এ মাসের বই/ সেপ্টেম্বর ২০০৬ (১)/ ছোট্ট একটা স্কুল, পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা



ছোট্ট একটা স্কুল/ শঙ্খ ঘোষ


উৎস গুগল ইমেজেস


শিশু সাহিত্য সংসদের সামান্য ময়লা হলুদ রঙের মলাটে সবুজ গাছে ঘেরা লাল ছাদ আর তিনকোণা দরজার মাথাওয়ালা চকমেলানো স্কুলবাড়ির ছবি দেখে সেটা তুলে নিয়েছিলাম। কেনার সিদ্ধান্ত নিতে আরও সাহায্য করল বইয়ের দাম। ষাট টাকা মাত্র। 

"স্বাধীনতার কয়েক বছর আগে থেকে যে-স্কুলটিতে” শঙ্খ ঘোষ পড়েছেন, তারই স্মৃতিচারণ নিয়ে তৈরি বই ছোট্ট একটা স্কুল। কিছু উল্লেখ দেখে বোঝা যায় স্কুলটা ওপারবাংলার, ব্যস, নামধাম আর কিছু জানা যায় না।  

তবে বোঝা যায় যে স্কুলটা ভালো। বা বলা উচিত অন্যরকম। ভালো স্কুল আজকাল মোড়ে মোড়ে, চিলেকোঠায় চিলেকোঠায়, বেসমেন্টে বেসমেন্টে। তাদের সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেললে বিপদ।এই স্কুলের দায়িত্ব যাদের হাতে তাঁরা অন্যরকম। তাঁরা সিলেবাসের বাইরের পড়া পড়ান, ছুটির পর ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থীদের শশা খাইয়ে স্পেশাল ক্লাস নেন, বসন্তের রাতে খোলা মাঠে গিয়ে পাঁচ ব্যাটারির টর্চের আলোয় ছাত্রদের কালপুরুষ, সপ্তর্ষি, ধ্রুবতারা চেনান। এই স্কুলে ক্লাসে ক্লাসে গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট বসানোর আইডিয়া আসে হেডমাস্টারমশাইয়ের মাথায়, কিংবা ইনভিজিলেটরহীন পরীক্ষার কথা। বোঝান, পরীক্ষার হলে বাঘের মতো পাহারা দেওয়া মাস্টারমশাইদের উপস্থিতিটা যতটা না ভয়ের তার থেকে বেশি লজ্জার। বলেন, 

“কেন তোমাদের পাহারা দিতে হবে? ঘরে যদি কেউ না থাকে তাহলেই কি তোমরা এ ওর দেখে লিখবে? বই খুলে লিখবে? মাষ্টারমশাইরা কি কেবল সেইটে ঠেকাবার জন্য বসে থাকবেন ঘরে পুলিশ হয়ে? পরীক্ষার ঘর কি তবে একটা চোরপুলিশের খেলা? দেখো তো ভেবে? তোমাদের কি এইটুকুও বিশ্বাস করা যাবে না? শুধু সন্দেহই করতে হবে?” 

এই স্কুলে ভাষা আর সম্প্রদায়ের সম্পর্ক ছোটবেলাতেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় যে শহীদুল্লাহ্‌-এর থেকে ভালো ফারসি জানতে পারেন আর শহীদুল্লাহ্‌ যে সুনীতিকুমারের থেকে বড় সংস্কৃতজ্ঞ হতে পারেন, দিনের আলোর মতো এই সোজা এবং স্বাভাবিক কথাটা এই স্কুলের ছাত্রদের ছোটবেলাতেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সত্যি কথাটা জানার সঙ্গে সঙ্গে তাতে আরও একটা সুবিধে হয়। বড় হয়ে ভারি ভারি বই পড়ে এবং তত্ত্বালোচনা পড়ে এই সোজা সত্যিটা আবিষ্কার করে নিজের প্রগতিশীলতায় নিজে মুগ্ধ হওয়ার এবং বাকি সকলের অনগ্রসরতা দেখে তাদের মানুষ না মনে করার বিপদটাও কাটে।

