ভুবনেশ্বর




দিল্লির বাইরে বেরোনর পর প্রথম যেটা চমকে দেয় সেটা হচ্ছে বাকি দেশটার লোকজন কী ভদ্র এবং বিনীত। ভদ্র মানুষজন ছাড়াও ভুবনেশ্বরের আরও অনেক গুণ আছে। ভুবনেশ্বর শুনেছি আধা-প্ল্যানড শহর। রাস্তাঘাট দেখলে সেটা বোঝা যায়। রীতিমত পরিষ্কার। তাছাড়া পুরুষ হকি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে তাই মোড়ে মোড়ে ব্যানার সেঁটে শহরটা আরও সেজেগুজে রেডি। আর ভালো শহরের ওলাউবার পরিষেবা। যে সময়টুকু ভুবনেশ্বরে ছিলাম ওলাউবারের অটো ট্যাক্সিই ব্যবহার করেছি। হায়েস্ট অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচ মিনিট। একজন খালি ওলা মানিতে যেতে অসম্মত হয়েছিলেন, তাঁকে ক্যাশে পেমেন্ট করেছি। ব্যস।

অফিস সেরে ভুবনেশ্বর পৌঁছতে হয়ে গিয়েছিল রাত দশটা পাঁচ। হোটেলে ব্যাগ রেখেই দৌড়েছিলাম ডিনার খেতে, সে গল্প পরে বলব। খেয়েদেয়েই ঘুম, কারণ সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘোরাঘুরি শুরু করতে হবে। পরদিন দুপুর পর্যন্ত ভুবনেশ্বরে থাকার মেয়াদ। তার মধ্যে যা দেখার দেখে ফেলতে হবে, যা খাওয়ার খেয়ে ফেলতে হবে। হোটেলে ব্রেকফাস্ট কমপ্লিমেন্টারি ছিল, কিন্তু সে সব খেয়ে পেট ভরানো চলবে না। ইউটিউব দেখে, ব্লগ পড়ে কয়েকটা খাওয়ার জায়গা বাছা আছে, সব হয়ত যাওয়া অসম্ভব কিন্তু কয়েকটায় যেতেই হবে। বিশেষ করে রবি মৌসা-র দোকানে।


রবি মৌসার দোকান এখন আর মৌসার নয়। বিখ্যাত হওয়ার পর মৌসা নিজেকে ভাইয়া বলে চালিয়েছেন। দোকানে দেখলাম ওঁকে, সত্যিই মৌসা বলাটা বাড়াবাড়ি। ইন্টারনেটের ম্যাপে, উবার কিংবা গুগল ম্যাপে সার্চ দিলে রবি ভাইয়া'স কিচেন বলে যেটা আসে ওটাই মৌসার দোকান। অটোপ্সি রোডের ওপর ঝুপড়ি। গ্রাঞ্জ কুইজিনের ঠাকুরদাদা। অটো নিয়ে পৌঁছলাম সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। ফুটন্ত তেলের কটাহে গবগব করে জিনিসপত্র ভাজা হচ্ছে। এই দোকানের লিজেন্ড হচ্ছে রবি মৌসা, থুড়ি, ভাইয়া গরম তেলে হাত ডুবিয়ে চপ বা বড়া ছাড়তে পারেন। ভিডিও দেখেছি, দাবি ফাঁপা নয়। কিন্তু স্যাডলি সে অভিনব কেরামতি আমরা চাক্ষুষ করতে পারিনি। কারণ ভাইয়া সম্ভবত: অসুস্থ। তিনি দোকানের ভেতর দুই পায়ে চন্দনের মতো কী সব লেপে, নয়তো পতলা মোজার মতো পরে সামনের চেয়ারে ছড়িয়ে বসে ছিলেন।


আমরা সবকিছুই স্যাম্পল নিলাম। ইডলি,ভাজা  ইডলি, ঘুগনি আর ওই গোলটা হচ্ছে আলুর বড়া বা চপ।  

