খবরাখবর



কোনটা যে মেরিট আর কোনটা যে মেরিট নয়, সেটা স্থির করা অত সোজা না।

এত সোজা কথাটা অবশ্য আমার মাথায় আসেনি। অমর্ত্য সেনের একটা লেখায় পড়েছিলাম। মেরিটোক্রেসি মেরিটোক্রেসি করে যারা গলা ফাটিয়ে চেঁচায়, তাঁদের জবাব দিতে গিয়ে লিখেছিলেন। কাকে মেরিটোরিয়াস বলা হবে, কেনই বা বলা হবে, তার সঙ্গে আমাদের সমসাময়িক ভালোমন্দের বিচার কতখানি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে থাকবে। মানে ভেজা সিল্কের কাপড় জড়ানো লাউয়ের ওপর ব্লেড চালিয়ে যে চোর লাউ অক্ষত রেখে কাপড় কেটে আনতে পারে, তাকে মেরিটোরিয়াস বলব নাকি অসহ্য ক্যাবলা হায়ার সেকেন্ডারির ফার্স্ট বয়কে মেরিটোরিয়াস বলব? কোনও একটা কাজকে মেরিটোরিয়াস বলা হবে নাকি কাজটা করে যে লোকটা, তাকে মেরিটোরিয়াস বলা হবে? মেরিট কী দিয়ে মাপা হবে? সান্ধ্য আড্ডায় বসে কোক জিরোয় চুমুক দিয়ে পা দুলিয়ে যখন আমরা বলব শাহরুখ খান বলিউডের সবথেকে স্মার্ট হিরো, কী দেখে বলব? কথা বলার স্পিড দেখে? যখন আমরা বলব বাঙালি ভারতের সবথেকে বুদ্ধিজীবী জাতি, কলকাতা ভারতের সবথেকে বুদ্ধিজীবী মেট্রোপলিস, কী বুঝে বলব?

যাই হোক। এই পোস্টটা কলকাতা নিয়ে নয়। বুদ্ধিজীবিতা নিয়ে তো নয়ই। অন্য আরেকরকমের মেরিট নিয়ে। খবর রাখার মেরিট। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, খবর রাখা লোকজনের খাতিরই আলাদা। ফুটবল খেলা ছেলের থেকে কুইজে ফার্স্ট হওয়ার ছেলের প্রেম হওয়ার চান্স চিরকালই বেশি। নখের ডগায় যে যত বেশি ফ্যাক্টস্‌ নিয়ে ঘুরতে পারে, আড্ডায় তার প্রতাপ তত প্রবল। অবশ্য আড্ডা বুঝে ফ্যাক্টস্‌-এরও ভালোমন্দ আছে। কোনও আড্ডায় সিনেমা ক্রিকেট ভালো কাটে। কোনও আড্ডায় অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশন। আড্ডায় জয়েন করার আগে আড্ডার স্পেশালাইজেশন নিয়ে ভালো করে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশনের আড্ডায় গিয়ে আই এম ডি বি মুখস্থ বলতে শুরু করলে, কিংবা আই এম ডি বি-র আড্ডায় গিয়ে চমস্কি আওড়াতে শুরু করলে আর রক্ষা নেই। অচিরে ধোপানাপিত বন্ধ হবে।

