পশম



সাত বছরের বিয়েতে যে ক'টা ট্র্যাডিশন তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে একটা হচ্ছে এগারোই মে আলাদা আলাদা থাকার ট্র্যাডিশন। দু'হাজার কুড়ি আর সবদিকে চমক দেখালেও এ বাবদে চরম ব্যর্থ; এ বছরও বিবাহবার্ষিকীতে আমরা আলাদা আলাদা। গুগল চ্যাটের এদিক ওদিক বসে আছি।

বসে বসে স্বপ্নের পোলাওয়ে ঘি ঢালছি। আবার কবে দেখা হবে, দেখা হলে কী কী মজা করব, কোন কোন দোকানে খাব, কোথায় কোথায় বেড়াতে যাব। গোড়াতে লিস্টে নানাবিধ রোমহর্ষক ডেসটিনেশন রাখা হয়েছিল। বন্দীপুরের জঙ্গল, চিকমাগালুরের কফিবাগান, ভুটানের টাইগার মনাস্টেরি। এমনকি লজ্জার মাথা খেয়ে “সেশেলস দ্বীপ নাকি শুনেছি দারুণ ভালো দেখতে” বলে গুগল ইমেজ সার্চের লিংক পর্যন্ত চালাচালি করেছিলাম।

শেষমেশ দেখা যাচ্ছে সর্বাধিক ভোট পেয়ে লিস্টের প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান আলো করে রয়েছেন যথাক্রমে দার্জিলিং, পুরী, এবং গ্যাংটক।

খাবার দোকানের লিস্টেরও হাল একই। প্রথমটা ভাবা হয়েছিল এই বোম্বেটে বিরহের পর ফ্রেঞ্চ আর আলবানিয়ান যে দুটো দোকান বহুদিন ধরে তাক করে আছি (একটা পকেটের মুখ চেয়ে এবং অন্যটা কে-জানে-কেমন-হবে সংশয়ে ভুগে) সেগুলোকে আগে সেরে নেব। এখন স্থির হয়েছে দেখা হলে আর দোকান খুললে সবার আগে দৌড়ব আমার পুরোনো অফিসের লোকেশনের চাইনিজ আর ইতালিয়ান রেস্টোর‍্যান্টগুলোতে - যেগুলোতে আমরা অগুনতি বার গেছি এবং প্রত্যেকবার মেনু চষে এক্স্যাক্টলি একই জিনিস অর্ডার করেছি। রাঙালুর চিপস, চাররকমের মাশরুমওয়ালা একটা পিৎজা, লাস্টে অর্চিষ্মান ক্যাপুচিনো, আমি দার্জিলিং। চিলি গারলিক চাউমিন, লাল লংকার ছবি আঁকা ভেজিটেবল ইন ব্ল্যাক বিন সস। লাস্টে আমি দার্জিলিং, অর্চিষ্মান ক্যাপুচিনো।

সত্যি বলতে খাবারগুলো অত কিছু বলার মতো না। মানে আমাদের খেতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু দিল্লির অন্তত পাঁচশো দোকানে চাউমিন আর পিৎজা খেলে একই রকম ভালো লাগবে জানি।

তবু আমরা ওই দুটো দোকানেই যাব।

চাউমিন খেতে খেতে দেখব আমার বাঁপাশে আর অর্চিষ্মানের ডানপাশে জানালার অন্ধকার কাঁচে মোমবাতির শিখা কাঁপছে। পাঁচতলা নিচে বন্ধ স্কুলের ফাঁকা বাস্কেটবল কোর্ট জুড়ে হলদে ল্যাম্পের আলো। গত আধঘণ্টা ধরে অক্সফোর্ড অ্যাকসেন্টে কন্টিনিউয়াস রাজাউজির মারা লোকটা যখন ফোন তুলে বলবে, “হ্যালো, মা, একটু বাদে করছি, ওকে?” বডি ল্যাংগোয়েজ দেখে বাঙালি চেনার বিদ্যেতে কেমন শান দিয়েছি ভেবে পিৎজা স্লাইস নামিয়ে রেখে একে অপরকে হাই ফাইভ দেব।

চলা পথেই চলতে থাকার ইচ্ছে, নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা আহরণের বদলে ঘিসিপিটি স্মৃতি জাবর কেটে চলা - এইসব উপসর্গের আনমিস্টেকেবল ডায়াগনসিস - বুড়ো হয়ে গেছি।

