উৎসবের বাজারে



“আজকাল তো পরীক্ষা বাচ্চাদের নয়, মায়েদের” বলে যখন সবাই ঠাট্টা করে, আমি বেশি জোরে হাসতে পারি না। কারণ আমার পরীক্ষা সর্বার্থেই আমার মায়ের পরীক্ষা ছিল। অফিসের পর প্রোমোশনের পরীক্ষার প্রিপারেশনের জন্য দল বেঁধে ক্লাস হচ্ছিল। পাশ করা সিনিয়ররা ক্লাস নিচ্ছিলেন। একদিন ক্লাসে বসে অ্যাকাউন্টিং-এর থিওরি প্র্যাকটিকাল পড়তে পড়তে মায়ের মনে পড়ে গেছিল কাল মেয়ের পরীক্ষা। মেয়ের ভবিষ্যতের মুখে ছাই দিয়ে মা কি না নিজের ভবিষ্যৎ গুছোচ্ছেন?! ঘামতে ঘামতে "আমার শরীর খারাপ লাগছে" বলে এক দৌড়ে মা ক্লাস ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছিলেন। (সুখের কথা দুজনেই যে যার পরীক্ষায়, আমি আমার ক্লাস থ্রি-র কুড়ি নম্বরের মান্থলি টেস্ট এবং মা তাঁর কেরানি থেকে অফিসার হওয়ার পরীক্ষায়, সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম।)

মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে কী সাংঘাতিক ব্যাপার হয়েছিল বুঝতে পারতেন।

না হয়ে উপায়ও ছিল না। সারা বছর ফাঁকি মেরে টেস্টে অ্যাডিশনাল পরীক্ষার আগের রাতে "কী হবে মাআআআ" বলে যখন ভ্যাঁ জুড়েছিলাম, "কই দেখি কী বাকি আছে... ইস এইটুকুর জন্য আবার কান্না" বলে মাকেই এসে সব জলের মতো বুঝিয়ে দিতে হয়েছিল। তবে সবটা বাধ্যতামূলক ছিল না মনে হয়। না হলে অফিস থেকে ফিরে সংসারের সব কাজ সারার পর কেউ পাঁচটা রেফারেন্স বই খুলে মেয়ের ইতিহাসের প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে দেয় না। সে উত্তরের কোনও কোনও লাইনের কোনও কোনও শব্দের নিচে নীল কালির ল্যাজ বেরোত। ওই শব্দগুলো লিখতে লিখতে মা ঘুমে ঢুলে পড়ছিলেন। ল্যাজ মোটা হলে সেটাকে ব্রহ্মপুত্র নদ আর ক্ষীণ হলে সেটাকে সরস্বতী নদী বলে আমরা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতাম।

যবে থেকে আমার পরীক্ষা আমার মায়ের পরীক্ষা হওয়া বন্ধ করল তবে থেকে আমার রেজাল্ট খারাপ হতে শুরু করল।  কেউ বলতে পারেন, মা আমার পরীক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলেই এবং আমি নিজের পরীক্ষায় দায়িত্ব নিতে শিখিনি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। হতে পারে। আবার এটাও বলা যেতে পারে যে ভাগ্যিস মা দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাই অন্তত জীবনের কয়েকটা পরীক্ষায় উতরেছিলাম; গোড়া থেকেই ফেল মারতে হলে কী কাণ্ড হত বলুন দেখি।

মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জানালায় জমা হওয়া বইয়ের ঢিবি তুলতে তুলতে মা বলছিলেন, "যেন একটা উৎসব শেষ হচ্ছে, বল সোনা?"