সব মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়িতেই যেমন আসে, আমাদের বাড়িতেও নানারকম খবরের কাগজ, পত্রপত্রিকা আসত। বড়দের জন্য আনন্দবাজার আর দেশ। ঠাকুমার জন্য সাপ্তাহিক বর্তমান। আমার জন্য আনন্দমেলা। সকলের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে মেয়েকে বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি করিয়েছিলেন বলে আমার মা ভয়ে সর্বক্ষণ কাঁটা হয়ে থাকতেন। নিজে হাতে মেয়ের ভবিষ্যতের যে কবর খুঁড়েছেন, তার প্রায়শ্চিত্তের জন্য স্টেটস্‌ম্যান রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। আনন্দমেলা পড়তাম আনন্দের জন্য, আর স্টেটস্‌ম্যান ইংরিজি শেখার জন্য। তাছাড়াও খবর পাওয়ার আরও নানারকম রাস্তা ছিল। সকাল ন-টায় রেডিওতে খবর পড়তেন তরুণ ভট্টাচার্য আর সন্ধ্যেবেলা সাড়ে সাতটায় দূরদর্শনে ছন্দা সেন। বাংলা মিডিয়ামের গেরোটার জন্য আমাকে আবার রাতের ইংরিজি খবরটাও ঘুমে ঢুলে পড়ে শুনতে হত। মা আর আমার দুজনেরই ফেভারিট নিউজরিডার ছিলেন মিনু। অনেকদিন পর্যন্ত আমরা জানতাম মিনু অভিনেতা পাহাড়ী সান্যালের মেয়ে। অনেকদিন মানে, এই পাঁচ মিনিট আগে পর্যন্ত। এক্ষুনি ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখলাম মিনুদেবীর পদবী তলওয়ার, তাঁর সঙ্গে পাহাড়ী সান্যালের দূরদূরান্তের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু তা বলে ইনফরমেশনটা পুরোটাও ভুল না। পাহাড়ী সান্যালের মেয়ে সত্যিই একজন ছিলেন, লুকু সান্যাল। তিনিও দূরদর্শনে ইংরিজি খবরই পড়তেন।

যাই হোক, মোদ্দা কথা হচ্ছে খবর রাখার ট্রেনিং আমার জোরকদমেই চলছিল। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ট্রেনিং দিয়ে বাজিমাত হয় না। সেটার জন্য লাগে ট্রেনি-র সদিচ্ছা আর ‘ন্যাক’। খবরের ব্যাপারে আমার ও দুটোর একটাও ছিল না।

তবে সব দোষটা আমি নিজের ঘাড়ে নিতে চাই না। খবরের রকমও দ্রুতবেগে পালটে যাচ্ছিল। ছন্দা সেন চাকরি ছেড়ে দিলেন, আমাদের রেডিওটা বছর পঞ্চাশেক অবিশ্বাস্য সার্ভিস দেওয়ার হঠাৎ একদিন সকালে আর চলল না। বাড়ির সবাই মিলে চারদিক থেকে থাবড়া দেওয়ার পরও না। আনন্দবাজারের খবর, খবর কম আর উপন্যাস বেশি হয়ে যাচ্ছিল। হেডলাইন চাপা দিয়ে রাখলে প্রথম প্যারাগ্রাফ পড়ে ভগবানের বাবারও বোঝার সাধ্য থাকত না যে কী বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে। বাকি রইল স্টেটস্‌ম্যান। স্টেটস্‌ম্যানের থেকে বিষাদের মৃত্যু আমি খুব কমই দেখেছি।  

আমার খবর রাখার সদিচ্ছার কফিনে শেষ পেরেক নিঃসন্দেহে টিভির খবরের চ্যানেলগুলো। খবরের চ্যানেলের কথা উঠলেই আমার ছোটবেলার মায়াপুর ভ্রমণের কথা মনে পড়ে। ছোটবেলায় মায়াপুরে গিয়ে অষ্টপ্রহর সংকীর্তন শুনেছিলাম। একটা ছাউনির তলায় খোলকরতাল হারমোনিয়াম নিয়ে বসে গোটাপাঁচেক লোক নামগান করছে। তিনঘন্টা পর পর গাইয়ের দল পাল্টাচ্ছে। কেউই শুনছে না, আর যাঁরা গাইছেন তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে, অন্য কিছু করার সুযোগ থাকলে এ কাজটা তাঁরা করতেন না।  

