খাপছাড়া



হয়নি, কিন্তু এই পোস্টটা হিচকক নিয়ে হতে পারত। বনের বাৎসরিক সাইলেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে গতকাল, বৃহস্পতিবার। উদ্বোধনী রাতের সিনেমা ছিল জাপানি অ্যানিমেশন আর হিচককের ইরগার্টেন ডেয়ার লাইডেনশাফ্‌ট্‌, দ্য প্লেজার গার্ডেন। প্রবেশ বিনামূল্যে। মৌন সিনেমা চলবে পর্দায় আর পাশে বসে বাজনদারেরা সিনেমার মুড বুঝে বাজনা বাজাবেন। আমি আর ক্যামিলা খুঁটিনাটি সব ঠিক করে ফেলেছিলাম। কখন কোথায় মিট করা হবে। বাইক নিয়ে আসছ তো? অফ কোর্স। ট্রাম বাস বো-ও-ও-রিং। যা বলেছ। আর তাছাড়া ইট’স সো মাচ ফাস্টার। ও মাই গড, ইয়েস!

এত সব প্ল্যান করার সময় একটাই ছোট্ট ডিটেল আমার মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। সেটা হচ্ছে, সাড়ে বত্রিশ বছর বয়সে পরপর দু’রাত ইচ্ছে করে জাগা যায় না। জাগলে তার গুরুতর কনসিকোয়েন্সেস থাকে। তাছাড়া সকাল থেকে বনের আকাশে মেঘ, মাঝে মাঝে ঝেঁপে বৃষ্টি আসছিল। সেমিনাররুমের জানালা, এসি বন্ধ করেও শিরশিরানি এড়ানো যাচ্ছিল না। সকাল থেকে অলরেডি তিনবার হেঁচে ফেলেছিলাম। শনিরবি প্রবল ঘোরাঘুরি আছে। এর মধ্যে মাঝরাতে নদীর ধারে ইউনিভার্সিটির খোলা মাঠে বসে হিচককের কেরামতি দেখতে গেলে আর রক্ষা থাকত না। ক্যামিলাকে ফোন করে বলে দিলাম, তুমি যাও ভাই। আমার জন্য অপেক্ষা কোর না।

কাজেই হিচকক বাদ হয়ে গেলেন। করমোরান স্ট্রাইক-কে এখনও অত ভালো করে চিনি না যে তাঁকে নিয়ে একখানা গোটা পোস্ট লিখে ফেলব। কুইজ রেডি নেই। ছবি তোলা নেই। এত সব নেই-এর একটাই মানে দাঁড়ায়। অবান্তর বেরোবে না।

মাথা গরম হয়ে গেল। অফিস থেকে বেরিয়ে সারারাস্তা চশমার চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে আঁচড়াতে বাড়ি ফিরলাম। এমন কি হতে পারে যে সারারাস্তায় এমন একটাও কিছু থাকবে না, যেটা নিয়ে পাঁচশো শব্দের একটা পোস্ট নামানো যাবে না? লেভেলক্রশিং-এর সামনে একগাদা সাইকেলের ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে এদিকওদিক ঘাড় উঁচিয়ে তদন্ত চালালাম। বেশিরভাগই অফিসযাত্রী। কেউ কেউ অফিস থেকে ডে-কেয়ার ঘুরে বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন, তাঁদের সাইকেলের ক্যারিয়ারের বেবিসিটে জার্মান বাচ্চা অত্যন্ত বিরক্ত মুখে গাল ফুলিয়ে বসে আছে।

বাচ্চার সংখ্যা দ্রুত কমছে বলেই কি না জানি না, এ দেশটা অত্যন্ত শিশুফ্রেন্ডলি। বাচ্চাদের সর্বত্র অবাধ প্রবেশের অধিকার। আমাদের পাবলিক সেমিনারে সদ্যোজাত থেকে শুরু করে বছর পাঁচ-ছয়ের বাচ্চারা নিয়মিত আসা যাওয়া করে। একজোড়া নতুন বাবামাকে আমার বিশেষ পছন্দ। তাঁদের বাচ্চার বয়স মেরেকেটে মাস ছয়েক। সেমিনারের কোনও বক্তব্য পছন্দ না হলে সে চ্যাঁ করে প্রতিবাদ করে। তখন মা বা বাবার কোনও একজনকে তাকে নিয়ে কোলে করে জানালার কাছে নিয়ে গিয়ে একটু “দোল দোল দুলুনি/ রাঙা মাথায় চিরুনি” ইত্যাদি করতে হয়। ব্যস, আবার সব চুপ। সেমিনারের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে মা এবং বাবা দুজনেই পালা করে বক্তাকে শক্ত শক্ত প্রশ্ন করেন। কেউ যদি ভাবে যে বাচ্চা নিয়ে এসেছে বলে কিছু শোনেনি, তাহলে সে মস্ত ভুল করবে। যে রেটে সেমিনার শুনে বেড়াচ্ছে, এ বাচ্চা বড় হলে মস্ত পণ্ডিত না হয়ে যায় না।