অথচ স্কুলটা খুব চেনাও। এই স্কুলেও অভিভাবকরা ছিলেন, যারা মাস্টারমশাইদের সিলেবাসের বাইরের জিনিসপত্রের প্রতি অনুরাগের মর্ম বুঝতে পারতেন না, এই স্কুলেও ফাঁকিবাজ ছাত্ররা ছিল যারা বাংলা পরীক্ষায় অবধারিত একটি বর্ষার দিন রচনা লিখে আসত, এই স্কুলের সেই সেকালের ছাত্রদেরও আজকালকার স্কুলের একেলে ছাত্রদের মতো নতুন ক্লাসে উঠে নতুন বইয়ের মালিক হতে ভালো লাগত, মলাট দিয়ে তাতে পরিচ্ছন্ন লেবেল লাগিয়ে মালিকানার ঘোষণা ভালো লাগত, নতুন বছরের শুরু থেকেই মন দিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছের (এবং আমার ঘোর বিশ্বাস এক সপ্তাহ যেতে না যেতে সে ইচ্ছের অন্তর্ধানের) ব্যাপারেও এ স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের আশ্চর্য মিল।

ছোট স্কুল নিয়ে লেখা বইয়ের আয়তনও ছোট। লম্বাচওড়ায় মোটে এক বিঘত, পাতার হিসেবে বাহান্ন পাতা। কিন্তু শঙ্খ ঘোষের বাকি সব ছোট বইয়ের মতোই, আসলে বইটা অনেক বড়। কারণ এই বইটা আপনি একবার পড়বেন না। অনেকবার পড়বেন। আর প্রত্যেকবারের পড়া যোগ করলে আসলে এটা হয়ে যাবে বিরাট একটা বই। আর শেষ করে যখন বইটা মুড়ে রাখবেন, কোথাও কোনও দুঃখের কথা না লেখা থাকলেও, রসগোল্লা ছুঁড়ে কুল পাড়ার বর্ণনা আর নাটকের স্টেজে গোলমালের গল্প দিয়ে বোনা হলেও, আপনার গলার কাছটা ব্যথা করে চোখ ভিজে যাবে। আর তখনই প্রমাণ হয়ে যাবে ছোট্ট স্কুল নিয়ে লেখা বইটা আসলে কতখানি বড়।


*****


পূজাবার্ষিকী ১৪২৩ আনন্দমেলা


উৎস গুগল ইমেজেস

এখনও কেন আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী পড়ি, সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠতে পারে। পড়ি, কারণ অভ্যেস। মানতে চাই না চাই, একটা নস্ট্যালজিয়ার ব্যাপার আছে। এই অভ্যেসটা আমি ছাড়তে রাজি নই। 

তাছাড়া না পড়েই বা কী করব। হয় ইউটিউব দেখব নয় গেম খেলব। দুটোর থেকেই আনন্দমেলা পড়া বেটার।

আনন্দমেলার কথা বলতে আমি প্রধানত ফিকশনের কথাই বলব। বিশেষত উপন্যাস। কমিকসের ছবির বিচার আমি করতে পারব না, করলে গল্পের বিচার করতে হবে। তবু বই খুলে যেহেতু কমিকসগুলোই আগে পড়ি তাই ওগুলোর কথাও বলা যাক। ফেলুদা কমিকস-এ এবার নয়ন রহস্য। গল্পটা আমার এমনিতেই খুব একটা সুবিধের লাগে না। সোনার কেল্লার অদ্ভুত বালক, কর্ভাস-এর সম্মোহনবিদ্যা জানা জাদুকর ইত্যাদি খাপচা খাপচা করে নিয়ে বানানো মনে হয়। হয়তো মনে হওয়াটা অযৌক্তিক কিন্তু মনে হয় যখন তখন তাকে আর অস্বীকার করি কী করে। 

এবারের সংখ্যার আরেকটি কমিকস হল সমরেশ বসুর লেখা অবলম্বনে ‘গোগোল কোথায়’। গোগোল হচ্ছে সেই ধরণের চরিত্র যারা বাবামায়ের কথা না শুনে অন্ধকার বাড়িতে ঢুকে বিপদে পড়ে। তারপর নানা বীরত্ব দেখিয়ে সে বিপদ থেকে নিজে মুক্তি পায় এবং রহস্য সমাধা করে অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়। তখন সবাই তাকে ধন্য ধন্য করে। আমি এই রকম করে দাউদ ইব্রাহিমকে ধরিয়ে দিলেও আমার বাবামা আমার কান মুলে বলবেন, বারণ করেছিলাম তবু ওখানে গিয়েছিলে কেন। আমিও হয়েছি তাঁদেরই মতো নিড়বিড়ে আর গতে বাঁধা, তাই আমার এধরণের বীরত্বে মুগ্ধতার থেকে বিরক্তি বেশি লাগে। তবে এত বেশি বিরক্ত হওয়াও বিরক্তিকর, তাই না হওয়ার চেষ্টা করছি। 