চপের প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ল। আমার গল্প নয়, অর্চিষ্মানের গল্প। হোস্টেলের ওডিশাবাসী বন্ধু মহা উত্তেজিত হয়ে আড্ডায় এসে বলল, কাছেই একটা দোকান খুলেছে, ওডিশার স্পেশাল খাবার পাওয়া যায়। চল খেয়ে আসি। চল, চল বলে সবাই মিলে হই হই করে যাওয়া হল। অর্চিষ্মান এই জায়গাটায় পৌঁছে অর্থপূর্ণ পজ দেয়।  বলে, বলতো কীসের দোকান?

কীসের?

চপের।

ওড়িয়ারা কিছু তেলেভাজা খেতে পারে। আমি সি আর পার্কের বাঙালিদের রাত আটটার সময় চপ খেতে দেখে শিহরিত হই, ওড়িয়ারা ব্রেকফাস্টে আলুর চপ খায়। অবশ্য এই ক্লাসের আলুর চপ হলে খাওয়াই যায়। ওই রকম পাতলা মোড়ক আমি কোনও চপের খাইনি।

অর্চিষ্মান বলল ওর সব থেকে ভালো লেগেছে ভাজা ইডলি, আমি ভোট দিলাম আলুর চপকে। সবই সাময়িক, কারণ আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে এমন একটা জিনিস আমরা খাব যা আমাদের সব ভোটাভুটি বানচাল করে দেবে।দোকানের একদিকে বড় বড় এলুমিনিয়ামের ডেকচিতে রসের পুকুরে রসগোল্লা চমচম ভাসছিল। ও সবে উৎসাহ ছিল না। ফিরে আসতে গিয়েও ভাবলাম একবার জিজ্ঞাসা করেই দেখা যাক।

ছেনা পোড়া হ্যায়, ভাইসাব?


আস্ক অ্যান্ড ইউ শ্যাল রিসিভ।

চলে এল আমার আর অর্চিষ্মানের অভিজ্ঞতায় শ্রেষ্ঠ ছানা পোড়া। এমন মসৃণ, এমন নরম, এমন সুস্বাদু, সর্বাঙ্গসুন্দর ছানা পোড়া আমরা কখনও খাইনি।
*****

ভুবনেশ্বরে আরও অনেককিছু আছে নিশ্চয় দেখার, মিউজিয়াম,পার্ক, কিন্তু ভুবনেশ্বর সবথেকে বিখ্যাত যে সব দ্রষ্টব্যের জন্য, মন্দির, আমরা সেগুলোই ঘুরে দেখব ঠিক করলাম। প্রথম গন্তব্য সব মন্দিরের মধ্যে বিখ্যাততম লিঙ্গরাজ। মন্দিরের দিকে এগোতে এগোতেই টের পেলাম কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। ভিড় বাড়ছে। দুপাশে পুজোর জিনিসপত্র নিয়ে হাঁক পাড়ছেন বিক্রেতারা। বোঝা যাচ্ছে বেশিরভাগই অস্থায়ী। মন্দিরের সামনে পৌঁছে আমরা হতভম্ব। পাণ্ডা গিজগিজ করছে, গেটের সামনে লাইন একেবেঁকে কোথায় অদৃশ্য হয়েছে কে জানে। ওই লাইনে দাঁড়িয়ে মন্দিরে ঢোকার প্রশ্নই নেই। তাছাড়া আমাদের উদ্দেশ্য মন্দিরের শোভা অবলোকন, এই পরিস্থিতিতে সেটা জাস্ট অসম্ভব। ছাড়ান দিলাম। আফসোস হল, শুনেছি অনেক বড় জায়গা নিয়ে খেলানো মন্দির, চমৎকার দেখতে।