আমি মায়ের সঙ্গে একমত, পরীক্ষার্থীর চোখ দিয়ে দেখলে (আর আমার মায়ের মতো মা হলে পরীক্ষার্থীর মায়েরও) উৎসবটা আসলে পরীক্ষার আগের সময়টুকু, কিন্তু জাতির চোখ দিয়ে দেখলে উৎসবটা পরীক্ষা চলাকালীন। আমি সেই উৎসবের মধ্যে বাড়ি গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। একেবারে অষ্টমীনবমীতে। তিনটে পরীক্ষা শেষ হয়েছে এই পরিস্থিতিতে। প্রথমটা বুঝিনি। বাড়ি গিয়ে দেখি এই মোড়ে সেই মোড়ে বাঁশ খাটিয়ে রংচঙে কাপড়ের প্যান্ডেল। যদিও এখন আমার জানা কোনও পুজোর সিজন নয়, কিন্তু ভাবলাম কী জানি, সংকটাপন্ন সনাতন ধর্মকে বাঁচাতে হয়তো নতুন কোনও দেবতার শরণ নিতে হয়েছে। এদিকে আবার মূর্তিটুরতি নেই দেখে সন্দেহও হচ্ছিল। খালি চেয়ার পাতা আর এক কোণে কুড়ি লিটারের বিসলেরির বোতল উপুড় করা ডিসপেনসার।

তারপর শুনি পুজোটুজো নয়, প্যান্ডেল পরীক্ষা চলাকালীন প্রতীক্ষারত বাবামায়েদের বসার জন্য। ক্রমে উৎসবের আরও উদযাপন চোখে পড়ল। কোন্নগর স্টেশনের কাল্ভার্টের সামনে মাইক নিয়ে পুরসভার প্রতিনিধি দাঁড়িয়ে মাইকে ঘোষণা করছেন। রাস্তা পরিষ্কার রাখুন, জ্যাম করবেন না, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তা খোলা রাখুন যাতে তারা ঠিক সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে।

বাড়িতে থাকতে থাকতে একজন দিদি এসেছিলেন গল্প করতে। কথায় কথায় মাধ্যমিকের কথা উঠল। দিদি ফস করে চাদরের তলা থেকে ফোন বার করে বললেন, দেখবি সোনা, প্রশ্নপত্রের স্ক্যান? প্রস্তাব শুনে প্রথমটা চোখ কপালে উঠেছিল, তারপর বুঝলাম যে পরীক্ষা অলরেডি হয়ে গেছে, অর্থাৎ কিনা বাংলা, তার প্রশ্নপত্রের স্ক্যান নিয়ে ঘুরছেন দিদি। দিদির একজন চেনার ছেলে না মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, সেখান থেকেই স্ক্যান জোগাড় হয়েছে।

জেনারেশন গ্যাপের একটা উপসর্গ হচ্ছে নিজেদের থেকে পরের জেনারেশনের পড়াশুনোকে কম সিরিয়াস মনে করা। যারা পি কে দে সরকারের আগের বই পড়েছে তারা বলবে আরে ধুর ওটা একটা বই, আবার যারা পি কে দে সরকারের পরের গ্রামার বই পড়েছে, পি কে দে সরকারওয়ালারা তাদের ইংরিজির ভুল ধরে বলবে, হবে না, যত সব হাবিজাবি বই পড়লে এর থেকে আর বেটার কী আশা করা সম্ভব? আমার চেনা একজন টিউশন করত; সে দাবি করেছিল প্রতি বছর ছাত্ররা আগের বছরের ছাত্রদের থেকে বেশি বোকা হয়ে যাচ্ছে। এমপিরিক্যালি প্রুভেন।

আমি আগে ভাবতাম সবাই বোকা বলে এই রকম মনে করে, আমি যে রেটে অন্যরকম আমার নিশ্চয় এ রকম মনে হবে না। আমারও হল। আজকালকার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে। কয়েকটা মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন আবছা আবছা মনে আছে। আপনাদের উদাহরণ দিই দেখুন আপনাদেরও হয় কি না।

চম্পা কোথায় দাঁড়িয়ে ছিল? ক) বারান্দায়, খ) ঘরে, গ) ছাদে, ঘ) জানালায়। আমি বুঝে পেলাম না যে এটা কী করে একটা প্রশ্ন করার মতো বিষয় হতে পারে। চম্পা যেখানে খুশি দাঁড়াক, কার কী এসে গেল। অবশ্য এসে যেতেও পারে, আমি তো গল্পটা পড়িনি। চম্পা জানালায় দাঁড়িয়ে ছিল বলেই গুলি সোজা এসে চম্পার বুকে ঢুকে গেছে, ছাদে দাঁড়ালে ঢুকত না ইত্যাদি প্রভৃতি। তবুও আমার মনে হল, এই রকম টিক মারা প্রশ্নের থেকে চম্পার জানালায় দাঁড়িয়ে থাকার তাৎপর্যের ব্যাখ্যা চেয়ে ১০ নম্বরের উত্তর লিখতে বললে বরং বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হত। যদিও সেই উত্তরটাও মুখস্থ করে লেখা যায়, আমাদের সময়েও অনেকেই লিখেছে, তবু মনে হল।