এবার আনন্দমেলা পড়তে গিয়ে আবারও যে কথাটা টের পেলাম সেটা হচ্ছে আমার গানের মাস্টারমশাই কত বুদ্ধিমান লোক ছিলেন। উনি বলতেন, ওরে কী গাইছে সেটা কথা নয়, কে গাইছে সেটাই কথা। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এ কথার সত্যতা টের পেয়েছি, লেখাও তার ব্যতিক্রম নয়। এবারের আনন্দমেলায় উপন্যাস আছে ছ’টি। একটির প্রেক্ষাপট ঐতিহাসিক (ভগবানের আপন বেশ, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়), একটি ছোট ছেলের ডায়রির ফর্মে লেখা (বাঘার আশ্চর্য ডায়রি, ঋতা বসু), একটি কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক (অপারেশন অগ্রদূত, অনির্বাণ বসু), একটি পাড়ার বড়লোক এবং চায়ের দোকানে কাজ করা ছেলেদের বন্ধুত্ব নিয়ে (আনাড়ি, পারমিতা ঘোষ মজুমদার), একটি সমকালীন অ্যাডভেঞ্চার (রাতদুপুরে ভয়ঙ্কর, মণিশঙ্কর দেবনাথ), একটি মফস্বলের ব্যাংক ডাকাতি (বুদ্ধুস্যারের বুদ্ধি, তিলোত্তমা মজুমদার)। আর আছেন শীর্ষেন্দু, তাঁর ‘নন্দীবাড়ির শাঁখ’ গল্প নিয়ে। 

বাকি উপন্যাসগুলোর বিষয় বললাম আর শীর্ষেন্দুরটার বললাম না কেন? কারণ ও গল্পের বিষয় আপনারা সকলেই জানেন। গত দশ বছরে বিষয়ের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এমনকি ছবিগুলোও এক। সেই গঞ্জ/মফস্বল সেটিং, সেই ধসে পড়া জমিদারবাড়ির আলাভোলা ছেলে আর তার চাকর, সেই কোনও একটা স্পেশাল জিনিসের (এক্ষেত্রে সেটা জমিদারবাড়ির মন্দিরের শাঁখ) পিছু ধাওয়া করা দুষ্টু লোক, সেই নিড়বিড়ে এক চরিত্র যিনি দুই দলের মাঝখানে পড়ে নাকাল, সেই কুস্তির আখড়া, এবং গল্পের শেষে সেই নিড়বিড়ে ভদ্রলোকের কুস্তির আখড়ায় গিয়ে বলশালী হয়ে ওঠার সংকল্প। 

এবং এই একই চর্বিতচর্বণ সত্ত্বেও শীর্ষেন্দুরটাই বেস্ট। কারণ সেই কী গাইছে আর কে গাইছে। তরতরে ভাষা আর গল্প বলার ভঙ্গি। অন্য গল্পগুলোও ভালো কিন্তু দীর্ঘ তথ্যমূলক প্যারাগ্রাফের এসে পড়া, সাসপেন্সের ইলাস্টিক টানতে গিয়ে ছিঁড়ে যাওয়া, শেষ পাতায় হুড়মুড় করে সব ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা ইত্যাদির প্রকোপ ভরপুর। 

ভালো লেখক ভালো লিখবেন এই যুক্তিতে আমার তিলোত্তমা মজুমদারের উপন্যাসখানাও ভালো লাগা উচিত ছিল কিন্তু স্যাডলি সেটা একটু ব্যতিক্রম হয়ে গেছে। তিলোত্তমার গল্পটা ভালোই, মুশকিলটা হয়েছে বড় বেশি “ভালো”। ও গল্পের মূল চরিত্রদের বাড়ির কেউ টিভি দেখে না, সবাই অংকে আর ফিজিক্সে তুখোড়, প্রতিবেশীর ছেলে রোজ ভোরে শুদ্ধ হিন্দুস্থানি মার্গসংগীত সাধনা করে, একটা সুর এদিক থেকে ওদিক হয় না। যে বেচারা ভিলেন, সে বেচারারই খালি চুলে স্পাইক। এই 'আদর্শ' পরিবেশের আমদানি করতে করতেই অধিকাংশ সময় চলে গেছে, ক্রাইসিস অর্থাৎ ব্যাংক ডাকাতির ভাগে সময় পড়ে গেছে কম। 