পরে অটো ভাইসাবের কাছে জেনেছিলাম, গোটা কার্তিক মাসই ওডিশাতে পুজোপার্বণের মাস, পারা চড়তে চড়তে পূর্ণিমায় তুঙ্গে ওঠে। আর হবি তো হ' সেদিনই পূর্ণিমা। এই দিনেই নাকি পুজো করে নদীতে বাণিজ্যতরীর যাত্রা শুরু হত। পারাদ্বীপ এবং গোপালপুর বন্দরে নাকি এই কার্তিকপূর্ণিমার গুরুত্ব সাংঘাতিক। রাস্তার দুপাশে কলার খোলায় প্রদীপ নিয়ে প্রচুর বিক্রেতা বসেছিলেন, মনে পড়ল।


লিঙ্গরাজের পাশেই একটা বন্ধ মন্দির। অনেক ছোট, পুজো হয় না বলে ভিড় নেই। ওখানে ঢুকে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান গেল। লিঙ্গরাজ দেখা হল না, আফসোস রয়ে গেল। পরের বার মনে করে কার্তিক পূর্ণিমা বাদ দিয়ে আসতে হবে।


রাজারানি মন্দিরে এমনিতেও যেতাম, তাছাড়া ও মন্দিরে পুজো হয় না, বাড়তি সুবিধে। রাজারানি শব্দটা এসেছে রাজারানিয়া থেকে, যে নামের পাথর দিয়ে মন্দির তৈরি হয়েছিল। মন্দিরচত্বর চমৎকার মেন্টেন করা। ঘাস, ফোয়ারা। চাতালে যেদিকে ছায়া পড়েছে সেখানে রোমান্টিক ফোটোশুট চলছিল। আমরা মন্দিরের চারদিক ঘুরে এসে ভদ্রস্থ দূরত্বের গাছের ছায়ার একখানা বেঞ্চে বসে সেই দেখলাম খানিকক্ষণ। বাগানে স্প্রিংকলারের চারদিকে রাজহাঁস-হাঁসিদের উত্তেজনাও দেখার মতো। তারপর একজন এসে ওই স্প্রিংকলারটা বন্ধ করে দেওয়াতে তারা মারাত্মক গজগজ করতে করতে হেলেদুলে পাশের স্প্রিংকলারের দিকে গেল। নিরাপদ দূরত্বে ছিলাম, দৌড়ে এসে ঠুকরে দিতে পারবে না আশ্বাস ছিল, কাজেই প্রাণ খুলে হাসলাম।


কোন যক্ষীর মাথা কেটে নিয়ে গিয়েছিল চট্টরাজের লোক জানি না, আমি তাই এমনিই দুই মাথাওয়ালা যক্ষীর ছবি তুলে এনেছি।


লাস্ট স্টপ, মুক্তেশ্বর। মুক্তেশ্বরেও কার্তিকপূর্ণিমার ভিড় আছে তবে লিঙ্গেশ্বরের তুলনায় কিছুই না।


মুক্তেশ্বর আর পরশুরামেশ্বর একেবারে গায়ে গায়ে।  পরশুরামেশ্বরের মন্দির আরও ফাঁকা তাই আরও সুন্দর। রাস্তার লাগোয়া মন্দির। দেখা শেষ করে উবার ডেকে মন্দিরের পাঁচিলে হেলান দিয়ে অপেক্ষা করছি, আমি রাস্তার দিকে পিঠ করে, অর্চিষ্মান সাইড করে। হঠাৎ রাস্তার দিকে মুখ ঘুরিয়েই অর্চিষ্মান কেমন থতমত খেয়ে গেল তারপর হাসল। বললাম কী হল কী হল,  অর্চিষ্মান বলল, একটা বাচ্চা মেয়ে যাচ্ছিল রাস্তা দিয়ে, একটু হলেই তোমার মাথায় চাঁটি মারার উদ্যোগ নিয়েছিল, আমার চোখে চোখ পড়ে যাওয়ায় হাত নামিয়ে নিল। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম। ফুট দুয়েক দৈর্ঘ্য, বছর সাতেক বয়স, লাল রঙের ঘাগরা এবং ব্লাউজ, গলায় লাল পুঁতির মালা, ন্যাড়া না হয়ে যতখানি ছোট করে চুল কাটা যায় সে রকম হেয়ারস্টাইলে লাল হেয়ারব্যান্ড। এক হাতের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গার্জেনের হাতে। আমরা ওর দিকে দেখছি দেখে মিচকি মিচকি হেসে মাথা নিচু করে লাল জুতো দিয়ে ধুলো ছিটকোচ্ছে।



