উঠতে বসতে



লটারি জাতীয় ব্যাপারে আমার কপাল কখনওই ভালো হয় না। ছোটবেলায় একবার সেজকাকুর হয়ে বঙ্গলক্ষ্মী না কীসের একটা টিকিট পছন্দ করেছিলাম, লাগেনি। অফিসে বছর বছর দেওয়ালিতে তাম্বোলা নামের এক বিভীষিকা হয়, লোকজন ডাইনেবাঁয়ে কফি মাগ থেকে ক্যাডবেরি জেতে, আমি গোল্লা পাই। ডি ডি এ ফ্ল্যাটের লটারিতেও নাম লিখিয়েছিলাম বছরকয়েক আগে, যথারীতি নাম ওঠেনি। 

একমাত্র একটি ব্যাপারে আমার কপাল আশ্চর্যরকম খোলে, সেটা হচ্ছে হোটেলের ঘর। বেড়াতে গেলে কপালের ভাগ কম, যেমন ভাড়া দেব, তেমনই ঘর পাব। কিন্তু কাজে গেলে ঘর অন্যে বুক করে রাখে, দরজা খুলে ঢোকার আগে আঁচ করা অসম্ভব কপালে কী নাচছে। লটারিই হল একরকম। সে সব লটারিতে আমার কপাল বেশিরভাগ সময়েই অত্যন্ত ভালো। 

যেমন ধরুন, যেবার সারিস্কা গিয়েছিলাম অফিসের সঙ্গে। এক রাজবাড়ি-কাম-হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। কেউ রাজার ঘর পেল, কেউ রানীর ঘর। সবাই ছোটাছুটি করে সে সব ঘর দেখতে গেল। আমাদের অ্যাডমিন হাত তুলে দিয়ে বললেন, আমি বাবা কিছু করিনি, যার যেমন কপাল তেমন পেয়েছ। আমি যে ঘরটা পেলাম সেটা খুব সম্ভবত সেনাপতির। যথেষ্ট আরামদায়ক, কিন্তু মেঝে ফুঁড়ে ফোয়ারা বেরোয়নি। ঘরপ্রতি দু’জন করে থাকবে। আমার ঘরে আমার সঙ্গে কে থাকবে জানা ছিল না। আমার অফিসে কোনও বন্ধু নেই, শত্রুও না, যে আসবে তাকেই মাথা পেতে নেব ভঙ্গি করে বসে রইলাম। কেউ আসে না, আসে না, শেষ পর্যন্ত এলই না। রাজারানীর খাটে লোকজন দু’জন করে শুয়ে রাত কাটালো, আমি সেনাপতির খাটে একা স্টার ফিশ হয়ে শুয়ে খুব হাসলাম।

আরেকবার ট্রেনিং দিতে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গলের মধ্যে, আশেপাশে কোথাও কিছু নেই, হঠাৎ একখানা আখাম্বা হোটেল। খেলানো বাগান, বাগানে ভাঙা পরী, করিডরের দেওয়ালে সারি দিয়ে টাঙানো চিনামাটির প্লেটে আঁকা সাহেবমেম, কোণে কোণে রাখা অ্যান্টিক সিন্দুকে জাফরি দিয়ে আসা রোদের কাটাকুটি। ওখানে আমরা থাকব তিনরাত্তির। কে কোন ঘরে থাকবে ঠিক করা নেই। একে একে রিসেপশন থেকে চাবি নিয়ে চলে যাও। আমিও গিয়ে ঘরে ব্যাগপত্র রেখে খুশি খুশি মুখে ডাইনিং রুমে এসেছি, দেখি সবার মুখ হাঁড়ি। সব বাহার নাকি বাইরেই, ঘর কহতব্য নয়। কারও ঘরে জানালা খোলে না, কারও বন্ধ হয় না,  কারও কারও বাথরুম এত ছোট, যে বেসিনটা বেসিক্যালি শোবার ঘরে। কারও এসি কাজ করছে না,আর ইন্টারনেট তো কারওরই নেই। সবাই ভয়ানক রেগে গিয়ে আমার দিকে তাকাল। হাউ’জ ইয়োরস? আমি একবার ভাবলাম বলব নাকি যে আমার অ্যাকচুয়ালি ইজ নয়, আর। একটা বসার ঘর, একটা শোওয়ার, বাথরুমে একখানা ছোটমতো টাবও আছে। শোওয়ার ঘরের জানালা বাইরে বাগানের ভাঙা পরী পেরিয়ে দিগন্তজোড়া জঙ্গলের মাথায় সূর্যাস্তের আকাশ। আর বসার ঘরে সোফা, যার ওপর আধশোয়া হয়ে এতক্ষণ অর্চিষ্মানের সঙ্গে স্কাইপ করছিলাম, তাই নামতে একটু লেট হয়ে গেল।