ছোটগল্পের মধ্যে আমার স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর মৌমাছি, পিঁপড়ে বা সুতো গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে। 

আনন্দমেলা পড়ি কেন সেটা তো গোড়াতেই বলেছি, কিন্তু পড়ে এত নিন্দা করি কেন, সেটা আমার ধারণা পড়ি কেনর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। গল্পগুলো আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয়। আমার বুড়ো চোখে যা যা খুঁত ধরা পড়েছে, যাদের জন্য লেখা তারা হয়তো সে সব ধর্তব্যের মধ্যেই আনবে না। আর তাহলেই লেখা সফল। 



Comments

  1. বাঘার আশ্চর্য ডায়রি টা অবশ্য আমার বেশ লেগেছে। উল্লাস মল্লিক এর বড়গল্প থাকলে বেশ হত ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অরিন্দম, ওই গল্পটা নিয়ে আমার যেটা সমস্যা হয়েছে সেটা হল, হয়তো ডায়রি বলেই, সে অর্থে কোনও প্লট/স্টোরিলাইন নেই। বাচ্চাটির বদমাইশির নানা উদাহরণ পড়ে চলছিলাম অনেকক্ষণ ধরে।

      Delete
  2. "গোগোল হচ্ছে সেই ধরণের চরিত্র যারা বাবামায়ের কথা না শুনে অন্ধকার বাড়িতে ঢুকে বিপদে পড়ে। তারপর নানা বীরত্ব দেখিয়ে সে বিপদ থেকে নিজে মুক্তি পায় এবং রহস্য সমাধা করে অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়। তখন সবাই তাকে ধন্য ধন্য করে। আমি এই রকম করে দাউদ ইব্রাহিমকে ধরিয়ে দিলেও আমার বাবামা আমার কান মূলে বলবেন, বারণ করেছিলাম তবু ওখানে গিয়েছিলে কেন। আমিও হয়েছি আমার বাবার মতোই নিড়বিড়ে আর গতে বাঁধা, তাই আমার এধরণের বীরত্বে মুগ্ধতার থেকে বিরক্তি বেশি লাগে।" - high five!! Depomi sojjho kora ta mushkil.

    ReplyDelete
    Replies
    1. মুশকিলটা হচ্ছে, অপরাজিতা, ডেঁপো বাচ্চা ছাড়া গল্পসিনেমার হিরো হয় না। তাই সহ্য করা ছাড়া গতি নেই।

      Delete
  3. Sirshendu r adbhuture series ache bolei ekmatro ebong ekmatro anondamela ekhono pori....ekta request chilo..apni chailei paren adbhuture series ke Sirshendu r sathe sathe sesh hoe na jete dite....abantor er eknishtha pathak(comment kori na alasatar karone)hisebe anurodh korlam :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে কী যে বলেন। আপনি আমার ওপর এত বিশ্বাস রাখেন জেনে প্রীত হলাম। থ্যাংক ইউ।

      এ বছরের শীর্ষেন্দুর গল্পের শুরুটা কী ভালো না? স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্নের মধ্যে... আমার খুবই ভালো লেগেছে।

      Delete
    2. Ha, ei shurur jaigata besh alada korechen...emnite sotti bolte gele besh kichu bachor dhore galpo gulo r alada kore mone kora jai na je kon galpe ki porechi....kintu tate amar kichu ase jai na...karon oi puro bapar tai amar bhishon priyo...ma er hater rannar mato, eki recipe jatobar khai mone hoi kichutei konodin ekgheye hobe na...era chole gele ei recipe gulo harie jabe bhabteo kemon jeno lage :(

      Delete
    3. মায়ের হাতের রান্নার উপমাটা ভালো লাগল। আনন্দমেলার শীর্ষেন্দু যে একটা কমফর্টের জায়গা সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

      Delete
  4. Oi caravaggio'r painting niye chhoto golpo tao 'Ok ok' chhilo; Shirshendu Mukhopadhyay is the only face-saver. Ekta jinish notice korechhen, Shirshendur uponnyash ta porte khub bhalo lage kintu pore aar alada kore kichhu mone thakena.