খবরের চ্যানেল দেখলেই আমার ওই সংকীর্তনের কথাটা মনে পড়ে যায়। চব্বিশশো চ্যানেলে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে খবর চলছে। সবই ব্রেকিং নিউজ। রাষ্ট্রবিপ্লব থেকে পাড়ার পাঠাগার উদ্বোধন। তাও কি সময় ভরানো যায়? তখন নিউজ নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করতে বিখ্যাত লোকরা আসেন। স্ক্রিনের মাঝখানে বিশ্বপাকা সঞ্চালকের মুখ, আর তাকে ঘিরে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের। বাড়ির বেডরুম, অফিস, আদালত---বিভিন্ন জায়গা থেকে টেকনোলজি তাঁদের গলায় গামছা দিয়ে টেনে এনেছে। তাঁরা এসে চেঁচাচ্ছেন, ঝগড়া করছেন, নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা বলে চালিয়ে সব দোষ উল্টোদিকের ফ্রেমের ভদ্রলোকের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। আর এই মহান ক্যাওসের মাঝখানে বসে বসে আমাদের সঞ্চালক চিৎকার করে বলছেন, আমাকে কথা বলতে দিন, আমাকে কথা বলতে দিন, এক্ষুনি আমাদের একটা ব্রেক নিতে হবে না হলে কোম্পানিরা পয়সা দেবে না, ফিরে এসে আবার যত খুশি ঝগড়া করবেন...

এই না বলেই তিনি লোকজনের কথার মাঝখানে কট করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন, আর পর্দায় অক্ষয়কুমারের গেঞ্জির বিজ্ঞাপন শুরু হবে।

এখন খবর শুনতে হলে আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে আপনি কোন্‌ দলের সাপোর্টার। তৃণমূল হলে এক চ্যানেল দেখতে হবে, কমরেড হলে আরেক চ্যানেল। খবরের কাগজ কিংবা পত্রিকা পড়তে হলেও তাই। ব্যাপারটা দুভাবেই কাজ করবে মাথায় রাখবেন। অর্থাৎ কি না, বাজার করে ফেরার পথে আপনি সাইকেলের ওপর তেঠ্যাঙা হয়ে দাঁড়িয়ে গণশক্তি পড়বেন আবার দাবি করবেন আপনি কমরেড নন, ও সব ইয়ার্কি চলবে না। আমি বাড়িতে হিন্দু নিই শুনে কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু ভীষণ খুশি হয়ে আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বললেন, কেয়াবাত্‌। আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম তুমি লেফ্‌ট্‌ লিব্যারাল। এখন হাতে কলমে প্রমাণ হয়ে গেল তো?

এই সব নানা কারণে খবর রাখার মেরিটে আমার বেশ কিছুদিন হল টান পড়েছিল। ফ্রাইডে নাইটের সিএনএন এনডিটিভি চর্বিতচর্বণের আসরে আমি ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলাম। শুরুর দিকে ফাইট দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শেষপর্যন্ত পারিনি।

আর সেই না-পারাটাকে জাস্টিফাই করার তাগিদেই হঠাৎ একদিন একলা ঘরে বসে পরপর দুটো নাম মাথার মধ্যে ঝলসে উঠল। শার্লক হোম্‌স্‌ আর অমর্ত্য সেন। সেনবাবুর মেরিট নিয়ে বক্তব্যটার কথা মনে পড়ে গেল, আর মনে পড়ল দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে শার্লক হোমসের জেনারেল নলেজের  সম্পূর্ণ অনুপস্থিতির কথা। কে বলেছে খবর রাখা একটা মেরিট? কে বলেছে, দেশ এবং বিদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির আপডেটেড অ্যানালিসিস দিতে না পারলে আমার লজ্জা পাওয়া উচিত?