মনে আছে জল খাওয়ার ছুতোয় মুখে লেগে থাকা হাসিটুকু গিলে ফেলে গম্ভীর মুখে বলেছিলাম, কী আর বলব। 

বেজিং-এও আমার কপাল যথারীতি ভালোই ছিল। বেজিং-এ অবশ্য কারও কপালই খারাপ ছিল না। সব ঘরই ভালো, কেবল কোণের ঘরগুলো, যার একটা আমি পেয়েছিলাম, সেটা একটু বেশি ভালো। 

তবু সে ঘরে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল। প্রথম কথা তো নিজের বাড়িতে ব্যবস্থাপত্র যতই খারাপ হোক না কেন আরাম ঢের বেশি হয়, তাছাড়া অর্চিষ্মান থাকে। কিন্তু এ সব তো সব হোটেলের ক্ষেত্রেই সত্যি। বেজিং-এর হোটেলবাসের বাড়তি প্রাণান্তকরতাটুকু হচ্ছে ইন্টারনেটের অভাব। ইন্টারনেট আছে, তার স্পিডও সাংঘাতিক। কিন্তু দেখব কী? গুগল নেই, ইউটিউব নেই, এমনকি অবান্তরও নেই। 

সেই দু’হাজার নয়ের সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত এমন বেশ কয়েকবার হয়েছে যে আমি টানা সাতদিন লিখিনি। কিন্তু এমন একবারও হয়নি যে আমি টানা সাতদিন অবান্তরের মুখ না দেখে থেকেছি। ব্যাপারটা যে কতখানি অদ্ভুত সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়, তাই আমি চেষ্টাও করছি না। 

কাজ শেষ হল যখন তখন আমার সহ্যশক্তি শেষ সীমায়। এয়ারপোর্টে পৌঁছে সঙ্গীরা গেল ডিউটি ফ্রি শপিং করতে, আমি নির্দিষ্ট গেটের কাছে বসলাম। অবান্তর তখনও দেখা যাবে না, কিন্তু নেক্সট বেস্ট যেটা, অবান্তরের জন্য পোস্ট লেখা, সেটা করা যাবে। সিটে বসে ল্যাপটপ খুলে নিষিদ্ধ নগরীর গল্প টাইপ করতে শুরু করেছি, এমন সময় ঘটনাটা ঘটল। 

ঘটনাটাকে ঘটনা বলে তখন তো আর চিনতে পারিনি, তখন দেখলাম একজন রোগাপাতলা ভদ্রলোক, এয়ারপোর্টের কর্মচারীর উর্দি গায়ে, বাঁ হাতে একতাড়া কাগজ, ডানহাতে একখানা পেন, এসে আমার পাশের ফাঁকা সিটে বসলেন। খানিকক্ষণ পর আমার চশমার ফ্রেমের কোণায় একটা মোবাইল ফোনের স্ক্রিন উঁকি মারল। ফোনটা ধরে একখানা ফর্সা কবজি। আমি মুখ তুললাম। ভদ্রলোক হাসিহাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। ভুরু নাচিয়ে স্ক্রিনের দিকে দেখালেন। 

ওই স্ক্রিনটা আমি গত ক’দিনে দেখেছি বেশ কয়েকবার। বেসিক্যালি, ট্রানস্লেশন অ্যাপ। তুমি তোমার ভাষায় একটা কিছু টাইপ করলে সেটা অন্য ভাষায় অনুবাদ হয়ে যাবে। আপাতত যে ভাষাটা স্ক্রিন থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সেটা ইংরিজি। ভদ্রলোক আমার সুবিধের জন্য অডিও চালু করে দিলেন, এবার ফোন থেকে এক ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর যান্ত্রিক গলা আমাকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, ক্যান ইউ টিচ মি হাউ টু ডু ইট?

