পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা ১৪২৪/ পর্ব ১



উৎস গুগল ইমেজেস

প্রতিবছর পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা পড়ি, এবং প্রতিবছরই একটা নির্দিষ্ট অর্ডারে পড়ি। ফেলুদার কমিক্স দিয়ে শুরু করে বাকি সব কমিক্স, এবং তারপর যথাক্রমে উপন্যাস, ছোটগল্প এবং ননফিকশন (এ সব বিভাগেরও অভ্যন্তরীণ অর্ডার আছে, সে কথা যথাসময়ে বলছি)। এ বছর সেই অর্ডারে গোলযোগ ঘটল। অর্চিষ্মানের জন্য।

আনন্দমেলা কিনে বাড়িতে ঢুকেছি, চা বানিয়ে আমার চিলতে টেবিলে এসে বসেছি, ডেডলাইন এত সামনে চলে এসেছে তার চোখে চোখ ফেলতেও বুক কাঁপছে, তাই পেপার প্যানিক খেলে সাহস জোগাড় করছি। নিজেকে বোঝাচ্ছি এই আর একটা লেভেল খেলেই কাজ শুরু করব। অর্চিষ্মান ভালো ছেলে, সময়ের কাজ সময়ে করে, কাজেই রবিবার রাতে বুকে বালিশ নিয়ে আনন্দমেলা পড়ছে। 

এমন সময় আর্তনাদ শুরু হল। 

বাবা গো, মা গো, বাঁচাও, তুলে নাও। 

ঘাড় ঘোরাতেই হল।

কী পড়ছ!

রাপ্পা রায়।

অগত্যা ফেলুদা ছেড়ে আমাকে রাপ্পা রায় দিয়েই আনন্দমেলার উদ্বোধন করতে হল। 

বই পড়া, সিনেমা দেখা ইত্যাদি শিল্পকর্মের মূল্যায়ন/প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমার একটা ধাঁচ আমি লক্ষ করেছি। গোটাটাই অন্য লোকের মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়ানির্ভর। কেউ কোনও শিল্পকর্মকে প্রশংসা করে আকাশে তুললে মোটামুটি নিরানব্বই শতাংশ নিশ্চিত থাকা যায় যে সেই শিল্পকর্মটি আমার কাছ থেকে “এ আর এমন কী?” -র বেশি পাবে না। আর রাপ্পা রায় পড়ে অর্চিষ্মান যেরকম কাতরাচ্ছিল, আমি যে পড়ে, “ভ্যাট, অতটাও খারাপ না” বলব তাতেও অবাক হওয়ার কিচ্ছু নেই।

রাপ্পা রায় ও সোনার হরিণ/ কাহিনী সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়/ ছবি সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়, রজত দাস ও পৃথা ঘোষ

বন্ধুর সঙ্গে রাপ্পা বেড়াতে যাচ্ছিল কাজিরাঙা। ওই একই ট্রেনে যাচ্ছিল কুখ্যাত স্মাগলার ‘সোনার হরিণ’। বলা বাহুল্য, রাপ্পা সোনার হরিণ এবং অন্য স্মাগলারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বে। আমার খারাপ লাগেনি রাপ্পা রায়, ছবিগুলো বাকি কার্টুনের ছবির তুলনায় বেটার। তবে গল্পে ঢুকতে সময় লেগেছে অনেক বেশি, এ ব্যাপারে আমি অর্চিষ্মানের সঙ্গে একমত। 

চোরা হাতি শিকারি/কাহিনী সমরেশ বসু/ চিত্রনাট্য ও ছবি সৌরভ মুখোপাধ্যায়

গরমের ছুটিতে শিলিগুড়িতে মামাবাড়ি গেল গোগোল মাবাবার সঙ্গে। সেখানে লিমবু নামে এক ছেলের সঙ্গে আলাপ হল তার। লিমবুর সঙ্গে জঙ্গলে বেড়াতে ঢুকে গোগোলের মোলাকাত হল হাতি আর চোরাশিকারিদের সঙ্গে। সেই সংক্রান্ত অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে কমিক্স চোরা হাতি শিকারি। বেশ ভালোই লাগছিল আমার, শেষটা পড়ে কেমন হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম। একসঙ্গে চারপাঁচটা পাতা উল্টে ফেলেছি না কি? বার বার পাতায় আঙুল ঘষে নিশ্চিত হলাম, ফেলিনি। আসল গল্পটাও কি এই রকম ঝপ করে শেষ হয়ে গেছিল? রাপ্পা রায়ের শুরুটা খানিকটা কেটে, গোগোলের শেষটাকে আরেকটু জায়গা দেওয়া যেত।

ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা/ কাহিনী সত্যজিৎ রায়/ ছবি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়

এ গল্প সবার মুখস্থ, কাজেই গল্প নিয়ে বলার কিছু নেই। ছবি নিয়েও আমার কিছু বলা উচিত না, কারণ আমার ছবি আঁকার দৌড় সূর্য, টবে ফুল, কুটির, কুটিরের সামনে আঁকাবাঁকা নদী, নদীতে নৌকো আর নৌকোর ডিসপ্রোপরশনেটলি লম্বা দাঁড় পর্যন্ত।

তবু আমি বলব। পলাশী, পুলিস, জমিদারবাড়ি, লন্ঠন, আর কারও, কিছুর ছবি নিয়ে বলব না, আমি বলব ফেলুদার ছবি নিয়ে। ফেলুদার বি এম আই বিপজ্জনকরকম বৃদ্ধি পেয়েছে। ওঁর চোয়াল সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়েছে। ফলে ফেলুদার থেকে ফজলি আমের সঙ্গেই ফেস কাটিং মিলেছে বেশি। শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ তরফদার চট্টোপাধ্যায়, এই এক বছর ফেলুদাকে কড়া ডায়েটিং-এ রাখুন, পরের বছর অন্তত পনেরো কেজি ঝরিয়ে ফেরৎ আনুন। প্লিজ।  

এবার উপন্যাস। উপন্যাস আগে পড়া পরে পড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার নিজের। এতে অর্চিষ্মানের কোনও হাত নেই। কারণ রাপ্পা রায় অর্ধেক পড়া ইস্তক ও আর বইটার দিকে ঘেঁষছে না। চোখ পড়লেই শিউরে শিউরে উঠছে। তাতে একদিক থেকে ভালোই হয়েছে, আমি বিনা বাধায় বইটা শেষ করার সুযোগ পাচ্ছি।

নিঃশব্দ মৃত্যু/সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়

মিতিনমাসি নেই, তাই উপন্যাস উদ্বোধনের গুরুদায়িত্ব দীপকাকুর হাতে। কলকাতা শহরে এক অদ্ভুত অপরাধের প্রাদুর্ভাব হয়েছে, যখন তখন যেখানে সেখানে কেউ কেউ মারাত্মক শ্বাসকষ্টের কবলে পড়ছেন। ভিকটিমদের একটা কমন ব্যাপার হচ্ছে যে এঁরা প্রত্যেকেই ব্ল্যাকমেলের ফোন পাওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে দশবিশলাখ টাকা বার করে দেওয়ার মতো বড়লোক। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পর ব্ল্যাকমেলার ফোন করে, বলে টাকা ফেলো, ওষুধ নাও, না হলে মরো। ওষুধ রাখা থাকবে কোনও এক অদ্ভুতুড়ে জায়গায়, নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা রেখে আসার পর ওষুধের লোকেশন জানিয়ে ফোন আসবে। যতক্ষণ না টাকা পাওয়া যাবে ওষুধ মিলবে না, আর ওষুধ না মিললে হাঁপানিও সারবে না, সোজা মৃত্যু। 

এইবার আপনি নানারকম টেকনিক্যাল প্রশ্ন তুলতে পারেন, যে এমন কী ওষুধ যে অন্য ডাক্তার দিতে পারবে না, আর যদি অন্য ডাক্তারেও সারাতে পারে তাহলে আর ব্ল্যাকমেলারকে পাত্তা দেওয়ার দরকার কী? কিন্তু আমি সে সব প্রশ্ন তুলতে চাই না। ইন ফ্যাক্ট, এ বছরের শারদীয়া আনন্দমেলা পড়তে বসার আগে আমি এই কথাটা নিজেকে মনে করিয়েছিলাম, যে আমি গোয়েন্দাদের তদন্তের খুঁত ধরব না। কারণ সে খুঁত ধরতে বসলে বাংলা সাহিত্য এবং সিনেমার মহামহিম গোয়েন্দারাও ল্যাজেগোবরের চূড়ান্ত হবেন। তাঁদের রহস্য ছিদ্রে ভরপুর হলেও মাথায় করে নাচব, আর মিতিনমাসি দীপকাকুর তদন্তে ভুল ধরে অস্থির করে দেব, এটা অন্যায়। আমি শুধু গল্পটা পড়তে আমার কেমন লাগছে, সেটার দিকেই নজর দেব বেশি।