ব্যাপারটা অন্যভাবেও দেখা যেতে পারে। যে আমি হার দুল কেনার বিন্দুমাত্র উৎসাহ বোধ করি না, সেই আমিই রেগুলার ঠাকুমার দেওয়া লাল পাথর বসানো ভয়াবহ ব্যাকডেটেড আংটি (যা প্রাণ থাকতে লোকের সামনে পরে বেরোব না) বাক্স থেকে বার করে হাত বোলাই আর ঠোঁট ছোঁয়াই আর মনে মনে ঠাকুমার কোঁচকানো তোবড়ানো আঙুলগুলোতে আঙুল জড়াই - তাকে কি জাবর কাটা বলে? তাকে বলে মনের মণিকোঠায় জমিয়ে রাখা হিরেজহরত নিয়ে নাড়াচাড়া।

গত সাত বছর, তার আগের আড়াই-ই বা বাদ দিই কেন, সব মিলিয়ে সাড়ে ন’বছরে এত হিরে জহরত জমেছে, সেগুলো নাড়তেচাড়তেই, আমার অন্তত, সারাজীবন কেটে যাবে।

তাছাড়া সাড়ে ন’বছরেরও আগে, আমি আর অর্চিষ্মান, যথাক্রমে ঊনত্রিশ এবং চব্বিশ বছর ধরে, যত মণিমুক্তো জমা করেছি, সেগুলোও তো একে অপরের সঙ্গে ভাগ না করলে চলবে না। উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে মামাতো দাদা আর মাসতুতো ভাইয়ের সঙ্গে অর্চিষ্মান গিয়েছিল গ্যাংটক। নো অ্যাডাল্টস অ্যালাউড ট্রিপ। সেই থেকে শহরটার নাম শুনলে অর্চিষ্মানের চোখ চকচক করে। ইস তুমি গ্যাংটক যাওনি না? একবার দুজনে গ্যাংটক যাই চল।

আমার তেমনি ভীষণ শখ অর্চিষ্মানের সঙ্গে মাইথন যাওয়ার, আর মুকুটমণিপুরও। সীমান্তের ছোট শহরের ঝুপড়ি দোকানে বসে আলুপোস্ত ভাত, শব্দ শুষে নেওয়া আদিগন্ত জলের নৈঃশব্দ্য, আর তার মধ্যে যদি বৃষ্টি নামে . . . ও জিনিস অর্চিষ্মানকে না দেখিয়ে, আর অর্চিষ্মানের পাশে বসে নিজে আরেকটিবার না দেখলে আমার জন্ম সার্থক হবে না।

বা ধরা যাক, দার্জিলিং। দুজনেই গেছি, দুজনেই ম্যালে বসেছি, দুজনেই কেভেন্টারসের মিল্কশেক খেয়েছি, দুজনেই ঘোড়ায় চড়িনি। সবই আলাদা আলাদা। আমাদের ভারি শখ দুজনে মিলে দার্জিলিং যাব। মিল্কশেক আর স্যান্ডউইচ খাব, ম্যালে বসে সুরুৎ সুরুৎ চায়ের কাপে চুমুক দেব খাব আর ঘোড়াওয়ালা এলে দুজনেই বিনীত মাথা নেড়ে বলব, নেহি ভাইসাব, থ্যাংক ইউ।

বলতে পারেন, ভালোলাগা জায়গায় ফিরে যাওয়ার আইডিয়া শুনতেই ভালো। গিয়ে দেখবে স্মৃতির তুলনায় গিজগিজে ভিড়, গলাকাটা দাম, ওপচানো জঞ্জাল, সামগ্রিক অবক্ষয়।

এই ভয়ে আমরা অনেকদিন পুরী যাওয়া ঠেকিয়ে রেখেছিলাম। গিয়ে দেখলাম, আলাদা আলাদা সুখস্মৃতি ছিল একসঙ্গে ডবল হয়ে গেছে। সমুদ্র বাকিদের সঙ্গে যত ভালো, অর্চিষ্মানের সঙ্গে তার দ্বিগুণ ভালো। বাবা মা নন্দনকাননে সাদা বাঘ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন মানছি, কিন্তু মন্দিরের উল্টোদিকে যে অমন অস্বাস্থ্যকর আর অমন সুস্বাদু মটর কা পানি পাওয়া যায় বেমালুম চেপে গেছিলেন। স্বর্গদ্বারের পাঁচিলে তো আগেও অনেকবার বসেছি, অত ভালো লেবু চা পাওয়া যায় জানিনি তো? পেছনে সমুদ্রের গর্জন, পায়ের তলায় বালিমাখা চটি, সামনে জনহিল্লোল - পা দোলাতে দোলাতে লেবু চায়ে চুমুক দেওয়ার ওই সন্ধেটা ওইরকম পিকচার পারফেক্ট হবে কে জানত?