কলেজে একটা কাজে গিয়ে মাধ্যমিকের বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা হল। আজকাল কলেজের ছেলেপুলেদের দেখলে শিশু মনে হয়, মাধ্যমিক দেখলে মনে হয় দৌড়ে গিয়ে হাত ধরি। একা একা রাস্তা পার হচ্ছ কীরকম? গার্জেন কোথায়? তারপর নিজেকে মনে করাই আমি নিজেকে ওই সময় কত বড় মনে করতাম। ছাব্বিশ বছর বয়সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার আর প্রেম করার বয়স নেই ঘোষণা করেছিলাম শুনে আমার এক মাস্টারমশাই কেন অত গড়াগড়ি খেয়ে হেসেছিলেন এখন বুঝি। ‘তিরিশ হচ্ছে এই বেলা অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার শুরু কর’ সতর্কতাবাণীর হিড়িক দেখলে মনে হয়, রোস, আভি তো পার্টি শুরু হুয়ি হ্যায়। বলা বাহুল্য, আমার থেকে বেশি বয়সীদের আমাকে দেখেও সেই কথাই মনে হয়। সেদিন একটা গোয়েন্দা সিরিয়ালে (রোজমেরি অ্যান্ড থাইম্‌, আমার ভীষণ প্রিয়, আপনারা দেখেছেন কেউ?) একজন আশি বছরের বুড়ো খুব উদাস মুখে, উইশ আই ওয়্যার ফিফটি নাইন, বলে হাহুতাশ করছিলেন।

কলেজে কাজ উদ্ধারের ব্যাপার ছিল। আমি কলেজে পড়েছি কুড়ি বছর আগে। ভয়ে ভয়ে ছিলাম যে নিশ্চয় সব অচেনা লোক হবে। তারা আমাকে খাতির করবে না নির্ঘাত। সে জমানা আর নেই যে জমানায় আমার মা কুড়ি বছরে টেলিফোন ভবনে ঢুকে, অনেক ঘুরেটুরে, ষাটে ওই টেলিফোন ভবন থেকেই বেরিয়েছিলেন। ভাগ্যিস ঠিক সময়ে বেরিয়েছিলেন, অত প্রাণ ঢেলে খাটনির উত্তরে মাইনে না পেলে কিছু বলার থাকত না। আজকাল এক অফিসে বেশিদিন কেউ থাকে না; থাকলে তা লুজারের লক্ষণ প্রতিভাত হয়। আমাদের অফিসেও দেখি লোকে ঢোকে আর বেরোয়। সাত মাস, চোদ্দ মাস, সাতাশ মাস। শ্যাওলা পড়তে পারে না কেরিয়ারের গায়ে। আমাকে যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে কদিন আছ, উত্তর শুনে ভুরু কপালে তোলে আর আমাকে লুজার বলে ধরে নেয়। লুজার আমি ঠিকই, কিন্তু এটাও সত্যি, বছর বছর নতুন অফিসে, নতুন কাজের ধরণ, নতুন বস, নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করার কল্পনাতে আমার কান্না পায়।

যথারীতি কলেজে ঢুকে দেখি সব অচেনা। অফিসের সজ্জাও নতুন। একজনকে বললাম আমার কী চাই। তিনি আমাকে বললেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কলকাতা ইউনিভার্সিটি গেছেন, কখন আসবেন বলা যাচ্ছে না, এলেই আমার সমস্যার কথা তাঁকে বলা হবে। আমি যেন বসি।