গোয়েন্দার সিরিজ পড়ার একটা সুবিধে হচ্ছে, একই চরিত্রের সঙ্গে পাঠক অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পায়। দীপকাকুর উদাসীনতা, ভিড়ের সঙ্গে বাড়াবাড়ি রকম মিশে থাকা নিয়ে আমার একসময় অস্বস্তি ছিল, এখন সয়ে এসেছে। আমার যেটা অসুবিধে হয়েছে সেটা হচ্ছে গল্পটা বলায়। ভয়ানক জটিল প্লট আরও জটিল করে বলা। কে যে কাকে কখন শ্বাসকষ্ট দিচ্ছে (এই “ শ্বাসকষ্ট দেওয়া” শব্দবন্ধটা আমার কানে লেগেছে, এবং বলাই বাহুল্য, প্লটের প্রয়োজনে শব্দবন্ধটা বহুবার ব্যবহার করতে হয়েছে। আমি ভেবেওছি যে বেটার কী লেখা যেতে পারত, কিছু মাথায় আসেনি। কিন্তু কানে লাগাটাও কমেনি।) কে যে কোথায় ওষুধের পুরিয়া রেখে দিচ্ছে, কোন ভিকটিমের বাড়ির লোকের সঙ্গে  দীপকাকুর কী কথোপকথন হচ্ছে, রহস্য সমাধানে সে সব কথোপকথনের অবদান কী, আমার সব গুলিয়েমুলিয়ে একাকার। ইন ফ্যাক্ট, সব গল্প পড়া হয়ে গেলে এই গল্পটা আরেকবার পড়ার ইচ্ছে আছে। এবার যদি খানিকটা ধোঁয়াশা কাটে।


কঙ্কালতটের ভয়ংকর/রাজেশ বসু

পিসতুতো দাদা কাবুলের সঙ্গে দ্যুতি এসেছে পূর্ব নামিবিয়ার আটলান্টিক সমুদ্রের তটসীমা জুড়ে ছড়ানো নামিব মরুভূমিতে। সেখানে গুপ্তধন নিয়ে গোলযোগ। তার সঙ্গে রয়েছে লোভী মানুষ, হিংস্র সিংহ, কাঁকড়া বিছে, বিশ্বের প্রাচীনতম মরুভূমির অতি  প্রতিকূল জলবায়ু। সকলেই ভয়ংকর। কাজেই উপন্যাসের নামকরণ সার্থক। কিন্তু আমার মতে এদের সবার থেকে বেশি ভয়ংকর কাবুলদা স্বয়ং। আটত্রিশ পাতার (কোটি কোটি ফুল এবং হাফ পাতা বিজ্ঞাপন ধরে) উপন্যাসে কাবুলদা আমাদের যে সব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান দিয়েছেন তার কয়েকটা নিচে দেওয়া হল। 

১। হরিণের সঙ্গে অ্যান্টিলোপের শিং-এর তফাৎ
২। নামিব মরুভূমিতে কুয়াশা জমার ভৌগোলিক ব্যাখ্যা
৩। নামিবিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাস
৪। অ্যালবাট্রস এবং কোলরিজ
৫। গোল্ডেন মোল ছুঁচোর রং কেন গোল্ডেন
৬। অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট অন্তর্ধান রহস্য
৭। ফগ বিটলের জল খাওয়ার অভিনব পদ্ধতি
৮। সিল মাছ আর ব্ল্যাক ব্যাকড জ্যাকেলের মিথোজীবীত্ব
৯। অয়েলিটক্সিয়া গাছের নামকরণের ইতিহাস, সারা পৃথিবীর কোথায় কোথায় জন্মায়, জীবৎকাল
১০। ডুয়ারফ অ্যাডার কিংবা সাইড-ওয়ান্ডার স্নেক-এর নামকরণের ইতিহাস, চেহারা, ছোবলে বিষের পরিমাণ (এই তথ্যগুলো কাবুলদা দিলেন এই বিশেষ সাপটির কামড় খাওয়ার পর, ক্ষতস্থানে রুমাল বাঁধতে বাঁধতে)
১১। কুইভার ট্রি-র নামকরণের ইতিহাস, অ্যালোভেরার সঙ্গে মিল, এ গাছের ছাল আদিবাসীরা কীভাবে ব্যবহার করে
১২। জেব্রার রকমফের 
১৩। মাকালানি পামের শাঁস থেকে ফল তৈরি করার উপায়
১৪। হিম্বা উপজাতির ইতিহাস, জীবিকা, বসতসীমা, বিয়ে করার আগে আর পরে মাথা ঢাকা দেওয়া না দেওয়ার রীতি
১৫। ফেয়ারি সার্কল রহস্য
১৬। হোয়াইট রাইনোর নামকরণের ইতিহাস, প্রকারভেদ

