আপনার অগোচরে
প্রসেনজিতের পার্টি নিয়ে চোখ টাটাচ্ছিল অর্চিষ্মান, একত্রিশ রাতে প্রসেনজিৎই আমাদের পার্টি দিল। এ বাড়ির তিন ভাড়াটে, আর প্রসেনজিতদের কিছু আত্মীয়বন্ধু, সব মিলিয়ে পনেরো জনের বেশি না। যদিও হোয়াটস্অ্যাপের বায়োতে ফার্নান্দো পেসোয়ার লাইন টুকে রেখেছি, Enthusiasm is sheer vulgarity , সেটা খানিকটা আঙুর ফল টকের মতো। এনথুসিয়াস্টিক লোক না থাকলে কাজের কাজ হয় না। প্রসেনজিৎ, কৃষ্ণা, রাজু মিলে বেডকভার টাঙিয়ে দিল্লির উদ্ভট শীতকালীন বর্ষা ও তৎসংলগ্ন ঝোড়ো হাওয়া প্রতিরোধ করল। উপযুক্ত পানীয়ের সঙ্গে বেগুনি, পেঁয়াজি, লংকার চপ, ফিশ ফ্রাই, স্যালাড, শুকনো ঝালঝাল আলুর দম, কড়াইশুঁটির ফুলকো কচুরি, আলু ফুলকপির তরকারি, ভাত, আলুভাজা, পাঁঠা - শিওর দু একটা পদ বাদ পড়ছে - লোহার কড়াইয়ে কাঠকয়লা দিয়ে ধিকিধিকি আগুন। টুসু পাবলো ছুটোছুটি করে খেলতে লাগল, প্রতি কুড়ি মিনিটে ঝগড়া বাধিয়ে কান্নার বান ডেকে পত্রপাঠ বেস্ট ফ্রেন্ড পাতিয়ে ফেলল, আমগাছের ডালে গুটিয়ে রাখা টুসুর দোলনার দড়ির ফাঁসে গোঁজা স্পিকার থেকে লতা গাইতে লাগলেন, তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই শিকওয়া তো নহি/ তেরে বিনা জিন্দেগি ভি লেকিন জিন্দেগি তো নহি। বন্ধুদের মধ্যে একজনকে...