বসলাম। আমিও কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকেই আসছি কাজেই সেখানে একবার ঢুকলে বেরোনোর ব্যাপারটা যে চট করে হওয়ার নয় তা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। কিছু কিছু জায়গায় গেলে মা ফলেষু কদাচন প্র্যাকটিস করা সুবিধে হয়। শুধু কাজ হওয়ার ওপর কনসেন্ট্রেট কর। কখন হবে-র ওপর কোর না। করলে বাকি চুলগুলো পেকে যাওয়া ছাড়া আর কোনও সুবিধে হবে না।

তক্ষুনি তিনি ঘরে ঢুকলেন। সেই চেনা মুখ। সেই চেহারা। প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম এই কলেজে, ইনি হাতে প্রশ্নপত্রের তাড়া নিয়ে কলকাকলিরত মেয়েদের ভিড় ঠেলে মোজেস-এর মতো এগোতে এগোতে বলছিলেন, দেখি দেখি সাইড সাইড, আমাকে না ঢুকতে দিলে কেউ কলেজে ঢুকতে পারবে না।

কী রকম শান্তি হল বলে বোঝাতে পারব না। মনে হল সমস্যা অর্ধেক সমাধান হয়ে গেছে।

হাঁটার বদলে দৌড়ে গিয়ে বললাম, ...দা, ভয়ানক বিপদে পড়েছি। হেল্প।

এই ধরণের লোকজনদের মানুষ মনে রাখার অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে। মায়েদের ছিলেন দিলীপদা। কলেজের রিইউনিয়নে গিয়ে মায়ের দিলীপদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। মা আড়ালে আবডালে ঘোরা লোক ছিলেন, আশাই করেননি যে মাকে কলেজের কারও মনে থাকবে। সবে নিজের পরিচয় দিতে যাবেন তার আগেই  দিলীপদা মায়ের নাম পদবী পাশ করার সাল সব হুড়হুড় করে বলে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আছ কেমন?

আমাদের কলেজের দিলীপদা (যদিও এঁর নাম দিলীপ-এর থেকে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং আর অভিনব) আমাকে বললেন, ঘাবড়িও না, জল খাও, অ্যাই কে আছিস চা আন, পুরোনো ছাত্রী এসেছে। তুমি বোস, অমুকে ইউনিভার্সিটিতে গেছে এলেই কথা বলিয়ে দেব।

দিলেন। আমি নিশ্চিত এমনিতেও কাজটা হত, কারণ যিনি কাজ করে দিলেন তিনি নতুন যুগের একজন অত্যন্ত কর্মনিষ্ঠ, দক্ষ ভদ্রমহিলা। অন্তত গোটা চল্লিশ মেয়েকে, অ্যাই বোটানি এদিকে এস, অ্যাই বাংলা ওদিকে যাও, বলে মারাত্মক দাপটের সঙ্গে সামলাচ্ছিলেন। আমি ইম্প্রেসড হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি দেখে বললেন, আপনি আপনার কথা বলে যান, আমার ফাঁকা হওয়ার আশায় থাকলে আর হবে না। আমি ঠিক শুনে নেব।

কাজটা হয়ে গেল। অন্তত ওখানে যেটুকু হওয়ার ছিল।

আসার আগে দাদার সঙ্গে দেখা করে এলাম। হাত নেড়ে আমার থ্যাংক ইউ উড়িয়ে দিয়ে দাদা বললেন, আরে এটাই তো আমার কাজ। যে কথাটা না বলে পারলাম না সেটা হচ্ছে এক্স্যাক্টলি এক রকম রয়েছেন কী করে? দাদা হেসে বললেন, ডায়াবেটিস বাধিয়ে।

যেটা বললাম না - ভাগ্যিস আপনি চাকরি বদল করেননি।


Comments

  1. Bhalo laglo lekhata pore.

    Tabe aapni Bangla proshnopotrer ja biboron diyechhen ta jodi satti hoi tabe hasbo na ragbo bujhte parchhi na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুস্মিতা। আরে সত্যি এসেছে এই রকম একটা প্রশ্ন। আমিও ঘাবড়ে গেছিলাম দেখে। তারপর জেনারেশন গ্যাপের কথা মনে করে সান্ত্বনা পেলাম।

      Delete
    2. Ki bolchhen!!! Prothom madhyamik 1976 e shuru hoi. Aar aami tar prai 20 bochhr por pariksha di. Kintu proshner maaner serokom bishesh tofat chhilona. Aar amar somoyer poroborti 20-22 bochhore eto tofat!!! Ekhon to abar shunlam banan bhul eo number kaata jaabe na.