কাজেই আমি খবর রাখা ছেড়ে দিলাম। আমার অভিযোগটা খবরের বিরুদ্ধে ছিল না, কাজেই যে সব খবর আপসে আমার চোখে কানে আসত সেগুলো জানা হয়ে যেত। কিন্তু যেচে আমি কোনও খবর নিতে যেতাম না।

এখানে এসে বহুদিন পর একটা অন্যরকম ইচ্ছে বুকের ভেতর মাথা তুলতে লাগল। হেবা আর মহম্মদ ইজিপ্টের ছেলেমেয়ে। ওদের দেশের সাম্প্রতিক পটপরিবর্তন দুজনের মুখেই ছায়া ফেলেছিল। দুজনেই ব্রেকে ঘন ঘন বাড়িতে ফোন করে। আর ফিরে এসে জানায়, এখনও সব ঠিক আছে। ওদেরকে পছন্দ করে ফেলেছি বলেই হয়তো ইজিপ্টের রাজনীতি সম্পর্কে জানার ইচ্ছে হল। নিজেই চমকে গিয়েছিলাম। ভাবা যায়? এতদিন পরে নতুন করে খবর নেব? কিন্তু নিলাম। তবে অনেক ভাবতে হয়েছে। হাতে ধরা খবরের কাগজে আপাতত আমার অ্যাকসেস নেই। ল্যাপটপে টিভি দেখার প্রশ্নই ওঠে না। অনভ্যাসের শিকড় যে রকম গভীরে চারিয়েছে, এই মুহূর্তে অর্ণব গোস্বামীর মুখোমুখি হলে অসুস্থ হয়ে পড়ব।

অগত্যা রেডিওর শরণ নিতে হল। যাতে কেবল খবর শোনা যাবে, খবরবলিয়ের রাগতাপশোকউত্তেজনার আস্ফালন চর্মচক্ষে দেখতে হবে না। তাছাড়াও ব্যাপারটা সংক্ষিপ্ত হওয়া জরুরি। সব শর্ত মেলানো একরকম খবরের সন্ধানও পেলাম। বিবিসি-র রেডিও নিউজ। এক ঘণ্টার আছে, পাঁচ মিনিটের আছে, আমার মতো ভীষণ ব্যস্ত লোকেদের জন্য দু’মিনিটেরও আছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। 

আপাতত দিনে দু’বেলা পাঁচমিনিট করে রেডিও শুনি। দিব্যি লাগে। অন্য কাজ করতে করতে সারা বিশ্বের খবর নেওয়া হয়ে যায়। সংক্ষিপ্ত এবং নৈর্ব্যক্তিক খবর, মতামত নয়। সবথেকে বড় সুবিধেটা হচ্ছে দিনের বাকি তেইশঘণ্টা পঞ্চাশ মিনিট খবরমুক্ত হয়ে ঘোরাঘুরি করা যায়। উইন উইন সিচুয়েশন। 

মনে হচ্ছে রেডিও শুনতে শুনতেই হয়তো খবর রাখাটা আবার প্র্যাকটিস্‌ হয়ে যাবে আমার। আর শার্লক হোমসের অজুহাতের আড়ালে লুকিয়েচুরিয়ে বেড়াতে হবে না। মাবাবা শুনলে খুব খুশি হবেন।


Comments

  1. "Amake kotha bolte din, amake kotha bolte diiiiin". Eta porei haashi peye galo. :D

    Amar Dillir barite TV nei. Tai bochhor tinek holo amar daily khobor dyakhar moho kete gachhe. Chhotobelay Prannoy Roy er gobheer premey porechhilam. Tobey taar uttorsuree ra jokhon sobai on-camera chitkar boi sobkichhu kora chhere dilo, tokhon news dyakhay iti dilam. Prannoy Roy ke kintu ekhono bhalobashi. :D

    Arnab Goswami ekti farce ey porinoto hoyechhe! The nation demands an answer indeed! Ami nation holey ulte okey mathay gnatta martam. Jottosob.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি নেশন হলে উল্টে ওকে মাথায় গাঁট্টা মারতাম।
      বিম্ববতী, Pristine.
      আমাদের ফ্যামিলিতে একটা এরকম কিংবদন্তি আছে "ভারত মরলে মরুক"। কোনদিন চান্স পেলে শোনাব।