    ReplyDelete
    Replies
    1. রণদীপ, এটা একদম ঠিক। এটা বোধহয় এই কারণেই যে ঠিক এই ভাষায়, এই ছবি সহ, এই বিষয় নিয়ে, এই লোকের, এই বইয়ে লেখা গল্প আমরা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আসছি। সব তালগোল পাকিয়ে গেছে।

      Delete
  5. আপনার গলার কাছটা ব্যথা করে চোখ ভিজে যাবে।

    tomar barnona porei ei symptom gulo dekha dieche....to asol boi ta porle ki hobe...kothao pelei nie nobo boita

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম, প্রসেনজিৎ। এই বই হাতে পেয়ে ছেড়ে দেওয়ার মানে হয় না।

      Delete
  6. "ছোট্ট একটা স্কুল" বইটা অনলাইন বুকশপে খুঁজলাম, পেলাম না। কোন বুকস্টলে (ঢাকার) খুঁজতে গেলে কর্তব্যরত ব্যাক্তি(রা) ডিগবাজী খেতে পারে; দৈবক্রমে পেয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম তবুও পড়ার ইচ্ছে আছে।
    আমন্দমেলা এখনো শুরু করিনি। ভেতর সম্পর্কে আমার মত প্রায় আপনার সাথে মিলে যায়। তবে মলাটটা আমার বরাবরই বেশ লাগে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছোট্ট একটা স্কুল হাতে পেলে পড়বেন, আরাফ।

      Delete
  7. আনন্দমেলা পড়ি কেন সেটা তো গোড়াতেই বলেছি, কিন্তু পড়ে এত নিন্দা করি কেন

    sei hirer angti,iti polash,moti nondi...seisob pujabarshiki anondomelar 7 star grade chilo..compare korata thik hobe na..karon..sahityo,cinema,music....(example...nabokallol really bolte kharap lagche..pate dewar jogyo noy..eto kharap).sera samay setai chilo..arekta possibility...nostalgiar bhut hoyto notun anondomela ba samosamayik other kichu bhalo lagte dichche na....hehe..setao kintu hote pare kuntala di..

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা একেবারেই হতে পারে, প্রসেনজিৎ। আমাদের সময়ের সব গল্পগুলোই ভালো ছিল, এখন সব খারাপ এটা তো হওয়া বেশ শক্ত। তাই মনে হয় ওই যে কে লিখছে বললাম, তেমনই কে পড়ছেটাও হয়তো ম্যাটার করে। ছোটদের হয়তো দারুণ ভালো লাগে এই গল্পগুলোও যেমন আমাদের ছোটবেলার গল্পগুলো আমাদের লাগত।

      Delete
  8. তবু বই খুলে যেহেতু কমিকসগুলোই আগে পড়ি

    high five

    prosenjit

    ReplyDelete
  9. Chhotto Ekta School ebar kolkata giye khujbo, review ta khubi bhalo laglo. :)

    Anandamela somporke amaro onekta apnar motoi rog: protibar pori, r porar porei prochur gali dii, r eta cholchhe pray bigoto 8-9 bochhor dhore. Boro hoye gechhi bole golpogulo r bhallagchhe na, eta thik mante parina, kenona purano Anandamelar golpogulo ekhono porle bhalo laage. K jane, eta ekta rohosyo!

    Ami ekhono ebarerta dhorini, sobe gotobarerta sesh korlam :D
    Desh somporkeo ekta feedback chai.

    ReplyDelete
    Replies
    1. অরিজিত, দেশ-এর ছোটগল্পগুলো ট্যাকল করা গেছে, উপন্যাস পড়েছি মোটে একটা। শেষ হলে ফিডব্যাক অবশ্যই জানাব। ছোট্ট একটা স্কুল ভারি ভালো বই। কলকাতা গেলে কিনবেন।

      Delete
  10. সত্যি কথাটা জানার সঙ্গে সঙ্গে তাতে আরও একটা সুবিধে হয়। বড় হয়ে ভারি ভারি বই পড়ে এবং তত্ত্বালোচনা পড়ে এই সোজা সত্যিটা আবিষ্কার করে নিজের প্রগতিশীলতায় নিজে মুগ্ধ হওয়ার এবং বাকি সকলের অনগ্রসরতা দেখে তাদের মানুষ না মনে করার বিপদটাও কাটে।
    Khuh sundar

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, শিবেন্দু।

      Delete

Post a Comment