*****

সেদিন তিন্নি মনে করিয়ে দিল, যে সাইকেলের ছবি এখনও দেওয়া হয়নি অবান্তরে। সাইকেলের ছবি আমি তুলেছি, সেটা আপনাদের দেখাতেও পারি, কিন্তু প্রমাণ করার কোনও উপায় নেই যে ওটা আমারই সাইকেল। কারণ সাইকেলের সঙ্গে আমার ছবি নেই। লজ্জার মাথা খেয়ে কাউকে তুলে দিতে বলতে পারিনি। ছবি নেই তো কী হয়েছে, সাইকেলে চড়া পুরোদমে চলছে। মাঝে একদিন সকাল থেকে ধুন্ধুমার বৃষ্টি নামাতে বাধ্য হয়ে সাইকেল রেখে পুরোনো কায়দায় ট্রামে বাসে চেপে অফিস যেতে হয়েছিল। কী যে খারাপ লাগল কী বলব। মাটির তলায় দরজা জানালা বন্ধ করা ট্রেন, ঘাড়ের ওপর একগাদা লোক দাঁড়িয়ে আছে, তাদের সকলের ভেজা ছাতা থেকে টপটপ করে জল পড়ছে---নারকীয় ব্যাপার। আর এর তুলনায় সাইকেল? হাওয়া খেতে খেতে যাও, হাওয়া খেতে খেতে আস। ইচ্ছে হলে ক্যাম্পসের সামনে সাইকেল পার্ক করে সোজা দোকানে ঢুকে গিয়ে গরম গরম কফি আর নোনতা ব্রেজেল কিনে আরাম করে খাও। যতক্ষণ খুশি ধরে খাও। ট্রেনবাসের গোলাম আর নও তুমি যে তাঁদের টাইমটেবিল অনুযায়ী তোমাকে কলুর বলদের মতো ছুটে মরতে হবে। চারের জায়গায় চল্লিশ মিনিট কাটিয়ে যখন দেখি আমার বেগুনি রঙের সাইকেল যেখানে রেখে গিয়েছিলাম ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে, শত মশার কামড় খেয়েও একটুও নড়নচড়ন করেনি, রাজার মতো মনে হয় নিজেকে।


*****

যখন কেউ প্রিয় গায়কের নাম জিজ্ঞাসা করে, কত ভালো ভালো গায়কগায়িকার নাম মনে পড়ে। কেউ বিখ্যাত, কেউ বঞ্চিত, কেউ বেঁচে থাকতে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন, কেউ মরে গিয়েও কল্‌কে পাননি। সবার কথা মনে পড়ে প্রিয় গায়িকার কথা বলতে গিয়ে, খালি প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটা মনে পড়ে না।

রাত জাগছিলাম যেদিন, সেদিন রবার্ট গ্যালব্রেথের পাশাপাশি সঙ্গ দিচ্ছিল ইউটিউব। কেন যে এই গানটা শুনতে ইচ্ছে করল, জানি না। সত্যি বলতে কি গানটার কথা মনে পড়েছিল যখন, প্রতিমার কথা মাথায় আসেনি। বললাম না, কখনওই আসে না। অন্য আরেক বিখ্যাত শিল্পীর গলায় অন্তরা পর্যন্ত শুনে যখন অলরেডি চোখ ডানদিকের লিস্টে নতুন গানের খোঁজ করছে তখন প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটা দেখে সেটার ওপর ক্লিক করলাম।

আর তারপর যেটা ঘটল, সেটা যেভাবেই লিখি না কেন, বিশ্বাসযোগ্য হবে না। জীবন-টিবন বদলে যাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। সিনেমা উপন্যাস ছাড়া ও জিনিস ঘটে না। তাই বলি, আমার রাতটা বদলে গেল। ঘরের আলো নিভিয়ে দিলাম। টেরাসে যাওয়ার খোলা দরজা দিয়ে শহরের রাতজাগা আলোর অল্প আভাস আসছিল। প্রতিমা লুপে গেয়ে চললেন। আমার রাত কেটে কখন যে ভোর হয়ে গেল টের পেলাম না।

গানটা শুনতে শুনতে অনেক কথা মনে এসেছিল। স্বার্থপর নিচু মনের মানুষ, অন্যরকম কিছু ঘটলে প্রথমেই নিজের কথা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না। দুঃখ, হতাশা, আফসোস ইত্যাদি নানা অনুভূতি পেরিয়ে শেষে যেটা পড়ে রইল সেটা হল অবিশ্বাস। মানুষে এই রকম গাইতে পারে? কী করে পারে? শুধু কি শেখা? প্রতিমার থেকে ভালো গান আর কেউ শেখেনি, এটা বিশ্বাস করতে মন চায় না। তাহলে কি কণ্ঠস্বর? প্রতিমার থেকে মিষ্টি গলা আর কারও ছিল না কোনওদিন সেটাও কি হতে পারে?

