প্রথমার্ধ
অশুভ শক্তিকে ঠেকাতে অর্চিষ্মান বাড়ি গেল। জুটে গেলাম। প্লেনের জানালা দিয়ে এয়ারপোর্টের মাঠে জল জমা মাঠ দেখলাম। সিঁড়িতে পা রেখে ভেজা হাওয়া গায়ে লাগল। দিল্লিতে ঝড়বৃষ্টি হয় কিন্তু এমন হাওয়া গায়ে লাগে না। আকাশবাতাসের কনস্ট্যান্ট ছলছলে ভাবটাও মিসিং। যখন ঝরার ঝরল তারপর খটখটে। রাত গয়ি বাত গয়ি বলে চোখ মুছে মুভ অন। প্রিপেড থেকে উবার পঞ্চাশটাকা কম। চেনা রাস্তা। চেনা ল্যান্ডমার্ক। চেনা স্টিমুলাসে পাভলভের পঞ্চুর চেনা ভৌ। বিগ বেন দেখে হাসি। হলদিরাম ক্রস করতে করতে অর্চিষ্মানকে বলি এর পেছনে অমুকদের ফ্ল্যাট ছিল। আরেকটু এগিয়ে বাঁদিকের গোলাপি রঙের পাঁচতলা বাড়ির টপ ফ্লোর দেখিয়ে অর্চিষ্মান বলে চিনতে পারছ? মাসিমেসোর ফ্ল্যাট। কত এসেছি। নিচ থেকে মিষ্টি কিনে ওপরে উঠতাম। মাসি ওপর থেকে নিচে নেমে চপ কিনে আবার ওপরে উঠত। সুন্দর প্লেটে যত্ন করে সাজিয়ে আদর করে খাওয়াত। মাসি মেসো সায়ন নতুন হাউসিং-এ চলে গেছে। ফ্ল্যাটটা বিক্রির অপেক্ষায় ছিল। অর্চিষ্মান বলল হয়ে গেছে তো বিক্রি, শোনোনি? একজন অল্পবয়সী মেয়ে কিনেছে। তারপর বলল অবশ্য মায়ের ডেফিনিশনে অল্পবয়সী। নাকতলার মাকে গান শেখাতে আসেন যে পঞ্চাশোর্ধ্ব দিদিমণি, মা তাঁকেও ব