      Delete
    2. বিম্ববতী, আমারও সেটাই প্রশ্ন। খবর পড়তে গিয়ে সবাই চেঁচায় কেন। খুব কায়দা করে বুকে মাইক গোঁজা থাকে তো দেখেছি। গাঁট্টার আইডিয়াটা ভালো। দেবাশিসও একমত হয়েছেন।

      Delete
  2. কুন্তলা, আমি আটমাস হল খবরের কাগজ পড়া ছেড়ে দিয়েছি। নিউজ চ্যানেল বছরদুয়েক আগে। দিব্যি আছি। আমার আদৌ অসুবিধে হচ্ছে না।

    ফেসবূকে কোনও নতুন উল্লেখযোগ্য খবর দেখলে টুক করে কোথাও একটা পড়ে নিই। মিটে গেল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অসুবিধে হওয়ার কথাও নয়। ভালো করেছ ছেড়ে দিয়েছ।

      Delete
  3. খবরের চ্যানেলের সঙ্গে সংকীর্তনের আসরের তুলনাটা একদম লাগসই। এইরকম আপাতবিরুদ্ধ তুলনাকে সংস্কৃত সাহিত্যে বলে নিদর্শনা। এই তুলনাটা তুমি সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছ। চব্বিশ ঘন্টা ধরে চ্যানেলগুলির খবর পরিবেশনের ভঙ্গি আমাদের তিতিবিরক্ত করে তুলেছে। কিন্তু হা হতোস্মি, নিস্তার পাবার কোন উপায় নেই। তোমার বিশ্লেষনী ক্ষমতাকেও ধন্যবাদ। (অবশ্য এটা তোমার ঈর্ষণীয় ক্ষমতা)।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ মালবিকা। খবরের চ্যানেলের ওপর তিতিবিরক্তি মিলে যাওয়ার জন্য হাই ফাইভ।

      Delete
  4. আনন্দবাজারে কিছুদিন আগে ওয়েদার রিপোর্ট পড়ছি না ক্রিকেটের ধারাবিবরণী চট করে মালুম হচ্ছিল না । যাচ্ছেতাই !
    সব কিছুই এখন প্রহসন । রেডিও শুনছ ,বেশ ভাল কথা । March hare এর মত আমিও প্রণয় রায়ের প্রেমে পড়েছিলাম । আর একটা কথা একটু "ইন্ডাইরেক্টলি কইয়া দি" লেখাটা খুবই ভাল। তোমার ইজিপ্টের বন্ধুরা কি কায়রো তে থাকে? আমি হেলিওপোলিস এলাকায় মাস খানেক ছিলাম ।
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিকই বলেছ মিঠু। আনন্দবাজারের খবর পড়ে উদ্ধার করা বেশ শক্ত ব্যাপার। প্রণয় রায় প্রেমে পড়ার মতোই লোক।

      হেলিওপোলিস-এর কথা হেবাকে জিজ্ঞাসা করলাম, বলল ওর বাড়ির কাছেই নাকি। খুব খুশি হল।

      Delete
  5. মাইরি, আমি আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, অর্ণব গোস্বামী আসছেন না কেন? তারপর তাঁর নাম দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম... যে যতই গালাগাল দিক, অর্ণব গোস্বামী ভারতীয় টেলিভিশনের একজন আইকন, এসিপি প্রদ্যুম্নর মতই। অর্ণব গোস্বামী নাকি প্যান্ট কিনতে গেলেও সেলসম্যানকে জিজ্ঞেস করেন- হাউ মাচ ডাজ দিস কস্ট? দ্য নেশন ডিমান্ডস অ্যান আনসার।

    তবে অর্ণব গোস্বামী আমার শহরের লোক, তাই তাঁর জন্য আমার একটা প্রশ্রয়মিশ্রিত সফট কর্নার আছে। অভিজিৎ মুখার্জিকে যখন ধমকেছিল, তখন আমার খুব ভালো লেগেছিল, জানেন? আফটার অল, আজ থেকে দশ বছর আগে ভাবা যেত, যে একজন সাংবাদিক একজন সাংসদকে, যে আবার প্রেসিডেন্টের ছেলে, তাকে এমন দাবড়ানি দিচ্ছে?

