দ্য মাস্টার অফ গো



সেদিন মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পর পর পাঁচখানা খালি মেট্রো নাকের ডগা দিয়ে চলে গেল, ছ'নম্বর ট্রেনটা ঢুকতে দেখলাম ভিড়ের চোটে লোকের নাকের ডগা দরজায় সেঁটে গেছে আর তিন নম্বর কামরার দরজার কোণা থেকে ভিড়ের মাথার ওপর দিয়ে উঁকি মারছে একটা চেনা চশমার ফ্রেম আর ফ্রেমের পাশে টা টা করার ভঙ্গিতে নড়ছে পাঁচটা রোগা রোগা আঙুল। সেটা আমার উদ্দেশ্যেই হবে ধরে নিয়ে আমি আমার লোকাল ট্রেনের প্র্যাকটিস কাজে লাগিয়ে ঠেলেধাক্কিয়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম, উঠতে না উঠতে আমার ঝুঁটির এক মিমি দূরত্বে দরজাটা খটাস করে বন্ধ হয়ে গেল, আর আমি উচ্চকণ্ঠে "এক্সকিউজ মি এক্সকিউজ মি" চেঁচাতে চেঁচাতে চশমার ফ্রেমের মালিকের পাশে এসে সবে ডানপায়ের গোড়ালিটা রাখার জায়গা করেছি এমন সময় অর্চিষ্মান বলল, "ঠিক করে দাঁড়িয়েছ তো? গুড।" এই না বলে একটা বই দিয়ে নিজের নাকমুখ আবার আড়াল করে ফেলল।
বুঝুন। এতক্ষণ আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য দুঃখপ্রকাশ না, মিষ্টি হাসি না, "হাউ ওয়াজ ইয়োর ডে?" মার্কা ভদ্রতাসুলভ আলাপের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
কাজেই বাধ্য হয়ে আমাকে বইখানা কেড়ে নিয়ে দেখতে হল যে কী এমন জরুরি ব্যাপার লেখা আছে তাতে। আর তখনই আমি নামটা প্রথম দেখলাম। দ্য মাস্টার অফ গো।
মাস্টার? অফ গো? এ কেমন বই, নামেই ব্যাকরণের ভুল করে রেখেছে? এতক্ষণের জমে থাকা বিরক্তিটা প্রকাশ হয়ে পড়ল। আর অমনি সুযোগ পেয়ে অর্চিষ্মান বলে উঠল, "ছি ছি, গো বলে একটা খেলা হয় তাও জানো না? চিন দেশে আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই বোর্ড গেমের আবিষ্কার। ইতিহাসে এর প্রথম লিখিত উল্লেখ পাওয়া গেছে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে। আর তুমি কি না এই দুহাজার পনেরোতে দাঁড়িয়ে বলছ গো কী বস্তু তুমি জান না?
ততক্ষণে লাজপত নগরে লোক নেমে মেট্রো খালি হয়ে গেছে। আমি দরজার পাশের জায়গাটায় দু'পায়ের ফাঁকে ব্যাগ নামিয়ে রেখে আরাম করে দাঁড়িয়ে বললাম, "বাজে বোকো না। তুমিও জানতে না গো খায় না মাথায় দেয়। এই বইটা অর্ডার দেওয়ার সময় উইকিপিডিয়া থেকে জেনেছ।"
ধরা পড়ে গিয়ে অর্চিষ্মান হাসতে লাগল, আর বিষাক্ত পার্টিকল ম্যাটারে ছয়লাপ দিল্লির কুয়াশা ভেদ করে দিগন্তে লোটাস টেম্পল পদ্মের মতো ফুটে উঠল।
খেলাধুলো নিয়ে পৃথিবীতে শিল্পসাহিত্য কম হয়নি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে রয়েছে জাপানি লেখক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা-র উপন্যাস 'দ্য মাস্টার অফ গো'। উপন্যাস হলেও 'দ্য মাস্টার অফ গো'-র ঘটনা একেবারে ঘোর বাস্তব। উনিশশো আটত্রিশ সালের 'গো' খেলার একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে এই বইটি লিখেছিলেন ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা। ঊনচল্লিশ বছর বয়সী কাওয়াবাতা তখনই জাপানের রীতিমত নামকরা লেখক। লেখক হওয়ার পাশাপাশি কাওয়াবাতা ছিলেন একজন বিশিষ্ট 'গো'অনুরাগী। ওই ম্যাচটির গুরুত্বের কথা মনে রেখে 'ওসাকা' এবং ' টোকিও' নামের দুটি কাগজ তাঁকে ওই খেলাটির ধারাবিবরণী লেখার বরাত দেয়। চার বছর পর উনিশশো আটত্রিশ সালে মাষ্টার শুসাইয়ের মৃত্যুর পর কাওয়াবাতা তাঁর বিবরণী মাজাঘষা করে একটি সাময়িক পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে ছাপেন। তারও পরে উনিশশো চুয়ান্ন সালে বইয়ের আকারে প্রকাশ পায় 'দ্য মাস্টার অফ গো'। উনিশশো আটষট্টি সালে কাওয়াবাতা সাহিত্যে নোবেল পান। উনিশশো বাহাত্তর সালে ইংরিজিতে অনুবাদ হয় 'দ্য মাস্টার অফ গো'।
বইটা নিয়ে আর কিছু বলার আগে 'গো' খেলাটা সম্পর্কে লেখকের উদ্ধৃতি তুলে দিচ্ছি। তাহলে অবান্তরের পাঠকদের মধ্যে আমার মতো যদি কেউ থেকে থাকেন, যিনি 'গো' খেলার অস্তিত্ব জানতেন না, তাঁর সুবিধে হবে। (যদিও 'দ্য মাস্টার অফ গো'-র রসাস্বাদনের জন্য 'গো' খেলাটা জানার কোনও দরকার নেই, কেন সেটা পরে বলছি।)
