo kichu jaygay paoa jay..tobe eto tasty pai ni..infact eikhaneo kebol 2 ti dokan ei khub bhalo banay,baki gula elebele..oi atar layer besi mota holei borbad..ota hobe patla..ar ekta case..request korle ora litti gulo ke ghee er hari te fele dey...10 minit por tole..se ja khete na..nah aar bolbo na..gali galaj korbe baki pathika/pathok ra..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে টমেটো পোড়া আমার ভীষণ প্রিয় খাবার, প্রসেনজিৎ। আমাদের বাড়ির (বাবার দিকের) বেশ কিছু লোক ওই বিহার ঝাড়খণ্ডের দিকে থাকতেন। তাঁদের প্রভাবেই কি না জানি না, এইসব পোড়াটোড়া আমরা খুব খাই। বেগুনপোড়া হওয়া মানেই গোটা দুয়েক মোটা মোটা টমেটোও পোড়ানো হত। তারপর সেটা পেঁয়াজ লংকা সর্ষের তেল দিয়ে মেখে......

      তোমার লিট্টি চোখা প্রেম দেখে খুব খুশি হলাম। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      Delete

Post a Comment