      Delete
    3. বানান ভুলের খবরটা পেয়ে আমিও হাঁ হয়ে গেছি।

      Delete
  2. Osadharon bhalo laglo lekhata podhe.. khub bhalo thakben

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ইন্দ্রাণী। আপনিও ভালো থাকবেন।

      Delete
  3. Asadharon likhechho. Proshno potro r biborton dekhle chokh kopal e othe, CBS te history te para tule q aschhe... amar bonpo r school. Class 11 e... didi Sedin hese goriye bollo, history te saal mone rakhar jonyo koto kichhu kortam. Esob dekhle mone hoi buro hoye gechhi r "amader somoi ▪▪▪▪¤¤" esob bolar din ese gechhe. :papiya

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, তাই তো দেখছি, পাপিয়া। আমারও "আমাদের সময়ে সব ভালো ছিল" বলার দিন এসে গেছে। কী অনাচার, আমরা সনতারিখ মুখস্থ রাখতে অত (উও)ম্যানআও্য়ার নষ্ট করলাম আর এরা কত সময় বাঁচাচ্ছে।

      Delete
    2. Hoito somoi er sathe sob I paltay. Porasuna k beshi enjoyable korar chesta like north America. Graduation er somoi thek chap. J jeta korbe nije bhalo bese korbe kono jor korar byapar nei. Amra calcutaion et bhul e maths e hari hari rasagolla peyechhi, era sei chap I nei na. Tobe banan bhul ta ektu beshi hoye gelo. Btw abantor er doulat e ami anek shikhyito hoye gechhi. Thank you

      Delete
    3. কী সাংঘাতিক কমপ্লিমেন্ট, পাপিয়া! আমিও ওইভাবেই ভাবার চেষ্টা করি। কেয়ারলেস মিস্টেকে আমারও অনেক নম্বর কাটা গেছে। সেটা হয়তো সত্যিই উপেক্ষা করা যেত। জানি না।

      Delete
  4. দারুন লিখেছেন। কলেজে গিয়ে কাজ করানোর বর্ণনা, আর পরের জেনারেশনের প্রতি আগের জেনারেশনের হ্যাটা, দুটোই মোক্ষম। রোজমেরি এন্ড থাইম আমাদের সবটা দেখা, খুব ভাল লেগেছিল। অবান্তর থেকেই সন্ধান পাওয়া। আপাতত ফাদার ব্রাউন বিঞ্জ ওয়াচ করছি, মার্চের শেষে নেটফ্লিক্স থেকে চলে যাবে তাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা কী নতুন ফাদার ব্রাউন না পুরোনোটা?

      Delete
    2. পুরোনোটাই মনে হয়, ওই যেটায় মিস্টার উইজলি আছেন। গল্পগুলো খুবই সরল, কিন্তু দেখতে মন্দ লাগেনা।

      Delete
    3. ওহ, আমি ওই মিস্টার উইজলিসম্বলিত সিরিজটাই নতুন বলে ধরছিলাম। আমার খুব প্রিয়। ইংলিশ কান্ট্রিসাইডটা দারুণ ফুটেছে সিরিজটায়, তাই না? আমি পুরোনো বলতে কেনেথ মোর অভিনীত সিরিজটার কথা বলছিলাম। ইউটিউবে আছে কয়েকটা এপিসোড।

      https://www.youtube.com/watch?v=kiMLX64zwCo

      আপনার সঙ্গে একমত। সিম্পল গল্পও দেখতে ভালো লাগে, ভালো করে দেখালে। রোজমেরি অ্যান্ড থাইমও রহস্যের দিক থেকে সাদাসিধে, কিন্তু মচৎকার টাইমপাস।

      Delete
    4. হ্যাঁ, তাহলে নতুনটাই। ঠিকই বলেছেন, ইংলিশ কান্ট্রিসাইডটা খুব সুন্দর দেখিয়েছে।

      Delete

Post a Comment