কিংবা হয়তো কথাটা শুধু জন্মগত প্রতিভা বা শিক্ষা দিয়ে সেই প্রতিভায় শান দেওয়ার নয়। তা দিয়ে গান ভালো হতে পারে, কিন্তু নশ্বরতার ওপারে যাওয়া যায় না। প্রতিমার গানেরা যেখানে অহরহ ঘোরাফেরা করে।

তবে কি সেটা ভাঙা রেকর্ডের মতো বাজতে থাকা সেই কথাটা, কানের কাছে বাজতে বাজতে যেটার মধ্যে আর কোনও অর্থ বেঁচে নেই। শুনলে হাসিও পায় না আর, স্রেফ ক্লান্ত লাগে। নিজের জন্য গাওয়া, নিজের জন্য পড়া, নিজের জন্য লেখা। প্রতিমা কি নিজের জন্য গাইছিলেন? তাই কি তাঁর গানে কোথাও কারও পায়ে ধরে ভালোলাগানোর আকুতি নেই? তাই কি তাঁর গান সবাইকে কান ধরে টেনে পায়ের কাছে এনে হাজির করতে পারে?

জানি না। তবে এটুকু জানি যে এর পর থেকে জিজ্ঞাসা করলে আমি আজীবন বলব প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ফেভারিট গায়ক। আর ভুল হবে না।





Comments

  1. কুন্তলা, ভাবছিলা্ম বক্‌বক্‌ বন্ধ। কিন্তু তুমি সব মনের কথা মুচড়ে বার করে নাও কেমন করে? আজ তুমি তিনটে পোস্ট লিখেছ। প্রথম দুটোর জন্য অনেক কথা ফেনিয়ে উঠল, কিন্তু সব কথা মনের ভিতরই কৌটো এঁটে রাখলাম। শুধু উপভোগ করা। কিন্তু তিন নম্বরটা? আর চুপ করে থাকা গেল না। কুন্তলা, প্রতিমাকে সত্যিই আমরা সারাক্ষণ মনে করিনা। জীবৎকালে যেমন ছিলেন, মরণেও তেমনই অন্তরালবাসিনী। কিন্তু বোধহয় আর কেউ নয়, একমাত্র প্রতিমাই আমাদের হৃদয়ের একান্তে বাস করেন। নিজের সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত সংকুচিত থাকতেন। কিছু সংগীতকার খাঁটি হীরে চিনতেন বলে আজ আমরা ধন্য হয়েছি প্রতিমাতে স্নাত হয়ে। ফাংশনে তিনি গান গেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর সব গানের মধ্যে নিবেদনই ছিল সত্যকার ভাব। তাঁর সমসাময়িক সন্ধ্যা,লতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও আমার কাছে প্রতিমার মত মিষ্টি গলা আর হয়নি। এত গুণ থাকা সত্বেও নিজেকে কখনও জাহির করেননি। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক দুঃখ থাকলেও সিনেমাতে কত মধুর চটুল গানও আমরা পেয়েছি তাঁর কাছ থেকে। আজকের গানটা শোনানোর জন্য তোমায় ধন্যবাদ। ভিতরটা গলে গেল। অবশ্য আরেকজন আছেন। তিনি মোহরদি, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা আরেকদিন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি একমত মালবিকা। আজকাল একটা কথা শুনতে পাই, নিজেও বিশ্বাস করি স্বীকার করতেই হবে, যে নিজের ঢাক নিজে না পেটালে কিছু হবে না। চোখে তো পড়তে হবে? তবে সেরকম ভালো হতে পারলে বোধহয় এখনও নিজের ঢাক নিজে না পেটালেও চলে, চিরকালই চলত। যেমন প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

      Delete
  2. এইজন্যই আপনাকে একটুও পছন্দ করিনা, জানেন? লেখার মতন তেমন কিছু না থাকলেও কেমন সুন্দর একটা লেখা নামিয়ে ফেলতে পারেন। আপনার মতন মানুষেরা শুধু আমার মতন মানুষদের কমপ্লেক্স দেবার জন্যই আছেন। জঘন্য।

    যাই হোক, সাইকেল আর গান দুটোই খুব ভালো। নিজের ঢাক নিজেকে পেটাতে হবার ব্যাপারটা খানিকটা সত্যি হলেও আজকাল যেমন ঢাক পেটানোটাই মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা খুব খারাপ।

    "সাড়ে বত্রিশ বছর বয়সে পরপর দু’রাত ইচ্ছে করে জাগা যায় না। জাগলে তার গুরুতর কনসিকোয়েন্সেস থাকে।" এটা পড়েও মনটা আরেকবার খারাপ হয়ে গেল। সাড়ে একত্রিশ বছর বয়েসেও ব্যাপারটা একই।

    ReplyDelete
  3. ও আমাদের এখানে এখন কি চালু হয়েছে জানেন তো? http://citibikenyc.com/how-it-works

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ, দারুণ ব্যাপার তো। আর কি, সাইকেলে চেপে সারা শহর চষে ফেলুন।

      Delete
  4. Protima Bandopadhaya r gaan amaro khub priyo.