গত সাতটা বছরও ওই সন্ধেটার মতো কেটেছে। যতখানি কল্পনা করেছিলাম তার থেকে সাতাত্তরগুণ বেশি ভালো। কল্পনা করবই বা কী করে? আমার কল্পনা তো আমার দেখাশোনা দ্বারাই সীমাবদ্ধ। আমি তো জানতামই না যে নিজের সঙ্গে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে এত ভালো থাকা যায়, এত মজা করা যায়। স্রেফ একটা লোকের উপস্থিতি যে জীবনে এতখানি আরাম আর নিশ্চিন্তি এনে দিতে পারে, আমি অন্তত জানতাম না।

এখন জানি। এও জানি যে আরও যে ক’দিন একসঙ্গে থাকব সে দিনক’টাও আমার কল্পনার অতীত ভালো কাটবে।

আর সেই জন্যই সাতবছরের বিবাহবার্ষিকীতে কেমন একটা দুঃখ দুঃখ হচ্ছে। ক'টা দিনই বা আর বাঁচব? ক'টা মুহূর্তই বা আমার জন্য অর্ডার দিয়ে বানানো গোটা পৃথিবীতে একমাত্র লোকটার সঙ্গে কাটাব? তার মধ্যে থেকে যদি সাত সাতটা বছর, পলক ফেলতে না ফেলতে উবে যায়, আনন্দের থেকে দুঃখই কি হয় না বেশি? তারমধ্যে এই যমের অরুচি করোনা এসে আরও ক’মাস হাওয়া করে দিল।

তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো অর্চিষ্মান। আর যে ক’দিন হাতে পাই পাহাড়ের ঢালে আর সমুদ্রের কোলে পাশাপাশি বসে লেবু চা খাই, টাইগার হিলে হি হি কেঁপে সেলফি তুলি, দু’নম্বর মার্কেটের পাঁচিলে বসে আলুর চপে কামড় বসাতে বসাতে দাড়িওয়ালা আর টুপিপরা বুড়োদের আড্ডায় আড়ি পাতি।

যদি অত পরিশ্রম না পোষায়, শুধু পাশাপাশি শুয়ে যে যার বুকের ওপর রাখা ল্যাপটপের দিকে ইয়ারফোন এঁটে তাকিয়ে থাকি। ক্রোমকাস্টে সানডে সাসপেন্স সেতুর মতো জুড়ে থাকুক।

তাতেও আমার জন্ম সার্থক হবে।



Comments

  1. "আমি তো জানতামই না যে নিজের সঙ্গে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে এত ভালো থাকা যায়, এত মজা করা যায়। স্রেফ একটা লোকের উপস্থিতি যে জীবনে এতখানি আরাম আর নিশ্চিন্তি এনে দিতে পারে, আমি অন্তত জানতাম না।" <3

    ভালো থাকুন আপনারা, কুন্তলা । ভালোবাসায় থাকুন ।

    ReplyDelete
  2. "মটর কা পানি" কী বস্তু ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অন্বেষা। মটর কা পানির লিংক নিচে দিলাম।

      https://www.youtube.com/watch?v=9Od7opc8lig

      Delete
  3. 7 number e je magic achhey eta to muggle hoyeo amra jani...bhaalo theko..

    Aar shey kothay ekhon?

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অর্পণ। অর্চিষ্মান আপাতত কানাডায় বন্দী। সবথেকে খারাপ ব্যাপার হচ্ছে কবে ফিরতে পারবে সেটাও না জানা। জঘন্য।

      Delete
  4. আপনাদের দুজনকেই শুভ বিবাহবার্ষিকী কুন্তলা। আশা করি খুব শিগগিরই এই কোরোনার ঝামেলা কাটিয়ে উঠে আবার আপনারা একে অপরের সঙ্গে একজায়গায় বেড়াতে যেতে পারবেন। আমরা সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছি। আর কিচ্ছু ভাল্লাগছেনা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সুগত। আমাদেরও আর পোষাচ্ছে না সিরিয়াসলি। এনাফ ইজ এনাফ।

      Delete
  5. kuntala, post ta pore mone holo: what a fantastic love letter! :) bhalo thako tomra, tomader shiggiri dekha howk!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অপরাজিতা। খুব ভালো লাগল শুভেচ্ছা পেয়ে।

      Delete
  6. Happy anniversary..eirokom. Mishtiiiiiiiiii Aram e baki jibon ta katuk

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, রণিতা।

      Delete
  7. Happy Anniversary Kuntala ar Archisman. Khub mishti lekha. Kono ki oi repatriation flight e jaiga holo?