The game of Go is simple in its fundamentals and infinitely complex in the execution of them. It is not what might be called a game of moves, as chess and checkers... The object is to build up positions which are invulnerable to enemy attack, meanwhile surrounding and capturing enemy stones.
'দ্য মাস্টার অফ গো' শুরু হচ্ছে মাস্টার শুসাই-এর মৃত্যুসংবাদ দিয়ে। মাষ্টার শুসাই ছিলেন জাপানের 'গো' খেলার প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ হোনিনবো ঘরানার একুশতম মাস্টার বা মেইজিন। উনিশশো ছত্রিশ সালে তিনি নিজের 'হোনিনবো' মুকুট উত্তরাধিকারীর মাথায় তুলে দিয়ে অবসর নেন। এবং দু'বছর পর উনিশশো আটত্রিশ সালে একটি 'রিটায়ারমেন্ট গেম' খেলতে ফিরে আসেন। সেই খেলায় মাস্টারের চ্যালেঞ্জার ছিলেন মিনোরু কিতানি, ঊনত্রিশ বছরের এক উদীয়মান প্রতিভা। উনিশ বছর বয়সে একটি 'উইন অ্যান্ড কনটিনিউ' নকআউট গেম-এ পর পর দশজন বাঘাবাঘা গো-খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে যিনি 'প্রডিজি' হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
আড়াইপাতার সংক্ষিপ্ত প্রথম পরিচ্ছেদের পর 'দ্য মাস্টার অফ গো'র দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ শুরু হচ্ছে খেলার ফলাফল দিয়ে। 'গো' খেলার অবিসংবাদিত নায়ক, হোনিমবো ঘরানার একুশতম মেইজিন শুসাই, তাঁর জীবনের শেষ পেশাদার খেলায় তরুণ প্রতিপক্ষের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
বুঝতে পারছেন, দ্য মাস্টার অফ গো-তে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার অবকাশ নেই। খেলায় কে জিতবে, কে হারবে, এমনকি খেলার শেষে কে মরবে (নিতান্ত স্বাভাবিক মৃত্যু) সবই আগে থেকে ফাঁস করে বসে আছেন লেখক। সাহিত্যিক পরিচর্যার সামান্য আড়াল সরিয়ে নিলে এ লেখা একেবারেই প্রতিবেদনমূলক। উনিশশো আটত্রিশ সালের ছাব্বিশে জুন থেকে চৌঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত ছ'মাস ধরে, জাপানের তিনটি শহরে ঘুরে ঘুরে চলা একটি ঐতিহাসিক খেলার ধারাবিবরণী লিখেছেন গল্পের সাংবাদিক উরাগামি, বাস্তবের কাওয়াবাতা। (গল্পে মাত্র দুটি তথ্য বদলেছিলেন কাওয়াগাতা। নিজের নাম আর মাস্টারের প্রতিপক্ষের নাম। নিজে হয়েছিলেন 'উরাগামি', বাস্তবের মিনোরু কিতানি-কে করে দিয়েছিলেন ‘ওটাকে’।) এই ছ'মাসব্যাপী খেলার সঙ্গে বদলে যাওয়া প্রকৃতির, খেলোয়াড়দের বদলে যাওয়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বর্ণনাও যেমন আছে সে প্রতিবেদনে, তেমনি আছে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ চালের বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ। তার সঙ্গে সঙ্গে আছে পাতায় পাতায় গো বোর্ডের ছবি।
যদিও 'দ্য মাস্টার অফ গো'র রসাস্বাদনের জন্য সে সব ডায়াগ্রাম বোঝার কোনও দরকার নেই। ঠিক যেমন দরকার নেই চক্ দে ইন্ডিয়া দেখতে যাওয়ার জন্য হকি খেলা জানার। কিংবা কোনি পড়ার জন্য চিতসাঁতার দিতে পারার। কারণ সুইমিং পুল, সুইমিং কস্টিউম, সাঁতারের ক্লাবের পলিটিক্স, সাঁতারের কোচ, সাঁতারের প্রতিযোগিতা আর সাঁতারুদের নিয়ে লেখা হলেও সবাই জানে 'কোনি' আসলে সাঁতারের গল্প নয়। ঠিক তেমনই ‘দ্য মাস্টার অফ গো’-ও আসলে কেবল এক শতাব্দী প্রাচীন বোর্ড গেমের গল্প নয়। তার থেকে অনেক বেশি কিছু।
'দ্য মাস্টার অফ গো'র ইংরিজি অনুবাদক এডওয়ার্ড সাইডেনস্টিকারের মত হচ্ছে যে 'দ্য মাস্টার অফ গো'র ঘটনাপ্রবাহ তৎকালীন জাপানের ললাটে ঘনিয়ে আসা ঘটনাপ্রবাহের ইঙ্গিতসূচক। উনিশশো আটত্রিশ সালে যখন মাস্টার শুসাই জীবনের শেষ খেলা খেলতে বসেছেন তখন জাপানের সমাজ আর রাজনীতিতেও একটা গুরুতর সময় আসতে চলেছে। যুদ্ধ শুরু হল বলে। বিশ্বরাজনীতির আকাশে ঘনিয়ে আসছে মেঘ। তার ছায়া পড়েছে জাপানের আকাশে। আর কয়েকবছরের মধ্যে সে মেঘের ছায়া ফুঁড়ে নেমে আসবে লিটল বয়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে হিরোশিমা নাগাসাকি, বদলে যাবে জাপানের সমাজরাজনীতির গতিপথ। ধ্বংসস্তুপ থেকে যে জাপান উঠে দাঁড়াবে, আকৃতিপ্রকৃতিতে সে সম্পূর্ণ নতুন। প্রাচীন জাপানের সঙ্গে চিন্তাভাবনায় চলনগমনে তার কোনও মিলই থাকবে না।
উৎস গুগল ইমেজেস

কাওয়াবাতার চোখে 'গো' বোর্ডের দু'দিকে বসে থাকা দুই প্রতিপক্ষ এই দুই জাপানের প্রতীক। নবীন ওটাকে সেই আসন্ন আধুনিকতার ঝড়, যার সামনে শেষ প্রতিরোধ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন বৃদ্ধ মাস্টার শুসাই। দু'জনের মাঝখানে 'গো' বোর্ডে পাথরের ঘুঁটির সজ্জা বদলাচ্ছে, কিন্তু কাওয়াবাতা মানসচক্ষে দেখছেন আসলে বদলাচ্ছে জাপানের আত্মপরিচয়।
এই দ্বৈরথে কাওয়াবাতা একেবারে নিরপেক্ষ প্রতিবেদক ছিলেন না। বয়সের দিক থেকে নবীন খেলোয়াড় ওটাকে-র কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও মনেপ্রাণে তিনি ছিলেন মাস্টার শুসাই-এর অনুরাগী। মাষ্টার শুসাই যে সময়ের প্রতিনিধি সেই সময়ের রীতিনীতির অন্ধ সাপোর্টার। এতদিন ধরে যা চলে এসেছে কাওয়াবাতা ছিলেন তার পক্ষে। প্রচলিত চলন যতই গোলমেলে হোক না কেন, তাতে একটা অভ্যেসের আরাম থাকে। আরও অনেকের মতোই কাওয়াবাতা সে আরাম থেকে বেরোতে চাননি। তার মধ্যে যতই অন্যায় অসাম্য থাক না কেন। তিনি লিখেছেন,
It may be said that the master was plagued in his last match by modern rationalism, to which fussy rules were everything, from which all the grace and elegance of Go as art had disappeared, which quite dispensed with respect for elders and attached no importance to mutual respect as human beings. from the way of Go the beauty of Japan and the Orient had fled. Everything had become science and regulation. the road to advancement in rank, which controlled the life of a player, had become a meticulous point system. one conducted the battle only to win, and there was no margin for remembering the dignity and the fragrance of Go as an art. the modern way was to insist upon doing battle under conditions of abstract justice, even when challenging the master himself. the fault was not Otaké's. perhaps what had happened was but natural, Go being a contest and a show of strength.

গোটা বইটা জুড়ে কাওয়াবাতার এই অযৌক্তিক একচোখোমি এতই প্রকট যে তাঁর এবং তাঁর গুরুদেব মাস্টার শুসাই-এর প্রতি মমতা বজায় রাখা শক্ত হতে পারে। কিন্তু একইসঙ্গে গোটা ব্যাপারটা যে অসম্ভব করুণ সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই যে রবীন্দ্রনাথ লিখে গিয়েছিলেন, "যে একেবারে চলিয়া যাইতেছে তাহাকে মাপ করিতে পারে না, এমন কঠিন মন অল্পই আছে।" এখানেও সেই একই ব্যাপার। মাস্টার শুসাই একেবারেই হেরে যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর এতদিনের প্রতিষ্ঠা, বোধ, সংস্কারের সলিলসমাধি আসন্ন জেনেও তিনি আরেকবার যুদ্ধের শেষ না দেখে ছাড়ছেন না, সে জন্য কোথাও তাঁর জন্য মনের কোণে শ্রদ্ধা না জন্মিয়েও পারা যায় না। সে শ্রদ্ধা যতই করুণামিশ্রিত হোক না কেন।



উৎস গুগল ইমেজেস



Comments

  1. Kawabata na kawagata? Eki paragraph e durakam banan dekhlam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. কাওয়াবাতা, চন্দ্রচূড়। আমি ঠিক করে দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  2. "Career of Evil"? shuru korechhen?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এখনও হাতে পাইনি, রণদীপ। বুধবার নাগাদ পাচ্ছি। ততদিনে স্কারলেট পিম্পারনেলও শেষ হবে। আরাম করে পড়ব। তুমি পড়ছ নাকি? কেমন লাগছে?