    তবে খবরের খবর রাখতে চাইলে রেডিও থেকে কাগজ বেটার, আজকাল তো সব কাগজেরই অনলাইন এডিশন আছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এসিপি প্রদ্যুম্নকে নিয়ে কোনও কথা হবে না। একঘর লোক। অনলাইন খবরের কাগজের কথা ঠিকই বলেছেন, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ভাবে কেন যেন ওইভাবে খবর পড়তে ভীষণ কষ্ট হয়। বাতিক নিশ্চয়।

      Delete
  6. এটা পড়ে দেখুন, নেশন নাকি কখনোই কোন আনসার ডিমান্ড করেনি।

    http://www.theunrealtimes.com/2013/07/29/nation-writes-a-letter-to-arnab-goswami-says-it-never-demanded-any-answers/

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইটা দারুণ মজার লিংক দিয়েছেন কিন্তু দেবাশিস। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. আমরা অনেকদিন অবধি জানতাম মিনু ছায়াদেবির মেয়ে। সেটাও সত্যি না অবিশ্যি। আমার প্রিয় সংবাদ পাঠিকার নাম মনে নেই। বয় কাট চুল আর তার একটুখানি পাকা। গালে একটা তিল। ইংরেজি খবর পড়তেন। হঠাত ভদ্রমহিলাকে মনে পড়ে গেল আপনার লেখা পড়ে।

    ছোটবেলায় কুইজের ব্যাপারে আমার একটু ইয়ে ছিল, তাই অনেক খবর রাখতাম। হয়ত খবর যোগাড় করা শক্ত ছিল বলেই যেটুকু পেতাম সেটুকু খাঁটি পেতাম। খবরের চ্যানেল জিনিসটা যেদিন থেকে দেখেছি, আমার খবর রাখার শখ ঘুচে গেছে। এখন যেটুকু এক্কেবারে লোকে ডেকে বলে দিয়ে যায়, সেটুকুর বাইরে আর কিছুর খোঁজ রাখিনা।

    তবে রেডিও শোনার অভ্যাসটা খুব ভালো। আমি আপাতত সময় পাচ্ছিনা বটে, কিন্তু সুযোগ পেলেই আবার ধরব। আপনি শুনতে থাকুন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. মিনু তলওয়ারকে বাঙালি চরিত্রভিনেতা-নেত্রীদের মেয়ে বলে চালানোর এই ব্যাপারটা কেন বলুন দেখি? আপনি বোধহয় নীতি রবীন্দ্রনের কথা বলছেন, শম্পার কমেন্টের নিচে ছবির লিংক দিয়েছি, দেখুন তো উনিই কি না।

      আমার যে কী ভালো লাগছে এইটা শুনে যে অনেকেই আমার মতো খবর না রাখার রোগে ভোগে, এবং স্বেচ্ছায় ভোগে। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  8. >>>বয় কাট চুল আর তার একটুখানি পাকা। গালে একটা তিল। ইংরেজি খবর পড়তেন।

    apni mone hochhe dolly thakore er katha bolchen. amader barite amar chotobelay sakal 6tar theke radio on thakto...bhor er prothom news ta AIR sanskrit news. tate pratyek din ekbar antato "prashashanyasya mantri dale sansade-karye maha kolahal etc etc"...ei line ta thaktoi. eitar por aar anya news shonar ichhe ghunche jeto :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. উঁহু শম্পা, আমি শিওর সুগত নীতি রবীন্দ্রনের কথা বলছেন। আচ্ছা সুগতকেই ছবি দেখে ঠিক করতে বলা হোক, ইনিই তিনি কিনা। http://4.bp.blogspot.com/_zfDuy4-yDB8/TMxsVhEJiQI/AAAAAAAAFzw/yiPUTf9MT88/s320/Fullscreen+capture+10302010+91332+PM.bmp.jpg

      তোমার কমেন্টের বাকি অংশটার জন্য অট্টহাস্য ছাড়া আর কিছু বলার নেই। অসাধারণ। টু গুড। আমি মুখস্থ করে রাখলাম। জায়গামতো ব্যবহার করব।

      Delete
    2. Ekdom thik! Neeti Ravindran i. Naamta shunei mone pore gechhilo.