কোনও জায়গায় যাওয়ার আগে হোমওয়ার্ক যে কী জরুরি জিনিস খণ্ডগিরি উদয়গিরি দেখতে গিয়ে আবারও রিয়েলাইজ করলাম। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের গুহা সব, জৈন সাধুদের খোদাই করা, তার গায়ে ব্রাহ্মীতে লেখা শ্লোক, সিংহ, হাতি, ফুল ফল পাতা, মারাত্মক ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ব্যাপার, অথচ আমরা এমনি পার্কে বেড়ানোর মতো করে ঘুরে এলাম।



লাঞ্চ? দুজনেই মাথা নাড়লাম। আলুর চপ এখনও খেল দেখাচ্ছে। খণ্ডগিরি উদয়গিরির এন্ট্রিগেটের সামনে সারি দিয়ে ফুচকা বসেছে, সেই খাওয়া যাক বরং এক প্লেট করে। তারপর একখানা ডাব, হাফ হাফ।

ভুবনেশ্বরেরর পালা শেষ। এবার সেই জায়গাটাতে যাব, যেখানে যাওয়ার আমাদের আসল আকুতি। কীভাবে যাব এখনও শিওর নই। ওলাউবার তেরোশ-র আশেপাশে হিসেব দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের সন্দেহ যে এর থেকে ঢের সস্তায় ব্যাপারটা সারা সম্ভব। চেক আউটের সময় ভদ্রলোক কনফার্ম করলেন। অটো নিয়ে চলে যান মাস্টার ক্যান্টিনের বাসস্ট্যান্ডে, সরকারি লাল বাস চলছে ঘণ্টায় ঘণ্টায়, চকাচক এসি, পৌঁছে দেবে দেড় ঘণ্টার ভেতর। ভাড়া? মোটে একশো টংকা। খুশি হয়ে বাসে চড়লাম। শহর পড়ে রইল পেছনে। দু'দিকে খালি মাঠে উঁচু উঁচু কাশেরা দুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর সূর্য লাল হয়ে উঠল তাদের মাথায়।  

Comments

  1. ওড়িয়ারা সামনা সামনি সত্যই খুব বিনীত হয়। নাহলে বাঙালীর মতো ঐতিহাসিক ভাবে পলাতক প্রজাতির খেয়ালী বদমেজাজ সহ্য করতো না। ২০০৯ এ একবার উদয়গিরি / খণ্ডগিরি কোথাও একটা শুনেছিলুম জনৈক স্থানীয় ডাব-ওয়ালা র সঙ্গে দরাদরি করতে গিয়ে এক লণ্ডন প্রবাসী বলছেনঃ "ব্যাটা উড়ে, বাঙ্গাল কে হাইকোর্ট দেখাস?" ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ভেবে দেখেছি, বিপরীতক্রমে অনুরূপ কথাবার্তা কোন ওড়িশাবাসী কোনো লন্ডনস্থ ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে বলার সাহস পাবেন বলে মনে হয়ে না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যে বাঙালি অত তড়পালেন তিনি আরও বেশি করে পারবেন না, শুভায়ন। লন্ডনে তাঁর বিনয়ও লেজেন্ডারি হয়ে উঠবে।

      Delete
  2. আমার কেমন যেন একটা ধারণা ছিল যে বাঙালি ছাড়া কেউ বোধহয় তেলেভাজা খায়না, তাহলে ধারণাটা ভুল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওডিশায় তো তেলেভাজা মারাত্মক প্রচলিত, বিহার ভবনের রেস্টোর‍্যান্টেও ভাজাভুজি দেখেছি মনে হচ্ছে, নালক।

      Delete
  3. Bhubaneswar theke chole esechi du tin bochor hote chollo, khub miss kori. okhane auto service durdanto, permanent basinda der sobai duekjon kore chena auto dada ache. Jkono time e jkono jaiga theke call korle nite chole asto, se joto durei hok.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, অটোর এই ব্যবস্থাটা দারুণ তো। ভুবনেশ্বর আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

      Delete
  4. Purnima chhilo bole dukhho koro na . It's na thakle guru purnimar chhuti ta pete na...

    Er porer destination guess korar cheshta korechhilam...chilka nishchoi

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাও ঠিক।

      চিলিকা নয়। জায়গাটা এত, এতই কমন যে সেটা নিয়ে রহস্য করাটা হাস্যকর। তাও করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

      Delete
  5. Replies
    1. এই জন্য বেশি সোজা প্রশ্নপত্র এলে বিপদ।

      Delete
  6. Hmm, bipod oboshyo du pokkhei! Kokhono Kokhono student ra besh shoja proshnopotrei dobay beshi. Ami ontoto shara jeebon tai korechhi. Apnara oboshyo checkout kore beriyechhen. Kajei Delhi ferar train oi dwitiyo jaiga thekei dhorben eta asha kora jai. Tahole pore Puri howar chance beshi. Kintu apnar bhramyoman choritror shonge thhik Puri manachhe na. Oboshyo Konark hoyeo Puri hote paare. Jaakge, ar koyek din er modhye jaana jaabe asha kori!

    Bhubaneshwarer hotel gulote khabar dabar besh bhalo. Oder bodi-chuda ta fantastic!
    iti
    Shuteertho

    ReplyDelete
    Replies
    1. পুরীই, সুতীর্থ। ওড়িয়াদের রান্নার সুখ্যাতির কারণ এই ট্রিপে গিয়ে নতুন করে উপলব্ধি করলাম। বড়ি চূড়া খেয়েছি এবং আপনার সঙ্গে একশো শতাংশ একমত, ওই দিয়ে পুরো ভাত খেয়ে ফেলা যায়।

      Delete
  7. পুরী কততম বার? Dui digiter sonkhya mone hocche.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, পাঁচের পর গোনা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি এইভাবে ব্যাপারটাকে দেখছি যে অর্চিষ্মানের সঙ্গে পুরী এই প্রথমবার।

      Delete
  8. Shundor beranor golpo. Porer baar nischoi Lingaraj dekho ... architechture shotti e dekhar moto. Ar dupure bhog kheo ... darun bhalo. Porer post er opekkhaye roilam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, শর্মিলা। হ্যাঁ, পরের বার লিঙ্গরাজ নো মিস।

      Delete
  9. darun darun. chhobi , lekha esober por amaro abar chole jete ichhe korchhe. bodi-chuda jantami na.. khetei hobeto. Puri amar khub priyo jaiga. opekhai roilam. - Ichhadana

    ReplyDelete
    Replies
    1. পুরী আমারও প্রিয়, ইচ্ছাডানা।

      Delete
  10. ছানাপোড়া ইজ bae! এক উড়িয়া বন্ধু বাড়ি থকে এনে খাইয়েছিল, আহা। সে কী স্বাদ!

    ReplyDelete
    Replies
    1. টোটাল বে, প্রিয়াঙ্কা।

      Delete
  11. আপনার ইমেইল আইডিটা একটু বলবেন প্লিজ?

    ReplyDelete

Post a Comment