      Delete
    2. Yes! Almost done with first 100 pages; Awesome so far! Ebar besh ekta 'Serial Killer' theme! To be honest, I did not like 'The Silkworm' that much, far too grotesque and bizarre.

      Delete
    3. হাহা, সেটা ঠিকই বলেছ, রণদীপ, একটু বীভৎস রসের বাড়াবাড়ি ছিল সিল্কওয়ার্মে, কিন্তু আমার ভালোই লেগেছিল। আজই আসছে আমার কেরিয়ার অফ ইভিল। রীতিমত উত্তেজিত বোধ করছি।

      Delete
  3. Baaah. Khub bhalo lekha. Amar wish list e dhuke gelo ei boiTi. Khub sundor kore likhechhen. Ar emon ekti bishay niye agrho janalen bole abar wrin :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ঋণ আবার কীসের, সায়ন। আপনি যা সুন্দর একটি বইয়ের খোঁজ আমাকে দিয়েছেন, সে বেলা?

      Delete
  4. বেশ ইন্টারেস্টিং তো...পড়তে হচ্ছে। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই বইটা হাতে পেলে পড়ে দেখতে পারেন, অরিজিত, বেশ অন্যরকমের।

      Delete
  5. আহা, বড় ভালো লাগল আপনার লেখাটা। আর বইটার বিষয়বস্তু খানিকটা রবীন্দ্রনাথের গানভঙ্গ তে নবীন যুবা কাশীনাথ আর বুড়ো বরজ লালের তুলনার কথা মনে পড়িয়ে দিল। পড়ার ইচ্ছে রইল কখনও। প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমি গো খেলাটা না জানলেও ও খেলাটার নাম জানি অনেকদিন ধরেই কারণ ওটা এমন একটা খেলা যেটা কম্পিউটার খেলতে পারেনা, বা অন্তত ভাল করে খেলতে পারেনা। যেখানে দাবার মতন প্যাঁচালো খেলাতেও এখন আর কম্পিউটারকে হারানো মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে, সেখানে গো এর মতন সিম্পল খেলার প্রোগ্রাম লেখা যায়না এটা খুব অদ্ভুত, আর তাই এটা অনেক কম্পিউটার বইতে লেখা থাকে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, তাই বুঝি? তবেই বুঝুন, গো-এর মহিমা। আর ওই কাশীনাথ বরজলালের তুলনাটা মোক্ষম দিয়েছেন।

      Delete
  6. বুঝতে পারছি বইটার বক্তব্যর সঙ্গে গো খেলাটা নিয়ে ভাববার দরকার নেই। তাও আমার মনে হচ্ছে আমরা ছোটবেলায় দুটো খেলা খেলতাম, বাঘবন্দী আর মোঘল-পাঠান। গো খেলাটা বোধ হয় সেই জাতীয়। - গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. ও তাই নাকি? সেটা অবশ্য হওয়া বেশ স্বাভাবিক। যত আলাদাই হোক না কেন, দেশে দেশে সংস্কৃতিতে সংস্কৃতিতে মানুষের মগজ একই দিকে ধায়। বাঘবন্দী খেলাটার নাম সিনেমাটার সুবাদে জেনেছি , মোঘল-পাঠান এই প্রথম শুনলাম। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে রোমহর্ষক খেলা।

      Delete
  7. anekdin por Abantor e ese besh notun jinis jante parlam.. dadu chhotobelay erokom ekta khela sikhiechhilen, tar naam baghbondi ba similar kichhu ekta,jodio khelar details bishesh mpne nei... seta ki ei GO er indian version naki besh jante ichhe korchhe.- Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওপরে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় তোমার মতোই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, ব্রততী। বাঘবন্দীর গো-এর ভারতীয় ভার্সান হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।

      Delete
  8. emon darun kore bolle mane likhle, boita porar echhe roilo ...Thank you

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাতের কাছে পেলে পোড়ো, প্রদীপ্তা, মনে হয় ভালোই লাগবে।

      Delete

Post a Comment