হোয়াট টু ডু হোয়েন আই অ্যাম গন
বালিশ তুলে, চাদরের এদিকটা আমি, ওদিকটা ম্যাট্রেসে গুঁজতে গুঁজতে অর্চিষ্মান প্রশ্নটা করল। সরাসরি নয়। ডিসক্লেমার দিয়ে। এখানে তো তাও প্রশ্নের শুরুতে ডিসক্লেমার দিয়েছে, অনেক সময় বক্তব্যের মাঝখানেও ডিসক্লেমার দেয়। জীবনে যে তিনটে মজার ঘটনা (ডিসক্লেমারঃ ঘটনাই, জোকস নয় কারণ অর্চিষ্মান জোকস বলে না) যা অর্চিষ্মানের হাস্যোদ্রেককারী লেগেছে এবং মনে হয়েছে হয়তো কুন্তলারও হাস্যোদ্রেককারী লাগতে পারে, সেই তিনটে ঘটনাও বলতে বলতে তিনবারই থেমেছে। আচ্ছা শোনো, ব্যাপারটা অত হাসিরও কিছু না, বুঝলে তো। আমার তখন হাসি পেয়েছিল, তোমার মনে হয় পাবে না। সেদিনের প্রশ্নটা অবশ্য মজার ছিল না। এবং ডিসক্লেমারের হয়তো দরকারও ছিল। সেদিনের প্রশ্নটা ছিল সেই জাতের যেগুলো মাথার ভেতর ভক্ত প্রহ্লাদ, ভোকাল কর্ড ল্যারিংক্স ফ্যারিংক্স বেয়ে আলোবাতাসে পড়লেই নৃসিংহ অবতার। আচ্ছা, তুমি কি এখনও কাকিমাকে মিস কর? চাদর গোঁজা শেষ। রান্নাঘরে কফিও সম্ভবতঃ রেডি। সেদিকে হাঁটি। অর্চিষ্মান সাহস পেয়ে কথা বাড়ায়। মানে বলতে চাইছি তোমার এই মুহূর্তের দিনরাতে তো কাকিমার তো কোনও ইমপ্যাক্ট নেই, যেমন ধরো ফোনে কথাটথা বলা বা অন্যান্য সুবিধে যেমন হাতে ব্যথা হলে ...