টিচ? হোয়াট? 

ভদ্রলোক কোলের কাগজের তাড়ার ওপর ফোন নামিয়ে রেখে দু’হাত সামনে শূন্যে বাড়িয়ে ধরে দশ আঙুল নাড়ালেন কয়েকবার। চোখ বুজে। 

মূকাভিনয় আর দু’চারটে ইংরিজি শব্দ মিলিয়ে যা বুঝলাম, ভদ্রলোক আমার টাইপিং-এর স্পিড,  তাও আবার কি-বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে, দেখে এমন অভিভূত হয়েছেন যে আমার থেকে এ বিদ্যেটি শিখতে চান।

প্রথমেই একটা পুরোনো দুঃখ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। আমার মুখের মধ্যেই এমন একটা কিছু আছে যে লোকে যেচে এসে আমাকে নিয়ে ঠাট্টামশকরা করে যায়। এ আমি বারবার দেখেছি। দুঃখটা খানিকটা কমলে দু’নম্বর চিন্তাটা হল। আমি ভদ্রলোকের মুখের দিকে ভালো করে তাকালাম, মাথা খারাপ তো মনে হচ্ছে না। চাকরিবাকরি করে খাচ্ছেন যখন। তিন নম্বর সম্ভাবনাটাই সবথেকে ভয়ের। ল্যাপটপ ব্যাগটা পায়ের সামনে রাখা ছিল। আমি যথাসম্ভব গোপনে পা-টা সামান্য এগিয়ে ব্যাগটাকে নিজের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করলাম, বিশেষ সুবিধে হল না। 

তারপর কাঁচা বয়সের এক বন্ধুর শিক্ষা মনে পড়ল, যা হচ্ছে সব ফেস ভ্যালুতে নিতে শেখ। ভদ্রলোক বন্ধুত্বপূর্ণ, তাই আমার সঙ্গে আলাপ করছেন। আমিও হেসে প্রতি- আলাপ করলাম। এ কথা সে কথা হল, ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আর ইউ দ্য বস্‌? 

আমি কান্নাটাকে হাসির চেহারা দিয়ে সত্যিটা স্বীকার করলাম। বললাম, বস তো দূর অস্ত, আমি হচ্ছি গিয়ে সারভেন্টস্য সারভেন্ট। ভদ্রলোক জোরে জোরে মাথা নেড়ে প্রতিবাদ করতে লাগলেন। এত জোরে যে টাইপ করে সে বস না হয়ে যায় না। এমন সময় পেছন থেকে আরেকটি গলা কানে এল। 

ইউ আর রাইট, দিজ পিপল আর দ্য বসেস ইন ইন্ডিয়া নাউ।

আমাদের অদ্ভুত কথোপকথন যে আরও লোকজনের কানে গেছে সেটা বুঝিনি। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম দু-তিনটে সিট ওপাশে দু’চারজন লোক বসে আছে, আমাদের দেশের, তাদের মধ্যে একজন হাসিমুখে আমার চোখে চোখ ফেলে তাকিয়ে আছেন। এর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ভদ্রলোকের কাজের ডাক এসে গেল, তিনি মাথা খুব করে ঝাঁকিয়ে আমাকে টা টা করে চলে গেলেন। আমি আবার টাইপ করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ততক্ষণে সুতো ছিঁড়ে গেছে। নিষিদ্ধ নগরীর গল্পেরা ব্যাকস্টেজে, সামনের স্টেজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আরও দুটো শব্দ। 

দিজ পিপল। 

আমাকে কোন পিপলদের সঙ্গে এক গোত্রে বসাচ্ছেন উনি ভাবার চেষ্টা করলাম। চশমা-পরা পিপল? নাক থ্যাবড়া পিপল? চুল পাকা পিপল?  কোনওটাই জুৎসই লাগল না। চশমা পরা, নাক থ্যাবড়া বসে দেশ ছেয়ে গেছে এ কথা সত্যি, কিন্তু সেটা ওঁকে কোনও ভাবে বিচলিত করতে পারে মনে হল না।