    Cycle ta dekhe kintu khub hingshe holo :-D .

    ReplyDelete
    Replies
    1. মিল মিল ইচ্ছাডানা। প্রতিমাপ্রেম আর সাইকেলপ্রীতি, দুটোই মিলেছে। ভাবা যায়?

      Delete
  5. বিশ্বাস করো, সাড়ে একত্রিশেই হাড়ে হাড়ে বুঝছি, একরাত জাগলেও পরের দিন হাতে হ্যারিকেন হয়ে যাচ্ছে। দু রাত পরপর জাগলে বোধহয় মারাই যাব!

    সাইকেলটা খুব মিষ্টি করে একা একা দাঁড়িয়ে আছে দেখছি! আমি সাইকেল নিয়ে উৎসাহিত না হলেও তোমার লেখাটা পড়ে বেচারাকে ভালবেসে ফেললাম। আর প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় সবার প্রিয় :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি প্রিয়াংকা। কে যেন বলেছিল পঁচিশের পর বেসিক্যালি সব শেষ, ঠিকই বলেছিল। সাইকেল নিয়ে উৎসাহিত নও, এ মা সেকি কেন? প্রতিমার গান ভালোবাস শুনে খুব খুশি হলাম।

      Delete
  6. প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল। আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চল সখা এই গান টা ওনার গলায় শুনলে চোখে জল চলে আসে।
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম মিঠু। কাঁদতে হলে (ভালো কান্না, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি কান্না নয় অফ কোর্স) প্রতিমার গান শোনার থেকে বেটার উপায় আর কমই আছে।

      Delete
  7. mishti golaar shesh kotha holo Asha Bhosle. byas. aar amio ek-i boi porchhi ekhon.
    ekta baaje proshno korchhi. gayika-ke gayika bolar moddhey thik onnyay-ta ki? chirokaal shuney elam oshob naki politically incorrect byapar-shyapar. kintu keu bojhatey parlo na thik keno.

    ReplyDelete
    Replies
    1. না না সোমনাথ, আমাকে এক প্রফেসর বলেছিলেন প্রশ্ন কখনওই বাজে হতে পারে না। সব প্রশ্নই ভালো। ন্যায়অন্যায়ের ব্যাপারটা আমিও ঠিক জানি না। তবে নবনীতার একটা লেখায় এই ব্যাপারটা সহজ করে বোঝানো ছিল। তাতেও আমি পুরোটা এত ভালো করে বুঝিনি, যে তোমাকে এখন বুঝিয়ে দিতে পারব। তবে মনের ভেতর মহিলা গায়ককে গায়িকা, মহিলা লেখককে লেখিকা না বলার পেছনের যুক্তির আভাসটা টের পেয়েছিলাম। হতে পারে পুরোটাই নবনীতার প্রতি পক্ষপাতিত্ব। উনি যা বলবেন, তাতেই আমি ঘাড় নেড়ে দেব, ব্যাপারটা সে রকমও হতে পারে। কাজেই আমি গায়ক-গায়িকা, লেখক-লেখিকা এইসব শব্দগুলো ইন্টারচেঞ্জেব্‌লি ব্যবহার করি। লিখতে গিয়ে হাত থেকে যেটা বেরিয়ে আসে সেটা রেখে দিই।

      আর আমার কেন যেন ধারণা হচ্ছে যে তুমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত যে গায়ক আর গায়িকা দুটো আলাদা শব্দ ব্যবহার করার মধ্যে কিচ্ছু ভুল নেই। বুঝতে চাওয়াটা স্রেফ একটা তর্কের অছিলা।

      আশা ভোঁসলে আমারও খুব প্রিয় গায়িকা। তবে আমার মতে প্রতিমা বেটার গাইয়ে।

      Delete
    2. 'বুঝতে চাওয়াটা স্রেফ একটা তর্কের অছিলা।' - ekebarei na. ami genuinely bujhte chai.
      'তুমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত যে গায়ক আর গায়িকা দুটো আলাদা শব্দ ব্যবহার করার মধ্যে কিচ্ছু ভুল নেই' - otai to null hypothesis, tai na? keu to disprove koruk!
      'গাইয়ে' - :) tomar kachhey political correctness shikhte hobey.

      Delete

Post a Comment