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, বং মম। খুব ভালো লাগল শুভেচ্ছা পেয়ে। আরে ফার্স্ট ফেজে তো ক্যানাডায় কোনও প্লেনই যায়নি। নেক্সট উইকে নাকি দুটো প্লেন আসবে ক্যানাডা টু দিল্লি। দেখা যাক তাতে ঠাঁই মেলে কি না।

      Delete
  8. বিবাহবার্ষিকীর জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাই কুন্তলা | তোমরা দুজনেই যেন happily live ever after করো একদম রূপকথার মতো!
    অর্চিষ্মান বিদেশে জেনে আরো খারাপ লাগছে, একই টাইম জোনে না হয়ে আরো অসুবিধে হয়েছে নিশ্চই | আমি ভেবেছিলাম দেশেই কোথাও আটকে গেছে| ফেরার ঝামেলাও বেশি| ও ফিরলে আমাদের জানিও কিন্তু |

    ReplyDelete
    Replies
    1. এমন সুন্দর শুভেচ্ছার জন্য আপনার মুখে ফুলচন্দন চপকাটলেট পড়ুক, অমিতা। থ্যাংক ইউ। অর্চিষ্মান ফিরলে নিশ্চয় জানাব।

      Delete
  9. Ki romantic likhecho... Onek shuveccha..

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ঊর্মি।

      Delete
  10. দাম্পত্য জীবনের সার সত্য ....
    অনেক শুভেচ্ছা রইলো

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, কাকলি। ভালো লাগল।

      Delete
  11. "আমি তো জানতামই না যে নিজের সঙ্গে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে এত ভালো থাকা যায়, এত মজা করা যায়। স্রেফ একটা লোকের উপস্থিতি যে জীবনে এতখানি আরাম আর নিশ্চিন্তি এনে দিতে পারে, আমি অন্তত জানতাম না।" - একদম । সার সত্য কথা। শুভ বিবাহবার্ষিকী। এরকম আরামেই কাটাও সারাজীবন দুজনে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ, প্রিয়াঙ্কা। খুব ভালো লাগল।

      Delete
  12. Bilombito shubhechchha. Apnara bhalo thakun...aar agami dingulote aapnader joutho jibon erokom sundar ba aaro sundar hoye uthuk.

    ----Susmita.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুস্মিতা। খুব ভালো লাগল শুভেচ্ছা পেয়ে।

      Delete
  13. আরো অনেক অনেক বছর এরকম কম্ফোর্ট নিয়ে একে অন্যের সাথে বাঁচো, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা খেতে চাও, মুখে তাই তাই পড়ুক, প্রদীপ্ত। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  14. ঘটনাচক্রে এবারের বার হলো না,আশা করি পরবর্তী বিবাহবার্ষিকী গুলি যেন একসাথে আনন্দে কাটে

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, নালক। আমাদেরও সেরকমটাই আশা।

      Delete
  15. Subho bibahobarshiki Kuntala. Ashakori ebar e sat bochhorer jinx ta katbe ar at nombor bochhor theke proti ti bibahobarshiki ek sathe katabe. Bhalo theko

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাই যেন ঘটে, চুপকথা। শুভেচ্ছার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগল।

      Delete
  16. Deri hoe galo, tobu subhechha na janie gele amar nijer khub kharap lagbe. Tomader dujoner jonye onek subhechha roilo. Khub bhalo plan koro r ta sob sotti hok. Bhalobasa roilo Kuntala. Bhalo theko

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেরি মোটেই হয়নি, তাছাড়া শুভেচ্ছার কোনও দেরি নেই। খুব ভালো লাগল, থ্যাংক ইউ।

      Delete
  17. Nam likhini tarahuroi - ichhadana

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, আমি ভাবলাম একবার জিজ্ঞাসা করব। ভালো আছেন তো, ইচ্ছাডানা? আপনার সঙ্গে কথা হলে সবসময়ই ভালো লাগে।

      Delete
  18. Bibahobarshikir onek shubheccha tomader dujon ke! Tomra jeno khub shiggiri abar ekshaathe hote paro eyi kamona kori.
    Tokhon corona ke kaanchkola dekhiye khub celebrate koro.

    ReplyDelete
    Replies
    1. শর্মিলা, তোমার কমেন্টটা এতদিন মিস করে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। কবে যে কাঁচকলা দেখাব করোনাকে, সেই স্বপ্নের পোলাওতে বসে বসে ঘি ঢালছি।

      Delete

Post a Comment