আরও এক রকমের ‘পিপল’-এর মধ্যে আমি পড়ি বটে। মেয়েদের মধ্যে। মেয়েরাই যে আজকাল চতুর্দিকে বস হয়ে উঠছে, এই ব্যাপারটাই ওঁকে রসিকতা করতে বাধ্য করেছে ধরে নিলাম আমি। 

দু’তিনটে অনুভূতি একসঙ্গে মারামারি করছিল জায়গা নেওয়ার জন্য। রাগ, অপমান, মনখারাপ। কোনওটাই আমার রুগ্ন মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে সুবিধেজনক নয়।  

আরেকবার লোকটার দিকে তাকালাম। এখন লোকটা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। ওই বয়সের বেশিরভাগ ভারতীয় পুরুষকে যেমন দেখতে হয়। মাঝারি ভুঁড়ি, মাঝারি টাক। আপাদমস্তক মাঝারি চেহারা। বলার মতো কোনও প্রিভিলেজ চুঁইয়ে পড়ছে না (বিদেশী এয়ারপোর্টে বসে থাকার অবভিয়াস প্রিভিলেজটা ছাড়া)। 

অথচ জন্মসূত্রে এ আরেকটা প্রিভিলেজ পেয়েছিল। পুরুষ হয়ে জন্মানোর প্রিভিলেজ। কোনও পরিশ্রম, কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি, জাস্ট একটি প্লেজেন্ট অ্যাকসিডেন্ট। ব্যস। এখন ক্ষেত্রবিশেষে সে প্রিভিলেজ মুঠো গলে পালিয়ে যাচ্ছে যখনতখন। আর সেই সঙ্গে রাগ বাড়ছে। কমছে প্রকাশের সুযোগ। এখন জোকসের মুখোস পরিয়ে রাগগুলো বার করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই, মাঝারি লোকেদের কাছে। 

ব্যাপারটা খুবই বেদনার, অ্যাকচুয়ালি। 

রাগের বদলে করুণাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত বলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি। সান্ত্বনা দেওয়ার কথাও মাথায় এসেছিল একবার, কিন্তু ততক্ষণে বোর্ডিং-এর লাইন দেওয়ার নির্দেশ এসে গেছে।


Comments

  1. অথচ জন্মসূত্রে এ আরেকটা প্রিভিলেজ পেয়েছিল। পুরুষ হয়ে জন্মানোর প্রিভিলেজ। কোনও পরিশ্রম, কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি, জাস্ট একটি প্লেজেন্ট অ্যাকসিডেন্ট।

    এই কথাগুলো আপনি সিরিয়াসলি লিখেছেন, না এটা আপনার জোক?

    ReplyDelete
    Replies
    1. জোক মনে হল কেন? যাই হোক, জোক নয়।

      Delete
    2. জোক মনে হল কারণ আপনার মত স্থিতধী মহিলা এরকম একটা ভুল ধারণার শিকার হবেন, এটা ভাবতে পারিনি। যাকগে...

      Delete
    3. সবই বোধহয় `নদীর এপার কহে'-র খেলা।

      Delete
    4. এটা মোটেও জোক নয়| অ্যাকচুয়ালি, এটা যে আপনি জোক ভাবছেন, এটাই বরং জোক.. যাকগে...

      Delete
    5. Apnar ei montobyo ti khubi sothik ar joralo legechhe Kuntala. Hoyto oneke pochhondo hobe na. Kintyu satyi ta satyi-e.

      Delete
    6. ধন্যবাদ, সায়ন।

      Delete
    7. e montobyo te amio agree korchhi. onek purursh to etai bojhe na je tara privilaged, sobtai nijeder rights er modhye dhore ney.

      Delete
  2. Tomar othoba je karur orom typing speed thaklei ami bhishon hingse kori. Amar just reasonably ok. But that na takie type korata r ayotto holona:( r ekta bishoye comment korte gele besh politically incorrect hoye jabo! Tabe I am glad je tumi ei byaparta niye kichu likhle. Sudhu ei jaati ta boss howar jonyo je koto gun extra porisrom kore r koto extra convince korte hoy sob level e seta je kabe sabai bujhbe! Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই এক্সট্রা পরিশ্রম আর এক্সট্রা গুণের ব্যাপারে একটা মিম দেখেছিলাম, ব্রততী, সেটা মনে পড়ে গেল তোমার কমেন্ট পড়ে। একজন কালো মানুষকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য হার্ভার্ড পাশ করে, হার্ভার্ড ল রিভিউর প্রেসিডেন্ট হয়ে, একাধারে অ্যাটর্নি এবং প্রফেসর হয়ে, ভালো বক্তা এবং ভালো ফ্যামিলিম্যান হতে হয়েছিল। আর একজন সাদা মানুষকে? স্রেফ পয়সাওয়ালা।

      Delete
  3. Amar arekta katha mone holo. দিজ পিপল bolte uni computer-litearte, ei machine take pray khelar jinis baniye felar capability rakha lokjonkeo bolte paaren. Aami karmasutre besh kichu lokke jaani jara ektu uporer (Boss marke position-e) dike thekeo kichhutei computer ta thik baage ante parrenni/paarchhen na.

    Hote paare na ki? Tabe aami abossho situation e chhilam na, kathar tone ba bhangir upor anekta nirbhar korbe.

    Bhebe dekhun. Tabe aapni ja likhechhen uni jodi sotti tai mone kore thaken, tahole onake sei agnishwar er moto thasiye charano uchit.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা যে হতে পারে, সেটা আমাকে আরেকজনও পয়েন্ট আউট করেছেন, চন্দ্রচূড়। সেটা হতে পারে না আমার এই জন্যই মনে হয়েছিল, কারণ যিনি বলেছেন তিনি একেবারেই আমার সমসাময়িক, বা বয়সে দু'চার বছরের ছোট হলেও হতে পারেন। এঁর কম্পিউটার ইলিটারেট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য বলেই আমার বিশ্বাস। তবে বেনিফিট অফ ডাউট তো সর্বদাই দেওয়া যেতে পারে।

      Delete
    2. পড়াশুনো করা, শিক্ষিত(?) মানুষের এই ব্যবহার কখনো কখনো এতো অবিশ্বাস্য লাগে! একই রকম লজ্জা লাগে যখন আমার কোনো বন্ধুকে দাদরির ঘটনায় খুশি হতে দেখি। বা এরকম নির্লজ্জ ভাবে মেয়েদের অপমান করতে দেখি।

      Delete
  4. Apni ekbar USA te ashun. Taholei bujhte parben asol privilege ta Purush der naki Nari der.

    ReplyDelete
  5. K. khub bhalo laglo post ta pore.
    hajar hajar bochor dhore jeta gnethe achey seta eto shohoj e jabe na. tobe (to paraphrase tanzanian activist gertrude mogella) "a revolution has begun and there is no turning back" :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. গারট্রুডের মুখে ফুলচন্দন পড়ুক, শম্পা।

      Delete
  6. "জন্মসূত্রে এ আরেকটা প্রিভিলেজ পেয়েছিল। পুরুষ হয়ে জন্মানোর প্রিভিলেজ। কোনও পরিশ্রম, কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি, জাস্ট একটি প্লেজেন্ট অ্যাকসিডেন্ট। ব্যস। এখন ক্ষেত্রবিশেষে সে প্রিভিলেজ মুঠো গলে পালিয়ে যাচ্ছে যখনতখন। আর সেই সঙ্গে রাগ বাড়ছে। কমছে প্রকাশের সুযোগ। এখন জোকসের মুখোস পরিয়ে রাগগুলো বার করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই, মাঝারি লোকেদের কাছে। " হায়ার হায়েস্ট ফাইভ !

    ReplyDelete
    Replies
    1. হায়েস্ট ফাইভ, অন্বেষা।

      Delete
  7. Khubie bhalo legechhe apnar lekhata. Emon lekhar samne ese dNariye onek kichhu bolar moto kichhui thake na. Oi je bollen, "জন্মসূত্রে এ আরেকটা প্রিভিলেজ পেয়েছিল। পুরুষ হয়ে জন্মানোর প্রিভিলেজ। কোনও পরিশ্রম, কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি, জাস্ট একটি প্লেজেন্ট অ্যাকসিডেন্ট।" Eta boro satyo uchcharon.
    Ghor paoar bhagyo amar khubi kharap. Apnar seta bhalo dekhe besh ananda laglo. Darun sab jaygay thekechhen to.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সায়ন। আরে কপালের দৌড় যদি হোটেলের ঘর পর্যন্ত না গিয়ে আরেকটু জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিস্তৃত হত তাহলে কাজের কাজ দিত।

      Delete
  8. hahahaha akdom kapiye diyecho. privilege toh botei, noile ki ar feminism feminism kore chechamechi korte hoy. kichu lok akhono mone kore we women do everything to humour ourselves. tobe egulo te rag ba insulted feel korar cheye hese oranoi best rasta. je dekh bapu kemon dilam, tui bose bose bhuri nachiye loser marka comment kor, ami chollam. i have to conquer the world.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে তো বটেই, কুহেলি।

      Delete
  9. অনেক কিছু গুরুগম্ভীর কথা লিখবো ভাবছিলাম, কিন্তু China তে সত্যি কোথাও গুগল, youtube কাজ করে না??
    বাপরে কখনো যাবো না!

    ReplyDelete
    Replies
    1. বেজিং-এ তো করে না বলেই মনে হল, কাকলি। জিমেল, গুগল ম্যাপট্যাপ কিচ্ছু চলে না।

      Delete
  10. "জিমেল, গুগল ম্যাপট্যাপ কিচ্ছু চলে না।"... eita sanghatik kintu.
    ".....আর একজন সাদা মানুষকে? স্রেফ পয়সাওয়ালা।" - bhabtei kirakom obak lage, ei somoi dnarieo prithibir unnoto deshe ei ghatona ghotchhe...
    "..অথচ জন্মসূত্রে এ আরেকটা প্রিভিলেজ পেয়েছিল। পুরুষ হয়ে জন্মানোর প্রিভিলেজ। কোনও পরিশ্রম, কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি, জাস্ট একটি প্লেজেন্ট অ্যাকসিডেন্ট। ব্যস। এখন ক্ষেত্রবিশেষে সে প্রিভিলেজ মুঠো গলে পালিয়ে যাচ্ছে যখনতখন। আর সেই সঙ্গে রাগ বাড়ছে। কমছে প্রকাশের সুযোগ। এখন জোকসের মুখোস পরিয়ে রাগগুলো বার করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই, মাঝারি লোকেদের কাছে।" - eta boro sotti kotha.. desh kaal sob chhapie..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওঁদের নিজস্ব ম্যাপ, ইমেল আছে, ইচ্ছাডানা। আমাদের অদ্ভুত লাগে, ওঁদের নিশ্চয় অসুবিধে হয় না।

      Delete
  11. "অথচ জন্মসূত্রে এ আরেকটা প্রিভিলেজ পেয়েছিল। পুরুষ হয়ে জন্মানোর প্রিভিলেজ। কোনও পরিশ্রম, কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি, জাস্ট একটি প্লেজেন্ট অ্যাকসিডেন্ট। ব্যস। এখন ক্ষেত্রবিশেষে সে প্রিভিলেজ মুঠো গলে পালিয়ে যাচ্ছে যখনতখন। আর সেই সঙ্গে রাগ বাড়ছে। কমছে প্রকাশের সুযোগ। এখন জোকসের মুখোস পরিয়ে রাগগুলো বার করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই, মাঝারি লোকেদের কাছে।

    ব্যাপারটা খুবই বেদনার, অ্যাকচুয়ালি।

    রাগের বদলে করুণাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত বলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি। সান্ত্বনা দেওয়ার কথাও মাথায় এসেছিল একবার, কিন্তু ততক্ষণে বোর্ডিং-এর লাইন দেওয়ার নির্দেশ এসে গেছে। "
    ------ chumu etar jonyo.

    ReplyDelete
  12. Debasish Babu r sathe ekmot. PurusH=privileged,nari=oppressed :::abantor pathak-gosthir nirikh a eta boddo oversimplified. tao Abar utko frequency te captured kichhu shobde probhabito hoye. Apni onyyanyo onek lekha diye jader Mon a স্থিতধী bisheshon earn korechhen , Tara to ashahoto hobe.

    ReplyDelete

Post a Comment