আমার এ রকম একপিস দাদা থাকলে আমাদের যোগাযোগ থাকত না, এ আমি গ্যারান্টি দিতে পারি। 

ব্রতীনআঙ্কলের মৃত্যুরহস্য/জয়দীপ চক্রবর্তী 

পড়ারও আগে, শুধু নাম থেকেই ভাবনার খোরাক খুব কম গল্পই দিতে পারে। তাদের মধ্যে এই উপন্যাসটি পড়বে। নাম পড়ে সাধারণত লোকে গল্পের প্লট ইত্যাদি নিয়ে একটা আভাস পায়, আমি গল্পের চরিত্রদের নিয়েও খানিকটা পেয়েছিলাম। 

আমি ভেবেছিলাম আঙ্কল বলছে যখন চরিত্ররা নির্ঘাত লোরেটো/ অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ/ প্র্যাট মেমোরিয়াল/ ক্যালকাটা বয়েজ বা গার্লস/ মডার্ন হাই। নিদেনপক্ষে সাউথ পয়েন্ট তো বটেই।

তারপর শুনি জগবন্ধু গার্লস। 

জগবন্ধু গার্লস থেকে পাস করা মেয়েরা আজকাল একে অপরের বাবাকে “আঙ্কল” ডাকছে জেনে ইস্তক আমার আক্কেল গুড়ুম। সেই সঙ্গে হাত পা কাঁপুনি ফাউ যখন জানলাম উক্ত আঙ্কল ছিলেন জগত্তারিণী বয়েজ স্কুলের মাস্টারমশাই। 

যাই হোক, নামকরণ ছেড়ে গল্পে ঢুকি। গল্পটা অ্যাকচুয়ালি ভালোই লেগেছে আমার। ব্রতীন আঙ্কল মারা গেছেন, তাঁর মেয়ে সন্দেহ করছে যে বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। সন্দেহ নিরসনের জন্য মেয়ে নিজের বন্ধু ঝুলনকে, যে ইদানীং রহস্যসমাধানে নাম করেছে, ডাক পাঠায়। ঝুলন ও ঝুলনের সাকরেদ নোটন এসে রহস্য সমাধান করে।  ঝরঝরে ভাষা, তরতরিয়ে পড়া যায়। 

কিন্তু শুরুর হোঁচটটা কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারছি না। আঙ্কল কেন, কাকু কেন নয়? ব্রতীনআঙ্কলের বদলে ব্রতীনকাকুর মৃত্যুরহস্য নাম দিলে কি রোমাঞ্চ কম পড়ত? পাঠক হিসেবে আপনাদের মতামত জানান প্লিজ। 


Comments

  1. জগবন্ধু গার্লস থেকে পাস করা মেয়েরা আজকাল একে অপরের বাবাকে “আঙ্কল” ডাকছে জেনে ইস্তক আমার আক্কেল গুড়ুম। সেই সঙ্গে হাত পা কাঁপুনি ফাউ যখন জানলাম উক্ত আঙ্কল ছিলেন জগত্তারিণী বয়েজ স্কুলের মাস্টারমশাই...hasi samlate parlum na! :) Ek kale Dulendra Bhowmick er lekha Gour Nitai porechilum Pujabarshikite ja amar anyotomo priyo lekha ekhan sei pujabarshiki tei ki lekha chhapa hoy se katha bhable dukkho hoy!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. এখানে আমার একটা সন্দেহ হয়, সোহিনী। হয়তো আমাদের ছোটবেলার লেখা বলে আমাদের অত ভালো লাগে। আমাদের বাবামায়ের ব্লগ লিখে নষ্ট করার মতো সময় হাতে থাকলে হয়তো তাঁরা আমাদের গল্পগুলোকেও তুলো ধুনতেন, কে বলতে পারে। এই লেখাগুলো হয়তো এ যুগের ছোটদের নস্ট্যালজিয়ার অংশ হচ্ছে। সেটা হলেই যথেষ্ট, কারণ টার্গেট পাঠক ওরাই, আমি না।

      বলা বাহুল্য, আমি তোমার সঙ্গে একমত, আমাদের আনন্দমেলা অনেক ভালো ছিল।

      Delete
  2. Anandamela pujabarshikir critical appraisal ta besh upobhog korlam. Dipkakur appraisal (purono lekha) er sathe ekmot. Infact amar to Mitinmasider family niyeo adbhut lagto. Tabe best comment holo Bratin uncle niye. Eto moja legechhe observation ta pore....
    Aachcha, oi Feludar comics Abhijit Chattopadhyay hobe bodhhoi. adhijit tarafdar to onyodhoroner lekhalekhi koren. Tabe besh kichhudin porini tai amar bhul hote pare.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছি ছি, আমি জানতাম নাম নিয়ে একটা কিছু গোলযোগ করবই। এক্ষুনি ঠিক করে দিচ্ছি, সুস্মিতা, থ্যাংক ইউ। এই যে একটা নামের সঙ্গে অটোমেটিক্যালি একটা পদবী এসে পড়া এটা আমার ভীষণ সমস্যা। আমি কতবার যে অর্থনীতিবিদ বিবেক-কে বিবেক ওবেরয় বলে উল্লেখ করেছি, কী আর বলব।

      Delete
    2. Aare eto lajja paoar ki aachhe...pidobi samasya hotei pare. Eta amar o hoi. Bibek debroy r bibek oberoi ke ek kore deoa kintu besh mojar byapar...

      Delete
  3. আমার মতামত আপনার সঙ্গে অনেকটাই মিলেছে, স্বাভাবিক ভাবেই। গাঁটগচ্চা দিয়ে কেনা পূজাবার্ষিকী পড়ে পিত্তি চটকে যাওয়ায় নিজের দেওয়ালে এই লেখাগুলোর মুণ্ডপাত করেছিলাম। তাই নিয়েও এক প্রখ্যাত লেখক যা করলেন তাতে মনে হয়, পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলার গুণমান গোল্লায় গেলেও সেই নিয়ে কিছু লেখা বোধহয় নিষিদ্ধ। Zআউক গিয়া। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটা আমার মতে স্বাভাবিক, ঋজু। আমার লেখা যতই অখাদ্য হোক না কেন, কেউ সেটা পয়েন্ট আউট করলে গা জ্বলা স্বাভাবিক। আসলে তো সবাই যে যা করছি হাততালি জন্যই করছি। দুয়ো শুনতে আর কারই বা ভালো লাগে। কেউ মুখ বুজে শোনে, কেউ মারমুখী হয় এই যা।

      পরের পর্ব আর দিনকয়েক লাগবে। নিন্দে করা ভয়ানক পরিশ্রমের কাজ।

      Delete
  4. Hmmm.....review porar pore Anandamela porbo kina, sei niye ektu dwidhay pore gelam. Ki mushkil bolun dekhi....na pore thakao jayna, abar porar poreo thaka jayna!! e je swashkoshter jontrona'r cheyeo maratyok.

    Deepkaku ei "na poreo thaka nahi jay, r porar pore thakatai daay" rohosyo ta samadhan korte parben na porer bochhor? Apni ki bolen Kuntala?

    ReplyDelete
  5. দীপকাকু পারবেন কি না জানি না, তবে এ রহস্যর আমি সমাধান করে ফেলেছি, অরিজিত। সামনের বছরও আমি আনন্দমেলা কিনে তাঁর গল্প পড়ব। কতই বা আর দাম। নিন্দে করি বটে, কিন্তু আনন্দমেলার (এবং দীপকাকুর) একটা জায়গা তো আছেই জীবনে, না পড়লে সেটা ফাঁকা থেকে যাবে। আর খারাপ গল্প বলে কিছু নেই, এ আমি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করি। কাজেই নেক্সট বছরও দীপকাকু আমাকে পাঠক হিসেবে পাচ্ছেন।

    ReplyDelete
  6. haha ami ar anandamela kini na. unrequited heartbreak hoye gache amar oi boi er sathe. khamoka pore hat pa chhure roktchaap barano. ar bratin uncle er observation ta te highest of five. ami english e blog likhi botey kintu bondhur baba to protibeshi, sobai wholesale kaku. kono bangali kaku ke uncle bole dakle nijeri nijer opor shroddha bhokti kome jabe.
    Bibek DebRoy ke Bibek Oberoi. too good. *domfata hasi*

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে দেবরায় ওবেরয় এত কাছাকাছি হয়ে যত সমস্যা, কুহেলি আর আমি কখনওই ওবেরয়কে দেবরায় বলে ডাকি না কিন্তু। এর থেকেই আমার ইকনমিক্সের প্রতি নিষ্ঠা বোঝা যায়।

      Delete
  7. "৯। অয়েলিটক্সিয়া গাছের নামকরণের ইতিহাস, সারা পৃথিবীর কোথায় কোথায় জন্মায়, জীবৎকাল
    ১০। ডুয়ারফ অ্যাডার কিংবা সাইড-ওয়ান্ডার স্নেক-এর নামকরণের ইতিহাস, চেহারা, ছোবলে বিষের পরিমাণ (এই তথ্যগুলো কাবুলদা দিলেন এই বিশেষ সাপটির কামড় খাওয়ার পর, ক্ষতস্থানে রুমাল বাঁধতে বাঁধতে)
    ১১। কুইভার ট্রি-র নামকরণের ইতিহাস, অ্যালোভেরার সঙ্গে মিল, এ গাছের ছাল আদিবাসীরা কীভাবে ব্যবহার করে"



    এর পরেও যে আপনি বাকিটা পড়েছেন, তার জন্যে আপনাকে একটা গোটা ক্যাডবেরি ফ্রুট এন্ড নাট গিফট করা উচিত ;)

    ReplyDelete
    Replies
    1. পড়া পর্যন্ত ঠিক ছিল অন্বেষা, বিশ্বাস কর। এই পোস্টটা লেখার সময় উপন্যাসটা আবার স্কিম রিড করে শিক্ষামূলক ব্যাপারগুল যখন টুকছিলাম, তখন নিজেকে দেখে নিজেরই বিস্ময় জাগছিল।

      Delete
  8. Ager bochhorer Anandamela ta kintu amar besh bhalo legechhilo, bishesh kore oi Diary'r moto golpota..E bochhorer tao pore dekhbo..

    BTW amra 15th August er chhuti te Lucknow ghure elam, Chowk er Tunday kebabi ta jaoa hoyni kintu Ameenabad er tay gechhilam. Darun! Ar 'Royal Cafe' er chaat kintu Delhir thekeo bhalo legechhe. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছি ছি, দিল্লির লোক হয়ে দিল্লিকে এরকম দাগা দেওয়া? মানছি না, মানব না। আমারও দুটো উপন্যাস পড়া বাকি, আর ছোটগল্পগুলোও। তুমি পড়ে নাও তারপর মত মিলল কি না দেখা যাবে, রণদীপ। লখনউ ভালো লেগেছে আশা করি?

      Delete
  9. নিঃশব্দ মৃত্যু/সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় - পড়তে মন্দ লাগে না তবে পরিষ্কার নয়। অনেক হিসেব মেলে না মনে হয়। আর মাঝে মাঝে যখন দীপকাকু ৪-৫ দিন দেখা না করার পর হঠাৎ ম্যাজিকের মতো অনেক তথ্য নিয়ে ফেরেন - কেমন একটা দীপক চ্যাটার্জী এফেক্ট হয় মনের মধ্যে।

    কঙ্কালতটের ভয়ংকর/রাজেশ বসু - ছোটগল্পের মেটেরিয়াল হাতে ছিল, তাই দিয়ে উপন্যাস লিখতে হয়েছে - তাই জ্ঞান না দিলে পাতা ভরবে কি করে।

    ব্রতীনআঙ্কলের মৃত্যুরহস্য/জয়দীপ চক্রবর্তী - "জগবন্ধু গার্লস থেকে পাস করা মেয়েরা আজকাল একে অপরের বাবাকে “আঙ্কল” ডাকছে জেনে ইস্তক আমার আক্কেল গুড়ুম।" - এই প্রসঙ্গে আামার মন্তব্য "তাইলে বলি কা, তুমি কিসুই জানো না"। এ গল্প যেখানকার (বারুইপুর) সেই মফস্বল অঞ্চল কি দ্রুত বদলাচ্ছে ভাবতে পারবেন না। আমার অঞ্চলের স্কুলের বাংলা মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীরাই বন্ধুর বাবা মাকে আঙ্কল-আন্টি বলছে আর জগবন্ধু গার্লসের কি দোষ। রিষড়ার অবস্থা জানি না, কিন্তু বারুইপুর-সোনারপুর যে এ অবস্থায় সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।

    আর এ ব্যাপারে আমি একমত যে "আমাদের আনন্দমেলা অনেক ভালো ছিল"। অনেকে বলেন আমরা বড় হয়ে গেছি বলে এটা মনে হয়, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না। লেখার মান যে খারাপ হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দীপকাকুর গল্পটা বেজায় শক্ত। কঙ্কালতটের অসুবিধে যদি জায়গা বেশি মেটেরিয়াল কম হয়, দীপকাকুর উল্টো সমস্যা।

      রিষড়ার অবস্থাও তথৈবচ, কৌশিক। রিষড়ার বাঙালি বাবামায়েরা আজকাল ছেলেমেয়েদের "বেটা" বলে সোহাগ করেন, নিজকর্ণে শুনেছি। তবে সে সব বেটারা সব লিটিল নাগেটস জাতীয় স্কুলে যায়, তাই বেশি অবাক হইনি। হয়তো স্কুল থেকেই 'সোনা-মনা-বুড়ি-খোকা' ব্যান করে দিয়েছে। জগবন্ধু গার্লস-রাও যে সময়ের সঙ্গে এগিয়েছে সেটা জানা ছিল না।

      Delete
  10. Bhalo legechhe, Akhon Uber/GPS hoya te kono jayga ghora khubi subhidher, Dastarkhwan kintu onke gulo, amra jeta giyechhilam, seta hochhe Mughal's Dastarkhwan. Anyway, akhon Lucknow te Metro'r kaaj hochhe tai, Traffic jam e obostha khub karap..
    Hajratgunj market khub bhalo legechhe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. হজরতগঞ্জ আমাদেরও ভালো লেগেছিল, হাই ফাইভ। আর আমরা খেয়েছিলাম প্রেস ক্লাবের পাশের দস্তরখোয়ানে। আবার একবার জেতে হবে মনে হচ্ছে লখনউ।

      Delete
  11. আমি বহু বছর আপনার মত মনকষ্টে ভুগে শেষটায় বছর দুয়েক থেকে পূজাবার্ষিকী কেনা ছেড়ে দিয়েছি। মৃত ব্যাক্তির বদনাম করতে নেই, কিন্তু লাস্ট নেল ইন দ্য কফিন ছিলেন মিতিনমাসি। জট ছাড়াতে না পারলেই সাসপেক্টের ইমেল হ্যাক করে নিতেন উনি। আর শীর্ষেন্দু। আমি শিওর ওই বস্তাপচা মফস্বলের প্লট এবারও একইরকম আছে।
    আর প্রেস ক্লাবের পাশের দস্তরখানে আমিও খেয়েছি। বড় ভালো বিরিয়ানি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. শীর্ষেন্দুর প্লট একই, কিন্তু আপনার সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে একমত নই, দেবাশিস। আমার এ বছরও সেরা লেগেছে শীর্ষেন্দুর গল্পটাই।

      ওই দস্তরখানে আমরা একটা কালি মিরচ চিকেন খেয়েছিলাম, ওটা আমার বিরিয়ানির থেকেও ভালো লেগেছিল।

      Delete
  12. ebarertay nam na diyei comment post korbo , tumi buddhiman thuri buddhimoti bujhei jabe ke. pujobarshiki anandamela na odhikangsho pujobarshiki porte porte boro klanto lage ajkal. seta amar dosh na pujobarshiki janina , tobe gotobochor baghar aschorjo diary besh legechilo . koti koti pujobarshiki berochhe ajkal mushkil holo eto ki pora jay , edike chenamukh samlate kinte hoyi ...jakge se dukkher kotha. review chomotkar hoyeche. omon dada thakle amio somporko rakhtam na , tumi nehat bhalo tai porecho omon dadar golpo.
    uncle na bole kakuta janina , tobe amar ofc e new generation ( hain ekhonkar 23-24 er sathe ek juger tofat bodh hoy) dude , lol chara to kothi bole na.
    Lucknow er lekhata kalkei porlam abar , information gulo kaje asbe :)
    ar eto lomba bangrejir jonyo dukkhito.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তা ঠিক, কোটি কোটি পূজাবার্ষিকী। দু'নম্বর মার্কেটের দোকানে একটা আলাদা স্ট্যান্ড করেছে পূজাবার্ষিকী সাজাবে বলে। তবে লোকের চয়েস বাড়ছে, বেশি লেখকরা সুযোগ পাচ্ছেন, সেদিক থেকে দেখলে ভালোই।

      Delete
  13. nami pujobarshiki gulor sobar haal e kharap..bishesh kore ABP group er gulo..bose pora jay na.
    apnader chotobela to botei, even amader chotobelar (mane amar class 2 theke orthat 1997 shaal theke niyi) anandamela o onek better chilo..tobe 2005 thekei standard porte thaake.
    barite baba maayer collection er kichu anandamela chilo..amar jonmer o ager, ba bujhte na sekha boyoser..segulo chotobelay ghure phire portam..almarite rakha thakto..maane byapar ta erokom hoto, dhorun ami class 5 e pori, 2000 saal, pujor koyekdin age ami 1993 saaler anandamela porchi..ajkal ar sei flavor ta paai na

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ, বাড়িতে পুরোনো পূজাবার্ষিকীর সংগ্রহ থাকা তো বেশ ভালো ব্যাপার, ঋতম।

      Delete
  14. কিছু অভ্যাস থাকে যা পাল্টানো যায়না,পাল্টাতে ইচ্ছেও করেনা আনন্দমেলা পড়া আমার কাছে সেরকমই একটা অভ্যাস |পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম |'পত্রিকা' টা কি পড়া হয়ে গেছে আপনার?কিনব ভাবছি,পড়া হয়ে গেলে রিভিউ আশা করছি|

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও। আনন্দমেলারই কয়েকটা গল্প বাকি এখনও, শেষ করে অন্যটা ধরব।

      Delete
  15. ekhonkar pujo barshiki gulo (bishesata Ananda er sab kota) maam kharap hoechhe seta bola jetei pare! tabe tar modhye Kishor bharati better....ar last year e Mayakanon ta valo korechhilo.....aro 2-1 ta (kalakakali ityadi) kharap noi...boro publishers (porun ananda) chahra jara ber korchhen pujo sankhya valoi chestha chalachchen! tabe ananda bhaoyanok hoe gechhe! aami last 3-4 bochhor dhore ananda er kono puja barshiki kini na.......(net e ele haate gona 2-1 ta uponyash /lekha pore feli)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কিশোর ভারতীর আমার বাবাও বড় ফ্যান, শাশ্বত। এবার যদি বাজেটে কুলোয়, কিনব।

      Delete
    2. Purbo Namibiate Atlantic tot thaka sombhob noy. Tahole Atlantic er modhye Namibiake ekta dweep hotey hoy. Ki baaje! :-(

      Delete
    3. এটা আমিও খেয়াল করিনি, সন্ময়। বাজে বলে বাজে?

      Delete
  16. rappa ray pore orchisman er ja dosha..amar sei dosha besh koek bachar agei pujo anoodomela purotatei hoechilo...tobe thik e bolecho..banglay comics,tao feluda..shudhu oi karonei kena jay..

    একে অপরের বাবাকে “আঙ্কল” ডাকছে amar office eo sobai bole aunty uncle etc etc..chacha,chachi kaku,masi ajkal keu dakche na,pache keu gorib bhabe..hehe

    feluda ke ronyda baniye dieche..ei merche..kinte hochche to..hoyto ankiye just ekta badal anar janyo koreche..

    prosenjit

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. গরিব ভাবার আতংকটা মারাত্মক, প্রসেনজিৎ।

      Delete

Post a Comment