      Delete
    3. o hyan hyan....aami ashole gaale til shune ektu anya pathe chole giyechilam :)

      Delete
  9. ekta kagoj ke rely korte paris ei muhurte.. khobor dey..motamot na... "Ei Somoy". aar robibarer pata ta besh besh valo lekha.. thake.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ্‌ সাহানা, তাই বুঝি? আচ্ছা দাঁড়া জোগাড় করে দেখব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
    2. "Ei Somoy" er epaper er link. http://www.epaper.eisamay.com/ .

      Delete
    3. বাঃ, কী ভালো কাজের কাজ করলেন বলুন দেখি ইচ্ছাডানা। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।

      Delete
  10. খবর রাখাটা যে মেরিটের ব্যাপার সেটা বোধ হয় মাথায় ঢুকে গেছিল ফেলুদা আর আরো বেশি করে সিধুজ্যাঠার জন্য। অথচ ফেলুদার গুরু শার্লক যে এ ব্যাপারে উল্টোমেরুর বাসিন্দা তা জেনে পরে বেশ অবাক হয়েছিলাম।
    এটা দেখেছেন নিশ্চয়? http://www.youtube.com/watch?v=HuIMmwJbnco

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রে পিয়াস, সোলার সিস্টেমকে ধুইয়ে দিচ্ছে দেখে প্রথমটা খুব হ্যা হ্যা করে হাসছিলাম, শেষে ব্লগের কথাটা এসে পড়ায় নিজের হাসি নিজেকেই গিলতে হল। এই জন্য সত্যি কথা আমি এত অপছন্দ করি।

      Delete
  11. sahanar dhuo dhore ei somoy recommend korlum .. ar star ananda'r akta runner bole adh ghontar khoborer slot achhe .. no advertisement, kintu tate kissu lav noi na .. shoto dhuleo ki ar ? :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এইটা আমার মায়ের ফেভারিট প্রবাদ। মানে সংস্কৃত ভার্সানটা।

      কাগজটা ভালো মনে হচ্ছে অনির্বাণ। তোমরা সবাই যখন ভালো বলছ। সুযোগ হলেই পড়ে দেখব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  12. "তাঁরা এসে চেঁচাচ্ছেন, ঝগড়া করছেন, নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা বলে চালিয়ে সব দোষ উল্টোদিকের ফ্রেমের ভদ্রলোকের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। আর এই মহান ক্যাওসের মাঝখানে বসে বসে আমাদের সঞ্চালক চিৎকার করে বলছেন, আমাকে কথা বলতে দিন, আমাকে কথা বলতে দিন,..." eita pore obdhi hesei cholechhi. Amar to mone hoi ei news channel gulo ekhon 24 hr amader domphata hasir khorak die cholechhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাসিও বলতে পারেন, কান্নাও বলতে পারেন ইচ্ছাডানা। একটা কেমন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি ভাবও হয় না, খবরের চ্যানেল দেখতে বসে?

      Delete
  13. Arnab Goswami ke emnio dekhle ashustha howar e katha. At least amar toh taai e mone hoy. Bhadrolok prime time news er chehara e bodle diyechhen.

    Eta pore moja paabe nishchay (jodi naa pore thako):

    http://www.theunrealtimes.com/2013/07/29/nation-writes-a-letter-to-arnab-goswami-says-it-never-demanded-any-answers/

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা বলেছ সোমদত্তা। লিংকটা আগেও পড়েছি, কিন্তু এতই মজার যে আরেকবার পড়লেও ক্ষতি নেই। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment